প্রেম_তুমি পর্ব-৬ ফাবিহা নওশীন

0
707

#প্রেম_তুমি
পর্ব-৬
ফাবিহা নওশীন

পড়ন্ত বিকালে যখন সূর্য তার তেজ হারিয়ে নির্বিকার ডুবে যাচ্ছে পশ্চিমা আকাশে তখন ষোল বছর বয়সী এক কিশোরী মেহেদীতে হাত রাঙাতে ব্যস্ত। এ যেন শুধু মেহেদীর রং নয় তার হৃদয়ের গভীর রঙ, ঠোঁটের কোনে ইষত হাসি, গালে লাল গোধূলি আভা, দুনয়নে আষ্টেপৃষ্টে থাকা গভীর লজ্জা। প্রিয়া অর্ষার রুমে যেতেই ওর চোখে পড়ল সে কিশোরীকে। অর্ষা কোলে কোশন রেখে মুখে মিষ্টি হাসি রেখে গভীর মনোযোগ দিয়ে মেহেদী দিচ্ছে। প্রিয়া পা টিপে টিপে ওর কাছে গিয়ে বসতেই অর্ষা হঠাৎ চমকে গেল। শুধু চমকে গিয়ে স্থির হয়নি। চমকে গিয়ে ওর হাত হালকা সরে যায়। অর্ষা চোখ বড়বড় করে মেহেদীর দিকে তাকাল। তারপর দেখল না ঠিক আছে। কোন কিছুই নষ্ট হয়নি। প্রিয়া যেন জানে বাঁচল।
অর্ষা ওকে বলল,
“প্রিয়ু বেঁচে গেলি। আমার মেহেদী নষ্ট হলে পিষ্ট করে ভর্তা বানাতাম।”

প্রিয়া ভয় ভয় মুখ করে বলল,
“ওহে, বান্ধবী আমি বাঁচিয়া গেছি। তা তুমি বসিয়া বসিয়া এই অকাজ কেন করিতেছো জানিতে পারি কী?”

অর্ষা মেহেদী দেওয়া রেখে ক্ষিপ্ত হয়ে বলল,
“অকাজ! এমন অকাজ তুই পারলে করে দেখা তো। মেহেদী দেওয়াও একটা সৃজনশীল কাজ। যে গুন তোর নেই।”

“আচ্ছা, গুণবতী মেডাম। আপনার গুনের বিবরণ দেওয়া শেষ হলে চলুন একটু ঘুরে আসি। তোর এই সৃজনশীল কাজ দেখার জন্য অবশ্যই আমি আসিনি।”

অর্ষা আবারও মেহেদী দিতে দিতে বলল,
“বের হওয়ার মুড নেই। বড়জোর ছাদ অবধি যেতে পারি। তা যদি না পোষায় তবে বলব গো ব্যাক ইউর হোম।”

****
অর্ষা আর প্রিয়া ওদের বাসার ছাদে দাঁড়িয়ে আছে। অর্ষা ডান হাতে রেলিঙ ধরে বাম হাত উঁচু করে অতি সাবধানে রেখেছে। যাতে ওর হাতের মেহেদী নষ্ট না হয়। বাতাসে ওর চুলগুলো উড়ছে। ছাদের ওপাশে আরো দুটো মেয়ে গল্প করছে। অর্ষার দৃষ্টি ওই গোধূলি রাঙা আকাশের দিকে। ওর গোধূলি আকাশ খুব পছন্দ কিন্তু একার জন্য ছাদে আসা হয় না। আর না উপভোগ করা হয় এই মুহূর্ত। কেমন ঘোর লাগা মুহূর্ত। মনে হয় কোথাও হারিয়ে যাচ্ছে। দূর-দূরান্তে। ওই গোধূলি আকাশে। প্রিয়া রেলিঙ ধরে নিচের দিকে ঝুঁকে চেয়ে আছে। রাস্তার ছোট ছোট মানুষ আর যানবাহন দেখছে। ও ছাদের এক জায়গায় স্থির থাকছে না। পাখির মতো উড়াউড়ি করছে।

