প্রেমের পাঁচফোড়ন💖 #সিজন_২ #পর্ব_২৭

0
703

প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_২৭
#Writer_Afnan_Lara
🌸
কিরে?তোরে যে জিজ্ঞেস করতেছি এত করে উত্তর দিচ্ছিস না কেনো?
.
হ্যাঁ!কিছু বললি?
.
নওশাদ!শান্ত মনে হয় আমাদের আলোচনা থেকে বেরিয়ে গেমস খেলতেছে তাই তোর কথা মনে হয় শুনে নাই
.
শান্ত এটা ঠিক করস নাই,তোর শাস্তি হলো আহানাকে নিয়ে নাচবি স্টেজে
.
কাজ নাই আর আমার,তোদের কাজ নাই?সকাল থেকে আমার অফিসে কি করিস তোরা?
.
হেহহ!!আমরা এত কাজের বাহানা দেখাই না,অফিসের স্টাফদের উপর দায়িত্বভার দিয়ে আমরা চলে আসছি,তুই তো একা হাতে সব সামলাস

আচ্ছা সুহানা একটা কথা বলবো?
.
হুম ঊষা আপু বলো
.
স্যার তোমাকে সবসময় আহানা বলে কেন?আর এতকিছুর পরেও স্যার তোমাকে ব্যাক আনিয়েছে তোমরা কি পরিচিত?
.
আসলে আমি সেদিন মিথ্যা বলেছিলাম,আমি বিবাহিত নই,আর আমার নাম আহানা
.
ওহ আচ্ছা,বাট মিথ্যা বললে কেন?
.
সত্যি বললে তো উনি চিনে ফেলতো আমাকে
.
স্যার তো এমনিতেও তোমাকে দেখতো পরে
.
আসলে আমি সেটা জানতাম না তাই নাম পাল্টিয়েছিলাম,আমি উনার বাবার বন্ধুর মেয়ে
.
ও মাই গড,!!সত্যি?
.
হুম
.
তাই তো বলি পূর্বপরিচিত বলেই স্যার তোমাকে সব কাজে ছাড় দেয়,তা নাহলে স্যার সামান্য একটা ভুলের কারণেও অননেকের চাকরি খান
.
আমাকে ভয় পায় তো তাই😎
.
কে কাকে ভয় পায়?
.
আহানা ঢোক গিলে সামনে তাকিয়ে দেখলো শান্ত পকেটে হাত ঢুকিয়ে একটুদূরে দাঁড়িয়ে আছে,কপাল কুঁচকানো তার
.
আহানা উঠে দাঁড়িয়ে বললো”কিছু না তো!ঊষা আপু যাও না”
.
হুম যাচ্ছি
ঊষা হালকা হেসে চলে গেলো,নওশাদ রিয়াজ আর সূর্য ওরাও চলে গেছে এতক্ষণে
বাকি রইলো শান্ত আর আহানা,আহানা এখনও পুতুলের মত দাঁড়িয়ে আছে,শান্তিতে বসতেও পারতেছে না কারণ একটু সামনেই শান্ত দাঁড়িয়ে থেকে ওর পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে যাচ্ছে
.
কি সমস্যা? এরকম তাকিয়ে আছেন কেন?
.
আমার অফিসের স্টাফদের আউটফিট এরকম কেন বুঝি না!তুমি অফিস থেকে টাকা এডভান্স নিয়ে নতুন জামা কিনে তারপর ওগুলা পরে আসবা,এসব পরে আর আসবা না
.
আহানা বিড়বিড় করে বললো”মামার বাড়ির আবদার পাইছে,ঐ টাকা দিয়ে আমি আমাদের বড় একটা বাড়ি বানাবো টাকা জমিয়ে জমিয়ে,এখন টাকা খরচ করা যাবে না কোনোমতেই”
.
