প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_১২
#Writer_Afnan_Lara
🌸
আর কখনও আপনার ব্যাপার নিয়ে গোয়েন্দাগিরি করবো না,আপনার কসম!!
সরি আর করবো না এমন,বাসায় যাবো,আন্টি আর আম্মু তো অপেক্ষা করছে তাই না??
.
হুম,যাবো তো!
.
শান্ত ক্যামেরাটা দারোয়ানের হাতে দিয়ে বললো ছবি তুলতে
.
কককককি কিসের পিক!
.
শান্ত মুচকি হেসে আহানার কোমড়ে হাত রেখে টান দিয়ে কাছে নিয়ে আসলো
তারপর গায়ের থেকে জ্যাকেটটা খুলে দূরে সরিয়ে রেখে দারোয়ানকে বললো এমন ভাবে ছবি তুলতে যেন শান্তর মুখ না উঠে
.
আহানা চোখ বড় করে দূরে সরতে নিতে গিয়েও পারলো না কারণ শান্ত ওকে ভালো করে ধরে রেখেছে
দারোয়ান কয়েকটা ছবি তুলে দিলো তৎক্ষনাৎ
শান্ত ক্যামেরা হাতে নিয়ে হেসে বললো”পারফেক্ট!! এবার এগুলা আমি আহানার বিরুদ্ধে ইউজ করবো”
.
আহানা ছবিগুলো দেখে বললো”এটা তো আপনি!”
.
তো?কথাটা তুমি জানো আর আমি জানি,জ্যাকেট খুলসি কেন?যাতে কেউ আমাকে না চেনে
শান্ত তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে টেবিলের উপর থেকে জ্যাকেট নিয়ে বিল দিতে চলে গেলো
আহানা বোকার মতন চেয়ে দাঁড়িয়ে আছে
সে এসেছিল একজনকে ফাঁসাতে আর এখন সে নিজেই ফেঁসে গেছে
এসব ভেবে কপাল চাপড়াতে চাপড়াতে বেরিয়ে গেলো সে
ধুর!আর জীবনে এর পিছনে গোয়েন্দাগিরি করতে আসবো না আমি
এখন যদি মাকে দেখায় এই ছবিটা?না না মা তো চিনবে উনাকে,মুখ না দেখলেও বডি তো চেনা যায়,হুম!সেটাই
.
এই মেয়ে!
.
আহানা হাঁটা থামিয়ে শান্তর দিকে তাকালো
.
কই যাচ্ছো তুমি?
.
আপনার কি?
.
কথা সুন্দর মার্জিত ভাবে বলবা নাহলে ছবিটা আন্টিকে দেখায় দিব
.
মা আপনাকে দেখলেই চিনে ফেলবে মুখ না দেখলেও
.
চিনবে না দেখিও
.
শান্ত গিয়ে কারে বসলো,আহানা মুখ বাঁকিয়ে হাঁটা ধরেছে সোজা
শান্ত ওকে একবার ডাকলো ও না
আহানার সেদিকে নজর ও নাই তার মাথায় খালি ঘুরতেছে মা কি চিনবে যে এটা শান্ত,যদি না চেনে?
ক্যামেরাটা হাইজ্যাক করতে হবে নাহলে আহানা তুই মস্তবড় বিপদে পড়তে চলেছিস
.
শান্ত কার ঘুরিয়ে কিছুদূর গিয়ে থামালো আবার
আহানা দেখলো না সে এখনও ভাবতে ভাবতে হাঁটতেছে
.
শান্ত গ্লাস নামিয়ে চেঁচিয়ে বললো”এত ভাব না দেখিয়ে কারে উঠো নাহলে তোমার চুল ছিঁড়ে তারপর তোমাকে উঠাবো আমি”
.
আহানা চমকে পাশে তাকিয়ে দেখলো শান্ত রাগী চোখে ওর দিকে তাকিয়ে আছে কারে বসে
.
আহানা কাছে এসে কোমড়ে হাত দিয়ে বললো”আপনার সাথে যাব না আমি,আপনি যান ”
.
ফাইন!যেও না
কথাটা বলে শান্ত চলে গেলো
.
