শেষটা_সুন্দর #অজান্তা_অহি (ছদ্মনাম) #পর্ব__৪১ (অন্তিম অধ্যায়- ২য় খন্ড/শেষ)

0
888

#শেষটা_সুন্দর
#অজান্তা_অহি (ছদ্মনাম)
#পর্ব__৪১ (অন্তিম অধ্যায়- ২য় খন্ড/শেষ)

মরিচ বাতির আবছা আলোতে তরী মুগ্ধ হয়ে চেয়ে রইলো তার দেখা পৃথিবীর সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষটির দিকে। তার চাহনিরত অবস্থায় নির্ঝর শব্দহীন পদধ্বনি তুলে এগিয়ে আসতে লাগলো। তরীর দু চোখে মুগ্ধতা বিরাজমান। ঠোঁটের কোণে এলোমেলো হাসি। হাতের চায়ের কাপটা আলগোছে নামিয়ে রাখলো। নির্ঝর কাছাকাছি আসতেই সে বিনা নিমন্ত্রণে তার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়লো। নির্ঝর প্রস্তুত ছিল না বলে পড়ে যেতে নিল। কয়েক পা পিছিয়ে চট করে নিজেকে সামলে ফেলল। পরক্ষণে ভুবন ভুলানো হাসি দিয়ে তরীকে ফ্লোর থেকে উঁচু করে নিজের সাথে মিশিয়ে নিল।

চারপাশে যেন বসন্তের মাতাল হাওয়া। তরী মনে করার চেষ্টা করলো এখন বাংলা কোন ঋতু চলে। কিন্তু বাংলা মাসের নাম তার স্মরণে এলো না। তাতে অবশ্য তাকে বিন্দুমাত্র বিচলিত দেখা গেল না। সে জানে, নির্ঝর কাছাকাছি থাকলে তার প্রতিটা দিন বসন্ত বাতাসে মুখরিত হয়। চারপাশ নতুনত্বে ভরে যায়। অজানা সুরভিত গন্ধে ঢেকে থাকে চারপাশ। আহা! কি অনাবিল সুখ আর শান্তি!

নির্ঝর কয়েক পা এগিয়ে টেবিলটার কাছে গেল। তরীকে হালকা নিচু করতে সে ফ্লোর স্পর্শ করলো। হাত ঢিলে করতে তরী তার বুক থেকে মাথা তুলল। তরীর মুখটা দু হাতে বন্দী করে নির্ঝর অপলক চেয়ে রইলো কিছুক্ষণ। তারপর কন্ঠে মুগ্ধতা ছড়িয়ে বলল,

‘কনগ্রাচুলেশন! কনগ্রাচুলেশন ডিঙিরানী।’

তরী লজ্জায় চোখ তুলে তাকাতে পারছে না। নির্ঝরের প্রতিটি কথা এত মোহনীয় যে সে সবসময় লজ্জায় শিটিয়ে থাকে। তার কন্ঠের গভীরতা বুকের অতল স্পর্শ করে। প্রতি মুহূর্তে তাকে ঘায়েল করে। সহসা কিছু বলতে পারে না। নির্ঝর নিজে থেকে ফের বলে উঠলো,

‘এই যে, আমার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য, আমার আমিকে পরিপূর্ণ করার জন্য ধন্যবাদ তোমাকে। ধন্যবাদ তোমাকে আমার চারপাশের অক্সিজেনকে বিশুদ্ধ করার জন্য। তুমি আছো বলেই, আমি অনাবিল সুখ-শান্তি আর হাসি-খুশিতে জীবন পার করে দিচ্ছি। তুমি আমার জীবনে না আসলে হয়তো বাঁচতাম। কিন্তু বিশ্বাস করো, বাঁচার মতো বাঁচতাম না। তখন তোমায় বুকে জড়িয়ে ঘুমাতে পারতাম না, ভোরবেলা ঘুম ভাঙলে তোমার স্নিগ্ধ মুখোচ্ছবি দেখতে পেতাম না, বিষণ্ণ দুপুর বেলা তোমার কন্ঠ শুনতে পেতাম না, অফিস থেকে ফিরে তোমার গাল ফুলিয়ে রাখা অভিমানী মুখ চোখে পড়তো না, তোমার মাথায় হাত বুলাতে পারতাম না, অকারণে হুটহাট তোমায় জড়িয়ে ধরতে পারতাম না, তোমার চুলের ভাঁজে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে পারতাম না, তোমার অযাচিত হাসির প্লাবনে ভেসে যেতে পারতাম না, আরো কত কিছু করতে পারতাম না!

