রংধনুর_আকাশ #লেখিকা_সামিয়া_বিনতে_হামিদ বোনাস পর্ব:

0
639

#রংধনুর_আকাশ
#লেখিকা_সামিয়া_বিনতে_হামিদ
বোনাস পর্ব:

৮৭।
মারিয়া বাসায় এসে মুখ ভার করে বসে আছে। প্রহর মারিয়াকে দেখেও না দেখার ভান করে নিজের কাজ করছে। মারিয়া এবার চেঁচিয়ে বললো,
“তোমার সমস্যাটা কোথায়? তুমি আমাকে ইগনোর করছো কেন? তুমি না আজ আমাকে সত্য কথা বলেই ফেলো। কি চাও তুমি?”

প্রহর শীতল কণ্ঠে বললো,
“এই মুহূর্তে তোমার চেঁচামেচিগুলো ভালো লাগছে না। বাসায় আসার পর পরই শুরু করে দিয়েছ? তোমার মধ্যে আসলেই কান্ড জ্ঞানের অভাব আছে। বিয়ের পর থেকেই আমি তোমার ন্যাকামো গুলো সহ্য করে আসছি। অসহ্যকর!”

প্রহরের কথাগুলো শুনে মুহূর্তেই মারিয়ার মনটা আরো খারাপ হয়ে গেলো। যেন শুভ্র আকাশে হঠাৎ কালো মেঘের আগমন ঘটেছে। মারিয়া ক্ষীণ কন্ঠে বললো,
“আমি অসহ্যকর? আমি তো তোমার সাথে অভিমান করে আছি। তুমি কি বুঝতে পারছো না?”

“অভিমান? কিসের অভিমান! আমি কি এমন করলাম যে তোমার অভিমান হচ্ছে?”

“প্রহর, তুমি কাল আমাকে একটা কলও দাও নি। আমি কোথায় আছি, জানতেও চাও নি।”

“অদ্ভুত! মাকে তো বলেই গেছো। মা আমাকে বলেছিলো তুমি তোমাদের বাসায় গেছো। আবার আলাদাভাবে জিজ্ঞেস করার কি আছে?”

“মাকে বলা আর তোমার জিজ্ঞেস করা আলাদা। তুমি তবুও আমাকে ফোন করতে পারতে। তোমার কি একটুও ইচ্ছে করে না আমার সাথে থাকতে? বউ বাপের বাড়ি গেলে বরদের ঘুম হয় না। আর তুমি!”

“তুমি ক’টা সংসার করে এসব কথা বলছো? এসব সিনেমাতে হয়।”

“সিনেমা দেখে বলি নি। আমার ঘরেও এমন ছেলে আছে। শুধু তুমিই ব্যতিক্রম।”

প্রহর এবার রেগে গিয়ে চেঁচিয়ে বলল,
“মারিয়া! তুমি কিন্তু বেশি বাড়াবাড়ি করছো। আমাকে অন্য কারো সাথে কম্পেয়ার করবে না।”

“আর তুমি তো আমাকে কখনোই কারো সাথে কম্পেয়ার করো নি, তাই না? আমি বাকী মেয়েদের মতো কেন শান্ত থাকি না? কেন আমি মহুয়ার মতো না! এসব কে বলেছিলো আমাকে?”

মহুয়ার নামটা মারিয়া একটু জোর দিয়েই উচ্চারণ করলো। প্রহর এবার উঠে দাঁড়ালো। মারিয়া প্রহরের সামনে এসে বলল,
“আমি তোমার বউ। তুমি আমাকে এভাবে ইগনোর করতে পারবে না। আর তুমি এভাবে ক’দিন আমাকে অবহেলা করবে, বলো? তুমি বিয়েই বা করেছো কেন? মানুষ বিয়ে করে একজন ভালো এবং খুব কাছের বন্ধু পাওয়ার জন্য, যার সাথে সে মনের সব কথা ভাগ করে নিতে পারে। আর তুমি আমাকে কেন বিয়ে করেছ? ঘরে স্ট্যাচুর মতো বসিয়ে রাখার জন্য? আমি কথা বললে তোমার মনে হয় চেঁচাচ্ছি, আমি হাসলে মনে হয়, আমি উৎশৃঙ্খল। আমি ভালোবাসা দেখালে তোমার ন্যাকামো মনে হয়। তাহলে আমি কি করবো বলো!”