শান্ত আহানার দিকে তাকাতে তাকাতে আবার চলে গেছে
শান্তর চলে যাওয়া দেখে আহানা হাঁপ ছেড়ে বেঁচে চেয়ারে দুম করে বসে গেলো,আহা শান্তি!এবার আজকের কাজগুলো শেষ করতে হবে
শান্তদের যে বিদেশি শাড়ীর আমদানি হবে সেটা কত গুলো হবে,কার দ্বারা হবে সেটার হিসাব রাখার দায়িত্ব আহানার
তো সে এখন সেটাই করছে আবার মাঝে মাঝে ফোনে ক্লাইন্টদের সাথে ইংরেজিতে কথাও বলতে হচ্ছে
আহানার আজ কাজের চাপ অনেক বেশি,তবে তার একটুও খারাপ লাগছে না কারণ বেরিং কাজ তার ভাল্লাগে না,এরকম পরিশ্রমের কাজই ভালো মনে হয় তার কাছে
ওদিকে শান্ত টেবিলে মাথা রেখে চুল টানতেছে আর কিছুক্ষন বাদে বাদে ল্যাপটপে তাকিয়ে কিসব টাইপ করছে
তার কাজ হলো অফিসের ২০৫জন কর্মচারীর সবাই ঠিকমত কাজ করছে কিনা সেটার লিস্ট দেখে চেক করা
কারণ সবাই তাদের কাজ যখন যেটা সম্পন্ন হয় তখন সেটার কপি নাম সহ অফিসের মেইন তথ্য ভাণ্ডারে পাঠিয়ে দেয় যেটা সোজা শান্ত দেখে
শান্ত এই নিয়ে ৬কাপ কফি খেয়েছে,ঊষা একের পর এক কফি নিয়ে যাচ্ছে,আহানা কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিষয়টা খেয়াল করতেছে
তো ৭ম বার ঊষা কফি নিয়ে যাওয়ার সময় আহানা থামিয়ে বললো সে দিয়ে আসবে,ঊষা তাই ওর হাত কফি দিয়ে নিজের কাজে চলে গেলো
আহানা কফি হাতে নিয়ে শান্তর রুমে এসে দরজায় নক করলো তারপর ভিতরে ঢুকে দেখলো শান্ত চেয়ারে আধশোয়া অবস্থায় চোখ বন্ধ করে নিজের মাথা টিপতেছে দুই হাত দিয়ে
.
এই যে শুনুন!
.
শান্ত তার মাথা থেকে হাত নামিয়ে দরজার দিকে তাকালো
আহানা কফি নিয়ে ওর সামনে এনে রেখে বললো”আমি টিপে দিবো?”
.
বাপ রে বাপ!সূর্য তো মনে হয় আজ উঠেই নাই
.
ঢং করতে হবে না,দিতাম কিনা সেটা বলেন
.
লাগবে না,কফি খেলে ঠিক হবে
.
কফি একবার খেলেই মাথা ধরা যায় যদি টেকনিক জেনে কফি খাওয়া যায় তবে
তাহলে আর ৭বার কফি খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না বুঝলেন?
.
আচ্ছা তা কিসের টেকনিক?
.
মুখে দিয়ে মাথা উঁচু করে গিলতে হয়
.
ইন্টারেস্টিং বাট আমি ঠিক বুঝলাম না
.
আমি দেখাচ্ছি!
আহানা কফির মগ নিয়ে এক ঢোক গিলে দেখালো তারপর থুথু করতে করতে বাইরে চলে গিয়ে ২মিনিট বাদে এসে বললো এটা কিসের কফি খান আপনি?ছিহ ছিহ বাপের জন্মে এরকম ফালতু খাবার খাইনি,একে তো তিতা তার উপর চিনির ছিঁটেফোটাও নাই,তাই তো আপনার মাথা ব্যাথা যাচ্ছিলো না
.
চিনি খাইলে আমার শরীর খারাপ করে
.
