1-5 #প্রেমঘোর#১# (১৮+)

0
4004

1-5
#প্রেমঘোর#১# (১৮+)
💜💜
Writer:Nargis Sultana Ripa.
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
আজ নৌশিনের বিয়ে সম্পন্ন হলো।
অনেক ধুমধাম করে সব আয়োজন শেষে আজ শশুর বাড়িতে পা রাখল।অনেকটাই নার্ভাস।বাট স্বামী নিয়ে খুব কম কারণ চার বছরে অনেকটা জানা শোনা দুজনের। কিন্তু বাসার সবাই কেমন হবে তা তো জানে না😞😞..তাই মোড ওফ।।
সব নিয়ম কানুন মেনে সাদাদের ভাবী আর বোন রা ওকে রেখে যায় ঘরে।(সাদাদ নৌশিনের husband)
ভাবী:এই যে মেয়ে,দেবর কে পাগল করে বিয়ে করছো,আবার আজ রাতে এত পাগল করো না যেন আমদের ভুলে যায়।
নিপা:আরে ভাবী কি যে বল তুমি..চার বছরে যখন সাদাদকে ভুলতে দেয় নি তোমাদের আর দিবেও না।(নিপা সাদাদের বড় বোন)
নৌশিন চুপচাপ শুধু শুনেই যাচ্ছে।কি বলার ই বা আছে ওর।এমনিই কাউকে চিনে না।
নিপা:শোনো এই যে দুধটা টেবিলে রাখা। এটা তোমার আসলে খাওয়াবে কেমন??আর শোন সালাম করো কিন্তু।প্রেম করছো বলে যে করবে না তা কিন্তু কর না।।স্বামী তো স্বামীই
নৌশিন”…মনে মনে..”ইশ শখ কত ২ বছরে অনেক জ্বালা দিছে এখন আমি জ্বালবো.।।সালাম করতে ঠেকা লাগছে আমার”
নৌশিন:জ্বি আপু।।
ভাবী :এই নিপা চলো চলো ১২ টা বেজে গেজে,,এতো দূরে বিয়ে করল আসতে আসতেই তো ১১ টার বেশি বেজে গেছে।।এখন আমাদের তো কোনো কাজ নেই…যার আসার কথা সে আসুক।
নৌশিন খুব ভূতে বিশ্বাসী।
নৌশিন:আপু তার মানে আমি একা থাকবো এখন😞😞
নিপা:ও মা একা কেনো থাকবা😃😃সাদাদ আসবে
“ও কখন না কখন আসবে তোমরা বস না কত বড় ঘর আমার তো ভয় করছে”
ভাবী:😆😆😆😆।।।হায় আল্লাহ কয় কি মাইয়া…এই তুমি নিপা বস আমি দেবর কে পাঠাই পরে আসো তুমি।
নৌশিন:☺
ভাবী বাইরে গিয়ে দেখে সব বন্ধুরা মিলে ঘিরে আছে সাদাদকে।
ভাবী:তোদের কি অবস্থা রে??আর কত জালাস পোলাডারে।।যাইতে দে ১২+ বাজে তো।
বন্ধুদের মাঝে একজন:ও ভাবী ওর গিয়ে কি কাজ আমরা সবাই যাই নাকি।😆😆 “হুম যা..)সাদাদ
“না গুরু আজ তুমি যাও পরে আমরা পরের দিন”
“শালা আমি ডুকলে আর তোরে ডুকতে দিব নাকি”
“বুজা গেলো সব..হিংসা লাগছে দেবরের আমার..তোরা চল সবাই হালকা খাবি কিছু কেউ তো আর বাসায় যাবি না..”
সাদাদ রুমে ডুকলো,নিপাও বেরিয়ে এল।
নৌশিন:😡😡😡😡
সাদাদ:কিহ???এভাবে দেখ কেন?
মাথার ঘোমটা এক টানে সরিয়ে”এত দেরি লাগে আসতে তোমার, কাউকেই তো চিনি না 😞😞।।আগে আগে তো আসবা আর রোম এত বড় কেন কেমন ভয় ভয় করে”
“ও সরি।।সবাই মজা করছিল তো তাই..আর রোম বড় তো কি আমি তো আছি ভয় কিসের।..খাটে বসতে যাবে এমন সময়”দাড়াও….”
কি হলো?
“আপু বলছে সালাম করতে??করা লাগবে???”
“তো করবা না আজ থেকে তোমার বর সম্মান দিবা”
মুখটা ভেঙ্গিয়ে”ওওলুুু ছাই দিব বলেই সালাম টা করল..
সাদাদ:ওরে আমার বউ রে☺☺
“নাও এটা খাও”
কি এটা??
“দুধ..চিনো না নাকি?”ভাবী বলছে পরাটা শেষ করতে..
“হুম…আর কিছু বলে নাই”
“বলছে তোমাকে যেন পাগল না করি”
“ওহ আচ্ছা☺”
“এত্ত গয়না পড়ছো কেন?? ওজন লাগে না”
“হুম আমি কি করব সবাই এত এত গহনা দিলে😞”
“গরম তাই না”
“হুম”কথা বলার মাঝেই সাদাদ নৌশিনকে দেখছে মেয়েটা একটু আগে কতটা জড়তায় ছিল বাট এখন কতটা হালকা,বাসায় ডুকার আগেও গাড়ীতে ভয়ো শক্ত করে সাদাদের হাতটা চেপে বসেছিল,,।
আজ চেনা সেই নৌশিনকে অন্য রকম দেখাচ্ছে
শাড়ী..ভারী ভারী গয়না.. এত সাজ.. সাদাদের ইচ্ছা করছে সব কিছু নষ্ট করে দিতে ওর এত সৌন্দর্য ধরে রাখতে ইচ্ছা করছে না।
“এই সাদাদ কি দেখ এত..ঘরি দেখ ১ টা বাজে তুমি জানো কাল তো বাসায় এত কোলাহল ছিল আমি ঘুমাইতেই পাড়ি নাই…খুব ঘুৃম পাইছে,,একা একা ভয় করে তাই তুমার অপেক্ষায় ছিলাম..ঘুমাবো ঘুমাবো”
“ঐ আজ রাতে মানুষ ঘুমায়,, আমি তো ভাবছি গল্প করব সারা রাত”
প্রথম রাতে নৌশিনের গায়ে হাত দিবে না সাদাদ আগে থেকেই ভেবে রাখছে,, একটা মেয়ে সব ছেড়ে অনেক পেরা নিয়ে এসে আবার ডাবল পেরা নিবে এটা সাদাদেরর ঠিক ভালো লাগে না তাই ও ভাবছে যে গল্প করবে সারা রাত তা আর হবে না,, কারণ নৌশিন তো বলেই দিল ঘুম পাইছে।আর সাদাদের এটা খুব ভালো লাগলো যে”নৌশিন ওর সামনে ঘুমাবে বলে মেয়েটার মনে কোনো দুটানা নাই,,সবটা দিয়ে বিশ্বাস করে ওকে”
সাদাদ:”হুম তাই বেটার সোনা,,অনেক ক্লান্ত তুমি,,ফ্রেস হও নি?”
“না তো একা একা ওয়াশরুমে ভয় লাগে তো”(নৌশিন)
“তোমার বয়স কত রে”
কেন..২২।। জানো না..
কোন ক্লাস
“অর্নাস শেষ করব”
তো এত বড় একটা মেয়ে ভয় পায় নাকি??
“তোমার রুম টাও তো কত বড়,,আর আমি তো প্রথম আসলাম..😞😞”
ইশ মন খারাপ করে আবার”আমও তো রুমেই এখন যাও ফ্রেস হয়ে আসো”
“না না,, তুমি ওয়াস রুমের পাশে দাড়াও..”
কেন???
“বললাম না ভয় লাগে😞😞”
হায় কপাল,, আমি আসচ্ছি আর ওনার ঘুম পাইছে বডি গার্ড বানিয়ে ঘুমাবে ওনি,,,আর এখন ওয়াসরুমের বাইরে পাহারা দিই আর কি,,,
“এভাবে বলবা না একটু কষ্ট কর না”
কষ্ট তো একটু না রে পাগলি অনেকটা হইতাছে, তরে বুঝাই কেমনে ভাবছিলাম গায়ে হাতই দিব না বাট এখন তো সহ্য হচ্ছে না।।এত সুন্দর কেন মেয়েরা,,আর আমার ঘরে এই পরী।। ইশ কই রাখবো ওরে আমি(মনে মনে)
“ঔ কি ভাব দাড়াও এখানে”
হুম, রানী,, যান
ফ্রেস হয়ে এসেই কোনো সোজা খাটে শুয়ে পড়লো”লাইট ওফ করবা না কিন্তু”
“আমার তো লাইট থাকলে ঘুম আসবে না”
“ওহ,,তবে এই টা ওফ করে,, টেবিল লাইটা ওন রাখবা ওইটা তো তোমার চোখে লাগবে না”
ওকে মেম..