“আমাকে বিরক্ত করো না তো। আর একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।”

প্রহর মারিয়ার পাশ কেটে রুম থেকে বের হয়ে গেলো। মারিয়াও রাগ করে রুমে বসে রইলো।

মানসিক যন্ত্রণা মানুষকে মনের দিক থেকে প্রচন্ড দুর্বল করে দেয়। আর মারিয়াও দিন দিন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন ভার্সিটিতে যাওয়া, আবার বাসায় ফেরা। প্রিয়া আর শাশুড়ীর সাথে গল্প করে সময় পার করতেই সে এখন অভ্যস্ত। সে ইদানীং প্রহরের সাথে প্রয়োজন ছাড়া কোনো কথায় বলে না। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ আগেও প্রহর অফিস থেকে ফেরার পর থেকেই মারিয়া অনর্গল কথা বলেই যেতো। আর উত্তরে প্রহর শুধু হুম, হ্যাঁ করতো। এখন মারিয়া আর যখন তখন প্রহরকে জড়িয়ে ধরে না। তবে কয়েক সপ্তাহ আগেও সে সকালে প্রহরকে আদর করে ঘুম থেকে ডেকে দিয়েছিলো। প্রহর অফিসে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হওয়ার আগে অনুমতি ছাড়াই শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বিদায় দিয়েছিলো। আর বাসায় থাকলে হুটহাট রুমে এসে প্রহরকে কিছুক্ষণ জড়িয়ে ধরে রাখতো, তারপর আবার কিছু না বলে চলে যেতো। প্রহর মারিয়ার এসব কর্মকান্ডে প্রচুর অবাক হতো। কয়েক রাত আগেও মারিয়া প্রহরকে চেপে ধরেই ঘুমাতো, আর প্রহর সরিয়ে দিলে দমক দিয়ে বলতো,
“আমি এখন চেঁচিয়ে পুরো বাড়ি মাথায় তুলবো। তখন তোমার মান-সম্মান আর থাকবে না।”

প্রহরও এসব শুনে চুপ করে থাকতো। কিন্তু এখন মারিয়া যেন নিজেই তাদের মধ্যে দেয়াল দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। এখন আর ছুটির দিনে প্রহরকে নিজ হাতে ভাত খাইয়ে দেওয়ার জন্য সে জোর করে না। কিন্তু কিছুদিন আগেও ভাত মেখে প্রহরের মুখের সামনে ধরে বলেছিল,
“তুমি কত্তো ভালো একটা বউ পেয়েছো, দেখো। সে তোমাকে খাইয়ে দিতে চায়। আর তোমার বউটা কিন্ত লক্ষী বর পাই নি। সে খাইয়ে দেওয়া তো বহুদূর পাশে বসে কথাও বলে না।”

প্রহর তখন এসবে কোনো উত্তর দিতো না। তবে মারিয়ার হাতে সে একবারো ভাত খায় নি। প্রতিবারই সে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। তখন মারিয়াও উপায় না পেয়ে সেই ভাতগুলো নিজেই খেয়ে নিতো।
ইদানীং মারিয়া আর প্রহরের কাপড়চোপড় পরে বসে থাকে না, যা মারিয়া কিছুদিন আগেও করতো। বিয়ের পর মারিয়ার টি-শার্ট পরাটা প্রহরের পছন্দ ছিলো না। কিন্তু মারিয়া শ্বশুড়-শাশুড়ির সামনে না পরলেও প্রহরের সামনে ইচ্ছে করেই টি-শার্ট আর শর্টস পরে ঘুরাঘুরি করতো, তাও আবার প্রহরের টি-শার্ট। প্রহর প্রথম প্রথম বারণ করলেও পরে আর কিছু বলে নি। কারণ সে বুঝে গিয়েছিল, মারিয়াকে বারণ করলে সে শুনবে তো না-ই, বরং আরো বেশি বাড়াবাড়ি করবে।

আজকাল এই দূরত্ব প্রহরকে ভাবাচ্ছে। আজও তার এলার্মের শব্দে ঘুম ভেঙেছে। ঘুম থেকে উঠতেই সে ঘড়ির দিকে তাকালো। তারপর পুরো ঘরে একবার চোখ বুলিয়ে নিলো। কিন্তু মারিয়াকে কোথাও দেখলো না। ফ্রেশ হয়ে রুম থেকে বের হয়ে দেখলো মারিয়া প্রিয়ার সাথে কোনো একটা বিষয় নিয়ে কথা বলছে। প্রহর তাদের মুখোমুখি বসে বলল,
“আজ আমার অফিস নেই।”

প্রিয়া ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বলল,
“শুক্রবার কি কারো অফিস থাকে?”

“সেটাই তো। এলার্ম বাজছিল, তাই বললাম। ছুটির দিনে তো আর আমি এলার্ম দেই না।”

প্রিয়া মারিয়ার দিকে তাকালো। মারিয়া বলল,
“আমি খেয়াল করি নি। আমার মনে ছিলো না যে আজ শুক্রবার।”

“আচ্ছা, সমস্যা নাই। নাস্তা খেয়ে নেই চলো।”

প্রিয়া বলল,
“ভাইয়া, আমরা খেয়ে নিয়েছি। তুই একা একাই খেয়ে নে। তোরটা টেবিলেই আছে। মারিয়া এই মাত্র গরম করে রেখেছে।”

প্রহর বলল,
“তুই ওকে মারিয়া বলে ডাকিস কেন?”

