নয়নতারা পর্ব ৪০

0
707

#নয়নতারা

পর্ব ৪০

Suvhan Årag (ছদ্মনাম)

প্রিয় পাঠক/পাঠিকা,ইনশাহআল্লাহ অমর একুশে বইমেলা ২০২১ এ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে আমার প্রথম উপন্যাস “আবেদিতা”।সবাই পাশে থাকবেন।

আশা করছি ইনশাহআল্লাহ নয়নতারা আবেদিতার কাছে কিছুই নয়।আপনাদের আরো বেশি ভালো লাগবে।

;;;;;

বাড়ির ভেতর ঢুকে দরজা আটকে দিল তারা।বৃষ্টিতে বেশ ভিজে গেছে সে।দরজার সাথে পিঠ লাগিয়ে দাড়িয়ে বার বার নিঃশ্বাস নিচ্ছে সে।চোখের পানি যেন বাধ মানছে না।

—-এই সকালে তুই কোথ থেকে বৃষ্টিতে ভিজে এসেছিস?

মাহমুদা বেগমের কন্ঠ শুনে তারা চোখ মেলে সামনে তাকালো।এতক্ষণ সে খেয়াল ই করেনি তার সামনে মাহমুদা বেগম দাড়িয়ে আছেন।

—-মা তুমি উঠে গেছো?

—-হ্যাঁ অনেক আগেই উঠেছি।গাসু ওপর থেকে টাওয়েল নিয়ে এসো তো।

—-আইচ্ছা ম্যাডাম।

মাহমুদা বেগম গাসুকে বলতেই গাসু দৌড় দিয়ে উপরে চলে গেল টাওয়েল আনতে।মাহমুদা বেগম এগিয়ে গিয়ে তারাকে ভেতরে আনলেন।সোফায় নিয়ে বসালেন।এর মধ্যে গাসু টাওয়েল নিয়ে হাজির।গাসুর হাত থেকে টাওয়েল নিয়ে মাহমুদা বেগম তারার মাথা থেকে হিজাব খুলে তারার মাথা মুখ মুছে দিচ্ছেন ভালো করে।তারা শুধু মাহমুদা বেগমের দিকে তাকিয়ে আছে।মাহমুদা বেগম কিছুই বলছেন না মুখে।

তারার মনে একটাই চিন্তা হচ্ছে,তবে কি মাহমুদা বেগম কিছু দেখে ফেলেছেন।না হলে তিনি এতো শান্ত কেন হয়ে আছেন।

তারার ভাবনার মধ্যেই মাহমুদা বেগম বলে উঠলেন,

—-তারা উপরে গিয়ে জামা পাল্টে ফেল মা।

—-মা শোনো তুমি কি,,,,,?

—-এখন কোন কথা না।ঠান্ডা এমনিতেই লাগিয়ে ফেলেছো।যাও আগে উপরে যাও।জামা কাপড় সব পাল্টাবে।আমি তোমার জন্য আদা চা করে নিয়ে আসি।

—-মা।

—-উপরে যাও মা।গাসু গাসু।

—-এই যে আই এবসেন্ট ম্যাডাম।

—-কিসের এবসেন্ট?

—-মানে উপস্থিত।দেহেন ম্যাডাম আপনেও দেহি ইংরেজি ভুলে গেছেন।

—-কিছু ভুলিনি।প্রেজেন্ট মানে উপস্থিত আর এবসেন্ট মানে অনুপস্থিত।বুঝেছো।

মাহমুদা বেগমের কথা শুনে গাসু নিজের জিভ নিজেই কামড়ে ধরলো।

—-থুরি থুরি।উল্টাইলা গেছিগা ম্যাডাম।

—-যাও তারাকে নিয়ে উপরে যাও।আর তোমার স্কুল আছে না?