অর্ষা আকাশ দেখায় ব্যস্ত আর তখনই একটা ছেলের কন্ঠ,
“অর্ষা!”
অর্ষা চোখ ঘুরিয়ে ছেলেটার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকাল। ছেলেটা চুপচাপ ওর দিকে চেয়ে আছে। অর্ষা সোজা হয়ে সিরিয়াস ভঙ্গিতে ওর দিকে চেয়ে জিজ্ঞেস করল,
“কী? কী চাই? আবার বিরক্ত করতে চলে এসেছো? তোমার জন্য কি বাসা থেকে বের হতে পারব না? জাস্ট বিরক্ত লাগছে। তুমি কি চাইছো তোমার বাবার কাছে বিচার দেই?”
ছেলেটা কনফিডেন্সের সাথে বলল,
” আমি জানি তুমি বিচার দিবে না।”
“কিন্তু কেন দেই না তা জানো? তোমার বাবা আমাকে খুব স্নেহ করেন। আমি চাইনা তার ছেলের এই কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি লজ্জিত হোন, আমার সামনে এসে দাঁড়াতে না পারেন। তাই চুপ আছি। কিন্তু সব কিছুরই একটা লিমিট থাকে। সে লিমিট ক্রস হয়ে গেলে আমি কিছুই মানব না। তাই সময় থাকতে ভালো হয়ে যাও।”
ছেলেটা অতিশয় ভদ্র ভঙ্গিতে বলল,
“আমি খারাপ কিছু করেছি? আমি শুধু তোমাকে বুঝাতে চাই।”
অর্ষা রাগান্বিত সুরে বলল,
“আমি বুঝতে চাই না। তুমি কেন বোঝো না? আমি কিছু বুঝতে চাই না।”
“আমার বিশ্বাস তুমি একদিন আমাকে বুঝতে পারবে। সে দিনের অপেক্ষায় আছি।”
অর্ষা চূড়ান্ত বিরক্তি নিয়ে বলল,
“অপেক্ষায় থাকো আমার কোন সমস্যা নেই কিন্তু আমাকে বিরক্ত করো না। হোয়াটসঅ্যাপে তুমি টেক্স করেছিলে তাই না? আমি জানি তুমি। আমি হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার চেঞ্জ করব না। শুধু ব্লক করব। আমিও দেখতে চাই তুমি কতদূর যেতে পারো।”
অর্ষা রাগে গজগজ করতে করতে হনহন করে হেঁটে চলে যাচ্ছে। যেতে যেতে বলল,
“মুডটাই নষ্ট করে দিল। ডিজগাস্টিং!”
প্রিয়া ওর পেছনে পেছনে যাচ্ছে।
যেতে যেতে প্রশ্ন করল,
“ও এখনো তোর পেছনে পড়ে আছে?”
“তাই তো দেখছি। কতদিন পরে ছাদে এলাম সেখানে এসেই হানা। ওর জন্যই ছাদে আসি না। কোথাও কোন ভাবে আমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করে না। সিড়িতে কিংবা রাস্তায় দেখা হলেও কথা বলবে না। কিন্তু ছাদে আমাকে পেলেই হলো। এসে মুড অফ করে দিবে। বলছি বারবার তোমাকে ভালোবাসি না, কখনো বাসবোও না তবুও আসবে। হাল নাকি ছাড়বে না। অদ্ভুত!”
প্রিয়া ওর কথায় বিজ্ঞ ভাব নিয়ে বলল,
“ভালোবাসা জিনিসটাই অদ্ভুত! তাহারে চাই আমি, আমারে চায় অন্য আমি।”
তখনও প্রিয়া চেহারায় বিজ্ঞ ভাব বজায় রেখেছে। সেটা দেখে অর্ষা ওর দিকে রাগি ফেস করে তাকাল।

