প্রেমের পাঁচফোড়ন💖 #সিজন_২ #পর্ব_৩

0
915

প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_৩
#Writer_Afnan_Lara
🌸
আহানারা সবাই শান্তদের আগেই গুহা থেকে বেরিয়ে জিপে করে চলেও গেছে
শান্ত খালি এদিক ওদিক তাকিয়ে আহানাকে খুঁজতেছে
লাস্টবার এক টাইট দিয়ে তারপর আমি ফিরবো
কিন্তু সবাই গুহা থেকে বেরিয়ে দেখলো তাদের জিপ বাদে আর কারো জিপ নেই তার মানে তারা চলে গেছে,ধুর!!
.
নওশাদ দাঁত কেলিয়ে বললো”চল হোটেলে ফিরে যাই”
.
শান্ত জিপে উঠতে উঠতে বলতেছে” সূর্য আসে নাই কেন আমাদের সাথে?”
.
সে তো ঘুমাচ্ছে,বহুত টানছি উঠাতেই পারলাম না,থাক গে আমাদের কি,আজকের সব ট্রিপ মিস গেলো ওর
.
এই জিপ থেকে বাস স্টেশন গিয়ে বাসে উঠে ফিরে যাবো আমরা
.
কিন্তু শান্ত আরও দুদিন থাকলে হতো না?
.
না হতো না,মাকে দেখতে যেতে হবে আমার আর নিতু কি করছে না করছে সব দিক খেয়াল রাখতে হবে তো,এত বাইরে থাকলে তাদের খেয়াল কে রাখবে?মাকে ছাড়া এমনিতেও দূরে কোথাও গেলে আমি শান্তি পাই না
.
আচ্ছা ফাইন
কিন্তু এটা মনে রাখিস তোকে তো আমরা বছরে কটা দিনের জন্যই ফ্রি পাই শুধু নাহলে আপনি তো একজন বিজি বিজন্যাসম্যান
.
তা নয়!তোরা আমাকে বললেই আমি কিন্তু রাজি হয়ে যাই
.
তাহলে আমাদের কথা ধরে এবার বিয়েটাও সেরে নে,তুই তো আমাদের কথা খুব মানিস
.
তা হচ্ছে না, আমার মা যে মেয়েকে পছন্দ করবে সেই হবে আমার ওয়াইফ
.
আন্টির যে কবে কোনো মেয়েকে পছন্দ হবে আর কবে যে আমরা শান্তর বিয়েটা খাবো
.
আমাকে নিয়ে না পড়ে নিজেরা বিয়ে করে নিলেই তো পারেন,আপনারাও তো আমার মত ম্যাচিউর হয়ে গেছেন
বিয়ে করেন নেন
কথায় আছে টিমের একজন ফ্রেন্ড বিয়ে করে নিলে টিমের সব ফ্রেন্ডের ওয়ান বাই ওয়ান বিয়ের পালা এসে যায়
.
হাহা!১বার ছ্যাকা খেয়ে ব্যাঁকা হইছি
আমার আর মনে হয় না কাউরে চোখে ধরবে
.
নে বাস স্টেশন ও এসে গেছে,সূর্য কখন আসবে সেটা বল আগে
.
রিয়াজ আশেপাশে তাকাতে তাকাতে বললো”ওকে তো আমরা জিপে উঠার আগেই কল করে বলেছিলাম হোটেল থেকে বেরিয়ে পড়তে, এতক্ষণে তো চলে আসার কথা”
.
সূর্য ১০মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে গেলো
তারপর সবাই মিলে বাস ধরে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলো
ঢাকায় আসতে আসতে রাতের ১১টা বেজে গেছে
শান্ত বাস থেকে নামতেই একটা ছেলে বাইক নিয়ে এসে আগে ওকে সালাম দিয়ে তারপর বাইকের চাবিটা ওর হাতে দিলো
শান্ত মুচকি হেসে বললো”কেমন লাগলো তাহসান?”
.
