প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_৫১
#Writer_Afnan_Lara
🌸
আপনার সমস্যা কি বলুন তো??এভাবে সবসময় আমাকে ঘুম থেকে হুটহাট তুলে ফেলে আপনি কি শান্তি খুঁজে পান?
.
অনেক শান্তি পাই,খুশিতে নাচতে ইচ্ছা করে তোমার এই রাগী লুক দেখলে
.
অসভ্য লোক একটা,কিসের জন্য উঠিয়েছেন সেটা বলুন
.
আমার ঘুম আসছে না
.
তো?আমার তো আসছে
.
কিন্তু আমার তো আসছে না, তাই তুমি আমার সাথে জেগে থাকবা,আমরা গল্পগুজব করবো,নিউলি হ্যাপি ম্যারিড কাপলের মতন
.
তাই বুঝি,তা কি কি টপিক থাকবে তাতে?একটু শুনি
.
এই যে তোমার কোনো রোগ আছে কিনা রোমান্টিক মুডে তোমার থাপড়াইতে মন চায় অলওয়েজ তাই এটা তো একটা রোগ
.
হোয়াট!
.
তাই নয়ত কি!প্রথমবার কিস করতে যাওয়ায় যে চড়টা খেয়েছিলাম জীবনেও তো ভুলবো না আমি
.
ভুলতে বলছি নাকি,ওমন ভাবে স্মরনীয় করে দিসি যাতে জীবনেও না ভুলেন
.
আচ্ছা আচ্ছা,আর আমি যে চড় মেরেছিলাম ভুলে গেছো?
.
হুহ!
সরুন তো,হাত ছাড়ুন,আমি ঘুমাবো
.
তা হচ্ছে না,গল্প করো নয়ত ঝগড়া,আমার ঘুম আসতেছে না
.
আচ্ছা তো আপনি শুরু করেন,আমার মাথায় কিছুই আসতেছে না
.
ওকে তাহলে ছোটবেলায় কি কি করছিলাম ওসব নিয়ে কথা বলি
.
ঠিক আছে
.
আমি যে জামা পরতাম তুমি সেই জামা পরতে চাইতা আর সে কারণে আমাদের সব ফ্যামিলি ফটোতে কেউ তোমাকে আমার পাশে দেখলে বলতো আমার টুইন ভাই
.
আচ্ছা তাই??কিন্তু আম্মু তো আমাকে অন্য কথা বললো
.
কি বললো?
.
বললো আপনি নাকি ইচ্ছে করে আমাকে আপনার জামা পরিয়ে দিতেন,আপনি চাইতেন আমাদের দুজনকে সেম সেম লাগুক
.
কে বলেছে,আন্টি সত্যিটা তাহলে জানে না,সত্যিটা তো আমি জানি
.
ওসব বাদ,এবার বলেন আপনার ঐ ক্রাশের কথা,যে আপনার বিয়ের দিন বিয়ে করেছিলো
.
সে তো ছিলো অত্যন্ত কিউট,অত্যন্ত শয়তান,অত্যন্ত দুষ্টু,অত্যন্ত কিপটা
.
সব অত্যন্ত?
.
শান্ত আহানার থুঁতনি ধরে টেনে বললো”আর সে ছিলো অত্যন্ত মিষ্টি,জাস্ট!!!!!. ”
.
জাস্ট কি?
.
কিছু না,তুমি বুঝবা না
.
কেন বুঝবো না আমি?
.
বুঝার হলে এতদিনে তোমার কোলে আমার বাচ্চা থাকতো
.
আজিব তো,বিয়ে হয়েছে ১২/১৪দিন হয়েছে,এ কদিনে আমি আপনার বাচ্চার মা কেমনে হতাম আবার কোলে নিয়েও বসে থাকতাম?
.
বললাম তো তুমি বুঝবে না তাই তো এসব আর বলতে চাইছি না
.
ওকে তাহলে ওদিকে তাকান
.
শান্ত পিছন ফিরে বারান্দার দিকে তাকালো,কিন্তু কিছুই দেখলো না,তারপর আবার সামনে চেয়ে দেখলো আহানা ভালো মানুষের মতন কাঁথা মুড়িয়ে শুয়ে পড়েছে
.
