#রংধনুর_আকাশ
#লেখিকা_সামিয়া_বিনতে_হামিদ
পর্ব-২৮
৪৮।
প্রহর অবাক দৃষ্টিতে মারিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু মারিয়ার সেদিকে কোনো খেয়াল নেই। সে নিজের ফোনে ছবি তুলতে ব্যস্ত।
মারিয়া ও প্রহরের আক্দটা একদম ঘরোয়া ভাবেই হয়েছিলো। যেদিন মারিয়াকে দেখে গিয়েছিলো এর চারদিন পরই দুই পক্ষ আক্দের তারিখ ঠিক করে ফেলে। আর এরপরই আক্দটা হয়ে যায়। এর মধ্যে মারিয়া আর প্রহরের একবারও কথা হয় নি, দেখা হওয়া তো বহুদূর। আর প্রহরের ইচ্ছে থাকলেও মারিয়া এ ব্যাপারে কোনো আগ্রহ দেখায় নি। কারণ বর্তমানে ওর মূল আগ্রহের বিষয় হলো টেস্ট পরীক্ষা শেষে সে ঘুরতে যাবে। আর এখন মারিয়া ঘুরাঘুরির ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ত। কারণ আরিয়া ফেরদৌস তাকে বলেছিলেন, তার কথামতো বিয়ে করলে, কখনোই মারিয়ার শখের মাঝে কোনো বাঁধা দেবেন না।
প্রহর অনেকক্ষণ ধরেই মারিয়ার হাবভাব লক্ষ্য করছে। চঞ্চল স্বভাবের মেয়েদের সে মোটেও পছন্দ করে না। আর এই মুহূর্তে মারিয়ার এক মিনিটে এক জায়গায় বসে এতোগুলো ছবি উঠানো প্রহরের বোধগম্য হচ্ছে না। প্রহর ধীর কন্ঠে মারিয়াকে বলল,
“তুমি এতোগুলো ছবি উঠিয়ে কি করবে?”
মারিয়া এক গাল হেসে বললো,
“কি করবো মানে? আজ আমার আক্দ হয়েছে, আর আমি ছবি উঠাবো না? এই ছবিগুলো তো স্মৃতি হয়ে থাকবে। বুড়ো হলে এই ছবিগুলো দেখেই মনকে ভালো রাখবো, আর ভাববো, আমাকে আক্দের দিন কতোই না সুন্দর লেগেছিলো!”
প্রহর মাথা নেড়ে মারিয়ার কথাটা বোঝার চেষ্টা করলো। মারিয়া আবার বলল,
“আচ্ছা, আপনার সাথে তো আমার ঠিকভাবে কথাও হয় নি। কিন্তু এখন যেহেতু আপনি আমার বর, তাহলে তো আমাদের মধ্যে ভালোই জমবে, তাই না?”
