প্রেমের পাঁচফোড়ন💖 #সিজন_২ #পর্ব_২১

0
741

প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_২১
#Writer_Afnan_Lara
🌸
আহানা কিছুটা হলেও ভয় পেলো কিন্তু শান্ত ওকে যে পরিমাণ অপমান করে সেসব মনে করে আহানা বললো সে যাবে না মানে যাবেই না
.
শান্ত নরমালি আহানার মায়ের দিকে চেয়ে বললো”আন্টি আপনি প্লিস আহানার কথা চিন্তা করে অন্তত জামাকাপড় সব গুছিয়ে চলো আসুন”
.
আহানার মা ১সেকেন্ড ও দেরি না করে ব্যাগ নিয়ে জামাকাপড় সব গুছাতে চলে গেলেন
.
মা তোমার কি কিছুই মনে নেই?এই লোকটা আমাকে কত অপমান করে আর তার পরেও তুমি তারই বাসায় যাওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগে আছো?
.
তুই তো চুপ থাক একদম!!! কোনো কথা বলবি না
.
মা ১০মিনিটেই সব জামাকাপড় রেডি করে বের হতে হতে বললেন”বাবা তুমি আহানাকে নিয়ে আসো,আমার মনে হয় না ও রাজি হবে”
.
শান্ত মুখ বাঁকিয়ে বললো”যান আন্টি,আমি এরে নিয়ে আসতেছি”
.
আহানা ব্রু কুঁচকে শান্তর দিকে চেয়ে চাদর টেনে সেটা শক্ত করে ধরে বসে আছে
শান্ত এগিয়ে আসতেছে,বাড়ির সামনের ৪টা সিঁড়ি পেরিয়ে সে ভিতরে ঢুকলো
আহানা মনে মনে ঠিক করে নিয়েছে যে শান্ত ওকে কথার যত লজিকই দেখাক না কেন সে কিছুতেই মানবে না,গলবেও না
.
শান্ত কাছে এসে এক ওয়ার্ড কথাও বললো না,শুধু আহানার গায়ের থেকে চাদরটা টেনে সরিয়ে ফেললো
তারপর হাতে থাকা জ্যাকেটটা আহানার গায়ে পরিয়ে দিয়ে ওকে বিছানা থেকে কোলে তুলে নিলো
.
এই এই এসব কি!!!ছাড়ুন আমাকে
.
সোজা কথায় যাবা না যখন কোলে তুলেই তো নিতে হবে
.
শান্ত আর কথা না বাড়িয়ে হাঁটা শুরু করে দিয়েছে,আহানা ওকে কিল ঘুষি দিয়েই যাচ্ছে একের পর এক,তবে বেশি জোরে দেওয়ার শক্তি নেই তার
মনে হয় আবারো জ্ঞান হারাবে,,খিধায় অসহ্যকর হয়ে উঠছে সব কিছু,তারপরেও যত পেরেছে শান্তকে মেরেছে সে
কিন্তু শান্ত তো ছাড়ার পাত্র না,নিয়ে চলেছে তো চলেছেই
বাড়ি থেকে বের হয়ে তারপর আহানাকে বললো দরজায় তালা লাগাতে
.
আহানা রাগি রাগি লুক নিয়ে চেয়ে বললো”আপনার কোলে থেকে আমি দরজায় তালা দিব?”
.
তুমি আমার কোলে তো আমি তালা কি করে দিব?
.
নামান আমাকে
.
তোমাকে নামালে তুমি এই জন্মেও আমার সাথে যাবে না,তোমাকে হারে হারে চিনি আমি
.
তো দিয়েন না তালা
.
হুম দিলাম না,চুরি হলে তো তোমাদের বাসায় চুরি হবে,আমার কি?
.
আহানা অনেক ভেবে বললো “ঠিক আছে নামান আমাকে,আমি হেঁটেই যাব আপনার সাথে”
.
শান্ত আহানাকে নামিয়ে ওর হাত ধরে রাখলো,কে জানি যদি ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেয়
.
আহানা দরজা লাগিয়ে পিছন ফিরে বললো”অন্তত আমার হাত তো ছাড়ুন,আজব!”
.
না তা হচ্ছে না
.
নিরুপায় হয়ে আহানা বোকার মত শান্তর সাথে মেইন রোডের দিকে যাচ্ছে,কিছুক্ষন আগে কত বড় বিপদে না পড়ছিলাম আমি,কেমনে বাঁচলাম মাগো মা!ভাবতেই ভয় লেগে উঠে!
