“এই বিয়ে আমি কিছুতেই করবো না বড়দা ভাই। বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমি এখনি গাড়ির নিচে পড়ে মরবো।”
মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে সুপ্রভা ফোন কানে ধরে বলছে কথাগুলো। তুমুল ঝড় বৃষ্টি মাথায় করে সুপ্রভা ঢাকা থেকে এসেছে বাসে করে। রাত বাজে এগারোটা বাসস্ট্যান্ড জনশূন্য।আশেপাশে একটা রিকশাও চোখে পড়ছে না বাড়ি ফিরবে কি করে? জেদ দেখিয়ে বাড়ি থেকে গাড়ি পাঠাতেও তো বারণ করলো ভাবতেই সে কয়েক পা এগিয়ে গেল আর তখনি কানে এলো, ”এ্যাই মেয়ে রাত বিরাতে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছো!”
কাথাটা কানে আসতেই সুপ্রভা চমকে ফিরে তাকালো। তুমুল বৃষ্টিতে চোখ খুলে তাকিয়ে থাকা দায়। পরনের জামাকাপড় ভিজে চুপসে লেপ্টে আছে শরীরে। সে চোখ দুটো কোনমতে খোলা রেখে দেখলো এক হাতে জ্বলন্ত সিগারেট অন্য হাতে ছাতা চেহারায় একরাশ ক্ষোভ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটা ছেলে। বৃষ্টির কারণে যতটুকুই ঝাপসা দেখা গেল ছেলেটিকে তার চোখে মুখে ক্রোধ যেন সুপ্রভা এই মুহুর্তে কোন ভয়ংকর কাজের দ্বারা তাকে রাগিয়ে দিয়েছে। সুপ্রভার হঠাৎ মনে হলো এটা কোন মেয়ে লোভী ছেলে নয়তো! আজকাল তো ভীড়ের মধ্য থেকেই মেয়ে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। কথাটা মনে আসতেই ভয়ে রক্ত হিম হয়ে এলো তার। এদিকে বৃষ্টির তোড় বেড়েই চলেছে লাগাতার তবে এখন আর ঝড়ো বাতাস বইছে না। ঢাকার রাস্তায় ল্যাম্পোস্ট থাকলেও এখানকার রাস্তায় কোন আলোর রেশ নেই। বাড়ন্ত রাত মানেই নিকষ কালো অন্ধকারে ঘেরা চারপাশ। ছেলেটা এক পা দু’পা করে আরেকটু কাছে আসতেই সুপ্রভা টের পেল তার হাঁটু কাঁপছে। সে চারপাশে চোখ বুলিয়ে মনে মনে দোয়া পড়ছে। বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমতে শুরু করেছে এই অবস্থায় সে চাইলেও তার স্লিপারগুলো পরে দৌড়াতে পারবে না। ছেলেটার মতলব কি তাই’বা কি করে বুঝবে সে! ছেলেটা আবারও ধমকের সুরে বলল, “বদ মেয়ে লজ্জা করে না পালিয়ে যেতে?”
এবার আর ভয় হলো না সুপ্রভার সেও পাল্টা ধমকে বলল, “অসভ্য লোক! কে আপনি হ্যাঁ এভাবে ধমকাচ্ছেন কেন আমাকে!”
সিগারেটের শেষ টান দিয়ে তা নিচে ফেলল ছেলেটা। মুখ ভর্তি ধোঁয়াটা পাশ ফিরে ছেড়ে দিলো। তারপর বা হাতের ছাতাটা ডান হাতে নিয়ে কাউকে ডেকে উঠলো, ” পটল এদিকে আয় তো। মেয়েটাকে ধর জলদি।”
