প্রেমের পাঁচফোড়ন💖 #সিজন_২ #পর্ব_২৫

0
749

প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_২৫
#Writer_Afnan_Lara
🌸
কি হলো?কারে এসে বসো,ইনবাইট করতে হবে নাকি?
.
দরকার নেই
.
আহানা দরজা খুলে ভিতরে ঢুকতে গিয়ে প্লাজোর সাথে পা লেগে দুম করে কারের ভিতরে এসে শান্তর উপর গিয়ে পড়লো সে
একদম শান্তর গায়ের উপরই পড়লো
শান্ত চুপ করে আছে,একটাও কথা বের হচ্ছে না ওর মুখ দিয়ে,কারণ ওর ঠোঁট জোড়া আহানার মাথার চুলে ডুবে আছে
আহানা কোনোরকম ঠিকঠাক হয়ে বসে বললো”সরি”
.
ইটস ওকে!
.
শান্ত আহানাকে ওদের বাসায় নামিয়ে দিয়ে আবার চলে আসলো বাসায়
আহানা জানালার গ্রিল ধরে চুপ করে আছে,মাকে বললেই মা রাজি হয়ে যাবে শান্তদের বাসায় থাকার জন্য,কিন্তু ওর মন যে মানছে না,এভাবে অন্যের ঘরে থাকা একদম পছন্দ না ওর
মায়ের দিকে চেয়ে দেখলো মা বসে বসে ঝিমোচ্ছেন,মন খারাপ তার,কি জন্য মন খারাপ তা জানে আহানা
জানালা থেকে সরে এসে মায়ের হাত দুটি মুঠো করে ধরে বসলো সে
তারপর নরম গলায় বললো”মা কাল সকালে আমরা শান্তদের বাসায় যাবো,এখন থেকে সেখানেই থাকবো,আন্টি নাকি তোমার আর আমার জন্য সারাদিন মন খারাপ করে থাকেন”
.
মায়ের মুখের ভাবগতি মূহুর্তেই বদলে গেলো,এক গাল হাসি দিয়ে বললেন”সত্যি?”
.
হ্যাঁ
.
তাহলে তোর এই দোকানের চাকরিটা ছেড়ে দে,এখন থেকে তোর তো আর আমাদের বাসা ভাড়ার দরকার পড়বে না”
.
দেখি কি করতে পারি
.
আহানা আর কিছু বললো না,কাঁথাটা টেনে একপাশে শুয়ে পড়েছে সে
পরেরদিন অনেক সকাল হয়ে গেলো এখনও আরামসে ঘুমাচ্ছে আহানা,তার ইচ্ছা ছিল ঐ বোরিং চাকরি আর করবে না তাই সে মন দিয়ে ঘুমাচ্ছে,সকালে উঠে চাকরিতে যাওয়ার ও আর কোনো চিন্তা নাই
খালি ঘুম আর ঘুম!
হুট করে গালের মধ্যে কে যেন চিমটি কাটলো,নাহ কে চিমটি কাটবে আবার!হয়ত পিপড়া হবে
আহানা হাত পা ছড়িয়ে আবারও গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলো
কিন্তু নাহ!কিছুক্ষণ বাদে আবারও সেই চিমটি কাটলো,কিন্তু এবার গালে না একেবারে হাতে
আহানা লাফ দিয়ে উঠে বসতেই দেখলো একজন সুদর্শন পুরুষ তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে শক্ত চোখে তাকিয়ে
পরনে কালো শার্ট,কালো জিন্স,হাতে কালো ঘড়ি
আহানা ওর পা থেকে মাথা পর্যন্ত ড্যাবড্যাব করে দেখে যাচ্ছে,সে যে স্বপ্ন ছেড়ে বাস্তবে তা সে জানে না
হাঁট উঁচু করে ভাঁজ করে তার উপর হাত রেখে হাতের উপর থুতনি বসিয়ে মুগ্ধ হয়ে সে শান্তকে দেখে যাচ্ছে
শান্তর বুঝতে বাকি নেই যে আহানা জেগে জেগে স্বপ্ন দেখছে তা নাহলে শান্তকে দেখলেই তার গায়ে জ্বালা দেয় আর সে কিনা মুচকি হেসে তাকিয়ে আছে পাক্কা ৩মিনিট ধরে
শান্ত হাত বাড়িয়ে আহানাকে ধরে এক ঝাঁকুনতি দিলো
আহানা ঝাঁকুনি খেয়ে চোখ ডলে বুঝলো এটা সত্যি তারপর ওড়নাটা হাতে নিয়ে বিছানা থেকে নেমে বললো”আপনি?এখানে?এসময়ে?”