“হুম, গুড নাইট”
কি হলো এটা প্রেমে বিয়ে নাকি বাসরের সুতাও ঠিক থাকে না আর আমার বাসর,,, পাগলি রে☺☺(মনে মনে) হুম নৌশিন এমনি ছোট মানুষী☺☺☺তবে সাদাদের জন্য পাগল।
সাদাদের ঘুম আসছে না”একটা ডায়রী হাতে নিল, যে দিন থেকে নৌশিন কে ভালো লেগেছে ওর সবটা এই ডায়রী তে আছে,, নৌ শিন তো ঘুম তো ডায়রী টার সাথেই গল্প করোক।
ডায়রী খোলতে যাবে তো ঘুম ঘুম গলাতে নৌশিন বলল”জান,,আমি কিন্তু অনেক নাচা নাচি করি ঘুমে তুমি কিন্তু রাগ করবা না”
☺☺নাচ বাই শুধু ফুটবল খেল,,,রাগ করলেই বা
কথা শেষ করার পর নৌশিনের দিকে ফিরলে দেখে বিশাল ঘুমে সে।তো ডায়রী টা নিয়ে টেবিলে বসবে,, একটা আওয়াজ আসলো,,নৌশিনের গহনার।
“ইশ পাগলি গহনাও খুলে নাই,, ঘুমাতে পারছে না ঠিক মতো” কোনো কিছু না ভেবেই গহনা খুলতে গেল।
….এত্ত কিছু রে ভাই…বলতে বলতে চুরিগুলো খুলে..তারপর নৌশিন ই ঘুম নিয়ে বলে “কানের দুল”
সেটাও খুলে
আবার হাতটা নৌশিন ওর গলার ওপর নিয়ে দেয়”হার গুলো খুলো”
এবার সাদাদের সহ্য হচ্ছে না,,, এত ফর্সা গলা আর হাতটা গলাতে হার খুলারর জন্য ওর ঘারেও হাত দিতে হবে”কি হতো গহনা গুলো নিজে খুললো” কিন্তু ওর কথা শুনবে যে সে তো ঘুম রাজ্যে। হারটা খুলতে যাবে,,২ টা হার খুলা শেষ একটা কিভাবে জানি আটকে গেছে আর সেটা খুলবে তার আগেই ওনার বউ অন্য দিকে ফিরে গেছে।মাথার ওড়নাটা সরালো ঘাড়টা পুরো দেখা যাচ্ছে..৪ বছরে নৌশিনের শরীরটাএতো এভাবে দেখে নি।।বিয়ে ঠিক হয়ে গেলে…কাহিনী করছে.. বাট আাজ তো বউ☺☺☺এমন ভাবে পাগল হচ্ছে কেন নিজেই জানে না,,,,,২ মিনট বসে থেকে সব ভাবনা ভুলে হার টা খুলল। ওর সরতে মন চায়ছে না কি নিষ্পাপ লাগছো নৌশিনকে।
কিছুক্ষণ পর “নাহ কিচ্ছু করা হবে না,, ☺☺☺,,”
তারপর নৌশিনকে ঠিক করে শুইয়ে দিয়ে কপালে একটা চুমু একে দিল☺☺ লাইট টা ওফ করে টেবিল লাইট টা ওন করল,,,,নৌশিন তো ঘুম রাজ্যে……..সাদাদ মনে মনে ভাবলো,”আমার না হয় পুরানো ডায়রীর পাতা গুলোর সাথে রাতটা জাগা যাক”☺☺

#প্রেমঘোর#২#
💜💜
Writer:Nargis Sultana Ripa.
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
সাদাদ ডায়েরী পড়তে পড়তে রাত ৩টা বেজে গেছে।ভালোই লাগছিল ওর নৌশিনের সাথে কাটানো দুষ্টু মিষ্টি কথা গুলো মনে পড়ে.।হঠাৎ খাটের দিকে চোখ যায়… দেখলো নৌশিনের আচল টা ওর বুক থেকে সরে গেছে আর বেনারসি টাও পায়ের একটু উপরে হাটুর নিচে হলেও ফর্সা পা টা টেবিল লাইটের অল্প আলোয় কেমন শিউরে তুলছে সাদাদকে।সাদাদ কোনো কিছু না ভেবেই বারান্দায় চলে যায়।(কারণ এখানে থাকলে ও নিজেকে কনট্রোল করতে পারবে না আর..)
অপরদিকে নৌশিনের এই দিন টা নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল বাট ক্লান্ত হয়ে ঘুমাচ্ছে।কিন্তু রাতে এক টানা ঘুমানোর অভ্যাস ওর নেই।খেয়ে দেয়ে ১১টায়ই ঘুমায় সে আবার ১/২টায় উঠে পড়াশোনা করে ৩/৪ টায় ঘুৃমায় আবার ৫.৩০ টায় এলার্ম দেওয়া থাকে ওঠে নামায পড়ে কোরআন তিলাওয়াত করে আবার ঘুমায় একদম ১০ টা পর্যন্ত (মা -বাবা যতই ফেন ওফ করুক বকা বকি দিক কানে বালিশ চেপে ঠিক ঠাক ১০ টায় একদম)
অভ্যাসবসত ৩.৩০ টায় হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়…এমনি এমনি অবশ্য ক্লান্ত বলে ঘুম পড়ে ভাঙার কথা কিন্তু সাদাদের ভাইব্রেট করা ফোনের কম্পনে উঠে পড়ে।দেখে রোমে কেউ নেই.. এসি অফ..ফ্যান চলছে তবুও এপ্রিল মাসের গরম তো ফেনে ততটাও কমে না।এত রাতে কিসের নটিফিকেশন ওর ফোনে মনে মনে এটা ভেবেই ফোনটা হাতে নিল..আবির (ওর ফ্রেন্ড)এর এসএমএস”কি রে মামা রাত কেমন কাটে তোর..কি চলতেছে..ভাবী কি ঠিক আছে নাক্কি?….তুৃমি তো কাজ সারলা আমার কিছু করো আমার তো শরীর মন কোনোটাই আর মানে না..কাল ইনটারভিউ আছে একটা তো এত রাতে তোমার কথা মনে পড়ল… বেশি কিন্তু কিছু করো না বুঝলা ভাবী আবার রাগ করবে..আবার কমও করিস না তবে আবার ভাববে তুই পারস ই না যতই হোক লাভ মেরেজ তো বেশি চাওয়া টাই স্বাভাবিক..আমি কিন্তু আগে থেকেই ক্লিয়ার জানাইছি ওরে সব কিন্তু করব এক রাতেই তাই প্রেম করে ইজি রিলেশন করছি না হলে আবার বিয়ের রাতে বলবে” আমাকে আপনার একটু সময় দেওয়া উচিত চেনার জন্য”২৯/২৮ বছর পরে বিয়ে করে রাতে বউ নিয়া ঘুমাবো ব্যাপারটা ঠিক ঠাক না..আচ্ছা চালিয়ে যা তোরও তো লাভ মেরেজই সংকোচ কম কাজ বেশি😛😛”
এসএমএস টা দেখে নৌশিনের কেমন জানি লাগলো.. (ও কি সাদাদকে ইগনোর করলো এই রাতে যতই হোক সাদাদকে একটু হলেও টাইম দেওয়া উচিত ছিল আর কিছু না হোক গল্প করা(মনে মনে))…
আর ওর রো কেমন মনে হচ্ছে বার বার ভাবীর কথা গুলো…কেমন একটা অন্যরকম লাগছে মেয়েটার..শাড়ি পড়া অবস্থায় একবার সাদাদ ওকে দেখে ছিল…ভার্সিটিতে
(ভার্সিটির কোনো একটা প্রোগ্রামে নৌশিন শাড়ি পড়েছিল…সিম্পল একটা শাড়ি।।।সাদাদের সাথে তখন ওর বেশ ভালোই রিলেশন চলে…সাদাদ ওই দিন নৌশিনের থেকে চোখ সরাতে পারে নি…এক সময়.. সাদাদ খেয়াল করেছিল নৌশিনের পেট টা একটু বের হয়ে আছে তাই ও নৌশিনকে সবার আড়ালে নিয়ে কথাটা বলতে যায়…অন্যএকটা রোমে…নৌশিনকে বলে শাড়িটা ঠিক করার জন্য কারণ সাদাদ চায় না নৌশিনের দিকে কারও বদ নজর পড়ুক…আর সাদাদ নৌশিনের কথা মতো ঠিক করা শুরু করলো…মেয়েটা সাদাদকে রোম থেকে সরতেও বলে নি,জাস্ট অন্য দিকে ঘুরে ঠিক করার চেস্টা করছে আর সাদাদও চোখ ঘোরাতে পারছে না…নৌশিন নিজে শাড়ি পড়তে পারে না তাই পিন আপ করে ভালো ভাবে ঠিক করতে পারছিল না তাই আচলের পিন টাও খুলে ফেলেছিল..বাট হিতে আরও বিপরীত হয়ে যায়..শাড়িটা আরও নষ্ট হয়ে যায়..সাদাদ বুঝতে পারে””কি ব্যাপার শাড়ি নিজে পরো নি”
নৌশিন:”নাহ তো.. ”
“আজব কাহিনী ভালোই”(সাদাদ)
নৌশিন:”প্লিজ সাদাদ একটু আশাকে ডেকে দাও না..এভাবে তো বের হওয়া যাবে না”
সাদাদ:ওকে(রেগে)…দরজা ভেতর থেকে লক করো…আমি ডাকলেই খুলবে বা আশা…
নৌশিন;হুম…কিচ্ছুক্ষণ পর সাদাদ আসে..
সাদাদ:Nousin open the door..
নৌশিন দরজাটা খুলে কোনো রকম হাত দিয়ে ধরে রেখেছে শাড়িটা…
নৌশিন:আশা স্টেজে উঠে গেছে ওর ড্রামা পার্ট চলে…অনেক টাইম লাগবে ওর… আর তোমার কোনো ফ্রন্ডকেই দেখলাম নয় আশে পাশে…স্নেহা ছিল বাট এরপর ওর এনকারিং তাই ডাকি নি।।।তুমি যতটা পারো টাইম নিয়ে ঠিক কর আমি বাইরে দাড়ালাম…
নৌশিন ঠিক করার জন্য শাড়ি টানাটানি করাতে শাড়ির কুচি গুলোও নষ্ট হয়ে যায়…এবার কোনো কিছু না ভেবে কান্নাই করে বসে তার আরও একটা কারণ হলো ভয়…সে প্রথম প্রথম সাদাদকে অনেক ভয় পেত..সাদাদ যদি বকাবকি করে এটা ভেবে কান্না করতে থাকে..বাট ওর তো রোম থেকে বের হতে হবে কান্না করলে চলবে না…ওর হঠাৎ মনে হলো “হুম সাদাদ ই একমাত্র অপশন এখন সাদাদ ই হেল্প করতে পারে…না হয় একটু বকা খেল তবুও তো বের হতে পারবে।।
তাই কোনো কিছু না ভেবে..
