#গল্প_ব্ল্যাক_ভাইরাস
Writer:MD.Helal
পর্ব-০৮
,
রিয়াদ বের হয়ে যাবে এমন সময় দরজার কাছেই একটা ফোন পড়ে থাকতে দেখে,
ফোন টা খুব চেনা চেনা লাগছে,
রিয়াদ ফোন টা হাতে নিয়ে এটা তো
মাইশার ফোন এখানে কেনো,
কিন্ত রিয়াদ ফোনটা লুকিয়ে ফেলে কেউ দেখার আগেই,
তারপর ফোন টা বাসায় নিয়ে আসে
রিয়াদ ফোন টা ওপেন করে কিন্ত দুর্ভাগ্য ফোন টা তে কিছুই নেই
ফোন টা যে মাইশার তার কোন প্রমাণ নেই,
রিয়াদ মাইশা কে ডাকে,,,,,,,
রিয়াদ মাইশা কে নিরিবিলি এক জায়গায় তে আসতে বলে,,,,,
মাইশাও এসে যায় খুশি মনে,,,
মাইশা এসে দেখে রিয়াদ খুব গম্ভীর চিন্তিত,,
তখন মাইশা জিজ্ঞেস করে,,,, রিয়াদ কি হয়েছে তোমাকে এমন চিন্তিত দেখাচ্ছে কেনো, আর কি কারনে আমাকে এখানে ডাকলে,,,
রিয়াদ ; মাইশা তোমার ফোন কোথায়?
মাইশা খুব বিব্রত হয়ে যায়,,,
আর বলে আমার ফোন দিয়ে তুমি কি করবে,,,,
রিয়াদ ; কারন আছে কারন তোমার ফোন টা এখন আমার কাছে,,,,
মাইশা হেসে কি পাগলের মত বলছো,, আমার ফোন তোমার কাছে কি করে,,,,
রিয়াদ; এটা আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করব মাইশা তোমার ফোন নীলিমার বাসায় গেলো কি করে,,,,
মাইশা; এবার এটা বলো না আমি ব্ল্যাক ভাইরাস,,,
রিয়াদ; হুম তুমি তাই ব্ল্যাক ভাইরাস,,,
মাইশা; হাহাহাহা রিয়াদ মজা করুনা প্লিজ,,,
রিয়াদ ; আমি মজ করছি না,তুমি তোমার ফোন দেখাও,,,,
মাইশা; তুমি নাকি আমার ফোন পাইছো তো দেখাও,
রিয়াদ ; তখন নিজের পকেট থেকে ফোন টা বের করে দেখায়,,,আর বলে দেখছো এটা তোমার ফোন আর এর পিছনে আমি একটা স্টিকার লাগাইছিলাম কলেজে থাকতে যখন আমি দুদু মিয়া ছিলাম,
আর তুমি ব্ল্যাক ভাইরাস প্রমাণিত, তাই আমি তোমাকে গ্রেফতার করছি এই মুহূর্তে,,,,,
মাইশা ; ওয়েট এস আই রানা,আমিও কিছু দেখাই,,,
তখন মাইশা নিজের পার্স থেকে সেইম একটা ফোন বের করে দেখায়,,,,,আর বলে এই যে আমার ফোন আর এর পিছনে আপনার লাগানো স্টিকার আছে এই যে দেখেন,,,,,
স্যামসাং এরকম একটা ফোন বানাইনি এরকম অনেক ফোন বানাইছে এই মডেলের আর অনেক গ্রাহক কিনেছে
তাহলে কি তারাও অপরাধী,,,,
রিয়াদ ; মাইশা তুমি যত চালাকি কর না কেনো,একটা কাজ করতে ভুলে গেছো,,,
তাহল তোমার ফোনের সিম,,,,
মাইশা; হাহাহাহা যে ব্ল্যাক ভাইরাস সে কাঁচা কাজ কি ভাবে করবে,ঐ টা আমি আসার সময় সিম রিপ্লেস করে নিয়ে আসছি,,,,
রিয়াদ তার নিজের ফোন থেকে কল দিয়ে দেখে মাইশার হাতের ফোন বাজছে তার মানে সিম রিপ্লেস করছে,,,,,
মাইশা তখন একটু পিছিয়ে চিৎকার করে বলল হে আমি ব্ল্যাক ভাইরাস,,,
কি করবে আমাকে? কিচ্ছু করতে পারবে না এস আই রানা,
আমি লিমন,হিয়া,রাজ,নীলিমা মেরেছি তার কারন ওরা অপরাধী ছিলো,
ভালবাসার নামে ধর্ষণ, জীবন নস্ট এই গুলা করতো,জীবন নিয়ে খেলতো ওরা