স্যার এই বাইকটা জাস্ট ওসাম!!আপনি বললেন বাসা থেকে নিয়ে আসতে
তারপর আপনি বাইক চালিয়ে বাসায় আসবেন সায়দাবাদ থেকে তাই আনলাম,আমার তো এত ভাল্লাগছে কি বলবো!
.
তাহলে বাইকটা এখন থেকে তোমার!নাও চাবি
.
কিন্তু স্যার!
.
এত ইমোশনাল হওয়ার কিছু নাই,আমি নিউ কিনবো হাহা!!
.
স্যার এটাও তো নতুন,১০/১২দিন চালিয়েছেন শুধু
.
তাতে কি,তোমার পছন্দ হয়েছে তুমি নিয়ে যাও
.
স্যার আপনি আপাতত এটা চালিয়ে বাসায় যান তারপর না হয়
.
না,আমি রিকসা করে যাবো,আজ মন চাচ্ছে রিকসায় উঠি,বাই তাহসিন
.
তাহসিন হা করে শান্তর মুখের দিকে চেয়ে আছে,শান্ত একটা রিকসা ডেকে উঠে পড়েছে ততক্ষণে

যাক বাবা!! আজ ভালোই বাজার হলো,খাটের নিচে কবেকার জমানো ১০০টাকার নোট পেয়েছিলাম হিহি,এটা দিয়েই বাজারটা হয়ে গেছে আমার
টাকাটা দিয়ে পেঁয়াজ আর আলু কিনলাম
এবার এগুলা দিয়ে রাঁধবো,মা আমার জন্য এখনও না খেয়ে আছে
আহানা এক হাতে পেঁয়াজ আর আরেক হাতে আলু নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে
সায়দাবাদে যে ওভারব্রিজ আছে তার ডান পাশের মোড়ে গেলে যে টিনের ঘরগুলো আছে তার মধ্যে একটা হলো আহানাদের বাসা,গলিটা পেরিয়ে ২টা মোড় পার হলেই তাদের বাড়ি
টিনের ৩রুমের একটা বাড়ি,সামনে একটা নারকেল গাছ,তারপর সিড়ি বাসাটার সামনে,বসার সিড়ি,লাল রঙ করা
মা,খালা আর সে থাকে বাসায়,খালা সবসময় থাকে না, মাঝে মাঝে এসে থাকে
আহানা একটা ছোট্ট স্কুলে পড়ায়,এই পাড়ার সব ছোট বাচ্চাকে সে পড়ায়,যে যা পারে তাকে দেয়
তার এই কামায় থেকেই সংসারটা চলে আর তার ভার্সিটির খরচ চলে
ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত পড়ায় সে,তারপর খেয়ে ভার্সিটিতে চলে যায়
ওর যখন ১৪বছর তখন বাবা কার এক্সিডেন্টে মারা যান,তখন ওরা অনেক বড়লোক ছিল,ওদের নিজেদের গাড়িও ছিল কিন্তু ওর চাচারা সব বাজেয়াপ্ত করে ওদের আজ এই অবস্থা করেছে,মাকে নিয়েই তার পৃথিবী
বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই পুরো সংসারের দায়িত্ব আহানা আর তার মায়ের উপর এসে পড়েছে,এখন আর মা শরীর খারাপের জন্য কাজ করতে পারেন না বলে আহানাই সব কাজ করে,আগে মা সংসার চালাতো
আহানা একদম উল্টা পাল্টা খাতে খরচ পছন্দ করে না
বান্দরবনেও সে যেতে চায়নি,রুপা ওকে না বলেই ওর টাকাটা দিয়ে দিয়েছিলো,তাই সে গেছে সেখানে,যাদের পড়াতো তাদের ও ছুটি ছিল,শীতকালের
আর বান্দরবনে যাওয়ার আরেকটা কারন ছিল সেটা হলো সুইসাইড
এখানে তো সবার সামনে সুইসাইড করা যাবে না তাই সে রুপার কথায় বান্দরবন যেতে এক পায়ে খাড়া হয়ে গেছিলো
মৃত্যুটা সে চায় কারণ!সংসারের জন্য টাকা আয় করতে গিয়ে সে ক্লান্ত!এটা কিনলো তো ওটা শেষ
মায়ের কষ্ট সে আর সহ্য করতে পারে না,সে তার সবটা দিয়ে টাকা কামাই করার চেষ্টা করে,ভার্সিটি শেষ করে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে টিউশনি করায় তাও টাকাটা আসে না,যা আসে তা দিয়ে চলে না
তারা যে বাড়িটায় থাকে সেটাও ভাড়ার,তাই সে এসব থেকে চলে যেতে চায়
সে মরে গেলে তার মাকে তার খালা দেখবে,এসব ভেবেই সে মরতে চায়
কিন্তু মরতেই পারে না
এসব ভাবতে ভাবতে সে এসে পড়লো একদম শান্তর রিকসার সামনে আর দুম করে রোডে পড়ে গেলো
রিকসাআলা রিকসা বাঁকা করে আরেকদিকে নিয়ে গেছে নাহলে আজ সাত পাঁচ হয়ে যেতো
.
