প্রেমের পাঁচফোড়ন💖 #সিজন_২ #পর্ব_১৫

0
748

প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_১৫
#Writer_Afnan_Lara
🌸
ওয়ালাইকুম আসসালাম!
.
আহানা এবার চলে যাচ্ছে,আবারও শান্ত ডাক দিলো ওরে
ধীরে ধীরে আহানার রাগ আরও বাড়তেছে
ধমক একটা দিয়ে বললো “আবার কি?”
.
মিস সুহানা!আপনার নাকি ৩টা বাচ্চা আছে?তাদের জন্য চকলেট চিপস কিনেছি কিছু নিয়ে যান
.
আহানা কোমড়ে হাত দিয়ে এগিয়ে এসে বললো”তুই রাখ তোর কাছে”
.
শান্ত মুচকি হাসতেছে বসে বসে
আহানা বাসায় ফিরে গোসল করে নিলো তারপর জলদি করে আবার বেরিয়ে পড়লো নিতুকে পড়ানোর জন্য
শান্তদের বাসার গেট দিয়ে ঢুকতে যেতেই সবার আগে শান্তকে দেখলো সে
শান্ত বারান্দায় দাঁড়িয়ে বিয়ার খাচ্ছিলো,আহানাকে দেখে সাথেসাথে লুকিয়ে ফেলে আরেকদিকে ফিরে গেছে সে
আহানা ব্যাপারটায় খেয়াল না দিয়ে নিতুর রুমের দিকে চলে গেছে সোজা
শান্ত বিয়ারের বোতলটা লুকিয়ে আলমারি থেকে একটা প্যাকেট বের করে নিতুর রুমে যেতে গিয়েই থেমে গেলো
ওখানে না গিয়ে মায়ের রুমে গেলো সোজা,মা বিছানায় হেলান দিয়ে বসে আছেন,হাতে একটা বই
বই পড়ার অনেক নেশা উনার,সারাদিনে ফ্রি টাইম পেলেই হাতে বই নিয়ে বসেন তিনি
শান্ত মাকে বললো প্যাকেটটা আহানাকে দিতে,ও দিলে আহানা নিবে না কিন্তু মা দিলে নিতে পারে
কাল রিয়াজের আংটিবদলে সে আহানাকে নিয়ে যাবে সাথে করে
আহানার ভালো জামা শাড়ী নেই বলে শান্ত আসার সময় একটা শাড়ী আর কিছু অরনামেন্টস কিনে এনেছে আহানার জন্য
যাতে ও কাল এগুলো পরে আসতে পারে
মা মুচকি হেসে মাথা নাড়ালেন
প্যাকেটটা মায়ের পাশে রেখে শান্ত নিজের রুমে চলে আসলো
.
আহানা নিতুকে পড়িয়ে চলে যেতে নিতেই রিপা এসে বললো মা নাকি ওকে নিজের রুমে ডাকছে
আহানা তাই সেদিকে গেলো
শান্তর মা একটা ফটো এলবাম নিয়ে বসে আছেন,আহানা গিয়ে উনার পাশে বসলো
উনার হাতে যে এলবামটা আছে তাতে একটা ছবি যেটাতে আহানা শান্তর পিঠে উঠে বসে চিজ পোজ দিয়ে আছে আর শান্ত মরার মত ঘুমাচ্ছে,আহানা হেসে দিলো ছবিটা দেখে
মা ও হাসলেন,তারপর পাশ থেকে প্যাকেটটা নিয়ে আহানার দিকে বাড়িয়ে ধরলেন
আহানা চমকে তাকিয়ে থেকে প্যাকেটটা নিয়ে বললো”এটা কি?”
.
মা কিছু বলতে পারলেন না,রিপা পাশে থেকে বললো”ম্যাডাম তোমাকে উপহার দিয়েছেন”
.
