প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_১৭
#Writer_Afnan_Lara
🌸
আর কতদূর??আর এই জায়গার নাম কি?যাত্রাবাড়ী??
.
নাহ যাত্রাবাড়ী না,,যাত্রামুড়া মনে হয়,আমি আরও কয়েকবার আসছি এখানে
আর অল্প একটু পথ আছে,এসে গেছি প্রায়ই
এই গলিতে ঢুকলেই মাটির একটা রোড পড়বে সেটা দিয়ে যেতে হবে,হেঁটেই যেতে হবে,কার ঢুকবে না সেদিকে
.
শান্ত কার থামিয়ে নামলো সেখান থেকে,আহানাও নেমে গেছে,শান্ত কার লক করে হাঁটা ধরেছে ওকে নিয়ে
আহানা শাড়ী ঠিক করতে করতে হাঁটতেছে,তারপর চুলের খোঁপাটা খুলে চুল ছেড়ে দিয়েছে সে
বাসা থেকে জলদি করে বের হতে গিয়ে চুলের দিকটা সে খেয়ালই করে নাই
একটা এক তলা বাসার সামনে এসে হাজির হয়েছে দুজনে
হালকা গোলাপি রঙ করা বাড়িটটা,বিরাট বড়,আশেপাশে এবং ভিতরে মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে হালকা পাতলা
শান্ত দূর থেকে কাকে যেন দেখে পিছনে তাকিয়ে আহানার হাত টান দিয়ে কাছে নিয়ে আসলো ওকে
আহানা তখন চুলে ক্লিপ লাগাচ্ছিলো
ভয় পেয়ে বললো”কি হয়েছে?”
.
কিছু না,চলো!
.
কণা দৌড়ে এসে শান্তর সামনে দাঁড়ালো
পরনে হালকা নীল রঙের নেটের একটা লেহেঙ্গা,চুল বাঁধা,দেখতে অনেক স্মার্ট
আহানা এদিক ওদিক তাকিয়ে সবাইকে দেখতেছে
.
শান্ত!!!তুমি জানো কত ওয়েট করছিলাম তোমার!
.
আহানা এবার কথা শুনে কণার দিকে তাকালো,কণা শান্তর হাতের দিকে চেয়ে মুখটা ফ্যাকাসে করে ফেললো,কারণ শান্ত আহানার হাত শক্ত করে ধরে রেখেছে
.
মেয়েটা কে শান্ত?
.
শান্ত মুচকি হেসে বললো”মিট মাই উড বি ওয়াইফ,আহানা ইয়াসমিন”
.
আহানা চোখ বড় করে শান্তর দিকে তাকিয়ে আছে
এসব কি বলতেছে শান্ত!
.
শান্তর কথা শুনে কণা তো রীতিমত শকড্!!
.
এসব কি বলছো তুমি?তোমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে?এটা মিথ্যা,আমি বিশ্বাস করি না!
.
এটাই সত্যি কণা!আচ্ছা ফরগেট ইট!
রিয়াজ কোথায় যার জন্য এই বাড়িতে আসলাম এতদূর থেকে
শান্ত আহানার হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে বাসার ভিতর দিকে
কণা ওদের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো,তারপর নরম গলায় বললো”আমি আহানার সাথে কিছু কথা বলতে পারি?”
.
শান্ত বললো”না! আমি আহানার সাথে সবার পরিচয় করিয়ে দিব এখন,পরে কথা বলিও”
.
শান্ত আর থামলো না সেখানে,আহানাকে নিয়ে চলে গেলো সে
কণা রাগে ফুলতেছে,প্রচণ্ড রাগে হাতের কাছে থাকা একটা ফুলের টব ভেঙ্গে ফেললো সে
.
বাসার বাইরে ওপাশে বিরাট খোলা মাঠ একটা আছে সেখানে,সেখানে ছোটখাটো করে একটা স্টেজ খুব সুন্দর ভাবেই সাজানো হয়েছে
শান্ত সেদিকে আসলো আহানাকে নিয়ে,রিয়াজ স্টেজে থাকতেই শান্তকে দেখতে পেয়ে হেসে হেসে নেমে আসতেছে
.
থ্যাংকস এ লট শান্ত!!তুই আমার কথা রেখে এসেছিস এর জন্যে
.
আসতে তো হতোই,নিন আপনার আর আপনার বউয়ের গিফট,ধরুন
.
থ্যাংক ইউ!!আরে আহানা যে,কি খবর?
.
ভালো
.
নওশাদ আর সূর্য আসতেছে,এসেই শান্তকে চেপে বললো “কিরে!!শান্তর মনে এখন কি চলে?”