তখন আমি জীবন্ত মৃত হয়ে বসবাস করতাম। চারপাশের বিষাক্ত অক্সিজেনে ফুসফুস ভরে যেতো। তোমায় না ছুঁতে পারার ব্যাধিতে ব্যাধিতে এক সময় জরাজীর্ণ হয়ে উন্মাদ হয়ে যেতাম। সত্যি বলছি, তখনো এ দেহে প্রান থাকতো, কিন্তু আমি বাঁচার মতো বাঁচতাম না। এই যে তুমি তোমার জীবনতরীতে আমাকে একটু জায়গা দিয়েছ, আমায় নিয়ে ভালোবাসার সমুদ্রে তরী ভাসিয়েছো, ঝড় তুফানে আমার হাত শক্ত করে আঁকড়ে ধরছো কত খুশি হয়েছি আমি, জানো তরী? আমার জীবনে এসে আমায় সম্পূর্ণ করা আমার একলা রাজ্যের একমাত্র রানীকে ধন্যবাদ। ধন্যবাদ আমার সম্পূর্ণাঙ্গিনী ডিঙিরানীকে!’

তরী বাকরুদ্ধ। ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে রইলো শুধু নির্ঝরের পানে। এই মানুষটা প্রতি মুহূর্তে তার কথার মায়াজালে তাকে অভিভূত করে। তার বাচনভঙ্গির প্রতিত্তরে সে বেশিরভাগ সময় কোনো কথা খুঁজে পায় না। আজও তার ব্যতিক্রম হলো না। সে মায়ার চাদরে আগাগোড়া মোড়ানো দৃষ্টি নিয়ে নির্ঝরের বুকে হাত রাখলো। সে জানে, তার প্রতি নির্ঝরের এই প্রগাঢ় বিশ্বাস আর ভালোবাসা আমৃত্যু থেকে যাবে। ঋতু এসে ঋতু পাল্টাবে, সেকেন্ডের কাঁটা অতিক্রম করে ঘন্টার ঘরে হারাবে, মাসের পর মাস, যুগের পর যুগ কেটে যাবে, চারপাশের অনেক কিছু পরিবর্তন হবে, আকাশের রঙ পাল্টাবে, শুক্লাদ্বাদশীর চাঁদ কালো মেঘে টুপ করে ঢেকে যাবে, চলার পথে নতুন মানুষ আসবে, অনেকে হারিয়ে যাবে, আরো অনেক কিছুই পরিবর্তন হবে। শুধু পরিবর্তন হবে না নির্ঝর আর তার অনবদ্য ভালোবাসা। তার পবিত্র মনের পরিশুদ্ধ ভালোবাসা দিন কে দিন বেড়ে যাবে!

কপালে নির্ঝরের ঠোঁটের উষ্ণ স্পর্শে তরী শিউরে উঠলো। সেই সাথে ভাবনায় ছেদ পড়লো। কেউ আর কোনো কথা বলল না। নির্ঝর তাকে টেবিলের কাছে নিয়ে গেল। তরীকে পেছন থেকে আগলে নিয়ে নির্ঝর তাকে ইশারায় কেক কাটতে বলল। এটা কি উপলক্ষে আনা হয়েছে তা তরীর অজানা। সে জানতেও চাইলো না। মাঝামাঝি থেকে এক খন্ড কেক কেটে সে নির্ঝরের মুখের দিকে বাড়িয়ে দিল।

