প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_৮
#Writer_Afnan_Lara
🌸
শান্ত আহানাদের রুমটা ভালো করে দেখছে
সে নিজে যে চেয়ারটাতে বসে আছে সেটা একটা কাঠের চেয়ার
তার পাশে একটা পুরনো কাঠের টেবিল আছে,সেখানে কিছু বই,কলমদানি আর একটা আয়না
সামনে একটা বিছানা তবে এটা হলো চৌকি টাইপের হেলান দিয়ে বসা যাবে না ওরকম খাট
আর কিছু নাই রুমটাতে
.
আহানার মা চোখ মুছতে মুছতে কথা শুরু করলেন
.
তোমার আয়াত আঙ্কেল মারা যাওয়ার পর আমরা যখন বাড়ি ফিরি তাকে কবর দেওয়ার পর তখন জানতে পারি সকল সম্পত্তি নাকি আহানার চাচা মজনু নিজের নামে করে ফেলেছে
কি করে করলো বুঝে উঠতে পারিনি আমি সেসময়ে
আমাকে তারা পরেরদিনই আহানাকে সহ বের করে দিয়েছিলো বাসা থেকে
আমি পুলিশের কাছেও গেছিলাম কিন্তু তারা পুলিশকে কাগজপত্র দেখিয়ে দিয়েছে আর পুলিশ আমাকে জানালো সেখানে নাকি সাফ সাফ লিখা আছে আহানার বাবা আহানার ১৮বছর হওয়াতে দেরি তাই আপাততের জন্য সকল সম্পত্তি মজনুর নামে করে রেখেছিল যেন তার আকস্মিক মৃত্যু ঘটলে তিনি সম্পত্তি সামলাতে পারেন
আর মজনু ভাই কিনা আমাকে আর আহানাকে বের করে দেয় যেন আমাদেরকে তিনি চিনেও না
আহানার বাবা এমনটা করবেন না কখনও তা জানি আমি
হয় তিনি আহানাকে নমিনী করে যেতেন আর নয়ত আমার নামে করে দিয়ে যেতেন কিন্তু মজনুর নামে যে করে দিয়েছে সেটার কথা আমি ঠিক সেদিনই জানলাম,আমি এই বিষয়টায় একটুও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না কারণ আহানার বাবা বিন্দু মাত্র কিছু করলেও আমাকে জানাতেন,আমাকে না জানিয়ে কিছু করতেন না তিনি তাহলে দলিলটাতে যে সই ছিল সেটা কি ছিল সেটাই বুঝতে পারলাম না আমি আজও
আমার বাবা মা কেউ নেই,পাশে পেলাম নিজের বোনকে
আমি গরীব ঘরের মেয়ে ছিলাম, আমার বোন আমার সাথে আমার বাসায় থাকত বাবা মায়ের মৃত্যুর পর থেকে
সে একটু পড়াশুনা করছে বেশি করেনি তাই সে
বাসা থেকে বের করে দেওয়ার পর আমরা ৩/৪দিন আমাদের বাসার দারোয়ান কাসেম চাচার বাসায় ছিলাম,আহানার বাবার প্রতি শ্রদ্ধা ছিল বলেই তিনি আমাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন সেদিন
আমার বোন রোকেয়া অনেক চালাক চতুর সে কদিনের মধ্যেই কোনোমতে একটা গার্মেন্টসে ঢুকে যায় আর আমিও বাধ্য হয়ে গার্মেন্টসে চাকরি শুরু করি
দারোয়ানের বাসা ছেড়ে একটা বাড়ি খুঁজে পাওয়া পর্যন্ত আমরা এক দাদির বাসায় ছিলাম ততদিন
দাদিটা অনেক ভালো ছিলেন,আমার বোনের পরিচিত ছিল তার মেয়ে নাকি আমার বোনের সাথে গার্মেন্টসে কাজ করতো তাই আমাদের সমস্যার কথা শুনে আমাদের থাকতে দেন সেদিন
আহানার দামি দামি জামা আমি বিক্রি করে হাঁড়ি পাতিল এসব কিনলাম
ওর জন্য তখন ২/৩টা জামা ছিল অবশিষ্ট, টাকার অভাবে আমি সব বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিলাম সেদিন
এতদিন ভালো পরিবেশে থেকে বড় হয়ে তারপর এরকম একটা অবস্থায় হুট করে এসে পড়ায় পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে আহানার বেশ হিমশিম খেতে হয়েছিল
.
