প্রেমের পাঁচফোড়ন💖 #সিজন_২ #পর্ব_৪৬

0
777

প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_৪৬
#Writer_Afnan_Lara
🌸
সাজেকের রিসোর্ট গুলাতে পৌঁছাতে হয়তবা ১০/১৫মিনিট বাকি ঠিক সে সময়ে শান্ত কার থামালো,এবার ডান পাশ দিয়ে আরও চিকন একটা রোড গেছে সেটা দিয়ে চলতে হবে
কার সেদিকে যাবে না,মানে ঢুকবেও না
শান্ত কারটা একটা জায়গায় পার্ক করে আহানার আর ওর ব্যাগ হাতে করে নিয়ে চললো
আর আহানা তার ঘোমটা টানায় ব্যস্ত
শান্ত হালকা হেসে বললো”আরে জাস্ট বললাম জয়েন্ট ফ্যামিলি তার মানে এই নয় যে তোমাকে সবাই মিলে ঘোমটার জন্য ধরবে,ওরা সবাই অনেক স্মার্ট”
.
আচ্ছা তাহলে ঠিক আছে
.
কিছুদূর হাঁটতেই আহানা স্কুলের মতন লম্বাতে একটা বাড়ির মতন কিছু একটা দেখলো সে বিশ্বাসই করতে পারলো না এটাই শান্তর ফুফুর বাড়ি,শান্ত যখন নিজের মুখে বললো তখন তার এটা মানতে হলো শেষে
বাড়ির সামনে বয়স্ক একজন মহিলা আর পাশে ফুফু আর তার ৬টা মেয়ে এক কাতারে দাঁড়িয়ে আছে,সবার মুখে মিষ্টি হাসি
আহানা সবাইকে সালাম দিলো,উনারা আহানার পিঠে হাত দিয়ে ওকে ধরে বাসার ভিতর দিকে চললেন
.
শান্ত আমি অনেক খুশি হয়েছি তোমরা এসেছো
.
ফুফু তোমার কথা তো রাখতেই হতো,কি আর করার তোমাকে তো মানা করতে পারি না
.
আহানা বাসার ভিতর ঢুকে পুরো ১৪গুষ্টিকে একসাথে না দেখলেও এক এক করে দেখা শুরু হয়ে গেছে
সবার আগে সে এখন কথা বলছে শান্তর ফুফুর শাশুড়ির সাথে
উনি সেই কখন যে আহানার হাত ধরেছেন ছাড়ার নামই নিচ্ছেন না
শান্তকে তার ফুফাতো বোন ছোটটা যার নাম রিমু সে আহানা আর তার থাকার রুমটা দেখিয়ে দিলো
দাদি আহানাকে সোফায় বসিয়ে ওর পাশে বসে এবার ওর পরিবারে কে কে আছে,কতদূর পড়াশুনা করেছে সব জিজ্ঞেস করতেছেন
আর বাকিরা মিলে একের পর এক নাস্তা এনে টেবিলে রাখতেছে,খাবারের আইটেমের লিস্ট দেখে আহানার চোখ কপালে,এই সব তার জন্য নাকি,পুরা এক বছরের খাবার মনে হচ্ছে
শান্ত মুখটা ধুয়ে আবারও এদিকে আসতেছে,এসে দেখলো আহানার দুহাতে দুইটা পিঠা আর সে দাঁত কেলিয়ে সবার কথা শুনে যাচ্ছে
ফুফু শান্তকে দেখতে পেয়ে ওকে ধরে এনে আহানার পাশে বসিয়ে দিলেন
তারপর ওর হাতেও পিঠা ধরিয়ে দিলেন তিনি
শান্ত পিঠাটা মজা করেই খাচ্ছে,আহানা শান্তর খাওয়া দেখে এবার নিজেও খাওয়া শুরু করে দিলো,তেমন একটা মজা লাগেনি তবে আপাতত খেতে হবে তা নাহলে আবার কে কি ভাববে,আহানা আসার পর থেকে এক প্রকার ভয়ে আছে,কেউ ওকে খোঁচা দিলে ওর বড্ড খারাপ লাগে,আর খোঁচাটা যেন না শুনতে হয় তাই সে নিয়ম মেনে চলছে যতটা পারছে
তারা সবাই এখন যে রুমটাতে আছে সেটাতে সোফা আর একটা খাট আছে,ওপাশে জানালা দরজাও আছে,মানে একটা রুমে দরজা দুটো
ওপাশের দরজাটা দিয়ে মনে হয় একটা ছোট উঠানে নামা যায়
আহানা মাথা উঁচু করে সেদিকে একবার তাকালো
.