আহানা মুখ বাঁকিয়ে আবারও হেঁটে চলেছে
♣
শান্ত বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে একটা চিপস হাতে নিয়ে বারান্দায় বসে খাচ্ছে আর কোলে ল্যাপটপ রেখে অফিসের খুচরো কাজ করে যাচ্ছে
চিপসটা ফ্যাট ফ্রি,এখন কার যুগে এসব চিপস খাইলেও লাভ
সন্ধ্যা ৭টা বাজতে চললো,আহানার মা চিন্তিত হয়ে এসে শান্তর রুমের দরজায় নক করলো কয়েকবার
.
শান্ত বারান্দা থেকে এসে দরজা খুলতেই উনি সবার আগে জিজ্ঞেস করলেন শান্ত জানে কিনা আহানা কোথায়
আহানার ফোন অফ
.
ও,,,, তো!
শান্ত আর কিছু বললো না সোজা ঘড়ির দিকে তাকালো
৭টা ২বাজে
শান্ত দেরি না করে এক দৌড়ে বাসা থেকে বেরিয়ে কারে উঠতে যেতেই দেখলো দূর থেকে আহানাকে দেখা যাচ্ছে,কোমড়ে হাত দিয়ে টেরাবেকা হয়ে আসতেছে সে
.
এই মেয়েটা নিজে তো পেরেশানিতে পড়বে সাথে আমাদেরও ফালাবে
.
আহানা কচ্ছপের স্পীডে হেঁটে হেঁটে আসতেছে
শান্তদের বাসার গেটের কাছে এসে হাঁপিয়ে ভিতরে ঢুকতে যেতেই দেখলো শান্ত চোখ বড় করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে
.
কি?
.
তখন আমার সাথে আসলে কি হতো তোমার?তুমি জানো আন্টি কত টেনসন করতেছে?
.
আহানা কথার উত্তর না দিয়ে হেঁটে চলতেই শান্ত ওর হাত ধরে আটকিয়ে বললো”এতটা ইরেসপনসিবল কেন হও তুমি?তুমি যা চাও সেটাই হবে সবসময়?তুমি ভুলে যাও কেন যেকোনো সময় তোমার সাথে যেকোনো কিছু হয়ে যেতে পারে!এই টুকু জ্ঞান নেই তোমার?”
.
আহানা তার হাতের দিকে তাকিয়ে হাত ছাড়িয়ে নিলো,শান্ত ওর হাতের দিকে চেয়ে দেখলো লম্বাটে লাল দাগ হয়ে আছে ওর হাতে
.
সত্যি করে বলো কি হয়েছিলো??
.
আপনি যেটা ভাবতেছেন সেটা হয়নি,কারোর সাহস নেই আহানার সাথে বেয়াদবি করবে,আমি আসার সময় পড়ে গেসিলাম তাই হাতে ব্যাথা পেয়েছি আর কিছু না
কথা শেষ করে আহানা চলে গেলো
.
শান্ত ও পিছন পিছন আসলো ওর
.
কিরে আহানা কই ছিলি তুই?
.
ঐ আসলে টিউশনিতে ছিলাম,আজ তাই একটু দেরি হয়ে গেলো
কোনোরকম বাহানাটা দিয়ে সে চলে গেলো রুমের দিকে,শান্ত সেখানে কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে সে নিজেও রুমে ফেরত গেলো
পরেরদিন ভোর হতেই শান্ত ঘুম থেকে উঠে সবার আগে তার সূর্যমুখী বাগানটার দিকে গিয়ে একবার ভালো করে দেখে নিলো,আহানা নেই,এবার শান্তি
বাগানটা ভালোমতন দেখে এসে শান্ত আবার গিয়ে শুয়ে পড়েছে
আবার সকাল ৯টা বাজতেই শান্ত ঘুম থেকে উঠে পড়লো,রেডি হয়ে অফিসে যাবে
উঠে বসে চোখ কচলাতে কচলাতে সামনে তাকিয়ে দেখলো তার রুমের সোফায় নওশাদ হাত পা ছড়িয়ে বসে বসে ফোনে গেমস খেলছে আর পাশেই বিন ব্যাগে রিয়াজ বসে কার সাথে কথা বলছে আবার মাঝে মাঝে ফোনে চুমু খাচ্ছে
.
একি রে,তোরা?এ সময়ে?কখন এলি?
