প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_৪২
#Writer_Afnan_Lara
🌸
আহানা ভয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে এক পা এক পা করে
কিছুদূর পিছিয়ে যেতেই কারোর সাথে ধাক্কা লাগলো,আহানা মনে হয় ভয়ে এবার মরেই যাবে,না জানি রামিমের মা নাকি ফুফু এসে পড়েছেন!
চোখ বড় করে পিছন ফিরতেই আহানা দেখলো শান্ত দাঁড়িয়ে আছে
কালো রঙের জ্যাকেট পরা একজন সুদর্শন পুরুষ,এবং তার চোখ মাটিতে মরার মতন পড়ে থাকা রামিমের উপর
.
আপনি??এখানে?আমি তো ভয় পেয়ে গেছিলাম
.
আরে আসলাম দেখতে তুমি ঠিকমত বিয়ে ভাঙ্গতে পারো কিনা সেটা দেখার জন্য
তুমি না বলেছিলে জাস্ট গায়ে ঢালবা জুস??তাহলে?
দেখে তো মনে হচ্ছে জুসটা তার পেটে গেছে
.
আরে ঐ গাধাটা হাত থেকে কেড়ে নিয়ে পুরোটা গিলে ফেলেছে, আমি কি করবো?ওর মা আর ফুফু বাসার ভেতর,এখন এরে কি করা যায়
.
ওয়েট দেখতেছি মরে গেছে নাকি সেন্সলেস
.
শান্ত হাঁটু গেড়ে নিচে বসে রামিমের হাত নিয়ে নাড়ি চেক করলো,সব ঠিকঠাক তার মানে সেন্সলেস হয়েছে
আহানা শাড়ীর আঁচল দিয়ে কপালের ঘাম মুছতে মুছতে বারবার
আর শুধু বাগানে হাঁটা হাঁটি করছে কি করবে ভেবে পাচ্ছে না
এদিকে শান্ত রামিমের চশমা নিয়ে ফান করতেছে
আহানা বিরক্ত হয়ে বললো”সমস্যার সমাধান না করে আপনি মজা করতেছেন?এর জ্ঞান ফিরাবো কি করে?আজব!”
.
আরে মরে নাই তো,এমনিতেই জ্ঞান ফিরবে,ওয়েট করো একটু
.
আহানা ওয়েট করার ধৈর্য পাচ্ছে না,শেষে চেয়ার টেনে বসে গালে হাত দিয়ে রামিমের দিকে চেয়ে রইলো তারপর বললো”আহারে বলদটা!!!ওর তো কোনো দোষ নেই”
.
শান্ত অগ্নি দৃষ্টিতে চেয়ে বললো”দোষ নেই মানে?তোমার কি দরদ হচ্ছে নাকি ওর প্রতি?”
.
আহানা মুখটা বাঁকিয়ে বললো”এই কেয়ামতের সময় আপনার জেলাসি ফিল হচ্ছে?আর সময় পেলেন না?যাই হোক এটা বলেন শান্তি আন্টি কিছু রিয়েকশান দেখালো?”
.
সেই আরেক বিপদ,মা ভেবে নিয়েছে আমি বিয়ে তো করেছি বাট অন্য একটা মেয়েকে,তোমাকে না,তাই তো আমার দিকে তাকাচ্ছেও না,মুখে কিছু তুলছেও না,আমি তাই আসলাম তোমাকে আর আন্টিকে নিয়ে যেতে
.
আপনি বলেন নাই আমার সাথে বিয়ে হয়েছে আপনার?
.
আরে ধুর!মা তো দরজা বন্ধ করে ফেলেছে,আর মিউজিক প্লেয়ারে ভজন চালু করছে,আমি একশোবার “আহানাকে বিয়ে করেছি” কথাটা রিপিট করেছি,না মা শুনেছে!!!না নিতু শুনেছে,না রিপা শুনেছে
.
রাগ হলে মানুষ ভজন শোনে?
.
