শেষটা_সুন্দর #অজান্তা_অহি (ছদ্মনাম) #পর্ব___১০

0
622

#শেষটা_সুন্দর
#অজান্তা_অহি (ছদ্মনাম)
#পর্ব___১০

‘ডিঙি, তুমি তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাও তো! আমার সাথে হসপিটালে যাবে।’

নির্ঝরের কথায় তরী অবাক হয়ে বলল,

‘আমি? আমি কেন যাব?’

‘যদি রাস্তায় সেন্সলেস হয়ে যাই? আবার বিধবা হয়ে যাবে তুমি। সাথে চলো!’

‘সেন্সলেস হবেন কেন? যেভাবে চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বলছেন! আপনাকে দেখো তো একদম ফিট মনে হচ্ছে।’

নির্ঝর এক নিঃশ্বাসে ঠান্ডা হয়ে যাওয়া চা টুকু শেষ করলো।একলাফে উঠে তরীর দিকে এগিয়ে গেল। কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়িয়ে বলল,

‘নৌকা! তোমাকে একা বাসায় রেখে আমি কি করে যাব বলোতো? তোমার প্রথম স্বামীর প্রেতাত্মা মানে ভূত এসে যদি তোমার গলা টিপে ধরে? তখন কি হবে?’

‘ধরে ধরবে। মরে যাব!’

‘মরে গেলে তো হবে না ডিঙিরানি! গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতেই আমার রাজ্যের চারপাশে বুক পর্যন্ত পানি হয়। তোমাকে তো প্রয়োজন আমার। রাস্তার এপাশ থেকে ওপাশ যেতে হলেও তোমাকে প্রয়োজন। ভীষণ প্রয়োজন!বুঝতে পেরেছ?’

তরী কপাল কুঁচকে রাগান্বিত স্বরে বলল,

‘কথায় কথায় নৌকা,ডিঙি, ফিঙি বলবেন না তো! ইট’স তরী! তরী ইজ মাই নেইম।’

‘ইট’স নৌকা! ডিঙি ইজ ইয়্যুর নেইম। তরী তো আমার বউয়ের নাম। ইয়্যু আর নট কোয়ালিফাইড টু বি মাই বেটারহাফ থুড়ি ফুলহাফ!’

‘ইট’স গাঁজা! গাঁজা খেয়ে আপনি মরে যান।’

বলে তরী অপেক্ষা করলো না। বেলকনির দিকে পা বাড়াল।

নির্ঝরের রুমটা বিশাল বড়। সেই রুমের সাথে লাগোয়া বেলকনিটাও বিশাল! লম্বা! বেলকনিতে গ্রিল নেই। কোমড় পর্যন্ত রেলিং দেওয়া। এখানে দাঁড়ালে তরীর কেমন ভয় ভয় করে। বার বার মনে হয় এই বুঝি পরে টরে যাবে! চার তলার এই ফ্ল্যাট থেকে পড়লে নিশ্চিত মৃত্যু।

দুপুরসূর্য পশ্চিমে হেলে পড়েছে অনেক আগে। সেই কড়া রোদের তেজও ক্ষয়ে এসেছে সময়ের পরিব্যাপ্তিতে। এখনকার রোদ কেমন মিষ্টি মিষ্টি লাগছে। তরী বাম হাত উঁচিয়ে সূর্যকে আড়াল করে মুঠোয় পুড়ার ভঙ্গি করলো। কিছুটা দূরে একটা নিমগাছ চোখে পরে। নিমগাছের চিড়ল চিড়ল পাতার ফালিতে রোদ পড়েছে। সবুজে সবুজ গাছের পাতাগুলো চিকচিক করছে। এই নিম গাছটা দেখলে তার গ্রামের কথা মনে পড়ে!

