#প্রেম_তুমি
ফাবিহা নওশীন
পর্ব-১
“দোস্ত, দর্শন তো দিন দিন আরো সুদর্শন হয়ে যাচ্ছে। ফর্মাল লুকে কত কিউট লাগছে।”
সকাল ৯ টা ২২ মিনিট। মেঘলা আকাশ। না রোদ না বৃষ্টি। ঝিরঝিরে মৃদু বাতাস বইছে। এমন পরিবেশে অর্ষা আর প্রিয়া কলেজের দুতলা বিল্ডিংয়ের বারান্দার গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে ছিল। অর্ষা অপলক দৃষ্টিতে দর্শনকে দেখছিল। ও পুরো মগ্ন ছিল দর্শনকে দেখায়। দর্শন কাঁধে ব্যাগ নিয়ে ক্লাস রুমের দিকে যাচ্ছিল। ওর দৃষ্টি আর কোথাও আঁটকে ছিল না। হঠাৎ প্রিয়ার কথায় ওর টনক নড়ল। ওর দৃষ্টি ছিটকে দর্শনের দিক থেকে সরে প্রিয়ার দিকে গেল। মুখের লাজুক আর মুগ্ধ আভা মুহূর্তেই ক্ষুব্ধ রুপ নিল। প্রিয়ার হাসি হাসি মুখটা হঠাৎই মিলিয়ে গেল।
আমতা আমতা করে বলল,
“এভাবে তাকাচ্ছিস কেন? আমি কী বলেছি?”
অর্ষা কিছু না বলে ওর এক বিনুনি ধরে টান মারল। ব্যথায় কুঁকড়ে উঠল প্রিয়া।
অর্ষা কটমটে চোখে ওর দিকে তাকাল। তারপর বলল,
“বেষ্টু বেষ্টুর মতো থাকবি। বান্ধবীর প্রেমিককে দেখে ক্রাশ কেন খাবি? এখুনি ওয়াশরুমে যাবি, যত ক্রাশ খেয়েছিস বমি করে ফেলে দিবি। নয়তো তোর সাথে ব্রেকাপ। যা এখুনি যা।”
তারপর ওর বিনুনি ছেড়ে দিল। বিনুনি ছেড়ে আবার নিচের দিকে তাকাল কিন্তু দর্শন ওর নজরের বাইরে।
প্রিয়া হতাশ হয়ে বলল,
“তুই দিন দিন পাগল হয়ে যাচ্ছিস। মাথা যাচ্ছে পুরো।”
অর্ষা চোখমুখ কুঁচকে বলল,
“মাথা কিন্তু সত্যিই যাচ্ছে। একটা অঘটন ঘটিয়ে ফেলব। তাড়াতাড়ি যা।”
“উফফ! তোর জ্বালায় বাঁচি না। দর্শন তোর বফ কোনদিন হবে না। এই যে গ্রিল ধরে যেভাবে ওকে দেখে যাস তেমন দেখেই যাবি আজীবন। একদিন দূর দূরান্তে হারিয়ে যাবে। আর তুই বসে বসে আঙুল কামড়াবি। বিনুনি টানার জন্য এই বিনুনিটাও থাকবে না।”
অর্ষা ওকে কিছু বলার আগেই প্রিয়া স্থান ত্যাগ করল। অর্ষা আর প্রিয়া বেষ্ট ফ্রেন্ড। অর্ষা বরাবরই এমন। একটু পাগলামি করে। বিভিন্ন অদ্ভুত বায়না করে। এই কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার পর ওর পাগলামি আরো বেড়ে গেছে। ওকে ছোট থেকে সহ্য করে যাচ্ছে প্রিয়া। অর্ষার মা নেই। ছোট বেলায় মারা গেছে। ও বাবার খুব আদরের মেয়ে। বড্ড জেদি। তাই যা ইচ্ছে তাই করে। অর্ষা যেদিন দর্শনকে প্রথম দেখেছে সেদিন থেকে ওর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। এখনো দূর থেকেই দেখে যাচ্ছে। কাছে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। কেউ যদি দর্শনকে দেখে উলটা পালটা বলে তাহলে ওর মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।
দর্শন দ্বাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞানের ছাত্র। ছোট থেকেই পড়াশোনায় বেশ সিরিয়াস। এই নম্র-ভদ্র ছেলেটা সবার নজর কাটতে সক্ষম হচ্ছে। ওর আচার-আচরণ, কথা বলার ধরণ সবাইকে মুগ্ধ করে। ও খুব হাসিখুশি তাই সবাই ওকে খুব পছন্দ করে। ওর ইচ্ছে ডাক্তারি পড়ার। আর সেজন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ সামনে এইচএসসি পরীক্ষা। সারাক্ষণ বই নিয়ে পড়ে থাকে। ক্লাসের ফাঁকে কোলাহল এড়াতে লাইব্রেরীতে গিয়ে নিরিবিলি পড়াশোনা করে। আর প্রতিদিন সেখানে অর্ষা পড়ার বাহানায় উল্টো পাশের টেবিলের এক কোনায় বই নিয়ে বসে থাকে। দর্শনের সামনে এসে ওকে ইম্প্রেশ করার চেষ্টা কখনোই করেনি। দূর থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখে মনে মনে ভালোবাসে। ওকে দেখলেই ওর হার্টবিট বেড়ে যায়। মনে অদ্ভুত অনূভুতি কাজ করে।
অর্ষা চেয়ারে হেলান দিয়ে হাতে বাংলা প্রথম পত্র বই খুলে বসে আছে। ওর প্রিয় সাবজেক্ট বাংলা প্রথম পত্র কিন্তু এখানে ও সেই ভালোলাগার খাতিরে নয় ভালোবাসার খাতিরে এসে বসেছে। ঠোঁটে মিষ্টি হাসি ঝুলিয়ে ভালোবাসার নিগুঢ় অনুভূতি অনুভব করছে। দর্শন চোখে চশমা পরা, সাদা শার্ট ইন করে কালো রঙের প্যান্ট কলেজের ফর্মাল পোশাক পরে ফিজিক্স বই খুলে পড়ছে। ওর চশমা পরা চোখ আর অন্য কোন দিকে অন্য কোন মোহে আঁটকে নেই। দর্শনের কুঁকড়া চুলের দিকে চেয়ে ইষত হাসি দিল অর্ষা। দর্শনের গায়ের রঙ উজ্জ্বল শ্যাম বর্ণের। কলেজে ফরেনারদের মতো সাদা চামড়ার শতাধিক স্টাইলিশ ছেলে থাকতেও সহজ, সাধারণ দর্শনকে অর্ষার পৃথিবীর সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ মনে হয়। দর্শনের আশেপাশে অনেক মেয়ে ঘুরঘুর করে, প্রেম করার জন্য কিংবা বন্ধুত্ব করার জন্য। এর একাধিক কারণ থাকতে পারে তবে ওর থেকে নোট নেওয়া কিংবা পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার কৌশল আয়ত্ত করার জন্য অনেকেই ওর দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু দর্শন মোটেও ভোলা-ভালা, বোকাসোকা ছেলে নয়। সব সময় এডিটিউট বজায় রেখে চলে। যার তার দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয় না। ক্লাসের টপারদের সাথে ওর ওঠাবসা। এর বাইরে কারো সাথে মিশে না।
একটা মেয়ে এসে দর্শনের পাশের চেয়ারে বসে। দর্শন সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করলেও অর্ষা ভ্রু কুঁচকে সেদিকে তাকায়। দৃষ্টি সজাগ রেখে কান খাড়া করে। যদিও কান খাড়া বিন্দুমাত্র লাভ হবে না। কেননা লাইব্রেরীতে কেউ উচ্চস্বরে কথা বলে না, তাছাড়া অর্ষা অনেকটা দূরে। অর্ষা মেয়েটার দিকে তাকাচ্ছে। মেয়েটার কার্যকলাপ দেখে বুঝতে চায় সে কী চায়।
মেয়েটা মিষ্টি হেসে দর্শনকে বলল,
“হ্যালো।”
দর্শন সেদিকে না চেয়েই বলল,
“হায়!”
মেয়েটা পাত্তা না পেয়ে নড়ে-চড়ে বসে। মনে মনে বিড়বিড় করে কিছু বলছে। তারপর মুখটা হাসি হাসি করে বলল,
“আমি একটু কথা বলতে চাই তোমার সাথে।”
দর্শন হাত ঘড়ির দিকে তাকাল। কিন্তু কোন জবাব দিল না।
মেয়েটা বলল,
“আমি সেকেন্ড ইয়ার, বিজ্ঞান বিভাগ। নাম আলিশা। আমি তোমাকে অনেকদিন ধরে চিনি। কথা বলতে ইচ্ছুক থাকা স্বত্তেও কথা বলিনি।”
মেয়েটা কেমন করে তাকাচ্ছে। দর্শন কথা বলতে ইচ্ছুক না বোঝা যাচ্ছে। মেয়েটার উদ্দেশ্য ভালো ঠেকছে না। তখনই ঘন্টা বেজে ওঠে। দর্শন বই হাতে মুচকি হেসে উঠে দাঁড়াল। আলিশার দিকে চেয়ে বলল,
“ঘন্টা বেজে গেছে। আমি ক্লাসে যাচ্ছি।”
দর্শন চলে গেল, আলিশা হতাশ আর রাগী মুখে দাঁড়িয়ে রইল। ওর এক বান্ধবী এসে বলল,
“ওকে পটানো সহজ না। ছেড়ে দে। চল ক্লাসে যাই।”
ওরা ক্লাসে চলে গেল। অর্ষা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে। রাগে আঙুল কামড়াচ্ছে
ওর চোখ ছলছল করছে। ডায়েরি খুলে এক পাতায় ঘটঘট করে লিখল, “আমার খুব কান্না পাচ্ছে। কোন মেয়ে তোমার আশেপাশে ঘেঁষলে
আমার খুব কষ্ট হয়, ভয় হয়, যদি তোমাকে হারিয়ে ফেলি? তাহলে আমি নিজেকেই হারিয়ে ফেলব।”
অর্ষা মন খারাপ করে বসে আছে। প্রিয়া ওর কানের সামনে ঘ্যানঘ্যান করছে।
“দোস্ত, জীবন তেজপাতা। এক্সামের প্যারা আর ভালো লাগে না।”
অর্ষা দুই চামচ বিরক্তি মিশিয়ে বলল,
“তেজপাতাটা দিয়ে দে, কড়া করে রঙ চা বানিয়ে খেয়ে ফেলি, মাথা ধরেছে ভীষণ।”
প্রিয়া অবাক হয়ে বলল,
“হঠাৎ মাথা ধরলো কেন?”
“একটা মেয়ে!”
“ওহ! বুঝেছি। একটা মেয়ে দর্শনের সাথে কথা বলেছে?”
“হ্যাঁ, শয়তান মেয়ে। ওকে কিছু একটা না করে শান্তি পাব না।”
“অর্ষা, এখন বিরক্ত লাগছে। তুই নিজেও ওর পাশে ঘেঁষবি না আবার কাউকে ঘেঁষতেও দিবি না। এ কেমন কথা? তুই যা, ওর সাথে কথা বল। এভাবে আর চলতে পারে না। রাগ লাগে আমার। তোকে অনেক আশকারা দিয়েছি আর না।”
অর্ষা চুপ করে আছে। প্রিয়া রেগে যাচ্ছে। ওর কথাও ঠিক। এভাবে অনেক দিন নষ্ট হয়েছে। অর্ষার চোখ লাল হয়ে গেছে। প্রিয়া অর্ষার দিকে তাকাল। মেয়েটা অনেক কষ্ট পেয়েছে। প্রিয়ার খারাপ লাগতে শুরু করল।
“অর্ষা!”
অর্ষা যেন এটুকুর অপেক্ষায় ছিল। অর্ষা কেঁদে ফেলল। কাঁদতে কাঁদতে মুখ চেপে ধরল প্রিয়া কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে গেছে। হঠাৎ অর্ষা এমন ভাবে কেঁদে দিবে বুঝতে পারেনি।
“অর্ষা, কাঁদছিস কেন? কান্না থামা প্লিজ।”
অর্ষা কাঁদতে কাঁদতে হেঁচকি তুলে ফেলছে। তারপর কাঁদতে কাঁদতে জড়িয়ে যাওয়া কন্ঠে বলল,
“কী করব আমি? আমি এতটা ভীতু নই যে ভালোবাসার কথাটা বলতে পারব না। কিন্তু আমার ভয় হয়। ও যদি আমার ভালোবাসা গ্রহণ না করে, যদি ভাবে আমি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে প্রেম নিবেদন করছি। আমি সহ্য করতে পারব না। ওকে আমি খুব ভালোবাসি। তুই তো জানিস।”
প্রিয়া ওকে জড়িয়ে ধরে শান্তনা দিয়ে বলল,
“দেখিস ও তোকে একদিন খুব ভালোবাসবে। কান্না ধামা। তোর মতো কিউট মেয়েকে না ভালোবেসে কই যাবে?”
