#গল্প_ব্ল্যাক_ভাইরাস
Writer:MD.Helal
পর্ব-০৬
,
রিয়াদ কোমর থেকে একটা রিভালবার বের করে সরি বলে দৌড় দেয়,
এদিকে ক্লাসের স্যার সহ সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে যে এটা কি দেখলাম, অনেকে নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতেও কস্ট হচ্ছে,
সবার মত মাইশাও গোলোক ধাধায় পড়ে যায়,
এটা কি ছিলো? কি হল?কি দেখলাম?
রিয়াদ কই গেলো তা দেখার জন্য, মাইশা বাহিরে যায়,কলেজে হইচই পড়ে গেছে আর মুহূর্তের মধ্যে কলেজে অনেক গুলো পুলিশের গাড়ি আসে,
কিছুক্ষন পর প্রায় ৪০-৫০জন লোক এক জায়গায় একত্র হল,আর সবার হাতে রিভালবার আর কানে হেডফোন, আর যা দেখা যাচ্ছে তা হল তারা ১২ জন কে ধরেছে,আর একজন স্পট ডেটথ,যা মনে হচ্ছে এটা একটা সিক্রেট মিশন ছিলো,
কলেজের অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়ে ছিলো,একটু পর স্টেজে রিয়াদ কে দেখা যায় মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে ফু দেয়,তারপর,
আসসালামু আলাইকুম,
সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আপনাদের আনন্দ মাটি করার জন্য,
এই কলেজে আমাকে অনেকে চিনেন দুদু মিয়া নামে কিন্ত আমি দুদু মিয়া না,
আমি এস,আই রানা,তখন রানা, এই কলেজে বড় ধরেনের একটা ক্রাইম হতে চলেছিল আমরা গোয়েন্দার মাধ্যমে জানতে পারি, আর এদের ধরতে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়,
আজকের দিন টা বেচে নেওয়া হয় তার কারন হল,এরা সব সময় একত্রে থাকে না আজই এরা একত্র হবে আমাদের কাছে খবর ছিলো,
এর মধ্যে একজন বলে স্যার এই ব্ল্যাক ভাইরাস টা কে?
তখন রিয়াদ বলে সরি রিয়াদ না রানা বলে,
ব্ল্যাক ভাইরাস সম্পর্কে এখন কিছু বলতে চাই না,এটার দায়িত্বে অন্য অফিসার আছে,
আপনাদের আর কোন ভয় নেই,
আপনাদের অনুষ্ঠান শুরু করতে পারেন,
ধন্যবাদ,
বলে রানা স্টেজ থেকে নেমে যায়,
এই দিকে মাইশা রানার সাথে কথা বলতে চায়,
কিন্ত কোন ভাবে রানার কাছে পৌছাতে পারে না, তার আগে গাড়িতে উঠে চলে যায়,
রাতে মাইশা ফোন দেয় রানা কে,
কিন্ত ১০বার ফোন দেওয়ার পরেও,
রানা ফোন রিসিভ করে না,
মাইশা হতাশ হয়ে ফোন রেখে শুয়ে পড়ে,আর ভাবতে থাকে হয়তো রিয়াদ কে আর সরি বলা হবে না,
কারন ঐ দিন মাইশা পুলিশ কে বলেছিলো এই ছেলে আমাকে ইভটিজিং করছে,কিন্ত তারপর মাইশা থানায় যায় কিন্ত পায় না রিয়াদ কে তারা কিছু বলতেই পারলো না,
আর অনুষ্ঠানের দিন মুলত রিয়াদ কে সরি বলতে আসছিল নীল শাড়ি পড়ে আর কিছু না বলা মনের কথা বলতে,
মুল গল্পে ফিরে যাই,
মাইশা ফোন রেখে,শুয়ে ভাবতে থাকে রিয়াদের কথা,এমন সময় মাইশার ফোন টা বেজে উঠে,
মাইশা দৌড়ে গিয়ে ফোন টা হাতে নেয়,
ফোনের ডিসপ্লেতে রিয়াদের নাম ভাসছে,
মাইশা ফোন টা রিসিভ করে কানে ধরতেই মোটা ভারি কন্ঠে বলে উঠলো কে আপনি বার বার দিচ্ছেন,
মাইশা; আমি মাইশা,
রানা–আপনি ফোন দিয়েছেন কেনো?