ফুফু চায়ের ট্রে আনতে আনতে বললেন”তা রিসোর্টে থাকার ইচ্ছা আছে নাকি তোমাদের?”
.
শান্ত চায়ের কাপটা নিয়ে বললো”ফুফু আহানার মেঘ দেখার শখ,চলে যাওয়ার আগের দুদিন ওকে নিয়ে একটা রিসোর্টে উঠবো ভাবছি”
.
হুম সেটা করতে পারো,তবে আমি চেয়েছিলাম যতদিন সাজেক থাকো ততদিন আমার কাছেই থাকো,আমার বাড়িতে থাকো,অবশ্য এখান থেকে মেঘ দেখা গেলেও একদম দূর থেকে দেখা যায় তাই কাছ থেকে দেখার হলে তোমরা বরং রিসোর্ট একটাতেই যেও
.
কথাটা শুনে আহানা তো খুশিতে গদগদ হয়ে পিঠা আরেকটা মুখে দিয়ে বললো”ফুফু পিঠা অনেক মজা হইছে”
.
দাদি গালে হাত দিয়ে বললেন”এতক্ষণে মাইয়ার মুখে বুলি ফুটছে”
.
শান্ত টিটকারি মেরে বললো”ওরে ওর হ্যাপিনেসের সব দিয়া দাও তোমাকে মাথায় তুলে নাচবে”
.
আহানা মনে মনে শান্তকে একটা গালি দিলো তারপর বাইরে দিয়ে হেসে ব্যাপারটা ধামাচাপা দিয়ে দিলো সে
.
খাওয়াদাওয়া শেষে তখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে,শান্তর ফুফাতো বোন মেজোটা আহানাকে নিয়ে চললো ওদের জন্য রাখা রুমটার দিকে,আর শান্ত তার ফুফার সাথে বাইরে চেয়ার নিয়ে বসে আলাপ করছে বিজন্যাস নিয়ে
আহানা রুমে ঢুকে তো রীতিমত অবাক,একদম রিসোর্ট গুলার রুমের মতন না হলেও কাছাকাছি,বাঁশের তৈরি পুরো রুমটা
তন্নি আহানাকে রুমে রেখে চলে গেছে
আহানা একটু বিছানায় গিয়ে বসে বড় করে শ্বাস নিলো,সবে ২০জনের মতন মানুষের দেখা মিলেছে না জানি আর কত!
সন্ধ্যা যত বাড়তে লাগলো শীতের প্রকোপ আরও বাড়তে লাগলো ধীরে ধীরে
আহানার গায়ে শীত লাগতেই সে তার ব্যাগটা খুললো,শাড়ী আর থ্রি পিস ছাড়া আর কিছুই নেই,এ তো মহা ঝামেলা,এত শীতে আমি কি গায়ে দিব?
রুমটাতে দরজা সেই দুটোই,আবার বাথরুমও আছে দেখছি,তবে সেটা এই পাশের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যেতে হয়,এটাচড না
আহানা জানালার কাছে গিয়ে অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই দেখলো না,তাই পর্দাটা টেনে সে হাত ভাঁজ করে বিছানার মাঝখানে গিয়ে বসলো,শীতে গা কাঁপতেছে এবার
একটা পাতলা কাঁথা রাখা,এটা তো আমারই হয়ে যাবে,ঐ শান্ত কি গায়ে দেবে,আজকে রাতে আবারও ঝগড়া হবে যা বুঝলাম
আহানা আপাতত শীতকে কাবু করতে কাঁথাটা পেঁচিয়ে বসে পড়েছে
শান্ত ৩০/৪০মিনিটের মতন ফুফার সাথে কথা বলে এবার রুমের দিকে ফিরে আসলো
এসে দেখলো আহানা বিছানায় কাঁথা মুড়ি দিয়ে দুহাত ঘষতেছে
.
কি?শীত করে?সোয়েটার আনো নাই?
.
আরে আমি কি জানতাম নাকি যে এখানে এমন শীত পড়ে
.
আমারও শীত করছে তবে জ্যাকেটে আই এম ফাইন,তুমি এক কাজ করো আমার একটা জ্যাকেট পরে নাও
.