.
আহানা চারপাশে তাকাতে তাকাতে হঠাৎ ওর মনে হলো সে রতনকে দেখেছে
শান্ত এতক্ষণ ওর হাত ধরে ছিল এবার আহানাই ওর হাত চেপে ধরলো শক্ত করে,আবার কিছুটা কাছেও এসে দাঁড়ালো
শান্ত বিষয়টা ভালো মতনই খেয়াল করেছে কারণ কিছুক্ষণ আগে রতনকে সেও দেখেছে,অন্ধকারে পাশে কেউ এসে দাঁড়ালে তা টের পাওয়া যায় সহজেই আর তা যদি হয় শুকনো পাতার উপর তাহলে তো কথাই নেই
শান্ত আহানাকে আর ওর মাকে নিয়ে তাদের বাসায় ফিরে আসলো
সবাই একজোট হয়ে শান্তর মাকে সবটা জানালো,মা তো সব শুনার পর মুখটা এত রাগী রাগী করে ফেললো যেন উনি বুঝাতে চাইছেন বিয়েতে রাজি হলে আজ এমনটা হতো না
আহানা তাদের জন্য দেওয়া রুমের মাঝখানে চেয়ার টেনে বসে আছে,বিছানায় বসতেও ভয় করে,১/২ঘন্টা আগে তাকে রতন এমন বিছানায় হাত পা বেঁধে রেখেছিলো
মা তো মনে হয় আন্টির সাথে কথা বলতেছেন,আর শান্ত বাসায় নেই,কোথায় গেছে কে জানে,তাতে আমার কি?
.
শান্ত ঠিক ২ঘন্টা পর বাসায় ফিরে আসলো,তখন রাত ১০টা বাজে,শান্তর মা নিজের হাতে আহানাকে খাইয়ে দিচ্ছেন,শান্ত ঠোঁটের কোণে জমে থাকা রক্ত ভালো করে মুছে তারপর বাসায় ঢুকলো,কোনোমতে মায়ের চোখ এড়িয়ে নিজের রুমে চলে আসলো সে
রুমের দরজা লাগাতে গিয়েও পারলো না কারণ আহানা এসে হাজির,সে শান্তর পা থেকে মাথা পর্যন্ত একবার পরোক করে নিলো
জ্যাকেট হাতে ঝুলানো,বাকি সব ঠিকঠাক শুধু ঠোঁটের কোণে রক্ত দেখা যাচ্ছে,কপালে মাটি লেগে আছে,গায়েও কিঞ্চিত মাটি আছে
আহানা কোমড়ে হাত দিয়ে বললো”সেই হিরোর মতন মারপিট করেই আসলেন তাই তো?”
.
তুমি তো বললে এটা মুভি নয় বাস্তব,পুলিশ রতনকে কেমন ভাবে ট্রিট করবে তা জানি আমি,, তাই আমি একটু দেখে আসলাম আর কি
.
কি দরকার ছিল?আমাকে না দুচোখে দেখতে পারেন না তাহলে এসব কি?
.
তোমাকে কে বললো আমি এসব তোমার জন্য করেছি??,আমি তো আমার আন্টির মেয়ের জন্য করেছি
আর টেনসন করো না,ওদের ভালো করে আদর যত্ন করে ব্ল্যাক পেপার স্প্রে করে দ্যান এসেছি
.
ব্ল্যাক পেপার মানে কালো গোলমরিচের গুড়া?
.
হুম!
.
ইয়া আল্লাহ!আপনি তো দেখি অনেক চালু,অনেক নায়কদের দেখতাম মেরে আবার হসপিটালে ভর্তি করে দিয়ে আসে আর আপনি কিনা কাঁটা গায়ে নুনের ছিঁটি দিয়ে এলেন?
.
শুনো!মেরে আবার হসপিটালে ভর্তি করে পাগলে,মেয়েদের গায়ে হাত তুলবে আবার তাদের হসপিটালে যাওয়ার কোনো অধিকার নেই,বরং ওদের জখমে আরও কষ্ট দেওয়া উচিত আর আমি সেটাই করেছি!
.
কোথায় পেলেন গোলমরিচ?
.
রান্নাঘর থেকে নিয়ে গেসিলাম
.
