প্রিয়ঃ দশম পর্বঃ মোর্শেদা রুবিঃ

0
673

#প্রিয়ঃ
দশম পর্বঃ
মোর্শেদা রুবিঃ
**************
পাপিয়ার বিয়ে উপলক্ষে মিজানুর রহমান সস্ত্রীক এসে দাওয়াত করে গেলেন।যদিও সাজেদারা বরপক্ষের লোক তবু মিজানুর রহমানের অনুরোধ ছিলো প্রিয়া যেন বোনের বিয়ে উপলক্ষে দুটো দিন থেকে আসে।সাজেদা বারন করার কোনো যুক্তি খুঁজে পেলেন না।তবে সব শুনে শারদ জানালো সে যাবেনা।তার নাকি অস্বস্তি লাগবে,সে কমফোর্ট ফিল করতে পারবেনা।অগত্যা প্রিয়া একাই যাবার প্রস্তুতি নিলো!শারদ জানালো সে প্রতিদিন গিয়ে মেয়েকে দেখে আসবে!

বিয়ের পর এবারই চাচার বাড়ীতে প্রিয়ার প্রথম থাকতে আসা।চাচাজান খুবই খুশি হলেন প্রিয়াকে পেয়ে।
তিনি পাপিয়া,সামিয়াকে ডেকে ওদের ঘরে নিয়ে যেতে বললেন।শারদ প্রিয়াকে দিতে এসেছে।
চাচাজান ওকে ডেকে নিজের সাথে বসালেন।চাচী প্রিয়াকে দেখে কতটা খুশী হলেন ঠিক বোঝা গেলনা তবে যেহেতু শারদ পাপিয়ার হবু বরের আপন খালাত ভাই সেই সূত্রে শারদের সাথে আপ্যায়নটা যথাযথ ভাবেই করার চেষ্টা করলেন।

প্রিয়ার চাচা জানালেন,বরের বাড়ীর মেহমানসহ ঢাকার বাইরে থেকে আসা কিছু ভিআইপি গেষ্টদের জন্য তিনি বাসার কাছেই একটি হোটেলে সবার থাকার ব্যবস্থা করেছেন।সেই সুবাদে প্রিয়া আর শারদের জন্যেও রুম বরাদ্দ করা হয়েছে।তিনটা গাড়ীর সার্বক্ষণিক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে অতিথিদের বাসা থেকে হোটেলে আনা নেয়ার জন্য। যদিও হোটেল বাসা থেকে খুব বেশী দুরে নয়।প্রিয়া জানালো, তার হোটেলে রুম লাগবেনা সে যেহেতু একা থাকবে তার বাড়ীতেই চলবে।
কিন্তু মিজানুর রহমান জোরাজুরি করায় শারদকেও রাজী হতে হলো।তাছাড়া যেহেতু হোটেলে থাকা হচ্ছে সেখানে তো আর জামাই এর থাকতে সমস্যা নেই।যে অস্বস্তির কারনে নিষেধ করা সেটাই তো থাকছেনা।