এই তুমি আমাকে বোকা বানিয়ে আবার শুয়ে পড়লে,উঠো
.
আহানা আদো আদো ভয়েসে বললো”রাত ২টা বাজে,ঘুমান আর আমাকেও ঘুমাতে দিন,”
.
শান্ত আর কি করবে,লম্বা হয়ে শুয়ে পড়েছে সে
আহানার দিকে তাকাতে তাকাতে তারও ঘুম এসে গেছে
সকালে যখন সে উঠলো তখন মনে হলো তার যে সে জেগে জেগে স্বপ্ন দেখছে
একটা লাল পরী তার সামনে ঘুরঘুর করছে
চোখটা একটু ডলে সে শোয়া থেকে উঠে বসে আড়মোড়া ভেঙ্গে আবারও তাকালো সেদিকে
লাল পরীটা পাশে থাকা আলাদা বেডটায় উঠে দাঁড়িয়ে সেটার সামনের পর্দা সরিয়ে কোমড়ে হাত রেখে নিচের দিকে তাকালো,তারপর লাফ দিয়ে বেড থেকে নেমে সে ব্যাগটা খুললো,কোমড়ে হাত এখনও
চুলগুলো তার নড়াচড়ার সাথে সাথে হেলেদুলে যাচ্ছে
তার থেকে ফোটায় ফোটায় পানি পড়তেছে,একবার ফ্লোরে তো একবার বিছানায় তো একবার শান্তর গায়ে
শান্ত হা করে লাল পরীটাকে দেখে যাচ্ছে,আশেপাশের দিকে তার কোনো মন নেই
লাল পরীটা হলো আহানা,ঘুম থেকে উঠে ভালো লাগছিলো না বলে গোসল করে নিয়েছিলো সে,তারপর লাল নীল আর সবুজের মাঝ থেকে লাল শাড়ীটা বেছে পরে নিয়েছে সে
শান্ত এখনও ওকে দেখছে,কি সুন্দর,এতদিন এই সৌন্দর্য্য কোথায় লুকিয়ে ছিলো নাকি আমিই দেখিনি
.
আহানা একবার এক কাজ করছে,একবার ব্যাগে ইউজ করা শাড়ী ভরছে তো একবার নতুন কি পরবে সেটা বের করছে
তার চুল থেকে পানি পড়তে পড়তে ফ্লোর পিচ্ছিল হয়ে গেছে অলরেডি
আহানা আবারও আরেকটা কাজে বারান্দার দিকে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই দুম করে পড়ে গেলো পিচ্ছিল জায়গাটায় পা রেখে
শান্ত এবার তার ক্রাশ খাওয়া থেকে বেরিয়ে এসেছে,এভাবে রোমান্টিক মুডে পড়ে গিয়ে আহানা প্রমাণ করলো সে আসলে কোনো লাল পরী নয় সে হলো মিসেস আহানা
আহানা ব্যাথা পেয়ে কোমড়ে হাত বুলাচ্ছে,হঠাৎ কারোর খিলখিল হাসির আওয়াজে মুখ তুলে সে বিছানার দিকে তাকালো,শান্ত বালিশে হেলান দিয়ে বসতে বসতে হাসতেছে অনবরত
.
আহানা ব্রুটা কুঁচকিয়ে বললো”এটা কেমন কথা??আপনার বিয়ে করা বউ পড়ে গিয়ে কোমড়ে ব্যাথা পেয়েছে আর আপনি কিনা আমাকে না তুলে হেসেই যাচ্ছেন?এটাতে হাসির কি হলো বুঝলাম না আমি”
.
শান্ত ফোন নিয়ে ফেসবুকে ঢুকেছে তারপর আহানার কথাটা শুনে বললো”ঢং করে ভেজা চুলের পানি দিয়ে ফ্লোর ভালোই পরিষ্কার করেছো আবার সেটাতে পড়েছো এখন আমি হাসবো না তো কি করবো?”
.
নাচেন!
.
আহানা ফ্লোর থেকে উঠে হনহনিয়ে বাথরুমে গিয়ে হাতটা ধুয়ে আবারও এসে বললো”আজ ঢাকায় ফিরবেন নাকি আজও আমাকে জ্বালানোর জন্য সাজেকেই থেকে যাবেন?”