তো আঙ্কেল নমিনী ও তো করে যেতে পারতো আহানার নামে সম্পত্তি দিয়ে
সেটা করেননি কেন??আমি সেটাই বুঝলাম না
.
বাবা আমার ও এটা মাথায় ঢুকেনি,কারণ একদিন আহানার বাবা আমাকে এই ব্যাপারটা সম্পর্কে বলেছিলেন,বলছেন আহানাকে নমিনী করে দিবেন তাহলে সম্পত্তি মজনুর নামে কি করে হলো সেটাই তো বুঝলাম না
.
ঘাফলা আছে,তখন আপনাদের পাশে কেউ ছিলো না বলে কেস জিততে পারলেন না,শিট!
.
কিছু করার নাই,আমরা এতদিনে সব মানিয়ে নিয়েছি
একা ৩জন মেয়ে আর কত লড়তে পারে?
তা তোমার মায়ের কি খবর এখন?অনেক ইচ্ছা তারে একটু দেখবো,আপন বলতে উনিই ছিলেন,তোমাকে তো সেই ছোটবেলায় দেখেছিলাম, কত বড় হয়ে গেছো,আমি চিনতেই পারিনি,আমেরিকা থেকে থেকে কবে এসেছো?
.
আমি সেদিনই এসেছি যেদিন বাবা আর আয়াত আঙ্কেলের এক্সিডেন্ট হয়েছিলো
আমার তো আপনাদের কথা মনেই ছিল না,কারণ সেই ছোটবেলায় আপনাদের বাসায় আসা যাওয়া হতো তারপর সব ভুলে গেসিলাম
আর সেদিন লাশবাহী গাড়ী করে বাবার লাশটাই এসেছিলো,আয়াত আঙ্কেলের ব্যাপারে আমরা কিছুই জানতাম না!
বাবা কার ড্রাইভ করছিলো পাশে যে আয়াত আঙ্কেল ছিল তা আমরা আজ জানলাম আহানার থেকে
মা সেই থেকে কথা বলার শক্তি হারিয়েছে!আপনাদের ছবি দেখতো আর কাঁদতো,,কত ডাক্তার দেখিয়েছি কোনো লাভ হয়নি
আমরা কয়েক মাস বাদেই আপনাদের বাড়িও গিয়েছিলাম বাট সেখানের দারোয়ান জানালো বাসাটা বিক্রি করে দিয়ে আপনারা নাকি চলে গেছেন,কোথায় গেছেন তার হদিস সে জানে না
.
এভাবে সব শেষ হয়ে আবার পুনর্জীবিত হবে ভাবতেই পারিনি
আপনি এক কাজ করুন আমার সাথে চলুন বাসায়,মা আপনাকে দেখলে অনেক খুশি হবে
.
চা রেডি😒ধরেন!
.
আহানা ঠাস করে চায়ের কাপটা টেবিলের উপর রাখলো
শান্ত ব্রু নাচিয়ে মুখে এক চুমুক দিতেই কেশে উঠলো
.
আহানা মুচকি হেসে বললো”মিষ্টি আরেকটু দিব?”
.
শান্ত হালকা হেসে বললো”মিষ্টি কম হইছে,নাড়তে হবে আরেকটু”
এটা বলেই শান্ত আহানার হাত মুঠো করে ধরে সেখান থেকে আঙ্গুল একটা নিয়ে চায়ে চুবিয়ে নেড়ে নিলো
.
আম্মাগো!!!!আউচ!হাত জ্বলে গেলে আমার,হাত ছাড়ুন!
.
ব্যস পারফেক্ট
.
তোরা এখনও আগের মতই ঝগড়া করস,একটুও বদল হয়নি
.
আহানা নিজের আঙ্গুল মুখে পুরে চুষতে চুষতে দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে বললো”বের হোন আমাদের বাসা থেকে”
.
শান্ত আহানার কথায় কোনো মনই না দিয়ে আহানার মায়ের দিকে তাকিয়ে বললো”আন্টি চলুন না আমার সাথে”
.
