প্রেম_তুমি ফাবিহা নওশীন পর্ব-২০

0
571

#প্রেম_তুমি
ফাবিহা নওশীন
পর্ব-২০

ভোরের ঘুম অন্য সময়ের চেয়ে শীতল, আরামদায়ক ও নেশালো। প্রিয়া সেই নেশায় ডুবে আছে। গভীর ঘুমে যখন আচ্ছন্ন তখন কারো হিংসে হলো। ওর স্বাদের ঘুমের বারোটা বাজিয়ে দিল ফোন কল। খানখান হয়ে যাওয়া ঘুমের জন্য ভীষণ কান্না পেল। কল ধরবে না ভেবে বালিশে মুখ গুজল। কিন্তু আবারও রিং বাজল। ঘুমঘুম চোখে বাধ্য হয়ে মোবাইল হাতরে কাছে আনে প্রিয়া। কল রিসিভ করে চোখ বন্ধ করেই বলল,
“হ্যালো!”

“হ্যালো প্রিয়ু!”

প্রিয়া চোখ মেলল। মোবাইলের স্কিনে অর্ষার নাম্বার দেখে বিরবির করে বলল,
“এই মেয়ে জীবনটা জ্বালিয়ে খেল। এই রাত-দুপুরে কোন ভূত চেপেছে আল্লাহ মালুম।”
তারপর সময় দেখল ভোর পাঁচটা বাজে। ওর কন্ঠও অনেক স্বাভাবিক। নিশ্চয়ই অনেকক্ষণ ধরে জেগে আছে।
“এই তুই কী সারারাত ঘুমাসনি?”

“না, রিসার্চ করছিলাম।”

প্রিয়া খানিকটা অবাক হয়ে বলল,
“ঘুম বাদ দিয়ে কী রিসার্চ করছিলি?”

অর্ষা কিছুটা আমতা-আমতা করছিল,
“ওই আসলে দর্শন গতকাল কী বলেছিল।”

“রেজাল্ট?”

“পেয়েছি মেবি।”

“মেবি!”

“হ্যা, মেবি। কজ তুই আমার মাথায় উল্টো পালটা জিনিস ঢুকিয়ে দিয়েছিস তাই মেবিতে আঁটকে আছে। এখন আসল কথা শোন, আমাকে কলেজ ছুটির পর দু’ঘন্টা সময় দিবি।”

প্রিয়া চোখ বড়বড় করে বলল,
“এটাই বলার জন্য কল দিয়েছিস?”

“হ্যা।”

প্রিয়ায় মেজাজ তুঙ্গে। দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
“খুব ভালো করেছিস। মরে যাচ্ছিলি তো তাই কল করে আমার কাছ থেকে অক্সিজেন সাপ্লাই নিলি। তাই না? কু*ত্তী কলেজে গিয়ে বলা যেত না? এত ভোর বেলায় কল করেছিস কেন? ফোন রাখ।”
প্রিয়া ঝারি মেরে কল কেটে দিল। অর্ষা বোকা বোকা মুখ করে বসে রইল। যাকগে এখন একটু ঘুমানো যাক। অর্ষা ধপ করে বিছানায় শুয়ে পড়ল। কিন্তু উত্তেজনায় ঘুম আসছে না। আজ দর্শনের জন্মদিন। সন্ধ্যায় ওদের বাড়িতে যাবে। নিজেকে কিভাবে সাজাবে এগুলোই শুধু মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। এসব ভাবতে ভাবতে চোখের পাতায় ঘুম চলে এল।

সকালে আকস্মিক ঘুম ভাঙতেই অর্ষা লাফিয়ে ওঠে। বিছানায় কয়েক সেকেন্ড চুপ করে বসে থাকে। বড় দেয়াল ঘড়ির দিকে চোখ যেতে বিছানা থেকে এক প্রকার দৌঁড়ে নামে। দ্রুত রেডি হয়ে নিল। আজ দর্শনের জন্মদিন। লেট করা চলে? তবুও লেট হয়ে গেল। দর্শন নিশ্চয়ই গাল ফুলিয়ে রেখেছে।

অর্ষা দ্রুত কলেজে গেল। বেল পড়ে গেছে। ক্লাসে সম্ভবত টিচার চলে গেছে। দর্শনকে আঠারোতম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হলো না। কত কষ্ট করে রাত জেগে ইউটিউব দেখে কার্ড বানিয়েছে। অর্ষা কার্ডের দিকে চেয়ে মন খারাপ করল। এত আশা করে বানিয়েছে। বাধ্য হয়ে নিজের ক্লাসে চলে গেল। স্যার চলে গেছে। অনুমতি নিয়ে ক্লাসে গিয়ে বসল। মনে হচ্ছে সময় আজ যাচ্ছে না। বারবার ঘড়িতে সময় দেখছে। স্যারের পড়ানোর দিকে আগ্রহ নেই। তা কোন কালেই ছিল না তবে আজ একটু বেশিই নেই। ক্লাস শেষ হতেই দৌড়ে দর্শনের ক্লাসে যায় কিন্তু লাভ হলো না পরের ক্লাসের স্যার চলে গেছেন। অর্ষা হতাশা আর রাগ নিয়ে ফিরে এল। পুরো দিন এভাবেই গেল। দর্শনের সাথে কথা বলার সুযোগ হয়নি। দর্শনকেও তৎপর হতে দেখা যায়নি। মনে হয় না ও দেখা করতে চায়। নিজ থেকে তো আসতে পারত কিন্তু আসেনি। হয়তো রাগ করে আছে। একদম ছুটির পর দর্শনের দেখা পেল। কিন্তু পার্সোনালি কথা বলা হয়নি। ওর বন্ধুরা ওকে ঘিরে ছিল বার্থডে বয় বলে কথা। তার উপর প্রিয়া পাগল করে ফেলছিল। ওর বাসায় যাওয়ার তাড়া আছে। এখুনি যদি ওর সাথে না যায় তবে সময় দিতে পারবে না। সব মিলিয়ে অর্ষা পড়েছিল বিপাকে। দর্শনকে ছোট করে একটা বার্তা পাঠিয়ে চলে যায় প্রিয়ার সাথে।

~~~
সন্ধ্যা সাতটা। দর্শনের বাড়িতে পার্টি চলছে। পার্টিতে শুধু ওর কাজিন, পাড়ার বন্ধু আর কলেজের বন্ধুরা। ওর বাবা-মা, বোন ছাড়া অন্য কোন আত্মীয় এলাও নয় এই এই পার্টিতে, আত্মীয়দের মধ্যে শুধু সমবয়সী কাজিনরা থাকছে। দর্শন বাইরে কোথাও পার্টি রাখেনি বাবা-মার জন্য। তারা দু’জনেই ডক্টর। ব্যস্ত মানুষ। এত সময় করে উঠতে পারবে না। তাই বাড়িতেই এরেঞ্জ করেছে সব। দিশার দু’চার জন বন্ধুও এসেছে। ও ওদের নিয়ে ব্যস্ত। অর্পা আজ খুব সুন্দর করে সেজেছে। রুশান রসিয়ে রসিয়ে ওর রুপের প্রসংশা করছে। দর্শন কালো রঙের স্যুট, কালো সু পরেছে। ফর্মাল লুকে বেশ হ্যান্ডসাম লাগছে। ও কয়েকবার অর্ষাকে কল করেছে। কিন্তু অর্ষা কল রিসিভ করছিল না। শেষ বার কল রিসিভ করে বলেছে লেট হবে পৌঁছাতে। দর্শনের বেশ অভিমান হয়েছে।
