#অপূর্ণ_প্রেমগাঁথা
#The_Mysterious_Love
#আনিশা_সাবিহা
পর্ব ২৬
হাঁটু ভাঁজ করে বেডে গুটিশুটি হয়ে বসে আছে মাধুর্য। ঘরে নীল রঙের আলো জ্বলছে টিমটিম করে। রায়মা তাকে ঘরে বসিয়ে দিয়ে গিয়েছে। আজ থেকে এটাই মাধুর্যের বাড়ি। আর এটাই তার এবং অনুভবের ঘর। তা ভাবতেই হৃদয়ে এক সূক্ষ্ম আনন্দ ছুঁয়ে যাচ্ছে। তবে অন্যদিকে এক বড় ধরনের শূন্যতা অনুভব করছে সে। বড় ঘরে নিজেকে বড়ই একা লাগছে মাধুর্যকে। পৃথিবীতে সে খুব একা হয়ে পড়েছে। নিজের বলতে যেন কেউ নেই। যারা আছে আজ তাদের থেকেও বিদায় নিয়ে এই বাড়িতে এসে উঠেছে। পাশে আছে একমাত্র অনুভব। ভয়ে বুকটা ঢিপঢিপ করতে শুরু করে মাধুর্যের। এই মানুষটা সারাজীবন থাকবে তো? নাকি সেও অন্যদের মতো তাকে একা করে চলে যাবে। কবিতার কথা মনে আসতেই চোখজোড়া ভরে ওঠে তার। ওপরের দিকে তাকিয়ে বলে….
–“কেন চলে গেলি কবিতা? তোকে বিরক্ত করতে মানা করতাম সবসময়। তাই বলে সারাজীবনের জন্য এভাবে আমাকে রেখে চলে যাবি? ফিরে আয় না রে।”
বুক ফেটে কান্না বেরিয়ে আসে মাধুর্যের। হাঁটুতে মাথা লাগিয়ে নিচু হয়ে কাঁদতে শুরু করে। সবটা এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। তার জীবনে কোনো কিছুই গোছালো নেই। শুধু তাই নয়, তার জীবনে সুখপাখিরও কোনো দেখা নেই। তার খুব ইচ্ছে করল একবার সুখপাখিকে ছুঁয়ে দেখতে। ‘সুখ’ কেমন হয়? খুবই অদ্ভুত আনন্দ হয় বুঝি?
আকাশকুসুম ভাবতে ভাবতে নিজের পাশে কারো অস্তিত্ব বুঝতে পেরে মাথা তুলে তাকায় মাধুর্য। হুট করে অনুভবকে দেখে ভূত দেখার মতো চমকে ওঠে সে। অনুভব মাধুর্যের ভেজা গালের ওপর হাত রেখে বলে….
–“শান্ত হও। এটা আমি। ভূত দেখার মতো চমকে গেলে হবে? এরপর থেকে সারাজীবন আমাকে তোমার সঙ্গেই দেখতে হবে।”
মাধুর্য শান্ত চাহনি নিয়ে তাকিয়ে থাকে অনুভবের দিকে। ও চেয়েছিল অনুভব যেন একান্তই তার হয়। কিন্তু এভাবে চায়নি। অনুভব সযত্নে মাধুর্যের চোখের আশেপাশে লেগে থাকা পানি মুছিয়ে দেয়। হুট করে উঠে দাঁড়ায় মাধুর্য। অনুভব অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করে মাধুর্য ঠিক কি করতে চাইছে। নিচু হয়ে অনুভবের পা ছুঁতেই দুই কদম পিছিয়ে দাঁড়ায় অনুভব। খানিকটা মেজাজ দেখিয়ে বলে….
–“কি করছো?”
মাধুর্য নির্বিকার সুরে উত্তর দেয়…..
