নেশাক্ত_ভালোবাসা #লেখিকাঃ Tamanna Islam #পর্বঃ ৬৯

0
1013

#নেশাক্ত_ভালোবাসা
#লেখিকাঃ Tamanna Islam
#পর্বঃ ৬৯

আব্রাহাম মখমলে বিছানার ওপর একটা হুয়াইট কালারের স্লিভল্যাস টি-শার্ট পরে ঘুমিয়ে আছে। একদম গভীর ঘুম। চুল গুলো উষ্কখুষ্ক হয়ে আছে। তখন আইরাত আসে রুমে। এসেই দেখে বাইরে থেকে ভেতরের পর্দা ভেদ করেই রোদ এসে রুমে আছড়ে পরছে। সেদিকে খেয়াল নেই আব্রাহাম পরে পরে ঘুমোচ্ছে। আইরাত গিয়ে বড়ো বড়ো পর্দা গুলো সরিয়ে দেয়। এবার যেনো রোদের প্রখর উষ্ণতা এসে সোজা আব্রাহামের মুখের ওপর পরে। এতে আব্রাহাম তার মুখ টা কুচকে ফেলে। আইরাত গিয়ে আব্রাহামের পেছনে দুইভাত ভাজ করে দাঁড়িয়ে পরে। আব্রাহামের দিকে উঁকি ঝুকি দিচ্ছে। আইরাত এভাবেই উঁকি দিচ্ছিলো তখন আচমকাই আব্রাহাম আইরাতের দিকে ঘুড়ে তার কোমড়ে ধরে দেয় এক টান। এতে আইরাত ধিরিম করে আব্রাহামের ওপর পরে যায়।

আইরাত;; ওও মা, আমার কোমড় টা শেষ।

আব্রাহাম;; হুমম কোথায় দেখি আমি একটু কোমড়ে মালিশ করে দেই।

আইরাত;; এই না না হয়েছে থাক।

আব্রাহাম;; লুকিয়ে লুকিয়ে আমাকে দেখা হচ্ছিলো!

আইরাত;; আমি আপনাকে লুকিয়ে দেখতে যাবো কেনো। না মানে সামনে এসেও তো দেখা যাবে তাই না লুকিয়ে দেখবো কেনো?

আব্রাহাম;; হুমম। এখন আমার একটা জিনিস দরকার।

আইরাত;; কোন জিনিস না আব্রাহাম,, উঠুন ফ্রেশ হোন। আমাকে অফিসে যেতে হবে আর আপনার আজ মিডিয়ার সাথে ইন্টারভিউ আছে। দ্রুত উঠুন আব্রাহাম।

আব্রাহাম;; অফিস আর ইন্টারভিউ কে গুল্লি মারি। ঘোড়ার ডিম দিলে তো মুড টার বারো টা বাজিয়ে। এখন তো আমার জিনিস টা লাগবেই।

আইরাত;; আচ্ছা কি লাগবে বলুন।

আব্রাহাম;; Now i wanna morning kiss..

আইরাত;; কি?

আব্রাহাম;; জ্বি।

আইরাত;; না মানে, আচ্ছা উঠুন আপনি পরে এগুলো দেওয়া-নেওয়া যাবে তো।

আব্রাহাম;; এই চুপ,,, তরে এখনই দিতে বলছি তুই এখনই দিবি।

আইরাত;; ধমক দেওয়ার কি আছে 😒

আব্রাহাম;; কথা শুনলে কি আর ধমক দিতে হয়। বেবিগার্ল জলদি কিসসি দাও তো।

আইরাত আর না পেরে আব্রাহামের গালে চুমু দিতে দেয়। আইরাতের দেওয়াতে যেনো আব্রাহামের পেট ভরে নি তাই আব্রাহাম উলটে গিয়ে আইরাতকে কে তার নিচে ফেলে দেয়। তারপর আইরাতের গালে, কপালে, গলায় ইচ্ছে মতো চুমু দিতে থাকে। আর এদিকে আইরাতের হাসতে হাসতে পেটে ব্যাথা হওয়ার মতো অবস্থা।

আইরাত;; আব্রাহাম প্লিজ স্টপ দিস 😆😆😅।

আব্রাহাম;; আই লাভ ইউ।

আইরাত;; টু 😆।

আব্রাহাম;; এভাবে হাসছো কেনো?

