#ক্রাশের_সাথে_বিয়ে
#পার্ট_০৬
#jannatul_ferdous
রাগিনী কাগজে রিত্তের নাম লেখা ছিলো।রিত্তের দিকে ইশারা করে দেখাতেই রিত্ত লাফিয়ে উঠলো।
রিত্ত-আমি কিছু পারি না।
নিশাত-পারতে হবে।
রিত্ত-আচ্ছা কী করতে হবে??
রাগিনী-তুই বরং একটা গান ধর।
রিত্ত-এখন গান।
রাগিনী-হুমমম।
নিশাত-গাইতেই হবে।
রাগিনী-হুম।
রিত্ত-ওকে।
রিত্ত খুব ভালো গান গাইতে পারতো।তাই গান শুরু করতেই সবাই অবাক হয়ে গেলো।গান শেষ হতেই আবার খেলা শুরু হলো।
এবার রনির নাম উঠলো।রনিকে বলা হলো নিশাতকে প্রপোজ করতে।
রনি-এটা কেমন?
রোদ-আরে খেলা তো।করে পেলো
রনি-আমি পারবো না।আমি জীবনেও করি নাই।
রোদ-আজকে করবা।
রনি-আপু.
রাগিনী-খেলার রুলস মানতেই হবে।
রনি-ঠিক আছে।
নিশাত-এমনে করবা নাকি।যাও ফুল আনো।
রনি-এ্যা পাগল হইছি এখন আমি ফুল খুজতে যাবো।
নিশাত-তাহলে তোমার মাথা দিয়ে করবা।
রোদ-আরে ফুল লাগবে না এমনিতেই কর।
রনি-ওকে।
—-এই ফুলটুসি শুনছো তোমাকে আমি পেত্নির মত সাজিয়ে আমার মনের মনিকোঠায় রেখে দিবো।শুনো পেত্নি তোমাকে আমি খুব ভালোবাসি।আর হ্যা এখন তোমাকে ঠিক শাকচুন্নির মত লাগছে।তবে আমার এই শাকচুন্নিকেই ভালো লাগছে।
নিশাত-রনি আজকে তোমারে আমি…….
বলেই দৌড়ানো শুরু করলো দুইজন।অনেক্ষন পর থামলো দুইজন।দুইজনের কান্ডে সবাই হাসছে।রোদ রাগিনীর হাসির দিকে তাকিয়ে আছে এক পলকে।রিয়া রোদের দিকে তাকিয়ে সেখান থেকে উঠে চলে গেলো।
নিশাত-আর খেলা না।এবার রোদ ভাইয়া আর ভাবি ডান্স করবে আমরা দেখবো।
রনি-আব্বু আম্মুকেও ডেকে নিয়ে আসি।
রোদ-আরে না কিসের ডান্স।
নিশাত-আমি সবাইকে আনছি।
রাগিনী-প্লিজ না।
রিত্ত-করতেই হবে।
নিশাত সবাইকে ডেকে নিয়ে আসলো।দুইজনেই আপত্তি করে কিন্তু কেউ শুনে না।রাগিনী লজ্জায় লাল হয়ে গেলো।
মিউজিক বাজানো শুরু হলো। কিন্তু ডান্স করতে গিয়েই হঠাৎ করেই কল আসলো রোদের ফোনে।তাড়াতাড়ি বের হয়ে গেলো রোদ।রাগিনীর দিকে একটা বারও তাকালো না,রোদের চলে যাওয়া দেখে রাগিনীর চোখে পানি টলমল করছিলো।কিন্তু রোদ তাকিয়েও দেখলো না।
রিত্ত-মনে হয় কোনো ইম্পোটেন্ট কল আসছে তাই এভাবে চলে গেছে।
নিশাত-হুম নিছে চলো।
রাগিনী-হুমম।
ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
বিকেলেই রাগিনী বাবা মায়ের সাথে বাড়িতে চলে গেলো।কিন্তু রোদের আসার কোনো নামেই নেই।একটা কলও দেই নি।সারাটা রাত রাগিনীর ঘুম হলো না।কিন্তু রোদের একটা ফোন দেওয়ারও প্রয়োজন নেই। কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে গেলো রাগিনী।
পরের দিন সকালে রাগিনী মন খারাপ করে গার্ডেনে বসে আছে।রনি দুই বার এসে বকা খেয়ে চলে গেছে।
হঠাৎ কারো উপস্থিতিতে রাগিনী ভাবলো রনি আসছে।
রাগিনী-রনি তুই আবার এসেছিস কেনো?
রোদ-আমি রনি না।
রাগিনী-তোমার সাথে আমার একদম কথা নেই।
রোদ-সরি রাগিনী।
রাগিনী-যাও তো এখান থেকে।
রোদ-আইসক্রিম আনছি খাবে না?
রাগিনী-না।
রোদ-চলো একটু ঘুরতে যাবো।
রাগিনী-না।
রোদ-মিষ্টি বউ টা এত রাগ করছে।
রাগিনী-হুম।
রোদ-তুমি কী জানো আমার মিষ্টি বউটা না হাসলে একদম ভালো লাগে না।
রাগিনী-হাসবো না
রোদ-কান ধরলাম।
রাগিনী-হবে না।
রোদ-উঠবস করি।
বলেই রোদ কান ধরে উঠবস করতেই রাগিনী হেসে উঠলো।
রোদ-এই তো মিষ্টি বউটা হাসছে।
রাগিনী-কাল চলে গেছিলে কেন?
রোদ-আমার একটা কল আসছিলো।
রাগিনী-কে দিছিলো?
রোদ-আরে ভুল নম্বর। আমাকে ওইখানে নিয়ে আটকে রাখছিলো।তারপর……
রাগিনী-তারপর কী?
রোদ-একটু মারামারি হইছিলো।
ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
রাগিনী-তোমার লাগে নি তো?
.
রোদ-এই যে হাতে একটু ছুরির আঘাত পেয়েছিলাম।তাই কালকে হাসপাতালে ছিলাম,আজকে এসেছি।
রাগিনী-আর আমি না জেনে….আচ্ছা দেখি কই লাগছে???
রোদ-আরে তেমন না।
রাগিনী-আমি দেখবো।
রোদ-এই তো একটু কেটে গেছে।
রাগিনী কেঁদে দিলো রোদের অবস্থা দেখে।
রোদ-আরে পাগলি আমার কিছু হয় নাই।
রাগিনী-আর এভাবে কোথাও যাবে না।
রোদ-ঠিক আছে পাগলী।
রাগিনী রোদকে জড়িয়ে ধরলো।রোদ রাগিনীর চোখের পানি মুছে দিয়ে বললো—-সকালে থেকে তো কিছুই খাও নি।চলো খেয়ে নিবে।
রাগিনী-আইসক্রিম কই?
রোদ-আছে চলো আগে খাবার খাবে।
রাগিনী-হুমমম।
খাবার খেয়ে রাগিনী রুমে বসে আইসক্রিম খাচ্ছিলো।রোদ তাকিয়ে আছে ওর বাচ্চামি গুলো দেখছে।
রোদ-আমাকে দিবে না?
রাগিনী-না।
রোদ-ওকে আমিই খেয়ে নিবো।
বলেই রোদ এগিয়ে আসলো রাগিনীর দিকে।রাগিনী আইসক্রিম গুলো লুকিয়ে পেললো।রোদ রাগিনীর অবস্থা দেখে হেসে উঠলো।
.
।
#________________চলবে________________
।
।
#আপনাদের উৎসাহ পেলে পরবর্তী পার্ট দিবো। আসা করি সবাই লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকবেন।