প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_৬
#Writer_Afnan_Lara
🌸
আজ সারাদিন আহানার ব্যস্ততার ভিতর দিয়ে কেটেছে সব
সকালে বাচ্চাদের পড়িয়ে ভার্সিটিতে যাওয়া তারপর ভার্সিটি ছুটি হলে ২টা টিউশনি
সব শেষ করে বিকালে বাসায় ফিরে একটু ঘুমিয়ে সে এবার গেছে রিপার দেওয়া ঠিকানায়,আজ থেকে নতুন টিউশনি শুরু
.
বেশ বড় বাড়ি!ভালো বেতন পাবো মনে হচ্ছে,এটার বেতন ভালো হলে বাকি যে ২টা টিউশনি আছে সেগুলো ছেড়ে দিব,এত জার্নি ভালো লাগে না
গেটে দারোয়ান ও আছে দেখছি,রিপা আপু কত বড় উপকার করলো আমার
আহানা এগিয়ে গিয়ে বললো সে এই বাসার মেয়েকে পড়াতে এসেছে
.
ও আপনি নিতু মা মণিরে পড়াতে এসেছেন?দাঁড়ান আমি রিপা আপাকে ডাকতেছি
কথাটা বলে দারোয়ান চলে গেলো বাসার ভিতরে
.
আহানা এদিক ওদিক তাকাচ্ছে বাসার,বাসার সামনে একটু জায়গাও খালি নাই যেখানে সূর্যমুখী ফুল নাই
এটা আবার কেমন বাড়ি!মানুষের গোলাপ পছন্দ হয় আবার একসাথে অনেক ফুল পছন্দ হয় আর বাগান করে সেটা দিয়ে এখানে দেখি চারিদিক হলুদ আর হলুদ,আজব বাড়ি তো!
এখান থেকে একটা ফুল নিয়ে যাব যাওয়ার সময়,সূর্যমুখী ফুল আমার তেমন পছন্দ না কিন্তু এতগুলো থেকে একটা নিয়েই যেতেই পারি!দেখতে ভালোই
ওমা!!!!গন্ধরাজ ফুল
আহানা গেট খুলে দৌড় দিলো সেদিকে,বাড়ির একদম শেষ প্রান্তে গন্ধরাজ ফুলের লম্বাতে বিরাট বড় সারি,একদম হাফ কিলোমিটার হবে,এত সুন্দর লাগছে,সবুজের উপর সাদা আর সাদা,সব ফুল ফুটে আছে
বেশ লাগতেছে দেখতে
আহানা একটা ফুল নিয়ে কানে গুজে পিছন ফিরে তাকালো,গোল করে বিরাট একটা খোলামেলা বারান্দা,মনে হয় যেন বারান্দার সামনে ইচ্ছে করেই গন্ধরাজের সারির বিস্তার করা হয়েছে যাতে বারান্দায় বসে অনায়াসেই ঘ্রান নেওয়া যায়
আহানা আরও দুটো ফুল নিয়ে এগিয়ে গেলো,গন্ধরাজ ফুল ওর অনেক পছন্দের,আরেকজনের বাগান বলে বেশি নিলো না
আহানা সামনের দিকে এসে দেখলো বাসার ভেতর থেকে রিপা আসতেছে হাসিমুখে
আহানা আজ প্রথমদিন বলে ৬টা বাজার আগেই চলে এসেছে
.
