প্রেমের পাঁচফোড়ন💖 #সিজন_২ #পর্ব_৩৪

0
673

প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_৩৪
#Writer_Afnan_Lara
🌸
দাদি শান্তর মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন”এভাবেই সবসময় বউয়ের পাশে ছায়া হয়ে থাকবা কেমন?”
.
শান্ত মাথা নাড়তে নাড়তে একটা পিঠা নিয়ে মুখে দিলো

সন্ধ্যার পর আহানা সেই আবার বিছানায় এসে বসেছে,শান্ত সোফায় গোল হয়ে বসে তার ফোনে কি যেন কাজ করছে,মনে হয় অফিসের কোনো কাজ
আহানা গম্ভীর লুক নিয়ে ওকে দেখে যাচ্ছে,আর শান্ত ভুলেও তাকাচ্ছে না আহানার দিকে
এবার আহানার ফোন বেজে উঠেছে,মায়ের কল
আহানা হ্যালো বলতেই মা এক গাদা বকা শুরু করে দিয়েছেন
বকার মূল টপিক হলো একা কোথায় ঘুমাবে,কার সাথে ঘুমাবে আজ রাতে
মা তো আর জানে না উনার গুনধর মেয়ে বিয়ে করে বসে আছে,আর সে এখন তার বিয়ে করা বরের সাথে এক রুমে আছে
আহানা ফোনটা এক সাইডে রেখে বালিশ চাপা দিয়ে ফিসফিস করে শান্তকে ডাকলো
শান্ত ফোন থেকে চোখ উঠিয়ে বললো”কি?”
.
আমাদের যে বিয়ে হয়েছে সেটা আমার মাকে বলবো?
.
খবরদার না!!মা জানলে আমাকে ফ্রেন্স ফ্রাই করবে
.
আহানা ঢোক গিলে বালিশের তলা থেকে ফোন নিয়ে বললো”মা শুনো,আমি রিয়াজ ভাইয়ার ছোট বোনের সাথে ঘুমাবো আজ”
.
মা এবার একটু থামলেন তারপর বললেন “শান্ত কোথায়? ওকে দে”
.
আহানা বিছানা থেকে নেমে শান্তর দিকে তার ফোনটা বাড়িয়ে ধরলো
শান্ত হাতে নিয়ে হ্যালো বলে সব কিছুর উত্তরে জি জি বলে যাচ্ছে শুধু
.
কথা শেষ হতেই আহানা ওকে জিজ্ঞেস করলো” কি বললো মা?”
.
বললো আহানাকে দেখে রেখো,বেশি বাঁদরামো করে,শয়তানি করে এসব,তোমাকে প্রয়োজনে মেরে ঠিক করারও অধিকার দিয়ে দিসে আমাকে
মাই গড!! আমার হাতটা কেমন পিনপিন করছে,কাউকে পেটালে খুব ভালো লাগতো
.
আহানা ভ্রু কুঁচকে আবার বিছানায় এসে বসলো,কি বোরিং লাগতেছে,এভাবে কতক্ষণ ধরে এই ছেলের মুখই দেখে যাবো আমি?
দেখতে দেখতে সব মুখস্থ হয়ে গেছে আমার
তার বামপাশের ব্রুর সাথে এটাচড একটা মাঝারি সাইজের তিল আছে
নাক এত চিকন বাপরে বাপ,ছোটবেলায় আমি নাকি বিছানা থেকে উলটে এর নাকের উপর গিয়ে পড়েছিলাম তাহলে নাক এত চিকন কেমনে,ভোঁতা হয়ে যাওয়ার কথা তো!
মা তাহলে ভুল বলেছে,বরং সেই আমার নাকের উপর এসে পড়েছে
এদিকে বাইরে বের হয়ে যে ঘুরঘুর করবো তার ও উপায় নেই,এখানের কারোর সাথেই কম্পোর্ট ফিল করি না,সবাই সবার কাজ নিয়ে ব্যস্ত
আর আমার বরকে দেখো সেও তার অফিসকে ফোনের মাধ্যমে এই রুমে ঢুকিয়ে ফেলেছে
আমি কি করতাম??আমি বরং ঘুমাই,কিন্ত এই সন্ধ্যাবেলায় ঘুমানো কি ঠিক হবে?