—এতদিন তুমি করে বলতা আজ আপনি বলছো কেনো,
রানা–আগের আমি আর এখনকার আমি এক না,
—রিয়াদ আমি তোমার সাথে দেখা করতে চাই?
রানা; আমি রিয়াদ না,আমি রানা।
—তুমি আমার কাছে রিয়াদ,কাল ক্যাম্পাসে আসবা তো,
রানা;;;আমার হাতে সময় নেই,
–তাহলে আমি থানায় আসবো,
রানা; না, তা আসার দরকার নেই,আসবো আমি,
বলে ফোন টা কেটে দেয় রানা,
মাইশা নিজে নিজেই রেগে সালা পুলিশ না হলে ফোনের মধ্যে ঢুকেই মারতাম,আর বলতাম সালা আরও ফোন কাটবি,
কাল সরি বলেই আমি কেটে পড়বো,কারো কাছে অপরাধী থাকতে পারব না,,,
নয় আবার পড়ে গান গাইবো,, ম্যাইয়া রে ম্যাইয়া রে তুই অপরাধী রে,,,আমার যত্ন গড়া ভালবাসা দে ফিরাইয়া দে,,,,,
না বাবা আমি এই অপরাধী হতে চাই না,
কাল সকাল সকাল যেয়ে সরি বলে চলে আসবো,,,
এই সব ভাবতে ভাবতে ঘুমের ঘরে ঢলে
পড়ে মাইশা,
সকালে ঘুম ভাঙতেই ঘড়িতে তাকিয়ে দেখে ৯.৩০টা বাজে,,,,
মাইশা; ও আল্লাহ রিয়াদের সাথে ১০টায় দেখা করার কথা এখন কি হবে,,,,
মাইশা তারাতাড়ি উঠে সাজুগুজু করে
চলে গেলো ক্যাম্পাসে,
১১টা বাজে কিন্ত রিয়াদের কোন খবর নেই,
এসে চলেই গেছি নাকি আল্লাহই জানে,
মাইশা তখন ফোন টা বের করে ফোন দেয় রিয়াদ কে,
মাইশা; হ্যালো স্যার আপনি কই?
রিয়াদ; ৫মিনিট লাগবে আসতে,
মাইশা; হুম আসেন,একটু সময়ের মূল্য দিতে শিখেন,বলে ফোন কেটে দেয়,
কিছুক্ষন পর মাইশার চোখ গেটের দিকে পড়ে এমন সময় রিয়াদ বাইক নিয়ে কলেজে ঢুকে,
এই সালা দুদু মিয়া যে বাইক চালাতে পারে তা তো আগে জানতাম না,
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
মাথায় সেই আর আগের বোকা সিথি নেই,চুলে জেল লাগাইছে,চোখে কালো সানগ্লাস, আগে হয়তো মেকাপ করতো
আগের তুলনায় গায়ের রঙ অনেক টাই উজ্জল, গায়ে হোয়াইট টি-শার্ট আবার
জিন্স প্যান্ট পড়ছে দেখি,
দেখতে কাছে চলে আসে রিয়াদ,
কিন্ত আজ রিয়াদ কে দেখেই মাইশার মনে প্রেমের ঘন্টা বেজে গেছে,
রিয়াদ যতই কাছে আসছে ততই ভালবাসার ঝড় বইছে মনে,
মনের ভেতর অজানা এক অনুভূতি কাজ করতে থাকে,
রিয়াদ এসেই কি বলবেন বলেন,, খুব তারাহুরো করে কথা টা বলল,
মাইশা; এত তারা কিসের বাসায় কি বউ রেখে আসছো,
রিয়াদ; এই ফাউ পেচাল পারার জন্য
আসতে বলছিলেন,
মাইশা; তা হবে কেনো,সেদিন তো সিরিয়াস কিছু বলতে আসছিলাম,
কিন্ত তার আগেই আসল রুপ দেখিয়ে দিলে,তা আমার সাথে পরিচয় টাও কি অভিনয় ছিলো,