নির্ঝর কবজি ধরে আগে কেকের একটু অংশ তরীর মুখে দিল। তারপর তরীর হাতের আঙুল সুদ্ধ নিজের মুখে পুড়ে নিল। তরী ঠোঁট টিপে হাসি আটকানোর চেষ্টা করলো।

টিস্যু দিয়ে মুখ মুছে, তরীর হাত মুছে দিল নির্ঝর। তারপর তাকে টেনে নিয়ে বেলকনির ভেতর ঢুকে গেল। বেলকনির সবুজ বাতি আজ নেভানো। অন্ধকার বেলকনিতে সে তরীর হাত টেনে ধরে বসে পড়লো। তরী নিচু স্বরে বলল,

‘ঘুমাবেন না আপনি?’

নির্ঝর সম্মুখ থেকে দৃষ্টি সরিয়ে তরীর দিকে তাকালো। অন্ধকারেও জ্বল জ্বল করছে মেয়েটা। তরীর হিরকচূর্ণের ন্যায় ঝলসানো রূপ শুধু তার চোখে পড়ে, নাকি সবার চোখে পড়ে তা সে জানে না। জানতে চায়ও না! সে জানে, এই মেয়ের প্রতি তার মুগ্ধতা হাজার বছরেও কাটবে না।

নির্ঝরকে চেয়ে থাকতে দেখে তরী চোখ নামিয়ে নিল। আর একটু কাছ ঘেঁষে বসলো। বলল,

‘সেদিন যদি জ্যোতি আমাকে সত্যিটা না বলতো তাহলে কি করতেন আপনি? আমাকে কি কোনোদিন মুখ ফুটে বলতেন? বলতেন আপনার রাজ্যের রানী আমি?’

নির্ঝর তরীর উপর থেকে চোখ সরাল না। তরীকে কাছে টেনে মুখোমুখি বসাল। তারপর প্যান্টের পকেট হাতড়ে একটা ছোট্ট বক্স বের করলো। তরীর বাম হাতটা টেনে নিয়ে তাতে একে একে পাঁচটা আঙুলে পাঁচটা আংটি পড়িয়ে দিল। পুরোটা সময় তরী বিস্ময় নিয়ে চেয়ে রইলো। তার অনামিকা আঙুলে নির্ঝর ছোট্ট একটা চুমু খেয়ে বলল,

‘এ ধরায় আমার বিশুদ্ধ শ্বাস নেওয়ার জন্য হলেও বলতে হতো। আমাকে আর কিছুটা দিন সত্যিকার অর্থে বাঁচতে হলেও বলতে হতো তোমাকে যে, বহু বছর আগে তুমি আমার অস্তিত্ব চুরি করেছ। হয় আমার পুরনো আমিকে ফেরত দাও, না হয় এই প্রেম ব্যাধিতে আক্রান্ত প্রেমিকের দায়িত্ব নাও!’

‘যদি দায়িত্ব না নিতাম?’

‘মাতাল হয়ে তোমার শহরে হারিয়ে যেতাম। স্মৃতিশূন্য এই আমি’র দায়িত্ব তুমি বাধ্য হয়ে নিতে! নৌকারানী! তোমার নৌকা নিয়ে যে নদীতে ভেসে বেড়াবে, সে নদীর একচ্ছত্র আধিপত্য আমার। আমার নদীতে হেসে, খেলে আমার দায়িত্ব না নিয়ে কই পালাবে তুমি?’

তরী হাসলো। বাম হাতের আংটি গুলো ডান হাত দিয়ে ছুঁয়ে দিল। ঘুরে বসে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো মধ্যরাতের অন্ধকারের দিকে। কিছুক্ষণ সেদিকে চেয়ে রইলো। তারপর কৃতজ্ঞতার সুরে বলল,

‘আপনাকেও ধন্যবাদ। ধন্যবাদ সবকিছুর জন্য। আমাকে এভাবে আগলে রাখার জন্য। আমার জীবনতরী অনেক আগেই আপনার নামে লিখে দিয়েছি। তার হাল ধরার দায়িত্ব আপনার।’

নির্ঝরও ঘুরে বসলো। এক পলক বাইরে তাকিয়ে পুনরায় তরীর দিকে তাকালো। একটা হাত বাড়িয়ে বলল,

‘কাছে আসো, পাশে বসো
হাতে রাখো হাত!
তুমি ইশারা করলে নামাব রাত!’