ভালো😒বসুন আমি আসতেছি
.
শান্ত নিজের বিছানায় গিয়ে বসে জ্যাকেটটা পাশে রাখলো,,কাঁধের নিচ বরাবর একটু চোট আছে,টিশার্টের কারণে দেখাই যায় না,রতনের সাথে ১২/১৩জন ছিল,সবার সাতে পেরে উঠতে কষ্ট হয়েছিল ভাগ্যিস নওশাদ আর রিয়াজকেও সাথে নিয়েছিলাম,রতনকে তো আমি মেরেছি,নওশাদ আর রিয়াজকে ওকে ছুঁতেও দেইনি,ওকে তো আমি নিজের হাতে মেরেছি
ওকে মারায় আমার রাগ কিছুটা হলেও কমেছে,কারেন্টের শক দিলে আরও ভালো লাগতো!!
.
আহানা হাজির,হাতে করে নিয়ে এসেছে ডেটল এন্টিসেপ্টিক আর তুলা,মলম
শান্ত গায়ের থেকে মাটি ঝাড়তে ঝাড়তে আহানাকে দেখে চোখ ছানাবড়া করে ফেললো তারপর ইয়া বড় হা করে বললো”সূর্য তো মনে হয় আজ অজ্ঞান হয়ে অস্তে গেছে”
.
আমার এত শখ নাই আপনার কেয়ার করার,আপনাকে হেট করি,, অলওয়েজ হেটই করবো,ধরেন,নিজের মলম নিজে লাগান
আহানা শান্তর হাতে ফার্স্ট এইড বক্স ধরিয়ে দিয়ে চলে যেতে নিতেও পারলো না,পিছন ফিরে আবারও তাকালো শান্তর দিকে
খুব দরদ হচ্ছে, কিন্তু ঐ যে কথায় কথায় আমাকে অপমান করে সেটার জন্য কেয়ার ও আসে না ভিতর থেকে
এর ভিতর দিয়ে আবার দরদ ও হচ্ছে,দোটানায় পড়ে গেলাম!!
.
শান্ত টিশার্ট খুলে মলম লাগাতে গিয়ে দেখলো আহানা এখনও যায়নি,জলদি করে হাত ঢেকে বললো”কি?যাওনি কেন?অবশ্য কারোর যদি আমার জন্য মায়া হয়ে থাকে তো বসে বসে দেখতে পারে”
.
আহানা মুখ বাঁকিয়ে চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই ওর মাথা মনে হয় কেউ ঘুরিয়ে টেনে হিঁছড়ে শান্তর সামনে এনে দাঁড় করিয়ে দিলো ফের!
.
শান্ত এবার বিরক্তি নিয়ে কিছুক্ষণ চেয়ে বললো”তুমি আসলে কি চাও বলতো?
.
আহানা শক্ত হয়ে মাথা উঁচু করে বললো”আপনার আম্মু বলেছে আপনার মাথায় মলম লাগিয়ে দিতে”
.
সিরিয়াসলি?
.
হুম!
.
আচ্ছা তাহলে লাগাই দেন
.
আহানা তুলোয় ডেটল নিয়ে রক্ত মুছতেছে মন দিয়ে,আর মাঝে মাঝেমাঝে ফু দিচ্ছে
শান্তর হঠাৎ মনে পড়লো ওর মা তো কথা বলতে পারে না!
.
মা তো কথা বলতে পারে না তাহলে তোমাকে কি করে বললো আমাকে মলম লাগিয়ে দিতে?আর মা জানলো কি করে যে আমি মারামারি করে এসেছি?
.
আহানার কাশি উঠে গেছে,কাশি থামিয়ে বললো”ঐ যে আমি বলেছিলাম আপনার মারামারির কথা,আর উনি হাত দিয়ে বুঝালেন মলম লাগিয়ে দিতে!
.
বাহ! তুমি আমার মায়ের ইশারা ইঙ্গিত এত স্মুথলি বুঝতে পারো?
.
এত কথা বলবেন না তো,চুপ করে বসে থাকুন,ঠোঁটের তো ১২টা বাজিয়ে এসেছেন,রক্ত জমে আছে
এদিক দিয়ে আমাকে প্রতি সেকেন্ডে কথা শুনায় আর ঐ দিক দিয়ে আবার আমাকে কে মারলো তারে গিয়ে মেরে আসে আবার মার খেয়েও আসে
.
