#বৃষ্টির_রাতে
#রূবাইবা_মেহউইশ
(২)
বাইরের হিম শীতল বাতাসে বসার ঘরের ভেতরে থাকা প্রত্যেকেরই শরীরের পশম দাঁড়িয়ে গেছে। ভেতরে ভেতরে গা শিরশির করছে মেহতাবের। একটু আগেই সে ভয়ে কতগুলো মিথ্যে বলেছে এই জাদরেল টাইপ লোকগুলোর সামনে। মেয়েটার ভাইগুলো একটার চেয়ে একটা দানবের মত। সবচেয়ে ছোট মেহজাব না কি যেন নাম বলল সেটা তো আরও বেশি বেয়াদব। শালা হারামি এসেই বলে কিনা, “দেখতেই তো লুচ্চা লাফাঙ্গা মনে হচ্ছে আমার বোনের সাথে কি সম্পর্ক!”
মানে এমনও অসভ্য হতে পারে ছেলে তাও কিনা বয়সে তার চেয়ে অনেক ছোট। আর পটল বেকুবটাও বলে কিনা, “আমার বস মানুষ বালা মাইয়াগো লগে সম্পর্ক রাখে না।” এটা বলে সে কি বোঝাতে চাইলো আমার ওই ভেতরের সমস্যা আছে! এই শীত শীত আবহাওয়াতেও যেন হুট করেই গা আগুনের মত গরম হয়ে গেল তার। সে এক প্রকার ধমকেই বলল, “কি বলছিস এসব পটল? মেয়েদের সাথে সম্পর্ক থাকবে না কেন আমি কি গে নাকি ইম্পোটেন্ট!”
“না মানে বস….”
পটল কিছু একটা বলতে চাচ্ছিলো কিন্তু সোহরাব থামিয়ে দিলো। সে জানতে চাইলো সুপ্রভাকে কোথায় পেল মেহতাব আর তাদের পরিচয় কতদিনের?
“পরিচয় আজকেই মানে ওই যে বৃষ্টিতে সে তার বড়দা ভাই না কাকে যেন বলছিলো বিয়ে করবে না। বাড়াবাড়ি করলে আত্মহত্যা করবে তা শুনেই আমি বুঝেছি এই মেয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে এসেছে। তাই আর দেরি না করে পটলকে বললাম গাড়িতে তোল এর পরিবারের কাছে নিয়ে যাই।” কথাটা বলেই মেহতাব আবারও বোকা বনে গেল। সুপ্রভার ভাইরা এমনভাবে তাকিয়ে আছে যেন এখুনি তাকে ভস্ম করবে। মেহতাব ভীতু নয় কিন্তু চার চারজন নওজোয়ানের সামনে সে একদম পোনামাছ সে । তাকে তো দু আঙ্গুলের মাঝে রেখে চাপা দিলেই কিসসা খতম৷ ভাবতেই গা শিউরে উঠেছিলো৷ তখনি বসার ঘরে এসে উপস্তিত হয় মরিয়ম শিকদার। সোহরাব বসা থেকে উঠে এগিয়ে গেল মায়ের কাছে।
“তুমি আসলা ক্যান আম্মা! রাত অনেক হইছে ঘুমাও গিয়া।”
মরিয়ম শিকদার মাথা নেড়ে বললেন, “ঘুম নাই চোখে তুই বোস। এই ছেলে নাম কি তোমার? ”
প্রশ্নটা মেহতাবের উদ্দেশ্যে করলেন।
“মেহতাব।”
“আরেহ এতো দেখছি আমার ছেলেদের নামের সাথে একদম মিল। দেখতেও মিল আছে অনেক হঠাৎ কেউ দেখলে ওগো ভাই মনে করবো তোমারে তা নামের আগে পরে কিছু নাই?”
“ইয়ে মানে মেহতাব মীর ।”
” তুমি কি কাজ করো, বাড়িতে কে কে আছে তেমার, প্রভারে চিনো কবে থাইকা?”