মামা থামান তো!
শান্ত রিকসা থেকে নেমে পিছনের দিকে এসে দেখলো আহানা হাত পায়ের বালু ঝাড়তেছে তারপর উঠে পেঁয়াজ আর আলু টোকাচ্ছে,টুকিয়ে টুকিয়ে পলিথিনে ঢুকাচ্ছে
.
আপনি!
.
কথাটা শুনে আহানা চোখ বড় করে সামনে তাকিয়ে শান্তকে দেখতে পেলো
.
আবারও মরতে এসেছিলেন তাও আমার রিকসার সামনে?বেয়াদ্দপ একটা মেয়ে তো আপনি!
.
শুনুন,আমি মরতে চায়নি,আমি হেঁটেই যাচ্ছিলাম,অন্যমনস্ক ছিলাম বলে রিকসার সামনে এসে পড়েছিলাম
.
আপনাকে আমি হারে হারে চিনি!নির্ঘাত মরতে এসেছিলেন
.
আপনার সাথে ঝগড়া করার মন মানসিকতা নাই আমার, যান এখান থেকে
.
এটা তোমার বাপের রাস্তা?
.
বাপ তুলে কথা বলবেন না একদম!আপনার বাপের রাস্তা?
.
আমার বাবা নিয়ে কিছু বলবা না!বাপের না হলেও আমার চাচার রাস্তা,হ্যাপি?
.
ইহ!!!বললেই হলো
.
আহানা!
.
আহানা ঢোক গিলে পিছন ফিরে তাকালো একজন মহিলার ধমকে
গায়ে সাদা ময়লা শাড়ী পরা একজন মহিলা এগিয়ে আসতেছেন,চোখে মুখে বয়সের ছাপ,হাতে গলায় কোনো অলংকার নেই,পায়ে ছেঁড়া জুতা সেটা আবার সেলায় করা
এগিয়ে এসে আহানার কান টেনে ধরলেন তিনি তারপর চোখ রাঙিয়ে ওকে চুপ হতে বললেন
এরপর শান্তর দিকে তাকিয়ে মুখটা অসহায়ের মত করে হাত জোড় করে ধরে বললেন”বাবা মাফ কইরা দাও,আর এমন হবে না,আমার মাইয়া অবুঝ,না জাইনা বড় বড় মানুষের সাথে লাগতে আসে,মাফ করো বাবা”
.
শান্ত ব্রু কুঁচকে তাকিয়ে চলে গেলো

কি সমস্যা তোর?যাকে পাবি তার লগেই ঝগড়া লাগায় দিবি??তোর এই তেজি ভাবের লায় রতন তোর জন্য পাগল হইয়া গেছে!বেশি ত্যাজ দেখাস মাইনসেরে
এসব দেখায় রতনরে পাগলা বানাইছত
.
মা!আমি কি জানি রতন কুত্তাটা আমার রাগ দেখে প্রেমে হাবুডুবু খাবে!
.
