তোর দিওয়ানা শুধুই আমি😎 #My madness love😍 #লেখিকা_তামান্না #পার্ট_20

0
456

#তোর দিওয়ানা শুধুই আমি😎
#My madness love😍
#লেখিকা_তামান্না
#পার্ট_20

সকালে…..

~~ ভাই ঠিক আছেন কি ভাবতেছেন এতো??(সোহেল সম্রাটকে চিন্তিত দেখে জিগ্গেস করে)

সম্রাট রকিং চেয়ারে বসে দেওয়ালে তার প্রিয়সী তামান্নার ছবির দিকে তাকিয়ে বলে :::: কিছু না শুধু ভাবতেছি। তামান্না আমার এতো কাছে হওয়ার শর্তেও সে আমাকে চিনলো না। একটুর জন্যে তো আমি তার মধ্যে ডুবে গিয়ে ছিলাম। আশে পাশে কি হচ্ছে না হচ্ছে কোনো টেরই পাচ্ছিলাম না(দুইহাত একএ করে দুই হাতের তর্জনী আঙুল থুতনীর সাথে লাগিয়ে হেলান দেওয়া অবস্থায় বলে)

সোহেল নিজের মাথা নাড়িয়ে বলে ::: হ্যাঁ ভাই তা তো আমিও বুঝতে পারলাম না।

সম্রাট ভ্রু কুচকে সোহেলের দিকে তাকিয়ে বলে :::: আমি বুঝতেছি না আরেক কারণে কিন্তু তুই কি বুঝতেছিস না?? তুই তো কিছুই জানিস না আবাল!

সোহেল ধপাস করে সোফায় বসে বলে ::: আরে বস আপনি বললেই তো আমি বুঝবো যে আপনার আর ভাবির মধ্যে কি কানেকশন?? কিছুই তো বলতেছেন না!! তাহলে কোথার থেকে কি বুঝবো? (মুখটা বাংলা পাঁচের মতো করে)

সম্রাট বসা থেকে উঠে বেলকনি তে যেয়ে রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে বাইরের নিস্তব্ধ শহর দেখছে আর সোহেল কে উদ্দেশ্য করে বলে :::: জানিস আমি…..(বাকিটা বলার আগেই একটা কল এসে গেলো)

সম্রাট কল নিতে রুমে এসে কানে কল ধরতেই অপরপাশ থেকে একজন পুরুষের গলার কণ্ঠ শুনা যায়। সে শয়তানি হেসে সম্রাটকে বলে ::: দুশমন কে ভুলে গেছিস নাকি??(ভ্রু নাড়িয়ে বলে)

সম্রাট মানুষটার গলা শুনতেই রাগে ঠোঁটে ঠোঁট কামড়ে টেবিলের উপর রাখা ফুলের টব খুব শক্ত ভাবে ধরে বলে ::: শএু হয়েছিস তুই নিজের কর্মের কারণে। আমি তোকে ভালো বন্ধুর জায়গা দিয়েছিলাম। কিন্তু তুই বন্ধুত্বের ছিটেফোঁটাও রাখলি না। শুধু ধোঁকাবাজি ছাড়া।

~~ আরে আরে এতোকিছু এখনই শুনালে সামনে যখন আমরা মুখোমুখি হবো তখন কি শুনাবি??(গালে এক হাত রেখে ভাবার ভঙ্গিতে বলে) সব তো জানিসই আমার ব্যাপারে কিন্তু আসল যে কথা জানার তা তো জানিস না। ওওও সো সেড (বাঁকা হেসে এক হাত পকেটের মধ্যে গুজে বলে)

সম্রাট ভ্রু কুচকে বলে ::: মানে কিসের কথা বলতেছিস??(কিছুটা অবাক হয়ে)

সোহেল সোফা থেকে উঠে সম্রাটের মুখোমুখি দাড়িয়ে ইশারা করে জিগ্গেস করে কে??? সম্রাট দেখে সে নিজের ঠোঁটে নাড়িয়ে এনিমি বলে। সোহেল সাথে সাথে এই এনিমিকে মারার স্টেপ নিতে চাইলেই সম্রাট তাকে থামিয়ে দিয়ে কলের মধ্যে মন দিয়ে বলে ::: Your game is over very soon.Just wait and watch.