একটা চেয়ার টেনে বসে আছে চুপচাপ। অর্ষার প্রতি রেগে আছে। মনে মনে বলছে, কলেজেও লেট করে এসেছে। কাছে গিয়ে একবারও উইশ করেনি। ভালো করে কথা বলেনি। যাওয়ার সময় টেক্স করে চলে যাওয়ার কথা জানিয়েছে। আজকে ওর জন্য এত স্পেশাল একটা ডে কিন্তু অর্ষা তার কোন মূল্যই দিল না। ভালোবাসার মানুষের কী উচিত ছিল না দিনটা আরো স্পেশাল করার? পার্টিতেও আসতে লেট হবে। আসার কী দরকার ছিল। না আসতো। দর্শন এসব ভাবতে ভাবতে গাল ফুলিয়ে বসে আছে।

অর্ষা আর প্রিয়া দর্শনদের ফ্ল্যাটের সামনে। দরজা খোলা রাখা তবুও ভেতরে ঢুকতে অস্বস্তি আর লজ্জা লাগছে। প্রিয়া বারবার ধাক্কাচ্ছে আর ফিসফিস করে বলছে,
“চল, তুই না গেলে আমি যাব কী করে?”

“আমার অস্বস্তি লাগছে।”

প্রিয়া পড়েছে মুশকিলে। অর্ষার এত অস্বস্তির কারণ ওর অজানা নেই। তাই ও নিজেই আগে ঢুকে পড়ল। ভেতরে আসার সময় অর্ষার হাত শক্ত করে ধরেছিল। রুশানের অর্পার সাথে গল্প করতে করতে হঠাৎ দরজার দিকে চোখ গেল। অর্পাকে আলতোভাবে ধাক্কা মেরে ওকে দেখিয়ে বলল,
“এই মেয়ে আবার কে? চেনা চেনা লাগছে। দেখো তো আমাদের ফ্রেন্ড সার্কেলের কেউ কিনা?”

অর্পা দরজার দিকে তাকাল। অর্ষাকে দেখে বসা থেকে দাঁড়িয়ে গেল।
“মাশাল্লাহ!”

ওর মুখে মাশাল্লাহ আর চোখে বিস্ময় দেখে রুশান ভরকে গেল। তারপর আবার অর্ষার দিকে তাকাল। ও নিজেও দাঁড়িয়ে গেল।
“ও অর্ষা। ওকে কত সুন্দর লাগছে দেখেছো?”
রুশান ভালো করে দেখে বলল, “তাই তো। অর্ষাই তো।”

অর্পা উৎফুল্ল হয়ে বলল,
“দর্শন ওকে দেখলে কী রিয়েকশন দেবে তাই ভাবছি।”

“তুমি মেয়ে হয়ে যখন এত দাপাদাপি করছো সেখানে তো দর্শন বেহুশ হয়ে যাবে। ওর হুশে থাকা জরুরি। ও বেহুশ হলে সবাইকে পার্টি রেখে হাসপাতালে দৌড়াতে হবে কিন্তু আমার তাতে মুড নেই। আমি এখন পার্টি মুডে আছি।”

অর্পা কনুই দিয়ে ওকে মেরে বলল,
“ওর বাবা-মা ডাক্তার সমস্যা নাই। তুমি বকবক বন্ধ করে চুপ করে দাঁড়াও। আমি দর্শনের রিয়েকশন দেখতে চাই। আর তুমি মোবাইল নিয়ে রেডি থাকো। ওর রিয়েকশন ভিডিও করা চাই।”

“ওকে মহারাণী।”

অর্পা দর্শনের পেছনে গিয়ে দাঁড়াল। অর্ষা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে দর্শনকে খুঁজছে। ওকে একবার দেখে দর্শনের কাঁধে হাত রেখে বলল,
“দর্শন!”