‘এই তরী! ফাইভ মিনিটস! পাঁচ মিনিটের মধ্যে রেডি হয়ে নাও।’

রুম থেকে নির্ঝরের কন্ঠ ভেসে এলো। নির্ঝরের আদেশরূপী কথা শুনে তরীর মনটা তিক্ততায় ভরে গেল। সে বেশ বুঝতে পারছে নির্ঝর একগুঁয়ে ও নাছোড়বান্দা। একবার যখন তাকে বলেছে যে নিয়ে যাবে তার মানে নিয়েই যাবে! সে আর অযথা প্রতিবাদের ঝুলি খুলে বসলো না। এক পলক নির্ঝরের দিকে চেয়ে রুমের ভেতর ঢুকলো।

________

ঢাকার বুকে পড়ন্ত বিকেল। ক্ষীণ রোদ এসে আলতো করে ছুঁয়ে দিচ্ছে এই শহরকে। আকাশ পরিষ্কার। নির্মল আকাশের চাদরে টুকরো টুকরো শুভ্র মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে। চারপাশের উঁচু উঁচু বিল্ডিং যেন স্বগর্বে দাঁড়িয়ে আছে আকাশ ছোঁয়ার জন্য। সেসব আকাশচুম্বী ভবনের দিকে তাকিয়ে আছে তরী। তার বিস্ময় আর অবাকে ভরা চোখ দুটো ক্রমাগত ঘূর্ণায়মান। কোটরাত অক্ষিযুগল পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণে বিস্তরণ করছে। ব্যস্ততম সড়কে চলমান ব্যস্ততম মানুষের ছুটে চলা দেখতে তার ভীষণ ভালো লাগছে। সর্বপ্রথম ঢাকার শহরে হাঁটতে তার ভেতরে অন্যরকম ভালো লাগার অনুভূতি হচ্ছে।

তরী যখন বিস্ময় নিয়ে ব্যস্ত শহর দেখতে ব্যস্ত, তারই পাশাপাশি হাঁটতে থাকা প্রেমিক পুরুষ, প্রেমিক স্বামী নির্ঝর তাকে দেখতে ব্যস্ত। সেকেন্ডে সেকেন্ডে তরীর মুখের এক্সপ্রেশন চেঞ্জ হচ্ছে আর সেগুলো সে মুগ্ধ নয়নে চেয়ে দেখছে।

রাস্তার অপজিট থেকে প্রচন্ড গতিতে বাইক ছুটে আসতে নির্ঝর হ্যাঁচকা টানে তরীকে নিজের কাছে নিয়ে আসলো। ক্রুদ্ধ নয়নে ছুটে চলা বাইকের দিকে তাকিয়ে রইলো। একটুপর সমস্ত রাগ তরীর উপর ঝেড়ে বলল,

‘খুব লায়েক মনে করো নিজেকে? হাত ধরতে চাইলাম ধরতে দিলে না! একাই চলতে পারবে। এই তোমার একা চলার নমুনা? এখনি তো বাইকের তলায় পিষে যেতে!’

নির্ঝরের কন্ঠের বিষে তরীর মুখটা চুপসে গেল। থমথমে মুখে নির্ঝরের কাছে থেকে একটু সরে দাঁড়াল। আশপাশে নজর বুলিয়ে কাঁদো কাঁদো স্বরে বলল,

‘চারপাশে কত মানুষ। এত মানুষের মধ্যে হাত ধরাধরি করে চললে সবাই কি মনে করবে?’

নির্ঝর হতাশ হয়ে গেল। এতক্ষণে তরীর মনোভাব বুঝতে পারলো। তার মানে লজ্জার জন্য দু বার হাত ধরতে নিয়েও ফিরে আসতে হয়েছে তাকে। সে অসহায় কন্ঠে বলল,

‘তরী এটা ঢাকা শহর। এখানকার মানুষ একেক জন একেক জায়গা থেকে এসেছে। সবাই নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত। এদের চিন্তা চেতনা আত্মকেন্দ্রিক। কেউ কাউকে নিয়ে ভাবে না। সবাই যার যার জীবনযুদ্ধ পরিচালনা করতে করতে দিনশেষে হাঁফিয়ে উঠছে। কে কাকে নিয়ে ভাববে বলো? আমরা হাত ধরে হাঁটলে বা আরো ঘনিষ্ঠ হলেও কেউ ফিরে তাকাবে না। তুমি দেখছো না সবাই কত সাবলীলভাবে চলাফেরা করছে? আচ্ছা, চলো!’