আহানা খুশি হয়ে শান্তর মায়ের হাত জড়িয়ে ধরে হেসে দিলো
শান্ত দিলে সে নিতো না,শান্ত ভালো করেই জানে তাই মাকে দিয়ে দেওয়াইছে
আহানা শান্তর মায়ের সাথে কিছু সময় কাটিয়ে তারপর বাসা থেকে বেরিয়ে গেলো,একটু থেমে পিছন ফিরতেই শান্তকে দেখলো সে
এতক্ষণ ধরে শান্ত ওর দিকেই চেয়ে ছিলো বারান্দায় দাঁড়িয়ে
আহানাকে দেখে আরেকদিকে মুখ করে নিয়েছে সে
আহানা মুখ বাঁকিয়ে চলে গেলো
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা বাজে,আহানা হাঁটার গতি বাড়িয়ে দিয়েছে,বেশি অন্ধকার হলেই বিপদ,মাসের শেষে এসে গেলে হাতে কানাকড়ি ও থাকে না
জলদি করে বাসায় ফিরেই বিছানায় গোল হয়ে বসে সে প্যাকেটটা খুললো,ভিতরে একটা ক্রিম কালারের জর্জেট শাড়ী,মুক্তোর কাজ করা,সাথে গলার কানের সেট,মা তো রীতিমত অবাক,ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখতেছেন সব আর বলতেছেন “শান্তর মায়ের চয়েস অনেক ভালো”
আহানা হেসে বললো”ভালো তো,অন্তত ঐ হারামির চয়েসের থেকেও ভালো”
.
পরেরদিন সকালে বাচ্চাদের পড়ালো না সে রতনের ভয়ে সময় হতেই রেডি হয়ে ভার্সিটির দিকে গেলো,কাল যে একটা চাকরিতে সে জয়েন করেছে সেটাই ভুলে গেছে,মন মত সে ক্লাস করে যাচ্ছে
ফোন বাজতেছে কিন্তু ক্লাস টাইম বলে সে ধরলো না,ভাইব্রেশন দেওয়া
ব্রেক টাইমে রুপার সাথে কথা বলতে বলতে আহানা ক্যামপাসে বের হতেই ওর নজর গেলো ভার্সিটির গেটের দিকে, শান্ত হনহনিয়ে এদিকেই আসতেছে
আহানা চোখ ডলে আবারও তাকালো
না এটা তো সত্যি সত্যি শান্ত,এত রেগে কেন!
ইয়া আল্লাহ!আমার তো অফিসের কথা মনেই নেই,ধুর!
.
এই মেয়ে!বেয়াদব!
কাল যে চাকরির জন্য ফর্ম ফিল আপ করে আসছো সেটা কি মনে নেই তোমার?অফিস কে করবে?
.
এরকম ধমকান কেন??আমার মনে ছিল না,যাচ্ছি এখন
.
কারে গিয়ে বসো যাও
.
আমার বয়ে গেছে আপনার সাথে অফিসে যেতে
আমি রিকসা একটা নিয়ে তারপর যাবো
.
তোমার চাকরি হলো ক্লাইন্টদের সাথে মিটিংয়ে আমাকে হেল্প করা,আর এখন আমি রেস্টুরেন্টে যাচ্ছি যেখানে আমার ক্লাইন্ট ওয়েট করতেছে,এবং তাই তুমি আমার সাথে যাবে
.
ওহ!
.
আরে এটা যে শাহরিয়ার শান্ত!!!
ও মাই গড!!আপনি আমাদের ভার্সিটিতে,আমি কই যাবো!!!কি করবো
.
সীমান্ত সম্ভারে যাও,নওশাদ সেখানে😉
.
🙈আপনি জানলেন কি করে যে আমি উনাকে লাইক ইউ করি
.
নওশাদ বলেছে তুমি আমাকে দেখে হাসো আর ওকে দেখে পিলারের সাথে লেগে যাও,তোমাকে নাকি” ক্রাশ যখন বর”এর তনুর মত লাগে ওর কাছে
.
হ্যাঁ আমি তো তনুর মত,বিয়া না করলে গলা টিপে ধরে বিয়া করে নিব জোর করে
.
তো যাও ধরে বিয়ে করে নিয়ে আসো,আমি চাই আমার আগে ওদের সবার বিয়েটা হয়ে যাক
.
সত্যি!আপনি মজা করছেন না তো?
.
একদমই না,তুমি যাও, আমি নওশাদকে ফোন করে বলে দিচ্ছি ও তোমার সাথে মিট করবে
শান্ত কথাটা বলা শেষ করে আর রুপাকে কোথাও দেখলো না, সে তো উধাও,দুনিয়াতেও নেই
.
আহানা অবাক হয়ে বললো”এই মেয়েটাকে নিয়ে আর পারি না,সত্যি সত্যি সীমান্ত সম্ভারে চলে গেছে মনে হয়
.
হ্যাঁ এখন আমরাও সেখানে যাচ্ছি
.
কেন?
.
বললাম না ক্লাইন্ট আসতেছে
.
