প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_৫৩
#Writer_Afnan_Lara
🌸
আর তুমি সেটা বিশ্বাস করে বাচ্চাদের মতন এতক্ষণ ধরে কাঁদতেছিলা??
তুমি আসলেই একটা বোকা মেয়ে,আরে মজনুরে আমি কবেই ডোজ খাওয়াইসি এখন নাহয় আরেকটা ডোজ খাইয়ে দিব
এখন কান্না থামিয়ে সব ভুলে যাও রুমে,আমি কিছুক্ষণ পর আসতেছি
.
আহানাও চুপচাপ চেয়ার থেকে উঠে বাসার ভেতর চলে আসলো,মা সোফায় বসে টিভি দেখতেছিলেন,আহানাকে দেখে মুচকি হাসলেন তবে ওর ফ্যাকাসে মুখটা দেখে উনার মুখটাও ছোট হয়ে গেলো,আহানাকে হাত দিয়ে নিজের দিকে ডাকলেন তিনি
আহানা এসে উনার পাশে বসলো,তারপর হঠাৎ করে উনার কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়লো সোফায়,আজ তার মা থাকলে হয়ত এটাই করতো সে
শান্তি রহমানকে তো সে তার মায়ের মতই ভাবে
শান্তি রহমান ভাবলেন হয়ত শান্তর সাথে ঝগড়া হয়েছে তাই মুখটা ওমন ফ্যাকাসে করে রেখেছে আহানা
শান্ত আরেক বালতি মাটি এনে গাছের গোড়ায় দিলো,মজনু চাচা কি বললো না বললো তা সে একদমই মাথায় নেয়নি,এরকম হুমকি বিজন্যাস লাইফে সবাইকেই পেতে হয়
আর শান্ত এমন হুমকি এর আগেও পেয়েছে তাই ব্যাপারটা তার কাছে স্বাভাবিক,আহানা শুধু শুধু ভয় পাচ্ছে,ঐ মজনু আমার কিছু করতে পারবে না বরং ওর ঠ্যাং ভেঙ্গে আমি ওর হাতে ধরিয়ে দিব
গাছগুলোকে পারফেক্টলি সেট করে দিয়েছি আর কোনো কাজ নেই এবার আমি যাই
শান্ত হাঁটতে হাঁটতে হাতের ঘড়ির দিকে তাকালো,৮টা বেজে গেছে,এখন আপাতত অফিসের কিছু কাজ করবো ডিনার টাইম অবদি
শান্ত বাসায় ঢুকতেই দেখলো আহানা সোফায় মায়ের কোলে মাথা রেখে চুপ করে টিভির দিকে চেয়ে আছে
.
ওমা একি!
.
আহানা উঠে বসে শান্তর দিকে এমন করে তাকালো যেন শান্ত কোনো বিপদ থেকে বেঁচে এসেছে
.
শান্ত আর কিছু না বলে তার রুমের দিকে চলে গেলো
আহানা উঠে গিয়ে শান্তি রহমানকে বললো তার কিছু কাজ আছে
তারপর রান্নাঘরে গিয়ে কফি বানিয়ে সেটা নিয়ে শান্তর রুমের দিকে গেলো সে
শান্ত বিছানায় হেলান দিয়ে বসে ল্যাপটপে কাজ করে যাচ্ছে মনযোগ দিয়ে
আহানা ওর দিকে কফিটা বাড়িয়ে ধরে বললো”কাল অফিসে যাবেন?”
.
একটা ডিলের কাগজপত্র চেক করতে করতে শান্ত বললো”হুম যাব তো”
.
ওহ
.
শান্ত আহানার হাত থেকে কফির মগটা নিতে নিতে একবার ওর মুখের অবস্থা বুঝে নিলো তারপর বললো”কেন?তোমার কিছু লাগবে?”
.
না,কিছু লাগবে না
.