‘হুঁ!’

দুজন আবার হাঁটা ধরলো। ফুটপাত ধরে। কিছুদূর যেতে তরী নিজে থেকে নির্ঝরের হাত চেপে ধরলো। নির্ঝর প্রচন্ড চমকালেও তা তরীকে বুঝতে দিল না। যেন হাত ধরা কিছুই না, এমন ভাবে দুজন এগিয়ে চলল।

হসপিটাল থেকে ফেরার পথে নির্ঝর তরীকে নিয়ে বড় একটা শপিংমলে গেল। তরীর কোনো বারণ শুনলো না। চলন্ত সিঁড়ির সামনে যেতেই তরীর চোখে মুখে ভয় এসে জড়ো হলো। সে ভয়ার্ত চোখে নির্ঝরের শার্ট খামচে ধরে গতিরোধ করলো। মিনমিন করে বলল,

‘আমি উপরে যাব না!কিছুতেই না।’

নির্ঝর কপাল কুঁচকে বলল,

‘কেন?’

‘ভ-ভয় করে আমার। এই সিঁড়িতে মানুষ কিভাবে চড়ে? আমার মনে হয় উঠলেই পা টেনে নিয়ে যাবে!আর কোনোদিন পা টেনে তুলতে পারবো না।’

তরীর বাচ্চামোতে নির্ঝর হাসি পেল না। তরীর ভয়টা সে বুঝতে পারছে। সে খেয়াল করেছে তরী বন্ধ লিফটে উঠেও হাঁসফাঁস করেছে। এগুলো এক ধরনের ফোবিয়া। দু তিনবার উঠলে এই ভয়টা কেটে যাবে। সে তরীর হাতটা শক্ত হাতে চেপে ধরে গম্ভীর কন্ঠে বলল,

‘চলন্ত সিঁড়িতে উঠবে না মানে? অবশ্যই উঠবে। পা টেনে নেয় নেবে! পা কেটে তোমায় উদ্ধার করবো। তারপর আমার ঠ্যাং কেটে তোমার পায়ের জায়গা সেলাই করে বসিয়ে দিব!’

____________

গভীর রাতে নির্ঝরের ঘুম ভাঙলো। রাতের বেলা অসুস্থ শরীর নিয়ে ক্লান্ত হয়ে তরীর আগে ঘুমিয়ে পড়েছিল সে। চোখ না খুলেই সে দু হাত দু দিকে দিয়ে বিছানা হাতড়ালো। তরী নেই! তার বুক কেঁপে উঠলো। দ্রুত চোখ খুলে দেখলো রুমে লাইট জ্বলছে। কিন্তু কোথাও তরী নেই।

ভারাক্রান্ত মাথাটা একটু চেপে ধরে খোলা দরজা দিয়ে নির্ঝর রুমের বাইরে পা রাখলো। ড্রয়িং রুমে চোখ পড়তে বুক চিঁড়ে একটা দীর্ঘশ্বাস বের হল। তরী সোফায় শুয়ে আছে। একটা পা অলরেডি ফ্লোরে ঝুলে পড়েছে, ডান হাতটা সোফার বাইরে, বালিশটা মাথার নিচ থেকে সরে গেছে। পুরোদস্তুর যাচ্ছে তাই ভাবে শুয়ে আছে। তরীকে ঠিকঠাক দেখে নির্ঝরের ঠোঁটদুটো প্রশান্তির হাসিতে বিস্তৃত হলো।

শব্দহীন পদধ্বনি তুলে সে এগিয়ে গেল। তরীর মুখসোজা নিচে হাঁটু গেড়ে বসে কিয়ৎক্ষণ অপলকভাবে চেয়ে রইলো। হুট করে উঠে দাঁড়ালো। তরী যেন টের না পায় এমন আলতো করে তাকে কোলে তুলে নিল। তরীর শরীরটা কেমন তুলোর মতো নরম। মধ্যরাতে তরীকে স্পর্শ করে তার গলা শুকিয়ে এলো। হাত-পা মৃগী রোগীদের মতো ঠকঠক করে কাঁপতে শুরু করলো। অবস্থা বেগতিক দেখে একপ্রকার দৌঁড়ে সে রুমে ঢুকে তরীকে বিছানায় শুইয়ে দিল। এই মেয়ে সাংঘাতিক! এর একটু স্পর্শ তাকে এলোমেলো করে দিবে। তার চরিত্রে কালিমা লেপন করবে! নাহ! এর থেকে দূরে থাকতে হবে।