কি বললেন?চিনি খাইলে শরীর খারাপ করবে কেন?আপনার তো ডায়াবেটিস না,জোয়ান একটা ছেলে তার কিনা চিনিতে সমস্যা!তাই তো বলি আপনাকে সবসময় এলিয়েন মনে হয় কেন!
আপনার মুখ থেকে তেতো কথা বের হয় কেন,পাজল এখন মিললো
.
শান্ত চেয়ার থেকে উঠে আহানার চুল টেনে ধরে বললো”তুমি এলিয়েন তোমার ১৪গুষ্টি এলিয়েন,যাও আমার রুম থেকে!মাথা ব্যাথা আরও বাড়াতে এসেছে!”
.
আহানা রুমের বাইরে এসে বোকার মতন তাকিয়ে আছে আর শান্ত ওর মুখের উপর দরজা লাগিয়ে ভিতরে চলে গেছে
.
আহানা অফিসের কিচেনে গিয়ে নিজের হাতে এলাচ,দারুচিনি দিয়ে দুধ চা বানালো ঘাড়ো করে তারপর সেটা নিয়ে আবারও দরজা ধাক্কালো
শান্ত টেবিলে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছিলো,মাথা উঠিয়ে রাগি রাগি লুক নিয়ে দরজার কাছে এসে দরজা খুলতেই দেখলো আশেপাশে কেউ নেই,নিচে এক কাপ চা তার মধ্যে একটা চিরকুটে লিখা “মাথা ব্যাথা কমাতে চাইলে চা টা খেয়ে আমাকে উদ্ধার করেন”
.
শান্ত পুরো করিডোরটায় একবার চোখ বুলিয়ে নিলো
আহানার এক অংশও দেখা যাচ্ছে না কোথাও,এত জলদি উধাও হলে কি করে
শান্ত চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে আবার ভিতরে চলে গেলো
আহানা আবারও পা টিপে টিপে করিডোর পেরিয়ে শান্তর রুমের দরজার ফুটো দিয়ে দেখতে লাগলো শান্ত চা টা খাচ্ছে কিনা
হুম খাচ্ছে,আহানা তাই মুচকি হেসে চলে আসলো তার কেবিনে
.
শান্ত চা খেতে খেতে একটা কাজ শেষ করলো,পরে কাজটা শেষ করে তার মনে হলো তার মাথা ব্যাথা একটুও নেই,নিজের অজান্তেই হেসে দিলো সে
আহানা কাজ করতে করতে ঘুমিয়ে গেছে টেবিলে মাথা রেখে,বিকাল সাড়ে ৫টা বাজে তখন
অফিসের বাকি স্টাফরা উঁকি দিয়ে ওর ঘুম দেখছে,ঊষা বাদে আর কেউ জানে না যে আহানা শান্তর রিলেটিভ হয়
তো সবাই তো একজন আরেকজনের সাথে বলাবলি করছে যে আজ আহানা শান্ত থেকে বিরাট বড় ঝাড়ি খাবে,সবাই মজা দেখার জন্য ওয়েট করছে
ঊষা গেছে থার্ড ফ্লোরে,সেও নাই
শান্ত তার রুম থেকে বেরিয়ে স্টাফদের কেবিনদের সামনে এসে পা রাখতেই যে যার কাজে মন দিয়ে দিলো সাথে সাথে
আহানা এখনও ঘুমাচ্ছে,শান্ত সবাইকে দেখার পর এবার আহানার কেবিনের দিকে তাকালো,কিন্তু কিছুই বললো না,এগিয়ে এসে আহানার ঘুমন্ত চেহারাটার দিকে তাকিয়ে রইলো সে অনেকক্ষণ ধরে তারপর বাকি স্টাফদের তাকানো দেখে টেবিলে দুম করে একটা বাড়ি দিলো সে
আহানা হকচকিয়ে উঠে গিয়ে বললো”কি হয়েছে,কে মরেছে?কে বেঁচেছে??”