প্রহর মুচকি হাসলো। এরপর মারিয়া মুচকি হেসে আবার বলল,
“আসলে আমার একটা কথা বলার ছিল।”
“হুম, বলো।”
“প্রথম যেদিন আপনার সাথে দেখা হয়েছিল সেদিন অনেক নার্ভাস ছিলাম, তাই অনেক কিছুই বলতে পারি নি।”
“হুম।”
“আসলে আমার বিয়ে করার কোনো ইচ্ছে ছিলো না। কিন্তু প্রথম যেদিন আপনার ছবি দেখেছিলাম, আমি সেদিনই আপনাকে পছন্দ করে ফেলেছিলাম। আর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমার বর হিসেবে আপনি একদম পারফেক্ট হবেন।”
প্রহরের এই মুহূর্তে খুব অদ্ভুত লাগছে। সে যতোটুকু বুঝেছে তার বিয়ে করা স্ত্রীর মধ্যে বিন্দুমাত্র ভদ্রতা বা লজ্জা নেই।
সাধারণত স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কগুলো খুব বন্ধুত্বসুলভ হয়। তবে প্রথম দিনেই একে অপরের সাথে স্বাচ্ছন্দ্য ও সাবলীলভাবে কথা বলতে পারাটা খুব জটিল ব্যাপার। কারণ পারিবারিকভাবে সৃষ্টি হওয়া সম্পর্কগুলোতে বেশিরভাগই দুটি মানুষ অপরিচিত হয়ে থাকে, আর তাদের মধ্যে অনেক জড়তাও থাকে, যা ধীরে ধীরে কেটে যায়।
কিন্তু আক্দের কয়েক ঘন্টা পরই যে মারিয়া প্রহরের সাথে এভাবে কথা বলবে তা প্রহর ভাবতেও পারে নি। তবে এটা মারিয়ার দোষ না। এটা তার ভালো গুন, কারণ সে খুব সহজেই মানুষের যাতে মিশে যেতে পারে, খুব সহজেই মানুষকে আপন করে নিতে পারে। কিন্তু সমস্যা হলো মারিয়ার এই গুনটিই প্রহরের দৃষ্টিতে অভদ্রতা। কারণ প্রহরের চঞ্চল মানুষ পছন্দ না। সে চেয়েছিল, তার বউয়ের মধ্যে লজ্জা থাকবে, জড়তা থাকবে, আর সে নিজেই মিষ্টি কথা বলে তার জড়তা আর লজ্জা ভাঙাবে।
মানুষের ইচ্ছে থাকতেই পারে, কিন্তু সব ইচ্ছে যে পূর্ণ হয় না তা আজ প্রহর ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছে। কিন্তু তার একটা ব্যাপার এখনো খটকা লাগছে, আর তা হলো, সে যতোদূর জানে তার মায়াবিনী খুব শান্ত স্বভাবের, কিন্তু এই মুহূর্তে তার এই ভিন্নরূপ কেন?
প্রহর মারিয়াকে জিজ্ঞেস করলো,
“তুমি তো খুব শান্ত মেয়ে ছিলে!”
প্রহরের কথাটি শুনে মারিয়া অবাক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকালো আর খিলখিল করে হেসে উঠলো।
প্রহর ভ্রূ কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো,
“হাসছো কেন?”
মারিয়া হাসি থামিয়ে বলল,
“মিস্টার বর, আমি কখনোই শান্ত ছিলাম না। আর বললামই তো আপনার সাথে যেদিন দেখা হয়েছিলো, আমি খুব নার্ভাস ছিলাম। আর সেদিন মা বলেছিল, বেশি কথা না বলতে। আসলে আমি খুব বকবক করি। আমার বকবকানি শুনার ধৈর্য একমাত্র চান্দুরই আছে।”
“চান্দু!”
“ও, আপনার সাথে তো মহুয়ার দেখায় হয় নি।”
“মহুয়া! তোমার বোন?”
“জ্বি, ও অনেক অনেক ভালো একটা মেয়ে। কিন্তু ও আসলে ছেলেদের সামনে খুব নার্ভাস হয়ে যায়। ছেলেদের সাথে তেমন একটা কথাও বলে না। কতো করে বলেছি, আপনার সাথে দেখা করতে, কিন্তু ও তো আসতেই চাইছে না। ওর নাকি লজ্জা করছে। আচ্ছা, আমি ওকে নিয়ে আসছি। আর ও আপনার একমাত্র শালিকা। তাই ওর লজ্জা ভাঙানোর দায়িত্ব আপনার।”
কথাটি বলেই মারিয়া বসার ঘর থেকে বেরিয়ে নিজের ঘরে এলো। আর প্রহর একা একা সোফায় বসে ছিল। আক্দ শেষে মাহাথি আর মাফিন প্রহরকে বাসায় নিয়ে এসেছে। রাতে খাওয়া-দাওয়া করেই প্রহর চলে যাবে, ততোক্ষণ না হয়, মারিয়ার সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটাক।
৪৯।
মহুয়া মারিয়াকে লাল শাড়ি পরিয়ে, খুব সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়েছিল। অন্যদিকে সূচনা আর স্বস্তিকা দু’জন মিলে ড্রয়িংরুমটা ফুল দিয়ে সাজিয়েছে। এখন আরিয়া ফেরদৌস আর সূচনা মিলে রাতের খাবারের আয়োজন করছেন। আর মাফিন স্বস্তিকাকে তার বাবার বাসায় নামিয়ে দিতে গিয়েছে।
এদিকে মারিয়া মহুয়ার কাছে এসে বলল,
“চল চান্দু, তোর দুলাভাইয়ের সাথে দেখা করবি না?”
