তিমিরে_ফোটা_গোলাপ পর্ব–৪১

0
604

#তিমিরে_ফোটা_গোলাপ
পর্ব–৪১
Writer তানিয়া শেখ

ভোরে মোরগ ডাকতেই আগাথার প্রেতাত্মা অদৃশ্য হয়ে গেল ইসাবেলার সামনে থেকে। যাওয়ার পূর্বে তিনি সবকিছু বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন। কাজটা দিনের বেলা এবং দুপুরের আগেই করতে হবে। সেই সময়টাতে আগাথা থাকবে না। সুতরাং যা করার ইসাবেলাকেই করতে হবে। বেশ ভয় করছে ইসাবেলার। প্লানে সামান্য বিচ্যুতি হলেই মহা বিপদ। প্রাণের ঝুঁকি তো শতভাগ আছেই।
বাইরে তখনো আলো ফোটেনি। আগাথা সতর্ক করেছেন আলো ফোটার পরই যেন বের হয় সে। ইসাবেলা সংগ্রহীত হাতিয়ারগুলো আরেকবার দেখে নিলো, কাঠের সূচালো টুকরো, রসুন, ধারালো ছুরি, মোম আর দিয়াশলাই। এই হলো পিশাচ বধের হাতিয়ার। এই অল্প সময়ে এই জিনিসগুলো সংগ্রহ করা ইসাবেলার পক্ষে সম্ভব ছিল না। আগাথা জোগাড় করেছে মিনিট খানেক সময়ের মধ্যে। কৃতজ্ঞ তাঁর কাছে ও। জিনিসগুলো একটা থলেতে ভরে রাখল। আলো ফোটার অপেক্ষায় বসে রইল বিছানার ওপর। অপেক্ষা করতে করতে একসময় ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুম ভাঙল মাদাম আদলৌনার আহাজারিতে। কোনোরকমে হুড়মুড়িয়ে রুম থেকে বেরিয়ে এলো। মাদাম আদলৌনার কান্নার শব্দ বাড়ির পেছনের ফার্ম থেকে আসছে। ইসাবেলা নেমে সেদিকে গেল। নিষ্প্রাণ ঘোড়া আর ভেড়িগুলোর দেহের পাশে বসে কপাল চাপড়ে কাঁদছেন মাদাম। ওদের এই আকস্মিক মৃত্যুতে ইসাবেলাও হতবিহ্বল। মাদামকে জড়িয়ে ধরে ও।

“শান্ত হোন মাদাম।”

“ইসাবেলা, আমার সব শেষ।”

চিৎকার করে কাঁদতে লাগলেন মাদাম। ইসাবেলার চোখে জল চলে এলো। আশপাশের প্রতিবেশিদের কয়েকজন এসে দাঁড়িয়েছে। সান্ত্বনা দিলো মাদামকে তারা। মাদামকে বসার ঘরে নেওয়া হলো। ইসাবেলা পানি এনে দেয়। মাদামের কান্না এখন থেমেছে। একদম গম্ভীর হয়ে আছেন। মুখজুড়ে হতাশা আর বিষাদ। প্রতিবেশিনী তিনজন ভদ্রমহিলা মাদামের পাশে বসে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। তাঁদরেই একজন হা হুতাশ করে বললেন,

“কী যে হয়েছে গাঁয়ে বুঝতে পারছি না! এই তো গতসপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে এই অদ্ভুত মৃত্যুর ঘটনা। সেদিন ও পাড়ার জেভিয়ারের ছোট্ট ছেলেটা মরে গেল। ঘুমানোর আগেও ছেলেটা না কি দিব্যি সুস্থ ছিল। সকালে ওর মা ডাকতে গিয়ে দেখে মরে পড়ে আছে বিছানায়। শরীর সাদাটে হয়ে ছিল। ডাক্তার দেখে বলল, রক্তশূন্যতায় মরেছে। চোখ খোলা ছিল। মৃত্যুর পরেও আতঙ্ক খেলা করছিল ওই চোখে। এরপর প্রতিদিনই কারো বাড়ির সদস্য মরছে নয়তো পশু। আমার বাপু বেজায় ভয় করছে।”

গলার রোজারি(খ্রিস্টানদের জপমালা) আঙুলে নিয়ে বিড়বিড় করে প্রার্থনা করলেন বৃদ্ধা। তারপর বুকে ক্রুশ এঁকে বললেন,

“আজ একবার চার্চে গিয়ে ফাদারের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলে আসি। তিনি যদি এর একটা হাল করতে পারেন। আদলৌনা, তুমিও সাথে চলো।”

সাথের কয়েকজনও তাঁর সাথে সম্মতি জানালেন। ইসাবেলার এখন মনে হলো মাদামের পালিত এই প্রাণীর হঠাৎ মৃত্যুর কারণ ও বুঝেছে। এই কাজ যে ইভারলি আর গ্যাব্রিয়েল্লার তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। ওদের প্রতি রাগটা যেন আরো বাড়ল।

মাদাম আদলৌনা গাঁয়ের এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা শুনেছেন আগে। কিন্তু সেভাবে গুরুত্ব দেননি। আজ তাঁর মনে হলো এই গৃহপালিত প্রাণীগুলোর মৃত্যুর পেছনে অশুভ কোনো শক্তির হাত আছে। নয়তো এক রাতের ব্যবধানে এভাবে মরবে কেন প্রাণীগুলো?