যা সর এখন,আমি ভাত রাঁইন্দা লইছি এবার তুই আলু ভাজি করে লও তারপর খামু,ঘুমাতেও তো ওইবো কত রাত ওইছে সেদিকে তোর খবর আছে,খবর কেন থাকবে সারাদিন তো ঝগড়াই করস

শান্ত বাসার সামনে এসে রিকসা থেকে নামলো,দারোয়ান ওকে সালাম দিয়ে ওর হাত থেকে ব্যাগটা নিয়ে ভিতরের দিকে দৌড়ে চলে গেছে
শান্ত বাসার ভিতর পা রাখতেই একটা ৭বছরের মেয়ে দৌড়ে এসে ওকে জড়িয়ে ধরলো
শান্ত মুচকি হেসে ওকে কোলে তুলে নিয়েছে,তারপর বললো”আমার বোনটা এত রাতে ঘুমায়নি কেন?”
.
ভাইয়া আমি তো তোমাকে রিসিভ করার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম সেই কখন থেকে
.
গুড গার্ল,তা আমার বোন কি খেয়েছে কিছু?
.
হুমমম!রিপা আন্টি খাইয়ে দিয়েছে
.
তবে এখন তো তোমাকে ঘুমাতে যেতে হবে
.
হুম যাচ্ছি যাচ্ছি!
.
শান্ত জ্যাকেটটা খুলে সোফায় রেখে মায়ের রুমের দিকে গেলো,দরজাটা নক করে খুলতেই চোখ গেলো তার জানালার ধারের দিকে
সেখানে হুইল চেয়ারে বসা একজন মহিলা বসে আছেন,চোখে চশমা,হাতে একটি উপন্যাস,উনি শান্তর মা
শান্ত পা টিপে টিপে এগোচ্ছে
কিছুদূর যেয়ে যেই না মাকে জড়িয়ে ধরতে যাবে
তখনই মা টের পেয়ে ওর দিকে তাকালো
শান্ত মুখটা ব্যাকা করে বললো”মা!!!দিলে তো সারপ্রাইজটা নষ্ট করে!”
.
মা মুচকি হাসলেন!তারপর শান্তর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন
শান্ত হাঁটু গেড়ে মায়ের সামনে বসলো,তারপর বললো খেয়েছো তো?
.
মা মাথা নাড়ালো
.
শান্ত হেসে বললো”আচ্ছা হ্যাঁ জানালা,, তার মানে খাওনি,আমি জানি তুমি আমাকে ছাড়া খাও না”
.
মা মুচকি হাসলেন,শান্ত মায়ের হুইল চেয়ারটা টেনে মাকে নিয়ে ডাইনিংয়ে চলে আসলো
তার মা বিগত ৭বছর ধরে কথা বলতে পারেন না,কত ডাক্তার দেখিয়েছে ওর চাচা,মামারা মিলে
বাবার মৃত্যুর পর থেকেই মা এমন হয়ে গেছে
তখন নিতু জন্ম নিয়েছিলো!মাকে নিয়ে আমি হসপিটালে ছিলাম
হসপিটাল থেকে বের হতে না হতেই দেখলাম বাবার লাশবাহী গাড়ী হসপিটালের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে
তারপর থেকে কোনো কথা আসে না মায়ের মুখ দিয়ে,এত বড় শক তিনি নিতে পারেননি,তবে পাশের জন কি বলে তা তিনি শুনেন এবং বুঝতে পারেন
শান্ত মায়ের হাতে খাচ্ছে আর বান্দরবনের সব বলেই যাচ্ছে
তারপর মুখ ফসকে আহানার কথাও বলে দিলো
মা তো চোখ বড় করে চেয়ে মুচকি হেসে বারবার হাত দিয়ে ওকে খোঁচাচ্ছে
.
মা শুনো,মেয়েটা কে?কি রে?আমি জানি না
জানতেও চাই না,এমনি বললাম তোমাকে আর তুমি শুরু করলা ওর পিক নিয়ে
পিক পাবো কই,আর ওকে আমি বিয়েও করবো না,এরকম ঝগড়ুটে নাছোরবান্দাকে বিয়ে করলে জীবন ত্যানত্যানা করে ফেলবে আমার
.