“কেন, তো কি ডাকবো?”

“ভাবী বলে ডাকবি।”

প্রিয়া প্রহরের কথা শুনে দুষ্টু হাসি দিয়ে বলে উঠলো, “ওওও.. আচ্ছা!”

“ও আচ্ছা বলার কি আছে! বয়সে সমান হলেও মাঝে মাঝে সম্পর্কের দিকে থেকে সম্মান দিতে হয়। এটাই ভদ্রতা।”

মারিয়া বলল,
“আমিই ওকে বলেছি মারিয়া বলে ডাকতে। ও আমার কাছে মহুয়ার মতোই। ওকে আমি ননদ হিসেবে কখনোই দেখি নি। আর আপনি সম্পর্কের ব্যাপারে কিছু না বললেই ভালো হবে। সম্মান ভাবী ডাকার মধ্যে নেই। সম্মান মন থেকে আসে। প্রিয়া আমাকে মন থেকে ভালোবাসে। তাই আমার লোক দেখানো ভাবী ডাক শুনতে হবে না। অন্য কেউ হয়তে লোক দেখানো সম্পর্ক রাখে, তাই তার সবাইকে নিজের মতোই মনে হয়।”

প্রিয়া মারিয়ার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো। প্রহর কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে উঠে চলে গেলো। প্রায় দু’ঘন্টা পর মারিয়া রুমে এলো। মারিয়াকে দেখেই প্রহর বলল,
“তুমি প্রিয়ার সামনে এসব কি বলছিলে?”

মারিয়া চুপচাপ আলমারি থেকে ব্যাগ বের করে কাপড় ঢোকাতে লাগলো। প্রহর অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
“ব্যাগে কাপড় ঢুকাচ্ছ কেন?”

“বাইরে যাচ্ছি তাই!”

“কোথায় যাচ্ছো?”

“মাকে বলেছি। জেনে নিতে পারেন। সবাইকে আলাদাভাবে বলার প্রয়োজন মনে করছি না।”

“তুমি আমার সাথে রাগ করেছো?”

“আপনার সাথে কেন রাগ করবো? আমি শুধু এখন আর কাউকে বিরক্ত করতে চাই না, ব্যস।”

প্রহর মারিয়ার হাত ধরে বলল,
“মারিয়া, সরি।”

“সরি কেন বলছেন?”

“তুমি আমার সাথে এভাবে কথা বলছ কেন?”

মারিয়া হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বলল,
“দুঃখিত। আর বলবো না।”

মারিয়া ব্যাগপত্র গুছিয়ে আয়নার সামনে বসে সাজতে লাগলো। প্রহর মারিয়ার পাশে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে মায়ের রুমে এসে জিজ্ঞেস করলো,
“মারিয়া কোথায় যাচ্ছে?”

মাসুমা আকতার বললেন,
“মারিয়া ওর বান্ধবী সিয়ার বাসায় যাচ্ছে। আর সেখানেই দু’দিন থাকবে, সিয়ার বোনের বিয়ে তো তাই।”

“আর তুমি অনুমতি দিয়ে দিলে?”

“কেন দেবো না? প্রিয়াকে তো ঠিকই দিতাম। ও আর প্রিয়া আমার কাছে সমান। আর সিয়ার মায়ের সাথেও আমার কথা হয়েছে। সিয়ার কোনো ভাইও নেই। মারিয়ার কোনো সমস্যা হবে না।”

“মা আমি ওর হাসবেন্ড। কিন্তু এই ব্যাপারে ও তো আমাকে কিছু জিজ্ঞেসও করলো না।”

“জিজ্ঞেস করার মতো সম্পর্ক তো তোদের নেই।”

প্রহর কথাটি শুনে কিছুটা অবাক হলো। মাসুমা আকতার বললেন,
“আমি মা। আমি সব বুঝি। আমি দেখেছি তুই ওর হাসবেন্ড নাকি অপরিচিত কেউ। মেয়েটা এই সম্পর্কে অনেক শ্রম দিয়েছে। চারমাস ধরে তা-ই দেখে যাচ্ছি। কিন্তু বিনিময়ে তোর পক্ষ থেকে কিছুই দেখি নি। তোদের ভেতরের খবর আমি জানি না। কিন্তু মানুষ ওতোটাও বোকা নয়। আমার অনেক বছরের অভিজ্ঞতা আছে। কোন সম্পর্ক স্বাভাবিক আর কোনটা অস্বাভাবিক তা আমি দেখলেই বুঝতে পারি। আর যেখানে আমি এও জানি তোর মন এই সম্পর্কে কতোখানি বসেছে, আর বাইরে কতোখানি বসেছে।”

প্রহর রাগ দেখিয়ে বলল,
“মা তুমি এসব কি বলছো?”

