ঐ বেশ্যা টা কে গিয়ে জিজ্ঞেস কর,কার সাথে শুয়ে ছিলো,
আসছিলাম তোর মেয়ে টা কে দেখতে,
কিন্ত এসে যে তোর বউয়ের এই সব দেখতে হবে ভাবতে পারেনি,
রাফি অসহায়ের মত শুধু কথা গুলো শুনছেন,
কিছু বলতে পারছেনা,
রাফি; রাতুল মা কোথায় মা কে নিয়ে আয়,
রাতুল; আন্টি কে ঐ পতিতালয়ে নতুন য়ে যেতে চাই না,উনি ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন,
রাফি; রাতুল কি বলছিস এই সব ভাই,
রাতুল ; হুম ঠিক বলছি,আন্টি জানে না তোর সাথে দেখা করতে আসছি,ভাবছিলাম বলব কিন্ত তা আর বলা হবে না,,,,
রাফি; ভিতরে চল?
রাতুল; না,তোর মেয়ে কে নিয়ে দেখে চলে যাবো,
রাফি খুব রাগ নিয়ে ভাসার ভিতরে গেলো,
রিয়া রান্না করছিলো আর মুনতাহা কাঁদছিলো,
রিয়া; কাঁদে না মা,তোমার বাবা চলে আসবে,কেঁদো না মা আমার অনেক কাজ আছে,
রাফি মুনতাহা কে কোলে নিতে গেলে,
রিয়া বলল,আরে তুমি আজ এখনি চলে আসলে যে,
কি বলবে রিয়া কে রাফির মনে হচ্ছে সব তো ঠিক ভাবে চলছে,
রিয়ার সামনে এসে কিছুই বলতে পারে না,
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
রাফি; আমি একটু আসছি তুমি রান্না শেষ করো,
রিয়া; আচ্ছা
মুনতাহা কে রাতুলের কাছে নিয়ে গেলো,
রাতুল দেখে অবাক এত সুন্দর একটা বাচ্চা আল্লাহ এই হারামিদের ঘরে দিসে,
মনে মনে,
।
রাতুল; নাম কি রে?
রাফি; সিদরাতুল মুনতাহা.
রাতুল; বাহ খুব সুন্দর নাম,
আমি আন্টি কে দেখিয়ে নিয়ে আসি,তোর আসতে হবে না,রাফি মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে রইলো,
রাতুল মায়ের কাছে নিয়ে গেলো,
রাতুল; আন্টি আন্টি দেখেন কাকে নিয়ে আসছি,
আন্টি ; এই রাতুল, তুই বাচ্চা কই পাইলি,কার বাচ্ছা,
রাতুল; আন্টি আমার বন্ধুর বাচ্ছা,
আন্টি; খুব সুন্দর আমার কোলে দে,কি সুন্দর বাবু,
মা তার গলা থেকে স্বর্নের চেইন টা খোলে মুনতাহার গলায় পড়িয়ে দিলেন,।
রাতুল মাকে বললেন,আন্টি এটা কি করলেন আপনার স্বর্নের চেইন টা দিয়ে দিলেন,
আন্টি; এত সুন্দর মিস্টি একটা বাচ্চা না দিয়ে পারি,
রাতুল ; আন্টি আমি একটা ভুল করে ফেলছি,
।
–কি করছিস,
–আসলে এটা এটা আমাদের,
–কি বল,
–আসলে এটা আমাদের রাফির মেয়ে,
–কোন রা,,,,,বলে থেমে গেলেন,আর বাচ্ছাটার দিকে একবার তাকালেন আর বুকে একটু জরিয়ে নিলেন,
কিন্ত আন্টি রেগে যার বাচ্ছা তার কাছে দিয়ে আয় যা,
–কিন্ত আন্টি?