মহুয়া চোখ বড় বড় করে বলল, “না।”
“তুই কি পাগল? সবাই দুলাভাইদের সাথে কতো হাসি-তামাশা করে, আর তুই?”
“আমি করি না এসব। যা তো এখন। তুই নিজেই গিয়ে তোর বরের সাথে হাসি-তামাশা কর। আমাকে বিরক্ত করিস না তো। আমি এখন বই পড়ছি।”
“তোর বিয়ের দিন যদি আমি পাহাড় বা সমুদ্র দেখতে চলে যাই, তখন তোর কেমন লাগবে?”
“মারিয়া, তোর বিয়ে তো শেষ। এখন এসব কেন বলছিস?”
“উফ! যাবি এখন?”
“যাবি বলে না। বল যে আসবি এখন?”
“তুই প্লিজ আমাকে ভাষা শেখাতে আসিস না। আমার কথা তোকে বোঝাতে পারলেই হলো। এখন যেহেতু বুঝেছিস, চল।”
মহুয়া উড়নাটা ঠিক করে মারিয়ার হাত ধরে বললো,
“কি বলবো দুলাভাইকে?”
“সালাম দিবি, কেমন আছেন জিজ্ঞেস করবি।”
“আর কিছু বলতে হবে?”
“উনি যদি কিছু জিজ্ঞেস করে উত্তর দিবি।”
“এরপর?”
“ওরে আল্লাহ, আমি আছি তো নাকি।”
“আগে বল, দুলাভাইয়ের সামনে আমাকে পঁচাবি না।”
মারিয়া রাগী কন্ঠে বললো,
“মহুয়া, প্লিজ।”
মহুয়া নরম কন্ঠে বলল,
“আচ্ছা, যাচ্ছি তো। রেগে যাচ্ছিস কেন?”
মারিয়া মহুয়াকে টেনে বসার ঘরে নিয়ে এলো। প্রহর মারিয়ার পাশে মহুয়াকে দেখে বসা থেকে দাঁড়িয়ে গেলো। মহুয়াকে দেখে তার চোখ দুইটা থমকে গেছে।
মারিয়া মহুয়াকে দেখিয়ে দিয়ে প্রহরকে উদ্দেশ্য করে বলল,
“এ হচ্ছে আমার বোন আর আপনার একমাত্র শালিকা মহুয়া। আর মহুয়া, এ হচ্ছে তোর একমাত্র দুলাভাই।”
মহুয়া প্রহরের দিকে কিছুক্ষণ অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো। তারপর মাথা নিচু করে বলল,
“আসসালামু আলাইকুম, ভাইয়া।”
প্রহর সালামের উত্তর নিয়ে মারিয়াকে জিজ্ঞেস করলো,
“তোমরা জমজ বোন?”
মারিয়া বলল,
“হ্যাঁ। কেন আপনি জানতেন না? ওহ আচ্ছা, আপনাকে তো বলাই হয় নি।”
প্রহরের গলার পানি শুকিয়ে গেছে, সে এতোক্ষণে বুঝে ফেলেছে, তার কতো বড় ভুল হয়ে গেছে। প্রহর যাকে ভালোবাসতো, তার সাথে তো তার বিয়ে হয় নি। বিয়ে হয়েছে তার মায়াবিনীর বোনের সাথে।
মারিয়া প্রহরের মলিন মুখ দেখে বলল,
“কি হয়েছে আপনার?”
