প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_৩২
#Writer_Afnan_Lara
🌸
আহানা রুমে এসে প্যাকেটটা চেয়ারের উপর রেখে ঘুমিয়ে পড়েছে
পরেরদিন সকালে সে ঘুম থেকে জাগলো শান্তর মুখ দেখে
শান্ত হলুদ রঙের একটা পাঞ্জাবি পরে কোমড়ে হাত দিয়ে তাকিয়ে আছে,মুখে কঠিন রাগের ছাপ
আহানা হাত পা ছড়িয়ে আরামসে ঘুমাচ্ছে,দূরের জানালা দিয়ো শীতল বাতাস আসতেছে জোরে জোরে,সম্ভবত বৃষ্টি হচ্ছে তাই এত বাতাস,ঘুমটাও সেই রকম আসতেছে,এই ওয়েদারটা ঘুমকে আরও মনোমুগ্ধকর করে দেয়
আহানা শান্তকে দেখে চোখ ডলে আরেকদিকে ফিরে সেই ঘুমিয়ে গেলো আবার
শান্ত এবার রেগে আহানার হাত ধরে টেনে উঠিয়ে ফেললো এক টান দিয়ে
.
উফ!ঘুমাতে তো দিবেন,এমন করেন কেন
.
কয়টা বাজে খবর আছে তোমার?সাড়ে ৯টা বাজে,কখন যাব আমরা,তোমাকে বললাম সকাল সকাল রেডি হয়ে থাকবা আর তোমার কিনা কোনো পাত্তাই নেই
.
কিহ!এত সকাল হলো কি করে,আমি তো!
.
জলদি করে রেডি হয়ে নাও তুমি,পথে একটা রেস্টুরেন্ট থেকে ব্রেকফাস্ট করে নেওয়া যাবে
.
আহানা বিছানা থেকে নেমে তড়িগড়ি করে প্যাকেটটা হাতে নিতেই দেখলো শান্ত এখনও দাঁড়িয়ে আছে
.
কি?এবার কি আপনার সামনে চেঞ্জ করবো আমি?বের হোন রুম থেকে
.
শান্ত এমন ভাবে তাকালো যেন কেউ ওকে নিজের রুম থেকে বের হতে বলতেছে,হাতের ঘড়ি ঠিক করতে করতে চলে গেলো সে
আহানা শাড়ীটা পরে চুল ছেড়ে দিয়ে,হাতে চুড়ি পরতে পরতে বের হয়ে গেলো
মা আবারও হাত ধরে টেনে রুমে ঢুকিয়ে বললেন”এরকম যাবি??একটু সাজিস ও নাই,এদিকে আয়
বিয়েবাড়িতে এরকম নিরামিষ কেউ সাজে?
.
সাজবো??আমার সাজার কিছু আছে নাকি যে সাজবো?
.
ধর এই লিপস্টিকটা লাগিয়ে নে,রিপার থেকে নিয়েছি
.
আহানা লিপস্টিকটা লাগিয়ে এবার বের হলো
শান্ত কারের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে ফোনে নওশাদের সাথে কথা বলতেছে
.
আহানা মুখ কালো করে হেঁটে আসতেছে দূর থেকে
শান্ত কথা বলতে বলতে যেই না ওদিকে তাকলো ওমনি ওর মুখ দিয়ে কথা বের হওয়াই বন্ধ হয়ে গেলো
হলুদ রঙের শাড়ীটায় আর খোলা চুলে আহানাকে বেশ মানিয়েছে,আহানা কাছে এসে বললো”চলুন”
.
শান্ত এখনও চেয়ে আছে আহানার দিকে,ওদিকে নওশাদ চিল্লাচ্ছে শান্ত কেন ওর কথার জবাব দিচ্ছে না সে জন্যে
শান্ত যে তার নতুন বিয়ে করা বউকে দেখে হতবাক হয়ে গেছে সেটা কেউ জানে না
আহানা দরজা খুলো ভিতরে গিয়ে বসেছে ততক্ষণে
শান্ত এবার নওশাদকে বাই বলে সেও ভেতরে এসে বসলো
কার চালাতে চালাতে ১০০বার তাকাচ্ছে সে আহানার দিকে
আহানার সেদিকে খেয়াল নেই,সে বৃষ্টভেজা শহরটা দেখতে ব্যস্ত
কি সুন্দরটাই লাগতেছে,সবকিছু ভিজে তাদের আসল রুপ ধারণ করে আছে,সবুজ সবুজ গাছ,পরিষ্কার রাস্তাঘাট
আহানার মনে হলো কেউ ওর দিকে তাকিয়ে আছে,সাথে সাথে সে শান্তর দিকে তাকাতেই শান্ত আরেকদিকে মুখ করে ফেললো
.