কিন্তু বাবা,এতো রাতে
.
তো কি হইছে?দরকার হলে আমাদের বাসায় থেকে যাবেন,এখন চলুন
.
তাহলে অপেক্ষা করো আমি শাড়ীটা বদলিয়ে আসি
মা ভিতরের রুমে গেলেন
.
আহানা শান্তর পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখতেছে
শান্তর পরনে ব্রু টিশার্ট আর জিন্স সবই ঠিকঠাক ছেলেটার তবে স্বভাব খারাপ এই আর কি
.
চলো বাবা আমি তৈরি
.
শান্ত আহানার আম্মুর হাত ধরে হাঁটা ধরেছে
আহানা দরজার কাছে দাঁড়িয়ে চোরের মত চেয়ে আছে ওদের দিকে
.
মা থেমে গিয়ে বললো”আহানা বাসায় একা,আহানা যাবে না?”
.
শান্ত ব্রু কুঁচকে বললো”এই বিনা দাওয়াতের মেহমান!চলুন ”
.
আহানা মুখ বাঁকিয়ে বাসার দরজা আটকিয়ে ফেললো তারপর বাসার ভেতরে থেকে বললো “যাবো না”
.
না আমি আহানাকে রেখে যেতে পারবো না,একা একটা মেয়ে
.
আন্টি আপনি হাঁটা ধরেন আমি এরে আনতেছি
.
মা শান্তর কথামতন হেঁটে চললেন
শান্ত হাত কছলাতে কছলাতে বাড়ির সামনে এসে দরজা ধাক্কাতে শুরু করলো
.
কি?বললাম না যাবো না
.
তুমি যাবে না তোমার ২০গুষ্টি যাবে,চলো এখন!দরজা খুলো,এক নাম্বারের বেয়াদব একটা
.
আমি যাব না মানে যাব না
.
তাহলে তোমার মাকে আর দেখবা না,আমি উনাকে আমাদের বাসায় রেখে দিব,একা একা থাকো তুমি তাহলে
.
আহানা তাড়াহুড়ো করে দরজা খুলে ড্যাবড্যাব করে চেয়ে থেকে বললো”মা কোথায়?”
.
শান্ত ওর কথার উত্তর না দিয়ে ওর হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো
.
হাত ছাড়ুন,কথায় কথায় হাত ধরে টানাটানি শুরু করেন কেন আপনি?
.
শান্ত চিকন সরু মাটির পথটা দিয়ে হেঁটে চলেছে আহানার হাত ধরে
তারপর আহানাকে কারের সামনে এনে ওর হাত ছাড়লো শান্ত
মা চোখ বড় করে আহানার কাছে এসে ওর কানে ফিসফিস করে বললেন”কি সমস্যা তোর??এরকম করিস কেন?জানিস না শান্ত কি হয় তোর?”
.
তো?কি করবো?
.
কিছু করতে হবে না চুপ থাক
.
শান্ত কারের দরজা খুলে দিয়ে বসতে বললো আহানার মাকে
উনি আহানাকে নিয়ে ভিতরে এসে বসলেন
শান্ত কার চালাতে চালাতে রিপাকে কল করে বললো ডিনার রেডি করতে আহানার মাকে নিয়ে আসতেছে সে
তারপর বাসার সামনে আসতেই আহানার মা কেমন করে যেন চেয়ে রইলেন বাসার দিকে
তার ও ঠিক এরকমই একটা রাজপ্রাসাদ ছিল
তাও এই ভেবে খুশি হলেন যে আপনজন বলতে কাউকে তো পেলো অবশেষে
শান্তর মা যখন শুনেছেন আহানার মা আসতেছে তখন থেকে তিনি দরজার কাছে এসে বসে আছেন
আহানার মা কার থেকে নামতেই শান্তর মাকে দেখে বুবু বলে চিৎকার করে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরলেন তাকে
আহানা কার থেকে নেমেই ভ্যাত করে কেঁদে দিয়েছে ওদের দুজনের কান্না দেখে
.
এ্যা😭😭😭
.
