#নয়নতারা
পর্ব ৪৩
Suvhan Årag (ছদ্মনাম)
প্রিয় পাঠক/পাঠিকা,ইনশাহআল্লাহ অমর একুশে বইমেলা ২০২১ এ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে আমার প্রথম উপন্যাস “আবেদিতা”।সবাই পাশে থাকবেন।
আশা করছি ইনশাহআল্লাহ নয়নতারা আবেদিতার কাছে কিছুই নয়।আপনাদের আরো বেশি ভালো লাগবে।
;;;;;
তারার তো এক বার লজ্জা পাচ্ছে বিকেলের কথা ভেবে।আবার ভয়ে ঘেমে যাচ্ছে নাফিজের হুমকি শুনে।
—-আচ্ছা সন্ধ্যার সময় কি ঘটাতে চাইছেন উনি?এভাবে হুমকি কেন দিলেন?ওনাকে কোনো বিশ্বাস নেই।
চিন্তায় তারা কপালে ভাঁজ পড়ে যাচ্ছে।হুট করে শীতকালের কথা মনে পড়তেই তারা আবার লজ্জায় গাল দুটো টমেটো বানিয়ে ফেললো।
—-ছি ছি।কি কথার ছিরি।ওনাকে কি ভেবেছিলাম।আর এখন কি দেখছি!অসভ্য লোক একটা।কোন ধরনের কথা বলে।
;;;;;
সন্ধ্যা বেলা।মাহমুদা বেগম ঘড়ির কাটার দিকে তাকিয়ে আছেন।মূলত তিনি অপেক্ষা করছেন নাফিজের জন্য।
—-কি চাচিমা এখন থেকেই মেয়ে জামাই এর জন্য অপেক্ষা করছো?অথচ দু দিন আগেও কি সুন্দর কথা শুনিয়েছিলে তাকে।
সৈকতের কথা শুনে পেছনে ঘুরলেন মাহমুদা বেগম।সৈকতের একটা কান টেনে ভালো মতো মুলে দিলেন।
—-আআআ লাগছে তো।
—-আর পাকনামি করবি বল?
—-পাকনামি কি করলাম।সত্যি বললাম তো।
—-হ্যাঁ খুব সত্যি বলেছিস।এলেন আমার সত্যি বাদী।
এর মধ্যেই হঠাৎ করে কলিংবেলের আওয়াজ হলো।মাহমুদা বেগম সৈকতের কান ছেড়ে দরজার দিকে তাকালেন।
—-চাচিমা দাড়িয়ে দেখছো কি।যাও দরজা খোলো।
—-কে এলো বলতো?
—-দরজা না খুললে কিভাবে বুঝবে?
মাহমুদা বেগম মাথার কাপড়টা আরো ভালো করে টেনে দিলেন।তারপর দরজার দিকে এগিয়ে গেলেন।
দরজা খুলতেই নাফিজ হাসি মুখে বললো,
—-আসসালামু আলাইকুম আন্টি।
—-ওয়ালাইকুম আসসালাম।
নাফিজের দিকে একবার চোখ বুলালেন মাহমুদা বেগম।হলুদ রঙের পানজাবি পড়ে এসেছে নাফিজ।পেছনে চোখ যেতেই মাহমুদা বেগম দেখেন তার বয়সী একজন মহিলা বোরখা পরিহিত অবস্থায় দাড়িয়ে আছে।মহিলাটিকে চিনতে অসুবিধা হলো না তার।সিএম এইচ তিনি একবার দেখেছিলেন নাফিজের মাকে।নাফিজের মায়ের পাশেই আব্রাহাম সাহেবের চেয়ে হয়তো বয়সে বড় হবে এমন একজন লোক দাঁড়ানো।তিনি নাফিজের বাবা হবেন।আন্দাজটা সহজেই করে ফেললেন মাহমুদা বেগম।
এর মধ্যে সৈকত ছুটে এলো।
—-কে এলো চাচিমা?