.
তোহহহ?কাল রাতে কি কথা হয়েছিলো?সকাল সকাল আমার বাসায় আন্টিকে নিয়ে ফেরত আসবা,তো কয়টা বাজে?
.
তো?যাবো বলসি তো,যখন ইচ্ছা তখন যাবো,আপনি অফিসে যান না,আমার পিছে লেগে আছেন কেন?
.
ওকে ফাইন যখন খুশি তখন যেও,আপাতত আমি আন্টিকে নিয়ে চলে যাচ্ছি,আর তোমাদের বাসার যে সব জিনিসপাতি আছে সেগুলো আমি OLX.com এ বেচে দিব,যে টাকা আসবে ওটা দিয়ে লজেন্স খেও কেমন খুকি?
.
খুকি মানে?কে খুকি?আর বেচবেন কেন?আপনাকে পারমিশন দিসি আমরা?
.
আন্টি দিছে,বাই
.
আরে আরে!
.
শান্ত চলে গেলো আহানার মাকে নিয়ে
আহানা একা বাসায় গাপটি মেরে বসে আছে,সকাল সাড়ে ১০টা বাজে তখন,আহানা অনেকক্ষণ ভেবে কতকিছু ভাবলো তারপর উঠে ফ্রেশ হয়ে ওড়না আর ব্যাগ নিয়ে শান্তদের বাসায় ফিরে আসলো
মা শান্তর মায়ের সাথে বাগানে বসে আছেন
শান্তি রহমান আহানাকে দেখেই হাত বাড়িয়ে ধরলেন
আহানাও ভালো মেয়ের মতন উনার কাছে এসে উনাকে জড়িয়ে ধরে সালাম দিলো,উনার চোখে মুখে আজ যেন হাসির বৃষ্টি ঝরছে
আহানার মাও অনেক খুশি,আহানার মুখেও হাসি ফুটলো তাদের হাসি দেখে
আহানা বাসার ভিতর যেতেই রিপা এসে বললো শান্ত নাকি বলে গেছে আহানা যেন ওর অফিসে আসে
আহানা উত্তরে বললো সে যাবে না
ব্যস তাদের জন্য রাখা রুমে এসে আহানা বালিশ একটা কোলে নিয়ে ধপ করে বসে গেলো

কি হলো রিপা??তুমি কি আহানাকে বলোনি অফিসে আসতে?
.
স্যার বলেছিলাম,কিন্তু আহানা মুখের উপর না করে চলে গেছে
.
ঠিক আছে,আমি আসতেছি,কাঁটা দিয়ে কি করে কাঁটা তুলতে হয় জানা আছে আমার
শান্ত ফোন রেখে বেরিয়ে গেলো অফিস থেকে
আহানা বসে বসে বিসকিট খাচ্ছে আর বারান্দা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে একবার একটা দেখতেছে,মা আর আন্টি এখনও বাগানে,আর নিতু স্কুলে,রিপা বুয়ার সাথে রান্নাঘরে
দরজা খোলার আওয়াজ পেয়ে আহানা পিছন ফিরে তাকালো
শান্ত রাগী রাগী লুক নিয়ে আহানার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে
.
কি ব্যাপার?বলছি না আমি আপনার অফিসে যাব না,আমাকে যে কি পরিমাণ অপমান করে বের করছেন সেটা মনে আছে?
আমার তো মনে হয় না কিছু মনে আছে আপনার তা না হলে বার বার রিকুয়েস্ট করতেন না
.