.
নওশাদ ফোন থেকে মুখ তুলে কিছুক্ষণ চেয়ে রইলো শান্তর দিকে
তারপর সোফার একটা কুশন নিয়ে শান্তর মুখে মেরে দিলো
শান্ত কুশনটা মুখ থেকে সরিয়ে বললো”গাইস এখন এটা বলবা না যে আহানার সাথে আমার কিছু চলে”
.
হ্যাঁ অবশ্যই চলে,আমরা তো ভাবতাম আহানার সাথে তোর জাস্ট ঝগড়ার কারণে বান্দরবনে মিট হয়েছে বাট এখন তো দেখছি মেয়ে বাসা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে
মাই গড!!!
তলে তলে এতো?আর তুই আমাদের ছিঁটে ফোটাও জানালি না,শেম অন ইউ
.
যেটা ঘটেনি সেটা জানিয়ে কি হবে?
.
রিয়াজ ফোনে কথা বলা শেষ দিয়ে শান্তর দিকে চেয়ে গম্ভীর গলায় বললো”ঘটছে তো অনেক কিছুই আর আমরা আজ জানলাম,রিয়েলি নওশাদ আমরা শান্তর কিছু হই না”
.
উফ!বললাম তো আহানার সাথে আমার কোনো রিলেশন নাই,ও জাস্ট আমার আব্বুর বেস্ট ফ্রেন্ডের মেয়ে,ব্যস!
.
হইছে হইছে আমাদের বুঝাতে হবে না
.
নওশাদ আর রিয়াজ গাল ফুলিয়ে শান্তদের ডাইনিং রুমের দিকে চলো গেলো
শান্ত কুশনটা নিয়ে এখনও বসে আছে বোকার মতো,এই বন্ধুগুলা সবসময় উল্টা পাল্টা বুঝে,আজব ব্যাপার
♣
আন্টি আজ আসি আমরা,আপনি কিন্তু সময় করে আমাদের বাসায় আসবেন
.
শান্তর মা আহানার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে মুচকি হাসলেন,উনাকে বিদায় দিয়ে আহানা আর তার মা তাদের বাসায় ফেরত আসলো
বাসায় এসেই আহানা জলদি করে তৈরি হয়ে ভার্সিটির দিকে চলে গেছে
.
শান্ত ফ্রেশ হয়ে ডাইনিংয়ে এসেই দেখলো নওশাদ আর রিয়াজ আপেল খাচ্ছে আর আড় চোখে ওকে দেখছে বারবার
শান্ত ওদের পাশে বসে বললো”কি?তো তোরা কি চাস এখন?এরকম করে তাকাস কেন?”
.
আমরা কিছু চাই না,আমরা জাস্ট বুঝতেছি না তুই আমাদের সাথে আগে সব শেয়ার করতি আর এখন ইয়া বড় বড় টপিক গোপন করে যাচ্ছিস,দিস ইজ আনট্রাস্টেবল
.
সূর্য বাসায় ঢুকতে ঢুকতে বললো”রিয়েলি হতাশাজনক”
.
আসেন আসেন,আপনারই বাকি ছিল,আপনিও শুরু করেন
.
তো কি করবো আমরা?যাই হোক এরকম খোঁটা দিতে আসিনি আমরা
রিয়াজের পরশুদিন আংটি বদল,তোরে তো ফোন দিলে তুই ব্যস্ত থাকোস
আজ এখানে এসে বুঝলাম কেন এত ব্যস্ততা,আচ্ছা আসিস কিন্তু
.
বিয়ের সব ঠিকঠাক তোর রিয়াজ??কার সাথে?নওমি?
.
হুম
.
হে হে শান্ত!!আহানাকে নিয়ে আসিস নাহলে কণা তোরে একা পেয়ে চিবায় চিবায় খাবে
.
ভাই তাহলে আমি আসবো না,এই কণা মেয়েটা অনেক ডেঞ্জারাস,আই মিন গায়ে পড়া স্বভাব, আমার ভালো লাগে না,রিয়াজের চক্করে মাইনকার চিপায় পড়তে হয়েছে আমাকে
আংটিবদলে সেও আসবে নাকি?
.
