প্রেমের পাঁচফোড়ন💖 #সিজন_২ #পর্ব_৫

0
865

প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_৫
#Writer_Afnan_Lara
🌸
এই এই গান শুরু হয়ে গেছে মনে হচ্ছে,দৌড় দে
.
রুপা আহানার হাত ধরে দৌড় দিলো
দুজনে কনসার্টের মাঝখানে চলে আসছে দৌড়াতে দৌড়াতে
আহানা মাথা উঁচু করে তাকালো সামনের দিকে,শান্তকে দেখে চোখ কপালে তুলে ফেললো সে
চোখটা ডলে আবারও তাকালো
নাহহহহ চোখ তো ঠিক আছে!
তাহলে এটা সেই লোকটা!আবার গানও পারে
.
কিরে?জোস না?
.
কচুর গানের মতন লাগে
.
কচুর গান মানে?
.
মানে প্রতি লাইনের সুরে আমার হাত পা চুলকাচ্ছে তাই এটা কচুর গান গাইতেছে লোকটা
যে মেইন শিল্পী তার কন্ঠেই ভাল্লাগছে,এই লোকটা গানকে কচু বানাই দিয়েছে
আমার তাই হাত পা চুলকাচ্ছে
.
ধুর এসব কি বলিস,কি সুন্দর লাগছে উনার গলায়,আহ শান্ত!!!বাই দ্যা ওয়ে নওশাদ কোথায়!আজ মিট করেই যাবো তার সাথে
ব্র্যান্ডেড লিপস্টিক দিয়ে আসছি শুধুমাত্র নওশাদের সাথে কথা বলবো বলে,তবে আগে শান্তর সাথে কথা বলার ট্রাই করবো
.
আহানা মুখ বাঁকিয়ে পিছন ফিরে চলে যেতে নিতেই সবার ধাক্কা ধাক্কিতে আবারও আগের জায়গায় চলে আসলো
বিরক্তি নিয়ে সে এদিক ওদিক তাকিয়ে যাচ্ছে,শান্ত গান শেষ করে দর্শক সবার দিকে তাকালো ভালো করে
তাদের মাঝে একজনকে সে চিনতে পারলো
প্রথম থেকে ৩টা সারির পরের সারি অর্থাৎ ৪র্থ সারিতে আহানা দাঁড়িয়ে আছে
মুখ বাঁকিয়ে,তার চোখ ও শান্তর দিকে
শান্ত সেদিকে চেয়ে ব্রু কুঁচকে মাইকটা হাতে নিলো
.
হ্যালো এব্রিওয়ান!!
আমি আজকে আপনাদের সাথে একটা কথা শেয়ার করতে চাই,আজ এই কনসার্টে আমার হেটার্স ও এসেছে,তাও আমার গান শুনার জন্য,থ্যাংকস টু হার!
.
সবাই চিল্লাই বলতেছে সে কে!
.
আহানা ঢোক গিলে চোরের মত এদিক ওদিক তাকাচ্ছে,কারন কথাটা তার গায়েই লাগছে
শান্ত মুচকি হেসে স্টেজ থেকে নেমে চলে গেলো
.
বেয়াদ্দপ একটা!!আর একটুর জন্য গণধোলায় খেতাম আমি
.
এই আহানা চল না প্লিস!প্লিস!
শান্ত আর নওশাদের সাথে কথা বলবো একটু প্লিস চল না
.
আমি কেন যাবো?তুই যা
.
আমি একা গেলে কেমন দেখায় প্লিস আয় না
.
আহানা এক শর্তে রাজি হলো,শান্তর সাথে রুপা যখন দেখা করবে তখন আহানা রুপার সাথে যাবে না
রুপা তাই রাজি হলো
নওশাদ আর রিয়াজ ভিডিওতে ফোকাস করতেছে,এখন অাপলোড করবে
.
এক্সকিউজ মি🙈আপনি কি নওশাদ শেখ?
.
ইয়েস!
.
