বৃষ্টির_রাতে #রূবাইবা_মেহউইশ (৯)

0
412

#বৃষ্টির_রাতে
#রূবাইবা_মেহউইশ
(৯)

বাস এসে থেমেছে গন্তব্যে ; গন্তব্যে পৌঁছায়নি সুপ্রভা আর তাসিন৷ বাস থেকে নেমে আবার রিকশায় চড়তে হবে তাসিন সুপ্রভাকে হোস্টেলে পৌঁছাতে। তাসিন নামার আগেই নেমেছে তাদের সামনের সিটের যাত্রী তৌফিক আর তার স্ত্রী মিনি৷ সুপ্রভা এখনো একটু ঝিমিয়ে পড়া পায়ে নামলো বাস থেকে৷ তার কি হলো কে জানে ঘুম ভেঙে নিজেকে তাসিনের বুকে পেয়ে তার বুকটা ধ্বক করে উঠেছিল। ঠোঁট দুটো শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেল এক মুহূর্তেই। শক্ত পুরুষালি অচেনা কিংবা খুব একটা চেনা নয় বলা চলে এমন এক বুকে সে অর্ধেকটা রাত পার করে দিয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো তার নিজেকে অনিরাপদ মনে হয়নি একটিবার৷ বরং কক্সবাজার থেকে মেহউইশ আপু যখন বলল, একা ছাড়বে না তখন শুধু মনে হয়েছে এই লোকটা ছাড়া সে আর অন্য কারো সাথে বের হবে না। কি আজব! যাকে মাত্র এক ঝড়বৃষ্টির রাতে দেখেছে। যে জোরজবরদস্তি করে তাকে বাড়ি দিয়ে এলো সেই লোকটার প্রতি কারণ ছাড়াই ভরসা জন্মে গেল। এমনটা কেন হলো আগে তো কখনো কারো প্রতি হয়নি!

“এত আস্তে চললে তো এক দুপুরেও হোস্টেলে পৌঁছুতে পারবে না।” আকস্মিক বেজে ওঠা স্কুল ঘন্টার মত কানে বাজল তাসিনের কথাটা। সুপ্রভাও যেন তাতে চেতনা ফিরে পেল। সে ভালোভাবে তাকিয়ে দেখলো রাতের সেই যুগল সামনেই একটা রিকশা ডেকে তাতে উঠে পড়েছে। তাসিনের দিকে না তাকিয়েই সে খুবই ক্ষীণ স্বরে বলল, “স্যরি।”

তাসিন হাতের ঘড়িতে সময় দেখছিল। সুপ্রভার স্যরি শব্দটা কানে আসতেই সে চকিতে তাকালো৷ বিড়বিড়িয়ে বলল, “বাহ্ অসভ্য, ফালতু বলা লোককে আবার স্যরিও বলে তাহলে।” সেও রিকশা ডেকে সুপ্রভাকে বলল, “হোস্টেলের লোকেশন বলো ঠিকঠাক।”

সুপ্রভা রিকশাওয়ালাকে ঠিকানা বলতেই তাসিন রিকশায় চড়ে বসল। বিপত্তিটা শুরু হলো তখনই যখন সুপ্রভা খেয়াল করলো তাসিন দু পা ফাঁকা রেখেই বসেছে। পাশে অল্পখানি জায়গা আর তাতেই সংকোচ বোধ করলো সুপ্রভা। কি করে বসবে সে তার পাশে! লোকটার কি কমন সেন্স নেই নাকি?

সুপ্রভাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তাসিন বলল, “রিকশা কি দাঁড় করিয়ে রাখার জন্য ডেকেছি?”

তাসিনের এবারের কথাটা খুব লাগলো সুপ্রভার। সেও বলে বসল, “এক রিকশা একা নিজেই নিয়ে বসলে অন্যরা কোথায় বসবে?”

