#প্রেম_তুমি (দ্বিতীয় খণ্ড)
ফাবিহা নওশীন
শেষ পর্ব
সময়ের সাথে সাথে বাড়ির পরিবেশ পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। দর্শন মায়ের সাথে কথা বলেছে। অনেক বার ক্ষমা চেয়েছে। ফলাফলস্বরূপ তিনি আগের চেয়ে নরমাল হয়েছেন। অর্ষাও চেষ্টা করে শাশুড়ির মন জুগিয়ে চলতে এর একটাই কারণ ওর মা নেই। ছোট বেলায় মা’কে হারিয়ে দর্শনের মাকে নিজের মা মনে করে। মা ছাড়া সন্তান যেমন অসহায় তাকে ছাড়াও অর্ষা অসহায়। শাশুড়ি আর বউমা মিলে সোসাইটির একটা পার্টি এটেন করতে গিয়েছে। বিয়ের অনুষ্ঠান। দর্শনের ইমার্জেন্সি ডিউটি থাকায় আসতে পারেনি। বউ শাশুড়ি মিলে বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছে। দুজনে মিলে ভালোই উপভোগ করছে। অনেক দিন প্রতিবেশীদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ হয় না। এই সুযোগে দেখা সাক্ষাৎ হলো আর অর্ষাও অনেকের সাথে পরিচিত হলো।
হঠাৎ এক ভদ্র মহিলা অর্ষা খুটিয়ে খুটিয়ে দেখে প্রশ্ন করল,
“কোন সুখবর আছে না-কি?”
দর্শনের মা বুঝতে না পেরে জিজ্ঞেস করল,
“কেমন সুখবর? ঠিক বুঝলাম না।”
“ছেলের বউ এনেছো বছর তো মনে হয় পেরিয়ে গেছে। তা দাদি হচ্ছো কবে?”
এই প্রশ্ন শুনে অর্ষার মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেল। এতক্ষণ ধরে যে খুশি উপচে পড়ছিল তা হঠাৎ করেই শূন্যতায় ভরপুর হলো। ফ্যাকাসে মুখে শাশুড়ি মায়ের দিকে তাকাল। তার মুখটাও ফ্যাকাসে। এমন অবস্থা দেখে অর্ষার বুকে মোচড় দিয়ে উঠল।
শাশুড়ি মা হঠাৎ হাসি হাসি মুখ করে বলল,
“গুনে গুনে পনেরো মাস পাড় হয়েছে। বেশি কই? দু’জনেই চাকরি করে। নতুন চাকরি। ওরা নিজেদের ক্যারিয়ার গুছিয়ে ওদের সুযোগ বুঝে বাচ্চা নিবে। আমাদের তাড়াহুড়ো নেই। সবে ছেলেমেয়ে বিয়ে দিয়েছি, এক সময় চারদিকে বাচ্চাকাচ্চা কিচিরমিচির করবে। তখন পালানোর রাস্তা পাব না।”
বলেই হাসতে লাগলেন। অর্ষার ঠোঁটের কোনেও হাসি ফুটল।
যতই হাসি ফুটুক বিষন্ন মনে বাড়ি ফিরল অর্ষা। রুমে প্রবেশ করে দর্শনকে দেখতে পেল। দর্শন এসেছে অনেকক্ষণ ধরে। ফ্রেশ হয়ে কফি নিয়ে বসেছে। ওকে দেখে গাল ফুলিয়ে ওর সামনে এসে দাঁড়াল।
“বাড়ি ফিরে যদি দেখি ঘরে বউ নেই তাহলে কি ভালো লাগে?”
“এসেই তো পড়েছো। তুমিও চলে যেতে।”
অর্ষা ব্যাগ রেখে আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়াল।
“দূরর! ওইসব বিয়ে বাড়ি আমার ভালো লাগে না।”
অর্ষা হাতের চুড়ি, কানের দুল খুলে ড্রেসিং টেবিলের উপরে রাখল। কেমন চুপচাপ। দর্শনের ভালো ঠেকছে না। কফিতে চুমুক দিয়ে ওর পাশে গিয়ে দাঁড়াল।
“কী হয়েছে?”
অর্ষা চুলগুলো হেয়ার ব্যান দিয়ে উঁচু করে বেঁধে বলল,
“কই কিছু না।”
দর্শন ওর থুতনি উঁচু করে বলল,
“তাহলে আমার জানটার মুখে হাসি নেই কেন? কে কেড়ে নিয়ে গেল সে হাসি?”
