#রংধনুর_আকাশ
#লেখিকা_সামিয়া_বিনতে_হামিদ
পর্ব-১১
২১।
আরিয়া ফেরদৌস চিন্তিত মুখে অফিসের কেবিনে বসে আছেন। হঠাৎ দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ শুনে তার ধ্যান ভাঙলো। চোখ তুলে কেবিনের দরজার সামনে রিদ্ধ সেনকে দেখে আরিয়া মুচকি হাসলেন।
রিদ্ধ সেন আরিয়া ফেরদৌসের ছোটবেলার বন্ধু। আর বর্তমানে তিনি রিদ্ধের কোম্পানিতেই কর্মরত আছেন।
রিদ্ধ সেন দরজা ধরে দাঁড়িয়ে বললেন,
“আসতে পারি?”
আরিয়া মাথা নেড়ে বললেন, “আসুন, মিস্টার রিদ্ধ।”
মিস্টার রিদ্ধ কেবিনের বাইরে মুখ বের করে আবার আরিয়ার দিকে তাকালেন। আরিয়া রিদ্ধের মুখের ভাব দেখে বললেন,
“কি হলো এমন উঁকিঝুঁকি দিচ্ছিস কেন? ভেতরে আয়।”
রিদ্ধ গলা ঝেড়ে বললেন,
“আমার সাথে একজন আছে। তাকে সহ নিয়ে আসবো?”
“কে?”
“ভেতরে আসলেই দেখবি।”
আরিয়া ফেরদৌস এবার সোজা হয়ে বসলেন। মিস্টার রিদ্ধও তার পাশের মানুষটিকে নিয়ে আরিয়ার কেবিনে প্রবেশ করলেন। রিদ্ধের পাশের মানুষটিকে দেখে আরিয়া চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন। এক নজর পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে নিলেন মানুষটিকে।
লোকটির পরনে পাঞ্জাবি, মুখে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি, চোখে একটা বড়সড় চশমা। তিনি আরিয়ার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললেন,
“চিনতে পেরেছো?”
আরিয়া রিদ্ধের দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকাতেই রিদ্ধ চোখ নামিয়ে নিলেন। পরক্ষণেই তিনি জোরপূর্বক হাসতে হাসতে পাশের মানুষটিকে আরিয়ার মুখোমুখি চেয়ারে বসিয়ে দিলেন।
পাশের মানুষটি আরিয়ার থমথমে চেহারা দেখে ইতস্ততবোধ করছে। রিদ্ধ এবার চোখের ইশারায় আরিয়াকে শান্ত হয়ে বসতে বললেন। আরিয়াও এবার তার কঠোর ভাবটা ত্যাগ করলেন।
লোকটি এবার মুচকি হেসে বললেন,
“কেমন আছো, আরিয়া?”
আরিয়া ভ্রূ কুঁচকে গম্ভীর কন্ঠে বললেন,
“আমি আপনার খুব পরিচিত কেউ নই। ভদ্রভাবে কথা বললে খুশি হবো।”
“আমি কি অভদ্রের মতো কথা বলেছি?”
কথাটি বলেই লোকটি রিদ্ধের দিকে তাকালেন। রিদ্ধও তার কথায় সায় দিয়ে মাথা নাড়ালেন। আরিয়া এবার চোখ ছোট করে তাকাতেই রিদ্ধ গলা ঝেড়ে বললেন,
“আচ্ছা, এসব কথা বাদ দে। আরিয়া তোকে একটা গুরুত্বপূর্ণ খবর দেওয়ার ছিল।”
আরিয়া মাথা নেড়ে বললেন, “হুম, শুনছি।”
মিস্টার রিদ্ধ এবার তার পাশে ইশারা করে লোকটিকে দেখিয়ে বললেন,
“তোকে পরিচয় করিয়ে দেই, আমাদের কোম্পানির নিউ আর্টিস্ট, মিস্টার নাহিদ হোসেনের সাথে। এখন থেকে নাহিদ তোর পার্টনার।”
আরিয়া সৌজন্যমূলক হাসি দিয়ে বললেন,
“আমাদের কোম্পানিতে আপনাকে স্বাগতম। আপনাকে আমার এসিস্টেন্ট সব কাজ বুঝিয়ে দেবে।”
আরিয়া কল করে একজনকে কেবিনে আসতে বললেন। কিছুক্ষণ পর একটি মেয়ে কেবিনে এলে আরিয়া নাহিদের দিকে তাকিয়ে বললেন,
“আপনি রোদেলার সাথে কথা বলুন। ও আপনাকে সব বুঝিয়ে দেবে। এবার আসুন।”
কথাটি বলেই আরিয়া আবার নিজের কাজে মনোযোগ দিলেন। এদিকে আরিয়ার ব্যবহারে নাহিদ রীতিমতো অবাক হলেন। কেবিন থেকে বের হয়ে তিনি রিদ্ধকে বললেন,
“মেয়েটা তো আগে এমন ছিল না। ও হঠাৎ এতো কঠিন হয়ে গেলো কেন?”
