তিমিরে_ফোটা_গোলাপ পর্ব–৫১ Writer তানিয়া শেখ

0
691

#তিমিরে_ফোটা_গোলাপ
পর্ব–৫১
Writer তানিয়া শেখ

নিশুতিরাত। রুমের ভেতর জমাটবদ্ধ অন্ধকার। ইসাবেলার পাশে শায়িত মাদাম আদলৌনা নাক ডেকে ঘুমাচ্ছেন। সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পর শোয়ামাত্রই ঘুমিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ইসাবেলা অপেক্ষা করছিল মাতভেইর ঘুমানোর। দিনভর এক জায়গায় বসে,শুয়ে থেকে রাতে ওর ঘুম আসতে চায় না। বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করছে। অনেকক্ষণ ওর ঘুমানোর অপেক্ষা করতে করতে ইসাবেলার ক্লান্ত শরীর একসময় গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়।

“বেলা।” কানের কাছে ফিসফিসানি ডাকে ইসাবেলা সুড়সুড়ি পেয়ে অন্যদিকে পাশ ফেরে। কিন্তু একটা হাত টেনে ওর ঘুমন্ত দেহটাকে ঘুরিয়ে আনল আগের পাশে। ওকে জড়িয়ে ধরে আছে হাতটা। ইসাবেলা ঘুমের মধ্যে শুঁকছে। গন্ধটা ওর পছন্দের। ঘুমের ঘোরে হাসল। অস্ফুটে বলল,

“নিকোলাস, নিকোলাস।”

উষ্ণতা পেতে আরো সরে এলো ও। বালিশ ছেড়ে মাথাটা শক্ত কিছুর ওপর রাখল। অনুভব করল মাথায় কেউ হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। ঠিক তারপরেই কপালে ভেজা ঠোঁটের স্পর্শ। আবার নিজের নাম শুনতে পেল,

“বেলা, বেলা।”

পিটপিট করে চোখ খোলে ইসাবেলা। ঘুমে ঢুলছে চোখের পল্লব। মাথা সরিয়ে নিলো পেছনে। সেই অন্ধকারে একটা অস্পষ্ট মুখ দেখতে পায়। শীতের রাতের ঠাণ্ডায় জমে যাওয়া গালটাতে উষ্ণ হাতের তালু ঘর্ষিত হলো। বেশ আরাম লাগল ইসাবেলার। চোখটা আবার বন্ধ করতে হাঁপ ছাড়ার শব্দ শুনল। ভুরু কুঁচকে গেল ওর। তখনই মনে পড়ল আজ রাতে নিকোলাসের সাথে দেখা করার কথা ছিল। সেদিন আবেগে ভেসে গিয়ে নিকোলাসের গাল চুম্বন করেছিল। যখন বুঝল কী কাণ্ড করেছে এক মুহূর্ত আর সেখানে থাকেনি। নিকোলাসের হতবুদ্ধি হয়ে যাওয়া মুখটা স্মরণ করে সারাটাদিন মিটমিট করে হেসেছে। নিজের ওমন ধৃষ্টতা মনে করেও শরমে মরেছে। ওই লজ্জায় গত একটা দিন ও নিকোলাসকে এড়িয়ে গেছে। আজ ভেবেছিল লজ্জা-শরম ভুলে দেখা করবে। ওর লজ্জায় আত্মগোপন করাকে উপেক্ষা ভেবে রেগে আছে হয়তো নিকোলাস। কিন্তু কে জানত অধৈর্য নিকোলাস এই রুমে ওরই পাশে এসে শুয়ে থাকবে আজ রাতে।
এক নিমেষে ইসাবেলার ঘুম উড়ে যায়। চকিতে তাকাল। অন্ধকারে আস্তে আস্তে পরিষ্কার হলো নিকোলাসের মুখটা। মাথাটা একহাতের ওপর ভর করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। থতমত খেয়ে গেল ইসাবেলা। একবার মাতভেই, আবার মাদামের দিকে তাকাল। মাদাম তখনও নাক ডাকছেন। কিন্তু মাতভেই ঘুমিয়েছে কি না বুঝা গেল না। নিকোলাস হয়তো ওর ভয় আন্দাজ করল। ফিসফিসিয়ে বলল,

“ভয় নেই, ওরা গভীর ঘুমে নিমজ্জিত।”

স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ল ইসাবেলা৷ তারপর সপ্রতিভ হয়ে বলল,
“আপনি এখানে কেন?”

নিকোলাস সেকথার জবাব না দিয়ে বলল,

“আবার আপনি?”