শান্ত এতক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল দরজার কাছে,আহানার কথা শেষ হতেই এখন সে এগিয়ে আসতেছে এদিকে
আহানার অজান্তেই হাত থেকে তার বিসকিটা পড়ে গেলো,ভয়ে কারণ শান্ত উল্টা পাল্টা কিছু করে না বসে এই ভাবনাই সারাদিন আহানার মাথায় ঘুরপাক খায়,এখনও খাচ্ছে
আহানা ফ্লোরের দিকে চেয়ে বিসকিটটা দেখে নিলো,ভেঙ্গে ২টুকরো হয়ে গেছে চকলেট বিসকিটটা
আহানা এবার মুখ তুলে সামনে তাকাতেই খেয়াল করলো শান্ত ওর খুব কাছে এসে গেছে
.
(এখন নায়কদের মতো আমাকে জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে অফিসে সব জানা আছে আমার)
.
ভুল ভাবছো
.
আমি কি ভাবছি তা জানেন কি করে?
.
তুমি মনে মনে কথা বললে সেটা ভাষণ আকারে আমার কানের কাছে বাজে,বুঝলা
.
আচ্ছা তাহলে কি করবেন শুনি একটু
.
তোমার সব টিউশনি বন্ধ করার দায়িত্ব শুধু আমার
.
মানে কি
আপনি কি করবেন?
.
করবেন না,বলো কি করেছি
.
👿কি করেছেন?
.
আমি চিত্রা/সিয়া আর রিপার বোন রুনা সবার বাসার এড্রেস তোমার মায়ের কাছে থেকে নিয়ে নিয়েছি
.
তারপর?
.
তারপর নাথিং!
তুমি কি চাও সেটা বলো,আমার সাথে আমার অফিসে যাবা নাকি আমি তোমার টিউশনি খাবো
.
মঘেরমুলুক আর কি,বললেই হয়ে গেলো নাকি,কককককককি করবেন কি আপনি?
.
শান্ত হেসে দিয়ে বিছানায় বসলো পায়ের উপর পা তুলে,তারপর আহানার দিকে তাকিয়ে বললো”বেশি কিছু না
শুধু বলবো আহানা আমার উড বি ওয়াইফ,অন্যের বাসায় গিয়ে গিয়ে টিউশনি করায়,কেমন দেখায়,আপনি প্লিস নিজ থেকে আহানাকে মানা করে দেন,ও কিছুতেই মানছে না,আমার তো এনাফ টাকা পয়সা আছে,তাহলে আমার ওয়াইফ কেন এত কষ্ট করবে বলুন
.
আহানা ব্রু কুঁচকে বললো”আপনার এত মাস্টার মাইন্ডের প্ল্যানটা ফ্লপ হবে দেখিয়েন”
.
তোমার আর আমার ছবি আন্টিকে দেখানোর প্ল্যান কিন্তু সাকসেস হয়েছিলো
.
আহানার এবার কলিজা কাঁপতেছে,ঢোক গিলে বললো”আপনাকে আমি ভয় পাই নাকি?”
.
জানতাম এমনটাই বলবে,দেখো তোমার মনে হয় ফোন বাজতেছে,গিয়ে ধরো
.
আহানা পা টিপে টিপে টেবিল পর্যন্ত গিয়ে ফোন ধরলো,সিয়ার আম্মুর কল
.
হ্যালো আন্টি,আসসালামু আলাইকুম,কেমন আছেন?
.
ওয়ালাইকুম আসসালাম
তুমি এটা ঠিক করোনি আহানা!
.
কককককি মানে?বুঝলাম না
.
বিয়ে করলা আর একটিবার দাওয়াত ও দিলে না
.
না তো আমি বিয়ে করিনি
.
হইছে হইছে আর বলতে হবে না,যাক যেটার জন্য ফোন করেছিলাম শুনো,তুমি নাকি লজ্জার কারণে বলতে পারো না যে আর পড়াবানা, তাই আমি বলছি আর পড়াতে হবে না
অনেক কষ্ট করেছো এতদিন এবার একটু সুখ করো,স্বামীর টাকায় কেমন?
সিয়ার জন্য নতুন টিচার অলরেডি খুঁজেও নিয়েছি আমরা
.