–“সালাম করছি। রায়মা মণি বলছিল আপনি এলে পা ধরে সালাম করতে। আমি তো বিয়ের এতসব রীতিনীতি জানি না। মা তো নেই যে বলে দেবে বা শিখিয়ে দেবে। রায়মা মণি যেটুকু বলেছে করছি।”
–“এসব ফালতু নিয়ম পালন করতে হবে না। ওযু করে এসো। এই রাতে নাকি নামাজ পড়তে হয়। নামাজ পড়ব দুজনে।”
মাধুর্য কিছুক্ষণ চেয়ে থেকে ওয়াশরুমে ঢোকে। ওয়াশরুমটা দেখে হা হয়ে যায় সে। ঘরটা তো বড় ছিলই, ওয়াশরুমটাও বড়। বলা চলে তার ঘরের সমান। সামনে ইয়া বড় আয়না, আয়নার সামনে বেসিন, গোসলের জায়গা কাঁচ দিয়ে আলাদা করা। কাঁচের দরজা দিয়ে গোসলের জায়গায় ঢুকতে হবে। ঘুরে ঘুরে সব দেখে নিতেই দরজায় টোকা পড়ে। মাধুর্য গিয়ে হালকা করে দরজা খুলতেই অনুভবের গম্ভীর গলা ভেসে আসে।
–“শাড়ি, জামা, টাওয়াল কিছুই তো নিয়ে যাওনি। ফ্রেশ হয়ে কি পড়বে?”
মাধুর্য চিন্তায় পড়ে যায়। সত্যি তো! কি পড়বে সে? আসার সময় তো কিছু আনে নি। তৎক্ষনাৎ দরজার ফাঁক দিয়ে মেরুন রঙের শাড়ি এগিয়ে দেয় অনুভব। শাড়ির সঙ্গে যাবতীয় সবই আছে।
–“মণির কাছ থেকে নিয়ে এসেছি। চেঞ্জ করে নাও।”
মাধুর্য সব নিজের হাতে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। বড় বড় নিঃশ্বাস ফেলে ভাবতে লাগে, মানুষটা চমৎকার। তার জন্য কত ভাবনা তার! একটু মেজাজ দেখায় কিন্তু সেই মেজাজের মাঝেও ভালোবাসা লুকিয়ে থাকে যেন।
মাধুর্য ফ্রেশ হয়ে নিয়ে বাইরে বের হলে বেডে হাতে ভর দিয়ে বসে থাকা অনুভব ঘাড় ঘুড়িয়ে তাকায়। মেরুন রঙে মোড়ানো সুন্দর মেয়েটিকে দেখে চোখ জুড়িয়ে যায় তার। তার বড় বড় চোখজোড়া কাঁদার কারণে ফুলে গেছে, আর নাকের ডগা হালকা লাল। নীল আলোতে সবটা স্পষ্ট ভাবে দেখতে পাচ্ছে অনুভব। এই মেয়েটা আজ থেকে শুধুমাত্রই তার ভাবতেই তার হার্টবিট মিস হয়ে যায়। অনুভবের এমন দৃষ্টি দেখে গলা খাঁকারি দেয় মাধুর্য। অনুভব দৃষ্টি সরিয়ে দ্রুতই চলে আসে ওয়াশরুমে। চোখের পলকে বাতাস অনুভব করাতে মাধুর্য বুঝতে পারে অনুভব ওয়াশরুমে ঢুকে গিয়েছে। ঘরটা ঘুরে ঘুরে দেখতে শুরু করে সে। ঘরটা বড় হলেও ঘরে তেমন কিছুই নেই। একটা বেড, পাশে বড় ড্রেসিং টেবিল, একটা সিংগেল সোফা, তার পাশে গোল ছোট একটা টেবিল আর একটা আলমারি। ব্যাস…রুমের বেশির ভাগ অংশই ফাঁকা। রুমে একটা ছবিও নেই। বড়ই অদ্ভুত। ঘুরে দেখতে দেখতে অনুভব ওয়াশরুম থেকে বের হয়। আলতো হেসে ইশারা করে নামাজের জন্য।
দুজনে নামাজ সেড়ে নেয়। মাধুর্যের মুখ এখনো ভার। নামাজ পড়ে বেডে বসে পড়ে মাধুর্য। আঁড়চোখে তাকায় অনুভবের দিকে। মানুষটা কি এখন তার সঙ্গেই ঘুমাবে। নিজের ভাবনার ওপর নিজেই বাড়ি দেয় মাধুর্য। অনুভব এখন তার স্বামী। তার সঙ্গেই তো ঘুমাবে। কিন্তু রাতে যদি তার রক্তের প্রতি নেশা বাড়ে তখন কি হবে? সে কি অনুভবকে আঘাত করে বসতে পারে?
