প্রেমের পাঁচফোড়ন💖 #সিজন_২ #পর্ব_৩১

0
684

প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_৩১
#Writer_Afnan_Lara
🌸
শান্ত গালে হাত দিয়ে চুপ করে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে
নওশাদ হা করে চেয়ে থেকে বললো”এই নিয়ে কত হলো”
.
সূর্য মুখে হাত দিয়ে বললো”২বার”
.
রুপা চোখ বড় করে নওশাদকে খুঁচিয়ে জিজ্ঞেস করতেছে আরেকবার চড় দিয়েছিলো কেন?
.
রিয়াজ ধমক দিয়ে আহানার কাছে এসে বললো”কি সমস্যা তোমার???তোমার সাহস হয় কি করে শান্তর গায়ে হাত তুলার?তোমার থেকে বয়সে কত বড় শান্ত আর তুমি হুটহাট করে ওকে চড় মারো সবসময়,তোমার মা কি তোমাকে এসব শিখিয়েছে?”
.
শান্ত মইনুদ্দিন আঙ্কেলের দিকে তাকিয়ে বললো”আর কত সময় লাগবে?”
.
এই তো বাবা আর ১০মিনিট
.
ফাইন!
শান্ত উঠে দাঁড়িয়ে আহানার হাত মুঠো করে ধরে টেনে নিয়ে গেলো,মইনুদ্দিন আঙ্কেল বাসায় একাই থাকেন তাই সবগুলো রুম খালি থাকবে এটা শান্তর জানা আছে
শান্ত তাই আহানাকে নিয়ে দূরের এক রুমে চলে গেছে
রুমে ঢুকে দরজাও লাগিয়ে ফেললো ভেতর থেকে
নওশাদ রুপা,সূর্য আর রিয়াজ এক দৃষ্টিতে রুমটার দিকে চেয়ে আছে
.
নওশাদ ওদিকে তাকাতে তাকাতে সোফায় এসে বসলো,রুপা পা টিপে টিপে নওশাদের পাশে বসে বললো”এখন কি করবে শান্ত ভাইয়া?আহানাকে মারবে নাকি?”
.
রিয়াজ মুখটা গম্ভীর করে একটা টুল টেনে বসতে বসতে বললো”শান্তর যদি মারারই ইচ্ছা থাকতো তো এতক্ষণে ৪০টা থাপ্পড় খেতো আহানা”
.
তাহলে কি করতে নিয়ে গেছে?
.
সেটা তো শান্তই ভালো জানে
.
সূর্য রুমটার দিকে যেতে নিতেই নওশাদ বললো”ওদের একা থাকতে দেওয়া উচিত আমাদের”
.
সূর্য “হুম”বলে রিয়াজের পাশে এসে বসলো
পাক্কা ১০মিনিট পর রুমটার দরজা খুললো শান্ত
ভেতর থেকে আগে শান্ত বের হলো তার পাশে আহানা জ্যান্ত লাশের মত দাঁড়িয়ে আছে,শান্ত ওকে টেনে এনে সোফায় বসিয়ে দিয়ে আঙ্কেল থেকে কাগজটা নিয়ে ওর দিকে বাড়িয়ে ধরলো
আহানা রোবটের মতন ওর হাত থেকে কাগজটা নিলো,তারপর চুপচাপ সই করে দিলো,দেওয়ার সাথে সাথেই কেঁদে ফেললো সে
.
নওশাদ শান্তকে হালকা ধাক্কা দিয়ে বললো”কিরে?কি এমন করলি যে রাজি হয়ে গেলো”
.
রিয়াজ ফিসফিস করে বললো”মেরেছিস?”
.
সূ্র্য দাঁত কেলিয়ে বললো”আরেহহহ নাহহহ,মনে হয় কিস করেছে😜”
শান্ত চুপচাপ কাগজটা নিয়ে এবার সেও সই করে দিলো
রুপা আহানার মুখের দিকে চেয়ে আছে,আহানার মুখের ভাবগতি একদম অসহায়ত্ব প্রকাশ করতেছে,কিছু একটা তো করেছে শান্ত তা নাহলে আহানা এতক্ষণ বিয়েটা করতে নারাজ ছিলো আর সে কিনা ১০মিনিটেই রাজি হয়ে গেলো সই ও করে দিয়েছে চুপচাপ কিছু না বলেই
রুপা আহানার পাশে বসে ওকে ঝাঁকিয়ে বললো”কিরে!কিছু বলছিস না যে?কি হয়েছে তোর?এরকম হয়ে আছিস কেন?কি করেছে শান্ত ভাইয়া?”