~~ হাহাহা নাইচ জকস। ভালো লাগছে শএু শএুর জায়গায় এখনো আছে। ভাবছিলাম নিজের প্রেমিকা কে হারিয়ে দেবদাস হয়ে পড়বে। কিন্তু আফসোস যে আমার এই ভাবনা ব্যর্থ গেলো। তবে জানিস বেশি দিন নেই তোর প্রিয়সী আমার হয়ে যাবে।

সম্রাট চেচিয়ে বলে ::: কুওা বদমাইশ খবরদার যদি আমার তামান্নার দিকে নজর দিস। যে নজরে তাকাবি সেই নজর কে আমি আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে দেবো।

~~ ও হো এট লাস্ট তোর প্রেমিকার নামটা এখনো তোর মনে আছে। এই ভাবনাটাও ব্যর্থ গেলো (উদাস হওয়ার ভান করে) আচ্ছা তোর থেকে আর কি কি মনে আছে?? আমি কে সেটা তো জানিসই নামটা কি মনে আছে নাকি সেটাও চাঁদে গেছে। আইমিন ভুলার জগতে গেছে।

সম্রাট বাঁকা হেসে :: হুম হাহ নীলকে আমি শেষ না করা পর্যন্ত চিনি। তোরে আমার হাত থেকে কেউ বাঁচাবে না। No one.Got it No one.(ফুলের টব হাত দিয়ে মালা দিয়ে)

নীল কিছু ভাঙার সাউন্ড পেয়ে বাচ্চাদের মতো ফেস করে বলে :::: বাবু কি হলো রাগ উঠে গেছে হাহাহা। আমার আর তামান্নার মাঝে কাউকে আসতে দেয় নি আর দেবোও না। (সম্রাট বলতে গেলেই নীল বলে) ওহ ওয়েট একটা সাউন্ড শুনবি। একটু শুনে দেখ খুব ফাটাফাটি সাউন্ডটা। মাথা ঠান্ডা হবে এই সাউন্ডটা শুনলে(দাঁত কেলিয়ে ব্রাশর্মাকা স্মাইল দিয়ে)

সম্রাট মনে মনে বলে :::: কি এমন শুনাবে?? (সন্দেহের ভঙ্গিতে)

নীল তার এক গার্ডকে ইশারা কে রুমে থেকে বের হয়ে যেতে বললো। গার্ড নীলের ইশারা পেয়ে বেরিয়ে গেলো। সে নিজের বেডের এখানে এসে কান থেকে ইয়ারফোন টা খুলে ফোন থেকেও সংযোগটা খুলে ফেলে নিজের শার্টের বোতাম খুলতে লাগলো। তাকে এরকম করতে দেখে বেডের মধ্যে হাত-পা বেঁধে রাখা মেয়েটা জোরে জোরে চিৎকার করে হেল্প হেল্প প্লিজ এমন করবেন না। আমি আপনার কি ক্ষতি করেছি?? প্লিজজ যেতে দিন। কেউ আছেন বাঁচাও আমাকে প্লিজজ(কাদঁতে কাদঁতে চোখ-মুখ ফুলে উঠে)

কিন্তুু এতে নীলের কোনো মাথাব্যথা নেই সে শার্ট খুলে বেডের উপর ছুড়ে ফেলে ফোনটা হাতে নিয়ে কানে ধরে।

সম্রাট মেয়ের চিৎকার শুনে উওেজিত হয়ে যায়। নীলল ফোন কানে নিতে সম্রাট বলে ::: ওই শুকুনের বাচ্চা। যদি তুই মেয়েটার সাথে কিছু করছিস। তোকে জীবিত মাটিতে পুঁতে ফেলবো। হাত লাগাবি না মেয়েটাকে।

নীল ডোন্ট কেয়ার ভাব করে বলে ::: তো আমার মাল আমি হাত না লাগালে তো কে লাগাবে?? তুই লাগাবি(গালে হাত দিয়ে)। ও তুই তো তামান্নার প্রেমিক। ওরে ছাড়া আর কাউকেও চিনিস না। বাই দ্যা ওয়ে তামান্না এট লাস্ট আমারই হবে। তুই নিজেই রাস্তা থেকে সরে গেলে তোর জন্যে ভালো হবে। আর যদি না ছড়িস তাহলে কি আর করার এই মেয়েটার মতো সামনে তামান্না শুয়ে থাকবে।