ইসাবেলা চোখ পাকিয়ে রইল। এখানে শুয়ে আপনি তুমি নিয়ে তর্ক চললে বাড়ির সবাই নিশ্চিত জেগে যাবে। লজ্জা, সংকোচের মাথা খেয়ে কটমট করে চাপা গলায় বলল,
“আচ্ছা, তুমি, তুমি এখানে কেন? কেউ টের পেয়ে গেলে?”

“আমি ওসবের পরোয়া করি না।”

নিকোলাস ওকে জড়িয়ে ধরে আরো কাছে নিয়ে এলো। ইসাবেলা সাথে সাথে ওর বুকে হাত রেখে দুরত্ব তৈরি করে। সতর্ক করল,

“নিকোলাস!”

নিকোলাস আহত মুখে বলল,

“আমাকে কেন বার বার উপেক্ষা করছ, বেলা? গতকাল থেকে তোমার অপেক্ষায় ছিলাম। তুমি নিষ্ঠুর মানবী, আমার মন বোঝো না। তোমাকে দেখার অসুখে আমার হৃদয়টা ধুঁকে ধুঁকে নিষ্ক্রিয় হোক তাই বুঝি চাও?”

ইসাবেলা কথা খুঁজে পায় না। অদ্ভুত এক ভালো লাগা ছড়িয়ে যাচ্ছে দেহের অভ্যন্তরে। পিটার ওকে এমন করে কোনোদিন বলেনি৷ বড্ড অনভ্যস্তের মুহূর্ত কিন্তু অভিলাষী ছিল সবসময়ই। অপ্রতিভ হয়ে যায় তাই বার বার। ওর মাথার ওপর থুতনি রেখে নিকোলাস বলল,

“তোমাকে না দেখে আজকের দিনটাও শেষ হোক চাইনি বলে এসেছি।”

“রাত।”

“হ্যাঁ, ওই হলো। আমার দিনরাতে কোনো পার্থক্য নেই।”

ইসাবেলা মাথা দুদিকে নাড়িয়ে হাঁপ ছাড়ে। আবার ভুলে গিয়েছিল নিকোলাস মানুষ নয় পিশাচ। এই একটা কথা ওর সকল সুখ,স্বপ্নে গুন ধরিয়ে দেয় যেন। বুকে অসহ্য যন্ত্রণা হয়। নিকোলাস ওর গালে মৃদুভাবে হাতের তালু ঘষে বলল,

“ভোর হতে এখনও ঘণ্টা তিনেক সময় আছে। এই সময়টা এখানে নয় অন্য কোথাও একান্তে কাটাতে চাই। যাবে?”

মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানায় ইসাবেলা। নিকোলাস খুশি হয়। তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়াতে ইসাবেলা ওর হাত ধরে বলে,

“হুঁশ, শব্দ কোরো না। আগে তুমি যাও। আমি পরে আসছি।”

“যদি আবার ঘুমিয়ে পড়ো?”

“না, ঘুমিয়ে পড়ব না।”

“মনে থাকে যেন। বাইরে অপেক্ষা করছি। জলদি এসো।”

নিকোলাস ধোঁয়া হয়ে বেরিয়ে গেল রুম থেকে। ইসাবেলা আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়ায়। রুমের বাকি দুজন তখনও ঘুমিয়ে আছে। ইসাবেলা কাছে গিয়ে দুজনকে পর্যবেক্ষণ করে মনের ভয়টা দূর করল। ফ্রকের ওপর শীতপোশাক, পায়ে বুটজোড়া পরে সতর্কে রুম ছেড়ে বেরিয়ে এলো। তারপর বাড়ির পেছনের দরজা খুলে গেল বাগানের দিকে। নিকোলাস আগে থেকে সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল। ইসাবেলা ওর সামনে গিয়ে অন্যদিকে ঘুরে দাঁড়ায়।

“চলো।”

নিস্পৃহ গলায় বলল ইসাবেলা। নিকোলাসের মুখের হাসি একটু ম্লান হলো ইসাবেলার গম্ভীরতা দেখে। বলল,

“তুমি আমার ওপর রেগে আছো, বেলা?”

“না।”

“মিথ্যা বলবে না। আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি রেগে আছো তুমি। কেন?”

“কেন? তুমি ওভাবে রুমের ভেতর ঢুকে আবার জিজ্ঞেস করছ কেন? যদি ওরা দেখে ফেলত?”

“আগেও বলেছি, আমি ওদের পরোয়া করি না।”

“হুঁ!” চাপা ক্ষোভে গজগজ করছে ইসাবেলা। নিকোলাস খানিক রেগে গেল। ওর চোয়াল ধরে বলল,

“হুঁ কী হ্যাঁ?”