এত এত প্রশ্ন শুনে সোহরাব মাকে থামতে বলল। ছেলেটা প্রভার পরিচিত না বরং একটা ভুল বোঝাবুঝিতে ছেলেটা সাহায্য করেছে। মরিয়ম শিকদার খুশি হয়ে গেলেন কথাটা শুনে। ছেলেদের বললেন ছেলেটাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসিস আর না হয় আমাদের বাড়িতে আজ রাতটা থাক।
শীতের মধ্যেও মেহতাবের ঘর্মাক্ত অবস্থা। কি পরিবাররে বাবাহ্! তাদের বাড়ির মেয়েকে বাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছে কোথায় আদর আপ্যায়ন করে যেতে দেবে তা না একেকজন একেকটা কথা বলে বলে তার হার্টবিট বাড়িয়ে দিচ্ছে। এখন মনে হচ্ছে যতদ্রুত এ বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়া যায় ততোই মঙ্গল। মেহতাব আবারও বলল, “আমার যেতে হবে এবার।”
সাথে সাথেই তৈয়াব উঠলো বসা থেকে সে বলল, “চলো।”
“আমরা একাই যেতে পারবো গাড়ি আছে সাথে।”
তৈয়াব বলল, “বাড়ি পৌছে দিতে যাচ্ছি না গেইট পর্যন্ত যাবো। ভদ্রতা বলেও তো কিছু আছে।” মেহতাব আর কিছু না বলাই সমীচীন মনে করলো। পটল, মেহতাব আর তৈয়াব গেইটের দিকে পা বাড়াতেই সুপ্রভা দোতলা নিচে এলো। তাকে দেখতেই তার মা বলল, ” ছেলেটাকে ধন্যবাদ দিয়েছিস?”
“কিসের ধন্যবাদ!” ভারী রুক্ষ শোনালো তার কণ্ঠস্বর। মরিয়ম শিকদার ধমকে উঠলেন, “বেয়াদব মেয়ে একটা ছেলে ঝড় বৃষ্টির মধ্যে তোকে সহীহ সালামত পৌঁছে দিয়ে গেল। একদম ভাইয়ের মত কাজ করেছে ছেলেটা।”
“ভাইয়ের মত! মাই ফুট,,,,রাত বিরাতে জোরজবরদস্তি করে মেয়েদের গাড়িতে তোলে সে কিনা আবার ভাইয়ের মত, ফালতু পারভার্ট একটা!”
শেষের শব্দটা খুব করে কানে লেগেছিলো মেহতাবের। সে বের হতে হতেই একবার পেছন ফিরে তাকালো মেয়েটার দিকে তারপর নিঃশব্দে বেরিয়ে গেল। তৈয়াব অতি ধুরন্ধর সে মেহতাবকে এমনিতেই যেতে দিলো না। তার ফোন নম্বর আর গাড়ির লাইসেন্স এর কপি থেকে ফোনে ছবি তুলে রাখলো, ঠিকানাটাও জেনে রাখলো। পাশের এলাকার স্থানীয় ছেলে শুনে তার ভাবনা কিছুটা সহজ হলো।
রাত দুইটা বারো; মেহতাব বাড়ির সামনে এসে গাড়ি থামাতেই দেখলো তার আব্বা হাতে টর্চ নিয়ে গেইটের কাছে। এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে ঝড়ে তা এ বাড়ির আশপাশের অন্ধকার দেখেই বোঝা গেল। তাদের জঙ্গলে বাড়িতে রাতের পুরো সময় বৈদ্যুতিক আলো জ্বালানো থাকে সবসময় নইলে অন্ধকারে বড়রাও বের হওয়ার সাহস করে না। এখন বৃষ্টি নেই তবুও গাছের ডাল, পাতা থেকে টপটপ করে ফোটায় ফোঁটায় পানি ঝরছে। মেহতাব গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়াতেই তার বাবা টর্চের আলো ফেলল তার মুখে। হাতে পরা ঘড়িটা উঁচু করে ধরে বলল, “রাইত বাজে দুইটা বিশ আমার আব্বাজান বাড়ি ফিরছেন এহন। তা আরেট্টু দেরি কইরা আইতেন আর নয়তো সক্কালেই আইতেন।”
“আব্বা শোনেন মানে হয়েছে কি রাস্তায় একটা মেয়ে বিপদে পড়েছে।”
“আর তারে আপনে উদ্ধার করে আসছেন। তা কই দেখি মেয়েটা।”
“বাড়িতে দিয়ে এলাম তো তাই দেরি হয়ে গেল।আব্বা আপনি ঘরে যান এই কাঁদার মধ্যে কেন দাঁড়িয়ে আছেন?”
