সুপ্ত_অনুভূতি #পর্ব_১৮ বা শেষ_পর্ব #মেহরাজ_হোসেন_রনি

0
675

#সুপ্ত_অনুভূতি
#পর্ব_১৮ বা শেষ_পর্ব
#মেহরাজ_হোসেন_রনি

বিয়েতে এসে দেখি রাসেল ভাই এসে পরেছে।আমি আর সেই দিকে না গিয়ে ফারুর কাছে গেলাম।ফারুর সাথে তানহা লিজা দিয়া ছিল কিন্তু সামনে গিয়ে দেখি আবির আর রানাও আছে ওইখানে।আবিরকে দেখলাম লিজার সাথে কথা বলতে।আর রানা আমাকে দেখে কেমন করে জানি তাকিয়ে আছে।আমি গিয়ে ফারুকে বললাম

“কি চলছে এইখানে?”

“তোমার বন্ধু তো লিজার সাথে প্রেমালাপ করছে।”

“কে?আবির!”

“হুম দেখছো না কেমন করে লিজার সাথে কথা বলছে।”

“হ্যা তাই তো দেখছি।তা লিজা কি আবিরকে পছন্দ করে নাকি?”

“কথা শুনে যা বুঝলাম হয়তো করে।”

“তাহলে পরের বিয়ের দাওয়াত আবির আর লিজার থেকেই পাবো মনে হচ্ছে।”

“আরে কি বলো!লিজা তো এখনো ছোট।ওর কি বিয়ের বয়স হয়েছে নাকি?”

“আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছে নাতো তাই না।আবির যদি লিজার বিষয়ে সিরিয়াস থাকে তাহলে ধরে নেও আমাদের বিয়ের পরে ওদের বিয়ে নিশ্চিত।”

“তাই নাকি।দেখি তোমার কথা সত্যি হয় নাকি।”

কিছুক্ষনের মধ্যে রাসেল ভাই আর হিয়ার বিয়ে হয়ে গেল।হিয়াকে দেখলাম বেশ খুশিই মনে হচ্ছে।এখন সবাই স্টেজে গেছে ওদের সাথে ফটো তুলতে।রানাকে দেখলাম একা একা দারিয়ে আছে।রানাকে কাছে গিয়ে বললাম

“কিরে এইভাবে একা একা দারিয়ে আছিস কেনো?”

“এমনেই।ভালো লাগছিল না।”

“তোর ভাইয়ের বিয়ে আর তোর ভালো লাগছে না।কি হয়েছে বলতো?”

“তোকে বলে কি হবে।তুই হলি আমার শত্রু।তোর কারনেই আমার আজ এই অবস্থা।”

“আমি আবার তোকে কি করলাম?”

“তোকে আমি সেই দিন বলেছিলাম ফারিয়ার কোনো বয়ফ্রেন্ড আছে কি না।তুই বললি ফারিয়া ওমন মেয়ে না।কিন্তু তুই নিজেই ওর সাথে প্রেম করলি।আর আমাকে কিছুই বললি না।ওকে নিয়ে কত কি ভেবেছিলাম কিন্তু তোর কারনে সব গেছে আমার।”

“ওহ এই কথা।আচ্ছা বল তো আমি কি তোকে একবারও এই সব কথা বলেছি।বলি নি কিন্তু।সব ফারু তোকে বলেছে।আমি তো নিজেই জানতাম না ফারু আমাকে ভালোবাসে।পরে এইটা জানতে পেড়েছি।আর তুই যে বলছিস সব আমার দোষ।মানলাম আমার দোষ কিন্তু তারপরেও কি ফারু তোকে বিয়ে করতো?কখনোই না।কারনটা কি জানিস?”

“কি কারন?”

