😏 # মেঘের_আড়ালে_রৌদের_লুকোচুরি ❤️
🌈💙🎨😏❤️🥳🐦💐🍫🏩💒
Part-04
ক্লাসরুমঃ
ঝিনুকঃ আসলি তাহলে,,আমি তো ভাবলাম আজ বোধহয় তুই আসবিই না
হিয়াঃ না আসলে কি চলবে,আমার পরীক্ষা বুঝি তুই দিয়ে দিবি
ঝিনুকঃ তা এতো দেড়ি করলি যে,নিশ্চয় টাকা বাঁচাতে গিয়ে আজো হেঁটে হেঁটে এসেছিস
হিয়াঃ আর আমার টাকা বাঁচা,,আসার সময় একটা বয়লার মুরগী কে ফ্রাই করে আসলাম তাই আসতে এতো দেড়ি হয়ে গেল
ঝিনুকঃ আমাকে রেখে রেখে দুই ভাইবোন মিলে মুরগী ফ্রাই করে খেলি বেয়াদব,,নিশ্চয় ফ্রাই টা অনেক টেস্টি ছিলো,তুই রেঁধেছিস বলে কথা
হিয়াঃ (ঝিনুকের নাক টেনে ফিক করে হেঁসে দিয়ে) টেস্টি কি না জানি না তবে মুরগী টা খুববব কিউট ছিলো!!
ঝিনুকঃ মুরগী আবার কিউট,কিসব যে বলিস না তুই মাঝে মাঝে,আচ্ছা শোন এটা ধর
হিয়াঃ কি এটা
ঝিনুকঃ এটা রোজ দুবার করে পুরো শরীরে মাখবি,দেখবি জ্বলে যাওয়া জায়গা গুলো খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে
হিয়াঃ তুই আবার টাকা খরচ করে এসব কোনো আনতে গেলি,বেশি পাকা হয়ে গেছিস না
ঝিনুকঃ আরে এটা বেশি দাম না,আর তাছাড়া আমি এটা কিনি নি বাড়িতে পরে ছিলো তাই নিয়ে আসলাম
হিয়াঃ ঠিক তো
ঝিনুকঃ হ্যা ম্যাডাম ঠিক,,
ঝিনুক আর হিয়ার গল্পের মাঝে উজান আর উজানের বাকিসব বন্ধু রা রুমে এসে সামনে দাড়িয়ে যায়,উজানদের কে দেখে ক্লাসরুমের সবাই নিশ্চুপ হয়ে নিজ নিজ সীটে শান্ত হয়ে বসে পড়ে,হিয়া উজানের দিকে তাকিয়েও একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নেয়,উজান মনে মনে ফুঁসে ফুঁসে ওঠে কিন্তু কিছু বলে না,
উজান রা এসেছিলো সামনের সপ্তাহে ভার্সিটিতে ফাল্গুন আর ভ্যালেন্টাইন এই দুই এর উপলক্ষে অনুষ্ঠান আছে সেই নিয়ে সবার সাথে কথা বলতে,আনুষাঙ্গিক সব বলা শেষ হয়ে গেলে উজান সবাইকে বের হতে বলে নিজে গিয়ে হিয়াদের বেঞ্চের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে হাতের ইশারায় ঝিনুক কে দাঁড়াতে বলে
ঝিনুকঃ জ্বী ভাইয়া
উজানঃ যেটা কাজ দিয়েছিলাম হয়েছে ওটা
ঝিনুকঃ হ্যা দিয়েছি,মানে নিয়েছে
উজানঃ Good
বলেই উজান ওর পকেট থেকে একটা Dairy Milk চকলেট বের করে ঝিনুকের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলে থ্যাংকস,,আর একটা সেন্টার ফ্রেশ বের করে দিয়ে হিয়াকে বলে(হাসঁ পাখি নেও চকলেট খাও)হিয়া হাত দুটো বুকের কাছে দু ভাজ করে একটা মুখ ভেংচি দিলে,উজান কপাল কুঁচকে চকলেট টা টেবিলের উপর রেখেই বেড়িয়ে যায়
হিয়াঃ এই ঔ মুরগী টা তোকে চকলেট কেনো দিলো🙄
ঝিনুকঃ ইয়ে মানে,ঔ কি বলতো
হিয়াঃ হ্যা বল
ঝিনুকঃ ঔ আপুউউ,আপু আছে না আপুর সাথে ঔ ঔ তোর উজান ভাইয়ার এক ফ্রেন্ডের রিলেশন ঔ তাই একটু হেল্প করতে বলেছিলো,আমি করেছি তাই চকলেট দিলো
হিয়াঃ তোর কথা শুনে মনে হচ্ছে তুই আমাকে মিথ্যা বলছিস
ঝিনুকঃ আরে না সত্যি,,