মা তো বলে সন্ধ্যায় ঘুমালে নাকি ফকির হয়ে যায়
উফ!!
.
শান্ত ফোন থেকে চোখ সরিয়ে ওর দিকে চেয়ে বললো”মনে মনে আমাকে গিলে খাচ্ছো কেন?”
.
শান্তর এমন সত্যি কথা শুনে আহানার কাশিই উঠে গেলো,কাশতে কাশতে বললো”কিসের গিলে খাওয়া,আমি কাঁচা জিনিস খাইনা
.
তাহলে আরেকদিকেে ফিরে বসে থাকো,আমি খেয়াল করছি সেই কখন থেকে তুমি ড্যাবড্যাব করে আমাকেই দেখতেছো
.
তো কি করবো,রুমে আর কোনো জন্তু থুক্কু মানুষ নাই,কার দিকে তাকাবো?
আমার বেরিং লাগতেছে
.
বোরিং লাগতেছে?
.
হ্যাঁ
.
কাজ পাচ্ছো না?
.
হ্যাঁ
.
২মিনিট,তোমাকে একটা কাজ দিব ওয়েট
.
শান্ত সোফার থেকে উঠে রুম থেকে চলে গেলো
তারপর ফেরত আসলো দুটো বাটি নিয়ে
একটা খালি আরেকটাতে পোলাও চাল আর মসুর ডাল মিক্স করা
শান্ত আহানার হাতে বাটি দুটো ধরিয়ে দিয়ে বললো”নাও বেছে বেছে এই খালি বাটিতে মসুর ডাল রাখো,তোমার তো কাজ নাই,আঞ্চলিক ভাষায় একটা প্রবাদ আছে”কাম না থাকলে ডালে চালে মিলাইয়া বাছো”
.
আহানা ব্রু কুঁচকে বাটি গুলো নিয়ে ভিক্ষুকের মত বসে রইলো
শান্ত আবার সোফায় গিয়ে নিজের কাজে মন দিয়েছে
আহানা ডাল চাল আলাদা করতে করতে গভীর ঘুমে তলিয়ে গেছে ততক্ষণে,বাটি এক জায়গায়,ডাল আরেক জায়গায়,চাল আরেক জায়গায়
আহানা হাত পা ছড়িয়ে মরার মতো ঘুমাচ্ছে তো ঘুমাচ্ছে
.
শান্তর কাজ শেষ,হাতের ঘড়িতে চেয়ে দেখলো রাত সাড়ে ৮টা বাজে,তারপর সামনে তাকাতে তার চোখ কপালে
আহানা হাত পা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ঘুম দিছে একদম
বাটি একটা পায়ের কাছে আরেকটা মাথায় টুপির মতন হয়ে আছে,সারা বিছানায় গোলাপের পাপড়ির জায়গায় এখন চাল আর চাল,ডাল আর ডাল
শান্ত নিজের মাথায় এক বাড়ি দিয়ে কাছে এসে দাঁড়ালো
.
এই মেয়েটা একটা ২বছরের বাচ্চাকেও হার মানাবে,এত বড় একটা মেয়ে হয়েছে আর তার কাজ দেখো!
.
শান্ত আর আহানাকে জাগালো না,রুম থেকে বেরিয়ে গেলো রিয়াজের রুমের দিকে
সেখানে নওশাদ, সূর্য ও আছে
রুমে ঢুকে দেখলো রিয়াজ সোফায় লম্বা হয়ে শুয়ে শুয়ে ভিডিও কলে নওমির সাথে কথা বলতেছে
নওশাদ টিভি দেখতে দেখতে পপকর্ণ চিবোচ্ছে
আর সূর্য পাবজি খেলায় ব্যস্ত
শান্ত চুপচাপ বিছানায় এসে লম্বা হয়ে শুয়ে পড়লো
নওশাদ টিভি দেখতে দেখতে বললো”কিরে?আহানা তোরে বিছানায় জায়গা দেয়নি?”
.