.
ফগ চলে
.
হাহা,দোস্ত!!!কণার চেহারার এক্সপ্রেশন একটু যদি দেখতাম
.
আহানার সাথে একা কথা বলতে চাইছে কিন্তু আমি দিই নাই
এটা বলেই শান্ত পাশে চেয়ে দেখলো আহানা উধাও!
একি!মেয়েটা গেলো কই?
.
ছাড়ুন আমার হাত!!কণা আপু,এমন করতেসেন কেন?
.
কণা আহানার হাত ধরে টেনে ওকে দূরে নিয়ে আসলো,তারপর নিজের হাত বাড়িয়ে আহানাকে দেখালো
তার পুরো হাত কাটা দাগে রক্তাক্ত হয়ে আছে
.
আহানা চোখ বড় করে সেদিকে চেয়ে আছে
.
দেখো আমি শান্তকে কতটা ভালোবাসি আর তুমি কি আমার ব্যাপারে জানতা না?প্লিস তুমি শান্তকে বিয়ে করো না প্লিস
আমি মরে যাবো,আই লাভ হিম সো মাচ,প্লিস ট্রাই টু অ্যান্ডারস্ট্যান্ড!
.
আহানা টেবিলের উপর থেকে টিসু বক্স নিয়ে টিসু বের করে কণার হাত মুছে দিতে দিতে বললো”এভাবে নিজেকে কষ্ট দিবেন না,আমি উনার সাথে কথা বলবো,আপনি প্লিস আর নিজের ক্ষতি করবেন না”
.
শান্ত নওশাদ মিলে আহানাকে খুঁজতেছে সব খানে
.
প্লিস আমার কথাটা রেখো আহানা!
.
আচ্ছা,ডোন্ট ওয়ারি!
.
আহানা ফিরে আসতে আসতে ভাবলো”যাক বাবা,এই পাগলের সাথে ঐ পাগলের বিয়ে দিয়ে দিলে আমি বেঁচে যাবো
নাহয় তো মা এতদিন ঐ বেয়াদবটার সাথে আমাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলো,পাইছি একটা সুযোগ,হাতছাড়া করা যাবে না
.
আহানা খুশিতে আটখানা হয়ে পিছন ফিরে কণার দিকের চেয়ে হাঁটতে হাঁটতে শান্তর বুকের সাথে ধাক্কা লেগে পড়ে যেতে নিতেই শান্ত ওকে ধরে ফেললো
.
এই তুমি আমাকে না বলে কই গেছিলে?
.
আহানা ঠিক হয়ে দাঁড়িয়ে বললো”আপনার সাথে আমার কথা আছে”
.
ওসব পরে,চলো আমার সাথে,নওমির সাথে মিট করিয়ে দিব তোমায়
.
আগে বলুন আপনি সবাইকে বলতেছেন কেন যে আমি আপনার উড বি?
.
পরে সব পরে,আগে চলো
.
শান্ত আহানাকে টেনে স্টেজে নিয়ে আসলো
আহানা ইতস্তত হয়ে নওমির পাশে গিয়ে বসেছে,নওমি ওকে এটা ওটা জিজ্ঞেস করতেছে শুধু
অথচ ওর জিজ্ঞেস করার কথা
.
দূরে সোফায় নওশাদ,রিয়াজ,সূর্য আর শান্ত বাম পা ডান পায়ের উপর রেখে গালে হাত দিয়ে বসে আহানার দিকে তাকিয়ে আছে
.
রিয়াজ নওমির দিকে চেয়ে মুচকি হেসে বললো”আহানাকে কিছুক্ষন আগে কণা উধাও করেছিল আই এম Damn শিওর”
.
নওশাদ মাথা নাড়িয়ে তার দুহাতের আঙ্গুল নাড়াতে নাড়াতে বললো”আর এতক্ষণে সে আহানার কানে হাবিজাবি কথা ঢুকিয়ে কস্টিভ ও মেরে দিছে”
.
সূর্য তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললো”আবার হাত কাটে দেখায়নি তো?আহানা তো তাহলে তোর সাথে কণাকে বিয়ে দিয়েই ছাড়বে”
.
মাই গড!!এটা কি শুনাইলি!আমি জানি না
আহানা যে শয়তান একটা মেয়ে,ও আমার জীবন নষ্ট করে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য হলেও কণার সাথ বিয়ে দিয়ে ছাড়বে
.
নওশাদ ফোন বের করে কয়েকটা সেলফি তুলতে তুলতে বললো”তো তাহলে কি করা যায়?”