ঠোঁটের কোণায় মলম লাগানো শেষ,এখন কপালে মলম লাগাচ্ছো তাহলে বারবার ঠোঁটের দিকে তাকাচ্ছো কেন?
.
আহানা শান্তর মাথায় চেপে ধরে বললো”ফালতু কথা অফ দেন,আমার এত শখ নাই এরকম বিশ্রী ঠোঁটের দিকে তাকানোর
নেহাত রক্তজমে আছে বলে মলম লাগানোর পরেও রক্ত বের হয় কিনা সেটা দেখছিলাম অন্য কিছু না
.
বিশ্রী ঠোঁট??তুমি আসলে সুন্দরই চিনো না সেটা বলো
.
নিজের গুনগান গাইতে হবে না
.
ফাইন!
শান্ত খুব সুন্দর করে হেসে দিলো,এত সুন্দর করে হয়ত আহানার চোখে আর কাউকে সে হাসতে দেখেনি
সে নিজের অজান্তেই হেসে ফেললো
শান্ত এবার আহানার হাসি দেখে নিজের হাসি থামিয়ে নিলো তারপর বললো “যাও এখন”
.
মানে কি?এখনও মলম লাগানোই তো হয়নি
.
তো?কপালে আর ঠোঁটে লাগানো শেষ,যাও এখন
.
আহানা শান্তর দিকে তাকিয়ে উঠে চলে যেতে নিয়ে থেমে গিয়ে আবারও এসে বললো”আপনার হাত এরকম ঢেকে রেখেছেন কেন?”
.
শুনো,একটা মেয়ের সামনে এভাবে উদম গায়ে বসা আমার ভালো লাগে না
.
আহানার ব্যাপারটা ঠিক হজম হলো না,পা টিপে টিপে কাছে এসে ছোঁ মেরে শান্তর গায়ের থেকে টিশার্টটা নিয়ে নিলো সে
একি!!এতটুকু ছড়ে গেছে কি করে?আর আপনি আমার থেকে লুকাচ্ছিলেন এতক্ষণ??
আহানা হুট করেই শান্তর পাশে বসে মলম নিয়ে লাগাতে লাগাতে বললো”সব ক্ষত দেখালেন এটা দেখালে কি টাকা দিতে হতো?”
.
আমি যাকে তাকে আমার ব্যাথা দেখাই না
.
আহানা রেগে শান্তর হাতের ক্ষততে এক চাপ দিয়ে বললো”যাকে তাকে দেখানোর চেয়ে তো ব্যাথা সহ্য করতে পারবেন তাই না মিঃঝগড়াইট্টা!!
.
এক মিনিট!ঝগড়াইট্টা মানে টা কি?আমার নাম শান্ত ওকে?
.
♠আপনি যেখানে ঝগড়ার বিজ বপন হয় সেখানে♠
তাই আপনার নাম দিলাম মিঃঝগড়াইট্টা,নাইস না?
.
নামটা একটুও সুন্দর নাহ,বিরক্তিকর একটা নাম,চেঞ্জ ইট!
.
আহানা পিছোতে পিছোতে বললো”আহারে আমার মিঃঝগড়াইট্টা রে!!”
এটা বলেই আহানা এক দৌড় দিলো
তখনই শান্ত পিছন থেকে এসে আহানার কাঁধ চেপে ধরে ফেললো
.
আহানা কাঁধের চোটে ব্যাথা পেয়ে কুকড়িয়ে উঠতেছে বারবার!!
বারান্দা থেকে শীতের হালকা বাতাস এসে গায়ে লাগতেছে তার সাথে সূর্যমুখী ফুলের একটা চিরচেনা ঘ্রান
আকাশে চাঁদ তার সাথে সূর্যমুখী ফুল বাতাসে নড়তেছে মনে হয় যেনো শান্ত আহানার অজান্তেই তাদের এ সময়ের কাছে আসাকে আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিচ্ছে যে দেখো সবচাইতে সুন্দর ঠিক তখন লাগে যখন তোমরা মিষ্টি প্রেমে একসাথ হও
চাঁদের আলো আর তার সাথে সূর্যমুখীর সৌন্দর্য তার সাথে বাতাসের সাথে লেগে তাদের দোলখেলা
শান্ত আর আহানাকে কি দেখছে না?