.
শান্ত আর কিছু না বলেই চলে গেলো আবার
.
আহানার এবার হুস আসলো যে সে এতক্ষণ কাজ রেখে ঘুমাচ্ছিলো
এদিকে সবাই কনফিউশানে পড়ে গেছে এই ভেবে যে শান্ত আহানাকে ধমক তো দূরে থাক একটা ঝাড়িও দিলো না কেন!

৬টা বাজে এবার শান্তর চলে যাওয়ার পালা,সে ল্যাপটপ ব্যাগে ঢুকিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে চলে যেতে নিতেই দেখলো আহানা ঊষার সাথে কথা বলতেছে এখনও
.
কি হলো?চলো?
.
কে আমি?
.
না তোমার ভূতে
.
আমি রিকসা নিয়ে যেতে পারবো,আপনি যান
.
শান্ত হাত মুঠো করে শার্টের হাতা খানিকটা উঠাতে নিতেই আহানা তার সাইড ব্যাগ হাতে নিতে নিতে বললো’আসতেছি”

আচ্ছা একটা কথা বলেন তো
.
কি?
.
আমি আপনার সাথেই কেন বাসায় ফিরতাম?
.
শুনো!তোমার এসব আজগুবি কথা অফ দাও
.
সামান্য এক লাইন বললাম শুরুতেই মুখে তালা মেরে দিলেন,আজ সারাদিন আমি একা একা কথা বলছি,আপনার সাথে একটুও ঝগড়া করি নাই,আমার কেমন খিধা খিধা পাচ্ছে
.
হোয়াট!ঝগড়ার আবার খিধা!তাহলে তুমি স্বীকার করছো যে তুমি ঝগড়া করো বেশি
.
না মানে কে বললো!এক হাতে তো আর তালি বাজে না,আপনিও তো ঝগড়া করেন
.
যাই হোক,দুপুরে কিছু খেয়েছিলা?
.
ঊষা আপুর সাথে চকবার খেয়েছিলাম
.
ভালো
.
ভালো মানে?লাঞ্চে কেউ আইসক্রিম খায়?
আপনি কিনা আবার বলতেছেন ভালো?
.
আমি লাঞ্চে কিছু খায়নি,তুমিও খাও নি,তাহলে এটা তো ভালোই হলো তাই না?
.
আমি ভাত খাবো😭আপনি কেমন বস,স্টাফরা খেলো কি খেলো না খোঁজ নেন না
.
আমার অফিসের স্টাফরা টিফিন নিয়ে আসে,তুমি আনলা না কেন?আর তুমি যদি এটা ভেবে থাকো আমি তোমার প্রতি ওভারপ্রোটেক্টেড তাহলে এটা ভুল ভাবছো
তোমাকে আমি বিয়ে করবো না,বুঝছো?
.
আপনি মানুষ না এলিয়েন
.
বাসায় গিয়ে খেয়ে নিবা
.
না আমি এখন খাবো,গাড়ী থামান
.
এখন কি খাবা!আমার মাথা ধরে আছে নাহলে রেস্টুরেন্টে যেতাম,মুড নাই,সো সোজা বাসায় যাচ্ছি
.
আমি নেমে যাই আপনি চলে যান, গাড়ী থামান
.
তুমি এই সন্ধ্যাবেলায় কি খাবে?টাকা আছে তোমার কাছে?
.
১০টাকার ঝালমুড়িতে পেট ভরে যাবে,গাড়ী থামান আপনি,আমি নাহলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলবো আর একটু সময় খালি পেটে থাকলে
.
উফ!
.