.
রিয়াজ দাঁত কেলিয়ে শান্তর দিকে চেয়ে আছে
.
শান্ত তার পাঞ্জাবির উপর পরা কোটির বোতাম কয়েকটা খুলে ঢিল করে রিয়াজের দিকে আড় চোখে তাকালো তারপর স্টেজের দিকে মুখ করে বললো”এরকম হারামির মত চেয়ে আছিস কেন?”
.
তোরে একটা আইডিয়া দিব?
.
হোয়াট?
.
আহানাকে ধরে কিস করে দে
.
নওশাদ তখন জুস খাচ্ছিলো,রিয়াজের কথা শুনে পুরুত করে সব ফেলে দিলো,সূর্য পাকোড়া খাচ্ছিলো কথাটা শুনে গালে কামড়ই পড়েছে তার,গোঙ্গাতে গোঙ্গাতে সে বললো”তুই তোর নওমিরে কিস করছিস বলে কি শান্ত ও আহানাকে করবে?মেয়াদ ছাড়াই গাঞ্জা খেয়েছিস মনে হয়
.
নওশাদ ব্রু কুঁচকে বললো” মনে হয় ৫বছর আগে মেয়াদ শেষ হওয়া গাঞ্জা খেয়েছিস তুই ”
.
রিয়াজের মাথা গেছে!!
এখনও ওর আংটিবদল হয়নি এখনই পাগল হয়ে গেছে বিয়ের পর নির্ঘাত ওকে নিয়ে আমাদের পাগলা গারতে ঘুরতে হবে
.
শান্ত বি সিরিয়াস!আই এম নট জোকিং
.
সিরিয়াস মানে?আহানাকে আমি কিস কেন করবো?
.
যাতে আহানার ভিতরে একটা ফিল আসে,সে তোকে কণার হতে দিবে না তাহলে
মেয়েদের কিস করে কাবু করা যায় বুঝলি
.
নওশাদ মুখ বাঁকিয়ে বললো”তো আমার এক্সকে আমি কতবার কিস করেছি সে আমারে ছাড়লো কেন?”
.
শুন রিয়াজ! আমার আর কাজ নাই তোর কি মনে হয়?
আমার কণাকেও চাই না,আহানাকেও না,ওকে?
.
এখন কথা হলে কণা থেকে কি করে বাঁচবি আহানা তো পরের কথা,আহানা তোকে পছন্দ করে না
.
তো?তুই তো বললি কিস করলে পাগল হয়ে আমাকে কণার হতে দিবে না
.
আরে সেটা না!কিস করলে কণার সাথে তোর জন্য লড়াই করবে পরে তুই কণার থেকে রেহায় পেয়ে গেলে বলে দিবি তুই আহানাকে লাভ তো দূরে থাক লাইক ও করিস না,ব্যস হয়ে গেলো
.
নওশাদ মাথা নাড়িয়ে বললো”ব্রো!!রিয়াজের আইডিয়ায় কারেন্ট আছে”
.
দেখতে হবে না কার বিয়ে হচ্ছে😎
.
না না,আমার দ্বারা হবে না,ঐ ধানিলঙ্কারে আমি কিস করতে পারবো না,দরকার নেই এসবের
.
তাহলে যা কণার কোলে বসার জন্য রেডি হ
আমাদের কি,ভালোই ভালোই একটা জোস আইডিয়া দিলাম
.
দেখ আহানার থেকে ছাড়া পাওয়া সহজ কিন্তু কণা তোকে ছাড়বে না সহজে
তোর আগে ১০/১২টা ছেলেকে সে ধুয়ে শুকিয়ে ইস্ত্রি করে তারপর ছেড়েছিলো তোকে তো একদম কাঁচা গিলে তারপর ছাড়বে
.
ভাবতে দে আমাকে!
.
সূর্য একটা মেয়েকে দেখে উঠে সেদিকে যেতে যেতে বললো”পাগলের প্রলাপ পাগলে শুনে”
.
রিয়াজ হাতে থাকা গোলাপ ফুল একটা সূর্যের মাথায় মারলো
“হারামি তুই পাগল!”
.
শান্ত মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে,কণা এসে সূর্যের জায়গায় বসে পড়েছে শান্তর পাশে
শান্ত চোখ বড় করে ওর দিকে তাকিয়ে একটু সরে বসলো
.
কেমন আছো??নিতু কেমন আছে?
.