রিয়াদ কিছু বলতে পারছে না,কারন রিয়াদও মাইশার প্রতি দুর্বল,
রিয়াদও মাইশার কাছ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে চায়,কিন্ত যত দেখছে ততই আরো মাইশার মায়া জালে আবদ্ধ হচ্ছে,
রিয়াদ আবার আমাকে কি জন্য ডাকছেন তাই বলেন,
এখন মাইশা ভাবছে কি বলবে,
এখন কি বলা উচিত,
এমন সময় রিয়াদ ধমক দেয়, কিছু বলছেন না কেনো,
মাইশা ধমক খেয়ে বলে দেয় খুব দ্রুত আমি তোমাকে ভালবাসি,,,,,
রিয়াদ শুনে অবাক তাই আবার জিজ্ঞেস করলো কি বললেন আপনি,
।
এখন মাইশা ভয়ে বলে ফেলছে ভালবাসি,
ভয়ে বললেও সত্যি কথাই বলছে,
মাইশা ; তুমি ভুল কিছু শুনো নি,
(কাল গ্রুপ পোস্ট করব না,শুধু আমার আইডিতেই পোস্ট করব ,তাই বাকি গল্প পেতে Add দিয়ে সাথে থাকুন)
রিয়াদ; ভালই তো অভিনয় করতে পারেন দেখি,কিছুদিন আগে কি বলছিলেন,যখন আমি দুদু মিয়া ছিলাম,
মাইশা; তখন তো তুমি দুদু মিয়া ছিলা,একটা বোকার বাক্স ছিলা,
রিয়াদ তখন বাহ খুব ভালো, এখন যদি আমার চাইতে ভালো ছেলে দেখো তখন তো তার সাথেই,,,,,,,,? আর এটাই তোমাদের মত মেয়েদের স্বভাব,,,
মাইশা আঙুল তোলে এই কথা হুস করে বলবা,বোকা ছেলে কে কোন মেয়ে ভালবাসবে হে,,,
রিয়াদ; কেনো আমাকে কি তখন ঠিক করে নেওয়া যেতো না,একবার চেস্টা করে দেখতে,
মাইশা; সেটাই তো আমার ভুল হয়ছে,,
তার সরি অন্য দিকে মাইশা মুখ করে,
রিয়াদ ; এখন বলে লাভ নাই,
মাইশা; আরে স্যার সরি বললাম তো,
রিয়াদ ; বললাম না বলে লাভ নাই,,আমার বউ আছে,আমি বিবাহিত,
বলে রিয়াদ চলে গেলো,
মাইশা রেগে আগুন আর রাগে একা একা বক বক করতে লাগলো সালা তুই
বিবাহিত আগে বলবি না,,,,,
ইচ্ছে করছে মেরে ফেলি,,,,
কিছুক্ষন একা বসে রইলো আর
ভাবলো যদি বিয়ে করে থাকে তাহলে, এত কথা বলল কেনো,বলে দিলেই হতো আমি বিবাহিত, তাহলে কি আমাকে বোকা বানিয়ে গেলো,
দাঁড়া কাল থানায় যাবো আমি,,,,
মাইশা বাসায় চলে যায়,,,,,
রিয়াদ বাসায় যেতেই নেট টা অন করে ফেসবুকে যেতেই দেখে মাইশার ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট,,,,
তখন একটা কথা মনে পড়ে যায় রিয়াদের
রাজ যে নুড পিক গুলো ভাইরাল করেছিলো তার সাথে তো মাইশার কোন মিল নেই,
তাহলে ঐ নুড পিক কার,,,,,,,,,আর মাইশা কে,,,,,,,,,,,?
বিঃদ্রঃ গল্পটি কেমন হচ্ছে জানাতে ভুলবেন না,,,,,,
(চলবে)