..
মেহেদী রাঙা হাত নিয়ে অর্ষার দুচোখ শুধু দর্শনকেই খুঁজছে। আজ এক বারের জন্যও দর্শনের মুখখানা দর্শন করতে পারেনি। মন খারাপ করে ক্লাসে গিয়ে প্রিয়ার পাশে বসল। প্রিয়া পাশের মেয়ের সাথে গল্পে মজে আছে। অর্ষা কনুই দিয়ে প্রিয়াকে আঘাত করে নিজের দিকে ঘুরালো। প্রিয়া কপাল কুঁচকে ওর দিকে চেয়ে বিরক্তি নিয়ে বলল,
“কী?”
“এই শোন না, দর্শনকে দেখেছিস?”
“পাগল না-কি দর্শনকে কেন দেখতে যাব? তুই যাতে আমার চোখ গেলে দিস সেজন্য।”
“উফফ! আমি সিরিয়াসলি বলছি। আজ কোথাও ওকে দেখিনি। আসেনি না-কি। তুই দেখেছিস?”
প্রিয়া এক মিনিট সময় নিয়ে ভেবেচিন্তে চোখ এদিক সেদিক করে বলল,
“উমম, নাহ। কোথাও দেখিনি।”
তারপর ফিক করে হেসে দিল। প্রিয়া ইচ্ছে করে অযথা সময় নষ্ট করল। অর্ষা পাশ ঘুরে বসে রইল। বাম হাতের মেহেদীর দিকে গভীর ভাবে চেয়ে আছে। ব্যাগ থেকে মোবাইল বের করে ফেসবুকে লগইন করল। গতকাল রাতে দর্শনকে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠিয়েছে। কিন্তু এখনো রিকুয়েষ্ট একসেপ্ট করেনি। ওর মেজাজ তুঙ্গে।

অর্ষা বিরবির করে দর্শনকে গালি দিয়ে বলল,
“ব্যাটার ভাব কত! আমাকে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি যথেষ্ট লম্বা তাই ঝুলিয়ে রাখার কারণ দেখি না। আমারও ভাব কম না। আমি ডিরেক্ট ব্লক দেব।”
অর্ষা ওকে ব্লক দেওয়ার আগে নোটিফিকেশন চেক করল। ১৫+ নোটিফিকেশন শো করছে। একটা নোটিফিকেশন দেখে অর্ষার অবিশ্বাস্য চোখ বিস্ময় নিয়ে ঝলমল করে উঠল।
“লাভ রিয়েক্ট! মাই গড! আই কান্ট বিলিভ দিস!”
প্রিয়া ওকে এত উচ্ছাসিত দেখে প্রশ্ন করল,
“কী হলো? লাফাচ্ছিস কেন?”
“দর্শন আমার আইডি চেক করেছে। রিকুয়েষ্ট একসেপ্ট করেনি ভাব মেরে কিন্তু আইডি ঠিকই ঘেটেছে। তার মানে ও আমাকে নোটিশ করেছে।উফফ!”
প্রিয়া আতংকিত হয়ে প্রশ্ন করে,
“দোস্ত, আইডি ঘাটার জন্য কবে থেকে নোটিফিকেশন আসে? আমি তো রোজ কত মানুষের আইডি চেক করি। তাহলে আমিও….
” আরে থাম! দর্শন আমার মেহেদী দেওয়া হাতের পিকে লাভ রিয়েক্ট দিয়েছে এর মানে ও আমার আইডিতে চুপিচুপি টু মেরে গেছে কিন্তু প্রমাণ রেখে গেছে। দাঁড়া একটা সস নেই।”
অর্ষা খুশিতে গদগদ করছে।
প্রিয়া ওকে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে বলল,
“তুই এখানে বসে না থেকে ওদের ক্লাসের সামনে থেকে চক্কর দিয়ে আয়। তবেই বুঝতে পারবি এসেছে কি-না।”
অর্ষা মলিন মুখ করে বলল,
“আতংকের আরেক নাম সেকেন্ড ইয়ারের ক্লাস। দর্শন এখন আমাকে চিনে। সামনে পড়ে গেলে? তাছাড়া অর্পা আর রুশান ওরাও তো আছে। অর্পা যদি আমাকে দেখে তাহলে বলবে,আরে অর্ষা কী খবর তোমার? কী করো এখানে? কাউকে খুঁজছো? ব্লা ব্লা ব্লা। আর রুশান ভাইয়া দেখলে পেঁচিয়ে ঘুচিয়ে নানান কথা বলতে শুরু করবে। শুধু তাই নয় কড়া জেরা করবে। ওদের জন্য এখন যেতে পারি না। পড়েছি বিপদে।”
প্রিয়া মিনমিন করে বলল,
“হুম, চোরের মন পুলিশ পুলিশ।”
অর্ষা বলল,
“কী বললি?”
“কিছু না।”

….