রিয়াজ ভিডিও কলটা রেখে বললো”আমি তো তোকে সোফায় শুতে বলেছিলাম,সেটাও দখল করলো নাকি?”
.
সোফায় শোয়ার অভ্যাস নাই আমার,আর রইলো কথা বিছানার
আহানার টাইম যাচ্ছে না বলে ওরে ডাল চাল মিক্স করে আলাদা করতে দিয়েছিলাম,সে এখন খিচুড়ি বানিয়ে ফেলেচে বিছানায়
.
সূর্য নওশাদ আর রিয়াজ হাসতে হাসতে লুটোপুটি খাচ্ছে
.
শান্ত মুখ বাঁকা করে পপকর্ণ মুখে দিয়ে টিভি দেখায় মন দিলো
আহানা ৯টা বাজার কয়েক মিনিট আগেই জেগে গেছে,বিছানার এমন অবস্থা দেখে নিজেই লজ্জা পেলো তারপর জলদি করে চাল ডাল সব বাটিতে নিয়ে বিছানা ঠিক করে মুখটা ধুয়ে এসে রুম থেকে বের হলো সে
রিয়াজ ভাইয়ার রুম থেকে চিল্লাপাল্লা শোনা যাচ্ছে,আহানা সেদিকে না গিয়ে রিয়াজের আম্মু যেখানে সেদিকেই গেলো
উনি রিয়াজের দাদি আর নানিকে নিয়ে নওমিকে কি কি গহনা দিবেন সেসব হিসাব করতেছেন
আহানা সেখানে এসে বসলো,রিয়াজের নানি বললেন”তা আহানা তোমাকে শান্তর মা কেমন গহনা দিয়েছিলো?”
.
আহানা ভাবলো এত মিথ্যা না বলে সত্যিটাই বলে দিই
.
আসলে উনারা জানেন না আমরা যে বিয়ে করেছি
.
ওমা কি কও!জানে না কেন?
.
একটা কারণে,পরে জানবে,আপনারা প্লিস আমার মা আর শান্তি আন্টিকে কিছু জানাবেন না
.
উনাাদের ঘাড়ে এত কাজ যে তারা আহানার কথায় মাথা নাড়িয়ে কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে
আহানা এবার উঠে গিয়ে এক গ্লাস পানি নিলো ডাইনিং টেবিল থেকে তারপর অন্ধকার করিডোর দিয়ে রোবটের মতো হেঁটে হেঁটে রুমটার দিকে যাচ্ছে সে
শান্ত রিয়াজ, সূর্যর সাথে চুটিয়ে মদ খেয়েছে এতক্ষণ
এবার ওদের বাই বলে রুম থেকে বের হতেই আহানার সাথে এক ধাক্কা খেলো সে
আহানা প্রথমে ভয় পেলেও পরে গায়ের ঘ্রানে বুঝলো এটা শান্ত
.
কোথায় ছিলেন আপনি?
.
তোমার কি?
.
শান্ত তাদের রুমের দিকে চললো
আহানা নাকে হাত দিয়ে আসতেছে পিছু পিছু,মদের তীব্র গন্ধ ভাসতেছে চারিদিকে
শান্ত হেলেদুলে দুম করে বিছানায় এসে শুয়ে পড়েছে
আহানা কোমড়ে হাত দিয়ে এগিয়ে এসে বললো”আপনি মদ খেয়েছেন?”
.
হু
.
কেন?কে ছ্যাকা দিছে আপনাকে?
.
মদ খাইতে ছ্যাকা লাগে না,এমনিও খাওয়া যায়,মাথা খারাপ করিও না যাও
.
কোথায় যাব,আমার এই বাসায় ভাল্লাগতেছে না,মনে হয় আমার পৃথিবীতে আমি ছাড়া কেউ নাই,কোথায় ভাবলাম আপনার সাথে ঝগড়া করবো সেটাও হলো না,আপনি মদ খেয়ে মাতাল হয়ে গেছেন
.
শান্ত শোয়া থেকে উঠে বসে পাঞ্জাবির ২টা বোতাম খুলে বড় করে শ্বাস নিলো তারপর বললো”আমি মদ খেলে আমাকে নেশায় ধরে না,হেভিট আছে”
.
ওহ
.