সম্রাট এমন কথা শুনে তার পায়ের রক্ত মাথায় উঠে গেলো তার কপালে ভাজঁ পড়ে রগ ফুলে উঠলো। সোহেল সম্রাটের অবস্থা বেগতিক হতে দেখে তার কাছে গিয়ে হাত দিয়ে ইশারা করে বলে :::: ডোন্ট ওয়ারি বস কিছু হবে না।

সম্রাট রাগে ফুসতে ফুসতে বলে :::: দেখ ভালো ভালোই বলছি ছেড়ে দে মেয়েটাকে। না……(বাকিটা বলার আগেই নীল বলে)

নীল ::::: জানিস মেয়েটা কে?? এই মেয়েটা হলো ঐদিন যাকে পাঁচ ছেলে মিলে হরণ করতে চেয়েছিলো। আসলে তারা আমারই লোক ছিলো। কিন্তু ওদের কাজ তো এসবই। তবে তুই আর কে এক মাফিয়া কুইন বের হলো সে মিলে ওদের তেরোটা বাজালো। নো প্রবলেম আমি আছি। সো গুড বাই ব্রো। প্লেনিং করতে থাক। ওকে। টুট টুট টুট।

সম্রাট রেগে ফোন দেওয়ালে ছুড়ে মারে। সোহেল পানির গ্লাস নিয়ে তাকে দেয় আর বলে ::: বস এই নীল আপনাকে চিনে কিভাবে?? কি কারণ আছে আপনাদের মাঝে??

সম্রাট একদীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলে :::: সব বলবো সব তবে আজ নয়। Time will be come.

🌿🌿

তামান্না ভার্সিটির জন্যে রেডি হচ্ছে কিন্তু তার মন কাজের মধ্যে নেই। সে রাতের কথা নিয়ে ভাবতেছে। ~~দুইজন মানুষের ছোঁয়া এক কিভাবে হতে পারে?? কিভাবে সেইম ফিলিং আসে!? যদি আলাদা অনুভূতি হতো তাহলে বুঝতাম দুইজন আলাদা। কিন্তু (ব্যাগে কলম ঢুকাতে গিয়ে আঙুলের উপর চাপ পড়ে যায়। এতে সে বাস্তবে ফিরে আসে।) সে কলম ট রেখে আঙুল থেকে বের হওয়া ব্লাডগুলো মুছে নেয়।

সে নিজেকে রিলেক্স করে ব্যাগ কাধে নিয়ে দরজার দিকে ফিরতেই আয়নায় নিজেকে দেখে কিছুটা স্বাভাবিক মুড এনে তাসনিমের আথে নাস্তা করে বেরিয়ে যায়। যাওয়ার আগে মিসেস নাইম তামান্নার ফেসটা কেমন যেনো খারাপ দেখে জিগ্গেস করে ::: কি রে আমার বড় মার কি হলো?? এভাবে মুখ উল্টা করে রাখছিস কেন? (মুচকি হেসে)

তামান্না ::: ওহ না আম্মু কিছু নয়। শুধু ভাবতেছিলাম নিলার ব্যাপারে(মিথ্যা বলে হাসার ট্রাই করে)

মিসেস নাইম ::: আরে আমার বড় মামুনি। মেয়েদের তো শ্বশুরবাড়ির যেতেই হয়। আমি বুঝছি তোর খারাপ লাগতেছে নিলা চলে যাবে বলে(তার গাল টেনে)

তামান্না মনে মনে বলে ::: যাক আম্মু বুঝলো না। একটুর জন্যে ভয় পেয়ে ছিলাম। তবে এটা সম্পর্কে কাউকে বলতে পারবো না। এই ব্যপারে আমার নিজের থেকে সন্ধান করতে হবে। এর জন্যে যদি ভেলেনিয়ার কাছেও যেতে হয় তাহলে যাবো(শ্বাস ছেড়ে মুচকি হেসে মিসেস নাইম এর দিকে তাকিয়ে নিজের মাথা নাড়িয়ে জড়িয়ে তার আম্মুর গালে একটা চুমা দিয়ে বের হতে লাগলেই তাসনিমও মিসেস নাইমের গালে চুমা দিয়ে গাড়ির কাছে চলে আসে)