আইরাত;; আপনার ওই খোচা খোচা চাপদাড়ি গুলো দিয়ে সুরসুরি লাগছে আমার 😆।

আব্রাহাম;; তাই না।

এই বলে আব্রাহাম আবার আইরাতের গলায় সুরসুরি দেওয়া শুরু করে দেয়। অবশেষে আইরাত কোন রকমে আব্রাহামকে ছাড়িয়ে ছুটে এসে পরে।

আইরাত;; আল্লাহ, হাসতে হাসতে আমি শেষ। আচ্ছা শুনুন আপনি উঠুন আমি নিচে যাই।

আব্রাহাম;; রান্নাঘরে যাবে না কিন্তু।

আইরাত;; এই চুপ আবার শুরু হয়েছে আগের কাহিনী। আমি তো আর ওইভাবে রান্না করি না জাস্ট সিম্পল কিছু ব্রেকফাস্ট। সেগুলো নিজ হাতে করি সবসময় কি আর স্টাফদের হাতের খাবার ভালো লাগে।

আব্রাহাম;; ওকে ফাইন।

আইরাত নিচে চলে গেলো।

আইরাত;; দাদি, কি খাবে বলো। রনিত, রনিত!!

ইলা;; কিরে কি করিস?

আইরাত;; কিছু না এইতো হালকা পাতলা রান্না। রনিত কোথায়?

ইলা;; ব্রাশ করছে।

আইরাত;; ওহহ আচ্ছা।

ইলা;; আব্রাহাম উঠেছে?

আইরাত;; হ্যাঁ

ইলা;; ওর জন্য কফি বানাবো?

আইরাত;; ফ্রেশ হতে গেলো তো মাত্রই আর একটু পর বানাও।

ইলা;; আচ্ছা, আইরু দেখ সোফার ওপর তোর ফোন বাজছে।

আইরাত;; আচ্ছা দেখছি।

আইরাত গিয়ে ফোন রিসিভ করে কিছুক্ষন কথা বলে তারপর রেখে দেয়। আব্রাহাম ততক্ষণে ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে আসে। তারপর সবাই একসাথে খাবার টেবিলে বসে। আইরাতের পাশেই আব্রাহাম বসে। আর আব্রাহামের স্বভাব তো আইরাত বেশ ভালো করেই জানে। নির্ঘাত টেবিলের নিচ দিয়ে পায়ে সুরসুরি দিবে। তাই আইরাত তার চেয়ার টা হালকা সরিয়ে দেয়। আব্রাহাম সাথে সাথেই তার হাত দিয়ে আইরাতের হাত খপ করে ধরে ফেলে।

আব্রাহাম;; সাহস কি করে হলো আমার থেকে দূরে যাওয়ার।

আইরাত;; এখানে অন্তত কোন বাদরামি না করে চুপচাপ খান।

ইলা;; আইরাত..!

আইরাত;; আব..হ্য হ্যাঁ দাদি।

ইলা;; ব্রেড আরেকটা দিবো?

আইরাত;; না না, রনিত কে দাও।

আব্রাহাম;; অফিসে যাবে না তুমি?

আইরাত;; না আসলে রাশেদ ফোন করেছিলো তো তেমন কিছু নেই আজকে। মানে তেমন কোন কাজ নেই। তো আমিও ভাবলাম যে আজ না যাই।

আব্রাহাম;; আমার সাথে যাবে।

আইরাত;; কোথায়?

আব্রাহাম;; ইন্টারভিউ এ

আইরাত;; এইসব মিডিয়া, প্রেস আবার?

আব্রাহাম;; প্রফেশন টাই এমন,, না যেয়ে উপায় নেই।

আইরাত;; হুমম। ওকে তো কখন যাবেন?

আব্রাহাম;; দেরি আছে, কয়েক ঘন্টা পর। গার্ড বলবে।

আইরাত;; ওহহ।

এভাবেই সকাল টা তাদের কেটে আয়। আব্রাহাম সবার সাথে বেশ সময় কাটিয়ে ওপরে রুমে চলে যায়। আইরাত গিয়ে তাকে এক কাপ কফি দিয়ে এসেছে। আজ যেহেতু সবাই প্রায় বাসাতেই আছে তাই আইরাত ভাবলো যে নতুন কিছু র‍্যাসিপি ট্রাই করা যাক। যেই ভাবা সেই কাজ। আইরাত আর ইলা গিয়ে রান্নাঘরে মিষ্টি ঝাল সবই বানাচ্ছে। প্রথমেই পায়েস আর লাড্ডু বানিয়ে নেয়। মাত্রই বানালো আইরাত,, তাই একটা ছোট বাটিতে বেশ কিছু লাড্ডু নিয়ে নেয়। রনিত ড্রোইং রুমে বসে বসে খেলছিলো আইরাত তার মুখে একটা লাড্ডু দিয়ে আবার কিছুটা ছুটে সিড়ি বেয়ে ওপরে রুমে আব্রাহামের কাছে চলে যায়। আইরাত গিয়ে ঠাস করে রুমের দরজা মেলে দাঁড়ায়। আব্রাহাম নেই,, তাহলে কোথায় গেলো? আইরাত করিডরে গিয়ে দেখে বাইরের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে আব্রাহাম কফি খাচ্ছে। আইরাত তার গুটি গুটি পা ফেলে আব্রাহামের দিকে এগোতে লাগে। উদ্দেশ্য আব্রাহাম কে ভোওওও করে চমকে দেওয়া৷ আইরাত যেই না আব্রাহামের পেছনে গিয়ে দাঁড়ায় তখনই আব্রাহাম বলে ওঠে…….