—-হ ম্যাডাম।

—-ওকে ঘরে দিয়ে গিয়ে পড়তে বসো।আমি তোমার ঘরে খাবার দিয়ে আসব।

—-আইচ্ছা ম্যাডাম।তারা আফা উঠেন উঠেন ঘরে চলেন।

গাসু তারার হাত ধরে উঠিয়ে নিয়ে তারাকে নিয়ে উপরে চলে গেল।মাহমুদা বেগম তারার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছেন।

—-আমি তোমাকে জন্ম দেইনি ঠিকই কিন্তু মা বলে ডাকো আমাকে।আমার চোখকে তুমি কিভাবে ফাকি দিতে পারবে মা?আমার তোমার প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে।আমি জানি তুমি নিজেই সত্যি কথা বলবে আমাকে।এবার আর আমি তোমাকে কিছু জিজ্ঞাসা করব না মা তুমি নিজেই সব বলবে আমাকে।

;;;;;

দরজা খুলেই চমকে উঠলো লতিফা।ছেলেকে এরকম বিধ্বস্ত অবস্থায় আগে কখনো দেখেনি সে।

একে বৃষ্টিতে ভিজে চুপচুপ হয়ে আছে নাফিজ।তারপর আবার চোখ মুখ লাল হয়ে আছে।মায়ের চোখ দেখেই বুঝতে পারছে নাফিজ আজ কেদেছে।

—-নাফিজ!এ কি অবস্থা তোর?

মাকে দেখে আর নিজেকে চেপে রাখতে পারল না নাফিজ।লতিফাকে জড়িয়ে ধরে হুহু করে কেঁদে উঠলো।লতিফা নাফিজের পিঠে হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিচ্ছে।

—-বাবা কি হয়েছে তোর?কাঁদছিস কেন?কি হলো বল।তোকে কাঁদতে দেখলে কি আমার ভালো লাগে বল?

—-মা আমার সাথে কেন এমনটা হয় বলোতো?কেন হয়?সব সময় শুধু আমাকেই কষ্ট পেতে হয়।এই দেখোনা মিষ্টিটা কষ্ট দিয়ে চলে গেল।আর যাকে নিয়ে নতুন করে বাঁচতে চাইলাম সেও আমাকে কষ্ট দিয়ে চলে গেল।কেন এমন হয় বলো না মা?

—-কি হয়েছে সোনা আমাকে বল।এভাবে কাদিস না তুই।

—-মা আমি কি নিয়ে বাঁচব বলো না মা।

নাফিজ কেদেই যাচ্ছে মা কে জড়িয়ে ধরে।সচারচর ছেলেরা এতো সহজে কাদে না।কিন্তু নাফিজ এর যে চোখ বাধ মানছে না।

;;;;;

“তারা আজ এই বৃষ্টির ফোঁটাকে ছুঁয়ে বলছি

আমি আপনাকে ভালো বাসি,

বৃষ্টির মতোন আমিও আপনাকে আমার ভালোবাসার ফোটাতে ফোটাতে ভিজিয়ে দিতে চাই,

শীতের এই সকাল টাকে আমি আরো মধুর করে তুলতে চাই,

ভালোবাসার চাদর দিয়ে জড়িয়ে নিতে চাই আপনাকে,

আপনার প্রতিটি কম্পন কে নিজের বুকের ভেতরের কম্পনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই,

কোনো এক গ্রীষ্মেল নিঝুম বিকেলে আপনার চায়ের সঙ্গী হতে চাই,

আপনার প্রতিটি হেমন্তের সরিষার মাঠ হতে চাই,

যেখানে শুধু আপনার বিচরণ ঘটবে,

আমি বসন্তের কোকিলের মতো ডাকতে চাই,

আপনার কানে কানে গিয়ে বলতে চাই একটা ছোট্ট কথা,

ভালোবাসি তারা,অনেক বেশি ভালোবাসি,

তোমার প্রতিটি চোখের চাহনিতে,

তোমার হাসির মাঝে লুকিয়ে থাকা কারনকে,

তোমার প্রতিটি নিঃশ্বাস কে ভালোবাসি আমি,

আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি তারা,

তুমি কি হবে আমার নয়নতারা বাগানের ছোট্ট রাণী”।

সকালের কথা মনে পড়তেই বুকের ভেতরটা কেমন খা খা করে উঠলো তারার।নাফিজের আবেগাপ্লুত চোখ দুটো যেন এখনো তারার চোখের সামনে ভাসছে।