“কারন ফারু আমাকে প্রথম থেকেই ভালোবাসে।আমি যদি ওকে ভালো নাও বাসতাম তাহলেও তুই ওকে পেতি না।ফারু আগের থেকেই ঠিক করে রেখেছিল আমি ওর বর হবো।আমার কথা বিশ্বাস না হলে তুই ফারুর সাথে কথা বলে জেনে নিতে পারিস।”

“নাহ সেটার দরকার নেই।”

রানাকে দেখলাম ফারুর দিকে তাকিয়ে আছে।আমি কিছু বললাম না।কারন এইখানে রানার কোনো দোষ নেই।রানাও হয়তো ফারুর বিষয়ে সিরিয়াস ছিল।
হিয়ার বিয়ের দ্বিতীয় দিন আজ।সবাই রিসিভশনে যাওয়ার জন্য রেডি হলাম।ফারুকে রিসিভ করে হিয়ার রিসিভশনে গেলাম।পুরোটা সময় ফারু আর আমি একসাথেই ছিলাম।হিয়া আমাদের দেখিয়ে কাপল ফটো তুলছে।আমি আর ফারু হিয়ার অবস্থা দেখে হাসলাম।

আজ আমাদের গায়ে হলুদ।আমার হলুদের সব কিছুই ফারুর ইচ্ছেমত হচ্ছে।ভাবিকে বলে সব ঠিক করছে।ফারুর আদেশ মত সব অনুষ্ঠান সব কাজ করা হয়েছে।আর ভিডিও এর কাজ ভাইয়াকে দেয়া হয়েছে।ভার্সিটির সময় ভাইয়া ভালো ফটোগ্রাফার ছিল।সেটা আজ কাজে লাগাচ্ছে।আর আমি?আমি তো শুধু সবার আদেশ মত কাজ করছি।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ করে ফারুকে কল দিলাম।এটাও ওর আদেশ ছিল।যদি ওর কোনো আদেশ না মানি তাহলে একটা কথাই বলে

“নেহাল তুমি আর আমাকে আগের মত ভালোবাসো না।আমি তো এখন পুরানো হয়ে গেছি।”

সব কিছুর মধ্যে এই এক কথা দিয়ে শেষ করে দেয়।তাই কিছু করার নেই।সব কিছু মানতে হয়।ফারু কল রিসিভ করে বলল

“সব কাজ শেষ হয়ে গেছে?”

“হুম একটু আগেই শেষ হয়েছে।”

“তাহলে আমাদের কথা শেষ হলে ঘুমিয়ে পরবে বুঝেছো?”

“আচ্ছা।”

“আরেকটা কথা।”

“হুম বলো।”

“ওই মেয়ে গুলোর থেকে তুমি একটু দূরে থেকো।ওদের নজর ভালো না।”

“কোন মেয়েদের কথা বলছো তুমি?”

“যেই মেয়ে গুলো তোমাকে হলুদ লাগিয়ে সেল্ফি তুলেছে।তাদের কথাই বলছি।আমার কাছে ওদের সুবিধার মনে হচ্ছে না।”

“ফারু তুমি কিভাবে জানলে মেয়েরা আমার সাথে সেল্ফি তুলেছে?তুমি তো এইখানে ছিলে না।”

“তুমি মনে করো না যে,আমি ওইখানে নেই বলে কিছুই জানবো না।আমার কাছে আরো অনেক কিছুর খোজ আছে।তাই আমি যেটা বলছি সেটা করো বুঝেছো।”

“হ্যা ম্যাডাম বুঝেছি।”

“হুম তাহলে এখন ঘুমিয়ে যাও।আগামীকাল আবার সকালে উঠতে হবে।”

“আচ্ছা।”

ফোনটা রেখে কাজিনদের সাথে আড্ডা দিতে লাগলাম।কারন এটাই আমার ওদের সাথে শেষ আড্ডা।পরে আর ফারুর জন্য আড্ডা দেয়া হবে না সেটা আমি নিশ্চিত।
সকালে কেউ পানি দিয়ে ভিজিয়ে ঘুম ভাঙালো।সামনে দেখলাম হিয়া বালতি নিয়ে দারিয়ে আছে।

“হিয়া এইটা তুই কি করলি?”