আব্রাহাম;; বাচ্চামো এখনো গেলো না তোমার?

আইরাত;; 🙁🙁

আব্রাহাম তার পেছন ঘুড়ে আইরাতের দিকে তাকায়। আইরাত মুখ টা লটকিয়ে দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আব্রাহাম তখনই টুক করে আইরাতের নাকের ডগার ওপর একটা চুমু একে দেয়। আইরাত ফিক করে হেসে দেয়।

আইরাত;; আচ্ছা শুনুন এটা খান। আমি নিজে বানিয়েছি।

আব্রাহাম;; কি?

আইরাত;; দিল্লি কা লাড্ডু!

আব্রাহাম;; দিল্লি? তুমি ইন্ডিয়া কবে গেলে?

আইরাত;; আরে না না আনি ইন্ডিয়া যাই নি। আসলে এই লাড্ডুর নামই দিল্লিকা লাড্ডু।

আব্রাহাম;; হুম তু………

আইরাত;; আরে আগে ধরুন, মুখ খুলুন।

আব্রাহাম;; আরে কিন্তু উ উম উম্ম….

আইরাত ঠেসে একটা লাড্ডু আব্রাহামের মুখে পুড়ে দেয়। আর আব্রাহামের তো চাবানো মুশকিল হয়ে গেছে। গাল গুলো ফুলে গেছে। কোন রকমে চিবুচ্ছে। আর আব্রাহামের এমন হাল দেখে আইরাত হেসে দেয়।

আইরাত;; হিহিহিহি।

আব্রাহাম তা কোন রকমে খেয়ে ফেলে।

আব্রাহাম;; এভাবে কেউ খাওয়ায়। আর এগুলো লাড্ডুর সাইজ এতো বড়ো কেনো?

আইরাত;; এগুলো এমনই হয়। কেমন হয়েছে?

আব্রাহাম;; দারুন তবে এটা খেয়ে পেটও ভরলো না আর মনও না।

আইরাত;; তাহলে, আরে তাহলে আরেকটা নিন।

আব্রাহাম;; তোমাকে খাই।

আইরাত;; এহ??

আব্রাহাম;; হ্যাঁ তোমাকে খাই একটু।

আইরাত;; লুচু কোথাকার চুপ করুন। আর বলুন না কেমন হয়েছে?

আব্রাহাম;; সত্যি অনেক মজা হয়েছে আমার আইরাত বানিয়েছে ভালো হবে না। প্রচুর মিষ্টি তবে তোমার থেকে বেশি না।

আইরাত;; সব পাম পট্টি দেওয়া শেষ?

আব্রাহাম;; আরে সত্যি। তবে প্রচুর মিষ্টি।

আইরাত;; আরে হয়েছে একদিন একটু মিষ্টি খেলে আপনার বডি ফিটন্যাস নষ্ট হবে না। আসছে রে আমার Health conscious টা।

আব্রাহাম;; হুমম, রেডি হয়ে নাও। বের হবো আমরা।

আইরাত;; আচ্ছা।

আইরাত গিয়ে সব কিছু ঠিক ঠাক করে ফেললো। তারপর এসে রেডি হয়ে নেয়। আব্রাহাম ব্লেক কালারের রিপ প্যান্ট পরে ওপরে এশ কালারের শার্ট পরে তারপরে জেকেট জড়িয়ে নেয়। এদিকে আইরাত এই যে চেঞ্জিং রুমে ঢুকেছে তার আর বের হবার নাম নেই। এর মাঝে আব্রাহাম দুবার ডাকও দিয়েছে তাকে। আব্রাহাম আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বডি তে পারফিউম দিচ্ছে। হাতে ঘড়ি পরছিলো তখনই চেঞ্জিং রুমের দরজা স্বশব্দে খুলে আইরাত বের হয়ে আসে। আব্রাহাম আইরাতের পা থেকে শুরু করে মাথা অব্দি একবার স্ক্যান করে নেয়। আইরাত স্লিভল্যাস একটা জামা পরেছে কিছুটা ব্যাকল্যাসও,, জামাটা হাটু অব্দি কিন্তু সে যে জুতো পরে আছে সেটা আবার পা থেকে শুরু করে একদম হাটুর খানিক নিচ পর্যন্ত। অর্থাৎ লং জুতো। আইরাত নেভি ব্লু কালারের ড্রেস পরেছে। ফর্সা গায়ে যেনো বেশ মানিয়েছে। চুল গুলো পেছনে ছেড়ে দেওয়া। আইরাতের হাতে দুটো হুয়াইট রিং আর একটা হুয়াট স্টোনের ব্রেসলেট। আইরাত আব্রাহামের দিকে এগিয়ে আসে। আব্রাহামের দিকে তাকিয়ে নিজের ভ্রো জোড়া খানিক নাচায়। আব্রাহাম মুচকি হেসে দিয়ে নিজের আঙুল দিয়ে কপালের সাইডে কিছুটা স্লাইড করে।

আব্রাহাম;; আহাম, আহাম।

আইরাত;; কি হয়েছে জামাইজান?