দর্শন ওর কাজিনের সাথে কথা বলছিল। অর্পার ডাকে পেছনে ঘুরে। চোখের ইশারায় কী বলল। অর্পাও চোখ দিয়ে ইশারা করে অর্ষাকে দেখাল। দর্শন মুগ্ধ হয়ে অর্ষাকে দেখছে। ওর চোখের পলক পড়ছে না। মুখের বিস্ময়টা এখন ঠোঁটের কোনে হাসিতে পরিণত হয়েছে। চোখ বিস্ময়ে চকচক করছে। অর্ষা এতটা মুগ্ধ করবে সেটা ভাবতে পারেনি। ওর চোখে মুখে মুগ্ধতা জড়ানো আভা ছড়িয়ে পড়েছে। অর্ষা ঘরোয়া পার্টির জন্য মানানসই সিম্পল ডিজাইনের, সিম্পল লেহেঙ্গা পরেছে। সাথে রাতের উপযোগী হালকা মেক আপ। লেহেঙ্গার সাথে ম্যাচ করে জুয়েলারি, বাম হাতে ওর দেওয়া ব্রেসলেট। ঠোঁটে ম্যাচিং লিপস্টিক, খোলা চুল, পায়ে হাই হিল সাথে মুখে উপচে পড়া লাজুক আভা। অর্ষার চোখে চোখ পড়ল ওর। অর্ষা এতক্ষণ ওকে খুঁজলেও এখন কাছে যেতে লজ্জা লাগছে। দর্শনের দৃষ্টি দেখে আরো লজ্জা লাগছে। তাই ঠায় দাঁড়িয়ে রইল। অর্পা দর্শনকে ঠেলে অর্ষার কাছে নিয়ে গেল। এহেন ঠেলাঠেলির কারণে দর্শন নিজেও লজ্জা পেয়ে গেল। অর্ষা চোখ তুলে তাকাতে পারছে না। অর্পা ওদের সামনে থেকে চলে গেল। দর্শন আশেপাশে তাকাল। বাবা-মা এখনো আসেনি। তাই অর্ষার সাথে টেনশন ফ্রি কথা বলতে পারে।

দর্শন আচ্ছন্ন করা কন্ঠে বলল,
“এত সৌন্দর্য কোথায় লুকিয়ে রেখেছিলে বলো তো? ভারী অন্যায় করেছো।”

অর্ষা চোখ তুলে ওর দিকে তাকাল। লজ্জা আর অস্বস্তি নিয়ে বলল,
“আমার খুব লজ্জা লাগছে। আমি কখনো এমন ভাবে…..

দর্শন মৃদু হেসে বলল,
“এভাবে নিজেকে সাজাবে ভালো লাগবে।”

অর্ষা চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। দর্শন ওকে আর অস্বস্তিতে ফেলতে চাইছে না।
“এসো, এসে বসো। প্রিয়াকে ডাকো।”

অর্ষা প্রিয়াকে ডাকল। ওরা দু’জন এক জায়গায় গিয়ে বসল। দর্শন দূর থেকে বারবার অর্ষাকে দেখছে। অর্ষার এ লাবণ্য রুপ ফুরিয়ে যাওয়ার নয়। যত দেখে তত মোহিত হয়। অর্ষা এখন অনেকটা ইজি ফিল করছে। দর্শন অর্ষার সামনে গিয়ে ফিসফিস করে বলল,
“তোমাকে বেশি সময় দিতে পারছি না, বুঝতেই পারছো ফ্যামিলি আছে সন্দেহ করবে।”

অর্ষা মৃদু হেসে বলল,
“ইটস ওকে।”

অর্পা, অর্ষা, প্রিয়া এক সাথে বসে গল্প করছে। দর্শনের বাবা-মা এসে পড়েছে। অর্ষা ওদের দেখে মনে মনে বলছে হবু শ্বশুর শাশুড়ী আমার। তারপর নিজ মনেই লজ্জা পাচ্ছে। কেক কাটার জন্য সবাইকে ডাকা হলো। দর্শনের কেক কাটাকাটি বাচ্চাদের মতো মনে হচ্ছে। ওর কি এখন কেক কাটার বয়স? কিন্তু মায়ের জোড়াজুড়িতে বাধ্য হয়েছে কেক অর্ডার করতে। দর্শন ইশারায় অর্ষাকে ডাকল। সাথে দাঁড় করাতে না পারলেও পেছনে ঠিক ঘাড়ের ওপর অর্ষা। কেক কাটা শেষ করে মা’কে খাইয়ে দিয়ে বলল,