আমার মা আগে নানারকম গান শুনতো,এ কয় বছর ভজন শোনে
.
আচ্ছা,তো আমরা গেলে তখনও যদি ভজনই শুনতে থাকেন তখন কি হবে?
.
আরে ততক্ষণে ভজন অফ হবে সমস্যা নাই,দেখো দেখো রামিম নড়তেছে
.
আহানা নড়েচড়ে বসলো
.
রামিম চোখ ডলে মাটি থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বললো”কে আপনি?আহানা উনি কে??জুসটা খাওয়ার পর কি হয়েছিলো?
.
শান্ত জ্যাকেটটা টেনে আহানার দিকে তাকালো তারপর রামিমের দিকে চেয়ে বললো”শুনো রামিম ভাই!আমরা বিবাহিত, বুঝছো??তুমি ওকে বিয়ে করবা না ব্যস”
.
হ্যাঁ,উনাকে আমি এমনিতেও বিয়ে করবো না,জাস্ট দেখতে এসেছিলাম আর আজকেই আমাকে কাঁচামরিচের জুস খাওয়ালো,আমি তো মায়ের কাছে বিচার দিব এই মেয়ের নামে,ইরিটিয়েট
.
আহানা চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে কোমড়ে হাত দিয়ে এগিয়ে গিয়ে বললো”কি বললি?আমি ইরিটিয়েট??তুই যে বলদ সেটা জানিস তুই?তোরে কে বিয়ে করবে?তুই আহানার হাতের তৈরি কিছু খেয়েছিস এটাও তোর ভাগ্য,চশমা আলা বলদা কোথাকার,যা বের হ আমার বাসা থেকে,বান্দর হয়ে মুক্তার মালা গলায় দেবে,সাধ কত!”
.
রামিম চশমা পরতে পরতে বললো”তুমি কি জানো?তুমি একটা শাঁকচুন্নি! তোমার এই স্বামী তোমাকে কালই ডিভোর্স দিবে”
.
আহানা রেগে গ্লাসে যেটুকু জুস তলায় অবশিষ্ট ছিলো সেটা নিয়ে রামিমের মুখে মেরে দিয়ে বললো”বের হবি নাকি মরিচ ডলে তোকে বের করবো?
ভবিষ্যতে আমার আর শান্তর বাচ্চা যতগুলা হবে তোরে ফোন দিয়ে দিয়ে জানাবো আমি মনে রাখিস,এখন বের হ আমার বাসা থেকে,নাহলে চেয়ারপেটা করে বের করবো
.
শান্ত আহানার গালিগালাজ শুনতে শুনতে হাসতেছে এক পাশে দাঁড়িয়ে
রামিম শান্তর সামনে গিয়ে বললো”ভাই,আই আন্ডারস্ট্যান্ড ইউর ফিলিংস,এরকম একটা মেয়েকে বিয়ে করে তোমার জীবন যে তেজপাতা,সরি পাঁচফোড়ন হয়ে গেছে আমি তা বুঝতেছি,তোমার সাথেও তো এমন করে তাই না?আহারে,পিটি অন ইউ!!পারলে এরে ছাইড়া দিওও,বেঁচে যাবা
.
আহানা চেয়ার হাতে নিলো ছুঁড়ে মারার জন্য
শান্ত হেসে বললো”ভাই!আহানা ট্যারাব্যাকা হোক,তবুও আমার”
.
আহানা চেয়ারটা রেখে দিয়ে গালে হাত দিয়ে শান্তর দিকে চেয়ে বললো”এত প্রেম!”
.
শান্ত ব্রু কুঁচকে আহানার দিকে তাকিয়ে বললো”খুশিতে এত ফুলতে হবে না,একটা কথা তো বলতে ভুলেই গেসি রামিমকে,তুমি আসলেই আমাকে জ্বালাও”
.
হুহ!আমি বুঝি আপনার জ্বালানো সহ্য করি না??অন্য কেউ হলে কবেই ছেড়ে চলে যেতো
.