“মারিয়া তোর অতীত সম্পর্কে এখনো কিছুই জানে না। কিন্তু তোর অতীত যেহেতু বর্তমানেও আছে, তাহলে এই সত্য বেশিদিন গোপন থাকবে না।”

“মা, আমার আর মহুয়ার মধ্যে এমন কোনো কিছুই নেই। আমাদের শুধু বাতিঘরেই দেখা হয়। আলাদা ভাবে কখনোই আমরা দেখা করি নি।”

“বাতিঘরে দেখা হয় না। তুই ওর সাথে দেখা করতেই বাতিঘরে যাস।”

মাসুমা আকতার কথাটি একটু জোর দিয়েই বললেন। প্রহর আর কিছুই বলার সাহস পেলো না। সে চুপচাপ রুম থেকে বেরিয়ে পড়লো। মারিয়াও সিয়ার বাসায় চলে গেলো।

এদিকে হুট করে মাফিন ফ্ল্যাট কিনে বাসা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলো। মাফিনের আলাদা হওয়ার কথা শুনে আরিয়া ফেরদৌস স্তব্ধ হয়ে গেলেন। কিন্তু স্বস্তিকা খুব খুশি হলো। আরিয়া ফেরদৌস বললেন,
“আমি চাই না আমার সন্তানরা আলাদা থাকুক। এতো বড় ফ্ল্যাট তো তোদের জন্যই কিনেছিলাম।”

মাফিন বলল,
“এতো বড় ফ্ল্যাট অথচ কোনো শান্তি নেই। আমাদের কোনো প্রাইভেসিও নেই। আমার এতো বড় ফ্ল্যাট লাগবে না। আমি আমার বউকে নিয়ে আলাদা থাকবো। আর প্রতিদিনের ঝামেলাগুলো আমার ভালো লাগে না।”

“কেউ ঝামেলা করছে না। শুধু শুধু আলাদা হওয়ার দরকার নেই।”

স্বস্তিকা বলল,
“মা, আপনার তো খুশি হওয়া উচিত। আমার কারণে তো ভাবীর ক্ষতি হয়। আমরা আলাদা হয়ে গেলে, অন্তত আপনার বড় বউ ভালো থাকবে।”

আরিয়া ফেরদৌস রাগী কন্ঠে বললেন,
“তুমি চুপ করো। তোমাকে আমি ভালো মেয়ে মনে করেছিলাম। কিন্তু তুমি তো দেখছি!”

আরিয়া ফেরদৌসকে থামিয়ে দিয়ে মাফিন বলল,
“তুমি আমার বউকে উল্টাপাল্টা কথা বলবে না।”

আরিয়া ফেরদৌস মাফিনের হাত ধরে বললেন,
“মাফিন, আমি তোদের জন্য এই পুরো জীবনটা কাটিয়ে দিয়েছি। তোদের ছাড়া আমি ভালো থাকবো না। আমাকে এই বয়সে এসে আবার একা করে দিস না। তোরা ছাড়া আমার কেউ নেই।”

মাফিন মায়ের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বলল,
“তোমার বড় ছেলে আছে, বড় বউমা আছে। খুব শীঘ্রই নাতি-নাতনির মুখ দেখার সৌভাগ্য হবে। আর কি চাই তোমার?”

“আমি তোকে হারাতে চাই না।”

“তো তুমি চাও তোমার জন্য আমি স্বস্তিকাকে ছেড়ে দেই?”

“আমি তো এই কথা বলি নি।”

“রোজ রোজ তো তা-ই বোঝাছো। ও কেন তোমার বকাঝকা শুনবে!”

“আমি স্বস্তিকার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেবো। আর কখনো কিচ্ছু বলবো না।”

মাফিন মায়ের কথার কোনো উত্তর না দিয়ে স্বস্তিকাকে বলল,
“ব্যাগপত্র গুছিয়ে রাখো। আমি বিকেলে এসে তোমাকে নিয়ে যাবো।”

মাফিন বাসা থেকে বেরিয়ে রাস্তায় হাঁটতে লাগলো। মায়ের অসহায় চাহনি দেখে তার কাঁদতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু এই মুহূর্তে এটিই তার কাছে উত্তম মনে হচ্ছে। কারণ স্বস্তিকার জন্য মাহাথির সাথেও দিন দিন তার সম্পর্কটা শিথিল হয়ে পড়ছে। আর এভাবে সে সবাইকে হারাতে চায় না। তাই আপতত নিজেকে সবার কাছ থেকে দূরে রাখাটাই তার কাছে যুক্তিযুক্ত।

চলবে-

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here