#তিমিরে_ফোটা_গোলাপ
পর্ব–৬৪
Writer তানিয়া শেখ
পশ্চিমে সূর্য ঢলে পড়েছে। ঘোড়ার গাড়ির কোচওয়ানের সিটে বসে আছে পল। দৃষ্টি স্থির সামনের পথের দিকে। ঘোড়াগুলোর দৌড় বাড়াতে হাতের চাবুকটা সপাং করে মারল ওদের পিঠে৷ তীব্র আর্তনাদ করে ওগুলো আরও জোরে ছুটতে লাগল। গাড়ির ভেতরে আধশোয়া হয়ে বসা নিকোলাস। চোখদুটো স্থির, নির্জীব। কিছুদূর গিয়ে পল বলে উঠল,
“মালিক, রিগা পৌঁছে গিয়েছি আমরা।”
“রিগা!” নিকোলাসের নির্জীব, স্থির দৃষ্টির বদলে যায়। জানালার বাইরে তাকায় উজ্জ্বল চোখে। গোধূলির রঙ ছড়িয়েছে আকাশে। গাড়ির গতির জন্য দ্রুত সরে যাচ্ছে আশপাশের স্থান। এই শহর ওর প্রেয়সীর জন্মস্থান। এ কারনেই এখন শহরটাকে এত আপন মনে হচ্ছে। এই শহরের বাতাসে কী এখনও ইসাবেলার গায়ের গন্ধ মিশে আছে? নিকোলাস লম্বা শ্বাস টানলো। ইসাবেলাকে হারানোর ব্যথা এই মুহূর্তে তীব্র থেকে তীব্রতর হলো। ব্যথাতুর কণ্ঠে উচ্চারণ করে,
“আমি এসেছি তোমার শহরে, বেলা। এই শহরের বাতাসে খুঁজে বেড়াচ্ছি তোমার ঘ্রাণ। তোমার জন্মভূমির আকাশতলে তুমি হীন ভগ্ন হৃদয়ে উদভ্রান্তের মতো ঘুরছি আমি। বেলা, বেলা, ফিরে এসো আমার কাছে। যদি মানুষ না হয়ে পারো তবে বাতাস হয়ে হলেও ফিরে এসো। আমি ছুঁয়ে দেখতে না পারি অনুভব তো করতে পারব। সেই বা কম কীসের?”
নিকোলাস বোঝে এই কথাগুলো কেবল কথা হয়েই থাকবে৷ সত্যি হবে না। এই বুঝ ওকে আরও ভাঙে। অসাড় হয়ে আসে সমস্ত শরীর। গা এলিয়ে দেয় সিটে। চোখ বুঝে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। হঠাৎ ওর নাকে পরিচিত সেই সুবাস এসে লাগতে চকিতে তাকাল। প্রথমে মনের ভুল ভেবেছিল। কিন্তু তা নয়। বারকয়েক নাক টানতে সুবাসটার সত্যতা প্রমাণিত হলো। আনন্দে খানিক সময়ের জন্য স্তব্ধ মেরে বসে রইল। ইসাবেলা কী বাতাস হয়ে ফিরল ওর কাছে? সত্যি ফিরল?
