প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_২৩
#Writer_Afnan_Lara
🌸
এতক্ষণ পর কলমিশাক দুই মুঠো, চাল এক কেজি আর এসব কি মসলাপাতি,তেল নিয়ে ফিরলি তুই?আজ এগুলা খাবি?
.
কলমিশাক ভাজি করে নাও,ভাত আমি রাঁধবো,কাল সায়দাবাদের বাসায় গিয়ে আমাদের বাকিসব জিনিসপাতি নিয়ে ফিরবো তাহলেই তো হয়ে যায়
.
তোকে আমি একা ওখানে যেতে দিবো না
.
তুমি সহ যেও তাহলে আর নয়ত আমি রুপাকে সাথে করে নিব
ওহ আমি তো ভুলেই গেছি আমি আর ভার্সিটিতে যাব না কোনোদিন,তার উপর সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কাজ আছে,তাহলে তোমাকে নিয়ে বিকালে আরে না ধুর!বিকালেও তো টিউশনি আছে,কি করা যায় বলোতো?
.
নিতুকে পড়িয়ে শান্তকে নিয়ে যাইস তাহলেই তো হয়
.
অসম্ভব! আমি ঐ লোকটার সামনেও যাব না আর
.
তাহলে রাতে আমি নাহয় যাবো তোর সাথে
.
হুম সেটাই,চলো আমি তোমায় শাক কাটায় হেল্প করবো
.
৩টে রুমের মধ্যে সবগুলো বন্ধ শুধু রান্নাঘরেরটা বাদে
আহানা আর তার মা নিচে ফ্লোরে বসে শাক কাটতেছে
পাশের বাসার আন্টির থেকে আপাততর জন্য ২টো পাতিল নিয়ে এসেছে আহানা,কাল পাতিল-টাতিল সব নিয়ে আসতে হবে একেবারে
আহানা শাক বেছে দিয়ে চাল ধুচ্ছে বেসিনে গিয়ে
মা শাক হাত দিয়ে কুচি করতেছেন,দা বটি সব বাসায় রেখে এসেছেন তারা
আহানা ভাত বসিয়ে রুমের দিকে গিয়ে ধুমধাম করে নিমিষেই রুম দুটো পরিষ্কার করে ফেললো সে
তারপর ফ্লোরে গোল হয়ে বসে গালে হাত দিয়ে সামনের জানালাটা দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলো
অনেকদিন বাদে তার মনে হচ্ছে তাকে আর কেউ জ্বালাবে না
রতন প্রতিদিন জ্বালাতো আর এখন আর জ্বালাবে না,বেশ ভালো
আহানা মুচকি হেসে ফ্লোরে লম্বা হয়ে শুয়ে পড়লো
আউ!মাগো!
আহানা উঠে বসে পিঠ ঘষতে ঘষতে ফ্লোরের দিকে চেয়ে রইলো কিছুক্ষন
এত শক্ত এটা!ঘুমাবো কি করে আমি!
ধুর,কোনো কিছু না এনেই ড্যাং ড্যাং করে নতুন বাসায় এসে পড়লাম
আহানা উঠে গিয়ে জানালার গ্রিল ধরে আনমনে আকাশের দিকে চেয়ে বললো”মিঃঝগড়াইট্টা!!আমাকে আর পাচ্ছেন না আপনি,কিরাম লাগে এখন?
.
আমি বুঝি না এই মেয়েটা এত এত জেদ দেখায় কি করে,আসলে সে কি মানুষ নাকি অন্য কিছু?
মেয়েরা একটু ভাব দেখায় সেটা জানি বাট এরকম ভাব দেখায় জীবনে এ প্রথম দেখলাম আমি,আজব একটা মেয়ে সে
আরে ভাই জেদ দেখানো দরকার তো রতনকে দেখাতা ইটস ফাইন!
তো আমাকে কি জন্যে দেখায় সেটা বুঝি না,আমি ওর কি লাগি সে কি জানে না?
.
কি লাগে ভাইয়া?
.