______________________________
আজ শ্রাবণের জন্মদিন,সেদিন মিতু আপুদের পায়েস খেতে দেখে শ্রাবণের খুব ইচ্ছে করছিলো পায়েস খেতে,শ্রাবণ হিয়ার কাছে বায়না করে যদি পায়েস কম দামে কিনতে পাওয়া যায় তাহলে হিয়া যেনো টাকা হলে একদিন ওকে পায়েস কিনে আনে খাওয়ার
হিয়া একটা হাসি দিয়ে বলে(পায়েস কিনে এনে খাবার জিনিস না সোনা,পায়েস বানাতে হয় নিজ হাতে),,,,হিয়া দোকান থেকে একটা দশ টাকা দিয়ে ডানো দুধ কিনে আর বিশ টাকার আড়াইশো চিনি কিনে এনে শ্রাবণের জন্য পায়েস রাধে,,যদিও পায়েসে একটু চিনি কম হয়!!তাতেই শ্রাবণ খুব খুব খুব খুশি
______________________
আজ শুক্রবার,প্রতি সপ্তাহের এই দিনে উজান ওর সব ফ্রেন্ডদের নিয়ে ক্যাম্পাসের অপজিটে একটু দূরে যেই বস্তি টা থাকে ওখানকার পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করে,,,,বড় রাস্তাটার মাঝে খাবারের গাড়ি দাঁড়িয়ে,প্রায় শো খানেক বিরিয়ানির প্যাকেট ভর্তি গাড়িটাতে,গাড়ির পাশে লম্বা লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে শিশুরা,কারো বয়স পাঁচ কারো বা দশ কেউ কেউ আবার তার কোলের দু তিন বছরের বাচ্চা কে নিয়ে দাঁড়িয়ে
লাইনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে একটা উচা লম্বা কিন্তু প্যাকাটি শরীরের অধিকারী এক মহিলা,কোলে তার তিন বছরের একটা বাচ্চা,পড়নে পাতলা সুতির একটা ছেড়া শাড়ি,চুল গুলোও উসকোখুসকো
হিয়াঃ আপা এখানে কি দিচ্ছে,এতো লাইন
মহিলাঃ খাবার দিচ্ছে মা,বিরিয়ানির পোটলা,ঔ এক ভাইজান আছে উনি ওনার গাড়িতে কইরা জুম্মার দিনে আমাগো এখানে আসি বাচ্চাগুলাক খাবার দিয়া যায়
হিয়াঃ ওহ,,কোনো টাকা নেয় না এমনি এমনি দেয়
মহিলাঃ হ এমনি এমনি দেয়,,কেন তুমি দাঁড়াইবা লাইনে
হিয়াঃ কিন্তু আপনি যে বললেন বাচ্চাদের জন্য,আমি লাইনে দাঁড়ালে কি আমাকেও দিবে
মহিলাঃ ও তুমি চাইলে উনারা দিয়ে দিবে,দেখো না কতো তোমার বয়সী মাইয়াও দাঁড়াইছে
মহিলার কথা শুনে হিয়া ওর ফোন বের করে সময় দেখে নেয়,এখন ২টা ২০,তার টিউশন আছে তিনটায় তাহলে লাইনে দাঁড়ালেও সে ঠিক সময় পৌঁছাতে পারবে
হিয়াঃ ঠিক আছে আমি বরং আপনার পেছনে দাড়িয়ে যাই,,,আসলে আমার ছোট্ট একটা ভাই আছে,ওর পরশু জন্মদিন ছিলো কিন্তু আমি ওকে ঠিক করে কিছু খাওয়াতে পারি নি,আজ ওর জন্য বিরিয়ানি নিয়ে গেলে সে খুব খুশি হবে
মহিলাঃ ঠিক আছে দাঁড়াও
হিয়া মহিলাটার পাশে দাঁড়িয়ে যায়,অল্পক্ষণের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা ঔ মহিলা টার সাথে হিয়ার বেশ ভাবো হয়ে যায়,কিছুক্ষন পর আরো দুটো বাচ্চা এসে লাইনে দাড়ায়,লাইন এগুতে থাকে,সাথে হিয়াও,সামনের মহিলা টা অত্যাধিক লম্বা হওয়াতে গাড়ির সামনে ঠিক আরো কতো লাইন আছে বোঝা যায় না,
পরাগঃ উজান শোন না,এদিকে বাকি গুলো একটু দিয়ে দে না সবাইকে,মা ফোন করছে বারবার,আমি একটু কথা বলে আসি