.
আহানা তার সামনে থাকা কাঁচের সেন্টার টেবিলটার দিকে তাকিয়ে আছে এক দৃষ্টিতে,চোখ দিয়ে অশ্রুর জলধারা বইতেছে
শান্ত সই করে দিতেই মইনুদ্দিন আঙ্কেল বললেন”আলহামদুলিল্লাহ, এখন থেকে তোমরা লিগালি হাসবেন্ড ওয়াইফ”
.
শান্তর মুখেও হাসি নেই,আহানার তো হাসি গায়েবই হয়ে গেছে,শান্ত সোফার উপর থেকে ফুলের মালাগুলো নিয়ে একটা নিজে পরলো আরেকটা আহানার গলায় ঝুলিয়ে দিয়ে সূর্যর হাত থেকে মিষ্টির প্যাকেটটা নিয়ে এক এক করে সবার মুখে একটা করে মিষ্টি ঢুকিয়ে দিলো
মুখে তার বিন্দু মাত্র হাসি নেই
রিয়াজ শান্তর হাত ধরে বললো”শান্ত তোর আর আহানার কি হয়েছে?মুখ এমন করে আছিস কেন?এই বিয়েতে যখন তোরা খুশিই ছিলি না তখন বিয়ে করতে গেলি কেন?”
.
শান্ত টিসু দিয়ে হাত মুছে বললো”আঙ্কেল থ্যাংকস ফর হেল্প!আজ আসি আমরা”
এটা বলে শান্ত সোফায় বসে থাকা আহানার হাত মুঠো করে ধরে বেরিয়ে গেলো ওকে নিয়ে
আহানা রোবটের মতন শান্তর সাথে সাথে আসতেছে
বাকিরা ওদের দুজনের অবস্থা দেখে ঠিক বুঝতেছেই না যে কি এমন হলো যে ওদের মুখের হাসি গায়েব হয়ে গেলো চিরতরে
.
আহানা কারে বসে গলার থেকে ফুলের মালাটা ছিঁড়ে জানালা দিয়ে ফেলে দিলো তারপর কাঁদতে কাঁদতে জানালায় মাথা ঠেকিয়ে ধরেছে
হাত দিয়ে জানালার কাঁচে কয়েকটা ঘুষি দিলো সে,চিৎকার করে কাঁদতে মন চাচ্ছে এখন
.
শান্ত চুপচাপ কার চালাচ্ছে,আহানা কাঁদতে কাঁদতে এবার থামলো,চোখ মুছে নিজেকে ঠিক করলো সে
বাসায় আসতে আসতে দেড় ঘন্টার বেশি সময় লেগেছে,রাত তখন ১১টা বাজে,আহানা কার থেকে নেমেই চলে গেলো বাসার দিকে
শান্ত গলার মালাটা ফেলে দিয়ে সেও গেলো সেদিকে
মা আর আন্টি সোফায় বসে টিভি দেখতেছেন,ওদের দুজনকে দেখে টিভি থেকে চোখ সরিয়ে ওদের দিকে তাকিয়ে আছেন এখন
আহানার চোখ মুখ ফুলে আছে, সে কিছু না বলেই রুমে চলে গেলো
শান্ত ও চলে গেলো নিজের রুমের দিকে
আহানার মা বললেন”ওদের দুজনের চোখ মুখের এ অবস্থা কেন?”
.
শান্তর মা ও বুঝলেন না কিছু
আহানা বাথরুমে ঢুকে নিচে ফ্লোরে বসে পড়লো,হাত দিয়ে চুল টানলো জোরে জোরে অনেকগুলে চুল ছিঁড়েও ফেললো সে
তারপর টেনে কানের দুল খুলে ফেললো,চিৎকার করলো হাত উঠিয়ে ঝর্ণা অন করে দিলো যাতে ওর কান্নার আওয়াজ বেশিদূর না যায়
হাতে, পায়ে আর গলায় পানি পড়তেই গা শিউরিউয়ে উঠলো তার
শান্ত ওকে আজ অনেক কষ্ট দিয়েছে,তার দোষ ছিলো সে শান্তকে চড় মেরেছিলো
শান্ত আজ তার সাথে যা করলো তার জন্য সে মোটেও প্রস্তত ছিলো না
এর ভিতরে মা এসে বাথরুমের দরজা ধাক্কাতে ধাক্কাতে বললেন “কিরে ভাত খাবি না?এসেছিস দেরি করে খাবি কখন?নাকি খেয়ে এসেছিস?”
