প্রেমের পাঁচফোড়ন💖 #সিজন_২ #পর্ব_৪৫

0
779

প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_৪৫
#Writer_Afnan_Lara
🌸
রাত ১২বাজে ২মিনিট,,,দেয়ালে হেলান দিয়ে বসে আছে শান্ত,তার কাঁধে মাথা রেখে আহানা ঘুমাচ্ছে,সেও শান্তর মতন ফ্লোরে বসে আছে,শান্ত সোফাটার দিকে চেয়ে ভাবতেছে সে এখন সোফায় গেলে আহানা তাকে ছাড়বে না,ভাগ বসাবে, যার কারণে দুজনেই ফ্লোরে বসে আছে আপাতত
আহানা শান্তর নড়াচড়ায় জেগে চোখ ডলে বললো”এভাবে ঘুম হচ্ছে না তো”
.
তো?তুমি তো তাও দুমিনিট ঘুমালে আমি তো সেটাও পারছি না,মাথা সরাও তোমার,ঘাড় ব্যাথা হয়ে গেলো,মাথা তো নয় যেন ৫০কেজির রড
.
আহানা মাথা ধরে সোজা হয়ে বসলো তারপর হাই তুলতে তুলতে শান্তর কোলে মাথা রেখে ফেললো ঘুমের ঘোরে
শান্ত কিছু বলে উঠার আগেই সে শুয়ে পড়েছে
শান্ত কি করবে এখন,কোথায় বউয়ের কোলে মাথা রেখে তার ঘুমানোর কথা সেখানে তার বউ তার কোলে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে
সব উল্টা হচ্ছে তার সাথে,এদিকে আহানা এত সুন্দর করে গুটিশুটি দিয়ে শুয়েছে যে ওকে ধমক দিয়েও উঠানোর শক্তি ভেতর থেকে আসছে না,কি করা যায়!
.
আহানা ঘুমের ঘোরে বললো”আপনিও আমার মতো শুয়ে পড়েন দুমিনিটের জন্য”

পরেরদিন সকালে শান্ত চোখ খুলে দেখলো আহানা তার কোলে মাথা রেখেছিলো আর সে এখন আহানার মাথার সাথে নিজের মাথা লাগিয়ে এতক্ষণ ঘুমাচ্ছিলো
হুস আসতেই মাথাটা উঠিয়ে নিলো সে
আহানা শান্তর শেরওয়ানি খাঁমছে আরও উষ্ণতা নিয়ে ঘুমাচ্ছে
শান্ত মুচকি হেসে ওর চুলগুলো গুছিয়ে ওর কানে গুজে দিলো
মনে হয় যেন একটা বাচ্চাকে সে আগলে রেখেছে তার কোলে
শান্ত এবার ঘড়ির দিকে তাকালো,সকাল ৬টা বাজে,পিঠ ব্যাথা হয়ে গেছে এভাবে বসে বসে ঘুমাতে গিয়ে
এদিকে আহানাকে সরাতে পারছে না,জোঁকের মতন আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে রেখেছে সে শান্তকে
শান্ত আহানাকে নিচ থেকে তুলে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিলো,বিছানার চাদরটা নিচে পড়ে আছে,কাল যে ঝগড়া করেছিলো দুজনে মিলে
আসলেই তো চাদর না থাকলে তো বিছানায় শুতে সমস্যা হওয়ার কথা না আর আমরা কিনা সারারাত এত কষ্ট করলাম
শান্ত আহানার পাশে নিজেও শুয়ে পড়লো
আহানা একটিবারের জন্যও জাগলো না,রাতে ঠিকমত ঘুমাতে না পারায় এখন মনে হয় সে ঘুমের শেষ রাজ্যে আছে
সকাল ৮টা পর্যন্ত দুজন মিলে প্রচুর ঘুমালো
শেষে আহানা ৮টা বাজে উঠে বসে পড়লো
নিজেকে বিছানায় দেখে এক প্রকার শক খেলো সে,তারপর ফিল করলে হাত পা চুলকাচ্ছে না
শক থেকে বেরিয়ে সে বিছানা থেকে নেমে গেলো
সারা গায়ে শাড়ীর পুতির দাগ বসে গেছে,এসব শাড়ী পরে ঘুমানো যায় নাকি!
মা এত কষ্ট দিলো মেহমানদের মুখ রাখার জন্য
তাড়াতাড়ি এই শাড়ী পালটাতে হবে,সারা শরীরে চিনচিন ব্যাথা করতেছে
আহানা গিয়ে দরজা ধাক্কালো কেউ আসলো না খুলার জন্য
এদিকে দরজা ধাক্কানোর আওয়াজে শান্ত জেগে গিয়ে আহানাকে গালি দিতে দিতে আবারও ঘুমিয়ে গেছে
.