আমার মা বিয়ের ৮বছর পরে এই কথা বাবাকে বলেছিলো আমার মনে আছে,আর তুমি কিনা বিয়ের ১সপ্তাহ না হতেই বলে দিলা আমাকে?
.
যাক গে,চলুন মায়ের কাছে যাই
.
আহানা আর শান্ত বাসার ভিতর আসতে আসতে দেখলো রামিম আর তার মা,ফুফু চলে যাচ্ছেন
মা হন্তদন্ত করে এসে বললেন”রামিম কিছু না বলেই সবাইকে নিয়ে কেন চলে যাচ্ছে
একি শান্ত?? কখন এলে?”
.
আন্টি আমার সাথে চলুন,একটা সমস্যা হয়েছে,মা খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে
.
ওমা সেকি,কি হয়েছে আবার?
.
চলুন প্লিস
.
আহানা আর ওর মাকে নিয়ে শান্ত তাদের বাসায় ফিরে আসলো
মা দরজা খুলেছেন,রিপা তাকে কিছু খাওয়ার জন্য অনুরোধ করতেছে বারবার,তিনি শুনতেছেন না,চুপচাপ টিভি দেখতেছেন
আহানার মা উনার পাশে এসে বসে বললেন”কি হয়েছে বুবু?তুমি নাকি খাওয়া দাওয়া করছো না,কি হয়েছে আমাকে বলো,সব ঠিক আছে তো?”
.
শান্তি রহমান রাগী রাগী চোখে শান্তর দিকে তাকালেন
শান্ত আহানার হাত ধরে ওদের দুজনের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো তারপর বুকটা ফুলিয়ে বললো”মা শুনো,আমি যাকে বিয়ে করেছি সে আর কেউ না,সে আহানা”
.
কথাটা শুনে শান্তি রহমান আর আহানার মা চোখ বড় করে তাকালেন
আহানা তো ভয়ে কাঁপতেছে, কি হবে কে জানে,ধুমধাম কিছু তো হবে, না জানি বাড়ি থেকে বের করে দেয় আমাদের
.
আহানার মা সোফা থেকে উঠে আহানার সামনে এসে বললো”কিরে?শান্ত এসব কি বলছে?তোরা বিয়ে করেছিস?কবে?কখন?কোথায়?
.
আহানা বোকার মতন চেয়ে থেকে বললো”৫/৬দিন আগে”
.
আমাদের না জানিয়ে কেন করেছিস?আমাদের বললে কি আমরা বাধা দিতাম?
.
আসলে আন্টি একটা সিচুয়েশনে পড়ে তৎক্ষনাৎ বিয়ে করতে হয়েছিলো,জানানোর সুযোগ ছিল না তখন
.
সেটা তো বুঝলাম,তা এতদিন কেন লুকিয়ে রেখেছো তোমরা?বিয়ে যখন হয়েই গেছে তখন এত লুকোচুরির কি আছে?
.
ভাবলাম তোমরা রাগ করবা!
.
আহানার মা আবার গিয়ে বুবুর পাশে বসে পড়লেন,দুজনে একজন আরেকজনের মুখের দিকে তাকাচ্ছে
নিতু কোথা থেকে দৌড়ে এসে আহানাকে জড়িয়ে ধরে ঘুরতে ঘুরতে বললো”ও আপু এখন থেকে তুমি আমার ভাবী,ইয়ে”
.
আহানা শান্তর দিকে তাকিয়ে ইশারায় জিজ্ঞেস করতেছে এবার কি হবে
.
শান্ত ও চুপচাপ দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে
শান্তি রহমান নিজের হুইল চেয়ার নিজে চালাতে চালাতে আহানার মাকে সাথে করে রুমে চলে গেলেন,দরজাও লাগালেন
আহানা আর শান্ত সোফায় বসে অপেক্ষা করছে নেক্সট বিস্ফোরকের
কি হতে যাচ্ছে,টানটান উত্তেজনা,কোন দল জিতবে!