প্রতিবেশিনীরা উঠে দাঁড়ালেন। মাদাম সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁদের সাথে যাওয়ার। অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে নয়, একটুখানি মনের শান্তির জন্য তিনি চার্চে যাবেন। মাদাম ইসাবেলাকে এদিকটা দেখতে বলে বাড়ি বাইরে বেরিয়ে এলেন প্রতিবেশিনীদের সাথে। প্রাণীগুলোর সৎকার সেড়ে তারপর চার্চের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন।

বাইরে রোদ উঠেছে। প্রচণ্ড শীতের সকালে এই রোদ বড়ো আকাঙ্ক্ষার, প্রশান্তির। আজকের রোদটা কিন্তু সেই অনুভূতি নিয়ে এলো না। বিষণ্ণ আজকের এই সকাল। অস্থিরতায় ভরপুর এর আলো। উপরে উঠে এলো ইসাবেলা। এতকিছু হয়ে গেল মাতভেইর কোনো সাড়াশব্দ নেই। কেন নেই সেটার কারণ ইসাবেলা জানে। ধীর পায়ে মাতভেইর দরজার কাছে এসে দাঁড়ায়। দরজা সামান্য খুলে উঁকি দিলো ভেতরে। গলা পর্যন্ত কম্বলে ঢেকে ঘুমিয়ে আছে মাতভেই। জানালায় পর্দা টানা। ঘরের ভেতরে পর্যাপ্ত আলো এসে পৌঁছেনি। মাতভেইর মুখটা স্পষ্ট দেখতে পেল না। ও ঠিক আছে কি না দেখতে নিঃশব্দে দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকল। মাতভেইর মুখটা এখন স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে। ত্বক সাদাটে, ঠোঁট শুকিয়ে গেছে, চোখের নিচে বসে গেছে অনেকখানি। ইসাবেলা যেন নিজেকে দেখছে। সেই যে মাদামের বাড়িতে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখেছিল নিজেকে। আজ যেন তেমনই জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে মাতভেই।
নিজের রুমে ফিরে এলো ইসাবেলা। গলায় পরে নেয় রোজারি। হুডি পরে থলেটা কাঁধে তুলে নিচে নামে। দেওয়াল ঘড়িতে পৌনে নয়টা বাজে। ইসাবেলা দরজা বাইরে থেকে এঁটে দিয়ে পেছনের রাস্তা ধরে এগিয়ে গেল। আগাথা বলে দিয়েছে পুব দিকের জঙ্গল পেরোলেই লেক। এককোণের ঝোপের আড়ালে একটা নৌকা বেঁধে রেখেছেন তিনি। ওটা দিয়ে লেকটা পেরিয়ে ওপারে গিয়ে উত্তর দিকে মিনিট পাঁচেক হাঁটলে একটা পুরোনো প্রাসাদ চোখে পড়বে। প্রাসাদের পেছনের দরজা আগে থেকে খুলে রাখবে আগাথা। সেই দরজায় ঝুলিয়ে রাখা থাকবে একটি ম্যাপ। ডাইনি দুটোর কফিন কোন কক্ষে আছে সেটা ভেতরে ঢুকে ম্যাপ দেখলেই বুঝতে পারবে ইসাবেলা।