৩০/৩৩মিনিট বাদে শান্ত জেগে গেলো আবারও,চোখের সামনে কাকে যেন দেখলো সে,আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াচ্ছে একটা মেয়ে,যেন চুল তার জীবনের মহাশত্রু
শান্ত ভালো করে চোখ দুইটা খুলে দেখলো আহানা,পরনে ওর শার্টটা যেটা সে আজ পরবে বলে এনেছিলো,আর নিচে শাড়ী দিয়ে ঘাগড়া বানিয়ে পরেছে
শান্ত উঠে বসে বললো”এসব কি”
.
আহানা চুল থেকে হাত সরিয়ে বললো”আপনার গুনধর বন্ধুরা দরজা এখনও খুলছে না এদিকে ঐ শাড়ীটা পরে আমার পক্ষে আর থাকা সম্ভব হচ্ছিলো না বলেই তো হাতের কাছে আপনার শার্টটা পেয়ে পরে নিলাম
প্যান্ট পরলাম না সেটা আরও বিরক্তিকর
আপাততর জন্য আমার শাড়ীটা পেঁচিয়ে স্কার্ট বানিয়ে নিলাম,সুন্দর না?
.
শান্ত মুখ বাঁকিয়ে তোয়ালেটা হাতে করে বাথরুমে চলে গেলো
আহানার মনে পড়লো সে তোয়ালের মধ্যে লোশন ঢেলে রেখেছিলো
সাথে সাথে সেও বাথরুমের ভেতর ঢুকে পড়লো
.
এটা কি আবার!তুমি ঢুকসো কেন?
.
ইয়ে মানে,তোয়ালেটা দিন আমাকে
.
কেন?
.
লাগবে আমার
.
যাও বের হও,আমি এখন ফ্রেশ হবো
.
আগে তোয়ালেটা দিন আমাকে
.
কেন সেটা তো বলো
.
ঐ আসলে আমি কাল দুষ্টুমি করে লোশন ঢেলে দিয়েছিলাম তোয়ালেতে যাতে পুরোটা আপনার মুখে ভূতের মতন মাখিয়ে যায়
.
ইউ!!
.
আহানা দাঁত কেলিয়ে দৌড় দিলো বাইরের দিকে
শান্ত মুখটা ধুয়ে শেরওয়ানী দিয়ে মুখ মুছে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকালো আহানার দিকে
আহানা গাপটি মেরে বিছানার কোণায় বসে আছে
শান্ত নওশাদকে ফোন দিলো এবার,নওশাদ ঘুম ঘুম চোখে কল রিসিভ করে হ্যালো বলতেই এপাশ থেকে শান্ত এক ধমক দিয়ে বললো দরজা খুলতে
নওশাদ “সরি” বলে আসলো দরজা খুলতে,সে আর সূর্য গেস্ট রুমে ঘুমাচ্ছিলো
দরজা খুলতেই শান্ত আহানার দিকে চেয়ে বললো”যাও তোমার জামা নিয়ে এসো,আর আমাকে আমার শার্টটা ফেরত দাও”
.
আহানা বিছানা থেকে নেমে মুখ বাঁকা করতে করতে চলে গেলো
১০/১৫মিনিট পর সে একটা থ্রি পিস পরে আসলো হাতে শান্তর শার্টটা নিয়ে তারপর ওকে সেটা দিয়ে আবার চলে গেলো মাকে নাস্তা বানাতে হেল্প করতে
মা আর খালা শুধু হাসতেছেন,কেন হাসতেছেন তার কারণ অজানা,আহানা ঠিক বুঝতেছে না এর কারণ কি
শান্ত এসে ডাইনিংয়ে বসতেই একটা খাম পেলো টেবিলে
হলুদ রঙের খাম
আগ্রহ বশত সে খামটা খুললো,ভিতরে একটা চিঠি
চিঠিটা যিনি লিখেছেন তার হাতের লেখা দেখেই শান্ত চিনেছে এটা কার হাতের লেখা,এটা তার ফুফুর হাতের লেখা
তিনি লিখেছেন শান্ত যেন আজকেই সাজেকের উদ্দেশ্যে রওনা হয় তাও আহানাকে নিয়ে
কদিন তার বাসায় থাকতে হবে এবং সাজেকটাও ঘুরে নেওয়া যাবে
শান্ত বুঝলো ফুফু কেন তাকে কথাটা সামনা সামনি বলেনি কারণ সামনা সামনি বললে হয়ত শান্ত রাজি হতো না বরং ডাইরেক্ট মানা করে দিতো
শান্ত ভাবনায় পড়ে গেলো তারপর আহানাকে দেখতে পেয়ে ডাক দিলো
আহানা জানতে চাইলো কি ব্যাপার!
শান্ত ওর হাতে খামটা ধরিয়ে দিয়ো বললো”তোমার কি মত?”
.