“এনাফ, মা। আমি আর কেক নিয়ে আদিখ্যেতা করতে পারব না। প্লিজ।”

দর্শনের মমতাময়ী মা হেসে ফেলল। ছেলে বেশ জব্দ হয়েছে। তিনি কেক সরিয়ে ফেললেন। তারপর সবাইকে খাবার সার্ভ করা হলো। অর্ষা দর্শনকে আলাদাভাবে কথা বলার জন্য খুঁজছে। ওর জন্য একটা গিফট এনেছে সেটা দিতে চায়। খাওয়া শেষ করে সবাই যে যার মতো পার্টি এঞ্জয় করছে। অর্ষা দর্শনকে মেসেজ করে জানাল,
“বাবা আমাকে নিতে আসবে, আমি চলে যাব। তোমার জন্য কিছু এনেছি। আলাদা করে দিতে চাই।”

দর্শন মেসেজ দেখা মাত্রই ওর বেডরুম দেখাল। অর্ষা ওর বেডরুমে চলে গেল। ওর বেডরুমে গিয়ে অর্ষা চারদিকে হা করে চেয়ে আছে। একটা ছেলের রুমের সবকিছু এত গোছানো, সাজানো। সেখানে ও মেয়ে হয়ে রুমের নাজেহাল অবস্থা করে রাখে। ঘর তো নয় আফ্রিকার গভীর জঙ্গল। দর্শন দেখলে শিওর ছিহ! ছিহ! করবে।
এ-সব ভাবতে ভাবতে দর্শন চলে এসেছে। দরজায় পাহারায় রুশানকে দাঁড় করিয়ে রেখেছে।
“তোমার উপর আজ আমি অনেক রেগে ছিলাম। তুমি আমাকে আজ পাত্তাই দেওনি। কিন্তু এখন এই মুহূর্তে তোমার উপর আমার একটুও রাগ নেই। জানো তো সব সময় আমি তোমাকে এভাবে দেখতে চাইতাম কিন্তু বলতে পারতাম বা যদি রাগ করো তাই। আজ তোমাকে এভাবে দেখে ভীষণ ভালো লাগছে।”

অর্ষার আবারও অস্বস্তি লাগছে। এত লজ্জা জীবনেও পায়নি। মনে হচ্ছে মরেই যাবে আজ লজ্জায়। অর্ষা একটা বক্স রাখল ওর বিছানার উপরে। তারপর একটা কার্ড বের করে দর্শনকে দিয়ে বলল,
“সারারাত জেগে এটা করেছি কেমন হয়েছে?”

দর্শন কার্ডটা খুলল। অর্ষার যে এত সৃজনশীল গুন আছে জানা ছিল না। দর্শন অর্ষার হাত ধরে বলল,
“বলব?”

অর্ষার হাত কাঁপছে। এর আগেও হাত ধরেছে কিন্তু আজ কেমন শিহরিত হচ্ছে। অর্ষা চোখের পলক ফেলল। দর্শন আচমকা ওর হাতের পাতার উপর ঠোঁট ছুয়ালো। অর্ষা আরো কেঁপে উঠল। সারা শরীর কাঁপছে। বুকে হাতুড়ি পেটাচ্ছে। মনে হচ্ছে নিশ্বাস নিতে পারছে না। এখানে থাকলে মারা যাবে। আর এক মুহূর্ত এখানে থাকা যাবে না। এ কেমন অনুভূতি!

আগাম একটা করে বেশি পর্ব পড়তে চাইলে আমাকে এক্ষনি ফ্লো করুন ✊🖐️

চলবে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here