শান্ত গাড়ী থামিয়ে চুপ করে আছে
আহানা মনে মনে ওকে গালি দিতে দিতে কার থেকে নামলো,ভাবলো শান্ত কার থেকে নেমে ওর জন্য ঝালমুড়ি এনে দিবে কিন্তু তা হলো কই,উল্টা সে এখন ঝালমুড়ি নিতে এসেছে,ঝালমুড়ি কিনে গাল ফুলিয়ে গাড়ীতে এসে বসলো আহানা
শান্ত আবারও কার স্টার্ট দিয়ে নিশ্চুপ ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে
আহানা সাউন্ড করে করে ঝালমুড়িটা খাচ্ছে
গাপুসগুপুস,গাপুসগুপুস!!
.
শান্তর মন চাচ্ছে আহানাকে কাঁচা চিবিয়ে খেয়ে নিতে কিন্তু পারছে না সে
.
আহানা একটু খেয়ে শান্তর দিকে বাড়িয়ে ধরে বললো”নিন”
.
শান্ত সামনে থাকা ইয়া বড় জ্যামের দিকে চেয়ে থেকে বললো”খাবো না”
.
খেতে তো দিই নাই,মরিচ বেছে ফেলে দেন,আমি ঝাল খেতে পারি না,আমার এপাশে অন্ধকার বলে মরিচ খুঁজে পাচ্ছি না,আপনার পাশে একটা বাসের থেকে আলো আসতেছে,সেই আলোয় দেখে দেখে মরিচ বেছে দেন
.
শান্ত শার্টের কয়েকটা বোতাম খুলে ঢিলা করে রাগটা সামলিয়ে আহানার দিকে চেয়ে বললো”আমি তোমার কি লাগি?”
.
ভাইয়া!
.
শান্তর রাগ এবার ১০তলা বিল্ডিংয়ের উপরে উঠে গেছে,বড় করে একটা শ্বাস নিয়ে বললো”আর?”
.
শত্রু
.
আচ্ছা!
শান্ত আহানার হাত থেকে ঝালমুড়ি নিয়ে মরিচ বাছতে লাগলো
কারের ভিতরে লাইট দেওয়ার সিস্টেম আছে আর তা আহানাও জানে শান্ত ও জানে
শান্ত আগে থেকে রেগে আছে আরও রাগানোর জন্য আহানা ওকে কাজ দিলো
শান্ত কারের লাইট অন না করে চুপচাপ বাসের আলোয় মরিচ বাছতেছে দেখে আহানা ব্যাপারটা স্বাভাবিক ভাবেই নিলো কিন্তু তার ধারনার বাইরে শান্তর মেজাজ ঠিক কতটুকু বিগড়ে আছে
আহানা জানালা দিয়ে বাইরের একটা বিল্ডিংয়ের লাল নীল বাতি দেখতেছে
শান্ত গুনে গুনে ৬টুকরো মরিচ বাছলো ঝালমুড়ি থেকে তারপর মরিচের টুকরো গুলো ঝালমুড়ির উপরে সুন্দরমতন লেপে রাখলো যাতে প্রথমবার নিলেই সব মরিচ উঠে আসে
শান্ত দাঁত কেলিয়ে আহানার দিকে চেয়ে রইলো কিছুক্ষণ ,আহানা দূরের বাতিগুলো দেখতে দেখতে বললো”হলো?এত সময় লাগান কেন?”
.
হলো!
.
আহানা শান্তর দিকে ফিরে ওর হাত থেকে ঝালমুড়ি নিয়ে চিমটি কেটে ঝালমুড়ি নিয়ে মুখে দিয়ে ১বার চিবালো তারপরই সে টের পেলো এটায় সব মরিচ পড়েছে,চোখ বড় করে ঝালমুড়ির দিকে না তাকিয়ে আহানা সোজা শান্তর দিকে তাকালো
শান্ত স্বাভাবিক ভাবেই জ্যমের দিকে তাকাচ্ছে আবার মাঝে মাঝে হাতের ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে
আহানা ওড়না দিয়ে নাক চোখ মুছতে মুছতে ঝালমুড়িটা জানালা দিয়ে ফেলে দিলো রাগ করে
বাচ্চাদের মত কেঁদেই যাচ্ছে সে
শান্ত হাসি থামিয়ে কারের ডেস্ক থেকে এক বোতল পানি নিয়ে এগিয়ে ধরলো আহানার দিকে
আহানা কাঁদতে কাঁদতে পানির বোতল নিয়ে পুরো হাফ লিটার পানি খেয়ে শেষ করে দিলো তারপর আবার নাক মুছতে লাগলো বসে বসে
এত মরিচ সে আগে কখনও খায়নি
.