“ওহ”
আহানা নিজের গায়ের দিকে তাকালো একবার
ফ্যাকাসে একটা হলুদ রঙের জামা পরে আছে সে,মনে হয় সখিনা জরিনা লাগতেছে
শান্ত কারের ভেতর থেকে একটা কোট নিয়ে আহানার গায়ে ছুঁড়ে মেরে ভিতরে গিয়ে বসলো ড্রাইভিং সিটে
.
আহানা কোটটার দিকে চেয়ে বললো”কি করবো এটা দিয়ে?
.
খাও বসে বসে
কোট মানুষ কি করে?পরে জানো না??আর এটা লেডিস কোট,স্পেশালি তোমার জন্য কেনা,মিটিং এটেন্ড করার সময় সবসময় এটা পরে থাকবা
.
আহানা মাথা নাড়িয়ে এরপর দাঁত কেলিয়ে পরে নিলো কোটটা
তারপর দরজা খুলে ভিতরে এসে বসে পড়লো
শান্ত গাড়ী স্টার্ট করতেই আহানা বললো”আমরা যেহেতু সীমান্ত সম্ভারে যাচ্ছি,রুপাও তো যেতে পারতো আমাদের সাথে?”
.
না পারতো না,রুপা আমাদের সাথে গেলে সে জেনে যেতো তুমি আমার অফিসের কর্মচারী,সে এই কথাটা নওশাদকে বলতো,তারপর নওশাদ রিয়াজ আর সূর্য মিলে আমার মাথা খাইতো এই বলে যে তোমার আর আমার অনেক কিছু চলে
.
ওহহ!তো যখন আমি আজ আপনার সাথে আপনার বন্ধুর আংটিবদলে যাবো তখন কিছু ভাববে না?
.
আইডিয়া ওরাই দিয়েছিলো,কারণ ওখানে একটা মেয়ে আছে নাম কণা, সে আমাকে ডিস্টার্ব করে তাই ওরা বলেছিল এমনটা করতে
.
আচ্ছা
.
নামেন এখন,এসে গেসি আমরা
.
আহানা গাড়ীর দরজা খুলে নেমেই শান্তর পিছন পিছন আসতেছে,শান্ত এত জলদি জলদি হাঁটে
লিফটে ঢুকে আহানা বড় করে শ্বাস একটা নিলো মনে হয় যেন তার পরীক্ষা হবে এখন
তারপর একটা কথা মাথায় আসতেই সে শান্তকে জিজ্ঞেস করলো “তার ভার্সিটির কি হবে?”
.
শান্ত লিফট থেকে বের হতে হতে বললো”দুটোর একটা বেছে নাও”
.
আরে কি বলতেসেন,আমার পড়ালেখা তো চালিয়ে যেতে হবে
.
তুমি ভার্সিটির ক্লাস করো,চাকরির দরকার নেই,সংসার খরচ আমি দিব
.
না😒ফ্রিতে টাকা নিব না আমি
.
তাহলে পড়ালেখার কথা ভুলে যাও,যেকোনো একটা করো
.
আহানা মন খারাপ করে একটা চেয়ার টেনে বসলো
কিছুক্ষণ বাদেই ২জন লোক আসলেন,শার্ট প্যান্ট পরা,দেখতে শান্তর মতোই,ওর বিজনেস পার্টনার,উনারা বসে আহানার দিকে চেয়ে “হ্যালো” বললো
.
শান্ত আজ কিছুই বললো না শুধু চেয়ে চেয়ে আহানার প্রতিটা কাজে মুগ্ধ হয়েছে
অনেক সুন্দর করে আহানা কাজটা সম্পর্কে দুজন লোককে সবটা বুঝিয়ে দিয়েছে,শান্ত আসার সময় কারে ওর হাতে টপিকটার একটা শিট দিয়েছিলো,আহানা শিটটা পড়ে সে অনুয়ায়ী বিশ্লেষণ করলো সবটা
লোকগুলো খুশি হয়ে ডিলে সাইন করে চলে গেলো
মিটিং শেষ হতেই শান্ত দুপুরের খাবার অর্ডার করেছে,আহানা এদিক ওদিক তাকিয়ে আশেপাশের মানুষের চলাচলতি দেখতেছে,সবাই সবার খাওয়া দাওয়া নিয়ে ব্যস্ত
শান্ত ফোনে রিয়াজের সাথে কথা বলতেছে
আহানা চুপ করে চারিদিক দেখে যাচ্ছে শুধু
আবার মাঝে মাঝে শান্তর দিকেও তাকাচ্ছে
এ্যাশ কালারের কোট, তার ভিতরের নীল শার্টে ওকে বেশ লাগতেছে,আহানা ঠিক ভাবে ওকে তেমন করে কোনোদিনই দেখে না
আজ বোরিং লাগতেছিলো বলে একটু তাকালো সে
শান্ত তার ফোন টেবিলের উপর রেখে টেবিলের দিকে তাকিয়ে থেকেই বললো”এই মেয়ে শুনো,এভাবে তাকাইও না,আমি তোমাকে বিয়ে করবো না”
.