আমি রুপা রহমান,আপনার সাথে দেখা করার অনেক ইচ্ছা ছিল আমাদের!!প্লিস একটা পিক তুলতে পারি আপনার সাথে?
.
নওশাদ হেসে হাতের ক্যামেরাটা রিয়াজের হাতে দিয়ে ছবি তুলার জন্য পকেট থেকে ফোন বের করতেই ওর চোখ গেলো আহানার দিকে,দূরে সে দাঁড়িয়ে আছে
তারপর রিয়াজের হাত ধরে দূরে নিয়ে গিয়ে বললো এটা “সেই মেয়েটা না?”
.
রিয়াজ মাথা বাঁকিয়ে আহানার দিকে তাকালো,আহানা দূরের একটা পিলারের সাথে লেগে দাঁড়িয়ে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে,পরনে ঘাড়ো নীল রঙের জামা,ওড়নাটা গলায় একপাশে ঝুলিয়ে চুলগুলো সামনে দিয়ে রেখেছে আর হাতে একটা ব্যাগ
.
তুই মেয়েটার ভালো করে একটা ছবি তুলে নে,শান্তকে হাতে রাখতে হলে এই পিকগুলো কাজে লাগবে আমাদের
.
ঠিক বলেছিস
.
আচ্ছা মিস রুপা,ইফ ইউ ডোন্ট মাইন্ড আমরা কি এখানে কফি খেতে যেতে পারি,5th ফ্লোরে?
.
ওয়াও তাই!!!
.
আসুন,আপনার বান্ধুবীকেও বলুন আসতে
রুপা এক দৌড়ে আহানার হাত ধরে বললো আসতে
.
ঐ লোকটা নাই তো?
.
না কোথাও তো দেখলাম না,তুই চল
.
ওকে
.
আহানা যমুনা ফিউচার পার্কের 5th ফ্লোরটা ঘুরে ঘুরে দেখতেছে
রুপা গালে হাত দিয়ে নওশাদকেই দেখে যাচ্ছে,আর রিয়াজ লুকিয়ে আহানার ছবি তুলতেছে
.
আহানা এদিকে আয়,কফি এসে গেছে
.
আহানা এসে বসতেই দূর থেকে শান্তকে দেখতে পেলো সে ফোনের দিকে তাকিয়ে আসতেছে সে,সাথে একটা ছোট মেয়ে ও আসতেছে
মেয়েটার চেহারা দেখে মনে হয় শান্তর বোনটোন হবে,চেহারায় অনেক মিল
শান্ত ফোনের দিকে তাকিয়ে তারপর নওশাদ রিয়াজের দিকে তাকিয়ে চেয়ার টেনে বসে গেলো
.
শান্ত গেস হোয়াট!!মিট রুপা এন্ড আহানা!!
.
কে আহানা?
.
শান্ত পাশে তাকিয়ে দেখলো আহানা দাঁতে দাঁত চেপে উঠে চলে যাচ্ছে
রুপা ওর হাত ধরে আটকিয়ে কিসব বলতেছে ওকে,মনে হয় থাকার জন্য রিকুয়েস্ট করতেছে
.
এই মেয়েটা এখানে কেন?
.
আমরা ডেকেছি,ভাবলাম তোর চেনাজানা মেয়েটা আমাদের সাথে কফি খাক,আর রুপা আমার ফ্যান তাই ফ্যানকে তো এই টুকু কদর করায় যায়
.
ফ্যান?এই মেয়েটা আমার শত্রু,আমার গান শুনতেছিলো এমন ভাব করে যেন সে লিরিক্স বুঝতেছে না
মনে হয় স্টেজে এসে আমাকে সরায় দিবে আর নিজে গান গাবে
.
ভাইয়া এই আপুটা কে?একটা ছবি তুলি?
.
নিতু!দরকার নেই,কিসের ছবি?মা কে যদি কিছু বলছো তো তোমার খবর আছে,ভুলে যাও এসব,আর তোরাও বলিহারি! এই মেয়েকে আমি চিনি এটা তোদের বললো কে?