নৌশিন:সাদাদ…এই সাদাদ
সাদাদ:হুম…হলো তোমার…?
নৌশিন:নাহ😭😭
সাদাদ বুঝতে পারলো ওর গলা শোনে যে কান্না করতেছে..
সাদাদ:কি হলো??
নৌশিন:…
সাদাদ:এই মেয়ে কি হলো..(দরজায় নক করতে থাকে)
নৌশিন কি বলবে ভাবছে।।
সাদাদ:এই মেয়ে…
নৌশিন…..
সাদাদ:ওকে দরজা টা খুলো..
নৌশিন দরজাটা খুললো..সাদাদ দেখে সবটা বুঝতে পারে ও শাড়ি ঠিক করতে না পেরে আরও নষ্ট করে ফেলেছে চোখে মুখে একটা ভয়ের ছাপ…
নৌশিনকে এভাবে দেখে সাদাদ ভিমরি খায়…নাভী টা বের হয়ে আছে… আর এমন সময় সাদাদ কিছু বলার আগেই… নৌশিন:প্লিজ সাদাদ একটু হেল্প করো না😭😭😭
সাদাদ:আরে কান্না করার কি হলো এটা….
বাট নিজে মনে মনে ভাবতেছে কি করবে… নিজেকে কনট্রোল করে শাড়ি ঠিক করতে গেল…
ফার্স্টে কুচিটা দিতে বলে নৌশিনকে…..বাট গুজার সময় আবারও নষ্ট করে দেয় নৌশিনের হাতটা অজানা কারণেই কাপছিল তাই পরের বার সাদাদ নিজই গুছে দিতে যায়…নৌশিনের পেটে চোখ পড়তেই সাদাদ আটকে যায়…নাভী টা ওকে টানছে নৌশিনের কাছে…ও গুজার জন্য নৌশিনের পেটে হাতটা লাগায় গুজতে হলে ওকে আরও ভেতরে হাত দিতে হবে এবং তাই দেয়।। সাদাদ নৌশিনকে প্রথম স্পর্শ করলো ওর সব কিছু গুলিয়ে যাচ্ছে… হঠাৎ নৌশিনের মুখের দিক তাকায়..মেয়েটা আর কান্না করছে না কিন্তু চোখ বন্ধ করে আছে ঠোটে ঠোট চেপে অন্য দিক মুখ করে আছে…সাদাদ এই লজ্জামাখা মুখে আগে কোনো মেয়েকে দেখে নি এভাবে কোনো মেয়েটা যে এতটা অকর্ষণীয় লাগে আজ বুজতে পারল…আচলটা বুকের দিকে ঠিক করে দিল নৌশিন এখন চোখ খুলছে না নৌশিনের নিশ্বাস ঘন হয়ে আসায় ওর গরম নিশ্বাস সাদাদের বুকে পড়তে থাকে আর পিন আপ করার সময় আবারও নৌশিনের বুকে গলায় নজর যায় ওর এবার সাদাদও কনট্রোল রাখতে পারছে না আর নৌশিন কেমন জানি শিহরন দিচ্ছিল…..
সাদাদ পিন আপ করতে যাবে হঠাৎ নৌশিন চোখ বদ্ধ অবস্থায় পাশে থাকা ব্যাগটাকে হাত দিয়ে চেপে ধরে…নিজেরে ঠোট নিজেই কামড়ে ধরে…
সাদাদ আর পাড়ছে না…
সাদাদ পিন আপ করার জন্য আচলের যে অংশটুকু ভাজ করেছিল সেটা খুলে ফেলে….নৌশিনের চোখটা আচমকাই খোলে যাওয়ায় দুজনের চোখ পরে যায় একে অপরের দিকে…
নৌশিন সাদাদকে এভাবে চেয়ে থাকতে দেখে পিছিয়ে যেতে যেতে এক সময় দেয়ালে আটকে যায়..সাদাদ এগুতে এগুতে ওর একদম কাছে চলে যায়..সাদাদ কি করবে নিজেও জানে না…
নৌশিন আবারও চোখ বন্ধ করে নিয়েছিল..
সাদাদ ওর কমড়ে হাত দিয়ে হাতটা আস্তে আস্তে ওর নাভীর কাছে নিয়ে যায়..নৌশিনের ঠোটগুলো কাপতে থাকে…সাদাদ ওর ঠোটে নিজের ঠোট চেপে নেয়…নৌশিন দিশা হারিয়ে সাদাদের শার্ট চেপে নেয়…
সাদাদ নৌশিনের গলায় ঘারে কিস করতে থাকে…নৌশিনকে ওর কোলে তুলে নেয় পাশে থাকা বেডে ফেলে দেয় নৌশিনকে….নিজের শার্টটাও খুলে ফেলে ও…নৌশিনের বুকের ভাজটা খুব ভালোভাবে বুঝা যাচ্ছে…সাদাদ হামলে পরে মেয়েটা ওপর… ইচ্ছা মতো কিস করে ঠোটে গলায় ঘারে…কমড়ের পেচানো শাড়িটাও ছুড়ে ফেলে… নৌশিন সাদাদের পিঠে খামচি দিতে থাকে…সাদাদ আরও পাগল হয়ে যায়..
সাদাদ নৌশিনের ব্লাউজ টাও খুলে ফেলে…/একটা যুবক কি করে এমন যুবতী মেয়েকে দেখে থাকবে আর যাকে ও ভালবাসে/
সাদাদ নৌশিনের বুকের নরম অংশ হাত দেয়… এক পযার্য়ে মুখ নিয়ে যায়…নৌশিনের সব শক্তি শেষ না পারছে কিছু বলতে..না কিছু করতে..
সাদাদ নৌশিনের বুকে হামলে পড়ে…কিস করা শুরু করছে আর তখনি নৌশিন উল্টো হয়ে যায়..সাদাদ আরও উত্তেজিত হয়ে পড়ে নৌশনের পিঠে বিট দিতে থাকে… নৌশিন এবার ছাড়াতে চেস্টা করছে কস্ট করে..
“সাদাদ প্লিজ ছাড়ো..(নৌশিন)
সাদাদ মেয়েটার পিঠে কামড় দিয়ে দেয় জোরে তখন একটা…
আমি আর পাড়ছি না “I want u… I want u….. বলেই নৌশিনের ঘারে কিস করে…
নৌশিন:হাপিয়ে হাপিয়ে বল”সাদাদ আমি অবিবাহিত…”
সাদাদ:বাট আই ওয়ান্ট ইউ ফোল্লি
নৌশিন:”সাদাদ এটা পাপ…আমার চরিত্রের…
(বলার আগের হুপিয়ে কান্না করে দেয়)
সাদাদের নৌশিনের কান্নায় হোস ফিরে…
সাদাদ ওঠে যায়..বাট নৌশিন সে ভাবেই কান্না করতে থাকে….সাদাদ বুঝতে পারে একটা মেয়ের জন্য এটা কতটা হার্ডলেস কাজ.. আর এই চরম ভুলটা ও নিজেই করে ফেলেছে আরও যাচ্ছিল..মেয়েটা ওকে বিশ্বাস করল আর ও…ভাবতে থাকে সাদাদ…
কিন্তু নৌশিনের কান্নার শব্দে ফিরে আসে ভাবনার জগত থেকে..ভার্সিটির অনুষ্ঠান শেষ পর্যায় রাত হয়ে এসেছে ১০ টার মতো…
সাদাদ নিজের শার্ট টা পড়ে নেয়…সাহস নিয়ে নৌশিনের কাছে যায়… ওর কাধে হাত রাখতেই
“সাদাদ আমরা আন মেরিড ছিলাম😰😰😰😰(নৌশিন)
সাদাদ:প্লিজ আমায় ক্ষমা করো… আমি কন্ট্রোল করতে পারছিলাম না আর
নৌশিন:😰😰😰
সাদাদ:প্লিজ..আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি এভাবে কাদবে না প্লিজ আর তোমার ভার্জিনিটি তো আছে তুমি প্লিজ এভাবে ছোট করে দেখ না নিজেকে…তবে আমি নিজেকে কোনো দিন ক্ষমা করতে পারবো না..
নৌশিন:ভার্জিনিটি আছে.. বাট আামার শরীর😞😞😭😭😭
সাদাদ:ওকে ওকে তোমার এটাই তো প্রব ” we r unmarried ”
নৌশিন:😭😭😭
সাদাদ:তুমি কি ভাবছো আমি তোমায় ঠকাবো??তোমাকে বিয়ে আমি করবো না বা তুমি তোমার স্বামীর হর নষ্ট করলে এটাই তো…ওকে হক নষ্ট করলে আমি যতটা করছি আমি আমার টা নষ্ট করছি..ওঠো তুৃমি আর এক ফোটা পানিও যেন না পরে চোখ থেকে …”
সাদাদ নৌশিনকে শাড়িটা ঠিক পড়িয়ে দেয়…বাইরে গিয়ে কাউকে ফোন করে…
নৌশিনকে টেনে গাড়িতে নিয়ে যায়..নৌশিন কোনো কথা বলে নি সে দিন…
সাদাদ ওর বাসার সামনে নিয়ে নৌশিনকে নিজের বাসায় নিয়ে যায়…(বিশাল অট্টালিকা)
….ড্রয়িং রুমে ডুকবে এমন সময় সাদাদ নিজেই নিজের হাত দিয়ে মেয়েটা চুল ঠিক করে দেয়..রুমাল দিয়ে মুখটা মুছিয়ে দেয়..
ড্রয়িং রুমে গিয়ে দেখে..
সাদাদের মা…নৌশিনের ফ্রেন্ড আশা..কাজী সাহেব..সাদাদের বাবা আরও ২ টা লোক..