শান্ত এতক্ষণ বারান্দার বিনব্যাগে আধশোয়া অবস্থায় সূর্যমুখীর বাগানটার দিকে চেয়ে কথা বলতেছিলো নিজেই নিজের সাথে হঠাৎ নিতুর কথায় হকচকিয়ে ঠিক হয়ে বসে দরজার দিকে তাকালো সে
.
না তো!!কিছু লাগে না
.
আসবো?
.
আসেন!আসেন
ভিতরে ঢুকে আবার জিজ্ঞেস করতেছিস কেন?
.
হিহি,তো তোমার কি লাগে বলো,আমিও শুনি
.
শত্রু লাগে,এত পাকনামি করতে হবে না তোকে,কি জন্যে এসেছিস সেটা বল আগে
.
সত্যি সত্যি বলবো নাকি মিথ্যে মিথ্যে?
.
এত ঢং তোকে কে শিখিয়েছে?আহানা?
.
আহানা আপুর নাম নিলাম না তুমি আহানা বলতেছো কেন,আমি তো এমনি এমনি এরকম ডায়ালগ দিই
.
আচ্ছা সত্যিটাই বল!
.
পরশু আমাদের স্কুলে সিন্ড্রেলার অভিনয়ের কম্পিটিশন আছে,মানে সবাই সিন্ড্রেলা সেজে আসবে,যার অভিনয় বেশি ভালো হবে সে উইননার
.
তো?আমাকে বলিস কেন?আমি কি তোকে নাচানাচি শিখাবো?যেমন করে সিন্ড্রেলা জামা ধরে দৌড়াইয়া পালাচ্ছিলো ১২টা বাজার সাথে সাথে?
.
নাইস!তুমি দেখি সবটা জানো,তুমি আমাকে শিখাইয়া দাও কিভাবে সিন্ড্রেলা জামা ধরে দৌড়ে যাচ্ছিলো,আমি অবশ্য কার্টুনে দেখছিলাম তবে অভিনয়টা আসতেছে না ঠিক
.
আমার আর কাজ নাই তাই না?আমার অফিসের কত কাজ,যা এখান থেকে
.
তোমার সত্যিই কাজ নাই,আমি দেখছিলাম তো বারান্দায় বসে বসে “আহানা তোমার কি লাগে”এসব বলতেছিলা
.
এত পাকনা হয়ে গেছিস তুই!যাবি নাকি ধরে দিব এক চড়
.
আমি মায়ের কাছে গিয়ে বলবো তুমি এতক্ষণ আহানা আপুকে নিয়ে কি বলতেছিলা
.
এই এই!দাঁড়া ঠিক আছে আমি তোকে শিখায় দিব,এখন রাত হয়ে গেছে তুই যা,আমি কাল শিখায় দিব
.
ঠিক আছে!
নিতু নাচতে নাচতে চলে গেলো রুম থেকে
.
শান্ত বারান্দা থেকে এসে তার রুমের দরজা লাগিয়ে বিছানায় গিয়ে বসে পড়েছে,মাথার চুলগুলো এলোমেলো করে ফোনটা নিয়ে শুয়ে পড়লো সে
ডাটা অন করে মেসেজ রিকুয়েস্ট চেক করতেই দেখলো ৩২টা মেসেজ দেওয়া কণা তাসনিম আইডি থেকে
এই নিয়ে ওর ১০টা আইডি শান্ত ব্লক দিয়েছে,শান্ত বিরক্ত হয়ে আবারও ব্লক করলো ওকে,জানু বেবি,এসব লিখে রেখেছে
শান্ত সবসময় ফেসবুকে দ্যা পিপল ইউ মে নো চেক করে
নোটিফিকেশন চেক করে না আর ইনবক্সে একটা গ্রুপ আছে,ওর, রিয়াজ,নওশাদ আর সূর্যর
তো আগ্রহ বশত সে গ্রুপের মেসেজ চেক করতে গেলো
নওশাদ আর রিয়াজ মিলে শান্তর আর আহানার ঝগড়ার টাইমের কতগুলো ছবি তুলে গ্রুপে দিয়ে রেখেছে
শান্ত রেগে মেগে গ্রুপ থেকে লিভ নিয়ে নিছে,তারপর গেলো দ্যা পিপল ইউ মে নো তে
সব চেক করতে করতে চোখে পড়লো একটা আইডি
আইডির নাম”আহানার ইচ্ছেঘুড়ি ”
আহানা নামটা অানকমন বলে শান্তর বারবার এটাই মনে হলো যে আইডিটা আহানার হতে পারে
তাই সে ভিতরে গেলো,আহানার নিজের কোনো ছবি দেওয়া না থাকলেও সব ছবি পুতুলের
আর কভারে একটা পিক দেওয়া সেটা হাতে নীল চুড়ির,হাতটা দেখে শান্তর আর ২মিনিট ও দেরি লাগেনি চিনতে
শান্ত এবার সিউর হলো এটা আহানা,সব ছবিতে ১০/১২লাইক
সবগুলো মেয়ের লাইক,শান্ত মুখ বাঁকিয়ে চলে আসলো ওর আইডি থেকে
ও ভাব দেখাতে পারে আমি পারি না?আমিও রিকুয়েস্ট পাঠাবো না হুহ!!