কথাটা বলে আহানা বিছানার আরেক পাশে এসে বসে রইলো থ হয়ে
কিসব নিয়ে খুব ভাবতেছে সে
তারপর একবার শান্তর মুখের দিকে অহসায়ের মতন চেয়ে রইলো
এই লোকটার প্রতি আজ খুব কেয়ার আসতেছে,আজকে এই সংবাদ শুনে মনে হলো আমার কলিজায় কেউ আঘাত দেওয়ার কথা জানালো
আসলেই কি সে আমার এত আপন?
যাকে ছুঁয়ে দেখলাম না সে এক মূহুর্তেই আমার জীবনের সবটা হয়ে গেলো?
আহানা কথাগুলো ভাবছে আর তার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি ঝরে যাচ্ছে অনবরত
শান্ত কফি খেতে খেতে একবার আহানার দিকে তাকালো,তাকাতেই আহানা আরেকদিকে মুখটা ঘুরিয়ে চোখগুলো মুছে ফেললো
.
শান্ত আহানার হাত টেনে নিজের দিকে ফিরিয়ে বললো”তুমি আবারও ওসব ভাবছো?আরে আমার কিছু হবে না,আর বাবা আর আয়াত আঙ্কেলের এক্সিডেন্টটা একটা ইন্সিডেন্ট ছিলো,আমার সাথে সেমটা ঘটবে কি করে?
কেউ তো আর জেনে শুনে…..
এক মিনিট!
পুলিশ আমাদের বলেছিলো বাবার কারটার ড্রাইভিং সিটে কিছু গণ্ডগোল পেয়েছিলো তারা আর সেটা শত্রুতাও হতে পারে আবার ন্যাচারালি ও হতে পারে
আমরা তখন সেটা ন্যাচারালি ভেবেছিলাম ঘটনাটাকে কারণ তখন বাবার কোনো শত্রু ছিলো না
.
আহানা সোজা হয়ে বসে বললো”কিন্তু আমার বাবার ছিলো”
.
মানে.?কে?
.
মজনু চাচা হতে পারে,উনি বাবার কাছে বারবার বলেছিলেন আমার নামে সম্পত্তি না দিয়ে তার নামে করে দিতে আর বাবা সেটা করেনি বলে এই নিয়ে অনেক কথা কাটাকাটি হয়েছে তাদের মাঝে
.
তার মানে বিষয়টা এবার পরিষ্কার!শত্রুতার জেরে আর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্যই তোমার মজনু চাচা এত বড় খেল খেললো আর সেটা প্রকাশিত হলো এই ৭টা বছর বাদে
আমাদের তখনি বিষয়টা ভালো করে ধরা উচিত ছিলো,কেন ধরলাম না আমি!
তখন এক হাতে নিতুকে সামলিয়েছি আরেক হাতে মাকে
মায়ের জবান বন্ধ হয়ে যাওয়া, মা স্থায়ী প্যারালাইজড হয়ে যাওয়া,তোমাদের লাপাত্তা হওয়া এসবের ভিতরে আমার মাথায় একদমই ছিলো না যে বাবার আর আয়াত আঙ্কেলের কার এক্সিডেন্টে মরে যাওয়ার পিছনে তোমার মজনু চাচার হাত থাকতে পারে বা অন্য কোনো শত্রু!!
.
শান্ত মাথার চুলগুলো টানতে টানতে বললো”কেন আমি তখন সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে পারলাম না,কেন!!”
.
আহানা চুপ করে বিছানা থেকে নেমে গিয়ে শান্তি রহমানের রুমের সামনে এসে দাঁড়ালো
উনি বিছানায় শুয়ে আছেন চোখ বন্ধ করে
আহানা রুমটার ভিতরে প্রবেশ করলো
পুরো রুম জুড়ে শান্ত আর তার বাবার ছবি,আহানার মনে হলো তার বাবার শত্রুর জন্য তার বাবা আর রিয়াদ আঙ্কেল মারা গেছে
শুধুমাত্র তার বাবার শত্রুর জন্য শান্তদের পরিবারটা ভেঙ্গে গেলো
নিতু তার বাবাকে হারালো,শান্তি আন্টি তার এত সুখের সংসারকে এভাবে কাঁচের মতন ভেঙ্গে যেতে দেখে অবশ হয়ে গেলেন
এই সব কিছুর দায় আহানার পরিবারের
আহানার পরিবারের সাথে শান্তদের পরিবারের যোগাযোগই যদি না থাকতো আজ শান্তর বাবা অন্তত বেঁচে থাকতেন,উনার তো কোনো দোষ ছিলো না
আমার বাবার ও দোষ ছিলো না কিন্তু বাবার শত্রু তার সাথে সাথে তার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুটাকেও মেরে ফেললো
.
