#নেশাক্ত_ভালোবাসা
#লেখিকাঃ Tamanna Islam
#পর্বঃ ৪৭
আইরাতের চাচা-চাচির লাশ কে আব্রাহামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিশ অফিসার রা ইনভেস্টিগেশন করতে চেয়েছিলো কিন্তু আব্রাহাম সোজা মানা করে দেয়। কেননা আব্রাহাম জানে যে এগুলো কার কাজ। আইরাত যেনো পাথর হয়ে গেছে। চুপ মেরে খালি এক জায়গায় বসেই আছে রনিত কে নিয়ে। এদিকে আব্রাহাম পুরো শহরে তার গার্ড দের লাগিয়ে দিয়েছে রায়হান কে খোঁজার জন্য। কিন্তু পাচ্ছে না। পাগল কুকুরের মতো করে খুঁজে যাচ্ছে এই রায়হান কে একটা বার হাতে এলে সেখানেই ইন্না-লিল্লাহ হবে তার। আব্রাহাম এই মূহুর্তে ঠিক কি বলে আইরাতকে শান্তনা দিবে জানা নেই তার। আব্রাহামের দাদি ইলা খবর টা শুনেছেন। তিনিও যেনো একটা শকের মধ্যে আছেন। কি থেকে কি হয়ে গেলো। আব্রাহাম ফোনে কথা বলছিলো রাশেদের সাথে। এই পুরো শহরে নাকি রায়হান কোথাও নেই। যেইভাবে গার্ড গুলো খুঁজেছে তাতে রায়হান যদি সত্যি সত্যি এখানে থাকতো তাহলে পেয়ে যাবার কথা। তার মানে রায়হান গুম হয়েছে। আব্রাহাম আইরাতের দিকে তাকিয়ে দেখে আইরাত মুখ গোমড়া করে একধ্যানে বসে আছে। আব্রাহাম ফোন টা কেটে দিয়ে আইরাতের দিকে এগিয়ে যায়। আইরাতের পাশে বসে পরে।
আব্রাহাম;; জানপাখি….!
আইরাত মাথা টা তুলে এক নজর আব্রাহামের দিকে তাকায়। তার চোখের পাতাগুলো ফুলে টকটকে লাল বর্ণ ধারণ করেছে। আব্রাহাম কিছু বলতে যাবে তখনই সাথে সাথে আইরাত আব্রাহামের বুকে ঝাপিয়ে পরে হাউমাউ করে কেদে দেয়। আব্রাহাম তাকে জড়িয়ে ধরে৷
আইরাত;; আমি এখন কীভাবে থাকবো। আমার দম আটকে আসছে। আমি, আমি তো এমন কিছুই চাই নি। স স সব আমার জন্য তাই না। আমাকে, আমাকে রায়হান বিয়ে, বিয়ে কর করতে পারি নি তাই জিদের জন্য এগুলো করেছে ওরা আমার চাচা-চাচির সাথে তাই না। স, সব আমার দোষ। এর থেকে আমিই মরে যেতাম।
আব্রাহাম;; চুপ চুপ একদম চুপ।
আব্রাহাম আইরাতকে নিয়ে বসে ছিলো তখনই একজন গার্ড বেশ দ্রুত পায়ে আব্রাহামের কাছে আসে। আব্রাহাম তার দাদি কে বলে আইরাত আর রনিত কে এখান থেকে নিয়ে যেতে বলে। ইলা অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে আইরাত কে নিয়ে যায়।
আব্রাহাম;; কি হয়েছে?