আমার মন মেজাজ ভালো না থাকলে আমাকে ডিস্টার্ব করলে তোমার সাথে সবসময় এমনটাই হবে মিস আহানা ম্যাডাম
.
আহানা গাল ফুলিয়ে আরেকদিকে ফিরে বসে আছে,চিৎকার করে চিল্লাইতে মন চাচ্ছে কিন্তু সেটা করা যাবে না,এখন কারের দুপাশেই যানবাহন,মানুষ ভাববে পাবনা থেকে পাগল রিলিজ করে বাসায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে
এরে তো আমি বাসায় গিয়ে টাইট দিব,আমাকে মরিচ খাওয়ানো?তোকে আমি বোম্বাই মরিচ খাওয়াবো মনে রাখিস
.
জ্যাম ছেড়ে দিয়েছে,শান্ত কার স্টার্ট দিতে দিতে বললো”আমার কিন্তু মরিচ ভাল্লাগে”
.
আহানা জানালা থেকে চোখ ফিরিয়ে শান্তর দিকে চেয়ে মনে মনে ভাবলো”মনেও এখন আর প্ল্যানের ব্যাপারে ডিসকাস করা যাবে না যা বুঝলাম”
.
হুম ঠিক বুঝছো!অন্য কিছু ট্রাই করতে পারো,যেমন আমি অনেক কিছুই খাই না
রিপার থেকে জেনে নিয়ে কাজে লেগে যেতে পারো
.
আহানা আবারও নাক মুছে বললো”আপনাকে আমি মাটিও খাওয়াবো মাটির তলের পানিও খাওয়াবো,মনে রাইখেন!
.
জি আপু মনে রাখবো
.
আহানা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে সামনে তাকালো,”আপু তোর কণা!আমি তো তোর ক্রাইম পার্টনার লাগি”
.
ইয়া রাইট!আমার একমাত্র ক্রাইম পার্টনার,যে আমার বিরুদ্ধে কাজ করে সবসময়”
.
বিশ্বাস করেন আপনার মতো বস থাকলে আর শত্রুর প্রয়োজন হবে না
.
প্রয়োজন নেই তো!আমি তো সিরিয়াসলি তোমার শত্রু,আমি তো পারি না তোমাকে রতনের সাথে বিয়ে দিয়ে দিই
.
আর আমার তো ইচ্ছা করে আপনাকে কণার সাথে বিয়ে দিয়ে দিতে
বাট কণা আপু আপনাকে আমার মতন জ্বালাতে পারবে না বলে বিষয়টা আই মিন মনোভাবটা শীতলক্ষ্যা নদীতে ফালায় আসছি আমি
নাহলে কবেই শত্রুতার খাতিরে আপনার গলায় কণা আপুকে ঝুলায় দিতাম আমি
.
exactly!!আমিও তোমাকে রতনের বউ বানাতাম বাট কি জানো রতন তোমার থেকে শারীরিক চাহিদা নেওয়া ছাড়া আর কিছুই চায় না বাট আমি তো তোমাকে সকাল থেকে শুরু করে রাত শেষ হওয়া পর্যন্ত জ্বালাবো যেটা বস্তির সেই রতন পারবে না
.
এক মিনিট!আপনাকে কে বিয়ে করবে?
.
২মিনিট!তোমাকে কে বিয়ে করবে?
চলবে♥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here