.
আহানা কপাল কুঁচকে শান্তর গায়ে দুম করে কিল বসিয়ে বললো”আপনার কারণে হয়েছে সব”
.
মানে?আমি কি করসি?
.
আপনাকে কে বলছিলো আমাকে জোর করে বিয়ে করতে?কই রতন আর সাইমন তো ধাওয়া করতে আসলো না
.
যেদিন আসবে সেদিন বুঝবা,চুপ থাকো এখন,কি হতে পারে এখন সেটা ভাবো আপাতত,বিয়ে তো হয়েই গেছে এখন এসব বলে লাভ আছে?
.
লাভ আছে মানে?এমন ভাবে বলতেছেন যেন আমি বলেছিলাম আমাকে বিয়ে করেন,নিজে জোর করে বিয়ে করে এখন দোষ দিচ্ছে আমাকে
.
শান্ত আহানার আঁচল ধরে টান দিয়ে বললো”একটু চুপ থাকতে পারো না,অলটাইম তোমাকে ঝগড়া করতে হবে?এমনি থাকা যায় না?
.
না যায় না,আপনি নিজের দোষ স্বীকার কেন করছেন না
.
করবো কেন যেখানে আমার কোনো দোষই নাই
.
ও তাহলে দোষ আমার??আমি বলেছিলাম প্লিস শান্ত মেরি মি,প্লিস!
তুমি থামবা নাকি মুখে কসটিভ লাগাবো তোমার?
.
আমার সাথে কোমড় বেঁধে ঝগড়া না করে ভাবুন আন্টিকে সামলাবেন কি করে
.
সেটাই তো ভাবতেছি,তুমি তো ভাবতেও দিচ্ছো না,কানের কাছে ঘ্যানঘ্যান করতেছো সেই কখন থেকে
.
রিপা এসে চা দু কাপ দিয়ে চলে গেলো
শান্ত চা পেয়ে সাথে সাথে কাপটা হাতে নিয়ে চুমুক দিলো
.
একটা কথা বলুন তো!আপনি কি ঐদিন ক্লাবে বলেছিলেন”আহানা শুধু আমার?”
.
কথাটা শুনে শান্তর কাশি উঠে গেছে,কাশতে কাশতে বললো”নিজেকে কি মনে করো?আমি এটা বলবো?জীবনেও না,আমি তো তোমাকে লাইক ও করি না তাহলে তুমি এটা ভাবলা কি করে,আবার জিজ্ঞেস ও করতেছো”
.
হুম,আমিও তো তাই ভাবতেছি,নওমি আপুর এই কথায় আমি বিশ্বাস করিনি
.
হুম,বিশ্বাস করার হলে তো করবা
♣
আহানা মা আর শান্তর মা অনবরত হাসতেছেন
হাই ফাইভ দিতেছেন একজন আরেকজনকে,কি খুশি তারা আজ
লুকিয়ে হলেও বিয়েটা অন্তত শান্ত আহানা করে নিয়েছে এই ভেবে তারা তো মহা খুশি
তারা তো জাস্ট ওদের মিলানোর জন্য আরেক জায়গায় বিয়ের কথা উঠিয়েছিলো এর ভিতর ওরা যে বিয়ে করে নেবে তা কল্পনার বাইরে ছিলো
যাই হোক যা করেছে একদম ঠিক করেছে,অবশেষে আমাদের প্ল্যান সফল হলো,তা বুবু এবার কি করবো?
.
শান্তি রহমান হেসে দুহাত এক করে দেখালেন
.
বুবু আমি বলি কি,ওদের তো বিয়ে হয়েছে তাহলে না হয় বৌভাতের অনুষ্ঠানটা আমরা ধুমধাম করে দিয়ে দিই?
.
শান্তি রহমান মাথা নাড়ালেন
.