তরী চোখ উল্টে নির্ঝরের দিকে তাকালো। নির্ঝরের বাড়িয়ে রাখা হাতটা শক্ত হাতে চেপে ধরে বলল,

‘হাউ বজ্জাত! এখন তো রাতই! আর কি রাত নামাবেন? দেখি দেখি, আমার ইশারায় দিন নামান তো!’

নির্ঝর শব্দ করে হেসে ফেলল। কয়েক সেকেন্ড পর তার কাঁধে মাথা রেখে সেই হাসিতে সামিল হলো তরী।

____________

#পরিশিষ্টঃ

সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরের এক পার্কে একটা শিশু আপনমনে খেলছে। সদ্য হাঁটতে শেখা শিশুটি গুটিগুটি পা ফেলে দৌঁড়ানোর চেষ্টা করছে। তার পেছন পেছন সুদর্শন এক পুরুষ শিশুটিকে মিথ্যে ধাওয়া করছে। শিশুটি ফোকলা দাঁতে খিলখিল করে হাসছে আর এদিক ওদিক ছুটোছুটি করছে। দৌঁড়াতে গিয়ে পড়ে যাওয়ার আগেই পুরুষটি দু হাতে আগলে নিচ্ছে তাকে। হাতের বাঁধন থেকে মুক্ত হয়ে শিশুটি আবার দৌঁড়াচ্ছে। তাদের থেকে একটু দূরে ফুল বিছানো এক বেঞ্চে বসে আছে একটা মেয়ে। পরণের শাড়িটার আঁচল গুটিয়ে সে এগিয়ে গেল। পুরুষটিকে উদ্দেশ্য করে ধমক দিয়ে বলল,

‘নির্ঝর! বাবু পড়ে ব্যথা পেলে কিন্তু আপনার খবর আছে।’

নির্ঝর জোরপূর্বক ছেলেকে কোলে তুলে নিল। হাসিমুখে তার জীবনতরীর দিকে চেয়ে বলল,

‘সবসময় আমাকে ধমকানো? আমি কি করলাম? তোমার ছেলেই তো দৌঁড়াদৌঁড়ি করছে ডিঙিরানী। ওর পিছন পিছন দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে আমি নিজেই হাঁপিয়ে উঠেছি।’

তরী রাগতে নিয়েও রাগলো না। নির্ঝরের শার্ট চেপে ধরে পার্কের উত্তর দিকে হাঁটতে লাগলো। ওদিকে মানুষ জন একদম নেই। পায়ের নিচে হরেক রকমের ফুল আর সবুজ ঘাস মাড়িয়ে তারা এগিয়ে চলল। কয়েক পা গিয়েই তরী মুখ ঘুরিয়ে নির্ঝরের দিকে তাকালো। নির্ঝরের খুশি উপচে পড়া মুখের দিকে চেয়ে তার মুখটাও ঝলমলে হয়ে গেল। ইতোমধ্যে কেটে গেছে সাত সাতটি বছর। ছয়টি বসন্ত বাংলাদেশে একত্রে কাটিয়ে সপ্তম বসন্ত কাটাতে তারা প্রথমবারের মতো সুইজারল্যান্ড এসেছে। নির্ঝরের অফিস থেকে ফ্যামিলি ট্রিপের জন্য ভিসা পেতে নির্ঝর তাকে জোর করে বিদেশ আসার জন্য। প্রথম দিকে সে রাজি না হলেও তার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি আর বাকি সবার জোরাজুরিতে সে চলে এসেছে।