ব্যস সিয়ার আম্মু কল কেটে দিয়ে পৃথিবীর শেষ সীমানায়!!!
আহানা গাল ফুলিয়ে শান্তর সামনে এসে বললো”আপনাকে এত বড় মিথ্যা কথা বলতে বললো কে?আপনার এত সাহস!!আমার টিউশনি একটা বাদ দিয়ে দিলেন!
.
শান্ত হেসে বললো”সবে তো একটা,এখনও আরও আছে”
.
আপনি আমাকে এত এত অপমান করলেন তার পরেও আমি কি করে আপনার অফিসে যাই?আমাকে ধাক্কা মেরে বের করে দিয়েছিলেন মনে আছে?
আহানা কেঁদে দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে বললো”এটাও বলেছিলেন আমি নাকি আর চাকরি পাবো না কোথাও
কিন্তু!আমি তো পেয়েছি, আপনার কথা ভুল প্রমাণ করেছি
.
কথাগুলো বলতে বলতে আহানা কেঁদেই যাচ্ছে
শান্ত টিসু হাতে নিয়ে আহানার দিকে তাকিয়ে টিসুটা রেখে দিয়ে এগিয়ে এসে ওকে জড়িয়ে ধরলো,নিজের বুকে ওকে আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে চুপ করে রইলো সে
আহানা কেঁদে কেঁদে শান্তর শার্ট টেনে চোখ মুছতেছে
শান্তর ঠিক মনে আছে ছোটবেলায় আহানা ওকে ধরে ওর জামায় চোখ মুছতো কান্না করার সময় আর তাই সে এখন টিসু নিয়েও রেখে দিয়েছে,আহানা সেই ছোটবেলার আচরণটাই করলো
আহানা কাঁদা শেষ করে মুখ তুলে বললো”জড়িয়ে ধরে কি বুঝাতে চান?”
.
এই যে আমি তোমাকে ইচ্ছে করে অপমান করিনি,তুমি দায়ী
.
আমি দায়ী?
.
হুম!সোজা কথায় হ্যাঁ বলো না কখনও,বললেই তো আর কথা শুনতে হতো না
.
আহানা মুখ বাঁকিয়ে পাশে তাকাতেই চোখ পড়লো তার আয়নায়
সে শান্তকে জড়িয়ে ধরে রেখেছে,এটা দেখেই চোখ বড় করে দূরে সরে দাঁড়ালো সে
.
শান্ত হালকা একটা কাশ দিয়ে বললো”ওকে আই এম সরি!এবার তো চলো!”
.
আহানা ব্রু কুঁচকে বললো”আমাকে আর ছুঁবেন না”
.
হুহ!হোয়াটএভার,চলো এখন
.
আহানা খুশি খুশি শান্তর পিছন পিছন আসতেছে,শান্ত ওকে সরি বলেছে এটার চেয়ে খুশি আর কিছু হতে পারে নাকি
তার এখন মন চাচ্ছে আকাশে উড়তে
মা আর শান্তি রহমান তো রীতিমত অবাক,শান্ত আর আহানা কিনা বিনা ঝগড়ায় একসাথে কারে করে কোথায় যেন চলে গেলো!
শান্তি রহমান তো আহানার মায়ের হাতে হাত রেখে এক গালি হাসি দিয়ে গেটের দিকে চেয়ে আছেন

তুমিই বলো কি গিফট করা যায়?
.
বাজেট কত?
.
ব্যাপার না,যেটা পছন্দ হবে সেটা নিব,টাকা ব্যাপার না,আমার বেস্টফ্রেন্ড রিয়াজ,নওশাদ আর সূর্য,১/২/৩লাখ বাজেট
.
কিহহহ!
.
শান্ত কার থামিয়ে ফেললো,তারপর বললো”কি?চিৎকার করো কেন?”
.
এত টাকা দিয়ে কি কিনবেন?
.
সেটাই তো ভাবতেছি,কি কিনবো,তুমি বলো তাহলে সেই অনুযায়ী শপিংমলে যাবো
.
নওমি আপুকে গলার নেকলেস টাইপ কিছু দিয়েন
.