সাদাদ:আমি তোমাকে আজি বিয়ে করব…
নৌশিন সাদাদের মুখের দিকে তাকিয়ে…..(অবাক হয়ে)
সাদাদের মা”আয় মা বস”
কাজী সাহেব বিয়ে পড়ানো শুরু করেন(সাদাদের বাবা)
নৌশিন কান্না করা শুরু করে…আশা আমার বাবা মা😭😭😭”.(আশাকে জড়িয়ে ধরে)
ওরা পরে তোমার আমার আবার বিয়ে দিবে(সাদাদ)
(সাদাদের বাবা মা কাহিনী জানে না…ওরা ভাবছে ওদের ছেলে মেয়েটাকে তুলে এনে বিয়ে করছে কারণ সাদাদ যা চায় সেটা ও নিবেই যে ভাবেই হোক…সাদাদের বাবা মা সবটা মেনে নিল…
সাদাদ ঔ রাতের ব্যাপারে কাউকে বলে নি কিছু কারণ ও চায় না নৌশিনের দিকে কেউ আঙ্গুল তুলুক…বিয়ে শেষ
কাজী সাহেব চলে যান”
“মা-বাবা আজ আমার বিয়ে হলো কেউ জানবে না শুধু আমরা ছাড়া…মা তুমি ওর বাসায় আমার আর ওর বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাবা যত তাড়া তাড়ি সম্ভব)
আশা তোমারও যেন মনে থাকে…
আশা তুমি থাক না আজ রাতটা আমাদের বাসায় তোমার হোস্টেল তো ওফ হয়ে যায় এত রাতে(সাদাদ)
আচ্ছা(আশা)
আমি কি একটু একা ওর (নৌশিনের সাথে কথা বলতে পারি(আশা)
হুম…(সাদাদ)
নৌশিন যা হয়েছে ভালো হয়েছে সাদাদ অনেক ভালো আর তুই বিশ্বাস রাখ তোর বিয়ে তোর বাবা মা দারিয়ে থেকে দিবে..আর আমি কাউকে এই বিয়ের ব্যাপারে কিচ্ছু বলবো না..হঠাৎ সাদাদ হাটু গেরে বসে পরে”আমি তোমাকে এটা বিশ্বাস করানোর জন্য বিয়েটা করলাম যে,আমি শুধু তোমার,,যে কোনো মূল্যেই তুমি শুধু আমার.. আর তোমার বাবা মা আমাদের বিয়ে দেওয়া না অবদি আমি ভুলে যাব তোমার আমার বিয়ে হয়েছে আমি তোমার বয় ফ্রেন্ড হয়েই থাকবো..স্বামীর অধিকার কোনো দিন চাইবো না যত দিন তুমি না চাও তোমার বাবা মা বিয়ে দেওয়ার পরও না..তুমি যে দিন চাবে ঠিক সে দিন..প্রমিজ ইউ)”…(সাদাদ নৌশিনের বাসা কাছে হওয়ায় ওকে বাসায় দিয়ে আসে..আশা সাদাদের কাজিন(তুবা)এর সাথে থেকে পরের দিন হোস্টেলে চলে যায়…আশা এমন একটা মেয়ে ও কোনো দিন কারও কথার খেলাপ করে না তাই স্বাভাবিক ভাবেই ও বিয়ে টা চেপে যায় শুধুমাত্র এই বিয়ের একটা সাক্ষী হয়ে…)
এটা ৬ মাস আগের কাহিনী..আশা ওর বিয়েটা এমন ভাবে ইনজয় করেছে যেন নৌশিনের সাথে কিছু হয় নি… তাই নৌশিনের অনুরোধে আজও আশাই ওর পক্ষের একজন সাক্ষী হয়েই সাইন করে..আর সাদাদ এই ৬ মাসে ওর সাথে এতটাই বিনয়ী ব্যবহার করেছে নৌশিন সে রাতের একটু ভুলটার কথা আর ভাবে নি(সবার জীবনে কোনো না কোনো সময় হয়তো একটু ভুল হয়..আর স্বামীর হক নষ্টের কোনো প্রশ্ন আসার কথা উঠে নি ওর মনে কারণ ওর ভার্জিনিটি ছিল আর যে ওর শরীরে হাত দিয়েছে সেও উপায় না পেয়েই দিয়েছে যতই হোক ২৮ বছরের একটা ছেলে ভালোবাসার মানুষকে ও ভাবে দেখলে হারিয়ে যাবে এটাই নরমাল)আর সাদাদ তো ওকে ও রাতেই বউ হিসেবে মেনে নিয়েছে…)জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে…এই তিন বিধাতা নিয়ে..কথাটা নৌশিন বিশ্বাস করে আর কোনো দুটানায় থাকে নি…ছোট্ট জীবনটাকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার হাজার হাজার নতুন স্বপ্ন বুনতে থাকে মনে মনে👌👌
সাদাদের সাথে ওর আজকের বিয়েটা সবার সামনে হয়েছে..কেউ জানে না ওরা ৬ মাস আগে বিয়ে করছে..
((সাদাদের সেই কথাগুলো ওর কানে বাজচ্ছে…
“ওর নিজের কেমন জানি মায়া হচ্ছে সাদাদের দিকে তাকায় বারান্দায়।।সাদাদ খেয়াল করে নি ও উঠে গেছে….নৌশিন একটা শ্বাস ফেলে))
মনে মনে কাছে যেতে চায় ও সাদাদের আবার ওর ছোয়া চায় স্বামীর পরশ চায় ওর শরীর মন…'”হুম আমি আজ তোমায় অধিকার দিব…হুম আমি চাই আজ(মনে মনে)
((কিন্তু সরাসরি তো বলা যায় না যতই হোক মেয়ে তো))

#প্রেমঘোর#৩#
💜💜
Writer:Nargis Sultana Ripa.
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
নৌশিন দেখলো ৩.৪৮ বাজে..ওর কাছে চাই সাদাদকে… হুম খুব কাছে..
সাদাদ.. এই সাদাদ(নৌশিন)
সাদাদ:কি??উঠে গেলে যে??
নৌশিন:পিন গুলো খুলতে পাড়ছি না হেল্প করো তো..শাড়ি পড়ে ঘুমায় নাকি মানুষ।
সাদাদ:নিজে খুলো না রে..
নৌশিন:যা বলছি তা করো না বেশি কেন বলো
সাদাদ:ওফফ..
(পিনগুলো খুলতে থাকে নৌশিনের শরীর যেন ওকে টানছে.. বাট ও কিছু করবে না কোনো দিনও না যত ক্ষণ না নোশিন বলবে)
সাদাদ:হুম যাও ঘুমাও
নৌশিন:সাদাদ প্লিজ ব্লাউজের হোকটা আর ফিতাটা…প্লিজ প্লিজ(মায়াবী গলায়)
(সাদাদ নৌশিনের এই অবদারটা রাখতে গিয়ে ভ্যাবাচেকা হয়ে যায়..এমনি এত ফর্সা একটা পিঠ তার উপর এই ব্লাউজের গলাটা অনেকটাই বড় আবার হোক টোক আর ফিতায় পিঠটা আরও রোমান্চকর হয়ে আছে..সাদাদ লোভ সামলাতে পারছে না..তবুও নিজের দাঁতে দাঁত চেপে কন্ট্রোল এনে কাজটা করে)
💜💜নৌশিন সাদাদের হাতের ছোয়া পেয়ে আনন্দে শিউরে উঠে ভেতরে ভেতরে💜💜
নৌশিন গিয়ে শুয়ে পরে…
সাদাদ এসি টা ওন করে।
নৌশিন;এই ছেলে প্লিজ শুয়ে পড় না আমার একা একা খুব ভয় লাগে ঘুমাতে..
সাদাদেরও ঘুম চলে আসছে তাই শুয়ে পড়ল…
নৌশিন:সাদাদ..এই সাদাদ..ঘুমালে নাকি?
সাদাদ:নাহ্..বলো
নৌশিন:ঠান্ডা লাগছে আমার.
(সাদাদ ওঠে এসিটা ওফ করতে রিমোট হাতে নিবে এমন সময় নৌশিন হেচকা টান দিয়ে সাদাদ কে ওর বুকের ওপর ফেলে দেয়)
সাদাদ:কি হলো?
নৌশিন:বললাম না শীত করছে..
সাদাদ:তাই তো এসিটা ওফ করতে যাচ্ছিলাম
নৌশিন:কেন আমি তো জানতাম বউয়ের শীত লাগলে ওর বর উষ্মতা দেয়..গরম লাগলে ঠান্ডা করে দেয় নাকি??তবে তুমি কেন এসি ওন ওফ করো??
(সাদাদের কাছে পরিষ্কার হয় এবার মেয়েটা কি চায়..বাট ও একটু বাজিয়ে দেখবে নৌশিন কি করতে পারে)
সাদাদ:নাহ্ তো আমার জানা ছিল না…আপনি কি করে জানলেন??(চোখে ইশারা করে)
/নৌশিন এবার বুঝে যায় সাদাদ ওকে বাজিয়ে দেখছে তাই সেও বদমাশি শুরু করে/
নৌশিন:সব মেয়েই জানে….আর আমি তো এটাও জানি যে সব পুরুষও জানে।।কিন্তু যারা পারে না কাজ টা করতে ওরা জানে কি না বলতে পারবো না☺
সাদাদ:আচ্ছা(মুচকি হেসে)তার মানে আমি পারি না তাই তো??