.
আহানা নিচু স্বরে বললো”খাব না,খিধে নেই,তুমি যাও”
.
শান্ত বারান্দায় বসে আছে এক কোণায়,আহানাকে এভাবে জোর করতে চায়নি সে,বিয়েতে রাজি করানোর জন্য সে আহানাকে আজ বাধ্য করেছে
চাইলেই আজ চড়টার পর ওর সবটা কেড়ে দিতে পারতাম আমি কিন্ত আমি সেটা করিনি,রাজি করানোর আরও অনেক ওয়ে আমার হাতে ছিল আমি সেটাই প্রয়োগ করেছি
একটু ভয় দেখিয়েছি জোরজবরদস্তি করার তাতেই ভয় পেয়েছে সে
.
স্যার?
.
শান্ত দরজার দিকে তাকিয়ে বললো”রিপা চলে যাও,আমি আজ ডিনার করবো না,আমার খিধে নেই”
.
রিপা মাথা নাড়িয়ে চলে গেলো

কিরে আহানা?শরীর খারাপ তোর?এমন চুপচাপ শুয়ে আছিস কেন?
.
কিছু না,ঘুমাও তুমি
.
আগে বল আমাকে কিছু কি হয়েছে?তোরা আজ এত দেরি করে আসলি যে?
.
আহানার বিরক্ত লাগছে এর ভিতর মা ১০০টা প্রশ্ন করে যাচ্ছে একের পর এক
রেগে আহানা রুম থেকে বেরিয়ে চলে আসলো,সোফার রুমে আসতেই শান্তকে দেখলো সে
শান্ত পানি খেতে এসেছিলো তখন
ভেজা চুল আহানার,চুলগুলো থেকে টপটপ করে পানি পড়ে যাচ্ছে অনবরত,পরনে হালকা হলুদ রঙের থ্রি পিস,কিছু সময়ের জন্য শান্ত ভ্রমে চলে গিয়েছিলো,হাতে গ্লাসটা ধরে রেখে চেয়ে আছে সে,আজকের পর থেকে আহানা তার বৈধ স্ত্রী, আর আজ অধিকার একটু বেশিই চাওয়া যায় কিন্তু কোনো এক বাধা মাঝখানে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে,শান্তর হুস আসতেই সে মুখ ফিরিয়ে নিলো
আহানা ওকে দেখে আর দ্বিতীয় বার তাকায় নিই,সোজা বাসার বাইরের গন্ধরাজ বাগানটার কাছে এসে দাঁড়ালো সে,মৃদু শীত অনুভূত হচ্ছে চারিদিকে
আহানা নিজের ওড়নাটা গায়ে পেঁচিয়ে ঘাসের উপর এসে বসলো,তারপর সোজা আকাশের দিকে চেয়ে রইলো
শান্ত মাকে দেখতে এসে মায়ের রুমের বারান্দাটা দিয়ে আহানাকে দেখতেছে স্পষ্ট, কারণ গন্ধরাজ ফুলের বাগানটা ওর মায়ের রুমের সামনে বরাবর একদম
আহানার শুস্ক চোখ দিয়ে দুফোটা পানি বেরিয়ে আসলো,হাত দিয়ে মুছে সে পাশে তাকাতেই দেখলো শান্ত চেয়ে আছে ওর দিকে,তারপর যখন সে দেখলো আহানা ওকে দেখে ফেলেছে তখন সে চলে গেলো নিজের রুমের দিকে
আহানা আবারও আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকে বিয়ের ১০মিনিট আগ মূহুর্তটা মনে করলো
শান্ত ওর হাত চেপে ধরে রুমটায় নিয়ে গিয়ে কিছু না বলেই ওর হাত আরও জোরে চেপে ধরে কাছে নিয়ে এসেছিলো
রুমটা ছিল অন্ধকার!!বাসার পাশের বাউন্ডারিতে থাকা এক লাইটের আলোয় তারা একে অপরকে দেখতেছিলো
তারপর আহানার চোখের দিকে না তাকিয়েই শান্ত ওর গলার দিকে কিছুক্ষন চেয়ে রইলো
আহানা হাত নাড়াতে নাড়াতে বললো”কি অসভ্যতামি শুরু করছেন কি আপনি?চড়ে হয় নাই?আরেকটা দিব?”