দরজার বাইরে নাফিজকে দেখে সৈকতের মুখেও হাসি ফুটলো।
—-চাচিমা ওনাদের দাঁড় করিয়ে রেখেছো কেন?চলো ভেতরে নিয়ে চলো।
—-ও হ্যা হ্যা।আসুন আপনারা।
লতিফা নাফিজের বাবা ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে সালাম দিলেন মাহমুদা বেগমকে।তিনিও উওর দিলেন।
;;;;;
—-ছেলেরা এতো সহজে কাদে না তারা।সেদিন নাফিজ ভাই যখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল সে সময় তো আমিও আইসক্রিম নিয়ে ভেতরে ঢুকতে যাচ্ছিলাম।সেখানেই কথা হয় ওনার আমার সাথে।জানিস কেঁদে কেঁদে আমার হাত ধরে কি মিনতি করেছিল?বারবার শুধু এটুকুই বলেছিল,”বুকভরা নিঃশ্বাস নিতে চাই আমি।আর আমার অক্সিজেন হলো তারা।আমাকে কেন ফিরিয়ে দিচ্ছেন আপনারা।ওকে ছাড়া আমি ভালো থাকব না।অনেক ভালোবেসে ফেলেছি ওকে।দয়া করে আমার থেকে ওকে কেড়ে নেবেন না।আমি ওকে কষ্ট দেব না ভাইয়া।তারাও যে আমাকে ভালোবাসে।আমি আমার ইহকাল পরকাল দুই জীবনের সঙ্গী হিসেবে ওকে চাই।”তুই বল তারা এরকম করে কোন ছেলে বর্তমানে কিছু বলতে পারে।
সৈকতের কথা শুনে মাথা নিচু করে বসে আছে তারা।নাফিজের পরিবার আসার পরেই সৈকত উপরে এসে তারার পাশে বসে আছে।তারা কে বিভিন্ন ভাবে বোঝাচ্ছে।
—-তার মানে তুমি এতো কিছুর নাটের গুরু তাই তো?
—-সে তুই যাই বলিস।আমার নিজের আপন বোন নেই।তোকে কখনো আমি চাচাতো বোনের চোখে দেখিনি।তোর জন্য এটুকু করতে পারব না।তবুও কিন্তু আমি নাফিজের কথায় গলিনি।
—-মানে?
—-এ কদিন ধরে নাফিজের চোদ্দ গোষ্ঠীর খোঁজ খবর নিয়েছি।
—-তারপর কি জানলে?
—-ব্যাটা একদম সিঙ্গেল যাই বলিস।সব সময় একটা ভাব নিয়ে চলে। মেয়েদের প্রপোজাল ও তিনি ঢু মেরে উড়িয়ে দেয়।আর,,।
—-আর কি?
—-সব ই ভালো পেয়েছি।শুধু,,,।
—-শুধু কি?
—-শুধু এটুকু তেও থামিনি।আমি দেখতে চেয়েছিলাম তুই কতোটা নাফিজকে নিয়ে ভাবিস।তাই তিন বেলা তোর ওপর ও নজর রেখেছি।আর রেখে দেখি বাপরে আমি নাফিজকে কি বলবো,আমার বোন করবে না করবে না শেষমেশ নিজে একটা অফিসারের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে।আর অফিসারকেও আচ্ছা মতো নাকানি চুবানি দিচ্ছে পানিতে।
সৈকতের কথা শুনে লজ্জায় পড়ে গেল তারা।
—-আহ!ভাইয়া।শুধু একটু বেশি বলছো তুমি।
—-ও এখন তো আমি বেশি বলি।পরীক্ষা তেও ফেল্টু মারতে গেছিলি।একটুর জন্য বেচেছিস।ভাইরে ভাই তোর মতো মেয়ে যে এরকম প্রেমে পড়ে দেবদাসী হয়ে যাবে আমি কল্পনাও করতে পারিনি সত্যি বলছি।
—-তুমি থামবে?
—-আচ্ছা থামলাম।
—-আচ্ছা ভাইয়া একটা কথা বলোতো।
—-কি?