আহানা চিঠিটা পড়ে চুপ করে থেকে হঠাৎ করে এক লাফ দিয়ে উঠলো তারপর শান্তর হাত টেনে ধরে লাফাতে লাফাতে বললো”এটা আবার জিজ্ঞেস করার কি আছে,চলুন না যাই,খুব মজা হবে,আমার তো নাচতে মন চাচ্ছে,সাজেক হচ্ছে স্বপ্নের রাজ্য
চলুন এখনই যাই”
.
আর ইউ ম্যাড?এমনিতেও বিয়ে বিয়ে করে আমার অফিসের অনেক কাজে কারচুপি হয়ে গেছে আর তুমি পড়ে আছো সাজেক নিয়ে
.
তো?আপনার ফুফু জোর দিয়ে বললো তাই আগ্রহ দেখালাম,,,,না গেলে নাই,আমার কি
.
আচ্ছা আমি মাকে বলে দেখবো,তুমি প্যাকিং শুরু করো,মা শুনলে নির্ঘাত হ্যাঁ বলবে জানা আছে আমার
আহানা রান্নাঘর থেকে নাস্তা এনে শান্তর সামনে রেখে এক দৌড়ে গেলো প্যাকিং করতে,সাজেকে এক মাস থাকবে সে মনে মনে ভেবে নিয়েছে,বিন্দু বিন্দু করে সব জায়গা সে দেখবে,এত দিনের স্বপ্ন এভাবে পূর্ণ হবে একদমই ভাবেনি সে
.
শান্ত নাস্তা করে তার বাসায় চলে এসেছে,মাকে কথাটা বলায় যা ভেবেছিলো তাই হলো,মা তো রাজি,মুচকি হেসে তাই বুঝালেন
শান্তর অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা নেই,চিন্তা হলো আহানাকে নিয়ে
যে পরিমাণ দুষ্টু সে,পুরো সাজেক মাথায় করে নাচবে,আসার সময় সব ওলট পালট করে তারপর আসবে
না জানি ফুফুকে কেমন জ্বালায়
.
ওদিকে আহানা ফোন করে জানালো সে রেডি,শান্ত তখন সবেমাত্র একটা জামা নিয়েছে ব্যাগে,এক ধমক দিয়ে সে বললো”বেশি সাজেক সাজেক করলে ওখানে রেখে চলে আসবো ”
.
ওমা!এমন করেন কেন,আপনার ফুফুকে বলে দিব যে আপনি সাজেক যেতে রাজি না একদম,ধরে বেঁধে এনেছি
.
যেটা সত্যি
.
যাই হোক,কখন বের হবেন?
.
আমার প্যাকিং হয়নি,আমি রেডি হয়ে যাওয়ার সময় তোমাকে পিক আপ করে নিব
.
আপনি সাজেকের পথ চিনেন?
.
আমার ফুফুর বাড়ি ওখানে,বহুবার গেছি,গুগল ম্যাপেরও প্রয়োজন পড়বে না
.
আচ্ছা আচ্ছা,তাই তো বলি আপনার মনে এত প্যাঁচ কেন,একদম সাজেকের রোডের মতন
.
কি বললে?
.
কিছু না তো,ওকে বাই,হ্যাপি প্যাকিং

শান্ত একটা হলুদ রঙের জ্যাকেট পরতে পরতে এসে মাকে জড়িয়ে ধরলো তারপর নিতুর গাল টিপে দিয়ে যাওয়ার সময় রিপাকে বললো মাকে দেখে রাখতে,কিছু লাগলে তাহসিনকে কল করতে
আহানা তাদের বাসার গেট ধরে ঝুলতেছে,রোডে তার ট্রলি ব্যাগ দাঁড় করানো
কখন আসবে এই লোকটা,আমার খিধে লেগে গেছে
সাইড ব্যাগের থেকে একটা সেদ্ধ ডিম নিয়ে আহানা খেতে খেতে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে,জার্নিতে সে আর কিছু না নিক,সেদ্ধ ডিম অবশ্যই নেবে,এট লিস্ট পেট তো ভরে,চিপস চকলেটে তো আর পেট ভরে না
আহানা একটা কালো রঙের সুতির শাড়ী পরেছে আজ,মা বলেছে ফুফু শাশুড়ি আমাকে জামায় দেখলে কত কথা বলবে,তাই মা আমাকে শাড়ী পরতে বলেছে হয়ত
আহানা ডিমটা খেয়ে এবার পানি খেলো, শান্তর খবর নেই,এবার সে পায়চারি করতেছে সময় কাটানোর জন্য
১/২মিনিট বাদেই শান্তর কার দেখতে পেয়ে আহানার মনে হলো সাজেক বুঝি এখনই যাওয়া যাবে,মানে দু কদম পের হলেই মেঘ আর মেঘের দেখা মিলবে
আহানা ব্যাগটা নিয়ে হাঁটা ধরলো কারের দিকে
শান্ত কার থামিয়ে বললো ব্যাগটা পিছনের সিটে রেখে ফ্রন্ট সিটে এসে বসতে
আহানা তাই করলো
.