আব্রাহাম;; লুকিং হট।

আইরাত আব্রাহামের দিকে সরু দৃষ্টি নিক্ষেপ করে চলে আসে। তারপর তারা বের হয়ে পরে। আব্রাহাম আর আইরাত একটা জায়গায় এসে থামে। এখানে অনেক বেশিই মানুষের ভীড়। আর সবগুলোই প্রায় মিডিয়ার লোক। অনেক গুলো গার্ড আব্রাহাম-আইরাতের গাড়ি কে প্রটেকশন দিয়ে রেখেছে। সবাই সাইড দেয়। তখনই আব্রাহাম-আইরাত গাড়ি থেকে নেমে গিয়ে সামনে এগোয়। চারিপাশে তাদের অনেক গার্ড। ক্যামেরাম্যানরা ছবির ওপরে ছবি তুলছে তাদের৷ অবশেষে আব্রাহাম-আইরাত এসে সবার সামনে স্টেজে গিয়ে বসে। তাদের সামনে মিডিয়া প্রেসের অভাব নেই। মাঝে মাঝে আব্রাহাম আইরাতের কানের কাছে গিয়ে কথা বলছে আর আইরাত হাসছে। অতঃপর একজন ইন্টারভিউয়ার গিয়ে আব্রাহাম-আইরাতের সামনে গিয়ে বসে। বেশ সময় কুশল বিনিময় করে।

সামিয়া (ইন্টারভিউয়ার);; তো মিস্টার. আব্রাহাম আহমেদ চৌধুরী এন্ড মিসেস. চৌধুরী। আপনাদের নিয়ে এক প্রকার তোলপাড় চলছে মিডিয়া জগৎ এ। আপনাদের নিয়ে বেশকিছু প্রশ্নও আছে।

আব্রাহাম;; জ্বি যা কিছুই আছে জিজ্ঞেস করতে পারেন।

সামিয়া;; আগে আমি আমার নিজের ডাউট ক্লিয়ার করি। এই আব্রাহাম চৌধুরী অর্নীল আর আব্রাহাম আহমেদ চৌধুরীর কাহিনী কি?

আব্রাহাম;; কাহিনী কিছুই না,, দুইজন একই ব্যাক্তি এই আমিই। থাকে না মানুষের নাম দুই টা। আমারও হলো।

সামিয়া;; এখন মেইন প্রফেশন হিসেবে কি চুস করে নিয়েছেন আপনি? এই গ্লামার ওয়াল্ড নাকি মাফিয়া?

আব্রাহাম;; দুটোই আছি। যখন যার প্রয়োজন পরে। না মানে ব্যাসিক্যালি এই মাফিয়া বা গ্যাংস্টার যে শব্দ গুলো আছে এগুলো হলেও মানুষ তা সবার সামনে অস্বীকার করে। লুকোনোর চেষ্টা করে। কিন্তু না আমার এইক্ষেত্রে কোন দ্বিধাই নেই। আই ক্যান প্রাউডলি সে দ্যাট আই এম এ মাফিয়া। এতে যে যাই ভাবুক বলুক আই র‍্যালি ডোন্ট কেয়ার এবাউট দ্যাট।

সামিয়া;; দিস ইস কল্ড এটিটিউড।

আব্রাহাম;; আমার থেকে বড়ো একজন আমার পাশে বসে আছে। এটিটিউডের গোডাউন।

আব্রাহামের এমন কথায় সবাই হেসে দেয়।

সামিয়া;; আইরাত ম্যামের তো কথাই নেই। সিরিয়াসলি এতো কম সময়ে এসে এতো বড়ো কিছু এচিভ করাটা বেশ টাফ। আপনারা কতো টুকু সাকসেসফুল তা বলার আর কোন দরকারই পরে না। এবার আসি আপনাদের লাভ লাইফে। মানে কেউ শুধু আব্রাহাম বা শুধু আইরাত এদের আলাদা আলাদা নাম নেয় না। আব্রাহাম-আইরাত এই দুটো নাম সবসময় একসাথেই উচ্চারণ করা হয়। বেস্ট কাপল আই হ্যাভ এভার সিন।

আইরাত;; থ্যাং ইউ।

সামিয়া;; আচ্ছা আব্রাহাম স্যার আপনি কখনো নিজের রিলেশনশীপ স্ট্যাটাস পাবলিক করেন নি কেনো? মানে আপনি সিংগার পেশা টার ক্ষেত্রে আইরাত ম্যামের সাথে আপনার সম্পর্ক টা পাবলিক করেন কি কেনো?