.
আজই ফিরবো,আমার অফিসে অনেক কাজ
.
তাহলে আমি সব ব্যাগে পুরে নিচ্ছি,নাস্তা কপালে জুটবে নাকি শুধু বাঁশ চা?
.
আরে না না,আমার অত্যন্ত কিউট একটামাত্র বউ,বিরিয়ানি খাওয়াবো,চলো
.
অত্যন্ত বলবেন না,ওটা আপনার প্রেমিকার জন্য রাখা নাম,আমার জন্য না
.
ওহ,জেলাস হচ্ছো নাকি?
.
না তো কিসের জেলাস,সে এখন বিয়ে করে তার স্বামীর সাথে হানিমুনে ইনজয় করছে তাহলে আমার জেলাস হওয়ার প্রশ্নই আসছে না
.
ইনজয়??আর সে??মা গো মা
.
কেন?ইনজয় করবে না তো কি আমার মতন আপনার সাথে ঝগড়া করবে খালি,আমি সিউর উনি এখন তার জামাইকে নিয়ে সুইট মোমেন্ট ইনজয় করছেন
.
হুম হুম বহুত সুইট,লাইভ দেখছি কিনা,সুইট এন্ড সাওয়ার
.
লাইভ মানে?
.
না মানে কই লাইভ,কি উল্টা পাল্টা শুনো,যাও সব প্যাক করে নাও,নাস্তা করে রওনা হবো ঢাকার জন্য
.
আচ্ছা
.
আহানা সব রেডি করে নিয়ে ব্যাগ হাতে নিলো ততক্ষণে শান্ত ও ফ্রেশ হয়ে এসেছে
.
আহানা শান্তর হাতে ব্যাগ বুঝিয়ে দিয়ে চুল গুলো টেনে খোঁপা করতে করতে চুলের কাঠিটা খুঁজতে লাগলো এদিক ওদিক
শান্ত পিছন ফিরে সামান্য মুচকি হেসে বললো”ঐ চুল বেঁধো না,স্বাধীন রেখে দাও”
.
অত্যন্ত সুন্দর না তো!!!
.
আমি কি বলছি সুন্দর?একদম পেত্নির মতন লাগে তোমাকে
.
আহানা রেগে গিয়ে চুলগুলো ভালো করে বেঁধে বেরিয়ে গেলো সোজা
শান্ত ও আসলো পিছু পিছু,দুজনে কোনোরকম নাস্তাটা সেরে কারে এসে বসেছে
আহানা জানালাটা খুলে সাজেকের রিসোর্ট গুলোর দিকে একবার চেয়ে রইলো তারপর বললো”আবারও আনিয়েন আমাকে,জায়গাটা অনেক ভালো”
.
আনবো,সময় করে,এখন আপাতত সময় একদমই নেই বললে চলে
.
আহানা জানালায় হাত রেখে তার উপর মাথাটা এলিয়ে দিয়ে বাইরের দিকে চেয়ে আছে,সবুজ সব গাছগাছালি দৌড়াচ্ছে নাকি আমাদের গাড়ী??
চিকন পথটা একবার উপরে উঠছে তো একবার নিচে নামছে,এটা ঠিক তখনই বোঝা যায় যখন দূরের পথটার দিকে তাকাই তা না হলে আমরা কত উঁচুতে উঠতেছি আর কত নিচুতে নামছি তা বুঝাই যায় না একেবারে
দুপাশে সবুজ আর সবুজ,এখানে সারাজীবনের জন্য থেকে যেতে পারলে ব্যাপারটা বেশ হতো
.
শান্ত কার ড্রাইভ করতে করতে বাম হাত দিয়ে আহানার হাতের কুনুই ধরে এক টান দিয়ে কাছে নিয়ে এসে বললো”আরও বের হয়ে থাকতা জানালা দিয়ে যেন পাশ দিয়ে কোনো গাড়ী ক্রস করে যাওয়ার সময় বাড়ি দিয়ে মাথাটা সাথে করে নিয়ে যেতে পারে
.
নিবে না,ভালোই লাগছিলো ,দিলেন তো ভালো লাগায় ব্যাঘাত ঘটিয়ে?