আমি না সুন্দর না?আমার মধ্যে তো কিছু নাই তাহলে এমন ড্যাবড্যাব করে দেখতেছেন কেন?আমার চাইতে তো কণা আপু সুন্দর,তাহলে?
.
সাজলে সবাইকেই সুন্দর লাগে
.
আহানা মুখ বাঁকিয়ে হাতের চুড়িগুলো ঠিক করে আবারও জানালার দিকে চেয়ে থাকলো
শান্ত ওকে নিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে নেমে নাস্তা করতে বসেছে
আহানা পরোটা এক টুকরা মুখে দিয়ে শান্তর দিকে তাকাতেই দেখলো সে এক দৃষ্টিতে ওর দিকেই চেয়ে আছে
.
কি ব্যাপার বলুন তো?এমন দেখতেছেন কেন আমাকে?একবার বলে আমার মতো বিচ্ছিরি আর নাই আবার নিজেই ক্যাবলার মতন চেয়ে থাকে সারাক্ষণ,টেনে দিব আরেক চড়,অসভ্যের মতো এরকম তাকিয়ে থাকলে
কথাটা বলে আহানা আশেপাশে চেয়ে দেখলো সবাই ওর কথা শুনে ওর দিকে চেয়ে আছে
আহানা নড়েচড়ে বসে বললো”কি?উত্তর দিচ্ছেন না কেন?”
.
বিয়ে করা বউয়ের দিকে তাকাতেই পারি,তাই বলে তোমার কোনো অধিকার নেই আমার থেকে এই বিষয়ে কৈফিয়ত চাওয়ার
.
আহানা বিরক্ত হয়ে চায়ে চুমুক দিলো,রিয়াজ ফোন করতে করতে শেষ যে শান্ত কখন আসবে
শান্ত বলতেছে রোডে জ্যাম কিন্তু আসল কথা হলো আহানার কারণে দেরি হয়েছে
আহানা ঘুম থেকে উঠতে দেরি করে ফেলেছিলো আজ
.
তোমার কারণে আজ এত দেরি হয়ে গেছে
.
যাক বাবা,বৃষ্টিতে এত ভালো ঘুম এসে গিয়েছিলো তো আমি কি করতাম শুনি?
.
নাচতা!কাল বলেছিলাম সকাল সকাল রেডি হবা,ঢাকা থেকে যাত্রামুড়া কি কাছে?যেতেও তো সময় লাগে
.
আপনি নাস্তা করে নিতে পারেননি?আমি পানি খেয়েই পেট ভরিয়ে নিতাম
.
চুপ থাকো
.
আহানা জানালা খুলে চুপ করে থাকলো,জড়ো হাওয়া এসে গায়ে লাগতেই মনে হয় ভেতরের সব দুঃখ নিঃশেষ হয়ে যায় সাথেসাথে
অবশেষে যাতামুড়া এসেই গেলো
আহানা আর শান্ত রিয়াজদের বাসায় ঢুকতেই সবাই বলে উঠলো “অভিনন্দন”
সবাই বলতে নওশাদ,সূর্য আর শান্তর আরও কয়েকটা ফ্রেন্ড
শান্ত থ্যাংক ইউ বলে রিয়াজকে খুঁজে বের করতে গেলো
আহানা সোজা গিয়ে নওমির কাছে এসে বসলো
নওমি ওর আন্টির সাথে কথা বাদ দিয়ে আহানার হাত ধরে জিজ্ঞেস করলো কাল রাতে কি হয়েছিলো
আহানা নিচু স্বরে বললো”কিছুই হয়নি”
.