আমি তো এখানে এসে কল করতাম,আগে থেকেই গেটে এসে ছিলে কেন?
.
আপনার কি?আপনি বুঝবেন না,এই প্রথম যাচ্ছি,আমার কেমন ফিল হচ্ছে আপনাকে সেটা বলে বুঝানো যাবে না
যাই হোক আগে এটা বলুন আগে কি আপনার ফুফুর বাড়ি যাবো নাকি সাজেকের রিসোর্ট গুলাতে যাবো?
.
আমার মনে হয় না ফুফু রিসোর্টে থাকতে দেবে
.
ওমা কি বলেন!রিসোর্ট থেকেই তো মেঘ দেখা যায়,ধুর!
.
আমি ম্যানেজ করবো সমস্যা নাই,তার আগে কদিন হয়ত তার বাসায় থাকতে হবে,বি কেয়াফুল
.
কেন?
.
আমার ফুফু জয়েন্ট ফ্যামিলিতে থাকে,এত এত মানুষ তুমি পাগল হয়ে যাবে,এই জন্য আমি যেতে চাচ্ছিলাম না,আমার নিজেরই বিরক্তি লাগে তার বাসায় গেলে
.
কত আর হবে?চাচা জেঠা,তাদের পোলাপান এই তো?
.
জি এই তো তবে,আমার ফুফারা ভাই ৬জন,তাদের আবার ছেলেমেয়ে ৭/৮টা করে করে
তো এবার তুমি হিসেব করো বাড়িতে বাচ্চা বুড়ো কতটা হয়
.
আপনি মজা করছেন না তো??এত মানুষ একসাথে কিভাবে থাকে?বাসা তো তাহলে স্কুল ঘরের মতন হওয়ার কথা?
.
রাইট!স্কুলের ঘরের মতনই,প্রতি রুমে মিনিমাম ৬জন ঘুমায় রাতে
.
আমি বাসায় ফেরত যাব
.
হাহা!শান্ত কোনো কিছু নিয়ে মানা করলে এমনি এমনি মানা করে না বুঝলে আহানা বাবু??
অবশ্য আমাদের আলাদা রুম দিবে,টেনসন নিও না
.
তো আলাদা রুম দিলে ওরা কোথায় ঘুমাবে?
.
পাশের বাসায়,কথা হলো গিয়ে রাতটায় আলাদা হলেও সারাদিন ওদের মাঝখানেই বসে থাকতে হবে
.
আমার এখনই মাথা ধরেছে
.
একটু ঘুমিয়ে নাও,না জানি সেখানে তোমার ঘুম হবে কিনা
.
আহানা ব্যাগ থেকে চুড়ি নিয়ে হাতে পরলো তারপর ঘোমটা দিয়ে বসে থাকলো,শুনেছি অনেক মানুষ থাকলে নানান কথা বলে
তাই পারফেক্ট হয়ে যেতে হবে আমাকে,কেউ যাতে কোনো দোষ না ধরতে পারে
.
কিছু খাবে?হোটেল নজরে পড়তেছে আশেপাশে,থামাবো?
.
না,খিধে নেই,এত লোকের সংমিশ্রনের পরিবারের কথা শুনে আমার খিধা ভেগেছে
.
ভয় পেও না,আমি আছি না?
.
আহানা বাইরের দিকে তাকিয়ে বললো”ঐ আপনাকে নিয়েই ভয়টা বেশি,সবার সামনে আমাকে নিয়ে মজা করার এই সুযোগ আপনি ছাড়বেন না
.
সেটা ঠিক
.
আবার বলেন ঠিক?আমিও কিন্তু কম না,আমাকে বাঁকা কথা বললে আমিও বাঁকা কথা বলবো আপনাকে বলে দিলাম
.
বলিও,আমার আবার ফুফাতো বোন মাত্র ৬টা,ওদের পাকা পাকা কথায় পারবা তো উত্তর দিতে?
.
আহানা সেখানে অতিব ভদ্র হয়ে বসে থাকবে,যেন ধোয়া তুলসি পাতা,আমার রণচন্ডি রুপ কেবল আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য
.
বুঝলাম!
.
আচ্ছা এই যে আঁকাবাঁকা সরু পথটা দিয়ে আমরা যাচ্ছি এটার নাম কি?
.
দীঘিনালা রোড
বলতে গেলে ফুফুর বাসায় এসে গেছি
একটা টিপস দিই শুনো,সবার মাঝখানে দাঁড়িয়ে বড় করে সালাম দিবা,ওকে?
.
ওকে
চলবে♥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here