নৌশিন:Yes Md.Sadad…u have no ability to do cool or hot me…after all ur wife’s body…
(সাদাদ নৌশিনের কথায় রেগে ওঠে..ওর মাথায় রক্ত উঠে যায় অবশ্য সব ছেলেরই উঠবে কোনো মেয়ে এই ভাবে বললে…আর সেই মেয়ে যদি নিজের বউ হয় তবে তো আরও দ্বিগুণ)
সাদাদ:hey..lady…stop…u have have no idea that”what I can do”…even about my ability… so.. stop this…
নৌশিন:ওহ্ ছাড়ো তো..have u any prove??? that”u r able to do that work”…”no u have not..so leave me”(মুখ ভেঙচিয়ে উঠে যাওয়ার চেষ্ঠা করে)
(সাদাদ এক টানে আবার বেডে ফেলে দেয়…ওর হাতটা চেপে ধরে বেডের সাথে…”ডোজটা বেশি হয়ে গেল না.??? সামলাতে পারবে তো??(সাদাদ)
(নৌশিন শিউরে উঠে যতই হোক মেয়ে তো..আর এতক্ষণ তো লজ্জা শরম ত্যাগ দিয়ে অনেক কিছুই করলো…আর পারছে না)
নৌশিন হাত ছাড়ানোর চেষ্ঠা করে “ধ্যাত ছাড়ো তো”(সাদাদ নৌশিনের মুখে একটা হাসির রেখা আর লজ্জার ছাপ দেখতে পায় যা ওকে আরও কাছে নিয়ে যাচ্ছে মেয়েটার )
সাদাদ:ওম হু…তোমার তো প্রুভ চাই..আর আমি কি করে নিজেকে প্রুভ না করে থাকবো…প্রত্যক্ষ প্রমাণ তোমাকেই রাখতে চাইছি আমি☺☺(সাদাদ নৌশিনের কাছে যেতে চাইলে নৌশিন উঠার চেষ্ঠা করে…. সাদাদ ওকে আটকে নেয়…নৌশিন আর পাড়ছে না সাদাদের নিশ্বাস ওর মুখে পড়ছে ওর নিশ্বাসও ঘন হয়ে আসছে)💜💜

#প্রেমঘোর#৪#
💜💜
Writer:Nargis Sultana Ripa.
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
সাদাদ নৌশিনের একদম কাছে চলে যায়…সাদাদকে পাগল করে দিয়েছে নৌশিন আজ ওর কথায় আর কাজে…..
সাদাদ পাগলের মতো নৌশিনের কাছে যায় একদম কাছে নৌশিন শিহরণ দিতে থাকে সাদাদ সেটা ফিল করতে পারছে।।💜💜
নৌশিনের ঠোটে নিজের ঠোট টা চেপে ধরে..চুমু খেতে খেতে হাপিয়ে গেলে চুষে নিতে থাকে মেয়েটার ঠোট.. মেয়েটাও পাগল হয়ে যায় সেও কিস করতে থাকে খামচে ধরে সাদাদের পিঠে..সাদাদ নৌশিনের খামচিতে ব্যাথা পায় একটু যা ওকে আরও পাগল করে…কামড়ে ধরে নৌশিনের ঠোট সাদাদ
…এরপর গলায় ঘাড়ে কিস করা শুরু করে… সাদাদের সেভ করায় ওর খোচা খোচা দাড়িতে নৌশিনের গলায় লাগছে…
নৌশিন:আহ্…সাদাদ লাগছে আমার..
সাদাদ বুজতে পারে নৌশিনের কথা কিন্তু কিছু না বলে ও আবারও কিস শুরু করে…নৌশিন একটু আগে বললো ওর নাকি লাগছে তাই সাদাদ নৌশিনকে ঘায়েল করার জন্য ওর গলায় জিব্হা দিয়ে লেহন দেওয়া শুরু করে…নৌশিন পাগলের মতো ছটফট করছে সাদাদের মাথার চুল ছিড়ে যাবে এমন ভাবে আকড়ে ধরছে আর চুমু খেয়ে যাচ্ছে..
সাদাদ এবার নৌশিনে কানের লতিতে লাভ বিট বসিয়ে দেয় (সাদাদ নৌশিনকে আজ বুঝাবে ও কি জিনিস মেয়েটাকে হার মানাবে ওর ভালোবাসায়)
নৌশিন আরও শিউরে ওঠে..
সাদাদ নিজের শার্ট টা খুলে ফেলল..
খেয়াল করল নৌশিন জুড়ে জুড়ে শ্বাস নেওয়ার কারণে ওর বুকটা ক্রমশই উঠা নামা করছে সাদাদ আরও পাগল হয়ে যায়..নৌশিনকে ধাক্কা দিয়ে উল্টো করে ওর ব্লাউজটা এক টানে খুলে ফেলে … ওর সারা পিঠে চুমু দেয়…নৌশিন কাপতে থাকে একদম…সাদাদ আরও কাতর করবে নৌশিনকে তাই পিঠেও জিহ্বা দিতে থাকে…
এবার নৌশিনের বুকে হাত চলে যায় সাদাদের..নৌশিনকে ওর দিকে ফিরাবে এমন সময়..”সাদাদ প্লিজ টেবিল লাইটা ওফ কর না”(নৌশিন)
“কেন..লাইট ছাড়া তো তোমার ভয় করে”(সাদাদ)
“আমি দেখবো আজ..সো লাইট ওফ করা যাবে না (বলেই নৌশিনে সোজা করে নেয়…সাদাদ নিজেই পাগল হয়ে গেছে.. তাই নিজেই লাইটা ওফ করে দেয় বারান্দার আলোয় দেখবে..ঝাপসা আলোয় আরো পাগল হয়ে গেছে ছেলে টা)
সাদাদ নৌশিনের বুকের নরম জায়গায় হাত দিয়ে দেয়…চাপ দিতে থাকে… “আ…ওহ… আমার লাগছে…আস্তে… “(নৌশিন)
“সাদাদ একটু তো লাগবেই জানেমন…আমার বউ যে এতটা হট জানা ছিল না।।(বলেই হঠাৎ ইচ্ছা করেই জুড়ে চাপ দিয়ে দেয়…নৌশিন সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করে..নৌশিন:আ..(জোরে)
সাদাদ নৌশিনের ঠোট কামড়ে ধরে যেন ও চিৎকার করতে না পারে…আবারও বেশ কয়েকবার দু হাতে ওর বুকে চাপতে থাকে নৌশিন আওয়াজ দিতে পারছে না..শুধু মুচরাতে থাকে পা ছট ফট করতে থাকে…
সাদাদ নিজের পা দিয়ে ওর পা আটকে নেয়…পায়ে ঘর্ষণ দিতে শুরু করে।।নৌশিনের বুক থেকে হাত সরিয়ে নেয়…ঠোট থেকে ঠোট সরিয়ে নিতেই নৌশিন জুড়ে জুড়ে শ্বাস নিতে থাকে আরও যেন আবার জীবন ফিরে পেল..কিন্তু এতে ওর খোলা বুক যে আরও উতলা করছে সাদাদ কে..সাদাদ কন্ট্রোল করতে চাইছে না আর নৌশিনের দু পা নিজের পায়ে শক্ত করে চেপে ঘর্ষণ করে যায়… নৌশিনের হাত দুটি চেপে ধরে ওর ধরে নিজের হাতে বেডের সাথে আর সাথে সাথে ওর বুকে ঠোট দেয়…বুকে চুমু শুরু করে নৌশিন শেষ হয়ে যাচ্ছে
“সাদাদ প্লিজ ”
সাদাদ কোনো কথা না শুনে নৌশিনের স্তনে মুখ দেয় নৌশিনকে সর্বশক্তি দিয়ে সুখ দিবে ও আজ..তাই ওর স্তন চুষা শুরু করে…নৌশিন সুখের গোঙানী করতে থাকে..
নৌশিনের এই শব্দে সাদাদ আরও পাগলামো শুরু করে..ও কামড়ে নিতে থাকে নৌশিনের স্তনে
..কমশ্র জোড়ে দেয় নৌশিনের চিৎকার শুনতে চায় ও””আ…ও হ…আ…সাদাদ(নৌশিন)
সাদাদ আবারও কামড় দেয়..নৌশিন ভারসাম্য রাখতে সাদাদের ঘারেও লাভ বিট দিতে থাকে..
সাদাদ নৌশেনের বুকে এক অশেষ সুখ খুজে পায়… “কি আছে এই বুকে??(সাদাদ)
“নৌশিন…..
সাদাদ:বলো না কি আছে??
নৌশিন : জানি না আমি☺☺।।(দু চোখ বন্ধ মেয়েটার ও সাদাদের সামনে চোখ খুলতে পারছে না)
সাদাদ:ওহ্ অনেক কিছু তো জানতা তুমি আমি ভাবছি এটাও জানোও.. তবে আমিই দেখি কি আছে আবারও হাত দেয় তবে চাপ দিচ্ছে না এখন জাস্ট দু হাতে সারাটা বুকে হাত বুলিয়ে যাচ্ছে..ওয়াও কি নরম তোমার স্তন জান…(সাদাদ জানে এই কথাতে সহধর্মী বেশি খুশি হয়ে থাকে..উত্তেজিত হতে থাকে)
..নৌশিন সাদাদের মুখে এই কথা শোনে যেন মরে যাচ্ছে লজ্জায়…
নৌশিন:সাদাদ কি বলছো এই সব…
সাদাদ:হুম যা সত্যি তাই তো বললাম..
সাদাদ নৌশিনের বুকে হাত রেখে ছোয়ে দিতে দিতে ওর মুখটা নৌশিনের পেটের দিকে আনছে..নাক দিয়ে ওর সারা বুক শরীরের গন্ধ নিচ্ছে ছেলেটা… আর নৌশিন ওকে ক্রমশ খামচি দিয়ে যাচ্ছে পিঠে যা সাদাদকে আরও উত্তজিত করছে…
সাদাদ নৌশিনের পেটে চুমু খেতে শুরু করে ওর নাভীতেও…(সাদাদ জানে নাভী মেয়েদের কতটা র্স্পশ কাতর জায়গা.. সে নৌশিনকে পুরুপুরি ভাবে নিজের করতে চায় আজ তাই নৌশিনকে ভালোবাসার উনমাদনায় ভরিয়ে দিতে ওর নাভীতে জিহ্বা দিয়ে লেহন দেওয়া শুরু করে..নৌশিন কমড়ে জাকি দিয়ে ওঠে সাদাদ সেটা সামলে নেওয়ার জন্য বুক থেকে হাত দুটি কমড়ের দু পাশে রেখে কমড়টা চেপে ধরে দ্রত গতিতে লেহন শুরু করে নাভীতে আর চারপাশে.. নৌশিন উপায় খুজে পায় না সাদাদ ওকে শেষ করে দিচ্ছে একদম…নৌশিন সাদাদের চুল গুলোতে শক্ত করে চেপে ধরে কিন্তু এতে সাদাদের মুখ ওর পেটে আরও গভীর ভাবে লাগে..