যাক আহানা এসেছো তাহলে!এই এক মিনিট!সরো সরো সরে দাঁড়াও,স্যার আসতেছে
আহানা রিপার কথামত সরে দাঁড়ালো
শান্ত কার নিয়ে ঢুকেতেছে গেট দিয়ে,প্রতিদিন এসময়ে সে অফিস থেকে ফেরে
রিপা বললো স্যারের সাথে কথা বলিয়ে দিবে কিন্তু পরে,স্যার এখন ফ্রেশ হতে যাবে
শান্ত ফোনে কথা বলতে বলতে চলে গেলো বাসার ভিতর
আহানা পাশের সূর্যমুখী ফুলগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখছে,শান্তর দিকে খেয়াল করলো না
এগুলা থেকে নাকি তেল বের হয়,আমি কি এক বোতল তেল নিতে পারবো??তাহলে রান্নার তেল কিনতে হবে না কয়েকদিনের জন্য
রিপা আহানাকে ভিতরে আসতে বলে সেই কখনই চলে গেছে
আহানা এদিক ওদিক তাকিয়ে পা টিপে টিপে সূর্যমুখীর বাগানে ঢুকে পড়েছে
একটা ফুলের মাঝখানে হাত দিয়ে টিপেটিপে সে মাটিতে বসে পড়েছে তাও তেল বের হচ্ছে না,পরে মনে করার চেষ্টা করলো রুপাদের বাসায় ডিসকভারি চ্যানেলে দেখেছিলো সূর্যমুখীর তেল কি করে বের করে
সব ভুলে গেছে সে
খানিকটা মনে আছে,তাই নিজের বুদ্ধি দিয়ে মনমতো এবার ফুলটাকে কিলাচ্ছে সে
সূর্যমুখীর বাগানটা বরাবর যে রুমটার সামনে সেটা হলো শান্তর রুম
শান্ত রুমে ঢুকে দরজা লক করে হাতের ব্যাগটা সোফায় রেখে টাই খুলতে খুলতে বারান্দার পর্দা সরিয়ে বারান্দায় চলে আসলো
তারপর টাইটা রুমের ভিতরের দিকে ছুঁড়ে মেরে শার্ট খুলে ফেললো তারপর তার নজরে পড়লো বাগানের দিকে একটা সূর্যমুখী ফুল বারবার নড়তেছে
শান্ত ব্রু কুঁচকে সেদিকে চেয়ে রইলো তারপর গায়ের গেঞ্জি খুলতে খুলতে সেদিকে ভালো করে খেয়াল করলো,একটা মেয়েকে দেখা যাচ্ছে সে গোল হয়ে মাটিতে বসে সূর্যমুখী ফুলকে বসে বসে কিলাচ্ছে
মেয়েটা কে?
.
আহানা কিছুই পেলো না, তেল তো দূরে থাক
শেষে কয়েকটা সূর্যমুখীর বিজ নিয়ে হাঁটা ধরলো
.
শান্ত দারোয়ানকে ডাক দিয়ে বললো বাগান চেক করতে
তারপর গোসল করতে চলে গেলো সে
আহানা গায়ের জামা থেকে মাটি ঝেড়ে বাসার ভিতর ঢুকতেছে
রিপা ওকে নিয়ে নিতুর রুমে চলে গেলো
নেভি ব্লু কালারের রুমটা,ছোটখাটো রুম,বড় বড় মানুষের আকারের দুটো টেডিবিয়ার আছে সেখানে,ফ্লোরে বসিয়ে রাখা
একটা গোলাপি আরেকটা নীল,একটা ছোট বিছানা আর টেবিল আর একটা আলমারি আছে সেখানে
আহানা গিয়ে চেয়ার টেনে বসলো
রিপা নিতুকে ডেকে আনতে গেছে,সে তার মায়ের রুমে এখন
নিতু তার রুমে এসে সালাম দিয়ে চেয়ার টেনে বসতেই আহানাকে দেখে চমকে গেলো
আহানাও তাকে দেখে চমকে একেবারে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে পড়েছে
.
এটা তো সেই মেয়েটা যে কাল ঐ অসভ্য লোকটার সাথে ছিল
.
আরে তুমি আহানা আপু না?
.
আহানা ঢোক গিলে বললো”সরি,আমি ভুল করে চলে আসছি”
আহানা ব্যাগ নিয়ে এক দৌড় মারলো
রিপা গিয়ে ওকে আটকালো তখনই
.