গার্ড;; স্যার খুব কষ্টে রায়হানের ফোন নাম্বার ট্রেস করতে পেরেছি। তবে সেটা তার বাসার কোন এক ফোন হবে। রায়হান ধরেনি ধরেছে অন্য একজন। হয়তো ওর কোন গার্ড হবে। আমি রায়হানের ঠিকানা জানার জন্য অনেক কথার প্যাচ কেটেছি কিন্তু লাভ হয় নি।
আব্রাহাম;; নাম্বার টা আমাকে দাও।
গার্ড;; স্যার রায়হান উনার আসল বাড়ি……
আব্রাহাম;; না রায়হানের তার মায়ের সাথেও তেমন একটা ভালো সম্পর্ক নেই। রায়হান দরকার হলে দেশের বাইরে চলে যাবে কিন্তু তার মায়ের কাছে না। হেই ওয়েট রায়হান কোন ভাবে দেশের বাইরে চলে যায় নি তো। কারণ সে প্রায়ই দেশের বাইরে যায়। আর শশুড়আব্বু-আম্মুর মার্ডার হয়েছে গতকাল রাতে……
গার্ড;; কিন্তু স্যার একদিনেই সব ভিসা-পাসপোর্ট এইসব ম্যানেজ করা কীভাবে সম্ভব?
আব্রাহাম;; আমি কি বললাম রায়হান প্রায়ই দেশের বাইরে যায়। সো তার কাছে ভিসা- পাসপোর্ট এইসব থাকা বড়ো কোন ব্যাপার না।
গার্ড;; তাহলে স্যার?
আব্রাহাম;; রায়হান বাইরে চলে গিয়েছে। হয়তো ভোররাতের কোন ফ্লাইটেই চলে গিয়েছে। তুমি যাও।
গার্ড;; জ্বি স্যার।
আব্রাহাম কপালে এক আঙুল ঠেকিয়ে রেখেছে। এই রায়হান তো হাতের নাগালের বাইরে চলে গেলো। কিন্তু যে করেই হোক একে ধরতেই হবে। তবে রনিতের ভাষ্যমতে গতকাল রাতে বেশ কয়েকজন লোক ছিলো এক বা দুইজন ছিলো না। রায়হানের সাথে সাথে সেখানে আরো লোক ছিলো। রায়হান বাইরে থাকলেও বাকিরা অবশ্যই এখানেই রয়েছে। আব্রাহাম তাদের আবার খোঁজা শুরু করে দিলো। এভাবেই সারাটা দিন গেলো। আইরাত যেনো পাগল পাগল হয়ে গেছে। কিচ্ছু খায় না, কথাও বলে না। বিকেলের দিকে ইকবাল সাহেব আর কলির লাশ কে আনা হয়। জানাজা পরাতে হবে। লাশগুলোকে পুলিশদের ছুয়েও দেখতে দেয় নি আব্রাহাম। আইরাত কে যেনো আর রাখা যাচ্ছে না ঘরের ভেতরে। ছুটে চলে আসতে চাইছে। অবশেষে আব্রাহাম আর না পেরে আইরাত কে যেতে দেয়। আইরাত দুটো লাশের মাঝখানে বসে আবার হাউমাউ করে কাদছে। রনিত কে আসতে দেয় নি এখানে। আইরাত চাচ্চু বলে চিৎকার করে উঠে। আব্রাহাম খেয়াল করলো যে আইরাতের কেমন তার চোখ গুলো বন্ধ করে আসছে। আইরাত পরে যেতে ধরলে আব্রাহাম দ্রুত গিয়ে আইরাতকে ধরে ফেলে। আইরাত অজ্ঞান হয়ে গেছে। আব্রাহাম গার্ড দের লাশ গুলোকে নিয়ে জানাজার ব্যাবস্থা করতে বলে। আব্রাহাম আইরাতকে কোলে করে বাসার ভেতরে নিয়ে আসে। সোজা নিজের রুমে গিয়ে আইরাতকে শুইয়ে দেয়। আইরাতের কপালে চুমু দিয়ে আব্রাহাম এসে পরে।