.
শান্ত বড় করে একটা শ্বাস নিয়ে আহানার গলায় মুখ লাগাতেই আহানা কেঁপে দূরে সরতে গিয়েও পারলো না,তার তখন এত খারাপ অনূভূতি হচ্ছিলো যে সে বুঝে গেছিলো বিয়েতে হ্যাঁ না বললে শান্ত সেই সব কিছু করবে যেটা করলে সম্পর্কটা হারামে পরিণত হবে
আহানার নিশ্চুপ হয়ে চোখ দিয়ে পানি দুফোটা ফেলে মুখ ফুটে একটাই কথা বললো আর সেটা হলো”আমি বিয়েতে রাজি”
.
সাথে সাথে শান্ত ওকে ছেড়ে দিলো,তারপর স্বাভাবিক ভাবেই ওর হাতটা ধরে টেনে নিয়ে গেলো সবার সামনে
আহানার আর কোনো উপায় ছিলো না তখন,শান্ত ওকে এমন ভাবে দূর্বল জায়গায় আঘাত করে বুঝিয়ে দিয়েছিলো ওর আর কিছু করার ছিলো না সেই মূহুর্তে
শান্ত কেন আজ এমন করলো সেটাই ভেবে পাচ্ছে না আহানা
শুধু কি আমার সেফটির জন্যই উনি এমন করলেন?
আমাকে বিয়ে করার জন্য উনি আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করলেন,আমাকে রাজি করাতে এতটা নিচে নামলেন!
আমারই দোষ,শুরুতেই রাজি হয়ে গেলে এত কিছু করতো না
কিন্তু শুরুতে কি করে রাজি হই আমি??আমার কি বিয়ে নিয়ে কোনো ইচ্ছা নেই?সেই মূহুর্তে এত বাজে ব্যবহার করলেন আমার সাথে ভাবতেই ঘৃনা হচ্ছে আমার!বিয়েতে হ্যাঁ না বললে এতক্ষণে তো!!!
আমার অসহ্য লাগছে এই ভেবে যে এই লোকটা আজ থেকে আমার স্বামী!
আমার সেফটি না ছাই,মন চাচ্ছে গলা টিপে মেরে ফেলি
.
খুব জোরে আহানার হাতের ফোনটা বেজে উঠেছে,আহানা বুকে থুথু দিয়ে ফোনটা নিয়ে দেখলো আননউন নাম্বার
রিসিভ করে হ্যালো বলতেই ওপাশ থেকে শান্ত এক ধমক দিলো
এত জোরে ধমক দিলো যে আহানার হাত থেকে ফোনটাই ঘাসের উপর উল্টে পাল্টে পড়ে গেলো
আহানা এদিক ওদিক তাকিয়ে ফোনটা নিয়ে আবারও কানে ধরলো
.
কি ব্যাপার উত্তর দিচ্ছোনা কেন?
.
কে আপনি?
.
তোমার সবেমাত্র বিয়ে করা বর বলছি
.
ওহহ,কি চাই?আমার নাম্বার পেলেন কই
.
আমার রুমে আসো
.
কি করতে?নাকি এবারও নেক কিস করে বাসররাত কম্পলিট করার থ্রেট দিবেন?
.
তোমার মধ্যে কি আছে যে তোমার সাথে বাসররাত করার ইচ্ছা জাগবে আমার??তোমাকে যে তখন নেক কিস করসিলাম আমার বমি পাচ্ছে এখন
.
তো বিয়ে করছেন কেন তাহলে?
.
সেটা দায়িত্বের খাতিরে,তোমার সেফটির খাতিরে
.
বাহানা দেওয়া অফ দেন,আমাকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার সাহস আছে কারও?
.
আসলে হইছে কি তুমি যেমন ছাইয়া টাইপের তোমার সাইকো লাভার রাও তেমন ছাইয়া টাইপের,কি জানি কখন কি করে বসে তাই আমি চান্স নিই নাই
.
আপনার এত দরদ কেন? আমাকে কেউ উঠায় নিয়ে গেলে আপনার কি সমস্যা?