“পল, গাড়ি থামা। এক্ষুনি।” কাঁপছিল নিকোলাসের গলার স্বর। পল দ্রুত ঘোড়ার লাগাম টানলো। মনিবের এহেন আচরণে অবাক কম হয়নি ও। নিকোলাস নেমে দাঁড়াতে ও ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে তাকাল। অদূরে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটিকে দেখতে পেল তখনই। ভালো করে দেখতে মেয়েটাকে চিনতে পারল।
“ইসাবেলা!” পল যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না। থ মেরে বসে রইল সেখানে।
নিকোলাসের মনের নানান আশঙ্কা এক নিমেষে দূর হয়ে গেল অদূরে দাঁড়িয়ে থাকা নারীমূর্তিটিকে দেখে। নিশ্চিত হলো ও। বাতাস নয় মানুষ রূপে দাঁড়িয়ে আছে ওর সামনে ইসাবেলা। এ কী ওর চোখের ভ্রম? ইসাবেলা এগিয়ে এলো। ভ্রম নয়। এ যে ওর ইসাবেলা। নিকোলাসের আনন্দের সীমা থাকে না। পা বাড়ায় ওকে কাছে টানার জন্য। কিন্তু থেমে যায়। আন্দ্রেই যে বলেছিল ইসাবেলা আগুনে পুড়ে মরেছে। আন্দ্রেই মিথ্যা বলেছিল? কেন বলবে এতবড়ো মিথ্যা? ইসাবেলা ছুটে এলো ওকে জড়িয়ে ধরতে। নিকোলাস অদৃশ্য হয়ে যায়। ইসাবেলা কি জেনেশুনে নিকোলাসকে ত্যাগ করেছিল? ইসাবেলা আহত মুখে চেয়ে আছে ওর দিকে। নিকোলাসের ভাবনা বিক্ষিপ্ত। ভেতরের পিশাচটা বার বার বলছে,
“প্রতারিত হয়েছিস তুই। বেলা তোর সাথে প্রতারণা করেছে।”
ক্ষোভে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠল নিকোলাস। কিছু বুঝার আগেই মুখ থেকে বেরিয়ে এলো,
“তুমি আমার হৃদয় ভেঙেছ, বেলা। তুমি আমার হৃদয় ভেঙেছ।”
ওর কথার মানে বুঝতে সময় লাগল ইসাবেলার। যখন বুঝল লাফিয়ে উঠে দাঁড়ালো।
“না, না, আমি তোমাকে ভালোবাসি নিকোলাস। খুব ভালোবাসি।”
ইসাবেলা জড়িয়ে ধরলো ওকে শক্ত করে।নিকোলাসের হৃৎস্পন্দন শুনতে পাচ্ছে ও৷ ওর দু বাহু ধরে টেনে নিজের থেকে সরিয়ে সরে দাঁড়ায় নিকোলাস। ইসাবেলার মুখ থেকে ভালোবাসি শোনার পর নিকোলাসের রাগ সামান্য কমলো। ক্ষুব্ধ মুখটা শান্ত হলো। চেয়ে রইল ওর চোখে একদৃষ্টে। কোনো ছল নেই, মিথ্যা নেই সেখানে। ইসাবেলা ক্রন্দনরত অবস্থায় আবার এগিয়ে এলো। নিকোলাসের রাগ বড়ো নির্মম। ইসাবেলার ভয় করছে। না, মৃত্যুর ভয় নয়। এত কাছে পেয়ে হারিয়ে ফেলার ভয়ে ভীত ও। সভয়ে নিকোলাসের ডান হাতটা ধরলো। নিকোলাস এখনও চুপচাপ চেয়ে আছে ওর দিকে। ইসাবেলা বলল,
“আমি তোমাকে ধোঁকা দিইনি নিকোলাস। বিশ্বাস করো আমাকে৷”
“বিশ্বাস! আমার স্থানে থাকলে তুমি করতে?”
নিকোলাস হাত ছাড়িয়ে ওর হাতটা শক্ত করে ধরলো। যেন সামান্য ঢিল দিলে ছুটে পালিয়ে যাবে ইসাবেলা। নিকোলাস অজান্তেই ইসাবেলাকে ব্যথা দিচ্ছে। ইসাবেলা তা বুঝতে দিলে তো?