বিড়বিড় করে গানের লিরিক্স উল্টো করে জপতে জপতে নির্ঝর ওয়াশরুমে ঢুকলো।

ভেজা হাতমুখ মুছে নির্ঝর বিছানার দিকে এলো। কাছাকাছি দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ তরীর মুখের দিকে চেয়ে রইলো। তরীর প্রতিটি শিরা, উপশিরা গুণে যাচ্ছে যেন! তার হুশ ফেরে তরীর হালকা নড়চড়ে। ধরা পরার ভয়ে দ্রুত সুইচ টিপে রুম অন্ধকার করে। তরীর নড়চড় থামতে আলাদা সুইচে চাপ দিল। সঙ্গে সঙ্গে হালকা নীল শেডের মসৃণ আলোতে ভরে যায় সম্পূর্ণ রুম। নির্ঝর গুটিগুটি পায়ে আবার বিছানার দিকে এগিয়ে এলো।

নিঃশব্দে তরীর পাশে শুয়ে পড়ে সে। হাতদুটো বুকে ভাঁজ করে পা টান টান করে। এতটা নিশ্চুপ হয়ে থাকে যেন ভাইবা বোর্ডে বসে আছে। আর তার সামনে তিন-চার জন জাঁদরেল টিচার চেয়ে আছে। শ্বাস নিতে ভুলে গেছে যেন! আচমকা সে একলাফে উঠে বসে পড়লো। বুক ভরে টেনে শ্বাস নিয়ে তরীর দিকে তাকালো। তরীর স্রোতহীন, শান্ত নদীর মতো স্নিগ্ধ আর অতল রূপ দেখে বুকের ধুকপুকানি বেড়ে গেল। দু চোখে এসে ভর করলো সমস্ত রাজ্যের মায়া! সে ঝুঁকে পড়ে তরীর নিকটে এলো। তরীর খুলে রাখা ঘনচুলে হাত বুলাল। মুখে আলতো করে হাত ছুঁইয়ে ঘোরলাগা কন্ঠে বলল,

‘তরীরানি! আমার একলা রাজ্যের রানি। আমার রাজ্যের রানি হয়েও আমার একটু খোঁজ কেন রাখো না তুমি?আমার অবাধ্য মনটাকে একটু শাসনে রাখতে পারো না? পারো না আমার অসুস্থ মনকে সুস্থ করতে?এই জীর্ণ, শীর্ণ আমিকে জীবন্ত করতে? তোমায় ভাবতে ভাবতে, শুধু তোমার ছবি স্মৃতিপটে আঁকতে আঁকতে, শুধু তোমার অপেক্ষা করতে করতে আমার মনটা যে অসুস্থ হয়ে গেছে ভীষণ! আমার এ-ই অসুস্থ মনের দায়ভার কে নেবে রাণী?নেবে তুমি?নেবে না?

আমার রাজ্যের রানি! কাছে আসো না তুমি। পা রাখো না আমার একলাপুরীর ভালোবাসার রাজ্যে। কথা দিলাম পুরো রাজ্য সামলাতে হবে না তোমার।তুমি শুধু আমায় সামলাবে। আমার অসুস্থ মনটার যত্ন নিবে।আমার ঘুণে ধরা হাঁড়ে নতুন প্রাণদান করবে। আর একটুখানি ভালোবেসে ছুঁয়ে দিবে। খুব কাছে থাকবে আমার। চোখের প্রতিটি পলক ফেলার পরে যেন তোমায় মুখটা দেখতে পাই। শুধু তোমায় অনুভব করতে চাই! আসবে তো আমার রাজ্যে তরীরাণী?’

