#তুই_আমারই_থাকবি💜
#Esrat_Jahan💜
#Part_17
!
‘আপু কার সাথে যেন ফিসফিসিয়ে কথা বলছে।দেখে মনে হচ্ছে কাকে যেন কিছু বোঝানোর চেষ্টা করছে।আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে কান পেতে শোনার চেষ্টা করছি।তখন মনে পড়লো উনি পানি চেয়েছিলেন। পানি আনার জন্য যেই ঘুরবো অমনি ফিরে দেখি উনি আমার পেছনে দাঁড়িয়ে! দুহাত পকেটে ঢুকিয়ে দেয়ালে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।পরণে টিশার্ট আর হাফ-প্যান্ট।পায়ে স্পঞ্জের জুতো। বুঝিনা সারাদিন পায়ে জুতো পরে রাখার কি দরকার!!ঘরে হোক, বাইরে হোক ঘুমানোর সময় বাদে সারাক্ষণ উনার পায়ে জুতো থাকবেই।আজব!
।
-আমাকে দেখেই উনি বললেন, মানুষের ঘরে আড়ি পাতা তোমার স্বভাব!
।
-শুনুন, আমার বোনের ঘর এটা।আর আমার বোনের ঘরে আড়ি পাতলে আপনার সমস্যা থাকার কথা নয়!
।
-অফকোর্স প্রবলেম।খুশির ও তো একটা প্রাইভেসি আছে।সে কি করছে না করছে,কার সাথে কথা বলছে না প্রেম করছে সেটা একান্তই তার নিজস্ব ব্যাপার।কেউ তাতে আড়ি পাতবে আর একজন সচেতন নাগরিক হয়ে আমি সেটা বসে বসে দেখবো তা তো হতে পারে না!
।
-আসছে সচেতন নাগরিক। ব্যাটা ব্রিটিশ আসছে…..
।
-আমি মোটেও ব্রিটিশ না!কিন্তু সচেতন থাকার ট্রাই করি।আর জানিয়ে রাখি,তোমার বোন খুশি আমার ভাইয়ের সাথে প্রেম করছে,বুঝলে! সো এখন পানি নিয়ে রুমে আসো, আড়ি পাতার দরকার নেই।বলেই রুমের দিকে হাঁটা ধরলেন…..
।
-উনার কথা শুনে আমি অবাকের সপ্তম পর্যায়ে পৌঁছলাম।রেশ কাটতেই তাড়াহুড়ো করে ডাইনিং থেকে পানি নিয়ে রুমে এলাম। পানির গ্লাস উনার হাতে দিয়ে বললাম,আপনি কীভাবে জানলেন?
।
-উনি তিন ঢোকে পানিটা শেষ করে বিছানায় ধপাস করে শুয়ে পড়লেন। হাতে মোবাইলটা নিয়ে স্ক্রল করতে করতে বললেন,সেটা তোমার না জানলেও চলবে!
।
-প্লিজ প্লিজ বলুন না…..
।
-উহু….
।
-প্লিজ ভাই আপনার দুই পায়ে ধরি….প্লিজ বলুন না…কাঁদোকাঁদো ইনোসেন্ট ফেস করে বললাম!
।
উনি মোবাইলটা রেখে বাঁকা হাসি দিয়ে বললেন,দ্যাটস লাইক এ গুড গার্ল।আই এম সো হ্যাপি!তোমাকে ডেফিনেটলি বলবো।বাট পায়ে ধরতে হবে না।একটা ছোট্ট শর্ত আছে….
।
ছোট্ট শর্ত যখন তাই ভাবলাম সোজাসাপটা কিছু। তাই আমিও ঠুসঠাস রাজি হয়ে গেলাম।
।
-উনি বললেন,ওকে….
।
তারপর উনি যা বললেন,তাতে চক্ষুচড়ক গাছ আমার।
।
….বললেন,উনার সব কথা শুনতে হবে।উনাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমুতে হবে।উনার অবাধ্য হলে থাপ্পড় খেতে হবে।উনার সব কথায় সায় দিতে হবে। আরো নানাকিছু যেগুলো বলা যাবে না….