সাথে সাথেই ছোটখাটো প্রায় বাইশ – তেইশ বছর বয়সী একটা ছেলে এসে হাজির হলো সামনে। সুপ্রভার এবার খুব ভয় হলো। বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় একটা রিকশা নেই আর না আছে লোকজন৷ এটা গ্রামের দিকের রাস্তা হওয়ায় বড় কোন বাস, ট্রাকও আসে না। দুইটা ছেলে আর সে একা। এখন যদি এরা উল্টাপাল্টা কিছু করতে চায়! না এত ভাবার সময় নেই পালাতে হবে এখান থেকে তা ভেবেই সুপ্রভা তার ব্যাগটার হ্যান্ডেল ভালো করে চেপে ধরলো। কয়েক সেকেন্ডেই সে তার দিক ঠিক করলো কোন দিকে দৌড়ালে তার সুবিধা হবে। তারপরই আচমকা ব্যাগটা টেনে ছেলেটার উল্টো দিকে দৌড় দিলো৷ বিধিবাম, বড়সড় আর ভারী ব্যাগ নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে কতটুকুই’বা দৌড়ানো যায়! কয়েক পা যেতেই পিচ ঢালা রাস্তায় মুখ থুবড়ে পড়ে গেল সে। অমনি পটল নামের ছেলেটা আঁতকে উঠলো, “বস পইড়া গেলো তো।”
“ধর গিয়ে তুই জলদি। মেয়েটার বাড়ি কোথায় খোঁজ নিতে হবে।”
কথাটা বলেই মেহতাব বক্র চোখে দেখছে রাস্তায় পড়ে যাওয়া সুপ্রভাকে। তার ধারণা মেয়েটি বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছে এই রাতে। নিশ্চয়ই প্রেমিকের কাছে যাবে বলে বেরিয়েছে৷ একটু আগে সে শুনেছে মেয়েটির ফোনালাপ। বড় ভাইকে বলছিলো বিয়ে করবে না। ফালতু মেয়ে, প্রেমিকের জন্য বাবা মার মুখে চুনকালি মারতে পালিয়ে যেতেও দ্বিধা করে না। রাগ হলো তার খুব তাই পটলকে বলল, “তুই একে ধরে নিয়ে আয় আমি গাড়ি বের করছি। ঠিকানা জেনে তার বাড়িতে পৌঁছে দেব আর যদি মুখ না খোলে তবে সোজা পুলিশের কাছে দিবো। বেয়াদব মেয়ে বাড়ি ছেড়ে পালায় বিয়ের ভয়ে! যুগটাই নষ্ট হয়ে গেছে।”
রাগে গজগজ করতে করতে মেহতাব গাড়ির কাছে গেল। পটল বেক্কেলের মত দাঁড়িয়ে রইলো সুপ্রভার সামনে। মেয়েটা রাস্তা থেকে কোনমতে উঠে দাঁড়ালো। পাশে পড়ে থাকা ব্যাগটা টেনে সোজা করে দাঁড়াতেই পটল হাত ধরতে এগিয়ে গিয়ে বলল, “চলেন আফা আপনের বাড়িতে দিয়া আসি।”
“খবরদার, ধরবেন না। দূরে থাকুন, পুলিশে দেবো আমি আপনাদের। কি ভেবেছেন কি মেয়ে উঠিয়ে নিয়ে যাবেন। মগের মুল্লুক! ”
ঝুম বৃষ্টির রুমঝুম আওয়াজে কথাগুলো কারোই স্পষ্ট নয়। তবুও চিল্লাতে চিল্লাতে বলছিলো সুপ্রভা সে কারণেই আট, দশ কদম দূরে থাকা মেহতাব শুনলো । সে তাদের দিকে না ফিরেই বলল, “পটল হাত ধর মেয়েটার
”
“বস, মাইয়া মাইনষেরে ধরা ঠিক হইবো না।”
পটলের কথা শুনে তৎক্ষনাৎ মেহতাব অন্য উপায় বলল, “মেয়ে হিসেবে ধরা ঠিক না হলো বোন হিসেবে ধর।”
সামনে থাকা দুইটা ছেলের কথা শুনে সুপ্রভার দম যায় যায় অবস্থা। এরা কি পাগল-ছাগল নাকি ভাণ ধরছে এমন বোকা বোকা কথা বলে! যদি এরা সত্যিই পুলিশে খবর দেয় তাহলে সুপ্রভারই উপকার হবে। এই বৃষ্টিতে তাকে গাড়ির জন্য অপেক্ষা আর করতে হবে না। এমনিতেই গা কেঁপে কেঁপে উঠছে শীত লাগছিল খুব। বৈশাখের তুফানি বৃষ্টিতে তার হাঁচি আসবে আসবে অবস্থা কিন্তু সামনের দুই ভেগাভন্ডের কাহিনি দেখে তার আপাতত হাঁচিও আটকে আছে। মেহতাবের কথা শুনে সত্যিই পটল হাত বাড়িয়ে বলল, “আপনেরে আমার বইন মনে কইরা ধরতাছি আফা আয়েন।”