“ওই রুমে এখনও ওসব আছে নিকোলাস। যদি কিছু হয়ে যেত তোমার? মাদাম তোমাকে ভিক্টোরিজার সাথে দেখেছেন। তিনি কি ভাবতেন? মাতভেই না হয় জানে তোমার সাথে আমি প্রেম করি, কিন্তু_”

আচমকা নিকোলাসের বুকের ওপর আছরে পড়ল ও। এই আছরে পড়ার কারণটা অবশ্য নিকোলাস। বা’হাতে ওকে জড়িয়ে ধরেছে। অন্য হাত চোয়াল ছেড়ে গাল আলতো ছুঁয়ে বলল,

“প্রেম? বেলা, আমরা তাহলে প্রেম করছি?”

লজ্জায় অধোবদন হয়ে যায় ইসাবেলা। নিকোলাস মুচকি হেসে ওর থুতনি তুলে বলে,

“তাকাও আমার চোখে।”

ইসাবেলা দুদিকে মাথা নাড়িয়ে অসম্মতি জানাতে নিকোলাস ঝুঁকে এলো। ওর ঠোঁট একদম ইসাবেলার ঠোঁটে আলতো ছুঁয়ে যায়। চমকে তাকায় তখনই ইসাবেলা। নীল চোখজোড়া ওকে আর পলক ফেলতে দেয় না। নিকোলাস এক হাতে ওর গালে হাল বুলাতে বুলাতে বলে,

“আমরা তবে প্রেম করছি, হুম?”

সম্মোহিতার মতো মাথা নাড়ায় ইসাবেলা। ফর্সা মুখের ত্বক লাল রঙা আপেলের ন্যায় হয়ে উঠেছে। লাল রঙ নিকোলাসের ভীষণ পছন্দ, ভীষণ। নিকোলাসের হাতটা গাল থেকে ধীরে ধীরে ওর ঠোঁটের কোণে এসে স্থির হয়। বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে ঠোঁটের নিচটা ছুঁয়ে বলে,

“প্রেম করলে চুমু খাওয়াতে দোষ নেই, জানো?”

চোখজোড়া বিস্ফোরিত হয়ে ওঠে ইসাবেলার। এখন কী বলবে ও? ইসাবেলা নিজের শ্বাস প্রশ্বাসের শব্দ শুনতে পাচ্ছে না। ওর বুকের ভেতর থরথর কাঁপছে। নিকোলাস আবার প্রশ্ন করে,

“জানো?”

ইসাবেলা অস্থিরভাবে মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানাতে গিয়ে অঘটন ঘটিয়ে বসল। নিকোলাসের নাকের ওপরে ওর কপাল এসে সজোরে আঘাত করতে সরে দাঁড়ায় নিকোলাস।

“বেলা!” বিরক্তি প্রকাশ করল নিকোলাস। ইসাবেলা অপ্রস্তুত হয়ে বলল,

“আমি ইচ্ছে করে করিনি, বিশ্বাস করো। সরি।”

ইসাবেলা অপরাধী মুখে তাকিয়ে আছে। নিকোলাস দেখল ওর হাত কাঁপছে। গতবার ঠোঁট চুম্বনের পর ইসাবেলা চেতনা হারিয়ে ফেলেছিল। নিকোলাস জানে ওটা ইসাবেলার প্রথম পবিত্র চুম্বন ছিল। বলেছিল পিটারকে দেবে। কিন্তু ইসবেলা যখন নিকোলাসের তখন ওর প্রথম চুম্বনের অধিকারও সেই পাবে। এটাই তো নিয়ম। কার নিয়ম? অবশ্যই নিকোলাসের নিয়ম।
ইসাবেলা জ্ঞান হারানোর পর নিকোলাসের অনুতাপ হয়। মনে হয় ও যেন ইসাবেলার ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে অনুমতি নিয়ে চুমো খেয়েছে। বেচারি এসবে অভ্যস্ত নয়। ওর জীবনের প্রথম সবকিছু স্মরণীয় হওয়া উচিত এবং স্বেচ্ছায় আনন্দের সাথে। এখন থেকে এই ব্যাপারে সতর্ক হবে। ওর অস্বস্তি হয় এমন কিছু করবে না। ইসাবেলা এখনো প্রস্তুত নয় এসবে। সময় দিতে হবে। নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ওকে ততদিন। কিন্তু ইসাবেলা সামনে থাকলে সেটাই মুশকিল হয়ে যায় ওর জন্য। কপাল চুলকে এগিয়ে এসে ইসাবেলার কম্পিত হাতটা মুঠোর মধ্যে নিয়ে বলল,

“আমি ব্যথা পাইনি। মন খারাপ কোরো না, ঠিক আছে?”