“আগেই বলেছিলাম আমাকে বিয়ে না করলে বিয়ের দিন তোকে পানি দিয়ে ভিজিয়ে দেবো।এটা তার প্রমাণ।”

কিছু বললাম না।মেন্টালের সাথে বেশি কথা বাড়িয়ে লাভ নেই।ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিলাম।রুমের বাইয়ে গিয়ে দেখি এখনো কেউ রেডিই হয় নি।মনে হয় আমি সবার আগে রেডি হয়ে গেছি।সবার রেডি হতে হতে বারোটা বেজে গেছে।ফারুর ওইখানে যেতে অনেকটাই লেট হয়ে গেল।দেখলাম আমাদের আগেই সবাই এসে গেছে।আবার সেই আগের ঘটনা।মেয়েরা গেটে দারিয়ে আছে।টাকা না দিলে নাকি ভিতরে যাওয়া যাবে না।পরে আমি আমার ক্রেডিট কার্ড দিয়ে বললাম

“এটাতে বিশ হাজারের মত টাকা আছে।তোমাদের এইটা দিয়ে হবে যাবে আসা করি।”

লিজা বলল
“ভাইয়া এইটা দিয়ে আমরা কি করবো?আর এইটার পাসওয়ার্ড তো আমরা জানি না।তাই আমাদের ক্যাশ টাকা লাগবে।”

“আরে তোমার আপুর কাছে এইটার পাসওয়ার্ড আছে।এখন ভেবে দেখো কি করবে।আমি কিন্তু কোনো ক্যাশ টাকা নিয়ে বের হয় নি।”

তানহা আর লিজা কাকে জানি কল দিলো।মনে হয় ফারিয়াকে।একটু পর তানহা বলল

“আচ্ছা ভাইয়া আপনি কার্ডটা দিন আমরা পরে আপুকে সাথে নিয়ে এইটার টাকাটা তুলে নিবো।”

কার্ড দিয়ে আমরা সবাই ভিতরে গেলাম।মনে একটু শান্তি লাগছে।আসলে গতকাল রাতেই আমি পাঁচ হাজার টাকা বাদে সব টাকা তুলে ফেলেছি কার্ড থেকে।এই বিষয়টা ফারুও জানে না।
ফারিয়ার পাশে বলতেই আমাকে চিমটি দিয়ে বলল

“আসতে এতো লেট করলে কেনো?সেই কখন থেকে আমি এইখানে বসে আছি একা একা।আর তোমার আসার নামই নেই।”

“আর বইলো না।আমি নাস্তা করেই রেডি হয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু বাকিরা কেউ রেডিই হয় নি।পরে সবার রেডি হয়ে বের হতে লেট হয়ে গেল।”

“ইস আর কিছুসময় পর আমাদের বিয়ে হয়ে যাবে।আমার না ভাবতেই কেমন জানি লজ্জা পাচ্ছে।”

“বলো কি!বিয়ের আগে না কত কি বলছিলে আমাকে।এইটা করবে ওইটা করবে।বিয়ের দিন এইটা করবে।আর এখন কি সব ফুড়ুত হয়ে গেছে।”

“আজ শুধু বাসায় যেয়ে নেই।তারপরে তোমাকে দেখাচ্ছি মজা।আমি কি কি করতে পারি।”

আমরা নিজেরদের মধ্যে কথা বলছিলাম তখনি ভাইয়া এসে বলল

“নেহাল যা আনন্দ করার এখনি করে নে।বিয়ের পরে সব আনন্দ দেখবি শেষ হয়ে গেছে।স্বাধীনতা বলতে কিছুই থাকবে না দেখিস।”

ফারিয়া বলল
“আপু দেখছো তোমার সামনে ভাইয়া এইসব কি বলছে?”

“এই ফারিয়া এইখানে তোমার আপু আসলো কোথা থেকে?”

“ভাইয়া আপনি একটু আপনার পিছনে দেখেন তাহলেই বুঝবেন?”

ভাইয়া পিছনে তাকিয়ে দেখে নাফিজা ভাবি রেগে আগুন হয়ে দারিয়ে আছে।ভাইয়ার মনে হয় আজ বাসায় আর যাওয়া হবে না।ভাবি বলল

“আমি আজই আব্বুর সাথে বাসায় চলে যাচ্ছি।তুমি থাকো তোমার স্বাধীনতা নিয়ে।”

“এই নাফু আগে আমার কথাটা শুনো।প্লিজ নাফু দারাও একটু।”