“এ্যাই হাত দিবেন না। আমি আপনার বোন হবো কেন আমার আপন চারটা ভাই আছে।”
মেহতাবের হয়তো খারাপ লাগছিলো না এই ঝড়বৃষ্টি মাথায় করে রাতের এই নাটক সে মজা করে বলে উঠলো, “পটল ধর্মের বোন ডেকে পরে ধর।”
পটল আহম্মকও সত্যিই তাই বলল।
“আপনে আমার ধর্মের বইন আয়েন এবার” বলে সত্যিই পটল সুপ্রভার হাত চেপে ধরলো। এবার আর কোন বাঁধা না শুনে তাকে টেনে গাড়িতে তুলল। মেহতাবও ততক্ষণে উঠে ড্রাইভিং সিটে বসেছিলো। সে পটলকেও বলল সুপ্রভার সাথে পেছনের সিটে বসতে। পটল বোকা হাঁদা ছেলে। মেহতাবের মুখ নিঃসৃত প্রায় প্রত্যেকটা কথা সে পালন করে। মেহতাব যদি তাকে বলে একটা খু*ন করতে হবে তাতেও হয়তো ছেলেটা পিছপা হবে না।
রাতের বারোটা পেরিয়ে ঘড়ির কাটা একটা ছুঁই ছুঁই। শিকদার বাড়ির কারো চোখে ঘুম নেই। বাড়ির একমাত্র মেয়েটা আজ হোস্টেল থেকে ফিরছে কোরবানি ঈদের ছুটিতে কিন্তু বড়দা ভাইয়ের মুখে সৌহার্দ্যের সাথে বিয়ের কথা শুনে ফোনেই রেগে গেছে। আর সেই এগারোটার পর থেকে তার ফোনও রিসিভ হচ্ছে না। চিন্তায় অস্থির হয়ে আছে পুরো শিকদার বাড়ি। চার ভাইয়ের এক বোন এবং সবার ছোট সুপ্রভা আর তাই বাড়িতে সবার চোখের মণি সে। বড় ভাই সোহরাব, মেজো ভাই তৈয়াব, দুজনে বেরিয়েছে প্রথমে এখন আবার সেজো ভাই মেহরাবও বেরিয়ে গেছে বোনের খোঁজে। ছোট ভাই মেহজাবও বের হতে যাচ্ছিলো তখনি তাঁর বাবা শওকত শিকদার বাঁধা দিলেন। এক মেয়ের পেছনে বাড়ির সবাই নাকাল হচ্ছে। বারংবার বলেছে তৈয়াব অথবা মেহরাব যাবে তাকে আনতে। সে শুনলো না জেদ ধরলো একা আসবে। আর ছোট ছেলেটাও হয়েছে আহম্মক একটা কখন, কোথায় কি বলতে হয় তা এখনো বোঝে না যেন! কি দরকার ছিলো সুপ্রভাকে মাঝ রাস্তায় থাকতেই সৌহার্দ্যের সাথে বিয়ের কথা বলার? যত বিপদ এই বিয়ের নামেই হলো৷ বাড়িতে লাখো টাকার মাসিক ইনকাম থাকা সত্যেও বাড়িতে গাড়ি মাত্র একটা। সেই গাড়ি নিয়েই দু ভাই বেরিয়েছিল কিন্তু পরেরবার বেরিয়েছে মেহরাব। তার সাথে একটা ছাতা আছে সে ছাতা মাথায় হেঁটে হেঁটে এগিয়ে যাচ্ছে স্ট্যান্ডের দিকে৷ এলাকার রাস্তা ছেড়ে বড় রাস্তায় পা দিতেই একটা গাড়ি এসে থামলো তার সামনে। চমকে গেল মেহরাব তবুও মুখে কিছু প্রকাশ করলো না। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই গাড়ির কাঁচের ফাঁকে মুখ এগিয়ে সুপ্রভা ডেকে উঠলো, সেজদা ভাই, এত রাতে কই যাও।
সুপ্রভার কথা শুনেই মেজাজ বিগড়ে গেল মেহরাবের। সে রাগী চোখমুখ করে বলল, “জাহান্নামে।”
মেহরাবের কথা শেষ হওয়ার আগেই মেহতাব গাড়ি থেকে নেমে বলল, “এটা আপনার বোন?”