জঙ্গল পেরিয়ে লেকের সামনে এসে থামল ইসাবেলা। বেশ প্রসস্থ লেকটি। লেকের চারপাশে জমে আছে শুভ্র বরফ। বরফ আবৃত গাছগুলো। সেই ঘন বৃক্ষের এককোণে উঁকি দিচ্ছে সূর্য। বড়ো ম্লান আজকের শীতের সকালে সূর্যের তেজ। ইসাবেলা ঝোপগুলোর ভেতর নৌকা খুঁজতে শুরু করে। কিছুক্ষণ খোঁজার পরই নৌকাটা পেয়ে গেল। কাঁধের থলেটা ওর ওপর রাখল। তারপর ঝোপ থেকে বের করে বরফের ওপর দিয়ে ঠেলতে ঠেলতে লেকের পানিতে ভাসাল নৌকা। কাজটা করতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হলো। নৌকা চালানোর অভিজ্ঞতা ইসাবেলার নেই। বৈঠা জলে ফেলে চালাতে গিয়ে বুঝল এ কাজ বড়ো শক্ত। হাত ঠাণ্ডায় জমে যাচ্ছে। দাঁতে দাঁত লেগে যায়। কিন্তু হার মানল না। লেক পার হতে ওর অনেক সময় লেগে গেল। ওপারে গিয়ে প্রথমে নৌকাটা বাঁধল তীরে। থলে কাঁধে তুলে পথ চলতে শুরু করল ও৷ দূর থেকেই প্রাসাদের খানিকটা চোখে পড়তে দৌড় পায়ে এগোলো সেদিকে। পলেস্তারা পড়া, আগাছায় জড়ানো প্রাসাদটি। বহু বছর আগের রূপসৌন্দর্য্য হারিয়ে প্রাসাদটি বর্তমানে শ্রীহীন হয়ে গেছে। শ্রী হারালেও এর দর্প এখনো বজায় আছে শক্ত ইটের ভাঁজে।

ইসাবেলা ঘুরতে ঘুরতে প্রাসাদের পেছনের দিকে এলো। অনেকগুলো দরজার মধ্যে আগাথার বলা দরজাটা খুঁজে পেল সহজে। লাল কাপড়ে মোড়া সাদা কাগজটা দূর থেকেই দেখতে পায়। কাগজটা খুলে ম্যাপটা একবার দেখে নিলো৷ তারপর দরজায় আস্তে করে ধাক্কা দিতে সেটা ক্যাচ ক্যাচ শব্দ তুলে খুলে যায়। বহুদিনের পুরোনো জংধরা দরজাটা যে এভাবে শব্দ তুলবে তা অপ্রত্যাশিত ছিল ইসাবেলার কাছে। এতক্ষণে নীরবতার পর এই শব্দে ওর চেপে থাকা আতঙ্ক দপ করে মাথায় উঠে যায়। ত্রস্ত পায়ে প্রাসাদের ভেতরে ঢুকলো। ভ্যাপসা বিশ্রী গন্ধে পেট গুলিতে যায়। হাতটা সাথে সাথে নাক চেপে ধরে। নিকোলাসের প্রথম প্রাসাদটার মতোই এর অবস্থা। বহুদিন হয়তো কোনো মানুষের পদচিহ্ন এখানে পড়েনি। সর্বত্র ধুলো আর ঝুলে ভরা। কিছু আগাছা ভেতরেও অধিকার জমিয়ে নিয়েছে। দরজার এইটুকু ছাড়া সামনের সবটাতে আঁধার। সাথে আনা মোমটা জ্বালিয়ে নেয় ইসাবেলা। ম্যাপে দেখানো হয়েছে বা’দিকে গিয়ে পাঁচ নম্বর কক্ষটির ভেতরে ঢুকতে হবে। কক্ষের এককোণে রাখা কাঠের বাক্সের নিচের কার্পেট সরালেই গুপ্ত রাস্তার দরজা। সিঁড়ি বেয়ে গুপ্ত রাস্তার শেষে নেমে এলেই সংকীর্ণ একটি স্থান। সেখানেই রয়েছে ডাইনি দুটোর কফিন।