দেখলে হয়তবা কিছুক্ষনের জন্য হলেও হারিয়ে যেতো,ভুলে যেতো ঝগড়া,উজ্জীবিত হতো এক ভিন্নপ্রেমের যে প্রেমের আশেপাশেও থাকবে না একে অপরের প্রতি কোনো ঘৃনা
দুজনের সামনেই ফ্লোর থেকে ছাদ চুম্বি এক বিশাল আয়না
অথচ দুজনের একজনেরও সেদিকে নজর নেই
আচ্ছা!!এদের কবে মিলন হবে?
যেদিন সূর্যমুখী আর চাঁদ এসে বলবে ভাই তাকা আমাদের দিকে!তোদের মিল করার জন্য সয়ং তোদের সামনে চলে এসেছি
হয়ত তখনও এরা ঝগড়াই করে যাবে
সূর্যমুখী তখন সেন্সলেস হয়ে পড়বে চাঁদের গায়ে এটা দেখে যদি আহানা শান্তর প্রেম প্রেম ফিল হয় আর কি!!😂

কি ম্যাডাম!!ব্যাথা লাগলো?আমাকে যে তখন চেপে ধরে ব্যাথা দিলেন,কেমন ফিল হয় বুঝেন!!
.
লাগতেছে ছাড়ুন নাহলে আরও জঘন্য নাম দিব
.
আচ্ছা??আরও ঝঘন্য?দেখি শুনাও তো সাহস থাকলে
.
আগে হাত ছাড়ুন তারপর নাম দিব
.
আমি বোকা তাই না??আমি তোমাকে ছেড়ে দিলে তুমি আমাকে নামটা শুনিয়ে উধাও হয়ে যাবা
.
আচ্ছা দৌড় দিব না
.
শান্ত আহানার কাঁধ থেকে হাত সরিয়ে নিজের দিকে ফিরিয়ে বললো”হুম এবার বলো”
.
আহানা পা পিছাতে পিছাতে বললো”মিঃআউলাঝাউলা”
ব্যস আহানাকে আর পায় কে!! সে এক দৌড়ে মায়ের কাছে চলে গেছে
.
এই মেয়েটা এত দুষ্টুমি করতে পারে,আউলাঝাউলা মানেটা কি আবার কে জানে,মিঃঝগড়াইট্টাই মাচ বেটার ছিল!
হোয়াটএভার এই রতনকে তো পুলিশের হাতে তুলে দিছি যেন সহজে ছাড়া না পায় তার বন্দোবস্ত কাল করে আসবো
আপাতত আজ একটু রেস্ট নিই
উফ!!বস্তির এই ছেলেগুলো ফাইটিং ভালোই জানে!তারপরেও তো আমার আর নওশাদ, রিয়াজের সাথে পেরে উঠলো না,সবগুলোকে মেরে হাঁড়গোড় ভেঙ্গে তারপর বাসায় ফিরছি!
কত বড় সাহস আমার ছোটবেলার খেলার সাথীকে টাচ করার চেষ্টা করে!!
ছোটবেলায় তিসানের আঙ্গুল ব্যাঁকা করে দিয়েছিলাম কারণ সে আহানার হাত মুড়িয়ে ধরেছিলো
আর এই রতনের বাচ্চা রতন আমার আহানার সাথে খারাপ কিছু করতে চেয়েছিলো!
.
কথাগুলো বলা শেষে শান্ত হঠাৎ আয়নায় চোখ রাখলো
আমার আহানা মানে?এটা কি বললাম!ধুর!ও হচ্ছে জাস্ট ছোটবেলার ফ্রেন্ড আর কিছু না
সে আমার না!

কিরে আহানা এরকম হাঁপাচ্ছিস কেন?
.
না এমনি কিছু না,নিতু কোথায়?ওর সাথে গল্প করবো
.
আচ্ছা যা,ও মনে হয় নিজের রুমে
.
আহানা নিতুর রুমের দিকে চলে গেলো
শান্তি রহমান মুখটা ছোট করে নিচের দিকে চেয়ে আছেন
তার মনটা ভীষণ খারাপ,তার ছেলে তার কথা শুনছে না এমনকি আহানাও না
.
আহানার মা উনার হাতটা ধরে বললেন”চিন্তা করিও না বুবু,ওরা দুজন দুজনকে অনেক ভালোবাসে,একদিন না একদিন ঠিকই বুঝবে,আমাদের ওদেরকে সময় দেওয়া উচিত
চলবে♥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here