—-না থাক।তুমি আবার পচাবে আমাকে।
—-আরে না।বল তো।
—-সত্যি তো?
—-হ্যাঁ সত্যি।
—-আচ্ছা উনি ও কি এসেছেন?
—-কোন উনি?
—-ইয়ে মানে ক্যাপ্টেন।
—-যাক বাবা।আরে বর ছাড়া কি বিয়ে হয়।নাফিজ ভাই না আসলে হয় নাকি।উনিও তো,,,,,।
হঠাৎ করেই তারার দিকে তাকিয়ে থেকে গেল সৈকত।তারাকে একবার ভালো করে দেখে তারার দিকে তাকিয়ে ভ্রু নাচালো।
—-কি?
—-কিসের কি?তুমি কি দেখছো তাই বলো।
—-এই তোদের দুটোর কাহিনী কি বলতো?
—-কিসের কাহিনী?
—-এই যে।আপনি নীল রঙের গাউন জামা পড়ে বসে আছেন ।আর আপনার উনি নিচে হলুদ পানজাবি পড়ে বসে আছে।
—-তো?
—-হিমু আর রূপা হওয়ার প্লান করেছো।আবার বলো তো?
—-ভাইয়া।তুমি যাও তো।খালি উল্টা পাল্টা বলো তুমি।
তারা হাতে থাকা কুশন ছুড়ে মারলো সৈকতের দিকে।সৈকত তো তারার কান্ড দেখে হেসে কুটি কুটি।
;;;;;
—-দেখুন আপা,আপনি তো দেখেছেন আমার মেয়ে টা সুস্থ নয়।
মাহমুদা বেগমের কথা শুনে লতিফা মাহমুদা বেগমের হাতে র ওপর হাত রাখলেন।
—-আমি সবকিছু জেনে বুঝে তবেই আমার ছেলের জন্য প্রস্তাব এনেছি।আমি কিছু চাই না।আমার ছেলের সুখ আমার কাছে বড়।সন্তানের সুখের কাছে মা বাবার আর কি আপত্তি থাকতে পারে বলুন?আর তারা যদি আজ আমার মেয়ে হতো আমি কি পারতাম ওকে ফেলে দিতে?কখনো পারতাম না।ওকে আমি নিজের মেয়ে করেই নিয়ে যেতে চাই।
মাহমুদা বেগম এবার আবেগে কেদেই দিলেন।
—-ও আমার অনেক আদরের আপা।ওকে কখনো কোন কষ্ট দেইনি আমি।আমার কলিজা টাকে নিয়ে ভয় হয় আমার।
—-আপনি কেন চিন্তা করছেন?আমি তো বললাম ওকে আমি আমার মেয়ে করেই রাখব।
—-আপা বোঝেন তো আমরা মা বাবা।চিন্তা হওয়া টা স্বাভাবিক।
আব্রাহাম সাহেবের কথা শুনে তার কাঁধে হাত রাখলেন নাফিজের বাবা।
—-হ্যাঁ অবশ্যই।মেয়ের জন্য চিন্তা হওয়া স্বাভাবিক।আমার কতো ইচ্ছে ছিল আমার একটা মেয়ে থাকবে।ওকে নিয়ে সাইকেলে করে আমি ঘুরিয়ে নিয়ে বেরাব।কিন্তু আল্লাহ তো সেই ইচ্ছে পূরণ করলেন না।তাতে কি হয়েছে?আমি না হয় এবার আমার বৌমা কে দিয়ে মেয়ের শখ পূরণ করব।
আব্রাহাম সাহেব আবেগে নাফিজের বাবা কে জড়িয়ে ধরলেন।
—-আচ্ছা আসল লোক তো এখানে নেই।তারা কোথায় আপা?