অর্ষা আর প্রিয়া কলেজ ছুটির পর ক্যান্টিন থেকে আইসক্রিম কিনে খেতে খেতে হাঁটছে। তখন প্রিয়ার দৃষ্টি গেল মাঠের কোনায়। একটা ছোটখাটো জটলা বেঁধেছে। অর্ষা মোবাইলে ব্যস্ত থাকায় খেয়াল করেনি। প্রিয়া, অর্ষাকে জটলাটা দেখাল। অর্ষা কৌতূহল হয়ে সেদিকে আগাচ্ছে।।কানে গিটার আর দলবদ্ধ কন্ঠস্বর ভেসে এল।
“ওরে রাধার প্রেমে মাতোয়ারা,
চাঁদ গৌর আমার রাধার প্রেমে মাতোয়ারা….

অর্ষা আর প্রিয়া জটলার কাছাকাছি গিয়ে বুঝতে পারল একটা দল এখানে গান গাইছে। পাশে বন্ধুরা বসে এঞ্জয় করছে আর উৎসাহ দিচ্ছে। অর্ষা কাছে গিয়ে দেখল ওরা সেকেন্ড ইয়ারের স্টুডেন্ট। দর্শনের ফ্রেন্ড সার্কেল। দর্শন আর আরেকটা ছেলের হাতে গিটার। ওর চোখে চশমা নেই, চুলগুলো এলোমেলো। চার-পাঁচজন মিলে গান গাইছে বাকিরা বসে শুনছে। দর্শনকে দেখে আরেক দফা ফিদা হয়ে গেল অর্ষা।

” তোমায় হৃদয় মাঝে রাখিবো ছেড়ে দেব না,
তোমায় হৃদ মাঝারে রাখিবো ছেড়ে দেব না…।
ওরা গান শেষ করল। সবাই এক সাথে চেঁচিয়ে উঠল। দর্শন রুমাল দিয়ে মুখের ঘাম মুছল। ঘেমে গেছে গিটার বাজিয়ে। চুলগুলো হাত দিয়ে ব্রাশ করে ঠিকঠাক করছে। অর্ষা দর্শনের দিকে চেয়ে আছে। ওকে দেখছে। অর্পা, ওকে দেখে ইশারায় ডাক দিল। অর্ষা ওর কাছে গেল।
“অর্পা আপু, এখানে কী হচ্ছে?”
“এই একটু আড্ডা হচ্ছে। পড়াশোনা করে হাঁপিয়ে উঠেছি কি-না তাই মাইন্ড ফ্রেশ করছি। আমাদের সাথে জয়েন করো।”
অর্ষার গ্রুপের বন্ধুরা বলে উঠল,
“অর্ষাও খুব ভালো গান পারে।”
সবাই অর্ষার দিকে তাকাল। সবার এহেন চাহুনি দেখে অর্ষার অস্বস্তি লাগছে। লজ্জাও লাগছে। তুলি নামের ক্লাসমেটকে কড়া একটা চড় মারার খায়েশ জাগ্রত হলো। ফট করে বলার দরকার কী অর্ষা গান পারে? কেউ কী জিজ্ঞেস করেছে? অযথা ইজ্জতের নিলাম হলো।
রুশান বলল,
“তাই না-কি? অর্ষা তুমি গান পারো? আমাদের একটা গান শোনাও না। প্লিজ।”
কিছুটা নেকামি সুরে বলে উঠল। অর্পা ওর দিকে কেমন করে তাকাচ্ছে। মনে হচ্ছে খেয়ে ফেলবে। দর্শনেরও রাগ হচ্ছে সব জায়গায় অর্ষাকে কেন চলে আসতে হবে? ওদের থেকে দূরে থাকতে পারে না?
অর্ষা কিছু বলার আগেই দর্শন গিটারের ব্যাগ খুঁজতে খুঁজতে বলল,
“অনেক লেট হয়ে গেছে। আমাদের উঠা উচিত।”
অর্ষাও বলল,
“জি না ভাইয়া, আমি গান-টান তেমন পারি না। কলেজ ছুটি হয়ে গেছে আমার জন্য গাড়ি চলে আসবে আমি যাই। আপনারা কেরি অন করুন।”
অর্ষা উঠে দাঁড়াতে লাগল।
রুশান কিছু বলতে যাবে তখন অর্পা ওর হাত ধরে বসিয়ে দিয়ে বলল,
“দু লাইন প্লিজ।”
অর্ষা ইতস্তত করে বলল, “এখানে পারব না।তোমাকে অন্য সময় শুনাবো।”
রুশান বলল,
“তা বললে হবে? ওকে শুনাবে আর আমরা কী দোষ করলাম?”
সবাই অনুরোধ করায় অর্ষা রাজি হলো। কিন্তু কিছুটা নার্ভাস লাগছে। এর আগে কখনো লাগেনি।
“আচ্ছা, তবে আমার একটা শর্ত আছে। কেউ শব্দ করবে না। নিস্তব্ধ পরিবেশে গানটা গাইতে চাই। অল্প কিছু কলি গাইব।”
“ওকে।”
“আমার একটা গিটার লাগবে।” অর্ষা উদ্দেশ্য করে কারো কাছে চাইতে পারছে না। অর্ষার খুব ইচ্ছে করছে দর্শনের গিটারটা ছুয়ে দিতে। অর্পা আগ বাড়িয়ে বলল,
“দর্শন তোর গিটারটা দে।”
দর্শন সাধারণত কাউকে নিজের গিটার ব্যবহার করতে দেয় না। আজ অর্পা বলার সাথে সাথে অর্ষার দিকে গিটার এগিয়ে দেয়। অর্ষা গিটার হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ দেখল তারপর সবার দিকে চেয়ে বলল,”শুরু করছি।” তারপর আবার গিটারের দিকে তাকাল। ধীরে ধীরে সুর তুলল। খুবই স্নিগ্ধ সুর….. চোখ জোড়া আবেশে বন্ধ হয়ে গেল,