আইরাত;; এর পেছনে অনেক বড়ো লম্বা কাহিনী আছে। বলতে বলতে রাত হয়ে যাবে। অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তাকে।

সামিয়া;; 😅😅

আব্রাহাম;; না আইরাতের সাথে আমার বিয়ে হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগেই। আমি ম্যারিড।

সামিয়া;; আপনি জানেন আপনার এই কথা টায় আজ কতো গুলো মেয়ের মন খানখান হয়েছে?

আব্রাহাম;; করার কিছুই নেই। আমার আইরাত আছে।

সামিয়া;; আচ্ছা তো আব্রাহাম স্যার আপনার আর ম্যামের প্রথম দেখা কোথায় হয়?

আব্রাহাম এমন প্রশ্নে আইরাতের দিকে হেসে দিয়ে তাকায়। আইরাত নিজেও বুঝতে পেরেছে যে আব্রাহাম কেনো তার দিকে তাকিয়ে হাসছে।

আইরাত;; কি থামলেন কেনো। বলুন,, আমাদের কোথায় দেখা হয়েছিলো প্রথম আব্রাহাম? বলুন।

সামিয়া;; এমন কোথায় দেখা হয়েছিলো?

আব্রাহাম;; ওকে ফাইন! আইরাতের সাথে প্রথম দেখা হয় আমার একটা বারে।

আব্রাহামের এমন কথায় সব পাবলিক ওওওওওওওওওওওও করে ওঠে।

আব্রাহাম;; না না তেমন কিছু না। আইরাত তার বেস্টফ্রেন্ডের বার্থডে সেলিব্রেইট করার জন্য সেখানে যায় আর কাকতালীয় ভাবে আমার নজরে পরে যায়। জানি না ওর মাঝে কি ছিলো। বাট বিলিভ মি আইরাতকে দেখার পর থেকে আমার দু রাতের ঘুম পুরো হারাম ছিলো।

সামিয়া;; কথা বলা কীভাবে স্টার্ট হয়?

আইরাত এবার আব্রাহামের হাত ধরে হেসেই দেয়। আব্রাহাম বুঝেছে যে কেনো আইরাত হাসছে।

আব্রাহাম;; মানে আমাদের লাভ লাইফ নিয়ে এতো বেশি ইন্টারেস্ট কেনো আপনার?!

সামিয়া;; স্যার শুধু আমার না আমাদের সবারই।

আব্রাহাম;; As usual,, আইরাত খুব সিম্পল একটা মেয়ে ছিলো। চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলো। আর তার মাঝেই আমি হুট করে তাকে বলে দেই “” হেই বিউটিফুল একরাতের জন্য আমার বউ হবে?””

আব্রাহামের কথায় সবাই হেসেও দেয় আবার সেই সাথে অবাকও হয়।

সামিয়া;; হুয়াট?

আব্রাহাম;; Exactly…

সামিয়া;; ওহ গড, ম্যামের রিয়েকশন কেমন ছিলো?

আব্রাহাম;; আইরাত অবাকের চরম পর্যায়ে গিয়ে অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো।

সামিয়া;; ম্যাম?

আইরাত;; মানে ব্যাপার টা কিছুটা এমন যে আমি যেতে চাই নি কিন্তু আমার ফ্রেন্ড জোর করে নিয়ে গেছে। আমি আমার মতোই ছিলাম তার মধ্যে হুট করেই এমন কথা। মানে কি যে একটা অবস্থা ছিলো। তবুও আমি অনেক কথা শুনিয়ে এসে পরি।

আব্রাহাম;; তবে আমি ওর পিছু ছাড়ি নি। আর সেইদিন থেকে আইরাতের পিছু ছাড়ি নি বলেই আজ এই পর্যন্ত আসতে পেরেছি।

সামিয়া;; ওকে তো ম্যাম আপনাকে আব্রাহাম স্যার কি নামে ডাকে?

আইরাত;; ইউ মিন নিকন্যাম?

সামিয়া;; জ্বি।

আইরাত;; জানপাখি & বেবিগার্ল। মানে এই দুটো নাম আব্রাহামের একদম মার্ক করা। এগুলো আব্রাহামের দেওয়া নাম। ও আমাকে আইরাত বলে খুব কমই ডাকে। মানে আব্রাহাম যখন খুব বেশি সিরিয়াস থাকে তখন আমাকে আইরাত বলে ডাকে৷ আর আমিও বুঝি যে জামাই আমার এখন সিরিয়াস মুডে।

সামিয়া;; হাহাহাহা,, আচ্ছা তো স্যার ভালোবাসা কি? মানে আপনার মতে ভালোবাসা কি?