কথাটা বলে শান্ত ওর ব্যাগ থেকে একটা জ্যাকেট নিয়ে আহানার হাতে দিলো
আহানা বললো”বাকিরা দেখলে কি বলবে?”
.
তো আমি আর কি করবো?দাঁড়াও চাদর আছে কিনা দেখে আসি
শান্ত গেলো চাদর আনতে
আহানা জ্যাকেটটা পরে আবারও কাঁপতে লাগলো,এত বিরক্তি লাগতেছে তার,পুরো অসহ্যকর লাগতেছে,বাড়ি ফিরে যেতে মন চাচ্ছে এখন এই মূহুর্তে
শান্ত একটা কাঁথা হাতে করে এনে বললো”এক্সট্রা চাদর তো পেলাম না,ফুফু এই একটা কাঁথা দিলো
.
ভালো,ওটা গায়ে দিয়ে আপনি ঘুমাইয়েন,আমি এটা গায়ে দিয়ে ঘুমাবো
.
ওকে,,
.
শান্ত এবার আহানার পাশে বসে ফোন হাতে নিয়ে লম্বা হয়ে শুয়ে পড়লো
আহানার ফোন আছে তবে তার এখন আলাদা রকম বিরক্তি লাগতেছে,শীত হলে সোয়েটার /চাদর গায়ে না থাকলে যে বিরক্তি লাগে ঠিক সেটাই
রাগে শান্তকে গালিও দিতে পারছে না সে,কারণ তার তড়িগড়ির কারণেই সে ভুলে গিয়েছিলো যে এখানে শীত পড়বে অনেক
কিছুক্ষণ বাদে ভুলে আহানার হাত শান্তর হাতের সাথে লাগতেই আহানা বুঝলো শান্তর গা গরম,এখন যদি ওদের মাঝে সব ঠিকঠাক হতো সে নিশ্চয় শান্তকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকতো??শীতটাও কমতো,কিন্তু পোড়া কপাল
শান্ত এবার গেমস খেলতেছে মনযোগ দিয়ে
আহানা চুপচাপ ওর পাশে শুয়ে পড়লো,একটু একটু করে শান্তর কাছে এসে কাঁথার নিচে মুখ লুকিয়ে নিলো সে
শান্ত বুঝতে পারলো,খেয়াল ও করলো কিন্তু কিছু বললো না
আহানা যে প্রচণ্ড শীতে ঝগড়াবিবাদ বাদ দিয়ে ওর কাছে ঘেষেছে এটা সে বুঝেছে তাই আর কথা বাড়ালো না
শান্তর গায়ের উষ্ণতা পেয়ে আহানা কখন যে ঘুমিয়ে গেলো
রাত ৯টার দিকে শান্তর ফুফাতো বোন রিমু এসে দরজায় নক করে বললো”ভাইয়া খেতে আসো,খাবার রেডি,নাহলে ঠাণ্ডা হয়ে যাবে”
শান্ত উঠে যেতে নিয়েও পারলো না,আহানা ওর বাম হাতটা শক্ত করে ধরে মাথা লাগিয়ে ঘুমাচ্ছে,শান্ত হাত নাড়িয়ে ওকে ডাক দিলো কয়েকবার
আহানার ঘুমটা ভাঙ্গতেই নিজেকে একদম শান্তর কাছে দেখে সে বাতাসের গতিতে উঠে সরে গেলো
.
হুহ,এতক্ষণ তো লেগে ছিলেন হঠাৎ এরকম ভয় পেলেন কেন আহানা ম্যাডাম?
.
আহানা এতক্ষণ উষ্ণতায় থেকে এখন দূরে সরে যাওয়ায় শীত ওকে আবারও ধরেছে,সে কাঁপতে কাঁপতে বললো”তো কি করবো,শীতে মরবো নাকি?”
.
আসো ডিনার করবে,আজ রাতে যে কি পরিমান জ্বালাবে তার পূর্বাবাস পাচ্ছি,আমার যে সারারাত তোমাকে বয়ে নিয়ে ঘুমাতে হবে,আদৌ ঘুম আসবে কিনা কে জানে
.
এমন স্বার্থপরের মতন কথা বলছেন কেন?আমি কি হই আপনার?দুবার বিয়ে করা বউ হই,এইটুকু পারবেন না?