তরীর মনের আকাশ আনন্দে ছেঁয়ে গেল। সেই আগের মতো আনন্দ আর খুশিতে তারা দিন কাটাচ্ছে। নিনাদ ভার্সিটিতে পড়ছে৷ সে নিজেও প্রাইভেট ভার্সিটি থেকে অনার্স, মাস্টার্স কমপ্লিট করেছে৷ অনার্স শেষ করে দেড় বছর একটা প্রতিষ্ঠানে জবও করেছে। নির্ঝর জব করার ক্ষেত্রে তাকে বাঁধা প্রদান করেনি। উল্টো বরাবর পাশে থেকেছে। কিন্তু দেড় বছর ধরে বাচ্চা হওয়ার পর সে নিজে থেকে জব ছেড়ে দিয়েছে এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর চাকরি করবে না। তার এই সিদ্ধান্তও নির্ঝর নামক মানুষটা পরম আনন্দে মেনে নিয়েছে।

বড় একটা রেইনট্রি গাছের নিচে গিয়ে দাঁড়ালো তরী। নির্ঝর দাঁড়িয়ে পড়তে তাদের দেড় বছরের ছেলে রিসারাত শাহরিয়ার কোল থেকে নেমে গেল। মায়ের শাড়ির কুচি টেনে ধরতে তরী তাকে কোলে তুলে নিল। কপালে চুমু এঁকে বলল,

‘রাত, পঁচু বাবাকে একটু বকে দাও তো।’

নির্ঝর চারপাশে নজর বুলিয়ে তরীর কাছ ঘেঁষে এলো। পেছন থেকে আলতো করে জড়িয়ে নিতে তরী চমকে বলল,

‘কি করছেন?’

নির্ঝর উত্তর দিল না। এতগুলো বছরেও তরী তুমি করে বলে না, তাকে আপনি করে ডাকে। তরীর চমকানো কন্ঠেন ‘আপনি’ ডাক শুনতে কেন জানি তার বেশি ভালো লাগে। বেশি আপন লাগে। সেজন্য সে বারণ করে না। আজও সে ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটিয়ে বলল,

‘হাউ ফানি! কিছুই করছি না। পাবলিক প্লেসে তোমার লাজুক বর কি করতে পারে নৌকারানী?’

ততক্ষণে রিসারাত জোর করে তরীর কোল থেকে নেমে গেছে। তরী ছেলের দিকে নজর দিয়ে বলল,

‘আপনি লাজুক?’

নির্ঝর এক ঝটকায় তরীকে কোলে তুলে নিল। তরীর বাঁধা মানল না। কোলে তুলেই তাকে নিয়ে পাক ঘোরা শুরু করলো। আর তা দেখে তাদের ছেলে খুশিতে ফেটে পড়লো৷ হাতে তালি দিতে দিতে সে অস্পষ্টভাবে আধো আধো মুখে বলতে থাকলো,

‘হাউ ফানি! মাম্মা, বাবাই! হাউ ফানি!’

ছেলের কথা শুনে নির্ঝর, তরী দু’জনে স্বশব্দে হেসে ফেলল। কারণ তাদের ছেলে সবেমাত্র এই তিনটে ওয়ার্ডই শিখেছে৷ তাদের তিনজনের হাসিতে মুখরিত হয়ে গেল সুইজারল্যান্ডের আকাশ, বাতাস আর প্রকৃতি!

*সমাপ্ত*

আসসালামু আলাইকুম। পরিশেষে, গল্পটার সমাপ্তি টানলাম। ধৈর্য ধরে এতদিন নির্ঝর, তরীর এই জার্নিতে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে। ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো। ভালোবাসা সবার প্রতি।কিছুক্ষণ পর এসে কমেন্ট পড়বো এবং আজ সবার কমেন্টের রিপ্লাই দিবো।

লেখিকার আইডি লিংক–
https://www.facebook.com/profile.php?id=100063657087038

এবং লেখিকার ভালোবাসার পাঠকমহল–
https://www.facebook.com/groups/552626552415182/?ref=share

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here