নওমি আশ্চর্য হয়ে বললো”কি বলো এসব!তাহলে শান্ত ভাইয়া ওভাবে ঐ ছেলেটাকে মেরেছিলো কেন?”
.
আহানা চমকে বললো”মেরেছিলো?”
.
হুম!কাঁচের বোতল নিয়ে ছেলেটার হাতে ভেঙ্গে ছিলো তারপর কাঁচের গ্লাস দিয়ে ওর মাথাও পাঠিয়ে দিয়েছিলো
চিৎকার করে বলতেছিলো “আহানা শুধু আমার,ওকে ছোঁয়ার অধিকারও আমার,কেন,তোমাকে বলেনি?”
.
আহানা ইয়া বড় হা করে পরে ভাবলো নওমি মিথ্যা বলতেছে,শান্ত কেন এসব বলবে
আহানা দূরে তাকিয়ে দেখলো শান্ত নওশাদ সূর্যর সাথে হাসাহাসি করতেছে
আহানা নওমিকে বলে উঠে গিয়ে সেদিকে ছুটলো,কিছুদূর যেতেই কণা এসে ওর সামনে দাঁড়িয়ে পড়েছে
.
আহানা কি খবর!!শুনলাম কাল নাকি সাইমন নামের একটা ছেলে তোমার সাথে কি না কি করেছে?
.
আহানা কিছু বলতে যাবে তার আগেই শান্ত এসে বললো”সাইমন কি করেছে সেটা না ঘেঁটে এটা শুনো যে আমরা কি করেছি”
.
কণা ব্রু কুঁচকে বললো”কি করেছো?”
.
নেক কিস,আহা!
.
আহানা চোখ বড় করে চলে গেলো আরেকদিকে শান্ত ওর হাত ধরে আটকিয়ে বললো”প্রমাণ দেখবা?”
.
শান্ত প্লিস,হাত ছাড়ুন,এসব কি বলতেছেন আপনি?
.
কণা দাঁতে দাঁত চেপে বললো”কই দেখি প্রমাণ ”
.
শান্ত আহানাকে কাছে টেনে এনে ওর গলার থপকে চুল সরিয়ে বললো”দেখো”
.
কণা চোখ বড় করে কাঁদো কাঁদো মুখ করে বললো”তুমি আমার সাথে চিট করতে পারলে?”
.
আহানা এদিক ওদিক তাকিয়ে শান্তর হাত ছাড়িয়ে চলে গেছে ততক্ষণে
লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে,আর শান্ত কিনা খোলামেলা সব বলে যাচ্ছে,এই কণা না জানি কি না কি করে বসে
মনে হয় বিয়ের কথা জানে না
.
কই চিট করলাম,আহানার থেকে এসব তো আমার প্রাপ্য
.
নওশাদ আর সূর্য দাঁত কেলিয়ে মজা নিচ্ছে,কণা শান্তর মুখ দুহাত দিয়ে ধরে বললো”ছেড়ে দাও না ওকে,আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসবো”
.
শান্ত কণার হাত সরিয়ে বললো”একসাথে অনেকজনকে লাভ করাকে রিয়েল লাভ বলে না কণা”
.
আহানা একজন আন্টির পাশে এসে বসলো হাতে জুসের গ্লাস নিয়ে,আন্টিটার হাতেও জুস,উনি আহানার পা থেকে মাথা পর্যন্ত একবার দেখে নিলেন,তারপর দেখলেন আহানা শান্তর দিকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে
আন্টি মুচকি হেসে বললেন”তোমার বর বুঝি?বেশ দেখতে তো,তোমাদের দুটোকে অনেক মানিয়েছে,তা বিয়ের কতদিন হলো?”
.
আহানা জুস খেতে খেতে বললো”১৩ঘন্টা ৩মিনিট ১০সেকেন্ড ‘
.
ওমা সেকি!কাল বিয়ে হয়েছে নাকি?
.
হুম
.
বাহ বাহ!দোয়া করি সুখী হও,বেশ লাগে তোমাদের, তোমার স্বামী যেরকম সুন্দর তুমিও ঠিক সেরকমই নজরকাড়া সুন্দরি
.