♣
এই যে আত্নসম্মানের রাণী,আসেন খেতে আসেন,কিছুই তো আনেন নাই,পাতিলে রেখেই খান,খেয়ে আমাকে উদ্ধার করেন
.
আহানা মুখ বাঁকিয়ে মায়ের হাতে খাবার খেয়ে নিলো,তারপর কোনোরকম ফ্লোরে মায়ের শাড়ী বিছিয়ে শুয়ে পড়লো ব্যাগ মাথার নিচে দিয়ে
পরেরদিন সকাল হতেই আহানা ঠিক করলো যেহেতু ৯টা থেকে দোকানে বসতে হবে তো এখন গিয়ে সায়দাবাদ থেকে সব জিনিসপাতি নিয়ে আসার মোক্ষম সময়,রাতে যেতে ভয় করে
তাই মাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দুজন মিলে সায়দাবাদ এসে পৌঁছালো
তখন সকাল ৭টা বাজে,এদিক ওদিক বারবার তাকাতে তাকাতে আহানা আর তার মা হেঁটে চলেছে,সম্পূর্ণ ভয় রতনকে নিয়ে
মা দরজার তালা খুলে ভিতরে ঢুকলেন,তারপর আর দেরি না করে এক এক করে সব জিনিসপাতি নিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রিকসায় এনে তুললেন,এখন বাকি রইলো খাটটা সেটা আর রিকসায় আঁটলো না
আহানা বললো রিকসা আরেকটা নিয়ে নিবে খাটের জন্য
খাট খুলে খন্ড গুলো রিকসায় তুলার পর মোট ২রিকসা মালামাল হলো
আহানা আর মা তাই রিকসা আরেকটা নিয়ে ফিরলেন
আহানা রিকসাআলাদের টাকা বুঝিয়ে দিয়ে মাকে বললো আস্তে আস্তে সব গুছাতে আর নয়ত রেখে দিতে সে এসে সব ঠিক করবে,এখন সে তার কাজে যাবে
মা ঠিক আছে বলে ওকে এক বোতল পানি এগিয়ে দিলো
আহানা এক বোতল পানি ব্যাগে পুরে বের হলো বাসা থেকে
আজ থেকে তার দায়িত্বের ভার বাড়লো, কাজ বেশি টাকা কম,পড়ালেখাও বন্ধ
কত কিছু যে বিসর্জন দিলাম একদিন নিজেকেই বিসর্জন দিয়ে দিব আমি
তাও হাল ছাড়বো না
আহানা আজ হেঁটেই সেই দোকানটায় আসলো,এমনিতেও মালামাল আনতে গিয়ে অনেক টাকা খরচা গেছে তাই বাধ্য হয়ে সে হেঁটেই আসলো
ওদিকে দোকান খুলে দিয়েছে দোকানের মালিক মালিনী রহিম আপু
বাকি সহকারীরাও এসে গেছে দেখছি!