তাই আমি ওদের নিজের হাতে শেষ করে দিয়েছি,,,আর ওদের রক্তের ঘ্রাণ নিয়েছি অপরাধীর রক্তের গন্ধ আমার ভাল লাগে,
রিয়াদ ; তুমি তো একটা সাইকো,
মাইশা/ হুম আমি একটা সাইকো,,,,,আমি পাগল, আমি মানুষিক রোগী হিহিহি কি করবে এখন বলো,,
রিয়াদ; তোমার সময় শেষ সাইকো,,,রিয়াদ কোমর থেকে পিস্তল টা বের করে মাইশার দিকে তাক করে ধরে,,,,আমি আগেই টের পেয়ে ছিলাম কিন্ত প্রামনের অভাব ছিলো,কিন্ত এখন সব প্রমান হয়ে গেলো,
এই দেখো পেন ক্যামেরা,,,,, এখানে সব আছে,,,,, প্রমাণ করার মত,,,
মাইশা; বোকা এস আই, তুমি সেই দুদু মিয়া রয়ে গেছো জানু,,,
কথা টা শুনে রিয়াদ অবাক হয়ে যায় পিস্তলের সামনে দাঁড়িয়ে গলা উঁচু করে কথা বলছে,,,,,,
মাইশা রিয়াদের কাধে হাত দিয়ে হে আমার জানু তুমি কি জানো তোমার প্রিয় মা প্রিয় বোন মানে আমার হবু শাশুড়ী মা, আমার ননদ আমার কাছে,,,
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
খুব আরামে আছে আদরে আছে হবু
বউয়ের কাছে,
আমি যদি এখন থেকে না যেতে পারি
তাহলে কি হবে বুঝতেই পারছো,,,,,,
রিয়াদ; তুমি এত টা নিচ আমার মা বোন কে,,,,,,
।
মাইশা; আমি কত নিচ তা এখনো দেখাইনি,,,,
যদি এখন থেকে না যেতে পারি তাহলে বুঝতেই পারছো,,,,।
এখন পেন ক্যামেরা টা দিবে আর এখান থেকে আমাকে যেতে নাকি মা বোন,,
রিয়াদ ; না তুমি যাও,,,,,
মাইশা; good boy, My love,,,
bye bye,,,,,,,,,
বলে চলে যায় মাইশা,,,,,
তার সাথে রিয়াদও চলে যায় বাসায়
আর গিয়ে দেখে মা আর রিমি তো বাসায়,
রিয়াদের নিজেই নিজের উপর রাগ হয়,
আর বলে আসলেই আমি একটা দুদু মিয়া,
তখন মা এসে আমাকে জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে রিয়াদ,,,
রিয়াদ; কিছু না মা,তোমাদের একটু
সাবধানে থাকতে হবে,,,
মা; কেনো কি হয়ছে,,,
রিয়াদ; আমি ব্ল্যাক ভাইরাস ধরতে চলেছি তার জন্য,,,
মা কথা টা শুনে চমকে যায়, আর বলে বাবা তোর ওই সব এর পিছনে না যাওয়াই ভালো,
(আজ ২পর্ব রাতে পোস্ট করা হবে পর্ব নং ৯ কোন গ্রুপে পোস্ট করা হবে না শুধু আমার টাইমলাইনে পাবেন,,তাই add দিয়ে সাথেই থাকুন)
রিয়াদ ; মা আমি পুলিশ, ভয় পেলে চলবে।
মা; না আমি চাই না, ঐ ভয়ংকর ব্ল্যাক ভাইরাস কে ধরিস যদি কোন ক্ষতি করে,
রিয়াদ ; মা আমি পুলিশ, ওকে ধরাই আমার কাজ,,,।
মা; তাহলে চাকরি ছেড়ে দে, তাই তোকে ধরতেও হবে না,তারপর তোর পছন্দ করা মাইশার সাথে বিয়ে দিয়ে সুখে শান্তিতে থাকতে চাই আমরা,
রিয়াদ; কি বললে মা,মাইশা তুমি নাম জানলে কেমন করে,,,
রিমি; ভাইয়া তোকে তো বলাই হয়নি আজ সকালে মাইশা ভাবি এসেছিলো, তোর পছন্দ আছে ভাইয়া,আর আমদের রান্না করে খাইয়ে গেছে,,,,,
রিয়াদ কথা টা শুনে আশ্চর্য হয়ে যায়,,,,
আর তার মাকে বলে ঐ মাইশা কে জানো,,,,,,
বিঃদ্রঃ আজ ৯ নাম্বার পর্ব পোস্ট করব রাতেই,,,,,তাই সাথেই থাকুন,,,
(চলবে)