উজানঃ আচ্ছা ঠিক আছে,দিচ্ছি আমি তুই যা
পরাগের জায়গায় উজান দাঁড়িয়ে যায় বিরিয়ানি দিতে,,হিয়া উজান কে খেয়াল না করলেও মহিলা টা সরে যাবার আগেই উজানের চোখ যায় হিয়ার উপর,,হিয়া ওর ব্যাগ থেকে মুখ তুলে হাত বাড়াতেই ওর চোখ পরে উজানের চোখে,,এই মুহুর্তে এরকম একটা সিচুয়েশনের জন্য না হিয়া তৈরি ছিলো না উজান নিজেও
হিয়াঃ ইনি এখানে কোথা থেকে আসলো,তখন যে অন্য একটা ভাইয়াকে দেখলাম
হিয়া এখন ঠিক কি করবে বুঝতে পারে না,হাত টা নামিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাবে না বিরিয়ানির প্যাকেট টা নিয়ে দৌড় দিবে,ধুর,উজান হিয়াকে আর অপ্রস্তুত না করে হিয়ার হাতে একটা বিরিয়ানির প্যাকেট তুলে দিয়ে নিজে ওখান থেকে সরে সাব্বির কে ডেকে নিয়ে বলে বাকি গুলো দিয়ে দিতে
_________________________
পরের দিন ভার্সিটিতে এসে হিয়া মুখ লুকিয়ে ফাঁক ফোকর খুঁজে খুঁজে ক্লাসরুমের দিকে যাচ্ছিলো কোনো ভাবে যেনো উজানের মুখোমুখি হতে না হয় তাকে,,কিন্তু লাভের লাভ কিচ্ছু হয় না ক্লাসে ঢুকবার সময় না দেখা হলেও ক্লাস শেষে ফেরার পথে ঠিকি উজানের চোখ পড়ে হিয়ার উপর
উজান তখন মাঠের মধ্যে ফুটবল হাতে নিয়ে খালি গায়ে দাঁড়িয়ে একটু পর শুরু হওয়া ম্যাচ টা নিয়ে সবার সাথে ডিসকাস করছিলো,,,ক্যাম্পাসের সব মেয়ে গুলোর লোলুপদৃষ্টি ছিলো উজানের উপর,,সব মেয়ে গুলো হা হয়ে গিলে খাচ্ছিলো উজান কে,,পারলে যেনো এক ব্যাগ মশা ঢুকে যাবে সব কটার মুখে
কিন্তু উজান তো দূরে থাক মাঠের কাক পক্ষীর উপরো কোনো নজর নেই আজ হিয়ার,হিয়া নিজ ভাবনায় একান্তে হাটছে,আজ রাইসার মা যদি কোনোভাবে বলে হিয়া এই মাসেও বেতন টা দিতে দেড়ি হবে তাহলে আবার সেই টানাটানি,কি ভাবে চলবে সামনে
হিয়ার উপর নজর পড়তেই উজান কপট রাগ নিয়ে তাকিয়ে থাকে হিয়ার দিকে,যেখানে মাঠের সব মেয়ে ওর ফিটনেস দেখে ফিট খাবে খাবে সেখানে হিয়া ওর দিকে তাকাচ্ছেও না,এতো বড় ইনসাল্ট!!😡😡না আজকে এই মেয়ে কে ধরে ওয়াশিং মেশিনে ওয়াশ করতে হবে না হলে আজকেই এই মেয়ে কে কোনো চক্ষু বিশেষজ্ঞর কাছে নিয়ে যেতে হবে,নির্ঘাত এই মেয়ের চোখে সমস্যা নাহলে সবাই আমাকে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে আর এই কি না,,,উজান আর ভাবতে পারে না,,খুব রাগ আসে তার,,হাতে থাকা বলটা সপাটে হিয়ার মাথায় ছুড়ে দেয়,এতে হিয়া ব্যাথা পেয়ে আ করে উঠে
উজানঃ ব্যাথা লাগছে হাঁস পাখি
হিয়াঃ আপনি ইচ্ছে করে আমাকে আঘাত দিলেন তাই না
উজানঃ বেশি লাগছে,কোথায় দেখি
হিয়াঃ খবরদার আগাবেন না,জুতো মেরে গরু দান আমার একদম পছন্দ না
হঠাৎই হিয়ার চোখ পড়ে উজানের খোলা বুকের উপর,আর হুশ ফিরতেই হিয়া দাঁত মুখ খিচে মুখ নামিয়ে নেয় অকপটে
হিয়াঃ ইইইই,,,আপনি এরকম জামাকাপড় ছাড়া ঘুরে বের হচ্ছেন কেনো