।
এসব শর্ত শুনে আমি শুধু একটাই কথা বললাম,না না না।
।
-উনি বললেন,ডাফার মেয়ে!তোমার এসব কথা কে শুনবে?তুমি নিজেই শর্তে রাজি হয়েছো।হা হা করে বাঁকা হাসি দিলেন উনি।
।
আমার নিজের কপালে নিজেই থাপ্পড় দিতে ইচ্ছে হলো। নিজেকে উনার গিনিপিগ মনে হচ্ছে। আমার কথায় পাত্তা না দিয়ে বললেন,
।
-শুনো,খুশিকে আমার ভাই প্রথম দেখায়ই পছন্দ করে ফেলে।তারপর থেকে সে তোমার বোনের পিছনে লেগেছে। একপ্রকার জোর করেই তোমার বোনকে দিয়ে ভালোবাসি বলিয়ে ফেলেছে।সারাদিন পিছু পিছু ঘুরে তোমার বোনকে একপ্রকার থ্রেট দিয়ে রাজি করিয়েছে! বলেছে ও যদি রাজি না হয় তাহলে ওকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যাবে…..এতেই তোমার বোন ভয়ে চুপসে গিয়েছে!আসলে তোমরা দুইবোনই ভীতু!
।
-আরহাম ভাইয়ার কান্ড শুনে আমি আকাশ থেকে পড়লাম।এতো ইনোসেন্ট ফেইস নিয়ে ঘুরে যে কেউ কিছু বুঝবেই না।আর তলে তলে দেখি,আবরার গুন্ডার চেয়েও শয়তান। এজন্যই আসার সময় এমন সাজগোজ করেছিলো।কেমন তাড়াহুড়ো করছিলো। উনার সাথে আমাকে আসতে দিতে চাইছিলো না…..এবার সব ক্লিয়ার হলো।
।
আমি কনফিউশান নিয়ে স্তব্ধ হয়ে বসে আছি।তখনি উনি বললেন, দেখতে হবে না ভাইটা কার!!!
।
-হুহ…তো আপনারা দুভাই কি দুনিয়ার আর কোনো মেয়ে পাননি?আমাদের দুইবোনকেই ধরতে হলো?যত্তসব…..
।
-কি করবো বলো?এতো সুন্দর দুইবোন থাকতে আমরা দুইভাই অন্য মেয়েদের ধরবো কেন?
।
-যত্তসব বেলাজ! সরুন আমি ঘুমুবো!
।
-তাই?
।
-মানে? আমি ঘুমুবো, সরুন!
।
-সরতে হবে না গো।তুমি আমার সাথে ঘুমুবে গো….
।
-কিহ?পাগল আমি?আপনার সাথে ঘুমুলে সকালে উঠে দেখবো আমি ঢেড়সের মতো কাঠি হয়ে গিয়েছি।
।
-উনি রেগে বললেন, কিহ?
।
-কিছু না।ঘুমাবো….
।
-উনি একটানে আমাকে উনার পাশে শুইয়ে দিয়ে জড়িয়ে ধরলেন।বললেন,একবার যদি নড়েছ তাহলে একটা করে চুমু ফ্রি!!
।
-আরে ছাড়ুন… ছাড়ুন বলছি…..
।
-পকপক বন্ধ না করলে কাল সকালেই ব্যাগপত্র গুছিয়ে বাসায় নিয়ে যাবো। আর যদি থাকতে চাও তাহলে চুপ করে ঘুমাও বলেই ঠোঁটে চুমু দিয়ে বসলেন।
।
আর আমি ওনার ফিসফিসিয়ে কথা বলার ধরণ দেখে ফ্রিজড হয়ে গিয়েছি।আর কোনো কথা না বলে চুপচাপ শুয়ে আছি।উনি আমাকে জড়িয়ে ধরে সেই কখন ঘুমিয়ে গিয়েছেন।
।
মাথার কাছের জানালাটা খোলা।রুমের বাতি নিভানো থাকায় চাঁদের আলোতে পুরো রুম ভরে গিয়েছে।একেমন এক মায়াবী আলো, যার কাছে পৃথিবীর সব আলো হার মানতে বাধ্য!সারা আকাশ জুড়ে কোটি কোটি তারাদের মেলা,বাতাসের ফুলগন্ধী গন্ধে সারা রুম ভরে গিয়েছে।চাঁদের আলোতে আমার রুমের দেয়ালে সাজানো সব পাতা,ফুল এবং ছবিগুলোকে লাগছে রুপকথার এক রাজ্য।যেখানে আমি আমার ভালোবাসার মানুষটার পাশে শুয়ে আছি,তার সাথে আছি।হঠাৎ করেই একঝাঁক জোনাকিপোকা দল বেঁধে আমার রুমে ঢুকলো…পুরো রুমে টিমটিম করে আলো দিচ্ছে।আমার রুমে সব পূর্ণিমার রাতেই একঝাঁক জোনাকিপোকা আসে।সেই ছোট থেকে দেখে আসছি।কাকতালীয় ভাবে আজও পূর্ণিমা!সোনালী আলোয় স্বর্ণরাজ্য বানিয়ে আমার ছোট ঘরটাকে একটা ছোট পৃথিবী বানিয়ে দিয়েছে।এমনই তো চেয়েছিলাম আমি!