অর্ষা একবার ওর দিকে তাকাল। তারপর চোখ নামিয়ে বলল,
“এক আন্টি মা’কে বলছিল আমাদের বিয়ের বছর পেরিয়ে গেছে বাচ্চা নেব কবে।”
দর্শন মুচকি হেসে বলল,
“ওই এই ব্যাপার।”
দর্শন ওকে দাঁড় করালো। ওর চুলগুলো এলোমেলো করে দিয়ে আয়নার বরাবর দাঁড় করিয়ে কাঁধের উপর থুতনি রেখে বলল,
“দেখো তো মেয়েটাকে। কিউট একটা বেবি। কীভাবে ঠোঁট ফুলিয়ে রেখেছে। ওই আন্টিকে বলতে পারলে না আমি নিজেই একটা বাচ্চা, আমাকে সামলাতেই আমার হাসব্যান্ড হিমসিম খায়। বাচ্চা সামলাতে কি প্রতিবেশীরা আসবে?”
দর্শন ওর কাঁধে ঠোঁট ছুয়ালো। থেমে থেমে কয়েকবার চুমু খেল।
এই একটা মানুষই পারে অর্ষার দুঃখ কষ্ট নিমিষেই ভুলিয়ে দিতে। তার জন্য হাজার বছর বাঁচতে ইচ্ছে করে।
~~
দুপুর বারোটা। এসি রুমেও অস্থির লাগছে অর্ষার। কাজের এত চাপ যে রেষ্ট করার টাইম নেই। দ্রুত ল্যাপটপের কি-বোর্ডে টাইপ করছে। কপালে চিকন ঘামের রেখা। গলা শুকিয়ে আসছে। টিসু দিয়ে ঘাম মুছে টেবিল রাখা পানি ভর্তি গ্লাস্টা এক নিশ্বাসেই ফাঁকা করে দিল। এসির পাওয়ার আরেকটু বাড়াল। মাথাটা হঠাৎ চক্কর দিল। অর্ষা ফাইলপত্র সব ঝাপসা দেখছে। চেয়ারে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে রাখল। অনেক ক্লান্ত লাগছে।
তখন হঠাৎ ওর এক কলিগ কেবিনের ভেতরে প্রবেশ করল। ফাইল খোলা, ল্যাপটপ অন দেখে ওর দিকে তাকাল। অর্ষা চোখ বন্ধ করে আছে। কাজ করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েনি তো?
অর্ষা স্মিত শব্দে চোখ মেলল।
কলিগকে দেখে মাথা সোজা করতে চাইল। কিন্তু ওর কলিগ বাঁধা দিল। ওর চোখমুখ দেখে বুঝতে বাকি নেই যে ও অসুস্থ।
“অর্ষা, যেভাবে আছো সেভাবেই থাকো। শরীর খারাপ লাগছে?”
“হ্যা, আপু। কাজের অনেক স্ট্রেস যাচ্ছে। তাই হঠাৎ মাথাটা ঘুরে গিয়েছিল।”
“এত প্রেসার কেন নেও? তোমাকে কতবার বারন করেছি। খুব খারাপ লাগছে? ডাক্তার ডাকব?”
“না, প্রয়োজন নেই। আমি ঠিক আছি।”
“আচ্ছা তুমি রেষ্ট করো। আমি পরে আসব। কিছু লাগলে জানিও।”
“অবশ্যই।”
উনি যেতেই অর্ষা আবারও চোখ বন্ধ করল। শরীরটা খুবই খারাপ লাগছে। বাসায় চলে যেতে পারলে ভালো হত। কিন্তু কাজ ফেলে যাওয়াও সম্ভব না। শরীর খারাপ নিয়েই পুরো দিন অফিস করল অর্ষা।
রাতে খাবার টেবিলে অর্ষা প্লেটে হাত শুধু নাড়াচাড়া করছে কিছুই খাচ্ছে না। সব খাবার প্লেটেই পড়ে আছে। সবাই ওর এই অনিহা খেয়াল
করছে।
দর্শন ওর কাঁধে হাত রেখে বলল,
“অফিসে কিছু হয়েছে?”
“না তো। কেন?”
“তোমাকে এমন লাগছে কেন? কিছুই খাচ্ছো না। মনে হচ্ছে কিছু নিয়ে অনেক ডিস্টার্ব। কিছু লুকাবে না কোন সমস্যা হলে আমাকে বলো।”
অর্ষা স্মিত হাসল। তারপর বলল,
“কিছুই হয়নি। অফিসে কাজের অনেক প্রেসার। একটা প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছি। আজ অফিস থেকেই শরীরটা কেমন জানি লাগছে।”
দর্শন বিচলিত হয়ে ওর কপালে, গলায় হাত দিয়ে জ্বর চেক করে বলল,
“শরীরে তো জ্বর নেই। তাহলে?”