অর্ষার মন কিছুটা ভালো হয়েছে। ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে চুইংগাম চিবাতে চিবাতে হাঁটছে। সাথে প্রিয়া। অর্ষা হাত দিয়ে মুখ থেকে চাবানো চুইংগাম
বের করে ঘাড় আঁকাবাঁকা করে আস্তে করে সেটা আলিশার চুলে দেওয়ার জন্য হাত বাড়ায়। প্রিয়া দেখে চোখ বড়বড় করে ফেলল। কিন্তু ওকে আঁটকাতে পারল না। কেননা এতক্ষণে ওর চুলে চুইংগাম দেওয়া শেষ। সেটা দেখে মনে হচ্ছে প্রিয়ার চোখগুলো কোঠা থেকে বের হয়ে যাবে। প্রিয়া আতংকিত হয়ে অর্ষার হাত ধরে দ্রুত সরে এল।
অর্ষা তখনও নির্ভীক মনোভাব পোষণ করে দাঁড়িয়ে আছে। যেন কিছুই হয়নি।
“অর্ষা, ভয়-ডর বলতে তোর ভেতর কিছু নেই? ও আমাদের সিনিয়র। একটু তো ভয় পা।”
“এই, তুই জানিস না ভয়-ডর কিচ্ছু নেই আমার। এতদিন আমার সাথে থাকার পরেও এই প্রশ্ন করলে তোর লজ্জা করে না? ও দর্শনের পেছনে লাইন মারছিল কেন? যে লাইন মারবে তার সাথে আমি এটাই করব।”
প্রিয়া দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। ওকে বুঝিয়ে লাভ নেই।
***
অর্ষা ব্যাগ, পড়ার টেবিল, বুকসেল্ফ, আলমারি পুরো ঘর তোলপাড় করে ফেলছে। কোথাও ওর ডায়েরি খুঁজে পাচ্ছে না। ছলছলে চোখ, দুরুদুরু বুক আর বিষন্ন মুখে ডায়েরি খুঁজছে। ওর ডায়েরি হারানো গিয়েছে সেখানে দর্শনকে নিয়ে অনুভব করা প্রতিটি মুহূর্ত, অনুভূতি অক্ষরে প্রাণ ধারণ করেছিল। কাঁপা কাঁপা হাতে প্রিয়াকে কল করে হাউমাউ করে কেঁদে দিল।
পরের দিন দর্শনের বেঞ্চের উপরে ওর বন্ধু রুশান একটা নীল মলাটের ডায়েরি রাখল। দর্শন ভ্রু কুঁচকে সেদিকে দেখে বলল,
“কার ডায়েরি? ”
রুশান মুচকি হেসে বলল,
“ভাই এটা ডায়েরি নয়, উপন্যাস। কেউ একজন তোকে নিয়ে ডায়েরিতে পুরো উপন্যাস লিখে ফেলেছে।”
তারপর রহস্যময় হাসি দিল।
দর্শন আলতো হেসে বলল,
“কীহ!”
“হ্যাঁ, লাইব্রেরীতে পেয়েছি। সারারাত ডায়েরি পড়েছি। মনে হচ্ছে ফার্স্ট ইয়ার। কত ভালোবাসা জমিয়ে রেখেছে তোর জন্য।”
তারপর ফিক করে আবারও হেসে দিল। তাচ্ছিল্য হাসিতে দর্শন কিছুটা বিরক্ত হলো। তারপর বলল,
“অনুমতি ছাড়া কারো পার্সোনাল জিনিসে হাত দেওয়া উচিত নয়। জানিস না?”
“আরে রাখ তোর উচিত অনুচিত। সময় পেলে ডায়েরিটা পড়ে দেখিস।”
বলেই রুশান সেকেন্ড বেঞ্চে গিয়ে বসে। দর্শন কি মনে করে ডায়েরিটা ওর ব্যাগে রাখল।
রাতের বেলায় পড়ার জন্য ব্যাগ থেকে বই বের করার সময় ডায়েরিটা দর্শনের চোখে পড়ল। তারপর কী মনে করে হাতে নিল। কেমন এক অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে। কেউ ওর জন্য ভালোবাসা প্রকাশ করেছে ডায়েরিতে ভেবেই আলতো হাসল। কারো পারমিশন ছাড়া তার জিনিসে হাত দিতে নেই। কিন্তু এই নিষিদ্ধ জিনিসটা ওকে খিঁচে নিয়ে যাচ্ছে। আসক্তি বাড়াচ্ছে৷ না চাইতেও কাঁপা কাঁপা হাতে ডায়েরির প্রথম পাতাটা খুলল।
তাতে গোটাগোটা হাতের লেখা,
“তুমি আমাকে না ভালোবাসলে সমস্যা নেই। কিন্তু তুমি অন্য কাউকে ভালোবাসবে না। প্লিজ প্লিজ প্লিজ। অনুরোধটা রাখবে কিন্তু। ওকে?”
না চাইতেও দর্শন ফিক করে হেসে ফেলে। নিজের চুলগুলো এলোমেলো করে। চোখগুলো নাড়াচাড়া করে মাথা নাড়াচ্ছে বারবার আর হাসছে। মেয়েটা কে জানতে ইচ্ছে করছে দেখতে ইচ্ছে করছে সে কতটা বাচ্চামি করে। কলেজে গিয়ে মেয়েটাকে খুঁজে বের করবে ভেবে নিল।
আগাম একটা করে বেশি পর্ব পড়তে চাইলে আমাকে ফ্লো করুন 🖐️✊
#চলবে