চাচী মৃদু আপত্তি করেছিলেন,’প্রিয়া’তো ঘরেরই মেয়ে।ও তো ঘরেই থাকতে পারে।চাচা এক ধমক দিয়ে চাচীকে সরিয়ে দিয়েছেন-“বেশী বোঝো? এখানে হই হুল্লোড়ে নতুন জামাই এর আপ্যায়নে ত্রুটি হলে?প্রথমত সে নিজের ঘরের জামাই দ্বিতীয়তঃ আরেক মেয়ের জামাইয়ের আপন খালাত ভাই।জামাই এর অনাদর হলে পাপিয়ার শ্বাশুড়ী বিষয়টাকে সহজ ভাবে নাও নিতে পারেন।
চাচী পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে চুপ করে গেলেন কিন্তু প্রিয়ার এই সুখী সুখী চেহারাটা তার অন্তর্জ্বালা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছিল।তার ধারনা তার মেয়ের সুবাদেই প্রিয়া এত ভাল বর পেয়েছে।
.
প্রথম দিনের ঘরোয়া অনুষ্ঠান শেষে চাচাজান নিজে সাথে করে শারদ আর প্রিয়াকে হোটেলে পৌঁছে দিলেন।তারপর ওদের পছন্দমত রুমের ব্যবস্থা করে তবেই বাড়ী ফিরলেন।হোটেল কর্তৃপক্ষকে বারবার সতর্ক করা হলো,আমার কোন গেষ্টের যেন এতটুকু অসম্মান না হয়।
.
নিরিবিলি পরিবেশ পাওয়াতে প্রিয়া খুশিই হলো কারন বিয়েবাড়ীর ভিড়ে প্রিয়র কষ্ট হতো।এখানে ওকে নিজের মত করে খাওয়া গোসল করাতে কোন সমস্যা হচ্ছেনা।
প্রিয়কে মানুষ করতে গিয়ে প্রিয়ার ওকে নিজের সন্তানই মনে হয়! প্রিয়কে এতটুকু কাছ ছাড়া করে স্বস্তি পায়না প্রিয়া।ওর সাথে যতক্ষণ সময় কাটায় মনটা অনাবিল আনন্দে ভরে থাকে।
.
প্রিয়কে ঘুম পাড়িয়ে শারদের পেছনে এসে দাঁড়ালো প্রিয়া।শারদ ল্যাপটপে কাজ করছিল।একবার ঘাড় ফিরিয়ে প্রিয়াকে দেখে ওর হাত দুটো পেছন থেকে টেনে নিজের গলায় মালার মত ঝোলাল।তারপর মাথাটা পেছনে হেলিয়ে প্রিয়াকে উল্টো দিক থেকে দেখতে লাগল।প্রিয়া হেসে ওর মাথাটা সোজা করে দিল-“কাজ করুন।”
-“আর তুমি?”প্রিয়াকে টেনে ধরে বলল শারদ।
-“আমি বসে বসে বই পড়বো”!
-“কি বলো? এখানে তুমি বই পড়বে?”
-“তো কি করবো?”
-“আমাদের বিয়ের পর এই প্রথম বাইরে ঘুরতে আসা।হানিমুন ট্রিপ না হলেও হানিমুন থেকে কোনো অংশে কম নয়।আর তুমি বই পড়ে সময় নষ্ট করবে?”
বলে শারদ ল্যাপটপ বন্ধ করে প্রিয়ার দিকে ফিরে বসল।
প্রিয়া অস্বস্তি নিয়ে বলল-“আপনি কাজ করুন,আমি নাহয় পাশে বসি?”
শারদ প্রিয়ার কাঁধে হাত রেখে সিরিয়াস ভঙ্গিতে বলল-“তোমাকে কিছু কথা বলি বলি করেও বলা হচ্ছেনা,আজ যখন সুযোগ পেলাম চলো নিজেদের কথাগুলোই শেয়ার করি,কি বলো?”
-“ঠিক আছে চলুন,বাইরে বসি,বারান্দাটা খুব সুন্দর।”
-“চলো”!
এরপর বারান্দায় বসে দুজনে নিজেদের জীবনের নানান কথা তুলে ধরল।শারদ নীরার কথা বলল।প্রিয়া মন দিয়ে শুনল।শারদ এক পর্যায়ে বলল-“তোমাকে সত্যি করে বলি,তুমি নীরা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।তোমার ধৈর্য্য,সহনশীলতা আর কেয়ারিং পারফরমেন্স আমাকে মুগ্ধ করেছে””!
-“যাহ! বাড়িয়ে বলছেন!”
-“স্যরি,বাড়িয়ে বলার অভ্যাস নেই আর ফ্ল্যাটারি করাও পছন্দ করিনা,আমি যা বলছি মন থেকেই বলছি।আমি খুব খুশি যে তুমি আমার মেয়েটাকে সুন্দর ইসলামী আদর্শে বড় করছো।সেদিন শুনলাম ও ঘুমুতে যাবার দুআ পড়ছে।শুনতে এতো ভাল লাগছিল।”
-“মাশাআল্লাহ বলুন,নয়তো নজর লেগে যাবে!”
-“মাশাআল্লাহ!” শারদ প্রিয়াকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলল-“একটা সত্যি কথা বলবে?”
প্রিয়া ইঙ্গিতে জিজ্ঞেস করল-“তোমার কোনো প্রেম কাহিনী নেই,তুমি তো দারুন একটা মেয়ে,অনেক পুরুষের স্বপ্নকন্যা,তোমার এমন কিছুই নেই?”

প্রিয়া মাথা নাড়ল-“বিলিভ ইট অর নট,আমি আলহামদুলিল্লাহ,এসব থেকে মুক্ত!ছোটবেলা থেকেই পারিবারিক ধর্মীয় অনুশাসনে বড় হয়েছি।বাবা মা মারা যাবার পর থেকে চাচাজানও আগলেই রেখেছেন।অল্প বয়স থেকেই বোরকা পড়া ধরেছি….এইতো”!
-“ওয়াও….তুমি তো তাহলে একেবারে আনকোড়া জিনিস”!
-“কি বললেন?জিনিস?” প্রিয়া ওর কাছ থেকে সরে কড়া দৃষ্টিতে তাকাল।
-“ওহ্,স্যরি স্যরি….স্লিপ অফ টাং” বলে সাথে সাথে কান ধরল শারদ।
প্রিয়া ওকে সরিয়ে দিয়ে বলল-“আপনার আজকাল স্লিপ অফ টাং টা বেশী হচ্ছে।”
-“আসলে তোমাকে পাবার পর থেকে আমার সব কিছুই এলোমেলো হয়ে গেছে!”
প্রিয়া কোনো মন্তব্য করলো না।