আগপাছ ভাবতেই অনুভব তার সামনে একটা চুটকি বাজায়। আমতা আমতা করে তাকায় মাধুর্য। অনুভব তাকে প্রশ্ন করে…..
–“আমার সঙ্গে ঘুমোতে পারবে কি না সেই নিয়ে চিন্তা করছো তাই তো?”
মাধুর্য ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়। জবাবে কিছু না বলতেই অনুভব আবার বলে….
–“ঠিক আছে তুমি যদি কমফোর্টেবল ফিল না করো তাহলে ওকে। আমি বাইরে যাচ্ছি।”
কথাটুকু বলে বাইরের দিকে পা বাড়ায় অনুভব। নিজের হাতে টান অনুভব করে সে। পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখে মাধুর্য আকুলতা নিয়ে তাকিয়ে রয়েছে। সে ঢক গিলে বলে….
–“আপনি আমার সঙ্গেই থাকুন। আমি আবারও একা হয়ে যাব।”
অনুভব আলতো করে হাসে। মাধুর্যের পাশে বসতেই মাধুর্য তার কোলে মাথা রাখে।
অনুভব অবাক হলেও তার মনে খুশি বিরাজ করে। মাধুর্য তাকে মেনে নিয়েছে। এই মেয়েটাকে সে আর হারাতে দেবে না। নিজের #অপূর্ণ_প্রেমগাঁথা কে পূর্ণ করবে। নিজের বুকের পিঞ্জিরা তে সযত্নে রেখে দেবে।
–“আপনার কোলে মাথা রাখি কিছুক্ষণের জন্য?”
বাচ্চাদের মতো করে আবদার করে মাধুর্য। অনুভব শীতল গলায় জবাব দেয়….
–“প্রশ্ন কেন করছো? যখন তোমার সামনে থাকা পুরো মানুষটাই তোমার?”
অনুভবের কথাগুলো মাধুর্যের হৃদয়ে গিয়ে করাঘাত করে। না চাইতেও হাজারো কষ্টের মাঝে ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে ওঠে। এতোকিছুর মাঝেও এই মানুষটা তো ওরই। আরো ভালো করে মাথা রাখে অনুভবের কোলে মাধুর্য। প্রিয় মানুষটার সংস্পর্শে চোখ বন্ধ হয়ে আসে ওর। অনুভব নিজের হাত বাড়িয়ে দেয় মাধুর্যের মাথায়। চুলের ভেতরে হাত ঢুকিয়ে বিলি কেটে দিতে থাকে।
–“জানেন, শুনেছি প্রিয় মানুষের কোলে মাথা রাখলে কষ্টের ভার কমে যায়।”
–“জানি। তোমার থেকে শুনেছি।”
মুখ ফসকে বলে ফেলে অনুভব। মাধুর্য ভ্রু কুঁচকে মাথা সোজা করে তাকায়। এমন কোনো কথা বলেছে সে কখনো সেটা মনে করতে পারছে না সে। পারবেই বা কি করে? মাধুর্য যেদিন কথাটি বলেছিল সেদিন সে ঘুমন্ত অবস্থার ছিল।
–“কবে বলেছি আপনাকে এই কথা?”