আরে আরে কই যাও,কি হয়েছে সেটা তো বলবা,এরকম চলে যাচ্ছো কেন?নিতু কে চেনো তুমি?
.
আহানা ব্রু কুঁচকে বললো”মাফ করে দিও,আমি এই টিউশনি করাতে পারবো না!”
.
শান্ত তোয়ালে দিয়ে চুল মুছতে মুছতে দারোয়ানের সাথে কথা বলতেছে,দারোয়ান জানালো নিতুকে যে নতুন ম্যাডাম পড়াতে এসেছে সে সূর্যমুখী বাগানে ঢুকেছিলো
.
শান্ত ঠিক আছে বলে পিছন ফিরতেই দেখলো আহানা ভূত দেখার মত তাকিয়ে আছে ওর দিকে তারপর চোখ নামিয়ে দৌড় দিলো
শান্ত কিছু বুঝে উঠতে না পরেে বললো”দাঁড়ান”
.
আহানা থেমে গিয়ে দোয়াদরুদ পড়া শুরু করে দিয়েছে
.
আপনি আমার বাসায় কি করতেছেন?
.
আপনাকে কেন বলতে যাবো?
.
আজব তো,আমার বাসায় আসছেন আর বলতেছেন আমাকে কেন বলতে যাবেন?
.
আমি কি করবো না করবো সেটা আপনাকে বলতে হবে?
.
আপনার কথার একটু সৌন্দর্য নাই,অলওয়েজ বিচ্ছিরি ভাবে উত্তর দেন
.
তো যখন এটা জানেন তখন আমার সাথে কথা বলতে আসেন কেন আপনি?স্টুপিড!
.
কি বললেন?আমি স্টুপিড?বের হোন আমার বাসার থেকে,বেয়াদব মেয়ে একটা,আকরাম মিয়া!! এরে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাসা থেকে বের করো
.
রিপা আর নিতু মুখে হাত দিয়ে চেয়ে আছে শান্ত আর আহানার দিকে
আহানা চোখ বড় করে শান্তর দিকে চেয়ে থেকে বললো”আমাকে অপমান করলে আমিও অপমান করি”
কথাটা বলে সে চলে গেলো
.
শান্ত ওর চলে যাওয়া দেখছে আর মনে মনে ভাবছে আবার ফিরে আসবে নির্ঘাত আমাকে অপমান করার জন্য
আহানা সূর্যমুখী বাগান থেকে কাদা মুঠো করে নিয়ে এগিয়ে আসতেছে
শান্ত রিপা আর নিতুর দিকে তাকিয়ে ধমক দিয়ে বললো”নাটক হচ্ছে এখানে?যাও এখান থেকে”
কথাটা শেষ না করতেই ওর সারা গায়ে কাদা এসে পড়লো
চোখ বন্ধ করে সে পিছন ফিরলো,তারপর রাগে গজগজ করতে করতে তাকালো
আহানা দাঁত কেলিয়ে বললো”চলে যাচ্ছি!আমাকে অপমান করলেন তাই আমিও করলাম,মানুষকে বলতে পারবো মিঃশান্তকে কাদা লাগিয়ে তার বাসা থেকে বের হতে পেরেছি”
.
ইউ স্টুপিড!
শান্ত এগিয়ে যেতেই মা এসে পড়লো সেখানে,হুইলচেয়ার নিজে চালিয়েই ড্রয়িং রুমে এসে পড়েছেন তিনি
.
আহানা চমকে উনার দিকে কিছুক্ষন চেয়ে রইলো,উনাকে কোথায় যেন দেখেছে সে,মনে করতে পারছে না,বারবার মনে হচ্ছে মহিলাটি তার চেনা
.
মা দেখো আমি মাত্র গোসল করেছি আর এই মেয়েটা কি করেছে
.