—-ওহ।আমার তো খেয়াল ছিল না।দাঁড়ান আমি ওকে আনছি।ও ঘরে আছে।
—-না না।আপনার যেতে হবে না।এই পা নিয়ে মেয়েটা নামবে।কোনো দরকার নেই।আপনি ওর ঘরটা দেখিয়ে দিন আমি নিজেই যাচ্ছি।
—-কিন্তু!
—-কোনো কিন্তু না।আপনি বলে দিন আমি নিজেই যাব।
—-আচ্ছা চলুন।
মাহমুদা বেগম লতিফাকে নিয়ে উঠে দাঁড়ালেন।
—-নাফিজ তুই ও চল।
—-আমি!
—-হ্যাঁ নাফিজ।তুমিও এসো।তোমরা দুজন তো একটু আলাদা কথা বললে না।
নাফিজ মাথা চুলকিয়ে একটু লাজুক ভাব নিয়ে উঠে দাঁড়ালো।কিন্ত আসলে সে মনে মনে এটার ই অপেক্ষা করছিল।সেই কখন থেকে বার বার এদিক ওদিক ঘুরছিল সে তারা কে একটু দেখার জন্য ।
;;;;;
—-এই নাও।এটা আমার শাশুড়ির দেওয়া রুলি।তোমাকে দিয়ে গেলাম আজ।এরপর খুব শিগগিরই কিন্ত আমার বাড়ির চাবি আমার ছেলের দায়িত্ব ও তোমাকে নিতে হবে।
লতিফার কথা শুনে খানিকটা লজ্জা পেল তারা।লতিফা তারার মাথায় হাত বুলিয়ে কপালে চুমু দিলেন।তারা বার বার শুধু লতিফা কে দেখছে।
—-কিছু বলবে মা?
—-আপনাকে খুব চেনা চেনা লাগছে।
—-লাগবেই তো।কদিন আগে সি এম এইচ এ না দেখলে।
—-না।তখন তো ওতোটা খেয়াল করিনি।কিন্তা আপনাকে সত্যি খুব চেনা চেনা লাগছে।
—-তুই কোথায় দেখবি ওনাকে মা?উনি তো আজ ই এলেন এখানে।
মাহমুদা বেগমের কথাতে তারা মাহমুদা বেগমের দিকে তাকালো।
—-আমি ই ওনাকে আগে দেখিনি মা।তুই কোথ থেকে দেখবি।
—-ও।তাহলে হয়তো ভুল হয়েছে।
লতিফা তারা মাথায় আবার হাত রাখলেন।
—-আসি মা।ভালো থেকো।
—-জি।আল্লাহ হাফেজ।
—-আল্লাহ হাফেজ।
মাহমুদা বেগম লতিফাকে নিয়ে বেরিয়ে গেলেন।এর মধ্যে ঘরে সৈকতের আবির্ভাব।সৈকত টানতে টানতে নাফিজকে নিয়ে এসেছে ভিতরে।নাফিজকে দেখে তারা যেন আরো লজ্জা পেল।এদিকে নাফিজ তো হা হয়ে তাকিয়ে আছে তারার দিকে।
—-কি জামাইবাবু।আমাকে ট্রিট দিতে হবে কিন্ত।
—-তা তো অবশ্যই।তোমার মতো শালা ঘরে ঘরে থাকা উচিত।তুমি না সাহায্য করলে না আজকে ওর কলেজে সময় মতো যেতে পারতাম।না আজ বিকেলে ছাদে।
নাফিজের কথা শুনে তারা হা হয়ে তাকিয়ে আছে নাফিজের দিকে।
—-মানে?আপনি কিভাবে এসেছিলেন?
—-আরে তোরা সব ঘুম।ও সদর দরজা দিয়ে ঢুকেছিল।আবার সদর দরজা দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
—-কিন্তু আমাকে যে বললো আর্মি ট্রেনিং এর কথা!