আহানা সালাম দিয়ে ভিতরে গিয়ে চেয়ার টেনে বসলো,মালিনী সবাইকে সবটা বুঝিয়ে দিয়ে চলে গেলো তার কাজে
আহানা গালে হাত দিয়ে বসে আছে,এত বোরিং লাগতেছে ওর,প্রায়ই ২ঘন্টা হয়ে গেছে এখনও একটা কাস্টমার আসলো না
♣
কি ব্যাপার ঊষা!এসব কি?আমি না তোমাকে বললাম মিঃরুপমের ফাইলটা আনতে,তুমি সিরাজের ফাইল এনেছো কেন?
.
কিন্তু স্যার আপনি তে বললেন রুপমের ফাইল না আনতে,ওখানে যে ফাইল আছে সেটা আনতে তাই তো আমি সিরাজের ফাইল এনেছি
.
ওহ,আমি ভুলে গেসিলাম!যাও এখন তুমি
.
স্যার কফি পাঠাবো?
.
না তার দরকার নেই,এসময়ে আবার রিয়াজের ফোন!এবার যদি বলে বিয়ে ঠিক তো বলবো আমি আসবো না,এ কণার বেয়াদবি আর ভাল্লাগে না আমার
হ্যালো!
.
কিরে হারামি!তোরে ফোন দিই এত দেখোস না নাকি? আহানার সাথে অলসেট??গ্রুপেও মেসেজ সিন করে লেফট নিয়েছিস,কি ব্যাপার?
.
ওর কথা তুলবি না,বাদ দে,কিসের জন্য ফোন করেছিস সেটা বল আগে
.
আগামী মাসের ৪তারিখে আমার গায়ে হলুদ,পরেরদিন বিয়ে,আপনি কিন্তু ১০দিন আগেই যাত্রামুড়াতে এসে হাজির হবেন,আমি কিছু শুনতে চাই না,নো এক্সকিউজ
.
বাপের বাড়ির আবদার তাই না?আমার আর কাজ নাই ১০দিন আগে গিয়ে বসে থাকবো তোর বাসায়,আমি তো বিয়ের দিন ও যাব না
.
কণার ব্যাপারটা ভুলে যা,এবার বলে দিবি তোর আর আহানার বিয়ে ডান,তারপর আর কিছু বলবে না দেখিস
.
তার মানে আহানাকে আবারও আমার সাথে তোর বিয়েতে আর গায়ে হলুদে নিয়ে যেতে হবে?
.
তো তাহলে তুই বল কণা থেকে কি করে বাঁচবি
.
আমি তোর বিয়েতে যাবোই না ব্যস
.
তাহলে তোর বিয়েতে আমি নওশাদ আর সূর্যও যাবো না দেখিস তুই
.
আসিস না,বাই
শান্ত কল কেটে দিয়ে ফোন টেবিলে রেখে দিলো,তারপর উঠে গিয়ে ওর অফিসের রুমটার জানালার পর্দা সরিয়ে ফেললো এক টান দিয়ে
নিচের গাড়ী আর মানুষগুলোকে পিঁপড়ার সমান লাগতেছে আর উপরে বিশাল আকাশ,টুকরো টুকরো মেঘ ভেসে চলে যাচ্ছে
শান্ত আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকে চুপচাপ টেবিলের উপরে থাকা ফোনের দিকে একবার তাকালো তারপর এসে ফোন হাতে নিয়ে আহানার মাকে ফোন করতে গিয়ে থেমে গেলো
না আমি ফোন করবো না,করলে আন্টি ভাববে আমি আহানাকে পছন্দ করি,হুম থাক ফোন করবো না
ও যেমন তেমনই থাক,আমার কি,বরং ভালোই আছি সে জ্বালাচ্ছে না,ঝগড়া করছে না
.