।
যত যাই হোক!আমি তো এই গুন্ডাটাকে ভালোবেসে ফেলেছিই।উনিও হয়তো আমাকে ভালোবাসে…..যদিও বলেননি তাও ভালোবাসার মানুষটির অনূভুতি বোঝা যায়।
।
উনি যদিও রাগী তাও বেশ চাপা।আরহাম ভাইয়ার মতো নিজের ভালোবাসার কথাটা কাউকে বোঝাতে পারেন না। এই চাপা মানুষটার সাথে আমিও চাপা,আমিও কাউকে নিজের মনের কথাটা বলতে পারি না… যতটা না আপু আর ভাইয়া পারে!
।
এই স্বপ্নময় সোনালী রাতে উনার গা থেকে আশ্চর্য সুন্দর একটা খুশবু পাচ্ছি।এর আগে যা আমি অনুভব করিনি আজ তা মন -মস্তিষ্কের সাহায্যে খুব গভীরভাবে অনুভব করছি।উনার আত্মায় আত্মায় হয়তো মিশে আছে এই সোনালী খুশবুটা।যেটা শুধু সব সোনালী রাতেই পাওয়া যায়!’
।
।
।
‘আজ শুক্রবার। আপু আর আরহাম ভাইয়ার রেজিষ্ট্রি ম্যারেজ!কি থেকে কি হয়ে গেলো চোখের পলক ফেলার আগেই।সবাই সবকিছু জানতো।কিন্তু আমিই একমাত্র আব্বু-আম্মুর অবুঝ মেয়ে যে কি না কিছুই জানতাম না।
।
আমাদের বাসাটা খুব সুন্দর করে ডেকোরেশন করা হয়েছে।বাসায় মেহমানদের ভিড়।খুব আহামরি করে বিয়েটা হচ্ছে না,তাও ছোট খাটো করে যা আয়োজন করা হয়েছে তাতেই জনা তিনশো গেস্ট হাজির।দমবন্ধকর অবস্থা।
।
আজ তেরোদিন।আমি আমাদের বাসায় এসেছি।যেদিন জানতে পারলাম যে,আপি আর আরহাম ভাইয়ার মধ্যে সম্পর্ক আছে তার পরদিন থেকেই আমার গুন্ডা বর আপুর বিয়ে নিয়ে হুলস্থুল কান্ড বাধিয়ে দিলেন।বাসার সবাইকে একপ্রকার জোর করে বিয়ের ডেইট ফিক্সড করে ফেলেছে। যদিও সবাই জানতো তাও চাইছিলো যাতে কয়েকমাস পর বিয়েটা হোক।কিন্তু গুন্ডা আবরার আগুন চৌধুরী বলে কথা!তাঁর উপর কি আর কারোর কথা বলা সাজে?
।
সন্ধ্যা সাতটা। বাসায় গিজগিজ করছে মেহমান।ভিড় আমার একদমই পছন্দ না।তাই আপুর রুমে বসে আছি।পার্লারের মেয়েরা আপুকে সাজাচ্ছে।খুবই হালকা সাজ।সাদা লেহেঙ্গা আর টকটকে লাল ওড়না।আপু আমার চেয়েও সুন্দরী। ডার্ক রেড কালার লিপস্টিক আর হালকা গয়না,এটুকুই।ফেইস পাউডার, ব্লাসন,আই-লাইনার, আই-শ্যাডো, টিপ,কাজল এসমস্ত কসমেটিকস আপু একদম পছন্দ করে না।তাই এসব দেওয়াও হলো না।তাতেই আপুকে লাগছিলো অপ্সরা!