কে শুনে কার কথা ভাবি রাগ করে চলে যাচ্ছে।জানি কিছু দিনের মধ্যে ভাবি আবার চলে আসবে।
বিয়ের সব কাজ শেষ করে ফারুকে নিয়ে বাসার সামনে দারিয়ে আছি।ম্যাডামের আদেশ ছিল আমাদের বাসার সামনে থেকে তাকে কোলে করে রুমে নিয়ে যেতে হবে।সবাই ফারুকে কোলে তুলবার দৃশ্য দেখার জন্য অপেক্ষা করছে।পরে সাহস করে অনেক কষ্টে ফারুকে কোলে নিয়ে রুমে আসলাম।আর আমার সব কাজিনরা মিলে সেটা ভিডিও শুট করছে।
আমার রুমে আমি বাদে সবাই আছে।আসলে আমাকে রুম থেকে বের করে দিয়েছে।কাজিনরা নাকি ফারুর সাথে গল্প করবে।কি আর করার তাই ছাদে চলে গেলাম।সাথে আবির ছিল।আবিরকে বললাম

“তুই কি লিজার বিষয়ে সিরিয়াস?”

“হ্যা।লিজাই সেই মেয়ে যার কথা তোকে আগে একবার বলেছিলাম।পরে তুই তো আর কিছু বলতে পারলি না।তাই ফারিয়ার হেল্প নিয়ে লিজার সাথে কথা বলি।”

“ওহ আচ্ছা।তা বিয়ে করবি লিজাকে?”

“ও যদি রাজি থাকে তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজটা শেষ করে নিবো।তুই একটু হেল্প করিস নেহাল।”

“আচ্ছা আমি ফারুর সাথে কথা বলি।দেখি ওর মতামত কি।”

“নেহাল ভাইয়া ফুপি তোমাকে নিচে ডাকছে।”

আমাদের কথার মধ্যে হঠাৎ দিয়া এসে কথাটা বলল।পরে নিচে আম্মুর কাছে গেলাম।আম্মু বলল

“এই নেহাল তুই রুমে না গিয়ে ছাদে কি করছিস?”

“আরে ওরাই তো বলল ওরা নাকি ফারিয়ার সাথে কথা বলবে তাই তো আমি রুম থেকে বাইরে গিয়েছি।”

“তো তাতে কি হয়েছে নেহাল।ওরা তো সকালেও ফারিয়ার সাথে কথা বলতে পারবে।তুই এখন রুমে যা।”

কিছু আর না বলে রুমে গেলাম।দেখলাম রুমে শুধু ফারু আছে।বাকিরা মনে হয় আগেই চলে গেছে।দরজা লাগিয়ে সামনে গেলাম।আমাকে আসতে দেখে ফারু খাট থেকে নেমে আমার কাছে আসলো।ভাবলাম হয়তো আমাকে সালাম করবে কিন্তু তেমন কিছুই করলো না।হল তার উল্টো।আমার ধাক্কা দিয়ে খাটে ফেলে দিয়ে ফারু আমার উপর শুয়ে পরলো।

কয়েকবছর পরের ঘটনা।অফিস শেষে বাসায় গিয়ে দেখি ইরা এসেছে।আব্বুর বন্ধুর মেয়ে।কিন্তু ইরাদের ফ্যামিলি তো ইতালিতে থাকে।হঠাৎ আমাদের বাসায় কেনো?
আম্মুকে বললাম

“আম্মু ইরা ইতালি থেকে কবে আসলো?আর এই বাসায় বা কি করছে?”

“ওরা তো একবারে জন্য দেশে চলে এসেছে।ইরা এসেই তোর সাথে দেখা করতে চলে এসেছে।জানিস বাসায় এসেই তোকে খুঁজছে।”

আমি ইরাকে কিছু না বলে রুমে যাচ্ছিলাম তখন ইরা বলল
“এই নেহাল সেই কখন থেকে তোমার জন্য অপেক্ষা করে বসে আছি।”

“তুমি একটু অপেক্ষা করো আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।”

রুমে গিয়ে দেখলাম ফারু আর নেহা শুয়ে আছে।আসলে ফারু শুয়ে আছে আর নেহা ঘুমিয়ে আছে।আমাদের চার বছরের মেয়ে নেহা।আর ফারু দ্বিতীয় বার মা হচ্ছে।ফারু এখন সাড়ে পাঁচ মাসের প্রেগন্যান্ট।ফ্রেশ হয়ে এসে ফারুর কাছে বসলাম।আমাকে পাশে দেখেই কিছুটা রাগি কন্ঠে বলল