“শরীরটা একটু দূর্বল লাগছে। খেতে ইচ্ছে করছে না। তেমন কোন সমস্যা না।”
“সমস্যা না বললেই হলো? মা একটু দেখো।”
দর্শনের মা কিছু একটা ভাবছিল। তারপর বলল,
“দর্শন, অযথা টেনশন করিস না। কাজের প্রেসার গেছে তাই অনেক টায়ার্ড। একটু রেষ্ট করলেই সুস্থ হয়ে যাবে। অর্ষা তোমার খেতে হবে না। ঘরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নেও। আমি তোমার জন্য দুধ পাঠাচ্ছি। দুধ খেয়ে শুয়ে পড়ো। লম্বা সময় ঘুমালে সব ঠিক হয়ে যাবে।”
খেতে হবে না ভেবে অর্ষা খুশি হয়ে গেল। দ্রুত চেয়ার ছেড়ে উঠে বলল,
“আচ্ছা, মা। শুভ রাত্রি।”
অর্ষা বেসিনে হাত ধুতে চলে গেল। দর্শন অবাক হয়ে মা’য়ের দিকে চেয়ে আছে।
দর্শন ডিনার শেষ করে ঘরে গিয়ে দেখে অর্ষা অলরেডি ঘুমিয়ে পড়েছে। মা ঘুমাতে বলেছে বলে এসেই ঘুম? এত দ্রুত ঘুম চলে এল? দর্শন ফ্রেশ হয়ে এসে অর্ষাকে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করল। ও সত্যিই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। নিশ্চয়ই অনেক ক্লান্ত। ওর কপালে গভীর ভাবে চুমু দিয়ে লাইট অফ করল।
কিছুদিন ধরে অর্ষার শরীর ভালো যাচ্ছে না। ঠিক কি হয়েছে বুঝতে পারছে না। স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ী সবাই ডাক্তার হওয়া সত্ত্বেও ট্রিটমেন্ট করতে পারছে না। কি বলবে? ঠিকমতো খেতে পারছে না, ফলে শরীর দূর্বল লাগে। কিছুই ভালো লাগে না। মনে হচ্ছে মুখের রুচি কমে গেছে। সকাল বেলায় সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগে। অর্ষা রেডি হয়ে নাস্তার টেবিলের সামনে গেল। চেয়ার টেনে বসতে গিয়ে চেয়ার ধরে দাঁড়িয়ে গেল। হঠাৎ ওর মাথাটা ঘুরে যায়। চেয়ার শক্ত করে ধরে রাখে। দর্শন ওর পাশে থাকায় দ্রুত ওকে ধরে বসিয়ে দেয়।
অর্ষা বসে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে।
দর্শন ওর এই অবস্থা দেখে নার্ভ চেক করে। দ্রুত চলছে। দর্শন ধমকে উঠে,
“তুমি একদম আমার কথা শুনো না। দেখো তো নিজের কি অবস্থা করেছো। ঠিকমতো খাচ্ছো না। শরীরের কি হাল করে ফেলেছো। না খেলে চলবে?”
দর্শনের মা ওকে থামিয়ে দিয়ে অর্ষাকে নিজের ঘরে নিয়ে যায়। ওকে কিছু প্রশ্ন করে, রোগের হিস্ট্রি জেনে নরমাল চেক আপ করে। চেক আপ করে উনার চোখে পানি চলে আসে। এত বড় ডাক্তার উনি, এতগুলো বছর যাবত এই পেশায় জড়িত থাকার পরেও আজ কনফিউশনে ভুগছেন। যেখানে রোগীর নরমাল চেক আপ করেই সব বলে দিতে পারেন সেখানে বারবার মনে হচ্ছে যদি ভুল হয়। তাহলে সবার মন ভাঙবে। কেন জানি কনফিডেন্স পাচ্ছেন না।
“অর্ষা, তোমার কাছে প্রেগন্যান্সির কিট আছে?”
অর্ষা মুখের দিকে অবাক হয়ে চেয়ে আছে। ওর মনে কীসব ভাবনা উঁকি দিচ্ছে।
“কেন মা?”
“না, তেমন কিছু না। যদি থাকে তবে একটু চেক করো।”
“হ্যা, আছে। আপনি কি কোন আশা দেখতে পাচ্ছেন?”
“তুমি শুধু গিয়ে চেক করো। আর হ্যা, এখুনি কিছু আশা করে ফেলো না। তাহলে পরে কষ্ট পাবে।”
অর্ষা কিট নিয়ে টেস্ট করল। কাঁপা কাঁপা হাতে কিট নিয়ে শাশুড়ী মা’য়ের কাছে এল। তিনি কিট ভালো করে চেক করে কেঁদে ফেললেন। দ্রুত চোখের পানি মুছল। অর্ষা নিজেও কাঁদতে লাগল।
দর্শন ঘরে এসে অর্ষাকে কাঁদতে দেখে ভয় পেয়ে যায়।
ভীত গলায় প্রশ্ন করে,
“কাঁদছো কেন? মা কী হয়েছে ওর?”