“সাদাদ প্লিজ.. আমি পারছি না আর… প্লিজ জিহ্বা দিও না”(নৌশিন)
সাদাদ আরও লেহন দেওয়া শুরু করে নাভীর নিচের দিকে যাওয়া শুরু করে…নৌশিন শেষ পুরো… শুধু জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে মেয়েটা আর পুরো শরীর তো সাদাদের দখলে…সাদাদ নৌশিনের আরও গভীরে যেতে চায়..ও নৌশিনকে শেষ করে দিবে আজ স্বর্গসুখে তাই দুজনের শরীরই উন্মুক্ত করে…নৌশিন কেমন ফিল করছো জান(সাদাদ)(ওকে লজ্জায় ফেলার জন্য)
নৌশিন চোখ বন্ধ করে শুধু শ্বাস নিয়ে যাচ্ছে আর এখন ওর (ভয়+লজ্জা+সু ৩ টায় হচ্ছে…তাই কোনো কথা বলার শক্তি বা ভাষা ওর নেই(মনে মনে ভাবছে সাদাদ কি করতে যাচ্ছে)।
সাদাদ নৌশিনকে আবারো আগলে নেয়…নৌশিনের পোশাকের মতো ওর গায়ে জড়িয়ে যায়…
নৌশিন:সাদাদ কি করছো..
সাদাদ:চুপপপ কোনে কথা না জান..
সাদাদ:বিসমিল্লাহ্‌…
পর মুর্হুতেই নৌশিন আতকে একটা চিৎকার দেয়..”ওহ্ মা….আহ্….সাদাদ প্লিজ….”
সাদাদ নৌশিনের মুখের দিকে তাকায় মেয়েটা করুণ ভাবে শক্ত করে নিজের ঠোট কামড়ে ধরেছে…আর সাদাদের হাতের মাঝে ওর হাত থাকা সত্বেও সর্বশক্তি দিয়ে হাত দুটি চেপে ধরে রেখেছে…চোখের কোণে পানিও এসে গেছে….
সাদাদ নৌশিনের চোখে পানি দেখে এক অজানা সুখে নিজেকে পৃথীবির সব চেয়ে সার্থক মনে করে…
“এমনটা হয়ে থাকে জান প্রথমত..বাট ধীরে ধীরে…(কথা শেষ করার আগেই.. নৌশিন ওর হাত ছেড়ে দিয়ে সাদাদকে জড়িয়ে ধরে শক্ত করে আর কান্না শুরু করে দেয়…সাদাদ বুঝতে পারে ওর কান্নার মানে…(এই কান্নায় যেমন ব্যাথাও প্রকাশ করেছে তেমনি সাদাদকে নিজের সর্বস্ব দিয়ে দিয়েছে সারা জীবনের জন্য তারও প্রমাণ রাখছে…)
সাদাদ নৌশিনের গালে কপালে চুমু একে দেয়…ওকে মুর্হুতের মাঝে আবারও স্বর্গসুখে ভাসিয়ে নিয়ে যায়… নৌশিনের চোখে আর পানি আসে নি এবার…দু জনে হারিয়ে যায় এক মহা সুখে….বেশ কিছু সময় পর দুজনেই ফিরে আসে সেই স্বর্গ থেকে কিন্তু সুখটা নিয়ে এসেছে..দু জনেই তৃপ্ত…নৌশিন সাদাদকে জড়িয়ে ছিল ছেড়ে দেয় সাদাদ নৌশিনে গলায় মুখ রেখে শুয়ে আছে…ভোরের পাখির শব্দ পাচ্ছে নৌশিন(তার মানে সকাল হতে চললো…)..নৌশিন সাদাদকে ওর শরীর থেকে সরানোর জন্য সাদাদের কাঁধে হালকা ধাক্কা দেয় যেন ওর মুখটা সরে যায় গলা থেকে… কিন্তু এই অল্প ধাক্কায় সাদাদের কিচ্ছু হলো না….
“কি হলো..সরো না(নৌশিন)
সাদাদ:ওমমমম হু…না….
নৌশিন:প্লিজ…সরো…বেডে শুও না…
সাদাদ:ওহহ না….বেড শক্ত তো…(আহ্লাদের রসে)
নৌশিন জুড়ে ধাক্কা দেয় এবার সাদাদ সরে যায় ওর অবস্থা থেকে কিন্তু নৌশিনের ওপরেই থাকে…নৌশিনের চোখে চোখ পড়ে যায় ওর…ভোরের আলোয় নৌশিনকে প্রথম দেখছে..
সাদাদ:(মুচকি হেসে..নৌশিনের চোখে চোখ রেখে)কি???কেমন লাগছে??
নৌশিন:ধ্যাত সরো তো… (সাদাদকে ধাক্কা দিয়ে মুচকি হেসে)
(সাদাদ নিজে থেকে আর নৌশিনের ধাক্কায় বেডে শুয়ে পড়ে…নৌশিন সাদাদ নেমে পড়ায় ওর পেডিকোট টা ঠিক করে নেয় আর অন্য হাতে চাদরটা বুকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করে..)
(সাদাদ মুচকি হাসি দিয়ে নৌশিনের হাতটা চেপে ধরে…চাদর টা নিতে দেয় না…”থাক না..কি বৃথা চেষ্টা করছো..কি আছে আর তোমার ঐ বুকে(চোখের ইশারা দিয়ে দেখায়)…সব তো দেখা হয়ে গেছে…কি জানো তো কেমন জানি চুম্বক আর মধুচাক তোমার ঐ…(নৌশিন মুখ চেপে ধরে..)
নৌশিন:চুপপ(গাল ফুলিয়ে চাপা হাসি দেয়…লজ্জা লাগছে ওর এগুলো শুনতে)
সাদাদ হাতটা সরিয়ে নেয়…”ওহ…দম বন্ধ হয়ে গেছিল তো মরে ফেলবা নাকি…আমার আর কি দোষ বল.???তুমি যদি নিজেই 😛😛…আমি কিন্তু কিছু করতে চায় নি বাট তুমি তো প্রমাণ চাইলা😜😜তাই…(সাদাদ)
(নৌশিন সাদাদের বুকে একটা আস্তে ঘুসি দিয়ে”উফফ সাদাদ…. শয়াতান☺☺”(নৌশিন)
(সাদাদ নৌশিনকে ওর বুকে টেনে নেয় আর ওর মুখের কাছে এসে..”এবার আমি শয়তান হলাম তাই না??আর নিজে যে আমায় পাগল করে দিলা…সারা শরীরে মধু রেখ দিছে একদম আর আমাকে বলে…☺☺..হুম….”
(নৌশিন আর কোনো কথা না বলে লজ্জায় সাদাদের বুকে মুখ লোকায়…আর মনে মনে রাতের কথাটা গুলো ভাবছে…..লজ্জায় সাদাদের দিকে তাকাতেও পারছে না আর তাই ওর বুকেই শুয়ে আছে”
“এত ভারী কেন তুমি?মাথা রাখলে আর বুকের ব্যাথা শুরু হলো..মেয়ে মানুষ এতো ওজন থাকে নাকি??
(সাদাদ)
/নৌশিন মুখ তুলে রেগে “আমি ভারী তাই না??😡😡৪৫-… ওকে?? আর একটু মাথা রাখলাম তাতেই বুক ব্যাথা…আর নিজে যে আমার উপর পুরো শরীর দিয়ে ছিলে..৬০+ওজনে কি আমার লাগে নি গায়ে আর বুকে তো…”
(সাদাদ নৌশিনের বক বকানি শুনছে এক দৃষ্টিতে..আর হাসছে মুঠি মুটি মেয়ে টা কি বলছে রেগে নিজেই খেয়াল করে নি..হঠাৎ নৌশিন বুঝতে পারলো ও কি বলতে যাচ্ছে তাই থেমে গেল)
সাদাদ:কি???কথা শেষ কর তোমার বুকে????
নৌশিন :ওহ….সাদাদ…তুমি না..
সাদাদ:কিহ.. আমি????আর প্রমাণ পেলে তো??নেক্সট টাইম গরম/ঠান্ডা যেটাই লাগুক বলবা ওকে???সব ঠিক করে দিব আমি(একটু জোড়ে হেসে ফেলল) (নৌশিন লজ্জায় লাল হয়ে আছে একদম…ওঠে যেতে চাইলে..”কি হলো..?কই যাও??খেয়াল করছো তোমার আর বুক একসাথে??.(সাদাদ)
((নৌশিন লক্ষ্য করে আসলেই ও সাদাদের বুকে নিজের শরীর রেখেছে..আর সাদাদ এভাবে বলায় আরও লজ্জা রাঙা হয়ে উঠে ওর মুখ…সরে যেতে চায়…)
সাদাদ:(আটকে নিয়ে..তৃপ্তির হাসি দিয়ে)এত লজ্জার কি আছে?? হুম??সবি তো দেখে ফেলেছি কিছু তো খেয়েও ফেলেছি লোভে…তবুও এতো লজ্জা??তবে ভোরের বেলায় আবার লজ্জা ভাঙি নাকি??(বলেই নৌশিনের ওপর শুয়ে পরে আবার)
(নৌশিন আটকানোর চেষ্টা করে কিন্তু পারে না)
নৌশিন:কি হলো এটা??সরো না…প্লিজ…(বিনয়ী সুরে)
সাদাদ:ওম না….(কিস করতে যাবে নৌশিনের মুখে..নৌশিন ওর হাতটা দিয়ে মুখটা সরিয়ে দেয়…”মাথা ঠিক আছে তোমার সকাল হয়ে যাচ্ছে…
“তো আমি কি করব সকাল হলে???”(সাদাদ)
“কিছু করবে না জাস্ট আমায় ছাড়বে…”(নৌশিন)
!সাদাদ আকড়ে ধরে নৌশিনকে!ওর ছাড়তে ইচ্ছে করছে না!