জি,তো ঝগড়া করতে মন চায় বুঝি আপনার?
.
না থাক
.
আহানা সোফায় গিয়ে বসে পানিটুকু খেয়ে চুপ করে রইলো
শান্ত আবারও শুয়ে পড়েছে
আহানার নজর গেছে এবার শান্তর ফোনের দিকে
পা টিপে টিপে সে শান্তর কাছে এসে ফোনটা নিয়ে আবারও এক দৌড়ে সোফায় চলে আসলো
ওমা ফোন দেখি ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক
কি করা যায়,ভাবতে ভাবতে আহানা শান্তর কাছে এসে ওর ডান হাত নিলো
এক এক করে ডান হাতের পাঁচটা আঙ্গুল মেলালো কিন্তু লক খুললো না
এবার বাম হাতের আঙ্গুল গুলো দিতে যেতেই শান্ত চোখ খুলে অগ্নি দৃষ্টিতে ওর দিকে চেয়ে থাকলো
আহানা মনে হয় হার্ট এটাক হয়ে মরেই যাবে
হাত থেকে ফোনটা ছেড়ে পালাতে নিতেই শান্ত টান দিয়ে ওকে কাছে নিয়ে আসলো
.
ঠিক ধরেছিলাম আপনাকে নেশায় ধরেছে
.
জি না,কাছে এনেছি কি কিস করতে নাকি?কাছে এনেছি দেখাতে যে আমার ফোনের লক কি করে খুলে,তুমি হুদাই চোরের মতো বিহেভ করো
.
শান্ত নিজের বাম হাতের অনামিকা আঙ্গুলটা দিয়ে খুললো লক
.
আহানা ভালো করে দেখে নিয়ে বললো”ভালো তো!! আমাকে দেখান কেন,আমার কি এতে?”
.
তুমি না মূহুর্তের মধ্যে রুপ,মতলব দুটোই পাল্টাতে পারো
.
আহানা মুখ বাঁকিয়ে আবারও সোফায় এসে দপ করে বসে পড়লো
শান্ত শুয়ে শুয়ে ফোন টিপে টিপপে বললো”মাকে বিয়ের ব্যাপারটা মায়ের মুড দেখে বলবো একদিন,এভাবে লুকিয়ে বিয়ে করে নিয়েছি হুটাহাট করে তা তো আর বলা যায় না
আমার মা আবার রাগ করার কত কারণ বাঁধায় করে রাখেন সবসময়
যত রাগ সব আমার উপর দিয়েই ঝাড়ে,কারণ আমি তাকে ভয় পাই তাই
আমি বলা ছাড়া তুমি বলবা না,তুমি তোমার মতো থাকো,বিয়েটা করেছি জাস্ট একটা রিজনে
আমাদের মধ্যে না কখনও স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে হবে
না কোনোদিন আমরা একজন আরেকজনকে মেনে নিব
.
আপনার রিপিট করতে হবে না,আপনি আমাকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নিলেও আমি আপনাকে স্বামী হিসেবে মানতে নারাজ,আপনাকে আমার জাস্ট ভাল্লাগে না
.
কি কারণে?
.
প্রথমত ছেলে হয়ে আমার সাথে পাল্লা দিয়ে ঝগড়া করেন সবসময়
দ্বিতীয়ত আমার মধ্যে কোনো গুন দেখেন না দেখতেও চান না, সারাদিন দোষটাই দেখেন
তৃতীয়ত মারামারি বেশি করেন আমার সাথে
.
এবার শুনো আমার কাছে তোমাকে কেন ভাল্লাগে না
.
আগে শুনুন,আমাকে যদি বিচ্ছিরি আর কোনোদিন বলেছেন তো নেক্সট টাইম আমি শাড়ী পরে চুল ছেড়ে দিলে যদি হা করে চেয়ে থাকতে দেখি আপনাকে তো থাপ্পড় আরও একটা দিব
.
বলতে তো দিবা
প্রথমত তুমি তোমার চেয়ে বয়সে বড় একটা ছেলের সাথে সারাদিন ২৪ঘন্টা ঝগড়া করো
দ্বিতীয়ত আমার কাজে উল্টা পাল্টা কান্ড ঘটাতে তুমি ওস্তাদ
তৃতীয়ত আমাকে প্রচুর জ্বালাও
.