শুনো কণা! একটা কথা ক্লিয়ারলি বুঝে নাও,আমি তোমাকে না লাইক করি না লাভ করি,কোনোটাই না,যারেই তোমার লাইক হবে তারেই পাবা এমন তো না!আমার থেকে দূরে থাকো,তুমি মেয়ে বলে আমি বেশি রুঢ হচ্ছি না বাট বুঝার চেষ্টা করো
.
দেখো আমি হাত কেটেছি
.
তোহ??
তুমি তো আরও কতজনের জন্যই কাটসো!আর আমি কি তোমাকে বলেছিলাম যে হাত কাটো!আর আমার সাথে কথা বলবা না,আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে,স্টে এওয়ে ফ্রম মি
.
শান্ত উঠে দূরে গিয়ে দাঁড়ালো,আহানা নওমির সাথে কথা শেষ করে স্টেজ থেকে নেমে শান্তর সামনে এসে দাঁড়ালো
.
কি?
.
কি মানে,আপনার জন্য কণা আপু জাস্ট পাগল!
.
জাস্ট পাগল তো আমি কি করবো?এটাকে পাগলামি বলে না এটাকে ছেঁসড়ামি বলে
ও এরকম আরও অনেক ছেলের জন্যই করে,সো এটা ছেঁসড়ামি,আমাকে বুঝাতে হবে না আর
.
আপুটা সত্যি আপনাকে ভালোবাসে
.
আমার এরকম মেয়ে পছন্দ না,আমাকে হুদাই বুঝিয়ে লাভ নেই বুঝছো
.
বুঝিয়েন না,আমার কি!আমি কণা আপুকে বলতেছি আপনি কিছু বুঝতে চান না
.
যাও বলো গিয়ে!
.
আহানা বিরক্ত হয়ে একটা চেয়ার টেনে বসে আছে গাল ফুলিয়ে
.
শান্ত এটাই মোক্ষম সুযোগ!! আহানাকে করিডোরের দিকে নিয়ে গিয়ে কিস করে দে,আজীবনের জন্য তোকে কণা থেকে বাঁচিয়ে দিবে
.
না,আমি এই ফকিন্নিরে কিস করবো না,কোনোদিন ও না
.
করিস না,কণা তোকে নিজের জামাই বানিয়েই ছাড়বে দেখিস,, ঐ তো আসতেছে আবার
.
শান্ত চোখ বড় করে দৌড়ে আহানার কাছে এসে ওর হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো
.
আরে আরে হাত ছাড়ুন আমার!কই নিয়ে যাচ্ছেন,কি হলো টা কি??এমন করতেছেন কেন?
.
শান্ত আহানাকে নিয়ে বাড়ি পেরিয়ে মাটির রাস্তায় নেমে গেছে
একটু দূরে গেলেই কাশফুলের বিরাট বিস্তার,পাশেই শীতলক্ষা নদী,শান্ত আহানাকে নিয়ে সেদিকে ছুটছে
.
আরে আমি বুঝতেছি না আপনি এত অন্ধকারের ভিতরে আমাকে নিয়ে কই যাচ্ছেন,হঠাৎ কি হলো যে এত ছোটার প্রয়োজন হলো?
আর আপনার কার তো মাটির পথটা ধরে গিয়ে সামনে পার্ক করা আছে তাহলে আপনি আমাকে এদিকে কোনদিকে নিয়ে যাচ্ছেন আর কেন??আশ্চর্য কিছু বলছেন না কেন
.
শান্ত আহানাকে কাশফুলের বাগানে নিয়ে এসেছে,পাশেই থাকা নদীতে চলা লঞ্চ,স্টিমারের,আর ফ্যাক্টরি থেকে আগত আলোয় দুজন দুজনের মুখ স্পষ্ট দেখতেছে এত অন্ধকারের মাঝেও
.
কি?এবার তো বলুন,এখানে কেন এনেছেন?
.
শান্ত ঢোক গিলে আহানার দিকে চেয়ে দাঁড়িয়ে আছে চুপচাপ
.
আহানা ব্রু কুঁচকে আবারও জিজ্ঞেস করলো এখানে কেন এসেছে তারা!
.
নদীর বায়ুপ্রবাহ অতি দ্রুত বয়তেছে,আহানার চুল সব ওর সারামুখে এলোমেলো হয়ে আসতেছে বাতাসে
সে চুল ঠিক করতে করতে এদিক ওদিকে তাকাচ্ছে,দুপাশে ঘন বন,,চারিদিকে কাশফুল আর কাশফুল,পাশেই নদীতে সব লঞ্চ,স্টিমার,দূরে ব্রিজ দিয়ে গাড়ী যাচ্ছে সেটাও চোখে পড়তেছে
শান্ত এক কদম পেরিয়ে আহানার আরও কাছে আসলো তারপর ফিসফিস করে নিজেই নিজেকে বললো”আই হোপ!তুমি আমাকে কণা থেকে বাঁচাবা”
.