আহানার বুকের ভেতরটা জ্বলে যাচ্ছে,শান্তর বাবার হাসি মাখা মুখ আর তার বাবার হাসিমাখা মুখের ছবি চোখের সামনে ভেসে উঠতে দেখে তার আরও কষ্ট হচ্ছে
কেন তারা শাস্তি পেলো, যেখানে তাদের কোনো দোষ ছিলো না
শান্তর ও তো দোষ নেই,ও তো আমার বাবার অবর্তমানে আমার আর মায়ের পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে
মজনু চাচা যদি আমার শান্তর কোনো ক্ষতি করে ফেলে?
আমি তো বেঁচে থাকতে পারবো না,আমি কি করে বাঁচবো
একবার বাবাকে হারিয়েছি,এখন আবার….
না এটা হতে পারে না,আমি উনাকে কিছুতেই মরণবাহনে চড়তে দেবো না,ঐ কারে তাকে আমি উঠতে দিব না
আমার মা জানতো না তার আশেপাশে এমন শত্রু আছে যে তার সব সুখ কেড়ে নেবে
কিন্তু আমি তো জানলাম আজ,তাহলে আমি জেনেশুনে এই ভুল করতে পারি না
আহানা পিছিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে শান্তর রুমের দিকে যেতে নিতেই থেমে গেলো বাইরে থাকা শান্তর কারটা দেখে
তারপর কারের কাছে এসে দাঁড়ালো সে
বাগান থেকে একটা পেরেক খুঁজে নিয়ে টায়ার পাঞ্চার করে তারপর বাসায় ফিরলো আহানা
শান্তকে কোনোমতেই কারে চড়ে অফিসে যেতে দেবে না সে
তারপর হঠাৎ মনে হলো যদি অন্য উপায়ে মজনু চাচা উনার ক্ষতি করার চেষ্টা করে?তখন আমি কি করবো?
.
শান্ত মিঃলোকমানের সাথে কথা বলতেছে যিনি ৭বছর আগে শান্তর বাবার কার এক্সিডেন্টের সময় তদারকি করতে এসেছিলেন এবং তিনি বলেছিলেন এটা ৬০% মানুষকৃত মার্ডার হওয়ার সম্ভাবনা ময় একটি কেস
.
মিঃলোকমান শান্তর কথা শুনে বললেন”আমি তো আগেই বলেছিলাম এটা একটা ইন্সিডেন্ট ছিলো না,এটা একটা মার্ডার কেস ছিলো”
.
এখন কি কোনোভাবে কেসটা আবার খাড়া করা যেতে পারে?
.
কিভাবে? সেই কারটা তো এখন নেই,আপনার বাবার লাশটাও তো কবর দেওয়া হয়েছে বিগত ৭বছর হয়ে গেছে,ময়নাতদন্ত একদমই পসিবল না
আপনারা তখনই কঠোরভাবে কেসটা হ্যান্ডেল করলে হয়তবা কেসটার আসল রহস্য বেরিয়ে আসতো
.
আমি এখন কি করবো,আমার মনে হলো এই বিষয়টা তাই ফোন করলাম
.
আচ্ছা আমি দেখি কি করা যায়
.
শান্ত ফোন রেখে পিছন ফিরতেই দেখলো আহানা হাতে এক গ্লাস পানি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে তারপর সে এগিয়ে এসে বললো”পুলিশ কি জানালো?”