রিদ্ধ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন,
“অল্প বয়সেই ও অনেক কিছু সহ্য করে ফেলেছে। চৌদ্দ বছর ধরে একা একা চারটা বাচ্চার পেছনে সে খাটুনি দিচ্ছে। আর খারাপ অভিজ্ঞতা মানুষকে অনেক কঠোর বানিয়ে দেয়।”
নাহিদ হোসেন দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন। মনে মনে বললেন,
“সেদিন যদি তুমি আমার প্রেমকে স্বীকার করে নিতে, তাহলে আমি কখনোই তোমার গায়ে একটা ঠোকাও লাগতে দিতাম না। কিন্তু তুমি সেদিন বেছে নিয়েছিলে মিরাজকে।”
নাহিদ হোসেন আরিয়ার স্কুলের সহপাঠী ছিলেন। আর রিদ্ধের বাড়ির পাশেই তার বাড়ি ছিল। সেই সূত্রে রিদ্ধ সেনও তাকে চিনতেন।
নাহিদ সাহেব অনেক আগে থেকেই আরিয়াকে পছন্দ করতেন। কিন্তু কখনোই সাহস করে বলতে পারেন নি। এরপর একদিন তিনি হঠাৎ আরিয়া ও মিরাজকে একসাথে দেখে ফেলেছিলেন। তবে এর আগে তিনি জেনে এসেছেন মিরাজ শুধু আরিয়াকে বাসায় পড়াতে যান। কিন্তু সেদিন বুঝতে পেরেছিলেন, তাদের সম্পর্ক প্রেমের সম্পর্কে পরিণত হয়েছে। তবুও তিনি নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরিয়াকে তার মনের কথা জানিয়ে দেন। আর সাথে সাথেই আরিয়া ফেরদৌস তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। আর এরপর তিনি কখনোই আরিয়ার সামনে এসে দাঁড়ান নি।
নাহিদ হোসেনের দুই ছেলে। বড় ছেলে নিবিড় হোসেন, কলেজের প্রথম বর্ষে পড়ছে। আর ছোট ছেলে নিরব হোসেন এবছর নবম শ্রেণিতে উঠেছে। নাহিদ হোসেনের স্ত্রী, রোকেয়া সিদ্দিকার দুই বছর আগেই ক্যান্সার ধরা পড়ে। আপতত তিনি চিকিৎসারত আছেন। তবে দিন দিন তার অবস্থার অবনতিই হচ্ছে। নাহিদ হোসেন স্ত্রীর দেখাশুনা করার জন্য আগের চাকরিটা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। কারণ স্ত্রীকে নিয়ে বারবার তাকে কখনো ঢাকা, কখনো বা দেশের বাইরে যেতে হচ্ছিলো। আর বেসরকারি চাকরীতে বারবার ছুটি নেওয়ার সেই সুবিধাটা থাকে না। তাই তার চাকরীটা ছাড়তে হয়েছিল।
এরপর একদিন রিদ্ধের সাথে তার দেখা হয়ে যায়। আর রিদ্ধ সেন সবকিছু জানার পর তার কোম্পানিতে নাহিদ হোসেনকে চাকরি দেন।
এদিকে আরিয়া ফেরদৌস নাহিদকে দেখে প্রচুর বিরক্ত হয়েছেন। কেন বিরক্ত হয়েছেন সেটা তিনি নিজেও জানেন না। হয়তো বা নাহিদ তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ায়। কিন্তু সেটা তো অনেক আগের ঘটনা। তবুও কেন যেন তার চোখে মুখে বিরক্তির ভাব। হয়তো সেই সময় মিরাজের জন্য নাহিদের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দেওয়ায় তিনি আফসোস করছেন। কারণ যার জন্য তিনি নাহিদকে প্রত্যাখান করেছেন, সেই মিরাজই তাকে ঠকিয়েছে। আর নাহিদের সামনে নিজেকে ব্যর্থ ভাবতেই খুব আত্মসম্মানে লাগছে আরিয়া ফেরদৌসের।
এবার তিনি মনে মনে নিজেকে শান্ত করলেন। এসব ছোটখাটো কারণে নিজেকে ব্যর্থ মনে করাটাই বোকামি। আর আরিয়া ফেরদৌস নিজেকে বোকা প্রমাণ করতে চান না। এবার তিনি এতোক্ষণ যেই বিষয় নিয়ে চিন্তা করছিলেন, তাতেই মনোযোগী হলেন। ফলস্বরূপ তিনি ফোন হাতে নিয়ে একটা নম্বর খুঁজে তাতে ডায়াল করলেন।
ওপাশ থেকে একজন বললো,
“জ্বি, আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি?”