প্রহর নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,
“কিছু হয় নি।”
মারিয়া এবার মহুয়াকে তার পাশে বসিয়ে দিয়ে বলল,
“চুপ করে আছিস কেন? কথা বল।”
মহুয়া চোখ ছোট করে মারিয়ার দিকে তাকালো। তারপর প্রহরের দিকে তাকালো। মহুয়ার সেই মায়া ভরা চোখ দুটি দেখে প্রহরের ভেতরটা দুমড়ে মুচড়ে গেলো। এমন একটা পরিস্থিতিতে নিজেকে কিভাবে শান্ত রাখবে, সেটা এই মুহূর্তে প্রহর বুঝতে পারছে না। এদিকে মহুয়া মারিয়ার জোরাজোরিতে বুকে সাহস নিয়ে প্রহরকে জিজ্ঞেস করলো,
“কেমন আছেন, ভাইয়া?”
প্রহর মহুয়ার কথায় বাস্তবে ফিরে এলো। তারপর ভ্রূ কুঁচকে বললো,
“সরি, আমি আসলে তোমার কথাটা শুনতে পাই নি।”
মহুয়া লজ্জা পেয়ে মাথা নামিয়ে ফেললো। মারিয়া মহুয়ার পক্ষ থেকে জিজ্ঞেস করলো,
“ও জিজ্ঞেস করছে, আপনি কেমন আছেন?”
প্রহর ধরা কন্ঠে উত্তর দিলো, “ভালো।”
মহুয়া প্রহরের কন্ঠে মলিনতার ছাপ পেয়ে মনে করলো, সে আসায় প্রহর বিরক্ত হয়েছে। আর আজই যেহেতু মারিয়া আর প্রহরের বিয়ে হয়েছে, তাদের একান্তে কিছু সময় কাটানোর জন্য সুযোগ দেওয়া উচিত। তাই মহুয়া সোফা ছেড়ে দাঁড়িয়ে বলল,
“আপনারা বসুন। আমি আসছি।”
মহুয়া চলে যাবে শুনে প্রহরের বুকটা ধক করে উঠলো। সে ব্যস্ত কন্ঠে বলল,
“না, না তুমি বসো।”
মারিয়া প্রহরের উত্তর শুনে ভ্রূ কুঁচকে তার দিকে তাকালো, যেটি প্রহর ভালোভাবেই খেয়াল করলো। তাই সে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে বলল,
“তোমার সাথে তো ভালোভাবে কথাও হয় নি। বসো তুমি।”
মহুয়া মাথা নেড়ে চুপচাপ বসে পড়লো। এরপর প্রহর মহুয়ার নাম, কলেজ সব জেনে নিলো। হঠাৎ মারিয়া বলে উঠলো,
“আপনি জানেন, মহুয়ার বই পড়ার তুমুল নেশা। কিছুক্ষণ আগেও ও বই পড়ছিলো। ওকে সেখান থেকেই টেনে তুলে আপনার সাথে দেখা করিয়ে দেওয়ার জন্য এনেছি।”
এবার প্রহর বলল,
“আমারও বই পড়তে ভালো লাগে।”
মহুয়া প্রহরের দিকে তাকিয়ে এতোক্ষণ মনের মধ্যে চেপে রাখা প্রশ্নটি করেই ফেলল,
“আমি হয়তো আপনাকে বাতিঘরে দেখেছিলাম। আপনি কি ওখানে বই পড়তে যান?”
প্রহর মলিন হেসে বলল,
“যেতাম। এখন আর যাবো না।”
“কেন?”