শারদ কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলতে শুরু করলো-” আসলে নীরার সাথে আমার বিয়েটাও ছিল একটা একসিডেন্ট!”
প্রিয়া হঠাৎ বাধা দিয়ে বলল-“থাক্….উনি মারা গেছেন,ওনার সম্পর্কে এভাবে বলেন না”!
শারদ প্রিয়ার হাত ধরে বলল-“তুমি সত্যি খুব ভালো মেয়ে,ইউনিক!একটা কথা রাখবে আজ?”
প্রিয়া তাকাল কিছু বললো না-“আমাকে ছেড়ে কখনো চলে যেয়োনা প্লিজ।আমার না রাগটা খুব বেশী।রাগ উঠলে মাথা ঠিক থাকেনা।কি বলি বুঝে বলিনা,পরে কষ্ট পাই”!
প্রিয়া ওর হাতে মৃদু চাপ দিয়ে বলল-“ইনশাআল্লাহ,আপনাকে কখনো রাগাবো না এই চেষ্টাই থাকবে আমার।”

শারদ ফিসফিসিয়ে বলল-“তোমার সাথে থেকে জানছি,হালাল প্রেমের কি মজা?সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর!”

-“আপনি না আসলেই অসভ্যদের মত কথা বলেন।”

-“তোমার সাথেই তো বলছি,বাইরের কারো সাথে তো বলছি না”!
-“হুমম!”
শারদ প্রিয়াকে টানল-,’চলো ঘুমাতে যাই”!
-“একটু পরেই আযান হবে,আমি তো ঘুমাবই না,আপনাকেও ঘুমাতে দেবোনা।চলুন কথা বলি!”
শারদ দীর্ঘশ্বাস ফেলে প্রিয়ার কাঁধে মুখ গুজলো।

আজ পাপিয়ার বিয়ে।চাচাজানের বাড়ীতে উৎসব একেবারে তুঙ্গে।শারদ একটা কাজে বাইরে গেছে বলেছে ঘন্টা খানেকের মধ্যেই কাজ শেষ করে একেবারে বরপক্ষের সাথে ফিরবে।
.
প্রিয়া ভেতরে একেবারে মেয়েদের মাঝখানে বসে আছে প্রিয়কে কোলে নিয়ে।
সবাই মেহেদী দিচ্ছে।সামিয়ার এক খালাতো বোন প্রিয়কে নিয়ে খুব মাতামাতি করছে,কোলে নেয়,চুমু দেয়।
প্রিয়া ভদ্রভাবে হেসে প্রিয়কে সরিয়ে নেয় কারন মেয়েটা বারবার ওর গাল ধরে বিরক্ত করছিল।
এরই মধ্যে সামিয়ার আরেক খালাত বোন এসে প্রিয় কে কোলে নিয়ে হাঁটাহাঁটি করা শুরু করল।
প্রিয়া উঠে গিয়ে প্রিয়কে ওর কোল থেকে নামাল-“পরে যাবে”বলে”!
কয়েকজন প্রিয়াকে ধরল-“আপু মেহেদী দিয়ে দেন না”!
-“আমার বাবুটা বিরক্ত করবে,তোমরাই দাওনা,আমি অত ভালো পারিনা”!
এতসব বলার পরও একটা মেয়ে সম্ভবত সামিয়ার ফ্রেন্ডের কেউ হবে,সে এসে প্রিয়ার হাতে টিউব গুঁজে দিয়ে বলল-“একটা হাতে দিয়ে দিন না আপু,প্লিইইজ।!”

অগত্যা প্রিয়া মেহেদী লাগাতে শুরু করল।তবে বারবারই ও প্রিয়র দিকে তাকিয়ে ওকে লক্ষ্য রাখতে শুরু করল।মেহেদী লাগাতে লাগাতে কয়েক মিনিট পর আবার তাকালো অমনি বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠল-“প্রিয় নেই”!

প্রিয়া টিউব ফেলে লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়ালো।কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করাতে বলল,সামিয়ার বান্ধবীরা ওকে নিয়ে বাইরে গেছে।প্রিয়ার ছটফটানী দেখে কে! নিজে বাইরে যেতে পারছেনা,একে তাকে অনুরোধ করতে লাগল-“এই আমার বাচ্চাটাকে একটু নিয়ে আসো তো,বলো আমি ডেকেছি”!