আপনার তো উচিত ছিলো মুখ ফুটে বলার যে আহানা আসো আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাও তাহলে তোমার শীত কমবে,সেটা তো করেন নাই,আমি নিজে বেহায়ার মতন আপনাকে জড়িয়ে ধরে ছিলাম আর এখন উল্টো আমাকে ঝাড়ি দিচ্ছেন কেন আমি আপনাকে ধরলাম
.
আস্তে আস্তে,এরকম ঝগড়া করতে হবে না,তোমার যেমন ইচ্ছা তেমন করে ঘুমাইও,ওকে?এখন চলো ডিনার করতে
.
আহানা মুখ বাঁকিয়ে বিছানা থেকে নামলো,তারপর শান্তর পিছু পিছু ডাইনিং রুমের দিকে গেলো সে,এবার যাদেরকে সে দেখেনি তাদেরকে দেখলো,মানে শান্তর ফুফুর দেবর,ভাসুর এবং তাদের ওয়াইফদের,বাচ্চা তো আছেই
আহানা বড় করে সালাম দিলো,এক এক করে সবাইকে
ওদের একসাথে বসতে দিয়ে ফুফু আর তার ৬মেয়ে ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়লো খাবার সার্ভ করাতে
.
ফুফু আমি হেল্প করতেছি,আপনি বসুন,আর দাদি কোথায়?
.
না মা তুমি বসো,তুমি মেহমান আমাদের,তার উপর নতুন বউ
তোমাকে দিয়ে একটা কাজ করানো ও সাজে না,আর আম্মা তো ঘুমিয়ে গেছেন,উনি তাড়াতাড়ি খান রাতের খাবার তারপর তাড়াতাড়ি শুয়ে ও পড়েন
.
আচ্ছা
.
তোমার ঐ কাঁথাতে হবে তো?আসলে আমাদের কাছে বারতি চাদর নেই এই এক ঝামেলা,আমরা ভাবলাম তোমরা সাথে করে চাদর সোয়েটার নিয়ে আসবে
.
ফুফু আমি সত্যি জানতাম না এখানে এরকম শীত পড়ে,জানলে আমি নিয়ে আসতাম আর উনিও তো আমাকে বলেন নিই কিছু
.
শান্ত পোলাও এক চামচ মুখে দিয়ে চিবাতে চিবাতে বললো”আমিও জানতাম না তো,দেখো না আমিও সোয়েটার আনি নাই”
.
ফুফুর ভাসুর পাশেই একটা চেয়ারে বসে কাগজে কিসব লিখতে লিখতে বললেন”এসময়ে পাহাড়ী অঞ্চলে শীতের প্রকোপ বেশি থাকে,এটা কমন সেন্স বুঝলে মেয়ে?”
.
আহানা বোকার মতন চেয়ে আছে উনার দিকে তারপর শান্ত গলায় বললো”আপনার সোয়েটার টা কিন্তু জোস”
.
আহানার মুখে ওমন কথা শুনে সবাই ইয়া বড় হা করে ওর দিকে তাকালো,ফুফুর ভাসুর কাগজ থেকে মুখ তুলে আহানার দিকে হা করে তাকিয়ে রইলেন
“কি বললো এই মেয়েটা???”
ফুফুর ভাসুর বয়সে সব ভাই থেকে বড়,এবং অনেক মুডি,তার কথার উপরে কেউ কথা বলার সাহস পায় না আর আহানা কিনা মাঝখান দিয়ে এমন একটা কথা বললো যেন সে উনারই মেয়ে
.
উনি ঠিক কিরকম রিয়েক্ট করবেন তা তিনি নিজেও বুঝতেছেন না,শেষ বললেন”আসমা???আমার জন্য রাখা ভাতটা ঠাণ্ডা হলে বলো,আজ তাড়াতাড়ি ঘুমাবো,আর এই মেয়েটাকে আমার জন্য যে সুয়েটারটা বুনেছিলা সেটা দাও,পরের বাড়ির মেয়ে,এখানে এসে জ্বর হলে আমাদেরই বদনাম হবে
আর শান্ত?তোমার লাগবে না তো?
.
না আমার লাগবে না,আমাদের এত শীত লাগে না
.