না আমি এংগেজমেন্টের দিন দিয়েছিলাম তাই এখন ভিন্ন কিছু দিতে চাচ্ছি
.
তাহলে এক কাজ করেন,টিভি/ওয়াসিং মেশিন/মাইক্রোওয়েভ এসব কিনে দিতে পারেন
.
কাম অন!এসব তো ওর রিলেটিভরা ওকে দিবে,ইউনিক কিছু বলো
.
আইডিয়া!
.
কি?
.
উনাদের জন্য হানিমুন প্যাকেজ আপনি কিনে গিফট দিয়ে দেন,ব্যস হয়ে গেলো
.
ওয়াও জোস আইডিয়া দিলা!এটা বেস্ট হবে,বালি প্যাকেজ কিনে দিয়ে দিব
.
বালি মানে,কক্সবাজার?
.
আরেহ না,ইন্দোনেশিয়ার বালির কথা বলতেছি
.
ওমা তাহলে তো অনেক খরচ
.
আমি নেটে দেখছিলাম,প্যাকেজ ৩/৪লাখ হবে,৭দিনের
.
এত দাম!
.
তাহলে এটাই ফাইনাল,আমি এখনই বুক করছি
.
বাপরে এত টাকা খরচ করে মানুষ নিজের বেস্টফ্রেন্ডের বিয়েতে,আমি আরও ঠিক করসিলাম রুপার বিয়েতে শাড়ী একটা কিনে দিব!৭০০/৮০০ কিংবা বড়জোর ১হাজারের!
টাকা থাকলেই সব হয় আজ তা বুঝলাম
.
তুমি তাহলে এখন আমার সাথে অফিসে চলো,আগের মত কাজ শুরু করে দিবা,আর আমার কথার ভিতর নিজের কথা ঢুকাবা না,ওকে?
.
আপনি ভুলভাল বলে যাবেন আর আমি চুপ থাকবো তা হচ্ছে না হুহ!
.
আমি যা বলি সব ঠিক বলি,তোমার মতন না,তোমার তো আজ পর্যন্ত একটা কথাও ঠিকঠাক লাগেনি আমার
.
মানুষ ঠিকঠাক হলে তার পরে তো সব ঠিকঠাক লাগবে
.
শান্ত শার্টটা একটু টেনে কার পার্ক করতে করতে বললো”আমি তোমার চেয়ে ভালোই”
.
আহানা কার থেকে নেমে তারপর বললো”তা তো হবেই,আপনি তো আমার মতন মেয়ে না,ছেলে”
.
বকবক না করে লিফটের বাটন চাপো
.
হুম😒
.
লিফটে ঢুকে দুজনে দুজনের দিকে কেমন করে যেন চেয়ে আছে
৫১% গালি আসতেছে তো ৪৯%ভালোলাগা
গালিতে ১% বেশি হওয়ার কারণে দুজন মিলে ব্রু কুঁচকালো তারপর একসাথে বললো”জীবনে আর দেখো নি?”
.
না
.
না
.
এক মিনিট!আপনাকে দেখার কি আছে?
.
সেম উত্তর,তোমাকে দেখার কি আছে?আমাকে কপি করো কেন?
.
আপনি আমাকে কপি করছেন
.
তোমার সাথে ভালো মানুষে কথা বলে না
.
আরেহহহ আহানা!
.
আহানা সামনে চেয়ে দেখলো ঊষা হা করে ওর দিকে চেয়ে আছে,চোখেমুখে তার হাসি
.
শান্ত লিফট থেকে বেরিয়ে যেতে যেতে বললো”ওরে ওর কেবিন বুঝিয়ে দিয়ে আমার অফিস রুমে আসতে বলো”
.
ওকে স্যার!
চলবে♥
(ইদানিং গল্প দিতে দেরি হয়ে যায়,বাসায় মেহমান,তার উপর যেটুকু লিখি মেমোরি ফুল থাকার কারণে অটো ডিলেট হয়ে যায়😒মেহমান যাক তারপর এই ফোনরে নাকানি চুবানি খাইয়ে ঠিক করে বড় করে গল্প দিব আর তাড়াতাড়ি করে দিব প্রমিস)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here