ইসাবেলা পাঁচ নম্বর দরজা ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করে বেশ অবাক হলো। ঝকঝকে পরিষ্কার কক্ষটি। কক্ষের মাঝে আছে বড়ো একটি খাট। চাদর বালিশ সবই নতুন। খাটটা ছুঁয়ে দেখল। আঙুলে একটুও ধুলো লাগেনি। এই রুমে আরো আছে একটি টেবিল, একটি চেয়ার আর আলমিরা। টেবিলে এখনো দোয়াতে চাপা দেওয়া কিছু সাদা কাগজ পড়ে আছে। টেবিলের সামনে থেকে ঘুরে দাঁড়াতে ম্যাপে আঁকা বাক্সটা চোখে পড়ল। তালাবন্ধ বাক্স। খুব ভারী ওটা। সরাতে কষ্ট হলো ইসাবেলার। বাক্সটা সরিয়ে লাল রঙের কার্পেট তুলতেই কাঠের গুপ্ত রাস্তার দরজাটা পড়ল। দরজা একপাশে সরিয়ে দিতে এঁকেবেঁকে নেমে যাওয়া সিঁড়িটা দেখতে পায়। কাঁধের থলেটা শক্ত করে ধরল। লম্বা শ্বাস নিয়ে ডান পা রাখল সিঁড়িতে। একহাতে মোমের আলো। দুরুদুরু বুকে সিঁড়ির এক একটা ধাপ বেয়ে নিচে নামছে। ভয়কে যতই দূরে ঠেলছে সেটা যেন ধীর পদে ওরই দিকে ফিরে আসছে পুনরায়। এই শীতেও কপালে বিন্দু বিন্দু ঘামের সৃষ্টি হয়েছে। সিঁড়ির শেষ ধাপে নেমে থমকে দাঁড়ায়। নিচের এই সংকীর্ণ জায়গাটাতে ভূতূড়ে আঁধার জমে আছে। নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ গুমোট এই স্থানের দেওয়ালে দেওয়ালে বাড়ি খেয়ে যেন বিকট গর্জন তুলছে। অজান্তেই শ্বাস থেমে যায় ইসাবেলার। হাতের আলোটা কেঁপে ওঠে। ভয় কাটতে কিছু সময় লেগে যায়। মোমের আলো তুলে চোখ বুলিয়ে নিতে কফিন দুটো চোখে পড়ে। থলেটা কাঁধ থেকে নামিয়ে হাতে নিয়ে এগিয়ে যায়। এইটুকু আসতে অনেক সময় চলে গেছে। আর বিলম্ব করলে বিপদ হবে। নিজের ভীরু মনে সাহস সঞ্চয় করে প্রস্তুতি নিলো চূড়ান্ত কাজের। মোমটা একপাশে রেখে থলে থেকে একে একে সব বের করল। তারপর প্রথম কফিনটার মুখ খুলে ফেলে। ইসাবেলা ভয়, আতঙ্ক মুহূর্তে রাগে রূপ নেয়। দৃষ্টি স্থির কফিনে শুয়ে থাকা ইভারলির দিকে। দেখে যেন মনে হচ্ছে পরম শান্তিতে ঘুমিয়ে আছে ও। হঠাৎ ওর ঘুমন্ত মুখের ভাব বদলে গেল। ইভারলির নিদ্রিত চোখের ওপরের ভ্রু কুঁচকে গেছে। লাল টুকটুকে ঠোঁটের পাশ দিয়ে বেরিয়ে এসেছে সাদা দাঁত। ইসাবেলা কফিনে ঝুঁকে মুচকি হেসে বলে,

“ইভারলি, আমায় মনে আছে ডার্লিং? ইসাবেল। হ্যাঁ, আমি ইসাবেল। সিস্টার ভ্যালেরিয়ার ভাগ্নি। যাকে খুব মেরেছিলে। তোমার সাথে অনেক হিসেব বাকি আমার। আজ ভাবছি সব হিসেব চুকিয়ে দেবো।”

রাগে লাল হয়ে উঠেছে ইভারলির মুখ। ইসাবেলা ওর মুখে চেয়ে তাচ্ছিল্যের হাসি হাসে। অসহায়ত্ব কাকে বলে মর্মে মর্মে বোঝাবে আজ ইভারলিকে। থলে থেকে একটা রসুন বের করে ইভারলির ঠোঁটের মাঝে গুঁজে দিলো। মুহূর্তে ইভারলির রাগ আতঙ্কে রূপ নেয়। করুণ হয়ে যায় মুখটা। ইসাবেলার ওর প্রতি একটুও করুণা হলো না। এই সুন্দর করুণ মুখের মুখোশের আড়ালের রয়েছে এক ভয়ংকর ডাইনি। জাগামাত্রই যে ইসাবেলাকে শেষ করে ফেলতে এক সেকেন্ড দেরি করবে না। গভীর শ্বাস নিয়ে কাঠের টুকরোটা তুলে নেয় ইসাবেলা। বসিয়ে দেয় ইভারলির হৃদপিণ্ড বরাবর। ইভারলির নিথর দেহ ঝাঁকুনি দিয়ে ওঠে সাথে সাথে। দ্রুত ছুরিটা দিয়ে ধড় থেকে মাথাটা আলাদা করে ফেলে। মোমটা তুলে এনে ওর ছিন্ন দেহের দিকে নিতে ইভারলির মুখটা যেন দয়া ভিক্ষা করে। ইসাবেলা ক্ষণিকের জন্য থেমে যায় ওই অসহায় মুখে চেয়ে। পরমুহূর্তে মনে পড়ে ইভারলির নিষ্ঠুরতা। মোমের আগুন ইভারলির সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এই আঁধার সংকীর্ণ জায়গাটা আগুনের লেলিহান শিখায় আলোকিত হয়ে ওঠে। পুড়ে ছাইয়ে রূপান্তরিত হয় ইভারলি। ইসাবেলা পরের কফিনের মুখ সরিয়ে নিরাশ হয়, সাথে ভীত। এই কফিন শূন্য। গ্যাব্রিয়েল্লা তবে কোথায়?

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here