.
ঠিক করে বলতে পারছে না আদৌ কেসটা রিওপেন করা যাবে কি যাবে না,তা হঠাৎ এত খাতিরদারি করছো?শরীর খারাপ নাকি তোমার?
.
আহানা গ্লাসটা শান্তর হাতে দিয়ে বিছানায় বসতে বসতে বললো”নাহ শরীর খারাপ নয়,তবে মন খারাপ”
.
কারণটা জানি তাই কিছু বলছি না,কারণ তুমি শুধু শুধু এত চিন্তা করতেছো,ঐ মজনু আমার কিছু করতে পারবে না বুঝলে?
.
আপনাকে আমি জিজ্ঞেস করেছি কিছু?চুপচাপ বসে থাকেন এখানে,এশার নামাজ পড়েছেন? গিয়ে পড়ে আসেন
.
শান্ত গেলো নামাজ পড়তে
আহানা শান্তর শোয়ার জায়গাটা পরিষ্কার করে ফেললো,কেন জানি মনে সংশয় হয় উনাকে হারানোর,আর কখনও ঝগড়া করবো না উনার সাথে,ভালোমতন চলবো এখন থেকে
.
আহানা বিছানায় থাকা ফুলগুলোর দিকে চেয়ে আবারও কেঁদে ফেললো
উনার সাথে এখনও ভালোবাসার মূহুর্ত গুলোই কাটালাম না তার আগেই এই দিন দেখতে হচ্ছে আমাকে
.
শান্ত নামাজ পড়ে এসে দেখলো আহানা বিছানা থেকে ফুল নিয়ে নিয়ে ডাস্টবিনে ফেলতেছে
.
একি কি করতেসো??এমন করো কেন?কি হলো আবার
.
কিছু হয়নি তো,ঘুমাবেন তাই বিছানা ক্লিন করছি আর কিছু না
.
শান্ত কাছে এসে আহানার হাত ধরে ওকে আটকালো
.
আহানা ছলছল চোখে চেয়ে থেকে আবারও শান্তর বুকে মাথা রেখে কেঁদে ফেললো
শান্ত ওর মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললো”আরে বোকা মেয়েরে!এতদিন আঁচল কোমড়ে গুজে লড়াই করতা আর আজ কিনা কার না কার হুমকিতে তোমার চোখের পানি থামছেই না?আমাকে এত ভালোবাসো?”
.
আহানা মাথাটা উঠিয়ে ব্রু কুঁচকে বললো”ককককককে?কে ভালোবাসে আপনাকে? আমি তো বাসি না,এমনিতেই আমার বর আপনি,আপনার কিছু হলে আমি বিধবা হবো তাই কাঁদতেছি,ভালোবাসি কে বললো?
আপনাকে ভালোবাসা যায়??আজ পর্যন্ত আপনাতে প্রেমে পড়ার মতন আহামরি কিছু করেছেন আপনি?বলতে এসেছে আমি নাকি উনাকে ভালোবাসি
কচু বাসি
.
আচ্ছা বাসো তো,ভালো না হোক কচু বাসো ওটাতেই চলবে
এখন আসো ডিনার করবো
.
আহানা চোখের পানি মুছতে মুছতে শান্তর পিছু পিছু আসলো
মা আর নিতু এসে ডাইনিংয়ে বসেছে
আহানা শান্তর পাশে বসলো আজ,নিজ হাতে সব সার্ভ ও করে দিচ্ছে,মা তো এসব দেখে মহাখুশি আর শান্ত সে তো গালে হাত দিয়ে আহানার বদলে যাওয়া দেখছে
যাক মজনু চাচা আমার একটা হেল্প তো করলো জীবনে
আর সেটা হলো আমার ধানিলঙ্কা বউকে সে এখন গোলাপজাম বানিয়ে দিয়েছে,খালি মিষ্টি আর মিষ্টি
ঝাল লাগেই না
তবে ধানিলঙ্কা ফ্লেভারকে মিস করতেছি অনেক,এখন একটু তেজি হলে ডিনারটা জমতো,কেন জানি সব শূন্য শূন্য মনে হচ্ছে আমার
.