“জ্বি, আমার একজন পরিচিত মানুষ আপনার নম্বরটি দিয়েছিল। আসলে আমি আমার ছেলের জন্য একটা ভালো পরিবারের মেয়ে খুঁজছি। মেয়েকে অবশ্যই ভদ্র ও মার্জিত স্বভাবের হতে হবে। আমার জন্য বাহ্যিক সৌন্দর্যটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনি শুধু ভালো ও গুণী মেয়েই আমাকে খুঁজে দেবেন। আমার হাতে বেশি সময় নেই। দুই মাসের মধ্যেই আপনাকে এই কাজটি করতে হবে।”
ওপাশ থেকে লোকটি বললো,
“চিন্তা করবেন না। একদম আপনার মনের মতো মেয়ে খুঁজে এনে দেবো। আপনি শুধু আপনার ছেলের বায়োডাটাটা আমাকে পাঠিয়ে দেন।”
২২।
প্রহর ফোন হাতে নিয়ে চুপচাপ বারান্দায় বসে আছে। তার মাথায় শুধু একটা নামই ঘুরছে আর সেটি হলো মারিয়া নাওয়াল। সে এই নাম ধরে কিভাবে তার মায়াবিনীকে খুঁজে পাবে সেটাই ভাবতে লাগলো। হঠাৎ প্রিয়া এসে ডাকায়, তার ভাবনায় ছেদ ঘটলো।
প্রিয়া প্রহরের পাশে বসে বলল,
“ভাই, কি ভাবছিস?”
“কিছু না।”
“জানি মারিয়া ভাবির কথায় ভাবছিস, তাই না?”
“হুম। আচ্ছা, ওর নাম মারিয়া, এটা তুই নিশ্চিত হয়েই বলছিস তো?”
“হ্যাঁ, ভাইয়া। আমি ভাবীর ক্লাসমেট থেকেই জিজ্ঞেস করেছি।”
“এখন বাকীটা কিভাবে জানবো? আর এতো কম বয়সে কি ওর বাবা-মা ওকে বিয়ে দেবে? আমি তো ভেবেছিলাম ও ভার্সিটিতে পড়ে। অবাক লাগছে, এতো পিচ্ছি একটা মেয়ের বই পড়ার এতো ঝোঁক!”
“হুম। ভাইয়া, মা আজও সকালে নাস্তা বানানোর সময় বলছিল তোকে বিয়ের জন্য রাজী করাতে। এখন ভাবীকে যদি বিয়ে না দেয়? প্রেমের সম্পর্ক হলে একটা কথা ছিল। কিন্তু তুই তো আবার প্রেম করবি না।”
“না রে, আমি প্রেম করবো না। আমি একেবারে বিয়ের পরই প্রেম করবো।”
“তবে ভাইয়া প্রেম করলে কিন্তু খুব ভালো হতো।”
“আমার নীতিতে প্রেম করা লেখা নেই। আর তুই পিচ্ছি একটা মেয়ে আমাকে প্রেম করতে বলছিস! তোর সাহস তো খুব বেড়েছে।”
প্রিয়া হালকা হেসে বলল,
“আমাকে পিচ্ছি বলছো? ভুলে যেও না তোমার বউটাও কিন্তু আমার বয়সীই। আমিও কিন্তু তাকে পিচ্ছি ভাবী বলে ডাকতে পারি।”
প্রহর হাসলো। বললো,
“সেই পিচ্ছিটার তো শুধু নামটাই জানলাম!”
প্রিয়া হঠাৎ কি ভেবে বলে উঠলো,
“ভাই, ফেইসবুকে এই নাম লিখে সার্চ করে দেখ না। যদি ভাবীকে খুঁজে পাওয়া যায়!”
প্রহর ভ্রূ কুঁচকে বললো,
“তোর মাথায় তো অনেক বুদ্ধি। এই চিন্তাটা আগে আমার মাথায় আসে নি কেন?”
“এখন তো মাথায় এনে দিয়েছি! এবার দেখ।”
তারপর প্রহর ফোন বের করে মারিয়া নাওয়াল লিখে সার্চ করলো। আর সাথে সাথেই অনেকগুলো মারিয়া নাওয়াল নামের একাউন্ট চলে এলো।
প্রিয়া বলল,
“এতোগুলোর মধ্যে কিভাবে বের করবি!”