বৃষ্টি কমে এসেছে কিছুটা কিন্তু বাতাস এখনো আগের মতোই। রাস্তার পাশের বড় বড় গাছের ডাল মটমট আওয়াজ করছে। মেহরাব আওয়াজ শুনে গাছের দিকে খেয়াল করে বলল, “এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলে লাভ নেই বাড়ি আয় প্রভা।”
মেহতাবও বুঝতে পারলো ভুল জায়গায় নেমেছে। তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠে মেহরাবকেও বলল উঠতে। মেহরাব আর কিছু না ভেবে উঠে বসলো। বাড়ির মূল গেইটে গাড়ি থামাতেই মেহরাব বলল ভেতরে নিয়ে চলুন গাড়ি এখানে চুরি হতে পারে। বাড়ির ভেতর গাড়ি প্রবেশ করতেই নিচতলায় করিডোরে দেখা গেল সুপ্রভার বাবা, মা আর বড় ভাবীকে। মেহরাব গাড়ি থেকে নেমেই বড় ভাবীর উদ্দেশ্যে বলল, “বড়দা ভাইকে ফোন দাও ভাবী প্রভা এসে গেছে।”
ভিজে চুপসে যাওয়া পোশাক নিয়ে আড়ষ্টভঙ্গিতে গাড়ি থেকে নামলো সুপ্রভা। মেহতাবও নামলো তা দেখে পটলও নামলো। শওকত শিকদার মেয়ের দিকেই তাকিয়েছিলেন হঠাৎ সুদর্শন, সৌম্য এক যুবককে গাড়ি থেকে নামতে দেখে থমকালেন। পরমুহূর্তেই মস্তিষ্ক জানান দিলো কোন ঘটনা ঘটিয়ে এসেছে কি মেয়েটা! বয়সটা এখন আর কম নয়, এ বয়সে অল্পতেই শরীর চিন্তার বিরোধিতা করে। মধ্যরাতে মেয়ে কোন ছেলের গাড়ি থেকে নামছে তা দেখেই বুঝি শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে তাঁর। মেহরাবকে শুধু বললেন, “ওরে ঘরে যেতে বল আর যে সাথে আসছে তারে বসার ঘরে বসিয়ে তৈয়াব আর সোহরাব এলে যেন কথা বলে এর সাথে।”
কে এই ছেলে, কোথা থেকে এসেছে এসব না জেনে ছাড়া ঠিক হবে না ভেবে মেহরাবও ডাকলো, ” আসেন আমার সাথে।”
“না না আমরা বাড়ি ফিরবো অনেক রাত হয়েছে। শুধু আপনার বোনের জন্যই এতখানি আসা।”
“সেজন্যই তো বসবেন ভেতরে। আমার বোনের জন্য” শেষের শব্দ দুটো একটু টেনেই বলল মেহরাব যা শুনে মেহতাব একটু ঘাবড়ে গেল। এ আবার কোন বিপদে ফাঁসবে নাতো! সুন্দরী মেয়ের পরিবারের সহযোগিতা করতে এসে নিজেই না ঝামেলায় ফাঁসে ভেবে এবার মেহতাবেরও একটু একটু শীত লাগছে। পটলও ভয়ার্ত মুখে তাকিয়ে আছে তার দিকে। মেহরাব ছাড়লো না নিয়ে গেল বসার ঘরে। সোফায় বসতেই সুপ্রভার ভাবী এলো কাজের মহিলাকে নিয়ে। হাতে তার একটা তোয়ালে আর কাজের মহিলার হাতে ট্রে তাতে গরম ধোঁয়া ওঠা দুই কাপ চা সাথে লেক্সাস বিস্কিট। এরই মাঝে গাড়ির আওয়াজ কানে এলো। মিনিট দুয়েকের মধ্যেই সোহরাব আর তৈয়াব প্রবেশ করলো বসার ঘরে। মেহতাব মাত্রই চায়ের কাপ নিয়েছিলো হাতে আর তখনই সামনে উপস্থিত দুই পুরুষকে দেখে বুক কেপে উঠলো। কয়েক সেকেন্ড মাথাটা যেন তার হ্যাং হয়েছিলো। তারপরই মনে হলো সে এই মাঝরাতে কোন তামিল মুভির নায়িকার পরিবারে এসে ঢুকেছে। যেখানে নায়িকা একমাত্র কন্যা আর তার চার ভ্রাতা থাকে। হঠাৎই মেহতাবের পেট মোচড় দিয়ে উঠলো ভয়ে। সে তো এ বাড়ির মদদই করছিলো বাড়ির মেয়ে ফিরিয়ে এনে কিন্তু এরা যে দৃষ্টিতে তাকে দেখছে তাতে ভয় হচ্ছে মেয়ের প্রেমিক মনে করে আবার বেঁধে না পেটায়। মোচড় দেওয়া পেটে এবার তার চিনচিনে ব্যথাও শুরু হলো। এখানে আর কয়েক মিনিট থাকলে নির্ঘাত সে জ্ঞান হারাবে। কোনমতে বসা থেকে উঠে বলল, “আমি এবার যাই বাড়িতে আমার বউ অপেক্ষা করছে। বেশি দেরি হলে আবার সন্দেহ করবে।”
পটল মাত্রই চায়ে চুমুক দিয়েছিলো। মেহতাবের কথায় ফুসস করে সবটা চা উগরে দিলো।
চলবে
#বৃষ্টির_রাতে (১)
#রূবাইবা_মেহউইশ
(আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকগণ। কেমন আছেন সবাই? চলে এলাম নতুন জুটি নিয়ে আশা করছি আপনাদের ভীষণ পছন্দ হবে তাদের। আর হ্যাঁ চারদিকে সমালোচনার ঝড় বইছে লেখকদের ওপর তা দেখেও একটু সাহস করলাম অতিরঞ্জিত ড্রামাটিক লাভ স্টোরি লেখার 🤭। তবে নিশ্চিত থাকতে পারেন নিব্বা নিব্বি কাহিনি হবে না। ভুলত্রুটি চোখে পড়লে ধরিয়ে দেবেন যেন পরবর্তীতে শুধরে নিতে পারি।)