তাসিনের খেয়াল হলো নিজের দিকে। সে বাম পা সরিয়ে বা দিকে জায়গা দিলো। সুপ্রভার সংকোচ হলেও আর দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব নয় বলেই উঠে বসলো। সুপ্রভা বসার পরই তাসিন কেমন গুটিয়ে গেল। একটা রাত বাসে পাশাপাশি বসে আসতেও এতোটা সংকোচ কিংবা দ্বিধা হয়নি এখন আচমকা যতটা হচ্ছে। ঘাড় বাকিয়ে সে রাস্তার বিপরীতে তাকিয়ে রইলো। রিকশা চলতে শুরু করতেই চোখে পড়ল তৌফিকদের রিকশা ছাড়েনি৷ মিনি রিকশায় বসে আছে আর তৌফিক কোথা থেকে ছুটে আসছে হাতে একগুচ্ছ সাদা রজনীগন্ধা নিয়ে। মুগ্ধ দৃষ্টিতে সেদিকে তাকালেও পলকেই পেছনে পড়ে রইলো সেই দৃশ্য আর রিকশা সামনে এগোতে লাগল তাসিনদের।

” আপনিই মুরাদ তাই তো!”

রিশাদ প্রশ্ন করতেই অবাক হয়ে তাকায় মুরাদ আর টিয়া। দুজনেই সকালে ঘুম থেকে উঠে বিচে হাটতে বেরিয়েছিল। সেখানেই গিয়ে রিশাদ কথাটা জিজ্ঞেস করলো। মুরাদ হ্যাঁ বলতেই রিশাদ আবারও কণ্ঠস্বর আগের মতোই ভারী রেখে বলল, “তাসিন কবে ফিরবে বলেছে?”

“জ্বী, ও সুপ্রভাকে পৌঁছে দিয়ে আর দেরি করবে না।”

রিশাদ ভালো করে মুরাদের দিকে চেয়ে আবার আশেপাশে চোখ বুলালো।

“আপনার বাকি দুই বন্ধু কোথায়?”

“তারা দুজন ঘুমাচ্ছে এখনও।”

“তাদের ডেকে তুলন এবং খুব শিগ্রই সবাই বাড়ি ফিরে যান৷ আপনারা পালিয়ে এসে অন্যায় করেছেন। সেটা আমার বলার বিষয় ছিল না কিন্তু তাসিন মেহতাবের মামা ফোন করেছেন একটু আগে। আপনারা গ্রামে বড় কোন ঝামেলা সৃষ্টি করে এসেছেন যা আপনারাই সমাধান করতে পারেন।”

রিশাদের কথা শুনে ঘাবড়ে গেল টিয়া। মুরাদ শক্ত মানুষ ভয় ডর তার খুব কমই আছে। তবুও একটু যেন আতকে উঠল। তারপরও সাহস করে প্রশ্ন করলো, “ভাইয়া আপনাকে কি কিছু বলেছে তাসিনের মামা?”

” বলেছে আপনারা দুটো মেয়ে নিয়ে পালিয়ে এসেছেন৷ তার মধ্যে একজনের ভাইয়েরা তাদের বোনের জন্য আপনাদের এলাকায় খুব ঝামেলা বাঁধাচ্ছে। নিশ্চয়ই ওনার ভাইয়েরা!” রিশাদ টিয়াকে দেখালো। টিয়া এবার ভয়ে কাঁন্না শুরু করে দিল কিন্তু তারই মাঝে মুরাদ বলল, “না তার তো একটাই ভাই। সমস্যা সম্ভবত শিকদার পরিবার করছে। সুপ্রভার পরিবার কিছুটা ভয়ংকর রুপে থাকে সবসময়। আর সুপ্রভা তাদের একমাত্র বোন।”

“সুপ্রভা কি রাতে যে চলে গেল সে?”