“এই তুই এইখানে কেনো এসেছিস?ইরা এসেছে ওর কাছে যা।”

ফারু নেহা হওয়ার আগে আমাকে কোনো দিন তুমি ছাড়া কিছু বলতো না।কিন্তু নেহা আসার পর থেকেই তুই করে বলা শুরু করে দিয়েছে।কিছু একটা হলেই তুইতোকারি নেমে আসে।কিন্তু হঠাৎ ইরার কাছে যাওয়া কথা বলছে কেনো?
আমি ফারুর হাতে হাত রেখে বললাম

“কি হয়েছে ফারু?তুমি এমন করছো কেনো?”

আমার হাত সরিয়ে বলল
“তো কি করবো।তোকে আমি খুব ভালো ছেলে ভেবেছিলাম কিন্তু তুই ছোট থেকেই মেয়েদের সাথে লাইন মারতি।তুই কি মনে করেছিস আমি কিছু জানবো না তাই না।ইরা আমাকে সব বলেছে।কলেজ লাইফে তুই যে ইরার পিছনে ঘুরতি সেটা আমি জেনে গেছি।তুই আজকের পর থেকে আমার কাছে আসবি না।”

“ভেবে বলছো তো।”

“ভেবে বলার কি আছে।তোর মত খারাপের সাথে আমি আর থাকবো না।তুই যা এইখান থেকে।”

ফারিয়া হয়তো ইরার কথা শুনে আমার উপর রেগে আছে।পরে ঠিক হয়ে যাবে সেটা আমি জানি।কিন্তু এই ইরার বাচ্চা ইরার এতকিছু বলার কি দরকার ছিল।দেখলো যে আমার বিয়ে হয়ে গেছে তাহলে আগের কথা গুলো বলার কি দরকার ছিল।রুম থেকে চলে যাচ্ছিলাম তখন ফারু চেঁচিয়ে বলল

“ওই শয়তান কই যাচ্ছিস তুই?ওই ইরার কাছে তাই না।তুই যদি এখন রুম থেকে বের হইছিস তাহলে কিন্তু আমার আজ কিছুই খাবো না বলে দিলাম।আর আমার না খাওয়ার কারনে যদি আমার অনাগত সন্তানের কিছু হয় তাহলে তোর কিন্তু খবর আছে বলে দিচ্ছি।”

বাইরে আর গেলাম না।ফারিয়ার সামনে এসে বললাম

“তাহলে এখন কি করবো?তুমি তো নিজেই বললে তোমার সামনে থেকে যেনো চলে যাই।আবার বাইরেও যেতে দিচ্ছো না।”

“সেটাও কি আমাকে বলে দিতে হবে।তুই এত আনরোমান্টিক কেনো?কোথায় তুই এসে আমার রাগ ভাঙাবি সেটা না করে চলে যাচ্ছিস।এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাক।”

নেহাকে এক সাইডে রেখে ফারুর পাশে শুয়ে পরলাম।ফারু নিজেই জরিয়ে ধরে রেখেছে।আসলে এত কিছু করেছে আমাকে কাছে রাখার জন্য।ফারু আমাকে যত যাই বলুক না কেনো সেটা কিছুসময়ের জন্য।তার পরে নিজে এসে কান্নাকাটি করে ক্ষমা চেয়ে নেয়।আমিও ফারুকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে।বাইরে আমার জন্য ইরা অপেক্ষা করছে করুক তাতে আমার কিছু যায় আসে না।আমার কাছে আমার ফারুই সব।এখন আর আগের মত অনুভূতি গুলোকে সুপ্ত রাখতে হয় না।কারন আমার সব অনুভূতির মধ্যে এখন ফারু আছে।

-সমাপ্ত-

[ গল্পটা এইখানেই শেষ করে দিলাম।নাহলে আরো কিছু লিখবার ইচ্ছে ছিল।কিন্তু সময়ের কারনে লিখা হচ্ছে না।যারা গল্পের শুরু থেকে এই পর্যন্ত সাথে ছিলেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।আর গল্পটা কেমন হয়েছে সবাই কমেন্ট করে বইলেন।পরবর্তী গল্প খুব তাড়াতাড়ি দিবো।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here