আহানা প্লিস আমার জন্য একটু থাক!কফি খেয়েই চলে যাবো, প্লিস থাক না
.
লোকটা ভালো না,তুই বুঝিস না কেন!আমি থাকবো না
.
এ্যা এ্যা😭তুই আমার বেস্টি না,আমার মন রাখস না😭
.
ফাইন!
.
আহানা হেঁটে গিয়ে চেয়ার টেনে দুম করে বসলো
শান্ত ফোন থেকে চোখ তুলে ওর দিকে তাকালো সাথে সাথে
রুপা ঢুলে ঢুলে বললো “আমি আপনাদের সবার সাথে একটা ছবি তুলি?”
.
তুলেন!
.
রুপা ছবি তুলতেছেই আর আহানা শান্তর দিকে একবার দুবার তাকাচ্ছে,এমন ভাবে তাকাচ্ছে যেন কাঁচা গিলে খাবে
শান্ত তো চেয়েই আছে ওর দিকে
সকালের টায়ার পাঞ্চারের কথা মাথা আসতেই মন চাচ্ছে ওরে জ্যান্ত কবর দিয়ে দিতে
.
ভাইয়া আপুটা ওমন করে তাকাচ্ছে কেন তোমার দিকে?
.
মিরকির অসুখ তো তাই,জুতা শুকালে সব ঠিক হয়ে যাবে
.
আহানা চোখ রাঙিয়ে বললো”আপনার তো চোখই নষ্ট,কাঁচামরিচ কুচি করে চোখে মাস্ক হিসেবে লাগিয়ে রাখলে চোখ ঠিক হবে আপনার”
.
ও মাই গড সত্যি?
.
আহানা নিতুর প্রশ্নে কিছু বললো না,নিতুর দিকে তাকিয়েই হাতের কাছে যে কফির মগ পেলো সেটা হাতে নিয়ে এক চুমুক দিয়ে আর গিলতে পারলো না,একটুও মিষ্টি নাই,অনেক কষ্টে গিলে এখন ড্যাবড্যাব করে সেদিকে চেয়ে আছে,এই কফিতে কি ওরা চিনি দিতে ভুলে গেলো?
.
ওয়েটার!!আরেকটা কফি দিয়ে যান,,উইথ আউট সুগার,আমারটা কাকে নিয়ে গেছে
.
আহানা রাগে গজগজ করতে করতে উঠে চলে গেলো
.
আরে আহানা দাঁড়া যাইস না আরেকটু থাক
.
আহানা আর থাকলো না. চলে গেলো সোজা
.
যাক বাঁচলাম!
.
শুন শান্ত!আহানার অনেক ছবি তুলেছি আমরা,এবার আমাদের কথামত ট্রিপে যাবি তো নাহলে পিকটা আন্টির হাতে যাবে
.
গেলে যাক,আমার মা এরকম ত্যাজের মেয়েকে পছন্দ করবে না কোনোদিন
.
আহানা বাসায় এসে ব্যাগটা রেখে দৌড় দিয়ে চলে গেলো টিউশনি করাতে

মা জানো ভাইয়া আজ শপিং মলে একটা মেয়ের সাথে যে ঝগড়া করতেছিলো
.
মা মুচকি হেসে নিতুর দিকে চেয়ে ব্রু কুঁচকালো
.
মা ভাইয়া আমাকে ছবি তুলতে দেয়নি,তবে নওশাদ ভাইয়া বলতেছিলো তার কাছে নাকি ছবি আছে
কথাটা শুনে মা মাথা নাড়ালো
.
শান্ত বিছানায় হেলান দিয়ে ইউটিউবে তার গানটার ভিডিও দেখতেছে
.
স্যার আসবো?
.
রিপা?আসো
.
স্যার নিতু মামণির পরীক্ষার রেসাল্ট বের হয়েছিলো আজ
.
কি গ্রেট আসছে?
.
বাংলাতে ৫০,আর বাকি সব প্লাস আসছে কিন্তু বাংলায় নাম্বার কম আসছে
.