“হুম।”

ইসাবেলার হাতে চুম্বন দিলো। মৃদু হেসে বলল,

“চলো।”

বেনাসের বাগান ছেড়ে ইসাবেলাকে নিয়ে এলো একটি নতুন স্থানে। ইসাবেলা অভিভূত হয়ে গেল জায়গাটার সৌন্দর্য অবলোকন করে। নিকোলাস কেবল ওকেই দেখছে। পৃথিবীর সকল সৌন্দর্য এখন বিবর্ণ ওর কাছে। একমাত্র জাগ্রত, প্রানবন্ত ইসাবেলার হাসি।
ইসাবেলা নিকোলাসের উপস্থিতি যেন ভুলে গেল সামনের সৌন্দর্য দেখে। জমিনের ওপর সাদা বরফের গালিচা। এখানে ওখানে মাথা তুলে আছে গুচ্ছ গুচ্ছ ইংলিশ প্রাইমরোজ, সিলা, স্নো ড্রপ আর টিউলিপসহ নানান রঙ বেরঙের ফুল। মাঝে মাঝে দাঁড়িয়ে আছে কয়েকটি রেড বেরির গাছ। টকটকে লাল বেরির গায়ে গায়ে অযাচিতভাবে লেপ্টানো তুষার। একটু দূরে পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে স্বচ্ছ পানির ঝিল। রুপোলি চাঁদের আলোয় ওর পানি চকচক করছে। ইসাবেলার অবলোকিত সৌন্দর্য প্রেম উচ্ছ্বাসে রূপান্তরিত হয় একটা ছোট্ট হরিণ শাবকের কারণে। রেড বেরি গাছের আড়াল থেকে বেরিয়ে ওটা ঝিলের জলের ধারে যায়। ঝুঁকে জল পান করছে। ইসাবেলার বিমোহিত স্তব্ধ কণ্ঠ দিয়ে তখনই উচ্ছ্বাস প্রকাশ পায়।

“নিকোলাস, হরিণ শাবক। ওহ ঈশ্বর! কী অপূর্ব, প্রীতিকর।”

ওর উচ্চ আওয়াজে ভয় পেয়ে হরিণ শাবক ছুটে পালিয়ে যায় মুহূর্তে। দুকাঁধ নত হয় হতাশায়।

“যা! পালিয়ে গেল।”

ইসাবেলা পেছন ফিরতে নিকোলাসকে পেল না। ভীত হয়ে ওঠে।

“নিকোলাস, নিকোলাস।”

না কোনো সাড়াশব্দ নেই। নিকোলাস ওকে এখানে একা ফেলে কোথায় যে গেল! ইসাবেলা কাছাকাছি দাঁড়ানো রেড বেরি গাছের তলে গিয়ে দাঁড়ায়। এই সৌন্দর্য এখন পানসে লাগছে ওর কাছে। এদিক ওদিক তাকিয়ে ও বার বার নিকোলাসকে খুঁজতে লাগল। একটু পরেই নিকোলাসের মানবরূপ ওর চোখে পড়ল। শুধু নিকোলাস নয়, ওর কোলে সেই হরিণ শাবক। ইসাবেলা সামনে এসে বলল,

“এই যে তোমার হরিণ শাবক। এবার খুশিতো?”

ইসাবেলা হা হয়ে দেখল ওর মুখ। তারপর নিজের বিস্ময় কাটিয়ে বলল,

“এটাকে আনতে গিয়েছিলে?”

“হ্যাঁ, তোমার ভালো লেগেছিল না?”

“আমার ভালো লেগেছে বলে এটাকে তুমি ধরে আনবে?”

“অবশ্যই। তোমার যা ভালো লাগবে তাই এনে দেবো। প্রেমিক হিসেবে এ আমার দায়িত্ব।”

ইসাবেলার গাল আবার লাল হয়ে ওঠে। নিকোলাস মুচকি হেসে ওর কোলে হরিণ শাবক তুলে দেয়।

“প্রেমিক, হুঁ!”

বিড়বিড় করে বললেও নিকোলাস শুনতে পায়। কাছে এসে বলে,

“তোমার প্রেমিক বেলা, শুধু তোমার।”

টুপ করে ওর ডান গালে চুমো দিতে ইসাবেলা ওর চোখে চোখ রেখে সব ভুলে যায়। এই সুযোগে হরিণ শাবকও লাফিয়ে পড়ে ওর কোল থেকে। দৌড়ে আবার পালিয়ে যায়। নিকোলাস দু-হাত কোমরে রেখে বলে,

“ব্যাটা আবার পালাল।”

হরিণ শাবকের পেছনে নিকোলাস অদৃশ্য হতে ইসাবেলা গালে হাত রাখল। এত ঠাণ্ডাতেও ওর গাল বুঝিয়ে তপ্ত হয়ে উঠেছে। লজ্জায় দু’হাতে মুখ ঢেকে মুচকি হেসে বলল,

“আমার প্রেমিক নিকোলাস, শুধু আমার।”

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here