—-ওটা তো ঢপ ছিল।
তারা আড়চোখে নাফিজের দিকে তাকাচ্ছে।নাফিজ তারার দিকে আর পাত্তা না দিয়ে সৈকতের সাথে বক বক করছে।
বেশ কিছুক্ষণ হয়ে গেছে।সৈকত আর নাফিজ তারার সামনে বসে বকবক করেই যাচ্ছে।কিন্ত নাফিজ না তারার দিকে একবারের জন্য তাকাচ্ছে না দুজনের কেউ তার সাথে কথা বলছে।
হঠাৎ করেই নাফিজ উঠে দাঁড়ালো,
—-সৈকত আসি তাহলে।পরে দেখা হবে।
—-হ্যাঁ হ্যাঁ অবশ্যই।
তারা হা হয়ে নাফিজের দিকে তাকিয়ে আছে।তারা মনে মনে একটা কথাই বিড়বিড় করছে,
—-এটা কি হলো?ভাব দেখাচ্ছে আমাকে !এক টু কথাও বললো না।অথচ দেখো বিকেল বেলা কি নাটক করলো।
সৈকত ও উঠে দাঁড়ালো।
—-চলো তাহলে।অন্যদিন না হয় আবার আড্ডা হবে।
সৈকত নাফিজকে নিয়ে বেরিয়ে গেল।তারা অবাক চোখে নাফিজের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।
নাফিজ দরজার আড়াল হতেই তারা বললো,
—-যাহ ব্যাটা!খাব না তোর বিয়ে।ভাব দেখাল।এক টু কথা বললে কি হতো।
—-বাববাহ।এসব তোমার কি নিত্য নতুন রূপ দেখছি তারা।আপনি থেকে ডিরেক্ট তুই।ভালোই ভাষা আমদানি করেছো দেখছি।
নাফিজের গলা পেয়ে তারা চমকে গেল।দরজার দিকে তাকাতেই দেখে নাফিজ বুকের সাথে হাত দুটো বেধে তারা দিকে তাকিয়ে দাড়িয়ে আছে।
—-আপনি যাননি!
নাফিজ কিছু না বলে পকেট থেকে একটা গোলাপ ফুল বের করে তারা র দিকে ছুড়ে মারলো।গোলাপ টা তারার কোলের ওপর গিয়ে পড়লো।তারপর একটা চিরকুট ছুড়ে মেরে নাফিজ চলে গেল।
নাফিজ চলে যেতেই তারা চিরকুট টা হাতে নিয়ে খুলে দেখলো।
তাতে লেখা আছে-“I ❤ U,জানালার কাছে দাঁড়িয়েও থেকো একটু।যতদূর দেখা যায় ততদূর অবধি দেখতে দেখতে যাব।”
চিরকুট টা দেখেই তারার মুখে হাসি ফুটে উঠলো।তারা আর দেরী না করে ক্রাচ নিয়ে খাট থেকে নেমে জানালার কাছে গিয়ে দাড়ালো।দেখাই যাচ্ছে নাফিজ বাবা মার সাথে গাড়িতে উঠছে।তারা বাইরে তাকাতেই এক টু পর নাফিজ গাড়িতে বসে জানালা খুলে তারার জানালার দিকে তাকালো।
তারা মুচকি হেসে হাত নাড়িয়ে বিদায় জানালো নাফিজকে।নাফিজ দূর থেকে ইশারায় ফ্লাইং কিস ছুড়ে দিল তারার দিকে।নাফিজের এমন কাজে তারার চোখ বড় বড় হয়ে গেল।গাড়িটা চলে যেতেই একটু পর তারার ফোনে মেসেজ টোন বেজে উঠলো।জানালা থেকে সরে গিয়ে তারা ফোন নিয়ে মেসেজ টা ওপেন করলো।
তাতে লেখা আছে-“প্রেয়সী,
হিমুর রূপা সাজতে হলে নীল শাড়ি পড়তে হবে।এসব গাউনে চলবে না।আর হ্যাঁ শাড়িটা অবশ্য ই আমার নিজ হাতে পড়ানো হতে হবে।তৈরী থেকো।
কোনো এক বিকেলে,আমরা দুজনে,
হব কপোত-কপোতী।”
—–ক্যাপ্টেন
চলবে————