একসময় সন্ধ্যা নেমে আসে। মাগরিবের আজানের পরে জানাজা পরে ইকবাল সাহেব আর কলিকে কবর দেওয়া হয়। আব্রাহাম জানাজার নামাজ টা পরে বাসায় আসে। এসে দেখে আইরাত হলরুমে বসে আছে। আব্রাহাম কে দেখেই আইরাতের চোখ গুলো আবার ভিজে আসে। আইরাত ফুপিয়ে ফুপিয়ে নাক টানছে আর কাদছে। মাথা নিচে নামিয়ে ফেলেছে। আব্রাহাম আইরাতের কাছে গিয়ে তার মাথা টা নিজের বুকে নিয়ে নেয়।
আইরাত কিচ্ছু খায় না। অবশেষে ইলা তাকে জোর করেই খাইয়ে দেয়। রনিত তো ছোট বাচ্চা। তেমন কিছু বুঝে না। তাকে একটু কিছু দিলেই চুপ হয়ে যায়। মোট কথা সে যে এখন আইরাতের সাথে থাকবে তাই তার খুশির সীমা নেই। রাত হয়ে গেছে, আইরাতকে মেডিসিন খাইয়ে ঘুম পারানো হয়েছে। আর কোন পায় ছিলো না এছাড়া। আব্রাহাম আইরাতের পাশে বসে ছিলো। রনিতকে দাদির সাথে রাখা হয়েছে। রায়হান কে কি থেকে কি করা যায় তাই ভাবছে আব্রাহাম। হঠাৎ করেই আব্রাহামের ফোনে কল আসে।
আব্রাহাম;; হ্যালো।
রাশেদ;; স্যার জলদি গেস্টহাউজে আসুন। দুইজনে কে ধরা হয়েছে।
আব্রাহাম;; ফোন রাখো আসছি।
আব্রাহাম সোজা তার রিভলবারে বুলেট লোড করে খালি জেকেট টা হাতে নিয়ে সোজা বাসা থেকে বের হয়ে পরে। এখন যে সে কি করবে নিজেও জানে না। গভীর রাত মানুষ নেই রাস্তায়। তাই যেনো উড়ে এসেছে গাড়ি নিয়ে। গাড়ি গেস্টহাউজের বাইরে রেখেই আব্রাহাম দ্রুত পায়ে ভেতরে চলে যায়। গিয়েই দেখে দুটো আধমরা লোককে বেধে রাখা হয়েছে।
রাশেদ;; স্যার এরা সেইদিন রাতে রায়হানের সাথে ছিলো। আইরাত ম্যামের চাচা-চাচিকে মেরেছে।
আব্রাহাম শুধু একটা কথাই বলে।
আব্রাহাম;; রায়হান মেরেছে তাই না?
লোক দুটোকে এতোই মারা হয়েছে যে তারা আর মুখ দিয়ে কিছু বলতে পারছে না। কোন রকমে মাথা দুলায়। ব্যাস আব্রাহাম চোখ বন্ধ করে রিভলবারে যতো বুলেট গুলো ছিলো সব মাথার ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়। শেষ, মারা গেছে তারা। আব্রাহামের রাগে যেনো শরীর কাপছে। রায়হান কে না মারা অব্দি তার মনে শান্তি নেই।
।
।
।
অন্যদিকে রায়হান এসে পরেছে লন্ডন। তবে একা আসে নি রায়হানের সাথে এসেছে প্রিতিও। যে কিনা বলতে গেলে আব্রাহামের পেছনে পাগল। আসলে আব্রাহাম-আইরাতের বিয়েটা রায়হানের সাথে সাথে মেনে নিতে পারে নি প্রিতিও। কথায় আছে না