শান্ত আহানার দিকে চেয়ে এক ভেটকানি দিয়ে চলে গেলো নিজের রুমের দিকে
আহানা কাঁদতে কাঁদতে এসে মায়ের পিঠে হাত বুলালো
শান্তর মা কান্না থামিয়ে এবার একটু হাসলেন তারপর ভিতরে চলে গেলেন সাথে আহানার মাকে নিয়ে
মুখ দিয়ে কিছুই বলতে পারছেন না অথচ এ কটা বছরে কত কথা জমিয়ে রেখেছিলেন তিনি
আহানা সোফায় বসে এদিক ওদিক দেখছে
আর তার মা মনের সব কথা শান্তর মাকে খুলে বলছেন
শান্তর মা ইশারা ইঙ্গিতে কথার তাল মেলাচ্ছেন
আহানা এবার উঠে বাসাটা একটু ঘুরে দেখতে চাইলো পরে ভাবলো ঐ লোকটার সাথে আবার দেখা হয়ে গেলে আবার আমাকে উল্টা পাল্টা বলবে তার চেয়ে বরং আমি গন্ধরাজের বাগানটা দেখে আসি
আহানা বাসা থেকে বেরিয়ে বাসার পিছন দিকটায় গেলো
বাতি জ্বালানো থাকায় বাগানটা বেশ সুন্দর লাগছে এবং স্পষ্ট ও লাগছে
আহানা ফুল কয়েকটা ছিঁড়ে কানে গুজে হাঁটা ধরলো,চারপাশে বাউন্ডারি করা মাঝখানে বাসা চারিদিকে গন্ধরাজ ফুলের ঘ্রানে মৌ মৌ করতেছে
আহানার মন চাচ্ছে এখানে সারাজীবন বসে থাকতে
এখানে অনেকক্ষণ থেকে আহানা এবার বাসার সামনে আসলো,বারবার সূর্যমুখী বাগানটার দিকে নজর যাচ্ছে তার
যদিও এই ফুল তার পছন্দের তালিকায় পড়ে না তাও দেখতে ভালো বলে একটু একটু করে এগোচ্ছে সে
বাগানটার ভিতরে ঢুকে সে মাথা উঁচু করে ফুলগুলো দেখে যাচ্ছে
শান্ত বারান্দায় একটা চেয়ারে বসে পা গ্রিলের উপর রেখে গান শুনছে আরামসে
হঠাৎ চোখ খুলতেই দেখলো সূর্যমুখীর বাগানটার কিছু ফুল নড়তেছে তারমানে নির্ঘাত আহানা সেখানে
শান্ত কান থেকে ইয়ারফোন খুলে এগিয়ে এসে বললো”আহানা!”
.
আহানার আর একটুর জন্য হার্ট এ্যাটাক হতো,বুকে থুথু দিয়ে পাশের বারান্দার দিকে চেয়ে বললো”ধমক দেওয়ার কি আছে?আমি কি ফুল ধরসি নাকি?”
.
ধরো নাই ছিঁড়ে ছিঁড়ে মাথায় দিসো,আমার মায়ের গন্ধরাজ ফুলের বাগানের সব ফুল দেখি মাথায় দিয়ে রাখসো তুমি
.
আপনার মা তো আমার আন্টি হয় তাই সেই অধিকারে ধরছি তাতে আপনার কি?
.
বের হও আমার বাগান থেকে তার পর বুঝাচ্ছি আমার কি
.
বের হবো না,আমার ইচ্ছা আমি এই বাগানটা ঘুরে ঘুরে দেখবো
.
শান্ত ভ্রুটা কুঁচকিয়ে বললো”ওয়েট আসতেছি আমি”
.
আহানা ঢোক গিলে বাসার ভিতর জলদি করে এসে সোফার পিছনে লুকিয়ে পড়েছে
শান্ত হনহনিয়ে বাগানের দিকে গিয়ে এদিক ওদিক তাকালো কোথাও আহানাকে পেলো না
.
আহানা হাঁপাতে হাঁপাতে বললো”মা/আন্টি কেউ বলবেন না আমি কই লুকিয়েছি”
.
শান্ত ড্রয়িং রুমে এসে চারপাশটা ভালো মতন দেখে নিলো,আহানা নেই
আহানার আম্মু সোফায় বসে আছেন পাশেই হুইলচেয়ারে শান্তর মা বসে আছেন দুজনেই শান্তর দিকে ভূত দেখার মতো চেয়ে আছেন
রিপা দাঁত কেলিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে আছে আর মিটমিট করে হাসতেছে
.