–“বলেছো একদিন। তবে আমাকে যে তুমি প্রিয় মানুষের তালিকায় রেখেছো ভাবতে মনটা খুশি খুশি হয়ে আসছে।”
–“অনেক আগেই রেখে দিয়েছিলাম। বলার সুযোগ হয়নি।”
লাজুক চোখে অনুভবের কোলে মুখ গুঁজে দিয়ে মিনমিন করে বলে মাধুর্য। তবে তার কথা শুনতে একটুও ভুল করে না অনুভব। সে প্রতিত্তোরে সুন্দর হাসি দেয় তাও নিঃশব্দে। মেয়েটাকে লজ্জা দিতে চায় না এই মূহুর্তে। কিছুক্ষণ দুজনেই নীরব থেকে তাদের মূহুর্ত উপভোগ করে। এই মূহুর্তটা সব থেকে বেশি উপভোগ করছে মাধুর্য। এই মূহুর্ত কি এখানেই থামিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়? ঝট করে সে বলে….
–“কবিতাকে কে খুন করল অনুভব?”
মাথা নিচু করে তাকায় অনুভব। তার টাওজার ভেদ করে ভিজে যাচ্ছে মাধুর্যের চোখে পানি।
–“জানি না কে করেছে। তবে যে করেছে সে অবশ্যই একদিন তার প্রতিদান পাবে। ‘রিভেঞ্জ ওফ নেচার’ বলে একটা কথা আছে। এই রিভেঞ্জ তো নেচার নেবেই নেবে।”
শেষ কথাটি বেশ তীক্ষ্ণ ভাবে বলে ওঠে অনুভব। মাধুর্য আর কিছু বলতে পারে না। আরো বেশ কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে…..
–“সবাই আমাকে একা করে দিয়ে যায় কেন বলুন তো? প্রথমে মা-বাবা তারপর মামা এখন কবিতা। এরা কেন আমার সঙ্গে এমন করল? বলতে পারেন?”
মাধুর্যের বলার প্রতিটা শব্দে অভিমান স্পষ্ট। যারা চলে গেছে তারা রেখে গেছে মাধুর্যের মনে একরাশ অভিমান। যেই অভিমান মানানোর জন্য বোধহয় অনুভবই রয়েছে একমাত্র। দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে অনুভব কিছু বলতে যাবে তার আগেই মাধুর্য নিজের হাত তার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলে….
–“আমি আর কাউকে হারাতে চাই না। আর আপনাকে তো কখনোই না। অন্যদের মতো আপনিও আমার সঙ্গে ছলনা করে চলে যাবেন না বলুন।”
অনুভব কয়েক সেকেন্ড পর মাধুর্যের হাতে হাত রাখে। মাধুর্য হৃদয় শীতলতায় ভরে যায়।
–“আমার ওপর শুধু একটুখানি বিশ্বাস রাখো। কখনো ছলনা করব না। হারিয়ে যাওয়া তো অনেক দূর।”
মাধুর্য নিশ্চিন্ত হয়ে হাসে। একসময় অনুভবের হাত জড়িয়েই ঘুমে ঢলে পড়ে সে। অনুভব তার নীল চোখজোড়া সরাতে পারে না তার অর্ধাঙ্গিনীর থেকে। মেরুন রঙের শাড়ির আঁচল মাথার ওপর দিয়ে আছে সে। মুখটা শুকিয়ে গেছে তবে স্নিগ্ধতা মোটেও কমেনি। এ দেখা যেন শেষ হবার নয়।
–“যতই দেখব দেখবার তৃষ্ণা ততই বাড়বে।”
হালকা নিচু হয়ে মাধুর্যের কপালে গভীর চুমু এঁকে দেয় অনুভব। খুব সাবধানে তার গালে-মুখেও ভালোবাসার পরশ এঁকে দেয়। বালিশ এগিয়ে এনে শুইয়ে দেয় মাধুর্যকে। বেড থেকে নেমে এসে জানালার পাশে দাঁড়ায় সে। ঠোঁটের কোণে হাত বুলাতে বুলাতে খুঁজতে থাকে নানান প্রশ্নের উত্তর। আজকের সকল ঘটনা কেমন জানি রহস্য হয়ে গেল। নিজের প্রশ্নগুলো নিজে নিজে আওড়াতে শুরু করে অনুভব।
–“কবিতাকে কে মারল? ওর গায়ে যত আঘাত সেসব কোনো মানুষ করতে পারে না। তিনটে নখের আঘাত ছিল। ভ্যাম্পায়ার হলে অন্তত চারটে নখের আঘাত থাকা উচিত ছিল। কারণ ভ্যাম্পায়ারের পাঁচটা আঙ্গুলই থাকে মানুষের মতো। আঘাত করলে বৃদ্ধা আঙ্গুল ছাড়া চারটা আঙ্গুলের দাগই থাকবে। তিনটে নখ তো ওয়ারওল্ফের থাকে। তাহলে আমি যা ভাবছি তা কি সঠিক?”