ও বাংলায় এত খারাপ কেন??৩টা টিচার রাখছি কি জন্যে?নিতুকে ডাকো
.
নিতু মাথা নিচু করে দূরে দাঁড়িয়ে আছে তারপর পা টিপে টিপে আসলো,শান্তর সামনে এসে দাঁড়ালো সে
.
কি ব্যাপার নিতু?এসব কি শুনছি?তুমি বাংলায় এত কম নাম্বার পেলে কি করে?
.
ভাইয়া আমাকে যে টিচার বাংলা পড়ায় উনি বেশির ভাগ ইংরেজিতে কথা বলেন,আমার বাংলা বুঝতে problem হয়
.
রিপা তুমি এক কাজ করো নিউ টিচার খুঁজো ওর জন্য,এখন যে বাংলা টিচার আছে সে বাদ
এমন একজন টিচার আনবা সে যেন শুদ্ধ বাংলা ভাষায় কথা বলে এবং মার্জিত ভাবে নিতুকে বাংলায় পারদর্শী করে তুলতে পারবে
.
ওকে স্যার
আপনার কথামত আমার চেনাজানা একটা মেয়ে আছে,আমার ছোট বোনকে পড়ায়,বাংলায় অনেক ভালো,আপনি যদি বলেন তো তাকে আনাই?
.
ওকে,আনো,সমস্যা নেই,তবে সন্ধ্যা ৬টায় আসতে বলবা,আমি নিজের চেখে দেখবো কেমন পড়ায়
.
ঠিক আছে স্যার
.
রিপা রুম থেকে বেরিয়ে তার মাকে ফোন করলো
.
হ্যালো মা,আহানা কি আজকে রুনাকে পড়াতে এসেছে?
.
হুম,পড়াচ্ছে তো,কিন্তু কেন জিজ্ঞেস করছিস
.
শান্ত স্যারের ছোট বোনকেও পড়াতে হবে,বাংলায় একটু খারাপ তো তাই,আহানাকে ফোনটা দাও তো
.
আহানা মা ধরো রিপা তোমার সাথে কথা বলতে চায়
.
হ্যালো রিপা আপু
.
আহানা?কেমন আছো?
.
ভালো আছি,তুমি কেমন আছো?
.
ভালো,আসলে একটা কথা বলার জন্য ফোন করলাম,তুমি কি আমার স্যারের বোনকে বাংলা পড়াতে পারবা?
.
হুম পারবো,কখন পড়াতে হবে?
.
সন্ধ্যা ৬টা থেকে
.
আমার জন্য একটু কষ্টের হবে
.
স্যার মোটা অঙ্কের টাকা দিবে,স্যারের একটামাত্র বোন,কোনোমতে সব ছেড়ে এটায় ঢুকে যাও,তোমার কথা মাথায় আসতেই আমি তোমাকে কল করলাম
.
ঠিক আছে,আমি আসবো
.
আচ্ছা তাহলে কাল থেকে এসো কেমন!!

আহানা আজ বাসায় ফিরার সময় মায়ের জন্য তেতুল কিনলো,আচার বানাবে,মায়ের তেতুল অনেক পছন্দ,আর তেতুল খেলে মায়ের প্রেসারের কারণে মাঝে মাঝে যে মাথা ঘুরানি উঠে সেটা চলে যাবে
বাসায় আসতেই মায়ের হাতে তেতুল দিলো সে
মা তো রেগে গেলো,তেতুলের পিছনে টাকা খরচ কেন করেছে সেটাই বলে যাচ্ছেন উনি
.
আহানা মুচকি হেসে বিছানায় পা তুলে বসলো হাতে মুড়ির বোয়াম নিয়ে আর হেসে হেসে বললো”আরে মা!আমি একটা ভালো বেতনের টিউশনি পেয়েছি,রিপা আপু ফোন করে জানালো”
.
তাই নাকি,তাহলে তো ভালো
.
কিন্তু সমস্যা আছে,সন্ধ্যা ৬টায় যেতে হবে প্রতিদিন
.