“আমার চিন্তা করতে হইবো না আপনার। কালকা সকালের ট্রেনে চট্টগ্রাম ফেরত যাইবেন আপনে। এই পোটলা তুই হারামজাদা অর লগে বাইর হইয়া অর মতোই রঙ দেখাইতাছোছ। কালকা ধরমু তরে।”
“খালু আমার কোন দোষ নাই। বিষ্টিতে গাড়ি খারাব হইছে, বসে গাড়ি ঠিক করতে দেরি করছে আবার কয় মাইয়ারে ধর্মের বইন কইয়া ধরতে বাড়ি দিয়া আইবো।”
কাঁদো কাঁদো গলায় পটল সবিশ্লেষণে সবটা বলে দিতেই চোখ বড় বড় করে তাকালো মেহতাবের বাবা। ছেলেটা বাড়ি এসেছে দুদিন হলো অথচ তিনি দু দিনে ছেলেটাকে দেখেছেন মাত্র একবার। তাও কিনা গাড়ির চাবির জন্য বাপকে খুঁজেছিলো। ঘরের বড় সন্তান সে এতদিন পর বাড়ি এসেছে কোথায় বাপ, মা ভাই বোনকে সঙ্গে নিয়ে কিছু সময় কাটাবে তা না! হতাশায় মুখটা ছোট হয়ে এলো আফছার মীরের। ছোট বেলা থেকো আচরণে শান্ত ভদ্র ছেলেটা চার বছরে পুরোপুরি বদলে গেছে। এজন্যই তিনি চাননি ছেলে বড়লোক নানার বাড়িতে গিয়ে উঠুক৷ কিন্তু ছেলে আর তার মা পড়াশোনার নামে ছেলেটাকে চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দিলো। আফছার মীর আর কিছু না বলে বাড়ির ভেতর ঢুকলেন। মেহতাবও আবার গাড়িতে বসে গাড়িটা গ্যারেজে ঢোকালো। পটল গিয়ে গেইট তালা দিলো৷ এত রাতে যে আজ আর খাওয়া জুটবে না তা মনে পড়তেই মেহতাবের পেটে খিদে চড়ে গেল। অতি সন্তর্পণে নিজের ঘরে ঢুকে পোশাক পাল্টে লুঙ্গি আর টিশার্ট পরে বিছানায় বসলো। কপাল তার খুব একটা মন্দ নয় মা ভাত নিয়ে ঘরে এসেছে।
“ভালো হবি না তুই? নিজেও বকা খেলি সাথে তোর জাহিল বাপের বকায় আমাকেও শামিল করলি।”
“স্যরি মা, বুঝতে পারিনি এমন কিছু হবে। আর তুমি কেন বাবাকে এমন বলছো আমার কিন্তু খারাপ লাগে।”
“বেশি কথা না বলে হা কর।” মাছুমা বেগম খাবার ছেলের মুখের সামনে ধরলেন। মেহতাবও আর কিছু না বলে খাবার খেয়ে নিলো। পটলকে খাবার দিয়েছে কিনা তা জিজ্ঞেস করতেই মাছুমা জানালেন পটলও খাচ্ছে। খাওয়া শেষ হতেই মা চলে গেলে মেহতাবও মোম নিভিয়ে শুয়ে পড়লো। কালই এসেছে চট্টগ্রাম থেকে আর আসতেই গাড়ি নিয়ে সারাদিন বাড়ির বাইরে ছিলো। এই গাড়ি নিয়েও কম ঝামেলা হয়নি তার জীবনে৷ সে কিসসা অন্য আরেকদিন বলবো।
ভোরের আলো ফুটতেই মাছুমা বেগম চিৎকার চেঁচামেচি করে নুড়ি আর পটলকে ডাকতে লাগলেন। কাল মাঝরাত অব্ধি ঝড়বৃষ্টিতে গাছের ছোট, মাঝারি প্রায় সব আমই পড়ে গেছে। বাড়ির সবচেয়ে অলস কাজের ব্যক্তি নুড়ি আর তাকে জাগাতেই বেশি চেঁচাতে হয় মাছুমার৷ বাপের বাড়ি থেকে এই অকর্মা কাজের লোকটি ইচ্ছে করেই এনেছিলো মাছুমা। নুড়ির ঘর সংসার বলতে কিছু নেই। বিয়ে হয়েছিলো তার স্বভাব দোষেই তা টিকেনি বাড়িতে এক বৃদ্ধা মা আছে সেও অন্যের বাড়িতে কাজ করে খায়। নুড়ির বকবকে স্বভাবের জন্য তাকে কেউ কাজে রাখতে চায় না। মাছুমার মনে হলো সে তাকে ঠিক করে কাজ করাতে পারবে তাই আগ বাড়িয়ে এনেছিলো কয়েক বছর আগে। মন্দ না, করছে কোনমতে কাজকর্ম। সকাল সকাল এখন তাকে আর পটলকে নিয়ে গেলেন বাগানে আম কুড়াতে৷ বাড়ির সামনের দিকে ফুল, ফল আর কাঠ গাছে অনেকটা জায়গা জঙ্গলের মতন৷ কিন্তু পেছনের আম, জাম, কাঁঠাল লিচুর গাছে বিশাল এক বাগান। আগে এই বাগানের ফলমূল অর্ধেকের বেশি যেত পাড়ার লোকের ভোগে কিন্তু বছর দুই হলো পুরো বাড়ি আর বাগান মিলিয়ে দেয়াল দিয়েছে আফছার মীর। এখন সব বাগানেই পড়ে থাকে যতক্ষণ না নিজেরা গিয়ে কুড়ায়। মায়ের চেঁচামেচিতে ঘুম উবে গেছে মেহতাবের। আড়মোড়া ভেঙে বিছানা ছাড়লো। ঘাড়ের ওপর তোয়ালেটা রেখে ঘর থেকে বেরিয়ে বেসিনের সামনে গেল। পেছন থেকে মাইশা বলল, “বাড়ি কেন আসো ভাইয়া? মায়ের জন্য তো এখানে সকালে একটু ঘুমাতেও পারো না।”