.
কি সমস্যা?দেখাচ্ছি,আসো আমার রুমে
.
যাব না,বাই
.
তুমি কি চাও আমি এখন তোমাকে গন্ধরাজ বাগানটার সামনে এসে তোমাকে কোলে তুলে নিয়ে আসি?
.
আসতেছি,আজ একটা বিহিত করে তারপর আমি যাব
.
আহানা উঠে দাঁড়িয়ে সেদিকে ছুটলো
শান্ত নিজের বিছানায় বসে রিয়াজের সাথে কথা বলতেছে
আহানা দরজার কাছে এসে ফোনের ক্যামেরা অন করে শান্তর ড্রেসিং টেবিলে ফোনটা হেলান দিয়ে রাখলো তারপর শান্তর পাশে এসে দুপ করে বসে পড়লো
.
ওকে রিয়াজ কাল দেখা হচ্ছে,বাই
.
শান্ত ফোন রেখে আহানার দিকে ব্রু কুঁচকে তাকালো তারপর ড্রেসিং টেবিলের দিকে চেয়ে বললো”কি ব্যাপার?ফোন ওখানে রাখসো কেন,আর ওখানে তো দেখছি ভিডিও রেকোর্ড হচ্ছে আমার আর তোমার
.
হুম ঠিক দেখছেন,আপনি এখন এই ভিডিওতে আমার কিছু শর্ত মানতেছেন সেসব বলবেন,সেটা প্রমান হিসেবে থাকবে আমার কাছে
.
কিসের শর্ত?
.
এই যে এই বিয়েটা নামেই বিয়ে আর আমাকে আপনি কখনও ঐভাবে ছুঁবেন না
.
“ঐভাবে ছোঁয়া মানে?কোন ভাবে?”
কথাটা বলে শান্ত আহানার পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে নিলো একবার
আহানা চোখ বড় করে নিজের ওড়না ঠিক করে একটু নড়েচড়ে বসে বললো”ঐভাবে মানে হচ্ছে আপনি কখনও আমাকে ওয়াইফকে যেভাবে ছোঁয় ওভাবে ছুঁবেন না”
.
তাহলে কি ভাবে ছুঁবো?
.
উফ!আমার কথার মানে হচ্ছে কোনো ভাবেই ছুঁবেন না
.
আচ্ছা,তো এবার আমার কথা শুনে রাখো,আমি তোমাকে ছুঁবো না কারণ কেন জানো?কারণ তোমাকে ছোঁয়ার মতন তেমন ইন্টারেস্টিং কিছুই নাই
না ঠোঁট সুন্দর,না গাল সুন্দর, না হাত পা,আর না বডি,কিছুই সুন্দর না তোমার,তাহলে কেন ছুঁবো তোমাকে?
.
এসব বলে বলে তো বিয়েটাও সেরে ফেলেছেন
.
শুনো,তোমাকে ছোঁয়ার হলে এখন এত নরমালি কথা বলতাম না,বিয়েটা যে কারণে করসি তা তো তুমি জানোই তাহলে বারবার জিজ্ঞেস করো কেন?
.
ঠিক আছে!
আহানা উঠে দাঁড়িয়ে ড্রেসিং টেবিলের উপর থেকে ফোনটা নিয়ে ভিডিওটা সেভ করে মুখ ফুলিয়ে বললো”এই ভিডিওটা আমার কাছে প্রমাণস্বরুপ থাকবে,এখন কি জন্য ডেকেছিলেন বলুন আমি যাই
.
কাল রিয়াজের গায়ে হলুদ,সকাল সকাল তৈরি থাকবা তোমাকে নিয়ে যাত্রামুড়া রওনা হবো
.
যাবো না,আমি
.
কি বললে?
শান্ত বিছানা থেকে নামতে নিতেই আহানা দৌড়ে যেতে যেতে বললো”রেডি থাকবো”
.
এই দাঁড়াও
.
আহানা থেমে গিয়ে পিছনে তাকিয়ে বললো”কি?”
.
নাও
.
কি এটা?
.
গায়ে হলুদে পরার একটা শাড়ী,আমি কিনেছিলাম তোমার জন্য,তোমার ভালো কোনো জামা/শাড়ী নেই তো তাই
.
ভালো
তারপর আহানা আর কিছু না বলেই চলে গেলো
চলবে♥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here