“” শত্রুর শত্রু একে-ওপরের বন্ধু হয় “”। এখানে ঠিক তাই। রায়হান চায় আইরাতকে আর প্রিতি চায় আব্রাহাম কে। রায়হানের সাথে প্রিতিও এখন লন্ডনেই আছে। রায়হান যে আইরাতের চাচা-চাচি কে মেরে রেখে এসেছে তা প্রিতি জানে। আসলে ইকবাল সাহেবের গাড়ির পেছনে যে গাড়ি টা ধাওয়া করে আসছিলো তা রায়হানেরই ছিলো। একসময় তারা গাড়ি থামায়। রায়হান গিয়ে সোজা কলি কে ধরে। আব্রাহামের সাথে আইরাতের বিয়ে কেনো দিলো, রাজি কেনো হলো, কলি তো রায়হানের হ্যাঁ তে হ্যাঁ মিলিয়েছিলো তাহলে কেনো তাদের দুইজনের বিয়ে দিলো?? এইসব সহ নানা প্রশ্ন করে। কিন্তু কলি এবার যেনো রুখে দাঁড়ায়। সে রায়হানকে বলে আইরাতকে ভুলে যেতে কিন্তু জেদ খুব খারাপ জিনিস। একসময় কলির সাথে রায়হানের রেশারেশি হয়ে গেলে রায়হান ছুরি বের করে এক ঘা বসিয়ে দেয়। ইকবাল সাহেব এবং কলি দুইজনেই খুন করে দেয়।
রায়হান;; তো প্ল্যান কি?
প্রিতি;; প্ল্যান যাই বানাও না কেনো। আমি আব্রাহাম কে ভালোবাসি।
রায়হান;; আর আমি আমার আইরাতকে।
প্রিতি;; হাহ, আচ্ছা আইরাতের পেছনে তোমরা দুই ভাই ই এতো পাগল কেনো। কি আছে কি ওই মেয়ের মাঝে?
রায়হান;; চুপ একদম চুপ। মুখ সামলে। ধরতে গেলে তো তুমি আইরাতের কানি আঙুলেরও যোগ্য হবে না তার ওপর আবার বড়ো বড়ো কথা। শোন আমি এখানে কোন তর্ক করতে আসি নি। তুমি যেমন আব্রাহাম কে চাও আমিও আইরাতকে তাই এখন আমাদের মিলেই এই কাজ করতে হবে বুঝলে। তো নিজের মুখ চালানো বন্ধ করে মাথাটা চালাও।
প্রিতি;; তুমি যেহেতু আইরাতের চাচা-চাচি কে মেরেছো তাই আব্রাহাম এখন তোমায় হন্ন হয়ে খুঁজবে৷
রায়হান;; কিন্তু পাবে না।
প্রিতি;; হাহ, আব্রাহাম অনেক হাই লেভেলের মাল বুঝলে। ওর মতো ছেলে হাতে হাত রেখে বসে থাকবে তা তো হবেই না।
তখনই রায়হানের ফোন আসে।
রায়হান;; হ্যালো।
___________________
রায়হান;; কিহহ? কীভাবে হলো এটা?
___________________
রায়হান;; বি কেয়ারফুল। আর হ্যাঁ সব লুকিয়ে করবি। যেনো টের না পায়। আর দরকার হলে তোরাও পালিয়ে যা সেখান থেকে।
রায়হান ফোন কেটে দেয়।
প্রিতি;; কি হলো?
রায়হান;; সেইদিন রাতে আমার সাথে যারা ছিলো আব্রাহাম তাদের মাঝে দুইজন কে মেরে ফেলেছে।
প্রিতি রায়হানের কথায় হেসে ওঠে….
প্রিতি;; বলেছিলাম না যে আব্রাহাম হাতে হাত রাখার মতো মানুষ না। রায়হান পারবে তো আমার আব্রাহামের সাথে?