আব্রাহাম;; এটা ঠিক মুখে প্রকাশ করার মতো না। ভালোবাসার নির্দিষ্ট কোন সংজ্ঞা নেই। একেক জনের কাছে ভালোবাসার সংজ্ঞা একেক রকম। কারো কাছে ভালোবাসা পাওয়ার অফুরন্ত আনন্দ-খুশি আবার কারো কাছে ভালোবাসা না পাওয়ার বুক ফাটা আর্তনাদ। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে এটা যে আমার উভয়েরই অভিজ্ঞতা আছে। আমি ভালোবাসা নামক জিনিসের একদম বাধভাঙ্গা খুশিকেও জানি আবার তা হারিয়ে ফেলার নরক যন্ত্রণাও। কারণ আমার সাথে দুটোই হয়েছে। একচুয়ালি আমাদের সাথে। তবে এখন আমাদের জীবন টা খুশির ভাগেই পরে। পরিশেষে শুধু এটাই বলার আমার আইরাত না থাকলে আমি নেই (আইরাতের দিকে তাকিয়ে)

সামিয়া;; হাউ সুইট। আমার তো এখন হিংসে হচ্ছে আপনাদের মতো এত্তো কিউট কাপল কে দেখে।

আইরাত;; আরে সবার জীবনেই কেউ না কেউ আসে। তোমারও আসবে।

সামিয়া;; আচ্ছা লাভ স্টোরি তে যেমন বাবা বা ভাই রা শত্রু হয়ে দাঁড়ায় মানে মেয়েদের ক্ষেত্রে আরকি তো আইরাত ম্যামের সাথে কি এমন কিছু হয়েছে কখনো?

আইরাত;; না। আমার চাচ্চু যখন বেচে ছিলেন তখন তিনি কিছুটা আপত্তি জানান কিন্তু পরক্ষনেই আবার সব ঠিক। তেমন ভাবে ফ্যামিলি থেকে কোন শত্রু ছিলো না।

সামিয়া;; আচ্ছা তো, দুইজনের মাঝে কে বেশি ডেয়ারিং মানে স্যার নাকি ম্যাম?

এবার আব্রাহাম আইরাতের দিকে আঙুল দিয়ে দেখায় আর আইরাত আব্রাহামের দিকে তার আঙুল দিয়ে দেখায়। সামিয়া হেসে দেয় সাথে বাকি সবাইও।

সামিয়া;; ম্যাম আব্রাহাম স্যার কি ভালোবাসায় পাগলামি করে?

আব্রাহাম;; ভালোবাসার আরেক নাম পাগলামি।

আইরাত;; প্রচুর। আর কিছু বললাম না শুধু প্রচুর টাই বলে দিলাম। এখন বাকি টুকু বুঝে নাও। মানে আমি বলতে পারবো না যে ও ঠিক কি কি করেছে।

সামিয়া;; কে বেশি ভালোবাসা প্রকাশ করে?

আইরাত;; আব্রাহাম।

আব্রাহাম;; আমার বেবিগার্ল।

সামিয়া;; আচ্ছা বুঝলাম 😅😅।

সামিয়া আর বেশ সময় কথা বলে তাদের সাথে। একটা সময় আব্রাহাম-আইরাত এসে পরে। আইরাত-আব্রাহাম হাইওয়ে দিয়ে আসছিলো। আব্রাহাম ড্রাইভ করছে আর আইরাত উইন্ড দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে গালে হাত দিয়ে। আইরাত গাড়ির সামনে তাকায়। তারপর একটা বাটনে প্রেস করে। তাতে গাড়ির ওপরের রুফ টা আপনা আপনিই খুলে নেমে পরে। এবার যেনো বাইরের সব হাওয়া ভেতরে আসছে। আইরাত এক পাশে হয়ে বসে আব্রাহামের দিকে তাকিয়ে থাকে। আব্রাহাম সামনে তাকিয়ে থাকলেও আইরাত যে তার দিকে তাকিয়ে আছে তা সে অবশ্য ভালোই বুঝতে পেরেছে। আব্রাহাম ড্রাইভ করতে করতেই বলে……

আব্রাহাম;; বেবিগার্ল এভাবে তাকিয়ে থাকলে কিন্তু এক্সিডেন্ট হয়ে যাবে।

আইরাত;; হোক

আব্রাহাম;; তুমি চাও এক্সিডেন্ট হোক?

আইরাত;; তেমন না। কিন্তু এক্সিডেন্টের ভয়ে আমি আপনার দিকে তাকানো বন্ধ করবো না। তাতে এক্সিডেন্ট হলে হোক।

আব্রাহাম;; চলো কিছু করি।

আইরাত;; মানে?

আব্রাহাম;; fly boarding…

আইরাত;; এখন?