আহানা চোখ নামিয়ে আরেকদিকে ফিরে গেলো,তারপর গম্ভীর গলায় বললো”এই যে শুনুন!আপনার সাথে আমার বিয়ে ঠিক হলেও আমি বিয়ের পিড়ি থেকে পালাবো”
.
এই মেয়ে শুনো!আমাকে “এই যে শুনুন” বলবা না
.
কেন?
.
এমনি!
.
শান্ত আর কিছু বললো না,ফোনে একটা গান প্লে করে টেবিলে আবারও রেখে দিলো ফোনটা,খাবার আসতে এত দেরি হচ্ছে কেন!!
গানটা হলো “♥দিল সামাল যা জারা,ফের মোহাব্বত কারনে চালা হে তু♥”
.
আহানার হুট করে খারাপ লাগা শুরু হলো,গায়ের থেকে কোটটা খুলে কোলে রাখলো সে
.
শান্ত আরেকদিকে ফিরে বসে আছে
দুজনেই দুজনের মুখের উপর বলে দিয়েছে তাদের মনের কথা আর এখন নিজেদেরই মন খারাপ হয়ে গেছে
কেন মন খারাপ হয়েছে তার কারণ তারা জানে না,জানতেও চায় না
আহানার বরাবর একটা মেয়ে আর একটা ছেলে বসে হাসছে আর খাচ্ছে,আহানা ওদের দিকে মুচকি হেসে তাকিয়ে আছে
আর শান্তর বরাবর বসেছে একটা ছেলে আর একটা মেয়ে সাথে তাদের ছোট্ট একটা মেয়ে,তারা দুজন মিলে না খেয়ে বাবুটাকেই খাওয়াচ্ছে শুধু
শান্তর মনে হলো ওর মনটা জুড়ে গেছে,হঠাৎ করে ভালো লাগা কাজ করতেছে
এপাশে আহানা আর ওপাশে শান্ত একসাথে দুজনেই হাসলো,তারপর দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে মুখটা আবারও কালো করে খাওয়ায় মন দিলো
শান্ত খেতে খেতে বললো”সন্ধ্যায় রেডি থেকো,আমি তোমাকে তোমাদের বাসা থেকে পিক আপ করে নিব”
.
নিতুকে পড়াতে আসবো না?
.
আজ পড়াতে হবে না,নাহলে যেতে যেতে লেট হয়ে যাবে
.
ঠিক আছে
.
প্রতিবার চিকেনের হাঁড় খাওয়ার সময় ছাড়িয়ে খেলেই হয়,বসে বসে একটা একটা করে হাঁড় সরাচ্ছো,তোমার এই অভ্যাস এখনও গেলো না
.
আপনি জানেন কি করে?
.
বাহ রে,ছোটবেলায় আন্টি তোমাকে ইয়া বড় প্লেটে খাবার ধরিয়ে দিয়ে আমার পাশে বসিয়ে দিতো,আর আমি তোমার খাওয়া দেখতাম
বসে বসে চিকেনের হাঁড় আগে সরিয়ে ফেলে তারপর একসাথে সব মুখে দিয়ে খেতে তুমি,এত বড় হয়ে গেছো এখনও এই অভ্যাস গেলো না তোমার
.
আমার নিজেরই মনে নেই,আর আপনার সব মন আছে?
.
কারণ আমি তখনও তোমার চেয়ে বড় ছিলাম,আর এখন ও
.
আহানা ব্রু কুঁচকে বললো”আপনি নিজের চরকায় তেল দেন না,আমার খাওয়ার দিকে তাকানোর কি আছে?”
.
শান্ত তাচ্ছিল্য করে একটু হাসলো তারপর চামচ দিয়ে রাইস নাড়াতে নাড়াতে বললো”আমার খুনসুটি তো তোমার সাথেই,অন্য কারোর সাথে আসে না,আসবেও না হয়ত!