সবটা ভেবেও এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। কবিতাকে ওয়ারওল্ফেরা ভাবনা ভাবল কেন? ওরা কবিতার মাঝে কি এমন দেখল যে ওকে ভাবনা ধরে নিল? চোখ বন্ধ করে নিল অনুভব। নিখুঁত ভাবে ভাবতে থাকল আগের সব ঘটনা। সেদিন হসপিটালের ঘটনাতে গিয়ে থমকে যায় ও। সেদিন কবিতা সবুজ লেন্স পড়েছিল। আর অনুভবের সাথে ওর বিয়েটাও তো ঠিক হয়েছে। বাই এনি চান্স এই বিয়ের খবর ওয়ারওল্ফের কাছে পৌঁছায় নি তো? তৎক্ষনাৎ অনুভব চোখে খোলে।
–“ওহ নো! তার মানে কি অরুণই শেষমেশ কবিতার মতো নির্দোষ মেয়ের খুন করল? যদি তাই হয় তাহলে এর দাম ওকে দিতে হবে। অনেক বড় মূল্য চুকাতে হবে ওয়ারওল্ফ প্রিন্স অরুণ!”
অনেক রাতে মাধুর্যের পাশে গিয়ে শুয়ে পড়ে অনুভব।
সকালে…..
ঘুম ঘুম চোখে উঠে বসে অনুভব। চোখ ডলতে ডলতে ঘড়ির দিকে তাকায় সে। আজ কবিতার শেষকার্যে উপস্থিত থাকতে হবে। প্রায় আটটা বাজে। মুহূর্তের মাঝে আড়মোড়া ভেঙে সাদা টাওয়াল হাতে নিয়ে ওয়াশরুমে ঢোকে সে। চোখ থেকে ঘুম নামক জিনিসটি এখনো পুরোপুরি যায়নি। সেকারণে তার খেয়ালই নেই ওয়াশরুমে পানির পড়ার আওয়াজ আসছে। ওয়াশরুমে মাধুর্য শাওয়ার নিচ্ছে। দরজাটা লক করেনি মাধুর্য। করেনি বললে ভুল হবে। করতে পারেনি। দরজার লকটা অন্যরকম ছিল। যা সে আগে কখনো দেখেনি। অনুভবের উঠতে দেরি হবে ভেবে নিজের লক না করেই শাওয়ার নেয় মাধুর্য।
অনুভব দরজা খোলা পেয়ে আরো সিউর হয়ে যায় সেখানে কেউই নেই। বেসিনের সামনের গিয়ে ব্রাশ হাতে নিয়ে পেস্ট ভরিয়ে নেয় অনুভব। যেই ব্রাশ মুখের মাঝে নিতে যাবে তখনই চোখ কপালে ঐঠে যায় ওর। বাম দিকে কাঁচের ভেতরে শাওয়ার নিচ্ছে মাধুর্য। কাঁচের ভেতরে সবটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। শাড়িটা ওর গায়ে লেপ্টে গিয়েছে। চুলগুলো বার বার নাড়াচ্ছে সে। হাত থেকে ব্রাশ পড়ে যায় অনুভবের। দুই পা পিছাতেই পিছলে পড়ে যায় পানি ভর্তি বাথটাবে। পানির থইথই শব্দে পেছন ফিরে তাকায় মাধুর্য। সঙ্গে সঙ্গে থ মেরে যায় সে।
চলবে…..🍀🍀
বি.দ্র. ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।