শান্ত আহানার গলার পাশ দিয়ে হাত নিয়ে ওর গলা ধরে ওকে টেনে কাছে নিয়ে আসলো
আহানার আর বুঝতে বাকি নেই শান্ত কি করতে যাচ্ছে
সে চোখ বড় করে দাঁতে দাঁত চেপে একদম দিয়ে দিলো একটা চড়!!!!
.
শান্ত আহানাকে ছেড়ে গালে হাত দিয়ে চেয়ে আছে ওর দিকে
.
আপনার এত বড় সাহস!আমাকে ছুঁতে চান আপনি!!এসবের জন্য আমাকে এতদূর নিয়ে আসলেন,আপনার মন মানসিকতা এত খারাপ!ছিঃ!আপনাকে আমি বদমেজাজি আর ঝগড়ুটে মনে করতাম আর এখন দেখি আপনি চরিত্রহীন ও বটে
একা একটা মেয়েকে পেয়ে এটা করতে যাচ্ছিলেন আপনি!আপনি একটা খারাপ লোক!
কথা শেষ করে আহানা কেঁদে দিয়ে পিছিয়ে চলে গেলো
.
শান্ত থ হয়ে দাড়িয়ে আছে,সে আসলেই এটা কি করতে যাচ্ছিলো??
আহানা তাকে বাধা দিলে সে জোর করতো না,কিন্তু আহানা বাধা না দিয়েই গালে চড় বসিয়ে দিলো,কিস তো দূরে থাক!
.
আহানা রিয়াজদের বাসায় ফিরে দূরে একটা চেয়ার নিয়ে বসে আছে
শান্ত গালে হাত দিয়ে আস্তে আস্তে আসতেছে বাড়ির দিকে
সূর্য,রিয়াজ আর নওশাদ আহানাকে কাঁদতে দেখে জলদি করে শান্তকে খুঁজতে লাগলো পরে দেখলো শান্ত রোবটের মতন হেঁটে হেঁটে আসতেছে
.
কিরে?তোর কি হয়েছে?এরকম মুখ করে আছিস কেন?তুই আহানাকে কিস করলি নাকি আহানা তোকে করলো?
.
কেউ কাউকে করে নাই,তোদের জন্য আজ চড় খেলাম
.
কিহহহ!তোকে চড় মেরেছে?
.
হুম!
.
হায় রে,এই শান্তর গায়ে পড়ার জন্য মেয়েরা পাগল হয়ে যায় আর আহানা কিনা কিস কে দূরে রেখে চড় মেরে দিলো,আমরা কি ভাবলাম আর কি ঘটে গেলো
.
কণার চক্করে আহানার সামনে আমার চরিত্রটা কালার হলো
.
আমরা আর কি করবো,ভালোই আইডিয়া দিসিলাম,অবশ্য আমরা ভেবেছিলাম আহানা বাকি মেয়েদের মতন
বাট ও যে এরকম করবে তা তো ভাবনার বাইরে ছিল পুরা
.
আহানা আর ৫টা মেয়ের মতন না,আমার এটা বুঝা উচিত ছিল
.
তোর দোষ নাই,তুই তো খালি কিসই করতে চেয়েছিলি তাতে চড় মারার কি আছে?
.
নওশাদ কি বলিস?মেয়েদের হাত ধরে টানলে চড় খাইতে হয় আর শান্ত তো কিস করতে চেয়েছিলো
.
চড় কয়টা দিয়েছে?
.
শান্ত গাল ঘষে চেয়ার একটাতে বসে এক গ্লাস পানি হাতে নিলো টেবিলের উপর থেকে তারপর বললো”চড় তো একটাই দিয়েছে বাট সেটাতে আমার কষ্ট হয়নি,হয়েছে সে আমাকে যখন চরিত্রহীন বলেছে তখন
আমি তো সত্যি সত্যি কিস করতাম না
ইভেন সে আমাকে সরিয়ে দিলে আমি করতামই না
বাট না সরিয়েই থাপ্পড় মেরে দিলো
.
ইস রে,এই মেয়ের সাহস দেখেছিস!শান্তকে আন্টি জীবনে ফুলের টোকা দেয় নাই আর সে কিনা সিধা চড় মেরে দিলো
.
চড় চড় করিস না আমার গা জ্বলতেছে এই ভেবে যে সে আমাকে চরিত্রহীন বলেছে
চলবে♥