শান্ত টেবিলের নিচ দিয়ে আহানার শাড়ীর আঁচল নিয়ে টানতে লাগলো
আহানা ব্যাপারটা বুঝতে পেরেও না বুঝার ভান করে খাচ্ছে আর নিতুর সাথে কথা বলতেছে
শান্ত যখন দেখলো তার আঁচল টানাতে আহানার বিন্দু মাত্র নড়চড় হলো না তখন সে আহানার কোমড়টা ঝাপটে ধরে এক চামচ সুপ মুখে দিলো
আহানা চোখ বড় করে এবার শান্তর দিকে তাকালো
এমনিতেও মন মেজাজ ভালো না তার উপর এমন একটা সিচুয়েশনে এই লোকটা আমার মেজাজ আরও বিগড়ানোর পিছনে উঠে পড়ে লেগে আছে,হাতের চড় একটা খাওয়ার জন্য এমন করতেছে যা বুঝলাম
মন চাচ্ছে এক চড় মেরে সাদা গালটা লাল করে দিতে কিন্তু নাহ,সামনে আমার শাশুড়ি আর ননদ বসে আছে এদের সামনে এদের কলিজার টুকরাকে টোকা দিলে পরে আমাকে এই বাড়ি ছাড়তে হবে
এরে তো আমি রুমে গিয়ে বুঝাবো যে আহানা একটু কেয়ার করে মানে এই না যে তোমার বাঁদরামিতে চুপ করে থাকবে
এমন মার মারবো না আজ সারারাত খুব ভালো ঘুম হবে কারন কান্নার পরের ঘুমটা ভালো হয়
এমন মারবো যে কাঁদতে কাঁদতে তুমি ঘুমাই যাবা মিঃআউলাঝাউলা!!
.
শান্ত আড় চোখে আহানার দিকে তাকিয়ে যা বুঝলো আহানা মনে মনে তাকে গিলে খাচ্ছে
কি যা তা বলছে সে জানে,বাট আমার মনে হচ্ছে বিশ্রী ভাষায় গালি দিচ্ছে আমাকে,কারণ হাতের কাঁটাচামচটাকে উপর করে ধরে চিকেন লেগপিসে বারবার ছিদ্র করছে মনে হয় লেগ পিসটাকে আমি মনে করে এমন সাঁটাচ্ছে
রুমে গেলে কি হাল করবে কে জানে
কি এমন করছি?জাস্ট কোমড়ই তো ধরেছি
ওর কোমড় ধরলে এরকম তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে কেন সেটা বুঝে উঠতে পারি না আমি
খাওয়া শেষে মা এবার সোফায় এসে বসে খবর চালু করলেন
আহানা তার পাশে এসে বসলো,সাথে সাথে শান্ত ও ওর পাশে এসে বসে পড়লো
অথচ এসময়ে জীবনেও শান্ত টিভি দেখে না
সবসময় সে ডিনার করে ল্যাপটপ নিয়ে অফিসের কাজ করে রাত ১পর্যন্ত
আহানাও অবাক সাথে মা ও অবাক
মা টিভি মনযোগ দিয়ে দেখছেন,আহানাও মনযোগ দিয়েছিলো তবে শান্তর উৎপাতে এখন সে টিভিতে ভালোমতন মনযোগটা দিতে পারছে না
শান্ত ওর পিঠের উপর দিয়ে হাত নিয়ে সোফায় রেখেছে
হাতের এবং হাতে থাকা মোটা ঘড়িটার খোঁচায় আহানার অস্বস্তিকর লাগছে
উঠতে গিয়েও পারছে না
শান্ত ওর শাড়ীর আঁচলের উপর বসেছে একেবারে,আজ শান্তর কপালে কি ঝাড়ি আছে তার একটু একটু ইঙ্গিত শান্ত পাচ্ছে আহানার চোখের আগুন দেখে
চলবে♥