“বিশ্বাস করাও আমাকে বেলা। বিশ্বাস করাও আমাকে তুমি ধোঁকা দেওনি। বিশ্বাস করাও এইমাত্র যা বলেছ সবটা সত্যি। তুমি আমাকে ভালোবাসো এ কথা সত্যি। বিশ্বাস করাও বেলা।” বলল নিকোলাস।
ইসাবেলা মাথা নিচু করে বলতে শুরু করল,
“সেদিন অস্বাভাবিক কিছু ঘটেছিল বেনাসের বাড়িতে। আমি আর মাতভেই রুমে বসে মাদামের অপেক্ষা করছিলাম। শেষ প্রহরে মাদাম ফিরলেন, কিন্তু মুমূর্ষু অবস্থায়। মাতভেইর কোলেই প্রাণ ত্যাগ করলেন মাদাম।” তারপর সেই ফুলের ব্যাপারটা বলল। নিকোলাস মনোযোগ দিয়ে শুনছে ওর কথা। ইসাবেলা বলল,
“পুরো বাড়িতে আগুন ধরে গেল মুহূর্তে। মাতভেইকে নিয়ে বেরিয়ে এলাম।”
মাতভেইর নাম শুনে নিকোলাসের চোয়াল শক্ত হয়ে ওঠে। ইসাবেলা টের পেয়ে বলল,
“ও আমার বোনের সন্তানের বাবা, নিকোলাস। তাতিয়ানাকে খুব ভালোবাসে মাতভেই। আমি ওদের এক করতে চেয়েছিলাম।”
“ওদের এক করতে গিয়ে আমাকে আলাদা করে এসেছিলে?”
“নিকোলাস!”
“জবাব দাও, বেলা।”
“আমার যে আর উপায় ছিল না তখন। বেনাসের বাড়ি আগুনে জ্বলছিল। জ্বলছিল ওরা সবাই। অজানা এক বিপদ আমাদের মাথার ওপর। তুমি সেখানে ছিলে না। কী করব বুঝতে পারছিলাম না আমি। মাতভেইকে বিপদমুক্ত করতে সেই মুহূর্তে ওই স্থান ত্যাগ ছাড়া আর কোনো পথ ছিল না আমার নিকোলাস। আমি তোমাকে ওভাবে ছেড়ে আসতে চাইনি। ওখানকার অবস্থা তোমার অজানা নয়। চারিদিকে যুদ্ধের ভয়াবহতা। রাস্তায় জার্মান আর্মির টহল। আমাদের যাওয়ার আর কোনো জায়গা ছিল না। মাতভেই বলল রিগা রওয়ানা দিলে ভালো হবে। আমি অপেক্ষা করতে চেয়েছিলাম বিশ্বাস করো। কিন্তু,,।”
ইসাবেলা এক হাতে মুখ ঢেকে কাঁদতে লাগল। আর যে মিথ্যা বলতে পারছে না ও। আন্দ্রেইর কথা বলা সহজ হলেও ইসাবেলা বলল না। ভাইয়ে ভাইয়ে সম্পর্ক খারাপ করতে চায় না। নিকোলাস আন্দ্রেইকে বিশ্বাস করে, ভালোবাসে। ইসাবেলা নতুন করে ওর মন ভাঙতে পারবে না।
“তুমিহীন এক মুহূর্ত আমার নরকসম ছিল নিকোলাস। আমার প্রতি প্রহরের অপেক্ষায় তুমি ছিলে। আমি তোমাকে ভালোবাসি নিকোলাস, সত্যিই ভালোবাসি।”
নিকোলাস ওর হাত ছেড়ে দেয়। ওর কেন যেন মনে হচ্ছে ইসাবেলার কিছু লুকাচ্ছে। কী লুকাচ্ছে নিকোলাসকে জানতে হবে। অনেক প্রশ্নের উদয় হয় মনে৷ কিন্তু এখনই প্রশ্নগুলো করল না। তবে এখন ও এইটুকু নিশ্চিত হলো ইসাবেলা ওকে ধোঁকা দেয়নি। পুরোপুরি সত্যিও বলছে না। মুখ থেকে ওর হাতটা সরিয়ে নেয়। কেঁদে মুখ লাল করে ফেলেছে ইসাবেলা। হিচকি উঠছে। নিকোলাস আঁজলা ভরে ওর মুখটা তুললো। বৃদ্ধাঙুলে চোখের পানি মুছিয়ে দেয়। এই মেয়েটাকে ফিরে পাওয়ার জন্য কতই না ব্যাকুল হয়েছিল। আর ওকেই কি না এভাবে কাঁদাচ্ছে? মনে মনে নিজেকে তিরস্কার করল নিকোলাস।