আহানা আজ সারাদিনে শুধু ২টো কাস্টমারের মুখ দেখেছে,কতবার যে চোখে ঘুম এসে গিয়েছিলো তার খবর নেই কিন্তু চাকরি তো চাকরিই,করতে তো হবেই
বিকাল হতেই সে দোকান থেকে বের হয়ে চিত্রাকে পড়াতে গেলো সোজা তারপর চিত্রাকে পড়ানো শেষ করে রুনা আর সিয়াকেও পড়ালো,এবার শেষে নিতুকে পড়াবে,হাত পা চলছে না,আস্তে করে হেঁটে আসতেছে সে
♣
ভাইয়ায়ায়ায়ায়া!
.
হোয়াট!শান্তিতে কফিও খেতে দিবি না,এমন করে চিল্লাস কেন?
শান্ত টিভি থেকে চোখ সরিয়ে দরজার দিকে তাকালো,সেখানে নিতু গোলাপি রঙের একটা সিন্ড্রেলা ড্রেস পরে দাঁড়িয়ে আছে,হাতে একটা লুঙ্গি
.
জামা পরেছিস ভালো কথা হাতে লুঙ্গি নিতে গেলি কেন?আমার যতদূর মনে আছে সিন্ড্রেলার হাতে তো লুঙ্গি ছিলো না
.
আরে ভাইয়া তুমি কাল আমাকে বলেছিলা সিন্ড্রেলা কেমনে অভিনয় করে সেটা শিখিয়ে দিবা আর আজ সারাদিন গিয়ে এখন আহানা আপুর আসার সময় ও হয়ে গেলো আর তুমি এখনও ব্যাপারটা সিরিয়াসলি নিচ্ছো না
.
ওহ সরি সরি,আমি কাজের চাপে একদমই ভুলে গেসিলাম
.
শান্ত টিভি অফ করে পকেটে হাত ঢুকিয়ে নিতুর কাছে এসে বললো “চল স্টার্ট করি!!এক মিনিট তোর হাতে লুঙ্গি কেন সেটাই তো বললি না”
.
ওমা,সিন্ড্রেলা ড্রেস পরে অভিনয় করতে হবে না?আর ড্রেসটা যেহেতু আমি পরে আছি সেহেতু তুমি ড্রেস মনে করে এই লুঙ্গিটা পরে নাও
.
আর ইউ আউট অফ ইউর মাইন্ড?
আমি?আমি শাহরিয়ার শান্ত কিনা লুঙ্গি পরে সিন্ড্রেলা সাজবো?তুই আসলেই কি আমার মায়ের পেটের বোন মনে তো হচ্ছে তোকে ডাস্টবিন থেকে তুলে এনেছিলো
.
আ্যাহ!!!
.
তোকে “আ্যাহ” কে শেখালো?
.
নওশাদ ভাইয়া
.
ওরে আমি পরে বুঝাবো,এটা রাখ তুই এখন
.
ভাইয়া প্লিস আপাততর জন্য এটা পরেই শিখাও না প্লিস, কেউ তো আর দেখছে না,রিপা আপু আম্মুর রুমে,বুয়াও নাই
.
ফাইন
শান্ত ওর থ্রি কোয়াটার প্যান্টের উপর দিয়ে লুঙ্গিটা পরে নিলো,তারপর লুঙ্গিটা হাতে নিয়ে উঁচু করে বললো”দেখ,ডিং ডং,ডিং ডং,ও মাগো ১২টা বেজে গেছে,আমাকে এখনই চলে যেতে হবে,এটা বলে এমন করে দৌড় দিবি”
.
শান্ত লুঙ্গি ধরে নিতুর দিকে চেয়ে সামনে দৌড়াতে গিয়ে আহানার গায়ের সাথে এক ধাক্কা লেগে ওর গায়ে গিয়ে পড়লো
আর আহানা ভার নিতে না পেরে সে সমেত নিচে পড়লো
দুম!!!
.
ওমা সিন্ড্রেলা দেখি উলটে পড়ে গেলো,বাট সে তো পড়েনি আসলে,আমি তো দেখছিলাম দৌড়ে গাড়ী করে চলে গিয়েছিলো, যাওয়ার সময় জুতা একটা রেখে গিয়েছিলো ভুলে
বাট ভাইয়া তোমার জুতা দেখি ২টাই আমার সামনে পড়ে আছে
চলবে♥