বিছানায় হেলান দিয়ে শুয়ে আনমনে জানালার দিকে তাকিয়ে আছে তারা।একটু আগেও সে এই জানালা দিয়ে দেখেছিল নাফিজকে।আর এখন।সবকিছু কেমন শেষ হয়ে গেল।

—-আচ্ছা ক্যাপ্টেন কি সত্যি সত্যি আমাকে ভালোবেসেছিল?ওনার কথা গুলো কি সত্যি ছিল?না না এটা কি করে সম্ভব।আমি তো ধরতে গেলে একটি প্রতিবন্ধী মেয়ে।এটা নিছক ক্ষণিকের আবেগ ছাড়া কিছু নয়।আমি কেন আবার ক্যাপ্টেনের কথা ভাবছি।আর ভাববো না।কখনো না।যা হয়েছে সব শেষ হয়েছে।ভালোর জন্য হয়তো হয়েছে।

দরজা খোলার শব্দে পাশ ফিরে তাকালো তারা।মাহমুদা বেগম ভেতরে এসেছেন।হাতে ধোয়া ওঠা চায়ের কাপ।তারাকে দেখে মাহমুদা বেগম মুচকি হেসে চায়ের কাপটা নিয়ে গিয়ে তারার হাতে দিলেন।

—-আদা চা টা তাড়াতাড়ি শেষ কর মা।অনেক ঠান্ডা লাগিয়ে ফেলেছিস।তুই চা শেষ কর।আমি গাসুর খাবার দিয়ে তোকে খাবার দিচ্ছি।

মাহমুদা বেগম উঠে যেতে গেলে তারা মাহমুদা বেগমের হাত ধরে বসে তার এক হাত দিয়ে।মাহমুদা বেগম পেছনে ঘুরে তাকালেন।

—-মা শোনো না।

—-কিছু বলবি?

—-একটু আমার কাছে বসবে?

মাহমুদা বেগম তারার আবদার শুনে মুখে হাসির রেখা টেনে তারার পাশে বসে তারার মাথায় হাত রাখলেন।

—-নে বসেছি।কি হয়েছে মা?মুখটা এমন করে রেখেছিস কেন?

—-মা তোমাকে কিছু বলার আছে।

—-কি বলবি?

—-মা আজ সকালে উনি এসেছিলেন।

—-কে?

—-ক্যাপ্টেন।

তারা ক্যাপ্টেন কথা টা বলেই মাথা নিচু করলো।মাহমুদা বেগমের মুখে আবার যেন হাসি ফুটে উঠলো।তার বিশ্বাস সফল হয়েছে।তিনি জানতেন তারা তাকে মিথ্যা বলবে না।

;;;;;

সন্ধ্যা বেলা।

পড়ার টেবিলে বসে অঙ্ক কষছে তারা।একের পর এক অঙ্ক কেটেই চলেছে কলম দিয়ে।কোন ভাবেই উওর মেলাতে পারছে না তারা।পারবে কি করে?মন টেবিলে থাকলে তো?

এর মধ্যে ই গাসু এক প্রকার দৌড়ে তারার ঘরে প্রবেশ করলো।

—-তারা আফা ,তারা আফা।

গাসু কন্ঠ শুনে তারা পেছনে ঘুরলো।গাসুকে হাঁফাতে দেখে তারা বেশ অবাক হলো।

—-কি হয়েছে গাসু?এভাবে হাপাচ্ছো কেন?

—-কি হয়নি তাই কন আফা।

—-কি হয়েছে বলবে তুমি?

—-আফা ঐ ফুলচোরডা আইছে।

—-কিহ!

—-হ আফা।আইসা মেজর সাবের সাথে বকবক করতেছে।

“আপনাকে আমার কাছেই আসতে হবে তারা।শুধু আজ সন্ধ্যার অপেক্ষা করুন।”

কথাটা মনে পড়তেই তারার বুক কেপে উঠলো।সকাল বেলা নাফিজ চেঁচিয়ে এই কথাটা বলেছিল।স্পষ্ট মনে আছে তার।তবে কি এজন্য নাফিজ বলেছিল ঐ কথা?