সে সমস্যা নাহ,৭টায় বাসায় ফিরে আসলে আর কোনো সমস্যা নাই,তুই হ্যাঁ বলে দে
.
হুম বলছি আপুকে যে কাল থেকে আসবো
.
আমি কাঁকরোল দিয়ে ইলিশ মাছ রেঁধেছি,তোর খালা আজ ইলিশ মাছ আনছে,হাত ধুয়ে খেতে বস,মুড়ি নিয়ে বসেছিস কেন?
.
কি?কাঁকরোল??আবার ইলিশ মাছ?
যাও আজ আমি ভাতই খাবো না,তুমি জানো আমি তরকারিতে কাঁকরোল আর মাছের মধ্যে ইলিশ খাই না আর তুমি সে দুটোই একসাথ করে রাঁধলে?
.
কি করবো,বাসায় তরকারি ছিল না,গাছ থেকে কাঁকরোল ছিঁড়ে এনে রেঁধেছি
.
আমি শুধু ভাত আর ঝোল দিয়ে খাবো,আগে বলো খালা কই?
.
তোর খালা খেয়ে দেয়ে আবার চলে গেছে
.
আহানা মুখটা ফ্যাকাসে করে ঝোল দিয়ে শুকনা ভাত খাচ্ছে,মা বারবার বলতেছে একটু খেয়ে দেখ,বেশ লাগছে খেতে তরকারিটা
.
না সে খাবেই না
আহানা এমন একটা জাতি যে ইলিশ মাছ পছন্দ করে না

রিপা আমার ইলিশ কই??সব দেখি মিট আইটেম,আমি না বললাম আজ ইলিশ খাবো!
.
স্যার ম্যাডাম রাঁধতেছে,আপনি একটু বসুন
.
রাঁধতেছে মানে,কেমনে রাঁধতেছে,আর তুমি মাকে যেতেই বা কেন দিলা?
শান্ত দৌড়ে গেলো রান্নাঘরের দিকে
মা হুইলচেয়ারে বসেই ইনডাকশান ওভেনকে তার সামনে একটা ছোট টেবিলের উপর রিপাকে দিয়ে রাখিয়ে শান্তর জন্য ইলিশ রাঁধতেছেন
শান্ত স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে মায়ের পাশে গিয়ে বসলো
.
তারপর রিপার দিকে চেয়ে বললো “মা এসব তোমাকে দিয়ে এরেঞ্জ করালো কি করে?”
.
রান্নাঘরের সামনে এসে হাত দিয়ে ইশারা করতেছিলো তাই আমি এমন করে ব্যবস্থা করে দিয়েছি
.
আর করবা না,মায়ের শরীর ভালো না,দরকার নেই এত কিছুর
.
স্যার আপনার ইলিশ মাছ এত পছন্দের যে আজ আমি বুয়াকে দিয়ে ৪আইটেম বানিয়েছি ইলিশ মাছের আর তার পরেও ম্যাম ইলিশ মাছের আরেকটা আইটেম বানাচ্ছে
.
হুম,আমি ইলিশ দিয়ে সারাজীবন ভাত খেতে পারবো অন্য কিছু বাদেই
.
মা মুচকি হেসে শান্তর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন,তারপর ডাইনিংয়ে এসে শান্তর সাথে উনিও খেতে বসলেন,রিপা চামচে করে ইলিশ মাছ ভাজাটা শান্তর পাতে দিয়ে চলে যাওয়া ধরতেই দেখলো শান্তর মা এক চামচ ইলিশ মাছ ভাজার তেল শান্তর পাতে দিচ্ছেন
রিপা হা করে চেয়ে আছে,শান্ত কিছু বলছেও না
অথচ খাবারে তেল একদম কম খায় শান্ত,কি জানি,শান্ত স্যারের পছন্দ অপছন্দের লেভেল সব উদ্ভট,আমি এতবছর ধরে এখানে জব করি,আজও বুঝে উঠতে পারি না
চলবে♥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here