তো?এরপরেও তো জোর করে ধরে বিয়ে করে নিয়েছেন,সেটার কি হবে? আমি কি বলছি শান্ত ভাইয়া! শান্ত ভাইয়া! প্লিস ম্যারি মি
.
শান্ত ব্রু কুঁচকে চেয়ে থেকে বললো”পাগলেও নিজের ভালো বোঝে বাট আফসোস তুমি পাগল না,পাগলের চেয়েও পাগল
তোমাকে সাইমন উঠায় নিয়ে গেলে তখন তোমার ভাল্লাগতো তাই না?
ভালোই ভালোই উনার লাইফ সেভ করছি আমি
কোথায় থ্যাংকস দিয়ে সকাল বিকাল চায়ের কাপ হাতে আমার সমানে দাঁড়িয়ে থাকবে সেটা না করে উঠে পড়ে লেগে আছে আমি কেন তাকে বিয়ে করেছি তা জানার জন্য
.
আহানা সোফার থেকে একটা কুশন নিয়ে শান্তর গায়ে ছুঁড়ে মেরে বললো”সকাল বিকাল চায়ের কাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবো না??আমাকে কি কণা পাইছেন??আমি আপনাকে দিয়ে রুটি বানিয়ে সেটা খাওয়ার ক্ষমতা রাখি,আমি হলাম মিসেস শাহরিয়ার আহানা 😎
.
এহহহ!এক দিক দিয়ে আমার পরিচয় লাগায় নিজের নামের সাথে আবার বলে চায়ের কাপ নিয়ে দাঁড়াবে না উনি
কি বললা আমাকে রুটি বানিয়ে খাওয়ার ক্ষমতা রাখো?
তাহলে আমি যখন বিয়ের জন্য চেপে ধরছিলাম তখন কোথায় ছিল তোমার সো কলড ক্ষমতা?
.
আহানা হালকা কেশে এদিক ওদিক তাকালো তারপর নরমালি বললো”আমি আমার ক্ষমতা ছোটখাটো বিষয়ে ইউজ করি না”
.
বের হও রুম থেকে,কথার কি ছিরি রে বাবা!!
আমার মা নাকি এই মেয়ের গুনে মুগ্ধ!
.
আহানা মুখটা বাঁকাতে বাঁকাতে চলে গেলো রুম থেকে
.
সবাই এক এক করে ডাইনিংয়ে খেতে বসতেছে
আহানা রিয়াজের মাকে হেল্প করলো কিছু তারপর বললো “সে বেশি খাবে না,তার খিধা নাই”
আন্টি তো ওকে শাসন করে বললো “এ বয়সের মেয়ে বেশি বেশি খাবা তাহলেই তো বউ বউ লাগবে,মোটাতাজা”
.
শান্ত ফ্রেশ হয়ে সোফায় বসে আছে, মাথা ফেটে যাচ্ছে তার,একটু কফি হলে ভালো হতো এটা বলেই সামনে তাকিয়ে দেখলো টেবিলের উপর ধোয়া ওঠা কফির মগ
খুশি হয়ে মগটা হাতে নিতেই দরজার দিকে তাকালো সে
আহানা চলে গেছে মগটা রেখে, শান্ত যখন দরজার দিকে তাকালো তখন আহানার শাড়ীর গোলাপি আঁচলটাই শুধু দেখেছে সে
তারপর হেসে কফিটা খেতে খেতে সোফায় হেলান দিলো শান্ত
.
আহানা উঁকি দিয়ে দেখলো আবার,শান্ত কফিটা খাচ্ছে কিনা
হুহ!আমি নাকি বউয়ের দায়িত্ব পালন করি না,এখন কার হাতের বানানো কফি খেয়ে মন জুড়াচ্ছে?
এই লোকটা আমার কোনো গুনই দেখে না
নওমি আপু আবার বললো উনি নাকি বলেছেন আমি শুধু তার
কেউ গলা কেটে বললেও আমি এই কথাটা বিশ্বাস করবো না
চলবে♥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here