।
আমি বসে বসে এসবই দেখছিলাম হা করে।সবাই সাজগোজ করছে এমনকি আম্মু,মামানি, মামা,আব্বু সহ সবাই প্রায় রেডি!বিয়েটা আমাদের বাসাতেই হচ্ছে তাই মামানিরাও এখানে।সবাই রেডি কিন্তু কপাল!
।
আমি,শুভ্রতা জান্নাত খুশবু যে ফকিন্নি সেজে ঘুরছি সেটা কারো চোখে পড়লো না।আসলে,মানুষ শুধু নিজেরটাই দেখবে,আমি কে?নিজের একমাত্র বড় বোনের বিয়ে আর আমার দিকেই কেউ নজর দিচ্ছে না!রাগে দুঃখে কান্না পাচ্ছে আমার।আর এদিকে উনি আরেক কান্ড করে বসে আছেন।সাদাফ ভাইয়া আর আনিকার বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন।আবরার গুন্ডার পরামর্শ নিয়ে সাদাফ ভাইয়া জোর করে আনিকাকে তুলে নিয়ে বিয়ে করে ফেলেছেন।যদিও আনিকার আব্বু-আম্মু আগে থেকেই রাজি ছিলো তাই তারাও মেনে নিয়েছেন বিয়েটা।সবাই সবকিছু কত সহজেই মেনে নেয় বুঝি না।
।
যেদিন আনিকার সাথে সাদাফ ভাইয়ার বিয়ে হয়েছে সেদিন রাতে আমি জানতে পারলাম এসব।আনিকা বেচারি আমাকে ফোন করে কাঁদতে কাঁদতে বললো,সুগন্ধা! তুই জানিস কি হয়েছে?
।
আমি ওর কান্নায় ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললাম,কি?কাঁদছিস কেন?
।
-আমার সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে!
।
-কি হয়েছে?
।
-আমার বিয়ে হয়ে গেছে!
।
-কিহ?তোর বিয়ে দিলো আর আন্টি আমাকে একবারও জানালো না?
।
-আম্মুরা নিজেই জানতো না!!
।
-মানে? তুই পালিয়ে বিয়ে করছিস আনু? অবাক হয়ে বললাম আমি!
।
-না রে!ওই বিলাই সাদাইফফফফফা আমাকে…..
।
-সাদাফ ভাইকে বিয়ে করেছিস তুই?ইয়া আল্লাহ!! তুই না ওনাকে পছন্দ করতি না?
।
-আরে শোন!ওই সাদাইফফফফফা আমাকে জোর করে তুলে এনে তেলাপোকার ভয় দেখিয়ে বিয়ে করেছে রে জানু!কাঁদতে কাঁদতে বললো।
।
-কিহ????তেলাপোকা দেখিয়ে বিয়ে?আর তুই ও ভয়ে বিয়ে করে ফেলছিস?আজব!অবাক হয়ে বললাম আমি।
।
-হুম!আর জানিস?বাসার সবাইও এ ঘটনা দেখে কিছু বলে নাই।বরং খুশি হয়েছে রে!আমাকে মনে হয় ওরা কুড়িয়ে পেয়েছিল রে!!
।
-তুই এখন কোথায়?
।
-বাসর ঘরে!আর তুই জানিস ওই সাদাইফফফা আমার সাথে কি খারাপ কাজ করেছে? আমার সব শেষ রে…. কাঁদতে কাঁদতে বললো!
।
-আমি ভ্রু কুঁচকে সন্দেহী চোখে বললাম, কি করেছে?
।
-ওই সাদাইফফফা আমার ঠোঁটে চুমু দিয়েছে! আর জানিস কতবার?তিনশো সাতানব্বই বার!
।
আমি এই বেলাজ মাইয়ার কথা শুনে নিজেই লজ্জা পেলাম।ও আবারও বলতে লাগলো…
।
-সাদাইফফফা এখন নাই।আমি লুকিয়ে ফোন করেছি তোকে।জানিস,আমার ঠোঁটে এতবার ওই চরিত্রহীনটা টাচ করেছে তেলাপোকার ভয় দেখিয়ে! আর এসবের মূল মাস্টারমাইন্ড হলো তোর জামাই।উনার বুদ্ধিতেই এই সাদাইফফফফা আমাকে তুলে এনে বিয়ে করেছে!