আব্রাহাম;; হ্যাঁ।

আইরাত;; সব এরেঞ্জ করতে হবে, আর অবশ্যই আমরা এই গেটাপে ফ্লাইবোডিং করতে পারবো না।

আব্রাহাম;; সব কিছুর এরেঞ্জম্যান্ট করতে মাত্র দু মিনিট লাগবে।

আইরাত;; ওকে দ্যান।

আব্রাহাম প্রায় আরো এক ঘন্টার মতো ড্রাইভ করে। তারপর একটা বিচ সাইডে নিয়ে এসে পরে। গার্ড রা গিয়ে ফ্লাইবোর্ডিং এর মেশিন টা নিয়ে আসে। আসলে এটা একটা ওয়াটার রাইডের মতো। এটা বেশির ভাগ বিচ সাইডেই করা হয়। ফ্লাইবোর্ডিং এর ক্ষেত্রে পায়ের নিচে একটা ভারি লম্বা বস্তুর মতো জিনিস রেখে দেওয়া হয়। তার ঠিক মাঝ বরাবর একটা মোটা পানি নির্বাহীর মতো যন্ত্র থাকে। এই ফ্লাইবোর্ডিং একা বা দুইজন মিলে করা করা যায়৷ এটা সমুদ্রে বা যেখানে প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে সেখানে করা যায়। পানির ওপরে শূন্যে ভাসা যায়। অর্থাৎ এক প্রকার স্কাই ডাইভিং এর মতোই কিন্তু পায়ের নিচ দিয়ে পানির দ্রুত স্রোত থাকে। এই ফ্লাইবোর্ডিং দিয়ে অনেক উঁচু তে ওঠা যায়। পায়ের জায়গায় বেশ কিছু প্রসেস থাকে সেখানে নিজের ইচ্ছে মতো কোন্ট্রল করা যায়। যেভাবে খুশি মন মতো হাওয়াতে ভেসে ড্রাইভ করা যায়। ওপরে যেই ব্যাক্তি থাকে সে পানির মাধ্যমে ওপরেই ভেসে বেড়াতে থাকে তবে নিচে সমুদ্র তে বেশ কিছু স্পীড বোর্ড থাকে যেগুলোর সাথে পানির কানেকশন থাকে আর ওপরে থাকা ব্যাক্তিটাকে সাপোর্ট দিতে থাকে। (চাইলে কেউ সার্চ করে দেখতে পারেন)

আইরাত আর আব্রাহাম এখন যেখানে আছে সেখানে এক প্রকার বিচ সাইড ই। তাদের সাথে সাথে অনেক মানুষও রয়েছে। আব্রাহাম তো তার ফরমাল গেটাপেই ছিলো তাই তার চেঞ্জ করতে হয় নি আইরাত গিয়ে একটা পেন্ট আর টি-শার্ট পরে আসে। আইরাত বের হয়েই দেখে আব্রাহাম গার্ড দের সাথে কথা বলছে। আইরাত কে আসতে দেখে আব্রাহাম একদম রেডি হয়ে গেলো। বোর্ডের সাথে অর্থাৎ যে জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভিং করা হয় সেখানে এক জোড়া জুতো থাকে। ভারি আর খুব মজবুত। আব্রাহাম সেগুলো পায়ে পরে নেয়। আইরাত এসে আব্রাহামের পাশে কোমড়ে দুই হাত রেখে দাঁড়ায়।

আইরাত;; আমার কিন্তু নারভাস লাগছে।

আব্রাহাম;; ওইযে সামনে যে সমুদ্র দেখছো তোমার নারভাস গুলো সব সেখানে ছুড়ে মারো।

আইরাত;; যদি আমি উঁচু থেকে পরে যায়।

আব্রাহাম;; আইরাত, তুমি আমার বাহুতে আবদ্ধ থাকবে।

আইরাত;; না মানে।

আব্রাহাম;; আমি কিন্তু ফেলে দিবো।

আইরাত;; এহহ

আব্রাহাম হাতে গ্লাভস পরে নেয়। কোমড়ে একটা বেল্টের মতো পরে নেয়। তারপর আইরাতের কোমড় জড়িয়ে ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়। এই ফ্লাইবোর্ডিং এর যে ট্রেইনার আছে সে আস্তে করে তাদের পানিতে নামিয়ে দেয়। পানি গুলো কি ঠান্ডা। পানির বেশ মাঝ বরাবর আব্রাহাম-আইরাত গিয়ে থামে। তখন ৩-৪ টা স্পীড বোর্ড পানিতে নামে। আস্তে আস্তে আব্রাহাম-আইরাত ওপরে উঠে পরে। আর আব্রাহামের দু পায়ের নিচ দিয়ে তীব্র বেগে পানির ধারা বয়ে যাচ্ছে। আস্তে আস্তে তারা দুইজন বেশ ওপরে ওঠে পরে৷ আইরাত আব্রাহামের শার্ট খামছে ধরে চোখ খিচে বন্ধ করে আছে।

আব্রাহাম;; বেবিগার্ল দেখো উঁচু থেকে সবকিছু কত্তো সুন্দর লাগে। মানুষ গুলো কে লিলিপুটের মতো লাগছে দেখতে। তুমি আস্তে আস্তে চোখ খুলো। একদম নিচে তাকিয়ো না শুধু আশে পাশে তাকাও দেখো।

আইরাত;; হুমম।

আব্রাহাম;; গেট রেডি।

আইরাত;; কেনো?