এবার টিয়া কথা বলল, “হ্যাঁ ওর নাম সুপ্রভা।”

রিশাদ কিছু একটা ভেবে বলল, “তাসিন তাহলে বিপদ সঙ্গে করেই বেরিয়েছে। তার মামা ফোন করে বলেছে তার মা খুব চিন্তিত আছে। আপনারা তাকে সাবধান করে দিন আর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজেদের পরিবারের মুখোমুখি হোন আপনারা। পালিয়ে বিয়ে করা যতোটা অসম্মানের ততোটাই ভুল পদক্ষেপ। পরিবারের কথাটা ভেবে দেখুন তাদের কেমন লাগছে।”

রিশাদ আর দাঁড়ায়নি। সে চলে যেতেই মুরাদ রিমন আর সুমনকে ফোন দিলো। কথা বলে ঠিক করলো তারা গ্রামে ফিরে যাবে তার আগে কনফার্ম করবে সুপ্রভা তার পরিবারের সাথে কথা বলেছে কিনা৷

হোস্টেলের গেইটের কাছে এসে রিকশা থেকে নামলো তাসিন, সুপ্রভা। সকালের নাশতটাও আজ করার সুযোগ হয়নি এখনো৷ রিকশার ভাড়া মিটিয়ে তাসিন সুপ্রভাকে ডাকলো, “শোনো!”

সুপ্রভা তার সামনেই দাঁড়িয়েছিল। ডাক শুনে চোখ তুলে তাকালা তাসিনের দিকে। এই প্রথম, হ্যাঁ এটাই প্রথমবার সুপ্রভার তাসিনকে দেখা ভোরের আলোয় স্পষ্ট অবয়ব। ঠিক কতগুলো দিনের চেনা দুজন জানাশোনাও একটুখানি হয়েছে। যা হয়নি তা হলো সরাসরি মুখের দিকে তাকিয়ে স্থির চোখে তাসিনের মুখ দেখাটা। তাসিন দেখেছিল স্পষ্টভাবে সুপ্রভাকে হোটেলে তার ভাইয়ের পেছনে দাঁড়ানো৷ হোস্টেল গেইটের পাশে থাকা কৃষ্ণচূড়ার পাতার ফাঁকে কমলা রোদটা উঁকি মেরে পড়ছে তাসিনের বা চোখের পাপড়ি, তার ঠোঁট ঘেঁষে লম্বালম্বি খোঁচা দাঁড়িময় চিবুকে। কোন পুরুষের চোখের পাপড়ি কি এত ঘন হয়! সুপ্রভা কয়েক সেকেন্ড থমকে গেল নিজের ভাবনায়৷ তাসিন বলছে, “ফোন চালু করে বাড়িতে কল দিয়ে স্বাভাবিকভাবে কথা বলবে। তোমার পরিবারের মানুষ গুলো হয়ত উত্তেজিত স্বরে কথা বলবে, চেঁচামেচি করবে তুমিও হাইপার হইয়ো না৷ বরং শান্ত ভঙ্গিতে প্রশ্ন করবে কি হয়েছে যেন গত দু দিন তুমি এখানেই ছিলে৷ তুমি কিছু জানো না এমন ভাব কোরো। আমি ফিরে গিয়ে মুরাদদেরও বাড়ি পাঠাবো।”

একজন দ্বায়িত্ববান অভিভাবকের মত তাসিন বলে চলল। সুপ্রভা গরম মাথার মানুষ হয়েও কেমন করে যেন তাসিনের কথা চুপচাপ শুনলো। কথা শেষে সুপ্রভাকে হোস্টেলে ঢুকতে বলল তাসিন। সুপ্রভা পা বাড়ালো ঢোকার জন্য আবার ফিরে বলল, “নাশতা করবেন না?”

“এখানে নাশতা পাবো কোথায়? তুমি ভেতরে যাও গিয়ে নাশতা করে বাড়িতে যোগাযোগ করো। আর ভুল করেও বোলো না তুমি মুরাদ টিয়ার সাথে ছিলে।”

সুপ্রভা কথাগুলো শুনলো। তাসিন ফোনে সময় দেখে বলল, তুমি ভেতরে যাও।

” আপনি এখনই চট্টগ্রামে ফিরবেন?”