“সাদাদ প্লিজ ছাড়ো..ফ্রেস হতে হবে আমায়…না হলে লেট হয়ে যাবে..এখন আমি শুয়ে থাকলে ঘুমিয়ে পড়ব আর তুমি নিজেও জানো আমি এখন ঘুমালে বাসায় আগুন লাগলেও ১০ টার আগে উঠতে পারবো না…তা তে কি হবে বলো তো??(নৌশিন)
সাদাদ:”ওনননন না কিচ্ছু হবে না ১০ টা পর্যন্ত ঘুমাবো আমিও..নো প্রবলেম💜💜(নৌশিনের গলায় চুমু দিয়ে)
নৌশিন:তুমি সত্যিই পাগল হয়ে গেছো…
সাদাদ:তুমি করেছো…
নৌশিন:আচ্ছা..বেশ চুমু তো দিলে এবার তো উঠো…না হলে সত্যিই লেট হবে..
সাদাদ:কি লেট হবে??কিসের লেট(জুড়ে)
!নৌশিন মুচকি হেঁসে..!”আরে বাবা রাগও আছে দেখছি☺☺”
সাদাদ:দেখ হাসবা না একদম(রেগে)…নিজেই শুরু করবে আর আমি কিছু করলেই খালি অযুহাত😡….তাই না??
নৌশিন :আচ্ছা আচ্ছা হাসবো না আর(বলেই হেসে দেয়)
সাদাদ:😡😡😡
নৌশিন:ওকে সরি..আর হবে না…ওঠি এইবার.??
সাদাদ:যাও..
নৌশিন:কিভাবে??নিজে উঠো আগে..
(সাদাদ উঠে বিছানায় শুয়ে পড়ে…
বিরক্তের স্বরে:হেয়য়….
নৌশিন:কি হলো শুয়ে পড়লা যে??ফ্রেস হবা না?আর নামায পড়বা না??
সাদাদ:নাহ্ পড়ে ফ্রেস হবো তোমার হওয়ার নিজে হয়ে নিতে পারো(একটু রাগ ভাব নিয়ে কথা বলছে)
নৌশিন:কেন রাগ করছো.. বলো তো…??বাসায় এত লোক জন আর কিছু ক্ষণ পেরই দেখবা সবাই মিলে ডাকতে আসবে আমায়..আফটার অল নতুন বউ কি না…☺☺
সাদাদ:ওক(সহজভাবে)..তাই তো ছাড়লাম না হলে কে শুনতো তোমার বারণ…
নৌশিন:হুম☺☺।।তুমি ফ্রেস হবে না..নামায??
সাদাদ:ঘুম পায় তো..এই এক সাথে গোসল করার ইচ্ছা হচ্ছে নাকি তোমার(এক্সসাইডেড হয়ে বসে পড়ে)
!নৌশিন বিছানা থেকে এক লাফে সরে যায়…. “পাগল নাকি…😒😒”
(নিজের ব্যাগ ড্রেস নিচ্ছে)
সাদাদ:কি পড়বা??
নৌশিন:নতুন বউ তো শাড়ি অবশ্যই
সাদাদ:পড়তে পারো..নাকি পড়িয়ে দিতে হবে?
নৌশিন:নাহ্ আপনার আর সেই মহৎ কাজ করতে হবে না…একদিন তো শুধু আচঁল ঠিক করতে বলেছিলাম তাতেই যা..আর আজ পড়াতে গেলে তো…আর এখন আমি শাড়ি পড়া জানি…বুঝলা??সো নো নিড ইউর হেল্প..
সাদাদ:বুঝলাম..আমাকে পাগল করে পড়ে শিখছো আর কি..তবুও ভালো শিখলা…তা এখন ফ্রেস হয়ে নামায পড়বা নাকি??
নৌশিন:হুম..নতুন একটা লাইভ..নামায টা মিস দিবো না…আর আমি এমনিও নাময রোজ পড়ি..আর এখন থেকে নিজেও রোজ পড়বেন…
সাদাদ:বাট ফ্রেস হয়ে আসতে আসতে তো নামাযের টাইম শেষ..
নৌশিন:আগেই তো উঠতে চাইলাম নিজেই তো আটকে রাখলে..আর টাইম শেষ তবুও কাজা নামায পরে নিব..ফার্স্ট ডে..আমার ফ্রেস হতে সময় লাগবে.. তাই তুমি এখন উঠবা.. আমি ফ্রেস হয়ে আসলে তুমিও কাযা নামাজ পড়বা..
(বলেই নৌশিন ফ্রেস হয়ে আসে..দেখে সাদাদ ঘুমিয়ে গেছে..ও নিজের চুলের পানি ছিটিয়ে দিতেই…”ওপপপ কি???”(সাদাদ)
“ওপপপ☺☺।।ওঠো তাড়াতাড়ি ফ্রেস হও আর নামায পড়..আমি চাই না যে আজ নামায টা মিস হোক আর যদিও বা লেট হলো আমার বিশ্বাস আজকে কিছু হবে না এর জন্য☺☺)
নৌশিন নামাযটা সেরে নিল…সাদাদও নামায টা পড়ল☺
নৌশিন:আলহামদুলিল্লাহ্‌ ☺☺
সাদাদ:হঠাৎ??
নৌশিন:বা রে আমার বর তো আগে ফযরের নামযটা মিস করতো আজ করে নি তাই(বিছানা গুছাতে গুছাতে)(বিছানা গুছিয়ে আয়নার সামনে গিয়ে শাড়িটা ঠিক করলো…বসে মাথার কাপড়টা খুলে চুলটা মেলে দিল…সাদাদ ওর দিক এক নজরে চেয়ে আছে..ভেজা চুলে অসাধারণ লাগছে..সাদাদ ওর কাছে আসছে নৌশিন আয়নায় দেখতে পায়..তাই কাছে আসার আগেই উঠে পড়ে যেটা সাদাদ ভাবেই নি..সাদাদ:কি হলো এটা??এমন করলা কেন??
নৌশিন:তো…গায়ে হাত দেওয়া যাবে না ☺☺এখন..
(সাদাদ নৌশিনের দিকে এগিয়ে যায় আর ও পিছনে গিয়ে আলমারিতে ধাক্কা খায়..সাদাদ:এখন???
(নৌশিনকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দেয়..শুয়ে পড়ে ওর ওপর..ওর চুলের গন্ধ শুকতে থাকে…
নৌশিন:কি হচ্ছে বলো তো..
সাদাদ:how do I know../??plz don’t distrub me..(ঠোটে ঠোট দিতে যাবে…… তখনি দরজায় কেউ নক করে উঠলো…
নৌশিন..নৌশিন(দরজার বাইরে)
সাদাদ ভিমরি খায় ওর ঘোর কাটে একটু বিরক্তি হয়ে:আসার আর টাইম পেল না..(আস্তে বলল যা শুধু নৌশিনি শুনল..কিন্তু সাদাদ এখনো নৌশিনের ওপর)
(নৌশিন সাদাদকে ওর উপর থেকে তাড়াতারি সরিয়ে শাড়ি টা ঠিক করে নেয়)
নৌশিন:কি হলো??দরজা টা খুলো যাও..
সাদাদ:তুমি কেন যাচ্ছো না??
নৌশিন:কে ডাকছে?আমি খুলব… কেমন লাগছে তো…তুমি খুলো না।।
নৌশিন…সাদাদ কি রে আর কত বাইরে আয় তো এবার…
সাদাদ:আমি পারবো না এই শুইলাম…ঘুমাইবো এখন… ভাবীর গলা… আমার কারও হাসির খোরারক হওয়ার ইচ্ছা নাই খোলো নিজে…টাটা(চোখ মেরে)
নৌশিন:আ😱😱😱।।
এই কি রে…উঠবি না কি?(দরজার বাইরে)
!নৌশিন..তাড়াতাড়ি দরজা টা খুলতেই… ভাবী ভেতরে আসে….সাথে সাদাদের কোনো বোন টোন হবে মে বে।।
ভাবী কি ব্যাপার কেমন কাটলো?☺☺?(সাদাদের বোন আর ভাবী হেসে ওঠে..একে অপরের দিকে তাকিয়ে..নৌশিন লজ্জা পেয়ে যায়…”☺☺বসো না ভাবী””(নৌশিন)
“হুম..তাই তো এলাম..তা কি করলি সারা রাত..”(ভাবী)
“ভাবী এটা কোনো কথা কি করবে বলো তো.. দেখছো চুলগুলো ভেজা”(বোন)।
ওহ হ তাই তো..তা দেবর মশাই(সাদাদের কান ধরতেই চিৎকার করে ও) কি ব্যাপার ঘুম হলো??
“জিঙ্গাস করো না…ওকেই(নৌশিনের দিকে ইশারা করে)(প্রেমঘোর গল্পের পেজ#Tobu_Tumi_Sukhe_Thako)
নৌশন:(অবাক হয়ে) আমি কি জানি??
বোন:কেন ছোট ভাবী??কিছু হয় নি??
(নৌশিন কি বলবে..সাদাদের দিকে তাকিয়ে আছে)
হলো হলো আর দেখা লাগবে না..(ভাবী)
নৌশিন:ওহ্।। ভাবী তেমনটা না তো তুমি যা ভাবছো…
(ওর কথায় সাদাদ ই আগে জোরে হেসে ওঠে তার পর ওর বোন আর ভাবীও)
…আরও লজ্জায় পড়ে নিজেই হেসে দেয় সাদাদের দিকে তাকিয়ে…সাদাদের চোখ পড়ে যায় ওর চোখে..দু জনের মুখেই একটা চিরল হাসি আর চোখে সুখের আভাস নিয়ে একটা অন্যরকম দিনের শুরু হয় দুজনের জীবনে)

#প্রেমঘোর#৫#
💜💜
Writer:Nargis Sultana Ripa.