ইসাবেলা সম্মোহনী চোখে চেয়ে আছে। ধীরে ধীরে মুখটা কাছে আনল। দু জোড়া ঠোঁটের মাঝে কিঞ্চিৎ দুরত্ব। ওইটুকু ঘুচাতে চাইল ইসাবেলা। নিকোলাস হঠাৎই সরে দাঁড়ায়। ইসাবেলা এমনটা আশা করেনি। আহত মুখটা লজ্জায় নামিয়ে নিলো। ছলছল করে উঠল চোখ। ভগ্ন কণ্ঠে বলল,
“তুমি এখন আর চাও না আমাকে নিকোলাস?”
নিকোলাস চুপচাপ ওকে দেখছে। এই তো একটু আগেও এই মেয়েটিকে ফিরে পাওয়ার জন্য কতটা উদগ্রীব হয়ে ছিল। এখন কাছে পেয়ে বার বার দূরে ঠেলে দিচ্ছে? নিকোলাসের দৃষ্টি স্থির হয় ইসাবেলা কম্পিত ঠোঁটের ওপর। ইসাবেলার ঠোঁটের আহ্বান উপেক্ষা করা সহজ ছিল না ওর জন্য। ওইটুকু নিয়ন্ত্রণ ইসাবেলার ভালোর জন্য ছিল। রক্তাক্ত ঠোঁট কিংবা শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে ফেলতে চায়নি বলেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। এতদিনের বিরহ এবং ইসাবেলার ভালোবাসা প্রকাশের পর ওকে না ছুঁয়ে থাকা একপ্রকার টর্চার ছাড়া কিছু না। ইসাবেলা ফুলের ন্যায়৷ যাকে আদর-আহ্লাদে, যত্নে, বড়ো কোমলভাবে ভালো না বাসলে বুঝি মূর্ছা যাবে। তাই কি হতে দিতে পারে নিকোলাস? অথচ, বোকা মেয়েটি ভাবছে ওকে নিকোলাস চায় না। ওকে যে নিকোলাস কতটা চায় তা শীঘ্রই বুঝিয়ে দেবে।
ইসাবেলা ওর জবাব না পেয়ে বলে,
“বুঝেছি। তোমার আর দোষ কী? এমন ভীরু, দুর্বল মেয়েকে কেই বা চাইবে? যে সামান্যতেই হার মেনে পালিয়ে আসে তাকে না চাওয়াই উচিত। ভালোবাসার জন্য লড়তে না জানলে তার ভালোবাসা পাওয়ার অধিকার নেই। তোমাকে পাওয়ার অধিকার আমারও নেই।”
ইসাবেলা বহুকষ্টে কান্না সংবরণ করে। নিকোলাস ওর থুতনি তুলে বলল,
“খবরদার যদি বলেছ আমাকে পাওয়ার অধিকার তোমায় নেই! আমি তোমার বেলা। একান্তই তোমার।”
নিকোলাস ওকে বুকে জড়িয়ে নিলো। ইসাবেলা পরম শান্তিতে ওর বুকে মাথা রাখে৷ আন্দ্রেই হেরে গেছে আজ। ইসাবেলা আবার ফিরে পেয়েছে নিকোলাসকে। ওর ভালোবাসা জয়ী হয়েছে আজ।এবার মৃত্যু ছাড়া আর কিছুতেই নিকোলাসের থেকে আলাদা হবে না ও। দু’ফোঁটা সুখের অশ্রু গড়িয়ে পড়ল চোখ দিয়ে। শুনতে পাচ্ছে নিকোলাসের হৃৎস্পন্দন তীব্র গতিতে বাজছে। সেই সাথে তাল মিলিয়ে বেজে চলছে ওর নিজের হৃৎস্পন্দনও। হাত রাখল নিকোলাসের বা’পাশের বুকের ওপর।
“নিকোলাস।”
“হুম?”