.
বকবক না করে চুপ করে থাকো,এই যে এখান দিয়ে দেখো যত সিনারি দেখার,ওতো রিস্ক নিয়ে দেখতে হবে না
.
আহানা মুখ গোমড়া করে হাত ভাঁজ করে সামনের দিকে চেয়ে থাকলো,পুরোটা সময় শান্ত ওকে নড়তেও দেয়নি,জানালা থেকে মনে হয় এক কিলোমিটার দূরে রেখেছে ওকে,জোর করেই
বাসায় ফিরতে ফিরতে বিকাল হয়ে গেছে
আহানা আজ প্রথম তার শশুড় বাড়িতে শান্তর বউ হিসেবে থাকবে,তার আলাদা একটা ফিলিংস কাজ করতেছে মনের ভেতর
আহানা কার থেকে নামতেই নিতু দৌড়ে আসলো,আহানা ওকে নিয়ে বাসার ভেতর চলে গেছে
শান্ত ও আসতেছে ফোনে কথা বলতে বলতে
আহানা গিয়ে শান্তি রহমানকে সালাম করলো তারপর জড়িয়ে ধরে উনার পাশে গিয়ে বসলো সে
উনার চোখে মুখে হাসি,খুশি আর ধরে না
নিতু সাজেকে তোলা পিক দেখতে চাচ্ছে,শান্ত বললো সে ল্যাপটপে ট্রান্সফার করে দিলে তারপর দেখতে পারবে
এদিকে রিপা দৌড়ে এসে বললো শান্ত যেন রুমে না ঢুকে
শান্ত থেমে গিয়ে কপাল কুঁচকে তাকালো রিপার দিকে
রিপা দাঁত কেলিয়ে বললো রুমটায় একটা সারপ্রাইজ আছে আর সেটা যেন শান্ত আহানা দুজনে মিলেই দেখে
আহানা তো সারপ্রাইজের কথা শুনে এক পায়ে খাড়া
শান্ত আহানার দিকে তাকিয়ে তাচ্ছিল্যের একটা হাসি দিয়ে চলে গেলো তার রুমের দিকে
আহানাও চললো সেদিকে
শান্ত দরজা খুলতে যেতেই আহানা তার আগে এসে ওর সামনে দাঁড়িয়ে বললো”সারপ্রাইজ আগে আমি দেখবো,লেডিস ফার্স্ট,ওকে?”
.
ওকে ম্যাডাম,দেখেন আবার কি না কি রাখছে,সাবধান বোম টোম থাকতে পারে
.
আহানা দরজা খুলতেই হা করলো,কিছু নাই,পুরো রুম অন্ধকার
শান্ত হাসতে হাসতে ভিতরে ঢুকে লাইটটা অন করতেই যা দেখলো তাতে দুজনেই অবাক
পুরো রুমটা ফুল দিয়ে সাজানো
বেলি আর গোলাপ!
আহানা তো ঘুরে ঘুরে দেখতেছে,রিপা শান্ত আর আমার জন্য বাসর সাজিয়েছে??
.
শান্ত মুখটা বাঁকিয়ে বললো”বিয়ের ১৪দিন পর বাসর?হাউ ফানি!”
.
আহানা মুচকি হেসে বিছানায় বসে বললো”আফসোস এবারও আমরা খালি ঝগড়াই করবো,হুদাই বাসর সাজিয়েছে”
.
রাইট!
.
শান্ত আলমারি খুলে একটা তোয়ালে নিয়ে ওয়াসরুমে চলে গেছে
আহানা একটু শুতেই ওর মনে হলো শান্ত বলেছিলো তার আলমারিতে তার প্রেমিকার একটা ছবি আছে
দেরি না করে আহানা আলমারির সামনে গিয়ে হাজির হলো,ওয়াসরুমের দিকে একবার তাকিয়ে পরোক করে নিয়ে আলমারিটা খুললো সে
তন্নতন্ন করে সব তাকেই দেখলো কিন্তু জামা ছাড়া আর একটা ফটো ফ্রেম ছাড়া কিছুই পেলো না
ফটো ফ্রেমটায় তার আর শান্তর ছোটবেলার ছবি,আর এটা সে আরও আগে দেখেছে,তাহলে উনার প্রেমিকার ছবি কই,কোথায় লুকিয়ে রাখছে,পাচ্ছি না কেন?