উজানঃ জামা কাপড় ছাড়া মানে,এই তো হাফ প্যান্ট ঝুলছে দেখো
হিয়াঃ ছিঃ,,কি অসভ্য আপনি,,এ এ এ-রকম জামা কাপড় ছাড়া ঘুরে বের হয়ে আবার বলছেন আপনাকে দেখতে
উজানঃ হ্যা,,এতে এরকম লজ্জা লজ্জা পাবার কি আছে,,মেয়ে গুলোর দিকে তাকাও দেখো তো কিভাবে চোখ দিয়ে ডুবে খাচ্ছে আমাকে,See
হিয়াঃ না আমি দেখবো না,,আমার পথ কেনো আটকালেন সেটা বলুন
উজানঃ বিরিয়ানি টা কেমন ছিলো
হিয়াঃ লজ্জা দেবার জন্য তাহলে দাড় করালেন আমাকে,,হ্যা বিরিয়ানি টা খুব ভালো ছিলো,,খুব
বলেই হিয়া হাঁটতে শুরু করে,সাথে উজানো
উজানঃ হেই মেয়ে শোনো,আমি তা বলি নি,,বিশ্বাস করো আমি তোমাকে ওভাবে,আরে আমি তো জাস্ট মজা করে
হিয়াঃ বাদ দিন,,আর কিছু বলবেন,,বললে প্লিজ আগে গিয়ে জামা টা পড়ে আসুন,আপনাকে এভাবে দেখে সত্যি আমার খুব অস্বস্থি হচ্ছে
উজান দাঁত মুখ খিচে দৌড়ে গিয়ে টুক করে টি শার্ট টা পড়ে আবার দৌড়ে এসে হিয়ার পিছে পিছে হাঁটতে শুরু করে,,
উজানঃ মেয়েরা আমার সিক্সপ্যাক দেখতে মরিয়া আর এনাকে দেখো কি রকম নতুন বউয়ের নতো লজ্জা পাচ্ছে
হিয়াঃ বউ আবার আপনার,আপনার বউ হবার চাইতে আমি আজীবন কুমারী থাকবো তাই আমার জন্য বেটার,হুহ
উজানঃ এই শোনো কি ভাবো বলো তো তুমি নিজেকে কুইন কুইন কুইন ভিক্টোরিয়া,পৃথিবীতে যদি একটা মেয়ে হিসাবেও তুমি থেকে থাকো না তাও এই উজান শাহরিয়ার কোনোদিন তোমাকে নিজের বউ করবে না,নেভার
হিয়াঃ অগ্রীম ধন্যবাদ মিস্টার শাহরিয়ার,আমাকে এতোওওও(উজান কে দেখিয়ে দিয়ে) বড় বয়লার মুরগী নামক বিপদ টা হতে আগে থেকে মুক্ত করবার জন্য
উজানঃ কি বললা,,,,তোমাকে তো আমি😡
হিয়াঃ হি হি
হিয়া ফিক করে হেঁসে দিয়ে আবার হাঁটতে শুরু করে,,উজান কপট রেগে গিয়ে নিজেও ফিক করে হেঁসে দেয়
উজানঃ কি ব্যাপার আমি হাঁসছি!!কিন্তু আমার তো রাগ হবার কথা,,
উজান ভাবতে ভাবতে হিয়া অনেক দূর এগিয়ে যায়,উজান আবার দৌড়ে হিয়ার কাছে এসে
হিয়াঃ আবার কি চাই
উজানঃ তোমাকে
হিয়াঃ কি🙄🙄
উজানঃ না মানে,,পরশু ভার্সিটির ফাংশনে আসবা না তুমি
হিয়াঃ আমি আসবো কি আসবো না সেটা জেনে আপনার কি
উজানঃ বেয়াদব মেয়ে,,সবসময় সিনিয়র দের মুখের উপর কথা,,যেটা জানতে চাইছি সেটার সোজাসুজি উওর দিলেই তো হয়
হিয়াঃ দেখি,,ঠিক নাই,,আসবো হয়তো
উজানঃ হয়তো না বলো আসবা,,দিস ইজ মাই ওডার
হিয়াঃ ওডার!!আপনি ওডার করলেই আমাকে সেটা মানতে হবে কেনো,হোয়াই
উজানঃ (হিয়ার নাক টেনে দিয়ে) কারণ আজ অবধি ভার্সিটি লাইফে আমি আমার কোনো ফ্রেন্ডকে এতোদূর রাস্তা হেঁটে এসে এগিয়ে দেই নি আর আজ তোমার জন্য পুরো গেট অবধি আসলাম তাই
বলেই উজান একটা রিক্সা ডেকে হিয়াকে তুলে দিয়ে বল টা হাতের আঙ্গুলে ঘুরাতে ঘুরাতে মাঠের দিকে হাঁটতে শুরু করে,এদিকে উজানের এই কান্ডে হিয়া পুরো থ
হিয়াঃ এখন রিক্সা ভাড়া টা কে দেবে!!🤔🤔