“উম,,একটা চুমু খাবে?” বলেই লজ্জায় আড়ষ্ট হয়ে উঠল। নিকোলাস মুচকি হেসে বলল,
“না।”
লজ্জা এবার অভিমানে রূপ নিলো। হঠাৎ কাজিনের ডাকে চমকে ওঠে ইসাবেলা। ভুলেই গিয়েছিল ওদের কথা। তাড়াতাড়ি নিকোলাসের কাছ থেকে সরে দাঁড়ায়। ওর সমবয়সী কাজিন কৌতূহলে চেয়ে আছে ওদের দিকে। মেয়েটির পাশে দাঁড়ানো ওর ছোটো ভাই। অচেনা পুরুষকে জড়িয়ে ধরতে দেখে ছেলেটিই ইসাবেলার নাম ধরে ডেকেছে। নিকোলাস মুখ নামিয়ে আনল ওর কানের কাছে।
“এবার বলো, খাবো চুমু?”
ইসাবেলা লাফ দিয়ে দূরে সরে গেল।
“না, না।” ঠোঁটের ওপর হাত চেপে ধরে সজোরে মাথা নাড়াতে হো হো করে হেসে উঠল নিকোলাস। লজ্জায় অধোবদন হয়ে যায় ইসাবেলা। নিকোলাস হাসি থামিয়ে কপালে চুমো দিয়ে বলল,
“যাও, রাতে দেখা করতে আসব।”
এক চোখ টিপে মুচকি হাসতে হাসতে গাড়ির দিকে চলে গেল নিকোলাস। গাড়িতে ওঠার আগে আরেকবার ইসাবেলার দিকে তাকায়। ইসাবেলা লাজুক মুখে হাসল। গাড়ি দৃষ্টিসীমার আড়াল না হওয়া পর্যন্ত সেখানেই ঠাঁই দাঁড়িয়ে রইল ও।
“যুবকটি কে?” জানতে চাইল ওর কাজিন। ইসাবেলার ঠোঁটের কোণে তখনও লেগে আছে প্রসন্ন হাসি। ও বলল,
“তোমার দুলাভাই।”
“হুঁ?”
“উম, না মানে আমার পরিচিত একজন।”
“পরিচিত না পরম আপনজন, হুম? আর হ্যাঁ, প্রথমটা কিন্তু শুনেছি আমি।”
“তোমার শ্রবণশক্তি খুব প্রখর। কাজিনদের শ্রবণশক্তি এত প্রখর হওয়া উচিত না।”
ইসাবেলা মেয়েটির কানের কাছে মুখ এনে আচমকা উচ্চৈঃস্বরে গান শুরু করে দেয়।
“ইসাবেল, ঈশ্বরের দোহাই এত জোরে গান গাওয়া বন্ধ করো। হায়! আমার শ্রবণশক্তি।”
মেয়েটি দু’হাতে কান বন্ধ করে ওকে থামাতে ব্যর্থ হয়ে বাড়ির দিকে দৌড়াতে লাগল। ইসাবেলাকে বহুদিন পর এমন পাগলামি করতে দেখে ভীষণ অবাক হয়েছে ও। ইসাবেলা কিন্তু ওর পিছু ছাড়ল না। মেয়েটির দুই ভাই এই দৃশ্য দেখে ভারি মজা পায়। হেসে গড়াগড়ি খায় ওরা।
চলবে,,,