আহানা ব্রু কুঁচকে শান্তর দিকে তাকালো
ফুফু মুচকি হেসে আহানার পাতে মাংস দিলেন,আহানার এক লাইন কথাতে তার ভাসুর যে এতটা বদলে যাবেন তা তিনি একদমই ভাবেননি,রান্নাঘরে যেতেই আসমা উনার হাত ধরে টেনে বললেন”ভাবী,এই মেয়েটার কথায় তো দম আছে দেখছি,আমার স্বামী যিনি কিনা কারোর সাথে জীবনে নরম হয়ে কথা বলেননি তিনি কিনা আজ ওর কথায় কাবু হয়ে গেলো?”
.
ফুফু ফিক করে হেসে বললেন”আমার শান্তর বউ বলে কথা,কথার এবং গুনের দুটোরই তেজ আছে বৈকি,শান্তর সাথে পারফেক্ট ম্যাচ বলেই তো শান্তি ওকে বউ করতে এতদিন উঠে পড়ে লেগেছিলো,আর তুমি তো জানোই শান্তির পছন্দ লেভেল হাই হয়
ওর পছন্দেই আমরা আগে শাড়ী গয়না কিনতাম,আর এখানে ওর একটামাত্র ছেলের বউ বলে কথা,লাখে না কোটিতে একটা তো হবেই
.
শুনলাম শান্ত নাকি ওকে লুকিয়ে সবার অগোচরে বিয়ে করেছিলো?
.
হুম,শান্ত তো ওকে সেই ছোট্টবেলা থেকে পছন্দ করে,দুটোই মিলে পুরো বাসা মাথায় করে রাখতো,এই জন্যই তো রিয়াদ ভাইয়া ওদের বিয়ে ঠিক করেছিলো তখনই,এমনকি কার্ড ও ছাপিয়ে রেখেছিলো ব্যাপারটা পাকাপোক্ত করার জন্য
.
বুঝলাম
.
ওদিকে আহানা নাচতে নাচতে ফুফুর ভাসুরের দেওয়া সোয়েটারটা পরে রুমে এসে বসলো
শান্ত দরজা লাগিয়ে জ্যাকেটটা খুলে একটা টিশার্ট পরতে পরতে বললো”তোমাকে এত পাকা পাকা কথা কে শিখিয়েছে?”
.
কে আবার,আপনি!
.
হেহ!আমি কেন শেখাবো?তুমি আজকে যারে বলছো সোয়েটারটা জোস তার কথায় মানুষের খাওয়া দাওয়া অফ হয়ে যায় সেটা জানো??
.
দেখুন,শক্ত মানুষদের মন অনেক নরম হয়,আর আমি তাদের দূর্বল জায়গা ধরে কথা বলছি
আপনারা উনাকে ভয় পান বলে নরমাল কথা বলেন,কখনও তার সাথে ফ্রেন্ডলি কথা বলে দেখিয়েন আসলেই তিনি কেমন মানুষ সেটা বুঝতে পারবেন
.
শান্ত আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুলগুলো বাঁকাতে বাঁকাতে বললো”আফসোস,আমার মন বুঝলে না,বুঝলে খালি কেমনে আমার সাথে ঝগড়া করা যায় সেটা
.
আমি আপনার কেয়ার করি না বুঝি?কাজের চাপে মাথা ধরে যখন বসে থাকেন তখন চা/কফি কে বানিয়ে খাওয়ায় আপনাকে?
.
আমার বউ,এটা তোমার দায়িত্ব বুঝলে?
.
তো?স্বীকার করলেই পারেন,আমার দোষ না খুঁজে একটু গুন খুঁজেন,মনে হবে যেন শ্রেষ্ঠ সময় যাপন করছেন
.
আহা!
.
আহা কি?আহানা হবে
.
তোমার নামে আহা থাকলেও তোমার কাজে আহা পাচ্ছি না
বকবক বন্ধ করে আমাকে ঘুমাতে দাও,এখন তো তোমার কাছে সুয়েটার আর কাঁথা দুটোই আছে,আমাকে জড়িয়ে ধরার প্রয়োজন নেই তাহলে
.
আহানা মুখ বাঁকিয়ে শুতে শুতে বললো”হুম,আপনাকে ধরবো ও না,আপনার গালের খোঁচা খোঁচা দাঁড়িতে আমার কিউট নরম ফেস স্কিনটা চুরমার হয়ে গেছে,মনে হইছে যেন আমার গালকে শলামুঠায় আছাড়তেছি
চলবে♥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here