আরে কি কস,আমার নওমির একমাত্র বেস্ট ফ্রেন্ড হলো কণা,কণা তো সবার আগে আসবে
.
তাহলেই হলো,আমি আমেরিকার ট্রিপে চলে যাবো তাও তোর আংটিবদলে আসবো না,ভিডিও কল দিস লাইভ দেখে নিব
.
তা হচ্ছে না,সরাসরি আসতে হবে তোকে নাহলে তোরে বাসা থেকে লোক ধরিয়ে উঠিয়ে নিয়ে যাব আমি
.
তুই জানিস তো কণা আমাকে কি পরিমাণ ডিস্টার্ব করে
.
তুই ছেলে হয়ে ওকে ধমক দিতে পারিস না?তোর গায়ে লাগে ওকে ধমক দিলে?
.
ধমক?কত বার ধমক দিসি তাতেও যদি ঠিক না হয় তো কি করবো আমি?
.
আহারে শান্ত মিয়া নিজে সুন্দর রুপ পাইয়াও বিপদে পড়সে
.
“যা বের হ তোরা,আমি দেখছি কি করা যায়”
শান্ত রেডি হয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে কার ড্রাইভ করতে করতে ভাবতেছে কি করে রিয়াজকে বুঝাবে যে তার দ্বারা ওর engagement এ আসা পসিবল না কারণ কণা মেয়েটা ওর জন্য জাস্ট পাগল
এত পাগল যে শান্তকে একবার দেখলে আর ওর পিছু ছাড়ে না!কেমনে কি করবো,!
.
আহানা রুপার সাথে আইসক্রিম খাচ্ছে আর হাসতে হাসতে হাঁটতেছে রোডের কিনারা দিয়ে
শান্ত ভাবনার মধ্যে থেকে কার মোড়ে ঢুকালো
ঠিক তখনই কারের সাথে ধাক্কা লেগে আহানা আর একটুর জন্য এক্সিডেন্ট করতো তাও ভয়ে আর বাতাসেই দুম করে পড়ে গেছে সে
শান্তর হুস আসতেই কার থামিয়ে ফেললো সে,তারপর নেমে এদিক ওদিক তাকালো,কারোর কোনো ক্ষতি হলো না তো
আহানা নিচ থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বললো”চোখ কি আল্লাহ দেয় নাই??”
.
শান্ত আহানার কথা শুনে পিছনে তাকালো
আহানা এবার শান্তকে দেখতে পেয়ে চোখ বড় করে বললো”ও!আমার তো ভাবা উচিত ছিল এই বাঁদরামি আর কে করতে পারে,আপনি ছাড়া আর কে হতে পারে!”
.
আহানা!মেজাজ গরম করবা না আমার
.
আরে এটা শান্ত না!???ও মাই গড,!!
.
রুপা থাম আমাকে কথা বলতে দে
আপনি ইচ্ছে করে এমন করছেন তাই না??
.
এমনিতেও মেজাজ গরম আমার, মেজাজ আরও বিগড়াবা না
.
কেন কি করবেন?
.
শান্ত আর কিছু বললো না, কারে উঠে বসতেই রুপা চিল্লাইতে চিল্লাইতে বললো”শান্ত ভাইয়া প্লিস ওর কথায় কিছু মনে করবেন না,ওর মাথায় তো শুকনো গোবর ঠাসা আছে
আমার সাথে কথা বলুন না প্লিস
.
শান্ত ব্রু কুঁচকে বললো”তোমাকে একটা এডভাইস দিই,তোমার বান্ধুবীকে একটু মানুষের মত মানুষ করো,এরকম ঝগড়ায় লেগে থাকলে কবে না জানি মাথা ফেটে মরে যায়
.
কথাটা শুনতে পেয়ে আহানা কাছে এসে বললো”কি বললেন আপনি?আমার মাথা ফেটে আমি মরে যাবো?
তুই মরবি দেখিস”
.
নাউজুবিল্লা! আহানা এসব কি বলিস তুই,কথার কি ছিরি তোর,কার সাথে কি বলতেছিস
.
শান্ত চলে গেছে ততক্ষণে
রুপা আহানাকে ঝাঁকিয়ে বারবার জিজ্ঞেস করতেছে আহানা এরকম করে কথা বলে কেন শান্তর সাথে
আহানা কিছু না বলেই হাঁটা ধরলো উল্টো দিকে
.