নির্ঝর থামলো। তরী বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। তার নিঃশ্বাসের প্রতিটি উত্তপ্ত কণা নির্ঝরের চোখে মুখে আছড়ে পরছে। অবাধ্য করে দিতে চাইছে ক্রমেই। সে তরীর দু পাশে দু হাত রেখে আরো একটু ঝুঁকে গেল। তরীর মুখে ফু দিয়ে মিহি সুরে বলল,

‘তরী,তোমার ছোট্ট ভালোবাসার ডিঙি আমার ভালোবাসার ঘাটে ভিড়াবে একটু? কথা দিলাম, এই সম্পূর্ণ আমিটাকে বিলিয়ে দিয়ে তোমায় অভ্যর্থনা জানাব!’

নির্ঝরের গভীর রাতের প্রশ্নগুলো কোনো উত্তর নিয়ে এলো না। প্রশ্ন হয়েই রুমের সর্বত্র উত্তর খুঁজতে লাগল। নির্ঝর ফোঁস করে একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে তরীর উপর থেকে সরে এলো। বিছানায় শুয়ে পরতে সমস্ত শরীর নিস্তেজ হয়ে এলো। তার বড় বড় চোখ দুটো এখন ছাদের উল্টোপিঠ দেখতে ব্যস্ত। সে বেশ বুঝতে পারছে আজ রাতে তার ঘুম হবে না। তার কল্পলোকের মেয়েটি এভাবে পাশে শুয়ে থাকলে তার কিছুতেই ঘুম হবে না। সে ঘুরে আবার তরীর দিকে তাকালো। ভেতরে কেমন দম বন্ধ করা অনুভূতি! ভালোবাসার কি অসহ্য যন্ত্রণা। সে হাঁসফাঁস করতে করতে আবার এক হাতে ভর দিয়ে তরীর মুখের দিকে চেয়ে রইলো।

আবছা আলোতে সে বেশিক্ষণ তরীর মুখপানে চেয়ে থাকতে পারলো না। মস্তিষ্কে উল্টাপাল্টা হাজারো ভাবনা এসে জড়ো হচ্ছে। একের পর এক অনুভূতি যেন হৃদপিণ্ডের দেয়াল চিঁড়ে বের হতে চাইছে। সে বেশ বুঝতে পারছে, অন্তত একটা চুমু না খেলে তার আজ রাতে ঘুম হবে না!

খুব সাবধানে সে তরীর দুপাশে হাত রেখে আবার কিছুটা ঝুঁকে এলো। কয়েক সেকেন্ড তরীর সাজানো ঠোঁটের দিকে চেয়ে রইলো। শুকনো ঢোক গিলে তরীর বন্ধ চোখের দিকে চেয়ে মুখটা নিচু করতে আচমকা তরী ধপ করে চোখ খুলে ফেলল।

(চলবে)

আসসালামু আলাইকুম। কিছু কথা বলি। আসলে কিছুদিন যাবত আমার লেখালেখিতে মনোযোগ আসছে না। মাথার মধ্যে সব এলোমেলো শব্দ অথচ তাদের সাজিয়ে পূর্নাঙ্গ বাক্য গঠন করতে পারছি না। লেখার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাই, কিন্তু ঘন্টার ঘন্টা বসে থেকেও লেখা হয়ে উঠছে না। এটাই মূলত ইররেগুলার গল্প দেয়ার কারণ। আজকের পর্ব কত বসায় যে শেষ করেছি তা একমাত্র আমি জানি। একবার প্রথম অংশ লিখেছি, তারপর শেষের অংশ, তো কখনো আবার মাঝের অংশ। মানে টোটালি যা তা অবস্থা। লেখায় মন বসছে না! আমার লেখালেখির জগতে পদার্পন এ বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। বিগত তিন মাস টানা গল্প লিখেছি। প্রচুর মানুষের ভালোবাসাও পেয়েছি। হঠাৎ করে এমন কেন হচ্ছে,বুঝতে পারছি না। ইররেগুলার হওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী সবার কাছে। আশা করছি, খুব দ্রুত সব ঠিক হয়ে যাবে। 🤎

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here