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
ভাবী আর প্রাপ্তি(সাদাদের কাজিন) নৌশিনকে বাইরে নিয়ে যায়।আর এদিকে সাদাদ ঘুমিয়ে পড়ে।
ভাবী নৌশিনকে সবার সাথে দেখা করায়,নৌশিন বাসার টুক টাক কাজে হাত লাগায়।
নিপা:কি ব্যাপার নৌশিন??রাতে ঘুম কেমন হলো?(দুষ্টামি করে)
ভাবী:কি যে বলিস না নিপা তুই…গিয়ে দেখ সাদাদ এখনোও ঘুমায়..রাতে ঘুম হলে কি আর এখন ঘুমাতো নাকি😃😃
!নৌশিন কি বলবে বুঝতে পারছে না!
নিপা:দেখতে তো হবে…এমন কেউ সামনে থাকলে কি ঘুম আসার কথা ☺☺!
ভাবী:যা বলসিস…
!নৌশিন মুচকি হেসে ফলে লজ্জায় পড়ে যাচ্ছে!
ভাবী:হয়েছে আর লজ্জা পেতে হবে না,ঘরে যাও তুমি এখন নাকি!
নৌশিন:না না ভাবী থাকি না, এখানেই তোমাদের সাথে,তাছাড়া একটু কাজ করলে সময় টাও ভালো কাটবে।
নিপা:আচ্ছা থাকুক তবে ও,নৌশিন???কোনো সমস্যা হলে বা কিছু লাগলে ভাবী বা আমাকে সাথে সাথে জানাবা..কোনো ফরমালিটি করার দরকার নেই।কেমন!
নৌশিন :জ্বি আপু।
ভাবী:এই নৌশিন লুচি ভাজতে জানো?
নৌশিন :হ্যাঁ ভাবী..তুমি এই দিক টা দেখ আমি বাকী গুলো ভেজে দিই।
ভাবী:ওরে নতুন বউ☺☺…একদম এতো পাকামো করতে হবে না।হাতে হঠাৎ লেগে গেলে দেবর মশাই পাগল হয়ে যাবে।
নৌশিন:কিচ্ছু হবে না ভাবী. দিয়েই দেখো না।
!সাদাদের মা রান্না ঘরে এসে যায়!ওদের কথা শুনতে পায়!
“না না বড় বউ মা, এই টুকু মেয়ে ওকে এইসব করতে দিও না”
!নৌশিন শাশুড়িকে সালাম করে!
“এই প্রান্তুি নৌশিনকে ওর রোমে দিয়ে আয়”(ভাবী)
“নৌশিন যাও এবার -অনেক কাজ হয়েছে..রান্না তো শেষই প্রায়..তুমি দেখ সাদাদ ওঠলো কি না..ওকে নিয়ে নিচে এসো,আমি আর নিপা খাবার রেডি করছি”
!নৌশিন রোমে চলে যায়!
!সাদাদ ঘুমাচ্ছে!
!নৌশিন নিজের ফোনটা হাতে নিয়ে, ওর মায়ের কথা ভাবতে থাকে,ফোন করেও ফেললো!
“হ্যালো মা…তুমি তো আমাকে একটা বারও মনে করলা না…একদিনেই এই অবস্থা😞😞”
“না না মা কি বলে..আমি তোকে ফোন দিতাম একটু পরেই..সকাল বেলা তাই দিই নি”
“হুম।। এখন তো বলবাই😞😞”
“আচ্ছা কি করিস মা??আর বাসার সবাই কেমন রে??কোনো সমস্যা হচ্ছে না তো?”
“এই তো বসেই আছি..আর কোনো সমস্যা নেই মা।।সবাই খুব ভালো.,মা বাবা কোথায়?”
“তোর বাবা বাইরে গেল..কিছু কেনা কাটা করতে..”
“ও।।আর তুমি কিন্তু আসবা বিকেলে সবার সাথে…”
“আমি কি করে যাবো বল তো… তুই সবার সাথে আসবি..আমার তো এই দিকে আবার সাদাদের জন্য কত কিছু আয়োজন করতে হবে”
“ওহ্ মা😞”
!নৌশিন কথা বলতে বলতে সাদাদ ওঠে যায়।।।নৌশিনের কোলে হঠাৎ মাথা রাখায় চমকে যায় ও”
“নৌশিন নে তোর ভাবীর সাথে কথা বল”
“হুম।দাও।।”(সাদাদের চুল হাত দিতে দিতে)
“কি রে ননদীনী..কেমন হলো”
“কিছুই হলো না ভাবী…”(সাদাদ নৌশিনের পেটের দিকে নিজের মুখ এগিয়ে নিয়ে যায়।।।নাক ডুবিয়ে দেয়।।।নৌশিন ফোনে কথা বলছে, তাই সাদাদকে কিছু বলতে পারছে না..হাত দিয়ে ফেরানোর চেষ্টা করে বৃথা হয়…সাদাদ হঠাৎ নাভীতে চুমু দিয়ে দিলে শিউরে ওঠে নৌশিন!
“কিচ্ছু হয় নি মানে কি??(নৌশিনের ভাবী)
“নৌশন সাদাদের জন্য ভালো ভাবে কথায় বলতে পারছে না”হুম তো ভাবী…”
“এই শোন আমি ফোন রাখলাম আগে বাসায় আয় পরে তোকে দেখছি..”বলেই ফোন রেখে দেয়”
“কি ব্যাপার এমন কেনো করছো??ফোনে কথা বলছিলাম তো”(সাদাদকে)
“ওমম্….আদর করছিলাম একটু”
“ওহ্ তাই…ঘুম শেষ আপনার?”
“জ্বি মেডাম..এই চুল গুলো তে ভালো ভাবে হাত লাগাও তো!”(সাদাদ)
“ইশ।।।পারবো না”(নৌশিন)
“পারবা না মানে..?”
“হুম পারবো না..”
“ওকে ছাড়ো..লাগবে না..একটু লিপস্টিক খেতে দাও ”
“কিহ্..সেটা খাবার জিনিস😒😒।।।”
“হুম খুব টেস্টি”
“ওকে আনি তবে..”
!ওঠে চলে যেতে যাবে..সাদাদ হাত ধরে ফেলে..”কি হলো??কই যাও..?”
“তুমিই তো বললা লিপস্টিকেরর কথা…”
!সাদাদ বিছানা থেকে ওঠে নৌশিনের কাছে যায়”লিপস্টিক তো…নৌশিনের ঠোঁটের দিক মুখ বাড়িয়ে”এই তোমার ঠোটে জানেমন।। এই খান থেকে যা খাওয়ার খাবো!
(নৌশিনের ঠোট ঠোট রেখে চুমু দিতে শুরু করে..নৌশিন ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে ওর কমড়ে হাত দেয়।।।আস্তে আস্তে এক পর্যায়ে বেডে নিয়ে যায়।।।ওর ঠোটে কিস করতে করতেই ওকে শুইয়ে দিয়ে নিজেও ওর উপর ওঠে গলায় কিস করতে যায়…এবার মেয়েটা কথা বলার সুযোগ পায়”সাদাদ কি করছো?”
“উমমমম্মা…আদর ভালোবাসছি”
“ছাড়ো আমায়।।।কেউ এসে যাবে।। দরজায় খুলা তো…”
“হুম কেউ আসবে না…উমমমমমমা…এবার আমার টা দাও”
“কি দিব তোমায় আমি..ভাবী খাওয়ার জন্য ডাকতে পাঠালো তোমায় আর তুমি শুরু করলা এই সব..এখন সরো।।কেউ এসে গেলে সব শেষ”
“হুম।।সরে যাবো আগে দাও”
“কি দিব আজিব তো”
“ওফফ…পাপ্পি দে রে একটা”
“ওহ আচ্ছা..দিব না”
!তবে ছারলাম না..দরজা ওন থাক এই ভাবেই..(শক্ত করে চেপে ধরে নৌশিনকে)
“আচ্ছা দিচ্ছি দিচ্ছি…
নৌশিন নিজের মুখ বাড়ায় সাদাদের দিকে….এক মুর্হুতে ঘোরে চলে যায় দুজন…
“ভাবী….ভাবী…নিচে চলো…”(প্রাপ্তি)
!ওরা খেয়াল করে নি!.
“ভাবী..ভাইয়া…!ওদের রোমের দিকে আসতে থাকে..
“সাদাদ ওঠো।।কেউ আসছে…!সাদাদকে ধাক্কা দিয়ে…কি হলো ওঠো…
সাদাদের হুস আসে..
কিন্তু দরজা তো খোলা😛😛
প্রাপ্তি ঘরে ডোকে যায়….সাদাদ টাইমলি ওঠতে পারে নি…সো যা হয়😛😛
“ওহ।।। সরি সরি।।।।আই এম ভেরি সরি..আমি কিচ্ছু দেখি নি…
!নৌশিন সাদাদকে সজোরে ধাক্কা দেয়।।।সাদাদও প্রাপ্তির গলা পায় এক লাফে উঠে দাঁড়ায়..
“নক করে আসবি তো…বুচি..”(সাদাদ)
!নৌশিন ওঠে শাড়ি ঠিক করতে লাগে।।।।কেমন লজ্জায় পড়ে গেলো।।সেটাই ভাবছে…
“আরে।।আমি কি জানি তুমি ভাবীর ওপর..😞😡😡(অভিমান করে)(জোরে)
আরও কিছু বলতে যাবে প্রাপ্তি…!নৌশিন ওর মুখে চেপে ধরে..”এই আস্তে।।।কেউ শুনে ফেলবে ☺”
!প্রাপ্তি ছাড়িয়ে নেয়…”ও মা।।।ভাবী তোমারা করবা আর আমি বলতে পারবো না।।।।😒😒”
“প্লিজ প্রাপ্তি সোনা।।মান সম্মান চলে যাবে আমার…প্লিজ মাই ডিয়ার”
“হুম।।।তা তো জানি ই।। তবে বলবো না একটা শর্তে….
“কি শর্ত…বলো……সব মানতে রাজি…☺”

১-৩৫ পর্বের লিংক
https://www.facebook.com/groups/2837664109643809/permalink/2935151703228382/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here