চাচী এমন সময় ঘরে ঢুকে প্রিয়ার তড়পানি দেখে মুখ ঝামটা দিলেন-“ইস্,তোর যত ঢং,নিজের পেট থেকে ফেললে তবু বুঝতাম! এত ঢং কিসের তোর? ওরা নিয়ে গেছে দিয়ে যাবে”!

-“না চাচী,ছোট মানুষ,ভীড়ে ব্যথাট্যথা পেলে…!”

অজানা আশঙ্কায় প্রিয়া কেঁপে উঠল।কিছুক্ষণ পর সামিয়ার বান্ধবী ঢুকল ঘরে।
প্রিয়া দৌড়ে গেল-“এই,প্রিয় কোথায়? যাও,ওকে নিয়ে আসো!”

মেয়েটা হাসল-“প্রিয় তো বাইরে ফ্লোরার কোলে”!

-“যার কোলেই থাক্,নিয়ে এসো,প্লিজ”!
মেয়েটা কাঁধ ঝাকিয়ে বের হয়ে গেল।ঘরে যারা ছিল তারা নিজেদের মত কাজ করতে লাগল।কেউ ফিসফিস করে বাঁকা মন্তব্য করতে লাগলো,’পরের বাচ্চার জন্য কত আদিখ্যেতাই না দেখাচ্ছে!”

মেয়েটা যে প্রিয়কে আনতে গেছে তো গেছেই,ফেরার নাম নেই,টেনশনে প্রিয়া ঘেমে ভিজে গেছে!
প্রিয় দেখতে গোলগাল নাদুস নুদুস পুতুলের মত দেখতে বলে সবাই ওকে দেখলেই আদর করতে চায়,কোলে নিতে চায়,প্রিয়ার এটাই টেনশন।

আজকাল মানুষগুলো অমানুষ হয়ে গেছে,বিয়েবাড়ীর মত হুলুস্থুলেই সুযোগ পেলে নোংরামী করতে ছাড়েনা।এদিকে সবাই যার যার মত আনন্দে মশগুল।বরের আসার অপেক্ষা করছে।হঠাৎ মনে পড়ল,শারদ আর মা এসে যখন জানবে তখন কি হবে।প্রিয়া পর্দা সরিয়ে বারবার বাইরে উঁকি দিতে লাগল।
.
এদিকে একঘন্টার ওপরে হয়ে গেছে প্রিয় ফিরছেনা দেখে প্রিয়া ভীষণ অস্থির হয়ে সামিয়াকে ডাকল।ওকে বলে ওর বান্ধবীদের ডাকল।সবাই এসে জানালো-“প্রিয় কার কোলে চড়ে যেন বাইরে গেছে! ও খুব কাঁদছিলো তো,তাই !”
প্রিয়ার মনে হলো ও এক্ষুনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাবে।

মেয়েটাকে ধমক দিয়ে বলল-“কাঁদছিলো তো আমাকে না দিয়ে বাইরে পাঠালে কেন?”

মোটামুটি একটা গোলমেলে পরিবেশ সৃষ্টি হলে প্রথমে চাচী তারপর বাইরের কিছু মহিলার মাধ্যমে চাচাজানের কান পর্যন্ত পৌঁছালো খবরটা।

চাচাজান নিজে ভেতরে এসে প্রিয়ার অবস্থা দেখে জিজ্ঞেস করলেন কি হয়েছে।প্রিয়া কেঁদে চোখ মুখ লাল করে ফেলেছে।এবার ওর মনে অন্য আশঙ্কা দানা বাঁধছে।প্রিয়কে কেউ নিয়ে নিয়ে গেলো না তো!

চাচাজান সান্তনা দিলেন-“ঘাবড়াসনা মা,আমি দেখছি,একটু ধৈর্য্য ধর”!
প্রিয়া মনে মনে আল্লাহকে ডাকল-“ও আল্লাহ! আমার বাবুটাকে নিরাপদে রেখো”!

এদিকে বরপক্ষের লোকজন এসে গেলেও কেউ হৈ চৈ করতে পারছেনা কারন গোটা বিয়ে বাড়ীতে একটা বাচ্চা হারিয়ে গেছে এই সংবাদ দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ল।
প্রিয়া দরোজার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলো,কেউ কেউ বাধা দিলো-
-“এই প্রিয়া, তুমি তো টলছো,পড়ে যাবে তো!”
তবু প্রিয়া দরোজা পর্যন্ত যেতেই ঝড়ের বেগে শারদ ঢুকল।প্রিয়া ওকে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে উঠল।পেছনে সাজেদা হাই এবং মাজেদাও প্রবেশ করলেন।শারদ কঠিন ধমকে প্রশ্ন করল-“তুমি কি করছিলে,কোথায় ছিলে?”

প্রিয়া মেহেদী শব্দটা উচ্চারন করতেই প্রচন্ড চড় খেয়ে ছিটকে পড়ে গেল।

চলবে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here