দর্শনের মা তৃপ্তির হাসি ফুটিয়ে বলল,
“অর্ষা প্রেগন্যান্ট।”
বিস্মিত কন্ঠে দর্শন বলল,
“প্রেগন্যান্ট!”
ওর মা মাথা নাড়িয়ে সায় দিল।
দর্শন আবেগপ্রবণ হয়ে ওর মা’কে জড়িয়ে ধরে হু হু করে কেঁদে উঠল। এতগুলো দিনের জমানো কান্না। কত অপেক্ষার পর এই খুশির দিন এসেছে। কতদিন ধরে এই একটা কথা শোনার আকুল হয়ে অপেক্ষা করেছে। কত রাত অর্ষাকে বুকে নিয়ে কেঁদেছে। দু’জনের কান্না আজ কবুল হয়েছে। আল্লাহর দরবারে হাজার বার শুকরিয়া জানিয়েছে। সেদিন আর অফিসে যায়নি। সোজা হাসপাতালে গিয়ে প্রয়োজনীয় টেস্টগুলো করে এসেছে। আসার পর থেকে শুরু হয়েছে ওর যত্ন নেওয়া। নিজেকে খুব স্পেশাল ফিল হচ্ছে। আয়ান, দিশা, ওর খালা-খালু, প্রিয়া, অর্পা, রুশান
সবাই এই খবর শুনে চলে এসেছে। পুরো দিন সবার সাথে খুব সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছে অর্ষা। আর পুরো রাত দু’জনে মিলে সীমাহীন স্বপ্ন বুনেছে।
সবার অসীম যত্নে, ভালোবাসায় অর্ষা আর দর্শনের ফুটফুটে একটা মেয়ে হয়। দর্শন ওটির বাইরে অপেক্ষা করছে নুপুর নিয়ে যেটা বিয়ের আগে কিনেছিল। এত ছোট পায়ে নুপুর লাগবে না জেনেও নিয়ে এসেছে। বাইরে পাইচারি করছে আর বক্সটা একটু পর পর খুলে দেখছে। ডাক্তার অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হওয়ার পর পর সমস্ত নিয়ম-কানুন ভুলে দর্শন ছুটে যেতে চায় ভেতরে। কিন্তু ডাক্তার বাঁধা দেয়। কেবিনে দেওয়ার পর দর্শন সবার আগে ভেতরে ঢুকে। দর্শন ভেতরে ঢুকে ঘুমন্ত অর্ষাকে দেখতে পায়। প্রথমে অর্ষার কাছে যায়। ওর গালে ডান হাতের দুই আঙুল দিয়ে স্লাইড করে কপালে একটা চুমু খায়। তারপর দোলনার কাছে গিয়ে সদ্য জন্ম নেওয়া বাচ্চাটির মুখপানে চেয়ে বুকটা কেমন জানি করে উঠে। অদ্ভুত এক শিহরণ বয়ে যায় শরীর জুড়ে। মন বলে উঠে,
“আমি বাবা হয়েছি।”
দর্শন বাচ্চাটিকে কুলে নিয়ে কানের কাছে ঠোঁট নিয়ে আজান দেয়। আজান দিয়ে ওর পায়ে নুপুরটি পড়িয়ে দেয়।
গভীর রাত। ওদের মেয়ে কিছুতেই ঘুমাচ্ছে না। কাঁদছে বারবার। ফলে ওদের দু’জনের ঘুম হারাম। অর্ষা মেয়েকে কোলে নিয়ে পাইচারি করছে আর দর্শন গিটার নিয়ে বসে। অদ্ভুত ভাবে গিটারের শব্দে ওর কান্না বন্ধ হয়ে যায়। অর্ষা দর্শনের পাশে গিয়ে বসে। ওর সাথে লাগোয়া হয়ে বসে ওর কাঁধে মাথা রাখল। অর্ষা মেয়ের মুখের দিকে চেয়ে বলল,
“আজ আমি পরিপূর্ণ। তোমাকে পেয়ে আর আমার এই পুচকে মেয়েকে পেয়ে। আমার আর কিছু চাই না। এক নিমিষেই আল্লাহ আমার সমস্ত দুঃখ কষ্ট দূর করে দিয়েছেন।”
দর্শন ওকে নিজের দিকে আরো খিঁচে নিয়ে বলল,
“এভাবেই সব সময় তোমাকে খুশি রাখব আর নিজে খুশি থাকব। কলেজের দিনগুলোতে বুঝে গিয়েছি এই পাগল মেয়েটাকে ছাড়া থাকা অসম্ভব। তাই তো এর জন্য বুকের খাঁচায় একটা পাগলাগারদ বানিয়েছি।”
অর্ষা ওর কথা শুনে মৃদু হাসল।
সমাপ্ত।
অসম্ভব ভালো লাগছে,,,,,,,, ধন্যবাদ আপু