শান্ত অফিস রুমে এসে বসতেই কল আসলো সূর্যের
.
হ্যাঁ বল সূর্য!
.
আমরা এখন রিয়াজের বিয়ের শপিং করতে এসেছি,আই মিন আংটি বদলের,তুই আসবি?
.
ধুর কিছু ভাল্লাগে না আমার,তোরা কর শপিং
.
তুই এখনও কণাকে নিয়ে ভাবছিস,আচ্ছা শুন এক কাজ কর কণাকে বলিস তোর engagement হয়ে গেছে তাহলেই তো হলো
.
আর ও বিশ্বাস করবে?
.
আহানাকে নিয়ে আসিস,বলিস আহানা তোর হবু বউ,তাহলেই হয়
.
আমাকে ভূতে ধরে নাই,আর আহানা রাজিও হবে না,এত বড় মিথ্যার দরকার ও নাই
.
ফাইন আসিস না পরশু, রিয়াজ তোকে কাঁচা গিলে খাবে সেদিন
কথাটা বলে সূর্য লাইন কেটে দিলো
.
শান্ত অনলাইনে একটা গিফট চুজ করে অর্ডার দিয়েছে রিয়াজের আংটিবদলের দিন দিবে ওকে
কথা হলো কণার থেকে রক্ষা পাবে কি করে,সূর্য যে বুদ্ধিটা দিলো তাতে কাজ হবে কিন্তু আমি রাজি না
আর ঐ আহানাকে এখন অফারটা দিলে ভাব দেখাবে প্রচুর,ঝগড়া শুরু করে দিবে তার উপর আমার হবু ওয়াইফের অভিনয় ও কেনোই বা করতে যাবে?
সারাদিন ধরে অফিসে থেকে শান্ত ভাবলো কি করে কি করবে
সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাসায় ফিরতেই দেখলো নিতুর রুমে আহানা নিতুকে পড়াচ্ছে
শান্ত রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে ডাইনিংয়ে বসে খাবার খেতে খেতে ভাবলো কণার জ্বালানো থেকে আহানার সাথে ঝগড়া করবো সেটাই বরং ভালো হবে
শান্ত খাওয়া শেষ করে সোফায় বসে আহানাকে ডাক দিলো
আহানা শুনেও না শুনার ভান করে নিতুকে পড়াচ্ছে
.
আপু!ভাইয়া তোমাকে ৩বার ডাকছে এই নিয়ে
.
হুম শুনলাম,, তুমি পড়ো,আমি এখন ব্যস্ত তাই যাবো না
.
শান্ত তো নিজের রাগ কে কন্ট্রোল করার সব চেষ্টা করছে এরকম ভাবওয়ালি মেয়ে সে আর দুটো দেখেনি
এক দেখেছে ছেঁসড়া কণাকে আর এক দেখতেছে এই আহানাকে,যে ভাবের ফ্যাক্টরি খুলে বসে আছে
মেয়েরা শান্তর জন্য পাগল হয়ে যায় আর এই মেয়েকে দেখো ঘুরেও তাকায় না
.
এই মেয়ে!!!
.
আহানা নিতুকে বাংলা প্রতিশব্দের কয়েকটা উদাহরণ লিখতে দিয়ে উঠে এসে কোমড়ে হাত দিয়ে বললো”কি সমস্যা?গরুর মত ডাকতেছেন কেন?”
.
আমি গরু??
.
হুম
.
তাইলে তুমি গাভী!
.
আমি গাভী?কি বললেন আপনি?আমাকে এত বড় কথা বলে অপমান করতে পারলেন??
.
আমাকে যে গরু বললা?সেটা অপমান হলো না
.
গরু তো ঠিক আছে,গাভী কিরকম শুনায়
আপনি নিজের বিবেককে প্রশ্ন করে দেখেন একবার,ছিঃ ছিঃ আমার ইজ্জত একটুও রাখলো না
.
শান্ত গালে হাতে দিয়ে ভাবতে লাগলো”যে গাভীই তো বললো জাস্ট তাই বলে এমন সিনক্রিয়েট করার কি আছে,এটা বুঝি অপমান হলো!
চলবে♥