গল্প_just_Friend Writer:MD.Helal uddin পর্ব-০৮ শেষ

0
737

#গল্প_just_Friend
Writer:MD.Helal uddin
পর্ব-০৮ শেষ
,
গল্পের নায়কের নাম চেন্স করলাম,রাফি থেকে মাহমুদ,
একদিন রাতে অফিস শেষ করে বাসায় ফিরছিলো রাত তখন ৯টা বাজে,
হঠাৎ চোখ গেলো রাস্তার পাশে কিছু কুকুর
কিছু একটা ছিড়ে খাচ্ছে কিছু আবার মানুষের মত হচ্ছে তাই দেখার জন্য এগিয়ে যায়,
আবার আরেকটু এগিয়ে যায়,গিয়ে দেখে
একটা মেয়ের লাশ মুখ টা দেখা যাচ্ছে না,
তখন একটা লাঠি হাতে নিয়ে কুকুর গুলো
কে তাড়ানোর চেস্টা করে,
আর তখনি মুখখানি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে
এত রিয়া,
মাহমুদ দেখে শুধু একটু চমকে যায়,কিন্তু রিয়ার জন্য একটুও মন খারাপ হচ্ছে না,
এই কদিনে তা বুঝতে পেরেছে তাই খোঁজা ছেড়ে দিছে,
মাহমুদ সেখান থেকে মুচকি হাসি দিয়ে চলে আসে আর কুকুর গুলো আবার লাশ টা কে ছিড়ে ছিড়ে খেতে থাকে,
আর মানুষজন তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে,
কিন্ত কেউ কিছু বলছে না,
এটাই আল্লাহর শাস্তি,
আর মাহমুদ এটাও জানতে পারে রিয়া কি ভাবে মারা যায়,তা হল মহল্লার কিছু পোলাপান ইটপাটকেল মেরে মেরে রিতা কে মেরে ফেলে,
কারন একটা বাচ্চা চুরি করতে যেয়ে ধরা খায়,
মাহমুদ বাসায় ঢুকতে যাবে এমন সময় মাহমুদের মা ফোন দেয়,
–Hello মা বলো,
–তোর বাবা বাড়িতে আসতে বলছে,
–মা কাল আমার অফিস আছে?
–অফিস ছেড়ে দে,আর বাড়ি চলে আয়,
–বাবা তো আমাকে দেখতেই পারে না,
—আরে পাগল ছেলে তোর বাবাই বলে আসতে বলছে,সব গুছিয়ে চলে আয়,
—তাহলে আমি কাল সকালেই চলে আসবো,
–হুম তাই আয় আর আমরা সব জানি,
—মা মুনতাহা কেমন আছে,
—ও তো অনেক ভালো আছে,তোর বাবা তো এখন তোর মেয়ে কে ছাড়া কিছু বুঝে না,
তখন মাহমুদ দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে বাঁচা গেলো,
মেয়ের সত্যি ম্যাজিক আছে,
দেখলেই মায়ায় পড়ে যায়,
২বছর পর,,,,,,
আজ মাহমুদের বিয়ে বাবা মা মাহমুদের বাবা মা বিয়ে ঠিক করছে আর মুনতাহার তো বেশ পছন্দ মাইশা কে,
মাইশা হচ্ছে মুনতাহার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের ম্যাডাম,
বাসার সামনেই স্কুল তাই মা নিয়ে যায়,
শুধু অভ্যাস করার জন্য নিয়ে যায়,
বিয়ে টা আমি করতে চাইনি,
বাবা মায়ের ইচ্ছে যদি না শুনি এবার হয়তো আমার কপালে খারাপ কিছু আছে,
আর মুনতাহা যা চায় আমিও তাই,
এখন আমি বিয়ে বাড়ি মানে মাইশাদের বাড়ি,
আমি বর সেজে বসে আছি,আমার মেয়ে মুনতাহা এসে বলল বাবা বাবা জানো আমার মিস আজ অনেক সেজেছে তার নাকি আজ বিয়ে,
আচ্ছা বাবা আমারও কি বিয়ে হবে,
পাশে বসা ছিলো ভাবি এই মেয়ে ও মিস না, ও তোমার নতুন মা,
মুনতাহা ; তুমি তো আমার বড় মা, উনি নতুন মা,
ভাবি; হুম নতুন মা,আচ্ছা মুনতাহা তোমার নতুন মা কেমন,
মুনতাহা ; নতুন মা পঁচা,
ভাবি অবাক হয়ে কেনো পচা কেনো,
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
মুনতাহা ; দেখো না নতুন মা একাই সেজে বসে আছে আমাকে তো সাজিয়ে দিচ্ছে না,
ভাবিঃ চুপ দুস্টু মেয়ে,চল আমরা নতুন মায়ের কাছে যাই,
মাইশা খুবই নম্র ভদ্র রুপে গুনে কম না,
আমার চাইতে ভাল ছেলের সাথে বিয়ে হতে পারতো কিন্ত তা কোন দিন হবে না,
কারন মাইশা ১বছর ধর্ষণের শিকার হয় যার বিয়ে আসছিলো না,
যাক সে কথা, বিয়ে করে নিয়ে আসলাম মাইশা কে,
বাসর ঘরে বসে আছে মাইশা মুনতাহা মাইশার কোলেই ঘুমিয়ে পড়েছে,
আমি বাসর ঘরে প্রবেশ করলাম,
মাইশা উঠবে আমি বললাম উঠতে হবে না আপনি বসেন,
মাহমুদ ; আচ্ছা আপনার কোন সমস্যা হচ্ছে না তো,
মাইশা; না না,কোন সমস্যা হচ্ছে না,
মাহমুদ ; আচ্ছা মুনতাহা কে নিজের মেয়ের মত দেখে রাখতে পারবেন,
মাইশা; আপনি এই সব কি বলেন, ও তো এখন আমার মেয়ে,মুনতাহার কপালে একটা কিস দিয়ে বলল,আমি অকে সারাজীবন আমার কাছে রেখে দিবো,কি মিস্টি একটা মেয়ে,
মাহমুদ ; মুনতাহা ঘুমাচ্ছে লাইট টা অফ করে দেই,
মাইশা লজ্জা সেটা আপনার ইচ্ছে, বাকি টা ইতিহাস,
তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগলো,
গল্প টা বড় করার ইচ্ছে ছিলো অসুস্থ থাকার জন্য এখানেই শেষ করে দিতে হল,জানি শেষ টা মিলাতে পাড়িনি,তার জন্য ক্ষমা করবেন,।
কিন্ত এর পর আসবে আবাসিক হোটেল
(শেষ)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here