রায়হান;; এক্সকিউজ মি. এখানে আমি তোমাকে আমার সামনে আব্রাহামের গুন-গান গাওয়ার জন্য আনি নি। ভাবো কীভাবে আইরাত-আব্রাহাম কে আলাদা করা যায়।
প্রিতি;; আলাদা তো করতেই হবে।
।
।
আব্রাহাম বাড়ি ফিরে আসে। রুমে গিয়ে দেখে আইরাত হাত-পা কাচুমাচু করে শুয়ে আছে ছোট বাচ্চার মতো। আব্রাহাম গিয়ে আইরাতের পাশে বসে তার মাথায় হাত রাখে। আইরাত আব্রাহামের হাত টা খপ করে ধরে ফেলে। চোখ মেলে তাকায়।
আব্রাহাম;; বেবিগার্ল ঘুমাও নি??
আইরাত উঠে বসে।
আইরাত;; আমি আপনাকে না বলতাম যে এই সব খুন-খারাবা করবেন না। বাদ দিন এই মাফিয়া জগৎ। কিন্তু না আমি আর এমন বলবো না। আব্রাহাম যারা চাচ্চু আর চাচি কে মেরেছে প্লিজ তাদের এমন মৃত্যু দিবেন যেনো তাদের দেখে রাস্তার কুকুর অব্দি কাদে। জানে মেরে ফেলবেন একদম। কেউ যেনো বেচে না থাকে, কেউ না।
আইরাতের রাগে মুখ লাল হয়ে গেছে। আব্রাহাম আইরাতকে জড়িয়ে ধরে। মেয়েটা সারাটাদিন কেদেছে। আইরাত আব্রাহামের কোলেই মাথা রেখে ঘুমিয়ে পরে। আর আব্রাহাম আইরাতের মাথায় হাত বুলাতে থাকে। তার যেনো সারারাত আইরাতকে দেখে দেখেই কেটে গিয়েছে।
।
।
পরেরদিন সকাল হয়। কারো মন ভালো নেই। রনিতের স্কুল ছিলো কিন্তু আইরাত পাঠায় নি। রায়হানের যে চেলা দের আব্রাহাম সেইদিন রাতে মেরেছে তাদের মুখ থেকেই শুনেছে যে সেইদিন রাতে নাকি তারা মোট পাঁচজন ছিলো। দুইজন কে তো মেরেই ফেলেছে। আর বাকি দুইজনের খবরও পেয়ে গেছে আর পাঁচ নাম্বার বাকি রইলো রায়হান। আব্রাহাম তার প্রায় অনেক গুলো গার্ড দের নিয়ে গিয়ে রায়হানের বাসায় তালাশি করেছে। ঘর একদম ভেঙে ভেতরে গিয়েছে। ঘর টাকে গোয়াল ঘর বানিয়ে দিয়েছে। তবে অবাকের বিষয় হচ্ছে এটা যে রায়হানের বাড়ি থেকে দুটো ভুয়া পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। সেখানে শুধু রায়হানের ছবি টা আসল। এমনকি রায়হানের নাম অব্দি ফেইক ছিলো। রায়হানের বাড়ি থেকে প্রচুর বেআইনি জিনিসপত্র পাওয়া গেছে। রায়হানের আসল বাড়িতে তো তার মা থাকে। আর রায়হান এমনই এক ব্যাক্তি যে কিনা তার মাকেও সহ্য করতে পারে না। তাই সেখানে অর্থাৎ তার আসল বাড়িতে কিছু রাখার প্রশ্নই আসে না। যা বা যেগুলো থাকার কথা সব এই বাড়িতেই আছে। আব্রাহাম রায়হানের পুরো বাড়িটা পুলিশের আন্ডারে রাখে। রায়হানের ব্যাপারে যা যা জানার তার প্রায় সবই জেনে গেছে। অনেক ধুলাই দেওয়া হয়েছে লোকগুলোকে যেনো রায়হানের ব্যাপারে আর বাকি যা যা জানে সব বলে দেয়। এত্তো পরিমাণে কেলানি দেওয়া হয়েছে যা বলার বাইরে। পরিশেষে একজন বলেই দেয় যে রায়হান লুকিয়ে লন্ডনে পাড়ি জমিয়েছে।
।
।
।
।
চলবে~