“একটা একটা করে দেখি।”
প্রহর এবার তৃতীয় মারিয়া নাওয়ালের প্রোফাইলে ঢুকেই প্রশান্তির হাসি হাসলো। আর মনে মনে বললো,
“হয়তো এইটাই আমার মায়াবিনীর প্রোফাইল।”
এরপর সে প্রিয়াকে রুম থেকে বের করে দিয়ে সেই প্রোফাইলটি ভালোভাবে দেখতে লাগলো। কাভার ফটোতে অনেকগুলো বইয়ের ছবি, আর প্রোফাইলে একটা মেয়ের সমুদ্রবিলাস করার দৃশ্য। যদিও দুইটোই যে সংগ্রহ করা ছবি, তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
এরপর দেখলো বায়োতে লেখা আছে,
“ভালোবাসি বই পড়তে।
ভালোবাসি প্রকৃতির মাঝে ডুবতে।”
যেহেতু একাউন্টটা মারিয়াই ছিল তাই সেখানে মারিয়ার স্কুল, কলেজ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া ছিল। শুধুমাত্র কয়েকটা তথ্যই ছিল মহুয়ার।
প্রহর সেই প্রোফাইলের আরেকটু নিচের দিকে গিয়ে শুরুর ছবিটি দেখেই থমকে গেল। তার মায়াবিনী একটা কাঠের ব্রিজে হেলান দিয়ে বই পড়ছে। আর ছবির ক্যাপশনে লেখা, “বই যখন হয় বালিকার প্রথম প্রেম।”
সে যে মায়াবিনীর এতো সুন্দর একটা ছবি পেয়ে যাবে তা কল্পনায় করতে পারে নি। আরো নিচের দিকে যাওয়ার পর সে দেখলো প্রকৃতির কিছু নান্দনিক ছবি, কখনো বা বইয়ের ছবির সাথে সেই বইয়ের রিভিউ দেওয়া। পুরো প্রোফাইল ঘেটে সে তার মায়াবিনীর দ্বিতীয় কোনো ছবিই পেলো না।
প্রহর মনে মনে বললো,
“বাকী ছবিগুলো কি রিমুভ করে ফেলেছে? হয়তো বা এই ছবিটি ভুলে পাব্লিক করে দিয়েছিল। থাক একক্ষেত্রে আমার জন্য ভালোই হয়েছে। মায়াবিনীর একটা ছবি তো আমার কাছে থাকবে। এখন তাকে মনে পড়লেই এই ছবি দেখে মনকে শান্ত রাখবো।”
এদিকে মহুয়ার চিৎকারে মারিয়া দৌঁড়ে এলো। ব্যস্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
“কি হয়েছে তোর? এভাবে চেঁচাচ্ছিস কেন?”
“আমার এই ছবিটা তুই পাব্লিকে পোস্ট করেছিস কেন? তোর সাথে কত্তোগুলো ছেলে এড আছে। এক্ষুণি রিমুভ কর।”
মারিয়া ফোন হাতে নিয়ে বলল,
“ইশ, এর আগের ছবিগুলো পাব্লিকে পোস্ট করেছিলাম তো তাই এটা কাস্টম করতে ভুলে গিয়েছি। সরি রে চান্দু। এক্ষুনি প্রাইভেসি দিয়ে দিচ্ছি।”
মারিয়া ছবিটিতে প্রাইভেসি দেওয়ার পর মহুয়া কমেন্টগুলো দেখতে লাগলো। সবারই একটাই কমেন্ট,
“মারু তুই বই পড়ুয়া কবে হলি?”
“কেউ কি জানে এই মেয়ে ভেতরে এক বাইরে আরেক।”
মহুয়া এসব দেখে বালিশে মুখ গুঁজে চেঁচিয়ে বললো,
“ছি! ছেলেগুলো কত্তো বাজে।”
মারিয়া সান্ত্বনা দেওয়ার সুরে বলল,
“চান্দু, ওরা ভেবেছে আমি বই নিয়ে অভিনয় করছি। আর আমি তো বই পড়ি না। তাই এমন একটা ছবি আমার সাথে যাচ্ছিল না। ওরা বুঝতেই পারে নি এটা তোর ছবি।”
“কমেন্ট তো করেছে। কত্তো বাজে ছেলে!”
“হয়েছে আর চেঁচিয়ে বলতে হবে না। মা যদি শুনে তখন আমার কলেজ যাওয়া বন্ধ করে দেবে। মোবাইলটাও কেঁড়ে নেবে। এমনিতেই ওই ব্যাটার জন্য অশান্তিতে আছি।”
অন্যদিকে প্রহর সেই ছবিটির নিচে কমেন্টগুলো পড়ে দেখার জন্য যেই যাচ্ছিলো, তখন আর প্রোফাইলে সেই ছবিটি খুঁজে পেলো না। মনে মনে বলল,
“ভাগ্যিস, ছবিটি সেইভ করে ফেলেছি। নয়তো মায়াবিনী তার মায়া লাগিয়েই হারিয়ে যেতো।”
চলবে-