তারা আর দেরী না করে মাথায় কাপড় দিয়ে ক্রাচ নিয়ে উঠে দাঁড়ালো।

—-গাসু শিগগিরই নিচে চলো।

—-কেন আফা?আপনে গিয়ে কি করতেন?

—-কথা কম বলো আর চলো।

গাসু তারার কথা মতো তারা কে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল নিচে যাওয়ার উদ্দেশ্যে।

;;;;;

—-তুমি কোন সাহসে আমাকে এই কথা বলো নাফিজ?তুমি ভুলে যাচ্ছো আমি কে?

—-না স্যার কিছু ভুলিনি।কিন্তু আপনি ভুলে যাচ্ছেন এটা ইউনিট না।ইউনিটের বাইরে আপনি যেমন একজন সাধারণ মানুষ তেমন আমিও।আর এখন আপনি একজন মেয়ের বাবা হয়ে কথা বলছেন।আর আমি আপনার মেয়েকে বিয়ে করতে চাই সেটা বলতে কথা বলছি।

—-তুমি কি বুঝতে পারছো তোমার চাকরি চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারি আমি?

—-কখনোই না।আমি নিজ যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছি।সরকার আমাকে দিয়েছি।আপনি আমার চাকরি নেওয়ার কে স্যার?আর আমি যতদূর জানি আপনি অত্যন্ত সৎ একজন অফিসার।ক্ষমতার অপব্যবহারের কথা আপনার মুখে মানায় না।

নাফিজের কথা শুনে মাথা নিচু হয়ে গেল মেজর আব্রাহামের।নাফিজ সোফায় বসে আছে।নাফিজের বিপরীতে মাহমুদা বেগম আর আব্রাহাম সাহেব বসা।

—-তারার বাবা তুমি এসব কথা বাদ দেও।উনি কি বলতে এসেছেন সেটা বলতে দেও?

—-বলো নাফিজ কি বলবে তুমি?

নাফিজ এবার একটু দম নিল।বার বার উপরের দিকে তাকাচ্ছে সে।একবার ও কি পাবে না তারার দেখা?

—-স্যার আমি এতো পেচিয়ে কথা বলতে পারিনা।সোজাসুজি বলছি।আমি তারাকে ভালোবাসি।

নাফিজের কথাতে উত্তেজিত হয়ে আব্রাহাম সাহেব কিছু বলতে যাবেন তার আগে মাহমুদা বেগম ইশারায় চুপ করতে বললেন।

—-তো তুমি কি বলতে চাইছো?

—-স্যার আমি তারাকে বিয়ে করতে চাই।আপনি যদি রাজি হন তবেই আমি আমার মা বাবাকে পাঠাব।

—-তুমি কি বুঝতে পারছো তুমি কি বলছো?আমার মেয়ে ঠিকমতো চলতে পারেনা নাফিজ।

—-স্যার এখানে বোঝাবুঝির কিছুই নেই।আমি তারা কে তার অসুস্থতা জেনেই ভালোবেসেছি ।আর টাইম পাস করার জন্য ভালোবাসিনি।পুরো লাইফ তারার সাথে পাস করব বলে ভালোবেসেছি।স্যার আমি তারাকে বিয়ে করতে চাই।

নাফিজের কথা শুনে অবাক হয়ে গেলেন আব্রাহাম সাহেব।

—-আমি কারোর দয়া চাই না বাপি।আল্লাহ আমাকে এতো টা অসহায় করে দেননি যে কারোর দয়া দেখতে হবে আমাকে।

তারার গলা পেয়ে সবার চোখ গেল সিঁড়ির দিকে।তারা ধীরে ধীরে নেমে এলো।এসেই আব্রাহাম সাহেবের পাশে দাঁড়ালো।তারাকে দেখে নাফিজ ও উঠে দাঁড়ালো।