মা আহানার দিকে চেয়ে রয়েছেন তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে
৭বছর আগে এই মেয়েকে তিনি দেখেছেন!আরে এ তো আহানা!!!কিন্তু মুখ দিয়ে কিছু বলতে পারলেন তিনি,তার যে কথা বন্ধ হয়ে গেছে
তিনি শুধু মুচকি হেসে কাঁদতে কাঁদতে হাত দিয়ে আহানাকে কাছে ডাকলেন
আহানা তাকিয়ে আছে হতবম্ভ হয়ে,মনে আসতেছেই না এই মহিলাকে সে কোথায় দেখেছে,তাই এগিয়ে এসে হাঁটু গেড়ে বসলো সে
শান্তর মা কাঁদতে কাঁদতে আহানাকে জড়িয়ে ধরেছেন
শান্ত,নিতু রিপা সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে
উনি কেঁদেই যাচ্ছেন
.
মা?তুমি উনাকে চিনো?
.
মা কাঁদার জন্য কিছু ইশারাও করতে পারছেন না,শুধু রিপার দিকে তাকিয়ে রান্নারুমের দিকে ইশারা করলেন,তার মানে কিছু আনতে আহানার জন্য
রিপা তাই করলো
আহানার এইটুকু মনে পড়লো তার আন্টি হোন ইনি,তবে কিসের আন্টি,কোথাকার আন্টি তা মনে করতে পারলো না সে
.
উনি চোখ মুছে আহানার হাত মুঠো করে ধরে আছেন এখনও,তারপর শান্তকে ইশারা করলো তাকে নিজের রুমে দিয়ে আসতে
শান্ত আবার ফ্রেশ হতে চলে গেছে
মায়ের এমন ভাব দেখে মনে হয় আহানাকে কত আগে থেকে চেনেন তিনি,কিন্তু সে তো আহানাকে চেনে না
শান্ত ফ্রেশ হয়ে এসে মাকে কোলে তুলে বিছানায় হেলান দিয়ে বসালো
মা আলমারির দিকে ইশারা করলো,তারপর হাত দিয়ে পৃষ্ঠা উল্টানোর মত করে বুঝাতে চাইলো আলমারি থেকে এমন কিছু বের করতে যেটা বইয়ের মত
শান্ত আহানার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আলমারি খুললো
আহানা বোকার মত সবদিক দেখে যাচ্ছে
আন্টির বারান্দা দিয়ে লম্বাতে গন্ধরাজের সারিটা দেখা যায়
রুমটা খয়েরী রঙ করা,বেশ দেখতে,পরিপাটি একদম
শান্ত আলমারি খুঁজে একটা হালকা পাতলা লাগেজ বের করলো,বই পেলো না
তারপর লাগেজটা নিয়ে মায়ের সামনে রাখতে গিয়ে আহানাকে ধমক দিয়ে বললো”সরুন এখান থেকে,দেখেন না এটা রাখতেছি,,পিলারের মত দাঁড়িয়ে আছে!
.
আহানা ব্রু কুঁচকে দূরে সরে দাঁড়ালো
শান্ত লাগেজটা খুলে একটা পুরোনো ফটো এলবাম বের করলো
শান্তর বাবার ফ্রেন্ডজোন নিয়ে তোলা একটা ছবি খুঁজে বের করলেন মা
১০জনের একটা ছবি,সবার গায়ে নীল কোর্ট
এলবামটা খুঁজে তারপর শান্তর বাবার গলায় হাত রাখা একটা লোককে ইশারা করে দেখালেন তিনি শান্তকে
শান্ত চিনতে পারলো না
আহানা মাথা উঁচু করে তাকিয়ে বললো”আরে এটা তো আমার বাবা”
.