.
শান্ত ওয়াসরুম থেকে বেরিয়ে দেখলো আহানা ওর আলমারির ভিতরে ঢুকে কি যেন খুঁজতেছে মন দিল লাগিয়ে
শান্তর আর বুঝতে বাকি নেই যে আহানা তার আর তার প্রেমিকার ছবি খুঁজতেছে
শান্ত হালকা হেসে বুকটা ফুলিয়ে রাগী রাগী একটা ভাব নিয়ে আহানাকে এক ধমক দিলো
আহানা ভয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছে তারপর বললো”আসলে আমি আমার শাড়ীগুলো কোথায় রাখবো জায়গা করছিলাম,আর কিছু না”
.
বুঝলাম,কিন্তু আমি তো অলরেডি জায়গা করে রেখেছিলাম
.
তাই বুঝি?দেখলাম না তো,আগেই বলতেন এত করে খুঁজতে হতো না আমাকে
.
কি খুঁজতে হতো না?
.
ইয়ে ঐ যে শাড়ী রাখার জায়গা
.
আচ্ছা,যাও ফ্রেশ হয়ে আসো তারপর কফি নিয়ে আনো আমার জন্য
.
(চাচার বাড়ির আবদার)
.
কিছু বললে?
.
না তো
.
মামার বাড়ির আবদার শুনেছিলাম,চাচার বাড়ির আবদার এই প্রথম শুনলাম
.
আমার বাবা আপনার বাবার বন্ধু ছিলো,ভাই ভাই
তাহলে আপনার চাচাই তো হলো তাই না?
.
বাপরে বাপ!এত হিসাব?
.
বিছানাটা সম্পূর্ণ বেলি ফুলের মালা দিয়ে সাজানো,আহানা একটা মালা ছিঁড়ে সেটা নিয়ে চলে গেছে ওয়াসরুমে
আর শান্ত ল্যাপটপ নিয়ে বারান্দার দিকে গেছে
আহানা জাস্ট মুখটা ধুয়ে চুলগুলো আঁছড়িয়ে খোঁপা বেঁধে তাতে বেলি ফুলের মালাটা লাগিয়ে চললো রান্নাঘরের দিকে
মা উপন্যাস পড়ছেন তার রুমে আর নিতু পড়তে বসেছে,রিপা ডিনার প্রস্তুতিতে বুয়াকে হেল্প করছে
আহানা গিয়ে কফি বানাতে লাগতেই রিপা বললো সে বানিয়ে দিবে
আহানা না করে দিলো,কারণ রিপার হাতে অনেক কাজ,মায়ের জন্য আলাদা করে খাবার তৈরি করতে হয়
তেল কম দিয়ে,ঝাল কম দিয়ে,ভর্তা করে আইটেম বানাতে হয় উনার জন্য
আহানা তাই রিপাকে না করে দিয়ে নিজেই কফি বানিয়ে নিলো,তারপর মায়ের জন্য চা বসিয়ে দিয়ে কফিটা নিয়ে গেলো শান্তকে দিয়ে আসতে
শান্ত ল্যাপটপে ভিডিও কলে একটা ক্লাইন্টের সাথে মিটিং করতেছে
আহানা এসে চুপচাপ কফিটা টেবিলের উপর রেখে যেতেই তার আঁচলে টান খেলো
পিছন ফিরে তাকিয়ে সে দেখতে পেলো শান্ত ধরে রেখেছে ওর আঁচলটা অথচ তার চোখ ল্যাপটপের দিকে
আহানা জোরে কথা বললো না কারণ ক্লাইন্ট শুনে ফেলতে পারে তাই ফিসফিস করে বললো”মায়ের জন্য চা বসিয়েছি,আমাকে জ্বালানো অফ করে নিজের চরকায় তেল দেন,স্টুপিড!”
.
শান্ত শুধু বললো”তুমিও খেয়ে নাও,আর বেলি ফুলটা সুন্দর কিন্তু!
.
অত্যন্ত?
.
হুম অত্যন্ত সুন্দর,তবে শুধু ফুলটা😜
চলবে♥