দেখো না,,,,আমেরিকা থেকে সেই ৭বছর আগে ঢাকায় ফিরেছি,আজ পর্যন্ত কারোর সাথে এরকম ঝগড়া হয়নি,হতেও যায়নি,আর সেই হলো তো তোমার সাথেই হলো যার সাথে ছোটবেলা থেকেই হয়ে আসতেছিলো”
.
আহানা শান্তর মুখ থেকে চোখ সরিয়ে খাবার দূরে ঠেলে দিয়ে পানি নিলো খাওয়ার জন্য
.
আন্টির জন্য ও অর্ডার করেছি, প্যাকেট আসলে ব্যাগে নিয়ে নিও,আর খাবারটা শেষ করো,অনেক কাজ বাকি,আমি কিন্তু কর্মচারীদের বেশি খাওয়াই না প্রয়োজন ছাড়া
.
কথাটা শুনে আহানা মুখ বাঁকিয়ে খাবারের প্লেট টেনে বাকিটাও খাওয়া শুরু করে দিয়েছে
শান্ত উঠে চলে গেছে বিল দিতে,আহানা পানি খেতে খেতে ভাবলো আজ কি সূর্য উঠেছে?ঝগড়ুটে লোকটা কিনা এত মিষ্টি মিষ্টি কথা বলতেছিলো?
আহানা পানি খেতে খেতে সামনে তাকাতেই দেখলো একটু দূরে রুপা দাঁত কেলিয়ে নওশাদের সাথে হাসতে হাসতে কফি খাচ্ছে
এটা দেখে আহানার কাশি উঠে গেলো,ওড়না মুখে রেখে কাশি থামিয়ে শান্তকে খুঁজতে লাগলো সে
শান্ত বিল পে করে এগিয়ে এসে বললো”চলো যাই,লেট হচ্ছে,প্যাক করা খাবার নিয়েছো তো?”
.
আহানা ইশারা করে বললো “নওশাদ ভাইয়া আর রুপা ঐ দিকে”
.
শান্ত চমকে পিছনে তাকিয়ে দেখলো সত্যি তো তাই
তাই সে আহানার হাতে চাবি দিয়ে বললো “নিচে গিয়ে কারে বসতে,সে আসতেছে নওশাদকে হালকা টাইট দিয়ে”
আহানা মাথা নাড়িয়ে চাবি নিয়ে চলে গেলো
শান্ত দাঁত কেলিয়ে নওশাদের দিকে আসতেছে,এসেই নওশাদের ঘাড়ে হাত রেখে বললো”কি ও ভাই??প্রেম হচ্ছে নাকি?”
.
নওশাদ তো একপ্রকার ঝটকা খেয়ে গেলো তারপর হেসে হেসে বললো”আরে না,রুপা তো আসলে এমনি”
.
বুঝি বুঝি,এতদিন আমার পিছনে লাগতেন এবার আমি আপনার পিছনে লাগবো
ভিতরে ভিতরে টেম্পু চালান তাই না?
.
কথাটা বলে শান্ত হেসে চেয়ার টেনে বসলো
রুপা তার কানের পিছনে এলোমেলো চুলগুলো গুজে দিচ্ছে বারবার আর লজ্জা পাচ্ছে শুধু
.
শান্ত নওশাদকে ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে বললো”নট ব্যাড!! রুপার সাথে ভালোই মানাবে তোকে,চটপটা স্বভাবের মেয়েটা
আমারই পছন্দ হয়েছে তোর জন্য তাই তো পাঠিয়ে দিলাম”
.
ধুরু মিয়া!!কই থেকে কই নিয়ে যাচ্ছিস কথা রে
.
রুপা ভ্রু কুঁচকে বললো”কি বললেন?তার মানে এতক্ষণ ধরে যে আমরা কথা বললাম সেটা কিছুই না?”
.
নওশাদ হালকা কেশে বললো”না মানে,ইয়ে আসলে”
.
শান্ত হাসি থামানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে,তারপর হাসিটা এক সাইড করে বললো”ভাই আর লুকাতে হবে না,আমি সব বুঝছি আর ছবিও তুলছি😎
এবার দেখি তুমি আমারে নেক্সট টাইম কেমনে ব্ল্যাকমেইল করো”
.
এটা কেমনে?কখন করলি?
.
তোর বেস্টফ্রেন্ড বলে কথা!!একটু একটু ফটোগ্রাফি তো জানতেই হবে
চলবে♥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here