শান্ত চোখ বড় করে আহানার দিকে তাকালো তারপর মায়ের দিকে তাকালো,মা মাথা নাড়িয়ে আবার কেঁদে দিলেন
শান্ত এখনও চিনতে পারলো না লোকটাকে,কি করে চিনবে,এই ছবি যখন তোলা হয়েছে তখন সে আমেরিকা ছিল
প্রায়ই ১০বছরের মতন সেখানে ছিল সে,তবে যতদূর মনে আছে তার বাবার একজন বন্ধু ছিল,আয়াত হক নাম,
ছোটবেলায় তার মেয়েকে একবার পানিতে ফেলে দিসিলাম আমি,তখন মনে হয় মেয়েটার বয়স ৪বছর ছিল
তাহলে ইনি কি সেই আঙ্কেল?
মা উনি কি আয়াত আঙ্কেল?
.
মা মাথা নাড়ালেন
.
শান্ত চোখ বড় করে আহানার দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবলো”এই মেয়েকে ছোটবেলায় একবার পানিতে ফেলে দিসিলাম আর বড় হয়েও ফালাইছি পানিতে,কি মিল!
.
মা আহানাকে হাত দিয়ে ডেকে পাশে বসালেন
আহানা বাবার ছবিটা ধরে সাথেসাথে কেঁধে দিলো
.
মা এবার নিজের কান্না থামিয়ে আহানাকে বুকে ধরে চুপ করে রইলেন আর আহানার মাথা মুছতে লাগলেন
আহানা তার এই আন্টিকে কত দেখেছে কত রাত আন্টির সাথে সে ঘুমিয়েছে আর আজ এতবছর পর হঠাৎ দেখে সে প্রথমে চিনতেই পারলো না তাকে
শান্তর মা আহানার বাবার ছবিতে আঙ্গুল দিয়ে বারবার কি যেন বলার চেষ্টা করছেন
আহানা আন্দাজেই বললো “বাবা ও মারা গেছে”!আমরা আপনাদের অনেক খুঁজেছি,পরে বাবার লাশ নিয়ে চলে যাওয়ার সময় এম্বুলেন্সের লোক থেকে জানলাম যে রিয়াদ আঙ্কেল ও কার এক্সিডেন্টে মারা গেছিলেন,সেই একই কারে বাবাও ছিলেন,তারা দুজনে একসাথে একটা জায়গায় যাচ্ছিলো,আমি আর মা আপনাদের অনেক খুঁজেছি কিন্তু আপনাদের বাসায় এসে জানলাম আপনারা গ্রামের বাড়ি চলে গেছন,ফোন ও বন্ধ ছিল আপনাদের
ওদিকে বাবাকেও কবর দিতে হতো আর আমরা আপনাদের গ্রামের বাড়ি কোথায় সেটা জানতাম না তাই আমরা চলে গিয়েছিলাম বাবার লাশ নিয়ে,এর পরে অনেকবার খুঁজেছি তাও আপনাদের পাইনি
.
শান্ত গম্ভীর গলায় বললো “আমি আমেরিকা থেকে যেদিন ফিরেছি সেদিনই সব ঘটেছে,নিতুর জন্ম আর বাবার মৃত্যু! বাবাকে একটিবার জীবিত অবস্থায় দেখলাম না আমি
বাবা কল করে বলেছিল হসপিটালে আসতেছি সেখানে দেখা হবে
বাবাকে গ্রামের বাড়ি কবর দিয়ে আমরা ২মাসের মতো সেখানে ছিলাম তারপর আবার ফিরে এসে কয়েকবছর পর নতুন বাসা নিয়েছিলাম,তাই হয়ত আমাদের পান নাই”
.
আহানা শান্তর মায়ের ইশারা বুঝতেছে না কিছুই
.
শান্ত বললো”আপনার মায়ের কি খবর সেটা জানতে চাচ্ছে মা”
.
আমার মা ভালো আছে,বাবা মারা যাওয়ার পর কত ঝড় যে গেছে আমাদের পরিবারের উপর দিয়ে,এখন ভালোই আছি,আন্টি আমাদের বাসায় আসবেন একদিন
চলবে♥