—-তারা।

—-আপনি কেন এসেছেন?কি ভেবেছেন টাকি আপনি?সকালে নিষেধ করেছি এখন আপনি আমার বাপির কাছেও চলে এসেছেন।

—-তারা তুমি আমাকে ভুল বুঝছো।আমি কোনো দয়া দেখাই নি।

—-এরকম ভালোবাসা দুদিন থাকে ক্যাপ্টেন নাফিজ।দুদিন পর যখন দেখবেন আর পাঁচটা হাসবেন্ড ওয়াইফের মতো আপনি থাকতে পারছেন না,একটা কমপ্লিকেটেড মানুষ কে নিয়ে সব সময় থাকতে হচ্ছে নিজেই তখন বলবেন এটা সম্পূর্ণ ভুল ছিল আপনার।

—-তারা তুমি আমার কথাটা শোনো।

—-আপনার কোনো কথা শুনতে চাই না আমি।আর বাপি মায়ের থেকে কি অনুমতি নিবেন আপনি?যেখানে আমি নিজেই আপনাকে পছন্দ করিনা।

—-তুমি সত্যি কি আমাকে একদম পছন্দ করো না তারা?

নাফিজের চোখ ছলছল করে উঠলো।নাফিজের এমন প্রশ্নে তারার মুখে যেন আড়ষ্ঠতা চলে এলো।কিভাবে উওর দেবে সে এই প্রশ্নের?

—-কি হলো তারা বলো?

—-আপনার সাথে কোনো ভালো লাগার সম্পর্ক আমার ছিল না ক্যাপ্টেন।আমি আপনাকে অন্যভাবে দেখেছি।আপনার মতো না।আর কোনো কথা শুনতে চাই না আমি।এই মূহুর্তে আপনি বেরিয়ে যাবেন আমাদের বাড়ি থেকে।আর কোনো কথা না।আপনার মুখটা আর দেখার ইচ্ছে নেই আমার।

তারার শেষ কথাটা নাফিজের বুকে একদম তীরের মতো বিধলো।মূহুর্তেই অভিমানের ছাপ ফুটে উঠলো নাফিজের মনে।

—-ঠিকাছে তারা চলে যাব।কিন্তু একটা শেষ কথা বলে যেতে চাই।

—-কি বলবেন?

—-আমি আর আসব না তারা।কিন্তু তুমি নিজেই আমাকে ডাকবে।

—-কখনো না।

—-ডাকবে তারা।তোমার মুখের কথায় না হলেও তোমার অনুভূতির ডাকে আমি আসব তারা।আরেকটা কথা বলে যাচ্ছি আমি সত্যি ভালোবেসেছি।আমার ভালোবাসা যদি সত্যি হয় আর কোনোদিন যদি একবারও আমার জন্য আপনার মনে একটুও অনুভূতি র সৃষ্টি হয়ে থাকে তবে জেনে রেখো তোমাকে আমার হতেই হবে।

“আমি তোমার অনুভূতির আহ্বানে আসব,

তোমার রাত জাগা স্বপ্নকে সত্যি করতে আসব,

কোন এক দিন শেষে দুজনে পাশাপাশি চলার জন্য হলেও আসব।কথা দিচ্ছি তার আগে আমার মুখ তুমি দেখতেও পারবে না।আসি তারা।আল্লাহ্ হাফেজ।”

নাফিজ চোখ মুছে আর কোনো দিকে না তাকিয়েই বেরিয়ে গেল।তারা নাফিজের পথের দিকে চেয়ে আছে।

চলবে————-

বানান ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।আমি আসলে লেখার পর কখনো রিভিশন করিনা।

আর কি বোর্ডে একটু প্রবলেম হয়।আগের দিন #রৌদ্র_কুয়াশা তে ধর্ষন বানান টা বারবার কমান্ড দিয়েছি একটা এসেছে আরেকটা।দশ পনেরো মিনিট ধরে চেষ্টা করেছি তবুও সঠিক আসেনি।

পারলে কেউ ভালো কিবোর্ড এপস সাজেস্ট করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here