“এমনিতেই।”
মহুয়া আর কিছুই জিজ্ঞেস করলো না। তার মনে পড়ে গেলো, প্রহরই তার সাথে সেদিন বাতিঘরে কথা বলতে এসেছিলো। আর প্রহরের হাসিটা তার খুব সুন্দর লেগেছিলো। কিন্তু হঠাৎ এই সুন্দর হাসিমাখা মুখটাতে এতো বিষন্নতা কেন? মহুয়া জানতে চায়, কেন প্রহরের মুখে খুশির কোনো চিহ্ন নেই? আজ তো তার বিয়ে হয়েছে, আজ তো তার চোখেমুখে আনন্দ থাকার কথা।
মহুয়া বইয়ে পড়েছিল, বিয়ের পর বর-বধূর চোখেমুখে আলাদা মাধুর্য দেখা যায়। উভয়ের মুখটা আলোকিত হয়ে উঠে। কিন্তু বাস্তবে মারিয়ার মুখে সেই মাধুর্যটা দেখতে পেলেও প্রহরের মুখে বিষন্নতা। আবার মহুয়া ভাবলো, হয়তো সে এমনই। পরক্ষণেই মহুয়া ভাবলো, কিন্তু সেদিন যে খুব সুন্দর করে হাসলো?
হঠাৎ আরিয়া ফেরদৌস ডাক দেওয়ায় মহুয়া উঠে চলে গেলো। মহুয়া চলে যাওয়ার পর মারিয়া এসে প্রহরের পাশে বসে পড়লো। প্রহর মারিয়ার দিকে তাকিয়ে ভাবলো,
“এখন এই মেয়েটাই আমার স্ত্রী। আমার এখন মায়াবিনীকে নিয়ে ভাবার কোনো অধিকার নেই। এতোদিন আমি আমার অনুভূতিটাকে পবিত্র মনে করতাম। আর আজ এতো বড় ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমার অনুভূতিটা এখন নষ্টের পথে, আর মায়াবিনী আমার থেকে বহুদূরে। এখন মায়াবিনীর কথা চিন্তা করা অন্যায়, যা মারিয়ার সাথেও অন্যায় করা হবে, বিয়ে নামক সম্পর্কের প্রতিও অন্যায় করা হবে। আর এই অন্যায় আমি কখনোই করতে পারবো না।”
মারিয়া হঠাৎ প্রহরের কপালে আসা চুলগুলো সরিয়ে দিয়ে বলল,
“আপনার চুলগুলো অনেক বড় হয়েছে। আপনি চুল কাটেন না?”
প্রহর মাথা নেড়ে বললো,
“কয়েকদিন ব্যস্ত ছিলাম, তাই সময় পাই নি।”
“মা তো মাফিন ভাইয়াকে চুল লম্বা রাখতেই দেয় না। একটু বড় হলেই বকাঝকা করে। আপনার মা বকা দেয় না?”
“মা এসব ব্যাপার নিয়ে কিছুই বলেন না।”
“ওয়াও, আন্টি তো দেখছি অনেক ভালো।”
এরপর মারিয়া প্রহরের সাথে গল্প জুড়িয়ে দিলো। তার ভ্রমণ গল্প, মহুয়ার গল্প, কলেজের গল্প, বান্ধবীদের নিয়ে গল্প, ইত্যাদি আরো অনেক গল্প। কিন্তু প্রহর বিনিময়ে শুধু হাসি ফেরত দিচ্ছে। তার এই মুহূর্তে নিজেকে ঠিক করার জন্য একা থাকা প্রয়োজন। কিন্তু সেই সুযোগটাও সে পাচ্ছে না।
দেয়ালের এপাড়ে প্রহর, ওপাড়ে তার মায়াবিনী। কিন্তু তাদের মাঝের এই দেয়ালটা এতোটা ভারী, আর শক্ত যা কোনো ভাবেই আর ভাঙবে না। শুধু প্রহরের মনটাই ভাঙবে।
চলবে-