বোনের কথা কানে যেতেই মেহতাব হাসলো। ব্রাশ নিয়ে তাতে পেস্ট লাগাতে লাগাতে বলল, “সারাবছর পিচফুল থাকার মাঝে আনন্দ নেই মাঝেমধ্যে এই মায়ের গলার ঝংকার শুনলে মনটা বেশ সতেজ থাকে।”
“উফ, এখানে কিসের সতেজতা! আমার এসএসসিটা শেষ হলেই আমি নানাবাড়ি চলে যাবো। এই বাড়িতে আর না।”
বিরক্তি ঝরে পড়ছে মাইশার গলায়। আজ তো শুধু আম আর নুড়ি খালার জন্য এছাড়াও মা রোজ কোন না কোন কারণে সবার ঘুম ভাঙায় এই সকালেই। মেহতাব স্মিত হাসি দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। হাঁটতে হাঁটতে প্রথমে বাড়ির পেছনে বাগানটা এক নজর দেখলো। সত্যিই এবার আম গাছের প্রায় বেশিরভাগ আম পড়ে গেছে। বাগানের শেষেই তাদের বড় পুকুরটা কিন্তু এখন দেয়ালের জন্য সেখানে রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। ব্রাশ করতে করতেই সে আবার পা বাড়ায় গেইট পেরিয়ে রাস্তার দিকে৷ সূর্যের সোনালি আলো পাতার ফাঁকে উঁকি মেরে চোখে, মুখে লাগছে খুব করে। রাস্তা দিয়ে হেঁটে পুকুরের কাছে যেতেই কানে এলো চুড়ির রিনিঝিনি আওয়াজ৷ মেহতাব জানে এই আওয়াজের উৎস আর উৎপত্তিকারীনি কে! সে না ফিরেই বলল, “পেছনে পেছনে আসছিস কেন?”
“সামনে থেকে ধরতে না পারলে পেছনেই আসতে হয়।”
“এসব ফালতু কথা কে শেখায়!”
“যেই শেখাক তুমি কাল এসেছো অথচ একটাবারও দেখা করলে না কেন?”
এবার মেহতাবকে ফিরে তাকাতেই হলো। সে ভ্রু,যুগল কুঁচকে কিছু সময় তাকিয়ে থেকে বলল, “তোর স্বভাব পাল্টাবে কবে?”
“কোন স্বভাব!” অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো আয়না।
“এই যে ছ্যাচড়ার মত আমি আসছি শুনেই নতুন জামা, চুড়ি, টিপ সব লাগিয়ে ঋতুপর্ণা সেজে আসিস। লোকে যে এসব দেখে মন্দ বলে তা কি জানিস না?”
“লোকে কিছুই বলে না। তুমি বললেই লোকে বলবে। বলো তো কিছু। ”
“ফুপু কেমন আছে?”
“বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিয়ে আসো।”
“সকাল সকাল এভাবে বাড়ি থেকে না বের হলেও পারতিস। বাড়ি যা।”
“তোমার বাড়ি!”
“থাপড়ে একদম ঠিক করে দেবো।” চোখ-মুখে রাগের আভা ফুটিয়ে তুলল মেহতাব। সে জানে এবার মেয়েটা মুখ ফুলিয়ে ফুঁপিয়ে ফুপিয়ে বাড়ি যাবে। তাছাড়া যতক্ষণ সুযোগ পাবে তার পেছনেই পড়ে থাকবে। কত বড় হয়ে গেল মেয়েটা অথচ এখনো সেই আগের মত তার কাছে আসতে চায়। মেহতাবের খারাপ লাগে। একটা মাত্র ফুপুর একমাত্র মেয়ে আয়না। কত ভালোবাসে তাকে কিন্তু সেই’বা কি করে! সে তো বোনের বাইরে কখনোই অন্যচোখে দেখে না তাকে। অবশ্য সে চেষ্টা করেনি তা না। মা- বাবা বলেছিলো দ্যাখ আয়না ঘরের মেয়ে। তুই একটু মানিয়ে নিলেই তোদের সুন্দর একটা সংসার হতে পারে। কিন্তু মেহতাবের মন আয়নাকে নিয়ে কোন ভাবনাই আনতে পারে না। তার আর পুকুরের দিকে যাওয়া হলো না। বাড়ি ফিরে মুখ হাত ধুয়ে বেরিয়ে গেল বন্ধুদের সাথে। মাইশাকে বলে গেল, “মাকে বলিস বাজারেই নাশতা করবো বন্ধুদের সাথে।”
চলবে