।
আমি ফোনের এপাশ থেকে আনিকার বাচ্চামো কথায় হাসছি।আনিকাকে ফোন রেখে দিতে বলে দিলাম।আমিও ফোনটা রেখে আমার পাশে ঘুমিয়ে থাকা মাস্টারমাইন্ডের দিকে তাকালাম।ব্যাটা সারাদিন এসব কাজ করব ঘুমুচ্ছে শান্তিতে! আমার হঠাৎ কি হলো জানিনা,ফট করে উনার ঠোঁটে চুমু এঁকে দিলাম।গুন্ডাটা খারাপ হলেও অনেক বেশীই ভালো!রাগটা যা একটু বেশী।
।
এসব হাজারো ভাবনা কাটিয়ে আপুর দিকে চোখ পড়লো আমার।ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।আমিও বললাম, কি?
।
-কি মানে? সবাই রেডি আর তুই?এখনো রেডি হসনি?
।
-আমি রেগে গেলাম আচমকা।বললাম,,এতক্ষণে এসেছে খোঁজ নিতে!লাগবে না।আমি সাজবো না।যাও…
।
-সাজবি না মানে? আজব।কি হয়েছে তোর?
।
-কিছু হয়নি।তুমি যাও!তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে।
।
বলেই নিজের রুমে চলে এলাম।গিজগিজ করছে মেহমান। তার মধ্যে একপলক গুন্ডাটাকে দেখলাম শুধু।আরহাম ভাইয়ার সাথে দাঁড়িয়ে আছেন।গোল্ডেন শার্ট ইন করা,কালো প্যান্ট আর কালো সু।খুবই সুন্দর দেখাচ্ছিলো উনাকে। কিন্তু উনি তো আমার খোঁজ একবারও করলেন না।যাইহোক, সবাই থাকুক নিজের মতো করে।
।
রুমে এসে দরজা লাগিয়ে হাত পা মেলে বিছানায় শুয়ে পড়লাম।
।
-একটু পর দরজায় কে যেন ঠকঠক শব্দ করছে।বিরক্ত হয়ে দরজাটা খুলে দিলাম। কিছু বুঝে উঠার আগেই আবরার গুন্ডা রুমে ঢুকে তাড়াতাড়ি দরজা বন্ধ
করে দিলেন। বিছানায় বসে বললেন, যাক বাবা!বাঁচা গেছে।এত চিৎকার বাবা!
।
-হঠাৎ আমার দিকে নজর পড়তেই উনি ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলেন, এখনো রেডি হওনি?কেন?
।
-আমি কিছু বললাম না।চুপচাপ বসে পা দুলাচ্ছি।
।
-কি?কালা হয়ে গিয়েছো?শুনতে পাচ্ছো না?
।
-আমি এবারেও চুপ।
।
-উনি এবার রেগে বললেন,হোয়াট দ্য খুশবু? আমি ডাকছি, কথা বলছি শুনো না?
।
-আমি কেঁপে উঠলেও কিছু বললাম না।শুধু মুখ তুলে তাকালাম উনার পানে!
।
-উনি ধৈর্যের বাঁধ ধরে রাখতে না পেরে চিৎকার করে বলে উঠলেন, খুশবু…….
।
-আমি এবার ভয়ে বলে উঠলাম,জ্বি জ্বি বলুন!!!!
।
-এতক্ষণ বলছি উত্তর দাওনি কেন?
।
-শুন…তে পা…ইনি….
।
-রেডি হওনি কেন?
।
-ভালো লাগছে না, তাই।আপনি যান।আমি যাবো না।
।
-কিহ?যাবেনা?
।
-হুম!
।
-কেন?
।
-এমনিই!
।
-বললেই হলো নাকি?দু’মিনিট দিচ্ছি রেডি হও।ওই কালো শাড়িটা পড়বে!
।
-আমি রেগে বললাম,যাবো না তো বলেছি আপনাকে, শুনতে পাননি?
।
-আমার সঙ্গে উঁচু গলায় কথা বলা?দাঁড়াও যাবে না,রেডি হবে না তো?
।
-জ্বি রেডি হবোনা।আপনি যান।ভাব নিয়ে বললাম আমি।
।
-তুমি রেডি না হলে কি হবে আমি তো রেডি করিয়ে দিতেই পারি,তাই না?
।
-কীহহহ???’
।
চলবে…..