দরজা খুললো রুমের,দরজা খোলার আওয়াজ পেয়ে শান্ত আর আহানা দাঁড়িয়ে পড়লো সোফা থেকে উঠে
আহানার মা এগিয়ে এসে গম্ভীর গলায় বললেন”শুনো তোমরা দুজন!যেহেতু বিয়েটা করেই ফেলছো আমি আর বুবু মিলে ঠিক করেছি তোমাদের বৌভাতটা ধুমধাম করে হবে,কি বলো?”
.
শান্ত আর আহানা তো রীতিমত শকড,তারা সব নেগেটিভ ভেবেছিলো এতক্ষণ আর এখন তো দেখি পজিটিভ রেসাল্ট
আহানা হেসে দিলো কিন্তু শান্ত হাসলো না,সোজা খাবারের প্লেটটা নিয়ে মায়ের রুমের দিকে গেলো
তার মা আজ সারাদিন কিছু মুখে তুলেননি,আগে সেসব
.
আহানার মা আহানার কান টেনে বললেন”ভিতরে ভিতরে এতদূর??? আর কি করেছিস??”
.
না কিছু করিনি আর
.
তোকে চিনতে আমার এত ভুল হলো!তুই আমার থেকে এত বড় সত্যি লুকালি?কিভাবে পেটে রাখলি কথাটা?
.
আহানা কানে হাত দিয়ে বললো”সরি,আর হবে না”
.
আর হবে না মানে?আবার বিয়ে করবি নাকি,যেভাবে বলতেছিস
.
না সেটা না,বললাম আর কিছু লুকাবো না
.
নিতু তো নাচানাচি শুরু করে দিয়েছে তার ভাইয়ার বৌভাত,খুশি আর ধরে না তার
শান্ত নিজের হাতে মাকে খাবার খাইয়ে দিচ্ছে এরই মাঝে মা হঠাৎ শান্তকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরলেন
শান্ত কিছুক্ষন চুপ করে থেকে তারপর বললো”মা,তুমি খুশি তো?সবটা তোমার খুশির জন্যই করা”
.
মা মাথা নাড়লেন,শান্তর মনে হলো সে তার মাকে অবশেষে খুশি করতে পেরেছে,এর চেয়ে ভালো আর কি হতে পারে
.
ওদিকে মা আহানাকে টেনে বাসার দিকে নিয়ে গেছে,বৌভাতের অনেক কাজ বাকি,খালাকে ফোন করে দিলো আসার জন্য,একা সব করা সম্ভব না
.
শান্ত মায়ের রুম থেকে বেরিয়ে আহানাকে কোথাও দেখতে না পেয়ে রিপাকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলো আহানা আর তার মা চলে গেছে তাদের বাসায়
শান্ত তাই নিজের রুমে ফেরত আসলো,আলমারি খুলে তোয়ালে নিলো ফ্রেশ হতে যাবে তাই তারপর হঠাৎ মনে হলো বৌভাত হয়ে গেলে আহানা এখন থেকে তার রুমেই থাকবে,এই আলমারিতেও তার জামাকাপড় থাকবে
শান্ত তাই জায়গা করে নিলো আলমারিতে, তারপর ফ্রেশ হতে চলে গেলো
আহানা বসে বসে টিভি দেখতেছে,তার যে সামনের বুধবারে বৌভাত মানে আর কদিন পর সেদিকে তার খবর নেই,ওদিকে মা আর খালা পাগল প্রায়ই
শান্ত ফোন করে জানিয়েছে ব্যাংকে সে টাকা ট্রান্সফার করে দিয়েছে,মায়ের ইচ্ছা বৌভাতটা হোক আর আহানার মায়ের কাছে সেরকম টাকা নেই যে অনুষ্ঠানটা ধুমধাম করবে তাই শান্ত টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে
টাকা পেয়ে মা আর খালা তো অনেক ব্যস্ত হয়ে পড়েছে সব ঠিকঠাক করতে
আহানা মনমত টিভি দেখেই যাচ্ছে,খালা তো এসে কালো টিকা লাগিয়ে দিয়েছে আহানাকে,নজর যেন না লাগে
চলবে♥