“ওহে কি করিলে বলো
পাইব তোমারে?
রাখিব আঁখিতে আঁখিতে…
ওহে কি করিলে বলো
পাইব তোমারে?
রাখিব আঁখিতে আঁখিতে….

ওহে এত প্রেম আমি
কোথা পাবো নাথ;
এত প্রেম আমি
কোথা পাব নাথ;
তোমারে হৃদয়ে রাখিতে!

আমার সাধ্য কি বা তোমারে
দয়া না করিলে কে পারে ?
তুমি আপনি না এলে কে পারে ?
হৃদয়ে রাখিতে !

মাঝে মাঝে তব দেখা পাই,
চিরদিন কেন পাই না..
কি করিলে বলো পাইবো তোমারে?
রাখিবো আঁখিতে আঁখিতে….

তারপর অর্ষা চোখ খুলল। সবাই বাহবা দিচ্ছে। অর্ষা কারো দিকে না চেয়ে স্নিগ্ধ হেসে অর্পাকে বলল,
“আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে আপু। আমি যাই।”
রুশান প্রশ্ন ছুড়ে দিল,
“ভালো গান করো তুমি। শিখো না-কি ?”
অর্ষা গিটার রেখে উঠে দাঁড়াল। কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বলল,
“স্কুলে থাকতে শিখেছিলাম। থ্যাংকস টু অল। টাটা।”
অর্ষা যেতে যেতে শুনল রুশান বলছে,
“ভয়েস মাশাল্লাহ।”
তারপর কে যেন বলছে,”অর্ষা পড়াশোনায় তেমন ভালো না হলেও নাচ-গান, খেলাধূলায় অনেক স্মার্ট।”
অর্ষা সে-সব পাত্তা দিল না। দর্শনের মন ছুয়ে যাচ্ছে। মুচকি হাসল। কেমন প্রেম প্রেম পাচ্ছে। ভেবে আরো হাসি পাচ্ছে। চুলগুলো আবারও এলোমেলো করে নিল। গিটারটা হাতে তুলে নিল। ভালো লাগছে খুব। শুধু রুশানকে দেখলে রাগ লাগে। প্রচন্ড রাগ। হতে পারে জেলাসি! ইচ্ছে করে গুম করে দিতে।

একটা করে বেশি পর্ব পড়তে চাইলে আমাকে ফ্লো করুন 🖐️✊

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here