তাসনিম গাড়িতে ফোন বের করে ওপেন করতেই স্ক্রিনে ভেসে উঠে “I love you”। এ দেখে হঠাৎ তার কাশি চলে আসে। তামান্না গাড়ি ব্রেক দিয়ে দাঁড় করিয়ে ব্যাগ থেকে পানি বের করে তাকে দেয়। তাসনিম খেয়ে জোরে শ্বাস নিতে থাকে। তামান্না তাসনিমের কান্ড দেখে বলে…

তামান্না ::: তোর কি হলো এভাবে মাঝখানে মাঝখানে কাশি কেন আসে??(চোখজোড়া ছোট করে সন্দেহের ভঙ্গিতে)

তাসনিম কথা ঘুরানোর জন্যে বলে ::: আমি ফোন ওপেন করতে ভূতের ছবি ভেসে উঠছিলো।

তামান্না চোখ ঘুরিয়ে বলে ::: ভিতুর ডিম।

তাসনিম ::: উহহ আমি মানুষ। ডিম না। আর ভিতু আমি না ওকে।

তামান্না তাসনিমের দিকে তাকিয়ে নিরু আরশোলাআআআআ।

তাসনিম সাথে সাথে চিৎকার দিয়ে উঠে :::: আয়াআআআআআআআআআআ।

তামান্না হাসতে লাগে। নিরু একজটে মুখ ফুলিয়ে বলে তোমার সাথে আড়ি(কনিষ্ঠা আঙুল দেখিয়ে)। এতো পিচ্চি বাচ্চাকে ভয় লাগাও।

তামান্না ::: উহ কিছুক্ষণ আগে বললো ভিতু না। এখন ভিতুর রাণী বের হয়েছে।

তাসনিম মুখ ফুলিয়ে দুই হাত বুকের উপর গুজে জানালার দিকে তাকিয়ে বাইরের প্রকৃতি দেখতে থাকে। তামান্না নিরুকে না জানার ভান করে বলে :::: আচ্ছা রোয়েন ছেলেটা কেমন??(মুচকি হেসে)

তাসনিম আচমকা এমন কথা শুনায় বলে কি বললে কাকে কাকে??(উৎফুল্ল হয়ে)

তামান্না ::: এতো রাতে যে পার্টিতে আসছিলো। হ্যান্ডসাম কুল ডেশিং বয়। আমার তো রোয়েনকে খুব পছন্দ হয়েছে(আড়চোখে নিরুর ফেসের দিকে তাকিয়ে দুষ্টুমির ফেস করে ঠোঁট চেপে হেসে হেসে বলে)

নিরু মনে মনে বলে :::: দিই তো দেখি রোয়েন আমার টার উপর না না আপুকে বলি। তামান্না :: ও আর সে তো……

নিরু:::: দিইই তুমি রোয়েনকে পছন্দ করিও না প্লিজ।
তামান্না ভ্রু নাচিয়ে বলে::: কেন?? পারফেক্ট ছেলে। কোনো কমতি নেই।সব দিক দিয়ে ভালো। এমন বর আমার কপালে জুটবে আমি ভাবতেও পারিনি। কেননা তার সাথে কথা বললে মেবি ভালো লাগতো।

নিরু মুখটা উদাস করে বলে ::: আপ্পি আসলে আমি রোয়েনকে ভালোবাসি। তোমাকে বলবো বলবো করে বলা হতো না। ভয় লাগতো যদি বারণ নিয়ে দাও তাহলে…..(কান্নার ভাব এনে)

তামান্না নিরুর মাথায় জোরে এক বারি মারে। নিরু আউচচচ এভাবে মারলে কেন?? আমি কি কিছু করছিলাম নাকি।

তামান্না নিজের মাথা হ্যাসূচক নাড়িয়ে বলে ::: কারণ নিরুপমা বহিপীরের এক্সট্রা বউ এর মাথায় ভে…..(ক
চুপ মেরে আবারো বলে ) আমার মতো এসব কথা তোর মাথায় আসবে না। এজন্যই তুই বুঝলিও না আবাল।

তারা ভার্সিটির সামনে আসতেই অবাক পুরো কলেজ স্টুডেন্ট ফাংশন হঠাৎই অনুষ্ঠিত হলো। সেখানে……

……..চলবে……..

[বিঃদ্র:::: গল্পটা শেষে দিকে আসতেছে। পরবর্তী পার্টে রহস্যভেদ করবে। সেটারই অপেক্ষায় থাকেন। অতি শীগ্রই বের হবে আসল কাহিনি কি। হেপ্পি রিডিং]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here