আহানা তাচ্ছিল্য করে হেসে বললো”আমার স্বামীর কাছে মনে হয় আমি সুন্দর না,আমার মধ্যে এমন কিছুই আহামরি নেই”
.
এসব সে নিজের মুখে বলেছে?
.
হুম
.
তাহলে তো মিথ্যা বলেছে
.
আহানা চমকে উনার দিকে চেয়ে বললো”আপনি বুঝলেন কি করে যে মিথ্যা বলেছে?”
.
আরে যে স্বামী নিজের মুখে বলে যে তার স্ত্রী সুন্দর না এটা তো ডাহা মিথ্যা কথা,কোনো স্বামীই বলে না তার স্ত্রী অসুন্দর,আর তোমার স্বামী বলেছে এর পিছনে কারণ আছে হয়ত,তুমি খুঁজে নিও,আর তুমি নিজেও জানো তুমি কম সুন্দরি নও,তাহলে ভাবো তোমার স্বামী তোমাকে এটা কেনোই বা বললো
.
আহানা পড়ে গেলো মহা চিন্তায়,নওমি আপুর কথা আর এই আন্টিটার কথা মিলালে মনে হবে শান্ত আমাকে ভালোবাসে আর যেটা একদম মিথ্যে,আমি তো জানি উনি আমাকে ভালোবাসেন না
.
রিয়াজ আর নওমি স্টেজে এসে বসেছে,নওমি হলুদ রঙের একটা সুতির শাড়ী বাঙালি স্টাইলে পরেছে সাথে ফুলের গয়না,আর রিয়াজ হলুদ রঙের পাঞ্জাবি পরেছে
আহানা সেই কখন থেকে চারিদিকে চোখ বুলাচ্ছে,শান্তকে কোথাও দেখতে পাচ্ছে না সে
ওদিকে কণাকেও দেখতেছে না
না জানি দুজন মিলে কি করতেছে,যাগ গে,আমার গায়ে লাগে কেন,ঐ লোকটাকে তো আমি ভালোবাসি না আর সেও বাসে না
নওমির ছোট বোন আরবি এসে বললো শান্ত আর তার কিছু বন্ধুরা ভিতরের রুমে নাচের প্র্যাকটিস করতেছে
আহানা মাথা নাড়িয়ে গাপটি মেরে বসে থাকলো
আরবি যেতে যেতে বললো”কণা আপুও সেখানে”
.
আহানার মনে হলো ওর গায়ে কেউ এক বালতি গরম পানি ঢেলে দিয়েছে,সাথে সাথে সে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে সোজা সেই রুমটার দিকে ছুটলো
রুমে এসে দেখলো এক কোণায় শান্ত নওশাদ আর সূর্য একসাথে নাচের প্র্যাকটিস করছে,আর কণা আর কিছু মেয়েরা ফোনে ভিডিও দেখতে দেখতে তারাও একপাশে নাচতেছে
আহানা মন খারাপ করে চলে যেতে নিতেই নওশাদ আহানাকে ডাক দিলো
আহানা পিছনে তাকিয়ে বললো”কি ভাইয়া?”
.
আহানা তুমিও জয়েন হও না আমাদের সাথে”
.
আমি নাচ পারি না
.
শান্ত তাচ্ছিল্য করে বললো”বাদ দে,ঠিকমত নাচতে পারবে না পরে আমার নাচের ১২টা বাজাবে,আমি বরং ঐ কণার সাথেই নাচবো”
.
আহানা মনে মনে ভাবলো কণার সাথে নাচার এত শখ তো নাচুক না আমার কি,আমিও নাচবো না আমার গায়ে কেন লাগতেছে বুঝি না আমি
আহানা আবার আগের জায়গায় ফেরত এসে বসলো
“এই যে বিয়ানসাব” গানটা অন হয়েছে,সূর্য তার পাঞ্জাবির উপর দিয়ে একটা হালকা নীল শাড়ী পেঁচিয়ে কেকা ফেরদৌসি সেজে হেলেদুলে স্টেজে এসে দাঁড়িয়েছে,ওর এমন বেশ দেখে পুরো বিয়েবাড়িতে হাসির হট্টগোল লেগে গেছে
আহানাও ফিক করে হেসে দিয়েছে এটা দেখে
নওশাদ এসে বললো”তা কেকা আপা আজ আমাদের কি রান্না করে খাওয়াবেন?”