স্যার খুঁজে বের করেন,এমন ও হতে পারে এই মেয়েটাই ম্যাডামের পছন্দ হলো!
.
রিপা!দরকার নাই,আমাকে সুখে থাকতে ভূতে কিলায় নাই যে আমি খাল কেটে কুমির আনবো,মা আমার খাওয়া শেষ আমি যাই ঘুমাতে
শান্ত উঠে চলে গেলো
রিপা মাকে নিয়ে মায়ের রুমের দিকে গেলো,রিপা হচ্ছে নার্স,মায়ের দেখাশুনা করে,মায়ের পা অবশ হয়ে যাওয়ায় হাঁটা চলা পারেন না,২/৩বছর হলো হুট করে পায়ের সব কার্যকলাপ বন্ধ হয়ে গেছে তার
তারপর থেকে বিছানা থেকে নামলেই হুইলচেয়ারে থাকতে হয়
.
শান্ত নিজরে রুমে এসে দরজা লাগালো,তারপর পকেট থেকে ছোট্ট একটা মদের বোতল নিয়ে বারান্দার দিকে চলে গেলো
মা যেন না জানে,মদ খেয়ে সব সাফ করে তারপর ঘুমাবে সে
কাল থেকে আবার অফিস!

আহানা আলু ভাজি করে ভাত নিয়ে মায়ের সাথে খেয়ে নিলো
তারপর ঘুমাতে গেলো
একটা রুমে বিছানা,আরেক রুমেও বিছানা আছে,খালা আসলে সেখানে থাকে,আর আরেকটা রুম বলতে সেখানে চুলা আর একটা কাঠের মির্ছিফ আছে,হাঁড়ি পাতিলের জন্য
মা আহানার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন,আহানা ছাড়া তার আর কেউ নেই,আত্নীয় বলতে মা বাবা ছিল তারাও এক এক করে মরে গেছে,পরিবারের আর একটা বোন বাকি আছে,রোকেয়া,তারও সংসার নেই,গার্মেন্টসে চাকরি করে,মাঝে মাঝে আমাদের সাথে এসে থাকে
শেষ সম্বল স্বামী ছিল আর সেও চলে গেলো,কত সুখের দিন ছিল সেসময়ে,কিছুর অভাব ছিল না,মজনু ভাই সব নিজের নামে কি করে নিয়েছে জানি না
আহানার বাবা মারা যাওয়ার ২দিন বাদেই আমি আমার মেয়েটাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম,বাধ্য হয়েছিলাম
হাতের সোনার বালা দিয়ে সব কিনেছি এই বাসার
আমি গার্মেন্টসে কাজ করে আহানাকে পড়িয়েছি এতদিন
জীবনে পড়ালেখাটাই সব!
এখন আমার মেয়ে নিজের খরচ নিজে চালাতে পারে বলেই আমি নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি,শরীর ও আর মানে না,কতটা বছর আমি সংসারের জন্য লড়েছি,আমার আর আহানার মুখে খাবার তোলার জন্য
আর এখন ২/৩বছর ধরে কাজই করতে পারি না,মেয়েটা আমার একা হাতে টাকা কামায় করে,আর কত করবে,ওর মুখের ফ্যাকাসে ভাব দেখে আমার কষ্ট হয়
তার উপর মেয়েটা শান্তিতে থাকতেও পারে না ঐ রতনের জ্বালায়,তার কুনজর পড়েছে আমার মেয়ের উপর
ওরে বিয়ে দিয়ে দিলো আমি কি নিয়ে থাকবো সেটাই ভাবি
সবে ২১বছর,তবে আশেপাশের সবাই বলতেছে ওর নাকি বিয়ের বয়স হয়েছে,এত তাড়াতাড়ি মেয়েটাকে আমি দূরে ঠেলে দিব?আর তার স্বামী যদি ভালো না হয়?
আল্লাহ!আমার মেয়েটার কপালে একটা ভালো ছেলে রেখো সে যেনো আমার মেয়েকে কখনও কাঁদতে না দেয়
চলবে♥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here