আচ্ছা,আহানা ছোটবেলায় সবসময় সোফার পিছনে লুকাতো,তো আই গেস ও এখনও সোফার পিছনেই লুকিয়েছে
আহানা কথাটা শুনতে পেয়ে জিভে কামড় দিয়ে পাশে দিয়ে বেরিয়ে এক দৌড় দিলো
শান্ত ও দৌড় দিলো
.
দেখছেন আপা দুজনে এখনও সেই আগের মতনই আছে,আমি তো ভেবেছিলাম এত বছর পরেও ওদের কিছু মনে থাকবে না কিন্তু এখন তো দেখি সব মনে আছে ওদের
তা আপনার ছোটটা কই?মেয়ে হলো নাকি ছেলে সেটাই জানতে পারলাম না ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস
.
মা মুচকি হেসে রিপার দিকে চেয়ে ইশারা করলেন
রিপা গেলো নিতুকে আনতে
নিতু পা টিপে টিপে সোফার রুমে আসলো
তারপর মুচকি হেসে সালাম দিয়ে পাশে বসে পড়লো আহানার মায়ের
মহিলাটির প্রতি তার আলাদা একটা শ্রদ্ধা আছে কারণ ছোট থেকেই সে মায়ের কাছে উনাদের ছবি দেখতো
আহানার মা নিতুর মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন”কি মিষ্টি মেয়ে,একদম দেখতে শান্তর মত হয়েছে”
.
শান্তর মা মুচকি হাসলেন
.
ওদিকে আহানা দৌড়াতে দৌড়াতে করিডোরের শেষ প্রান্তে এসে থেমে গেছে,আর যাওয়ার পথ নেই
শান্ত হাত মুঠো করে মুড়িয়ে মুড়িয়ে আসতেছে এদিকে
.
এই খবরদার আমাকে টাচ করবেন না বলে দিলাম
.
আমার বাগান নষ্ট করবে আর তোমাকে আমি এমনি এমনি ছেড়ে দিব?তা হচ্ছে না
.
ককককি করবেন আপনি?
.
শান্ত এগিয়ে এসে আহানার চুল ধরে টেনে বাইরে নিয়ে আসলো
.
ছাড়ুন লাগতেছে আমার,কি এমন করছি যে আমাকে এরকম শাস্তি দিচ্ছেন
.
এই যে কি করছো দেখো,আমার ২টা সূর্যমুখী ফুলগাছ মাঠির গোড়া থেকে নড়িয়ে চড়িয়ে দিসো যার কারণে ওগুলা মাটিতে শুয়ে গেছে এখন এই মূহুর্তে তুমি পুঁতে দিবা এগুলা নাহলে চুল টেনে ছিঁড়ে হাতে ধরায় দিব তোমার
.
মায়ায়ায়ায়ায়ায়া
আন্টিইইইইইইই
.
লাভ নাই!তোমাকে কেউ বাঁচাতে আসবে না,চুপচাপ আমার কাজ করে দাও নাহলে কাদা খাইয়ে দিব
.
আহানা ব্রু কুঁচকে মাটিতে গোল হয়ে বসে গাছগুলো পুঁতে দিচ্ছে আর মাঝে মাঝে আড় চোখে শান্তর দিকে তাকাচ্ছে
মনে মনে ঠিক করে নিয়েছে সে এর শোধ তুলবে যে করেই হোক
.
হুম পারফেক্ট,নেক্সট টাইম আমার বাগানে প্রবেশ করবা না তুমি ওকে?
এখন বের হও আমার বাগান থেকে
.
আহানা দাঁতে দাঁত চেপে চলে যাওয়ার সময় হাতের কিছু কাদা শান্তর গায়ে লাগিয়ে এক দৌড় মারলো
.
ইস!এই মেয়েটা এত দুষ্টু,আজকে আমাকে দিয়ে ১০০বার গোসল করিয়েছে,বেয়াদব!এরে হাতের কাছে পাই সিউর আমি ওরে কাদা খাওয়াবো
শান্ত আহানাকে বকতে বকতে আবার গোসল করতে চলে গেলো
চলবে♥