–যা বলছি তাই কর,
রাতুল মনে মনে আন্টি আপনি বাহিরে যত রাগ দেখান আমি ভিতরের আনন্দ টা দেখে ফেলেছি,আপনি যে দেখে খুশি হয়ছেন বুঝেছি,
এই বাচ্চার টানে একদিন আসবেন,
একটু পর;;;
রাতুল এই নি তোর মেয়ে,আন্টি দেখে খুশি হয়ছে,
–বলছিস ও আমার মেয়ে,
–না,(মিথ্যা বলল রাতুল)
আর রাতুল বলে গেলো,পারলে এই পতিতা কে ছাড়,
বলে চলে গেলো রাতুল,,
রাফি বাবু কে নিয়ে বাসায় গেলো,,
আর রিয়া কে বলল,
রাতুল আসছিলো বাসায়,,
–তোমার ঐ বন্ধু রাতুল।
–হুম,
–কই না তো,কিন্ত কেনো জিজ্ঞেস করছো,
–না, এমনি ও আসার কথা ছিলো তো,
–ওহ,,,,
রাফির খুব ইচ্ছে হল বাসায় কি হয় জানতে এই সব সত্যি নাকি মিথ্যা,
তাই একটি পেন ক্যামেরা কিনে আনে
আর রুমের এমন জায়গায় বসায়,
যে খান থেকে সব দেখা যায়।
সব সেট করে পরেরদিন অফিসে চলে গেলো,
আর যাওয়ার আগে বলে গেলো,
আজ অফিস থেকে ফিরতে অনেক রাত হবে,
বলে চলে গেলো,
ঐ দিকে রাফির মা বাসায় গিয়ে সবাই কে ডেকে বলল,রাফির একটা মিস্টি মেয়ে হয়েছে
সবার কাছে অনেক প্রশংসা করলো,
তখন রাফির ভাবি তার শাশুড়ী কে জিজ্ঞেস করলো,মা আপনার স্বর্নের চেইন টা কই,
–বউমা আমি ওটা রাফির মেয়ে কে দিয়ে আসছি,
রাফির বাবা তখন রেগে বলল তুমি ঐ কুলাঙ্গারটাকে দেখতে গিয়ে ছিলে।
–আমি তো রাফির সাথে দেখাও করি নাই,কথাও বলি নাই,রাতুল নিয়ে আসছিলো ওর মেয়ে কে,
কি মিস্টি মেয়ে,
–হয়েছে তোমাকে আর সাফাই গাইতে হবে না,
রাত ১১টায়,,,,
রাফি বাসায় আসে,
এসেই সেই পেন ক্যামেরা থেকে মেমোরি কার্ড খোলে ফোনে উঠায়,
আর যা দেখে তা দেখার জন্য মোটেও
প্রস্তুত ছিলো না,
পাশে ঘুমিয়ে থাকা মেয়ে টা কে কোলে নেয় চুমু খায়,
কিন্ত যা দেখছে তা রিয়া কে কিছু বলে না,
(সব সময় গল্প গ্রুপে পোস্ট করা সম্ভব হয় না,তাই বাকি গল্প পেতে Add দিয়ে সাথে থাকুন)
কিছুক্ষন পর রিয়া এসে বলে তোমার মেয়ে কিচ্ছু খায়নি,
তুমি ওকে ডেকে তুলো আমি দুধ গরম করে আনছি,
রিয়ার কথা মত মুনতাহা কে ডেকে তোলে, রিয়া দুধ গরম করে নিয়ে আসে,
আর বলে তুমি একটু খাওয়াও কস্ট করে আমার হাতে কাজ আছে
আর খাওয়ানোর আগে
তুমি একটু খেয়ে টেস্ট করে দেখো গরম আছে কিনা,
যেই কথা সেই কাজ,
একটু পর রিয়া এসে দেখে জনে ঘুমিয়ে আছে,
রাফি কে ডাকলো রিয়া কিন্তু কোন সারা নেই,
তারপর রিয়া ফোন টা বের করলো,
আর নয়ন কে কল দিয়ে বলল,,
খেলা শেষ বাবা মেয়ে দুজনই দুনিয়া থেকে বিদায়,,,,,,,,,,,,,?
বিঃদ্রঃ ব্যস্ততার কারনে গল্প বড় করতে পারছি না,তার জন্য ক্ষমা করবেন,
আর কেমন হয়েছে জানাতে ভুলবেন না,
(চলবে)
#গল্প_just_Friend
Writer:MD.Helal uddin
পর্ব-০৫