“হ্যাঁ, এখানে আর অপেক্ষা করে লাভ কি। এখানে আমার পরিচিত কেউ নেই যেখানে বসা যায় কিছু সময়।”

“আচ্ছা! ” বলেই সুপ্রভা তার কাঁধের ব্যাগটা থেকে ছোট একটা ব্যাগ বের করলো৷ তার থেকে টাকা পয়সা বের করছিল তা দেখে তাসিন বলল, “টাকা বের করছো কেন?”

“হোটেল রুম, খাওয়া আর বাস ভাড়া।”

কঠিন ভাষায় কিছু একটা বলতে গিয়েও থেমে গেল তাসিন। তার কি প্রয়োজন অযথা এই মেয়েটার সাথে ঝামেলা করার। বয়সের তুলনায় ম্যাচিউরিটি কম তার মধ্যে এমনটা ভেবেই নিজেকে সংযত রাখলো। শুধু ভারী কণ্ঠে বলল, “গেইটের ভেতরে যাও আমার লেট হচ্ছে। ”

তাসিন পা বাড়ালো এবার সামনের দিকে। কয়েক কদম চলেও গেল সুপ্রভা আবারও ডাকলো, “শুনুন।”

“বলো।” তাসিন থামলো কিন্তু এগিয়ে এলো না।

“ফোন নাম্বারটা দিন তো আপনার যদি কোন প্রয়োজন পড়ে বা টিয়াদের আপডেট জানার হয়!” প্রচণ্ডরকম একটা স্বাভাবিকতা ধরে রেখে কথাটা বলল। তবুও বুকটা দুরুদুরু করছে।
তাসিন মুখে মুখে নম্বরটা বলতে গিয়েও থামলো৷

“তোমার ফোন বন্ধ কিসে উঠিয়ে রাখবে নাম্বারটা?”

“কলম আছে আমার ব্যাগে” বলেই সুপ্রভা ব্যাগ থেকে কলমটা নিয়ে বা হাতের তালুতেই নাম্বারটা টুকে নিল। এরপর আর তাসিন দাঁড়ালো না। সুপ্রভা গেইট দিয়ে ঢোকার সময়ই দারোয়ান বলল, “তুমিই সুপ্রভা না?”

“হ্যাঁ মামা, এক সপ্তাহের মত ছিলাম না তাতেই আবার ভুলে গেছেন আমায়?”

“ভুলি নাই মেডামের অফিসে দেখা করো তোমার ডাক পড়ছিলো।”

হোস্টেল প্রধান শিলা মেডামের রুমে তার ডাক পড়েছিল মানে সিরিয়াস কোন ব্যাপার। না চাইতেও যেন একটা ভয় আগুনের হলকার মত গায়ে লাগল সুপ্রভার। তড়িঘড়ি সিঁড়ি বেয়ে তিন তলায় নিজের রুমে ঢুকে ব্যাগ রেখে একটা নোটবুক হাতে নিয়ে ছুটলো মেডামের কাছে। মিথ্যে একটা বাহানা সাজাতে গিয়ে ভালো কোন বুদ্ধি পেলো না। শেষ পর্যন্ত মেডামের কাছে যাওয়া ক্যান্সেল করে ঢুকলো নিজের রুমে৷ ব্যাগ থেকে ফোনটা বের করে চালু করে আগে চার্জে লাগালো। তার রুমমেট মেহরিন মাত্রই গোসল সেরে রুমে ঢুকেছে। তাকে দেখতেই ভূত দেখার মত চমকে গেল মেয়েটা।

“তুমি কোথা থেকে এলে?”

কৌতূহলী দৃষ্টিতে মেহরিন তাকিয়ে আছে। সুপ্রভা সেই দৃষ্টিকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে বলল, “কক্সবাজার থেকে।”

“তুমি কি পালিয়েছো বাড়ি থেকে?”