তখনই আব্রাহাম আইরাতকে নিজের সাথে চেপে ধরে একটা ঘুরান্টি দেয়। আইরাত আব্রাহাম কে জড়িয়ে ধরে শক্ত করে। আর এদিকে আব্রাহাম মিটিমিটি করে হাসছে। মাঝে মাঝে আব্রাহাম আইরাতের কোমড়ে ধরে নিজের থেকে কিছুটা আলগা করে ঘুড়িয়ে দিচ্ছে। প্রথমে আইরাতের ভয় লাগলেও এখন সে একদম নরমাল। আব্রাহাম আইরাতের হাত ধরে এবার একটু জোরেই ঘুড়িয়ে দেয়। তারপর আবার আইরাতকে নিজের বুকের ওপরে ফেলে। আইরাত হেসে দেয়। দূর থেকে কি যে সুন্দর লাগছে আব্রাহাম-আইরাত কে। সবকিছুর উর্ধ্বে আব্রাহাম আর আইরাত একসাথে ওপরে ভাসছে। আব্রাহাম তার মাথা আইরাতের মাথার সাথে লাগিয়ে দেয় তারপর তারা ঘুরতে থাকে। তারপর থামিয়ে দেয়। এভাবেই প্রায় ৩০ মিনিটের মতো ওপরে ভেসে আব্রাহাম- আইরাত আস্তে আস্তে নিচে নেমে আসে। ইট”স কল্ড ফ্লাইবোর্ডিং। নিচে নেমে এসে আইরাত আগেই নেমে পরে তারপর আব্রাহাম তার ওপর থেকে জেকেট টা খুলে হাতের গ্লাভস গুলো খুলে গার্ডের হাতে দিয়ে দেয়।

আব্রাহাম;; কেমন লাগলো?

আইরাত;; ইট”স র‍্যালি ওসাম। দারুন ছিলো।

আব্রাহাম;; এবার বাসায় যাই?

আইরাত;; হ্যাঁ চলুন।

আব্রাহাম-আইরাত বাসায় চলে যায়। সারাটাদিন এভাবেই চলে যায়। এখন রাত বাজছে প্রায় এগারো টার মতো। আব্রাহাম হেলান দিয়ে বিছানাতে বসে আছে। আর আইরাত আব্রাহামের কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে আছে। আব্রাহাম এক হাতে ল্যাপটপ চালাচ্ছে আরেক হাত দিয়ে আইরাতের মাথায় বিলি কেটে দিচ্ছে। আর আইরাত তো আইরাতই,, সে তার মতো করে বকবক করেই যাচ্ছে। আর আব্রাহাম শুধু হুমম হুমম করে যাচ্ছে। এবার যেনো আইরাতের রাগ উঠে পরে তাই আইরাত এক লাফে উঠে বসে পরে৷ আব্রাহামের দিকে কপাল কুচকে তাকায়। তারপর আইরাত আব্রাহামের চোখ থেকে চশমা টা খুলে নিয়ে ল্যাপটপ টা বন্ধ করে দেয়। আব্রাহামের সামনে একদম থুম মেরে বসে আব্রাহাম কে বলে ওঠে….

আইরাত;; আমি বিয়ে করবো 😒

আব্রাহাম;; ওহহ আচ্ছা,, হ্যাঁ কি বললা?

আইরাত;; আমি বিয়ে করবোওওওওওওওওও।

আব্রাহাম;; আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে তো ?

আইরাত;; না না আমি আপনাকে আবার বিয়ে করবো।

আব্রাহাম নিজের দুইহাত দিয়ে আইরাতকে নিজের কাছে টেনে নেয়।

আব্রাহাম;; এতো রাতে বিয়ে করার শখ হয়েছে তোমার? কিন্তু এখন আমার তো অন্য কিছুর শখ জেগেছে।

আইরাত;; আরে আপনি আমার কথা শুনুন আমি বিয়ে করবো। আব্রাহায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়াম, আমি বিয়ে করবো।

আব্রাহাম;; আচ্ছা করবো।

আইরাত;; সত্যি 😃?

আব্রাহাম;; হ্যাঁ। এবার এদিকে এসো।

আব্রাহাম আইরাতকে নিজের বুকের মাঝে একদম আগলে নেয়। সে আইরাতের মাথার পেছনে এক হাত রেখে দেয় আরেক হাত আইরাতের কোমড়ে রেখে দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে রাখে। আইরাতও আব্রাহামের বুকে মুখ লুকায়। আব্রাহামের বুকের উষ্ণতায় আইরাত তার চোখ বন্ধ করে রাখে। আব্রাহাম থেকে থেকে ঘুমন্ত আইরাতের কপালে, গালে আর বাচ্চার মতো পিংকিস কালারের ঠোঁটে চুমু দিয়ে যাচ্ছে। আব্রাহামের কাছে তাদের এই মূহুর্ত টা যেনো স্বর্গসুখ ❤️।





চলবে~~

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here