.
আমি আজ নুডুলস রান্না করে খাওয়াবো
.
না না,এই নুডুলসে তো অনেক ফ্যাট
.
সূর্য দাঁত কেলিয়ে বললো”তোমাকে আজ আমার হাতের বানানো নুুডুলস খেতেই হবে,না না খেতেই হবে”
.
আহানা হাসতে হাসতে শেষ,বাকিরাও হাসতেছে
এবার শান্ত হেঁটে আসলো কালো চশমা চোখে দিতে দিতে
সূর্য শাড়ী খুলে সেও আসলো,সাথে আসলো নওশাদ,আরও ৩/৪জন এসে দাঁড়িয়ে নাচ শুরু করলো
এক কাতারে কণা,ইশা,মিষ্টি,ঐশি সবাই আসতেছে কোমড় দুলিয়ে দুলিয়ে
আহানা ব্রু কুঁচকিয়ে আরেকদিকে ফিরে বসলো
.
আন্টি আহানাকে এক খোঁচা দিয়ে বললেন”কি গো মেয়ে তোমার বর দেখি এদিকেই আসতেছে”
.
কথাটা শুনে আহানা সামনে চেয়ে দেখলো শান্ত এদিকেই আসতেছে স্টেজ থেকে নেমে
বাকিরা গানের তালে নাচতেছে আর কণা মুখটা বেলুন বানিয়ে আহানার দিকে তাকিয়ে আছে
শান্ত কাছে এসেই আহানার হাত ধরে সেদিকে নিয়ে যাচ্ছে এবার
.
আরে আমি নাচ পারি না তো আমাকে স্টেজের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন কেন?
.
এই গানের সাথে নাচ নাই জাস্ট তুমি অলওয়েজ যেটা করো সেটাই করবা
.
অলওয়েজ যেটা করি মানে?
.
মানেটা সহজ,মুখ বাঁকা করবা,গাল ফুলাবা,ভাব দেখাবা আর মাঝে মাঝে কোমড় দুলাবা
.
আমি সবসময় ভাব দেখাই?
.
হু
.
কণা আপুর সাথে না নাচবেন??আমি তো ভালো না তাহলে আমাকে নিচ্ছেন কেন?
.
শত হোক বউ তো,বউকে রেখে অন্য একটা মেয়ের কোমড়ে হাত দিই কি করে বলো?
.
ঢং!!! বলার সময় তো আমাকে নিচু করেন সবসময় তাহলে এখন এত দরদ হচ্ছে কেন?
.
শান্ত আহানাকে স্টেজে উঠিয়ে নওশাদ আর সূর্যর সারিতে দাঁড়িয়ে নাচা স্টার্ট করে দিয়েছে
আহানা বাকি মেয়েদের দিকে তাকিয়ে দেখলো ওরা কোমড় দুলাচ্ছে আর ভাব দেখাচ্ছে এমন অভিনয় করতেছে
আহানাও তাই করলো
কণা রেগে স্টেজ থেকে নেমে চলে গেছে আরও আগে
শান্ত কাছে এসে আহানার হাত ধরে গানের লাইন বলতে বলতে ওকে ঘুরালো,আহানা ব্রু কুঁচকে বললো”আপনার ভিতর আর বাইরের অভিনয় টা দেখে কেউ বলবে না যে আপনি আপনার বউকে তাওয়ায় টালেন ডেইলি”
.
শান্ত মুচকি হেসে আহানাকে ঘুরিয়ে এনে বললো”সেটা যেই যাই বলুক,আমার বউয়ের কোমড় দোলানো বাকিদের থেকে একটু বেশিই ভাল্লাগতেছে
.
আজ মনে হয় সূ্র্য মামা এলোমেলো হয়ে অস্ত যাবে,আপনার হাবভাব দেখে সুবিধা লাগছে না
.
শান্ত হেসে আহানাকে ছেড়ে আরেকটা স্টেপ নাচতে নাচতে বললো”সত্যিটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে বুঝি?”
চলবে♥