“পালাবো কেন?” ডোন্ট কেয়ার একটা ভাব সুপ্রভার চোখে মুখে। মেহরিন বিষ্ময়ের শেষ পর্যায়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো, “তুমি যেমন তোমার পরিবারও ঠিক তেমন।”

“এ্যাই আমার পরিবার নিয়ে বলছো কেন মেহরিন? ”

“তো কি বলবো তোমার ভাইরা একেকজন তো পুরাই ভিলেন ভিলেন। তারওপর তুমিও এমন সব কথা বলো আচরণ করো যেন দুনিয়ায় কিছুরই পরোয়া নেই।”

“সত্যিই নেই গো মেহু। আমার সত্যিই পরোয়া নেই কিন্তু তুমি আমার ভাইদের ভিলেন বললে কেন? ”

“যেমন দেখতে তেমনই বলবো না! কি অবাধ্য লোক, কত করে বললাম ভাইয়া আমি জানি না সুপ্রভার ব্যাপারে কিছুই। শুনলোই না লোকটা বলে কিনা তোমার ফোন চেক করবো। দেখতে তো একদম দানব তারওপর চুলগুলোও বড় বড় আর কেমন নাদুসনুদুস।”

“মেহরাব ভাইয়া এসেছিল?”

“নাম জানি না দুজন এসেছিল। বলে গেছে তোমার খোঁজ পেলেই যেন জানাই তা নয়ত আমাকে দেখে নেবে। কি ভয়ংকর কথাবার্তা।”

সুপ্রভার প্রথমে ভয় না লাগলেও এবার লাগলো একটু। সে চার্জে থাকা ফোন দিয়েই বড়দা ভাই এর নাম্বারে ডায়াল করল।

রোদে চকচকে আকাশটা মাত্র আধঘন্টার মধ্যেই মেঘে কালো হয়ে এলো। তাসিন একটা হোটেল থেকে নাশতা করে বাইরে এসেই বেশ খুশি হলো। দিনের জার্নিটা বৃষ্টিময় হলে মন্দ হবে না। আরো ভালো লাগত যদি ট্রেনে যাওয়া যেত। কিন্তু তা সম্ভব নয়। ট্রেনে গেলে আবার ঘুরে কমলাপুর যাওয়া লাগবে। তাই আর না ভেবে সে বাসের টিকিট কাটলো৷ সরাসরি চট্টগ্রামের বাস দুপুরের আগে একটাও নেই। কিন্তু অনেকটা সময় এখানে বসে কাটানোর মানেই হয় না ভেবে সে কুমিল্লার টিকিট কাটলো। চারপাশে ভালো করে এক নজর বুলিয়ে দেখলো জায়গাটাকে৷ এখান থেকে সুপ্রভার হোস্টেলে যেতে মাত্র সাত কি আট মিনিট লাগে। আচ্ছা মেয়েটা আজকে এমন ভিন্ন আচরণ করলো কেন?। গত দুদিন এবং সেই বৃষ্টির রাতে মেয়েটা এমন ছিল না। ছুরির তীক্ষ্ণ ফলার মত ছিল তার আচরণ ভাবতেই হাসি পেয়ে গেল তাসিনের। সে হাসতে হাসতে বাসের দিকে গেল। পুরো বাসে মাত্র তিনজন যাত্রী তারমানে বাস ছাড়তে দশটার জায়গায় নির্ঘাত এগারোটা বাজাবে। তাসিন উঠলো না বাসে। রাস্তার পাশেই চায়ের দোকান। বাতাসে চায়ের ঘ্রাণে তার নেশা নেশা লাগছিল৷ এক কাপ চা না খেলেই নয় ভেবে সে চা খেতে দোকানে ঢুকল৷ কিছুটা সময় চায়ের সাথেই না হয় কেটে যাক পরে ভাবা যাবে বন্ধুদের বিপদ থেকে উদ্ধারের কথা।

চলবে

(শেষে চায়ের লাইনগুলো আপনাআপনিই চলে আসছে 😑। গ্যাসের অভাবে আজ সারাদিন আমি চা ছাড়া থেকে এখন গল্প লিখতে গিয়ে দেখি চোখে শুধু ভাসছে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here